Tag: PM Modi

PM Modi

  • Jan Dhan Yojana: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    Jan Dhan Yojana: ১০ বছরে ৫৩ কোটি অ্যাকাউন্ট! জনধন যোজনার দশম বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (Pradhan Mantri Jan Dhan Yojana) ১০ বছর পূর্ণ হল। এক দশকেই  জনধন যোজনায় উপভোক্তার সংখ্যা বর্তমানে ৫৩.১৩ কোটি। অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জনধন অ্যাকাউন্টে মোট জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ২ লক্ষ ৩১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। প্রায় ১৫ গুণ ডিপোজিট বেড়েছে জনধন (Jan Dhan Yojana) অ্যাকাউন্টে। এদিন এই প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে উপভোক্তাদের অভিনন্দন জানান তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

    কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, জনধন যোজনার (Jan Dhan Yojana) অন্তর্গত ৫৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ৫৫.৬ শতাংশই মহিলা। ৫৩ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ৬৬.৬ শতাংশ গ্রাম ও শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “আজ জনধনের ১০ বছর পূর্তি হল। সকল উপভোক্তাদের অভিনন্দন। যাঁরা এই প্রকল্পকে সফল করতে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদেরও অনেক অভিনন্দন। জনধন যোজনা দেশের কোটি কোটি মানুষকে, বিশেষ করে মহিলা, যুব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্মান দিয়েছে।”

    জনধন যোজনা কী

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে সকলের জন্য প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (Pradhan Mantri Jan Dhan Yojana) ঘোষণা করা হয়। সে বছর স্বাধীনতা দিবসে এই প্রকল্প চালুর পর থেকে ২৮ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়ে যায় জনধন অ্যাকাউন্ট ওপেনিং। যার ফলে কয়েক কোটি মানুষ প্রথমবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। ব্যাঙ্কের গ্রামীণ ও শহরের ব্রাঞ্চের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট হতে থাকে। তবে এই প্রকল্পে যে কোনও ভারতীয় নাগরিক গ্রাম হোক বা শহরের জনধন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বড় ব্যাঙ্কেই যে যেতে হবে তার কোনও মানে নেই, ছোট ব্যাঙ্ক বা কোনও ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকেও এই খাতা খোলা যায়।

    জনধন যোজনার সুবিধা

    জনধন যোজনায় (Jan Dhan Yojana) যদি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তাহলে কোনও মিনিমাম ব্যালান্সের ঝামেলা থাকে না অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ খালি করলেও কোনও চার্জ কাটা হয় না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। এরফলে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও টাকা তোলা যায়। এছাড়া অনলাইনেও পেমেন্ট করা যায়। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট থাকলে ডেবিট কার্ডের জন্য কোনও চার্জ কাটা হয় না। আপনি যদি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিতে চান তাহলে অনেক ডকুমেন্ট রেডি করতে হয়। তাছাড়াও ঋণ পেতে গেলে ক্রেডিট স্কোর ভালো হতে হয়। তবে এক্ষত্রে ক্রেডিট স্কোরের কোনও ঝামেলা নেই, বরং অ্যাকাউন্ট থাকা টাকার ওপরে ভিত্তি করেই লোন পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছি।” মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।”

    মোদির শিরঃপীড়ার কারণ হিন্দু নিপীড়ন (PM Modi)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের। ঘরবাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি করা হয় খুন। হিন্দু মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় হিন্দু পদাধিকারিদের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিংসা ওঠে চরমে। পড়শি দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিরঃপীড়ার কারণ, তার আঁচ মিলেছিল ১৫ অগাস্ট, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এদিন দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত সব সময় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।” ইউক্রেন ইস্যুতেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মত বিনিময় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বর্তমান (Bangladesh Crisis) যুগে যুদ্ধে যে কোনও সুফল মেলে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য’’, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের আবহে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে (Crimes Against Women) কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ‘লাখপতি দিদি’ সম্মেলনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘নারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি আবার সব রাজ্য সরকারকে বলব নারীদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। যারাই দোষী তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে মহিলাদের অত্যাচার করে এবং যে তাকে বাঁচায়, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। হাসপাতাল হোক বা থানা, যেখানেই গাফিলতি, সেখানেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে

    এদিন ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘নাবালকদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনায় নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন সাজার জায়গা রয়েছে। এর আগে বিয়ের নাম করে মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করা হলেও এই অপরাধের জন্য আলাদা করে কোনও আইন ছিল না। এখন বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং প্রতারণার জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আইন রয়েছে।’’

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    বিয়ের পরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের অপরাধগুলি মোকাবিলা করতে বিএনএস-এ অনেক সংশোধনী এনেছে।’’ মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘‘সমাজ এবং প্রতিটি সরকারের কর্তব্যই হল মহিলাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদাকে রক্ষা করা। আমরা কঠোর আইন এনেছি। মহিলাদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ (Crimes Against Women) করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    ই-এফআইআর চালু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু হওয়াতে বিচার ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। এখন সহজেই অভিযোগ দায়ের করা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রায় অভিযোগ আসত যে এফআইআর দায়ের হয়নি কিন্তু আমরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এনেছি এবং আগের ব্যবস্থার অনেকটাই সংশোধন করেছি। এখন কোনও মহিলা যদি থানায় নাও যেতে চান তবে তিনি ই-এফআইআর দায়ের করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি ই-এফআইআর বদলাতে পারেন না।’’

    তাঁর সরকারের লক্ষ্য মহিলা সশক্তিকরণ

    বিগত ১০ বছর ধরে তাঁর সরকার মহিলাদের উন্নতি ও সশক্তিকরণে নানা কাজ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে আগের যে সমস্ত সরকার মহিলাদের জন্য যা কাজ করেছে গত ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়েছে।’’ এ বিষয়ের রীতিমত তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোদি এবং তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সাল পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে তাতে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও কম ঋণ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিগত ১০ বছরে সরকার ঋণ দিয়েছে ৯ লাখ কোটি টাকা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vigyan Dhara Scheme: ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্পে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    Vigyan Dhara Scheme: ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্পে ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকল্পের নাম ‘বিজ্ঞান ধারা’ (Vigyan Dhara Scheme)। এই প্রকল্পে থাকছে স্কুলস্তরে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামও। ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Cabinet)। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই অনুমোদন মেলে এই প্রকল্পের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ইন্টার্নশিপ ও পরবর্তীতে গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করবে সরকার।

    বৈঠকে মোদি (Vigyan Dhara Scheme)

    জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান ধারা প্রকল্পের অধীনে প্রস্তাবিত সব কর্মসূচি ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ – এর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন (Vigyan Dhara Scheme) করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্রডকাস্টিং মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের তিনি বড় উপাদান রয়েছে। এগুলি হল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইননোভেশন টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এবং ডিপ্লয়মেন্ট।” মন্ত্রী জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই কারণেই নিয়ে আসা হচ্ছে ‘বিজ্ঞান ধারা’ প্রকল্প। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের পড়াশোনা, গবেষণা, গবেষণাগারের উন্নতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ দেবে সরকার। এজন্য পাঁচটি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “জিহাদকে লালন করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, তার সঙ্গে জোট কংগ্রেসের? প্রশ্ন ধামির

    স্কুলস্তরেই মিলবে ইন্টার্নশিপের সুযোগ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইন্টার্নশিপ। এই প্রকল্পে পাঠ্য পুস্তকের বাইরে বেরিয়ে কীভাবে আমরা বাস্তব জীবনে পড়ুয়াদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি, তারই দিশা দেখানো হবে। এর জেরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। পড়ুয়ারা আরও এগিয়ে যেতে পারবে।” মোদির রাজত্বে তামাম বিশ্বে গুরুত্ব বেড়েছে ভারতের। এদিন পরোক্ষে সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারতের নতুন পরিচয় তৈরি হয়েছে। এই নতুন পরিচয়কে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব। ভারতের যে প্রতিভা রয়েছে, তা অত্যন্ত মূল্যবান।” তিনি বলেন, “ব্রেনড্রেন রুখতে (Cabinet) জয়েন্ট রিসার্চ, জয়েন্ট প্রজেক্টস, এবং জয়েন্ট ফেলোশিপের ওপর ফোকাস করা হবে (Vigyan Dhara Scheme)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Triple Talaq: মোদি-যোগীর প্রশংসা, স্ত্রীর গায়ে ফুটন্ত ডাল ছুড়ে তিন তালাক যুবকের!

    Triple Talaq: মোদি-যোগীর প্রশংসা, স্ত্রীর গায়ে ফুটন্ত ডাল ছুড়ে তিন তালাক যুবকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপরাধ’ বলতে তিনি প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তার জেরে স্ত্রীর গায়ে গরম ডাল ছুড়ে দিল যুবক। গলা চেপে ধরে বলল, ‘তালাক, তালাক, তালাক’ (Triple Talaq)। হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন ওই যুবতী। তবুও নির্বিকার যুবক। উত্তরপ্রদেশের বাহরইচের ঘটনায় চাঞ্চল্য।

    মোদি-যোগীর প্রশংসা (Triple Talaq)

    গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। ওই দিনই প্রতিষ্ঠিত হন রামলালার বিগ্রহ। তার পর থেকে মন্দির দর্শনে ফি দিন হাজার হাজার মানুষ আসছেন অযোধ্যা দর্শনে। বিয়ের পর স্ত্রীকে অযোধ্যা বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিল মুসলিম যুবক আরশাদ। সাজানো গোছানো অযোধ্যা দেখে মন ভরে যায় ওই যুবতীর। বাড়ি ফিরে অযোধ্যার সৌন্দর্যায়নের প্রশংসা করেন তিনি। প্রশংসা করেন মোদি ও আদিত্যনাথের।

    স্ত্রীর গায়ে ফুটন্ত ডাল

    ব্যস, আর যায় কোথায়? সেই সময় কড়াইয়ে ফুটতে থাকা গরম ডাল নিয়ে স্ত্রীর গায়ে ছুড়ে দেয় আরশাদ। স্ত্রীর গলা চেপে ধরে তিনবার বলল তালাক। একদিকে গরম ডালের ছ্যাঁকা, অন্য দিকে নতুন সংসার ভেঙে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই যুবতী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে জোর করে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়িতে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে (Triple Talaq) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ওই যুবতী।

    আরও পড়ুন: মোদির মাস্টারস্ট্রোক, ইউনিফায়েড স্কিমের ঘোষণা, পেনশন হবে বেতনের ৫০ শতাংশ

    আরশাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে অত্যাচার, হুমকি, পণের জন্য অত্যাচার ও মুসলিম মহিলা (সংরক্ষণ) আইনে মামলা দায়ের করা (PM Modi) হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই তিন তালাক (Triple Talaq) নিষিদ্ধ করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কুপ্রথায় যে দাঁড়ি পড়েনি, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাই তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Government: মোদির মাস্টারস্ট্রোক, ইউনিফায়েড স্কিমের ঘোষণা, পেনশন হবে বেতনের ৫০ শতাংশ

    Central Government: মোদির মাস্টারস্ট্রোক, ইউনিফায়েড স্কিমের ঘোষণা, পেনশন হবে বেতনের ৫০ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার (Central Government) বৈঠকে নতুন পেনশন প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। নয়া ইউনিফাইয়েড পেনশন স্কিম (ইউপিএস) চালু হবে আগামী ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে (Unified Pension Scheme)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন এই প্রকল্প চালু হলে প্রায় ২৩ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন। প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু রয়েছে, এর পাশাপাশি নয়া পেনশন স্কিম চালু হচ্ছে আগামী অর্থবছর থেকেই। নয়া পেনশন প্রকল্পের দাবি উঠছিল অনেক দিন ধরেই। শনিবার সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল মোদি মন্ত্রিসভা। তবে পেনশভোগীদের জন্য এনপিএস স্কিম উঠে যাচ্ছে না। অবসরের পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা (Central Government) এনপিএস বা ইউপিএস-যে কোনও একটি প্রকল্প বেছে নিতে পারবেন।

    নয়া পেনশন স্কিমে কী কী সুবিধা, জেনে নিন (Central Government)

    ১) নয়া পেনশন স্কিমের মাধ্যমে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী (Central Government) অবসরের আগের ১২ মাসে যে বেসিক-পে পেতেন, তার ৫০ শতাংশ পেনশন হিসেবে পাবেন।  তবে ওই কর্মীকে কমপক্ষে ২৫ বছর কাজ করতে হবে। তবেই এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন কর্মচারীরা।

    ২) নয়া নিয়মে যদি কোনও পেনভোগীর মৃত্যু হয়, তখন সেই কর্মী মৃত্যুকালীন সময়ে যে পেনশন পেতেন, তার ৬০ শতাংশ পাবেন মৃতের পরিবারের সদস্য।

    ৩) নয়া পেনশন স্কিম অনুযায়ী যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ১০ বছর চাকরি করে ছেড়ে দেন, তবে তিনি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন।

    ৪) নয়া পেনশন স্কিমের অধীনে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা মুদ্রাস্ফীতি সূচকের সুবিধা পাবেন অর্থাৎ এর মানে হল মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী ডিয়ারনেস রিলিফের টাকা দেওয়া হবে, যা অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স-এর উপর ভিত্তি করে হবে।

    ৫) গ্রাচুইটি ছাড়াও অবসর গ্রহণের সময় একক পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। কর্মচারীদের প্রতি ছয় মাসের চাকরির জন্য মূল বেতন এবং মহার্ঘ্যভাতার একের দশ অংশ হিসেবে গণনা করা হবে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তাঁর সরকারের এই নয়া পেনশন স্কিম নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীও। নয়া এই পেনশন নীতি কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের (Central Government) মর্যাদাকে বৃদ্ধি করবে এবং আর্থিক নিরাপত্তা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গর্বিত যে সরকারি কর্মচারীদের কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে চলেছে, নয়া ইউনিফাইয়েড পেনশন স্কিম (Unified Pension Scheme) প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে মর্যাদা এবং আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বার্তা মাসখানেক আগে তিনি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে, সেই একই মন্ত্র তিনি দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেও। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।”

    শান্তির ললিত বাণী (PM Modi)

    পোল্যান্ড সফর সেরে মোদি গিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। সেখানেই বুদ্ধের দেশের প্রতিনিধি আরও একবার বিশ্বকে শোনালেন শান্তির ললিত বাণী। বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধান পেতে হবে মুখোমুখি কথাবার্তা ও কূটনীতির মাধ্যমে। যুদ্ধ করে সময় নষ্ট না করে আমাদের তাই উচিত সেই পথে হাঁটা।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একথা বলছেন, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে মাসখানেক আগে রাশিয়া সফরে গিয়েও মোদি পুতিনের কানে দিয়েছিলেন এই ‘শান্তি-মন্ত্র’।

    ‘যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান মেলে না’

    তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মস্কো (রাশিয়ার রাজধানী)-কিয়েভের (ইউক্রেনের রাজধানী) এহেন যুদ্ধের আবহেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বরাবর যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছি। কিন্তু তার মানে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধ এবং মহাত্মা গান্ধীর দেশের মানুষ। আমি এখানে শান্তির বার্তা নিয়েই এসেছি।” তিনি বলেন, “আমি পুতিনের মুখের ওপর বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করে বলছি, শান্তি স্থাপনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে ভারত প্রস্তুত। আমি যদি এখানে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভূমিকা নিতে পারি, তা-ও করব। আমি বন্ধু হিসেবে আপনাকে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতালে রাশিয়ার হানায় মৃত শিশুদের আত্মার শান্তি কামনা করেন মোদি (PM Modi)। পরে বলেন, “যুদ্ধের বলি হয়েছে নিষ্পাপ শিশুরা, এটা হৃদয়বিদারক। মানবিকতায় বিশ্বাসী কোনও ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা মেনে নিতে পারেন না।”

    পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদির সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টা তিনেক বৈঠক শেষে সেই তিনিই খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “একটি ইতিহাস তৈরি হল। ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ দেশে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের (Volodymyr Zelenskyy) জাতীয় সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে ভারত (PM Modi)। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় গিয়ে ‘বন্ধু’ পুতিনকে আলিঙ্গন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ ছবি মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমি দুনিয়া। এবার ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও আলিঙ্গন করলেন মোদি। তাঁর কাঁধে ‘ভরসার’ হাত রেখে ঘুরলেন কিয়েভের নানা প্রান্ত। যাঁরা মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে সরব ছিলেন, এখন তাঁরা চুপ। এই আবহেই বিশ্বকে কৌশলী বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। আলিঙ্গনকে ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতের সংস্কৃতি শেখায় সকলকে ভালবেসে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্র, অভিমত জয়শঙ্করের। 

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    রুশ সফরে পুতিনের সঙ্গে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন ভারতের সাংস্কৃতিক প্রথার কথা। এদিন বিবিসির এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের এদিকে মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হলে একে অপরকে আলিঙ্গন করা হয়। এটা আপনার সংস্কৃতির অংশ নাও হতে পারে, এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ।’’ উল্লেখ্য, গত মাসে ৮ থেকে ৯ জুলাই রাশিয়া গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মোদি আলিঙ্গন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি লেখেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতাকে এমন একটি দিনে মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত অপরাধীকে আলিঙ্গন করতে দেখা, এটি একটি বিশাল হতাশা এবং শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত।’

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালের পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতেই সেদেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে আসবনে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনস্কি।

    আরও পড়ুন: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    মোদি ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন

    মোদি (PM Modi) ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন। যেভাবে শান্তির বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফর করলেন তা দেখে কার্যত অবাক গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনেস্কি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    PM Modi: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড থেকে লম্বা ট্রেন সফর (প্রায় ১০ ঘণ্টা) করে ইউক্রেনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আকাশ একেবারেই নিরাপদ নয়, তাই রেলে করেই মোদি পৌঁছান জেলেনস্কির দেশে। প্রসঙ্গত এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন ইউক্রেন সফর করেছিলেন, তখন তিনিও একইভাবে রেলযাত্রার মাধ্যমেই কিয়েভে পৌঁছেছিলেন। পোল্যান্ডের মতোই ইউক্রেনেও মোদিকে স্বাগত জানাতে প্রবাসী ভারতীয়রা ভিড় করেছিলেন এদিন। মোদির নামে জয়ধ্বনিও দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সেখানে উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘‘ভারতের অবস্থান পরিষ্কার, এটি যুদ্ধের সময় নয়। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানবতার এই সঙ্কট কাটাতে হবে।’’ সেদেশের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেই ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি-তে যান মোদি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত শিশুদের শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কাঁধে হাত রেখেই মোদিকে ঘুরতে দেখা যায় এদিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সম্মান জানিয়ে জেলেনস্কিকে আলিঙ্গনও করেন। পাশাপাশি কিয়েভ (Kyiv) পৌঁছে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রসঙ্গত, মোদিই হলেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইউক্রেন সফর করছেন।

    মোদির (PM Modi) ট্যুইট

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘বাপুর আদর্শ সর্বজনীন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশা দেয়। আমরা সবাই যেন মানবতার কাছে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করি।’’

    আরও একটি বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘জেলেনস্কি এবং আমি কিয়েভের মাল্টিমিডিয়া মার্টিরোলজিস্ট এক্সপোজিশনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে যে শিশুরা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’’

    প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে

    ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি-তে যুদ্ধে নিহত শিশুদের শ্রদ্ধা জানানোর পরেই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালেই স্বাধীন হয় ইউক্রেন। তারপর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন, অর্থাৎ ৩৩ বছর পরে। গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। এর ঠিক দেড় মাসের মাথায় ইউক্রেন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধের আবহে দুই দেশে প্রধানমন্ত্রীর এমন সফরকে (Kyiv) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    মোদির সফরের আগেই ড্রোন হামলা

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইউক্রেন জুড়ে ধারাবাহিক ড্রোন হানাদারি শুরু করে রাশিয়া। চেরকাসি, কিরোভোহার্ড, পোলতাভা এবং সুমি প্রভৃতি এলাকাগুলিতে ১৬টিরও বেশি রুশ ড্রোন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তবে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফল ভাবে ড্রোন হামলার মোকাবিলা করেছে। ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪টি হামলাকারী ড্রোনকে ইতিমধ্যে সফল ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

    ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে চার চুক্তি সম্পাদন

    এর পাশাপাশি মোদির এই সফরের মধ্যে চারটে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে ভারত ইউক্রেনের মধ্যে। এগুলি হল কৃষি, ওষুধ, সংস্কৃতি ও মানবতা সংক্রান্ত চুক্তি। ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন সফরকে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তাঁর এই সফর। মোদির (PM Modi) সফরকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে ট্যুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড সফর শেষে ১০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। এই প্রথম পূর্ব ইউরোপের এই দেশে পা পড়ল কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রনেতার। শুক্রবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi Zelenskyy Meet)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সেই বৈঠকে জেলেনস্কিকে কী বার্তা দেন মোদি তার দিকে তাকিয়ে সারা বিশ্ব। অতীতে, বারবার রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই দেশকেই যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক (Modi Zelenskyy Meet)

    ইউক্রেনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে চলমান যুদ্ধ ছাড়াও বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে ভাব বিনিময়, মানবিক সহায়তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ফের একবার আলোচনা এবং কূটনীতির পথে দ্বন্দ্বের মীমাংসার বার্তা দেবেন মোদি, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Ukraine Visit) ইতিমধ্যেই এই সংঘাতের দ্রুত সমাধানের জন্য ভারত বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন (Modi Zelenskyy Meet)। মোদির কথায়, ‘‘ভারত শান্তির সেতু হতে চায়, কোনও পক্ষ নিতে নয়।’’

    শান্তিই সমাধান (PM Modi Ukraine Visit)

    টানা ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রার শেষে সাত ঘণ্টার কিয়েভ সফর। আবার ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রায় প্রত্যাবর্তন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্ব ইউরোপ সফরের তৃতীয় দিন কাটতে চলেছে এই নিয়মেই। জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’’ যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না ভারত (PM Modi Ukraine Visit)। তবে শান্তি ফেরানোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বার্তা সমন্বয়ের দায়িত্ব নিয়ে রাজি নয়াদিল্লি (Modi Zelenskyy Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share