Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    PM Modi Ukraine Visit: বিমানে নয়, ১০-ঘণ্টা ট্রেনে চেপে ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি, জানেন এর বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশ পথে নয়, পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে ইউক্রেনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ড থেকে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছবেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের কূটনৈতিক পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে সব থেকে নিরাপদ পরিবহণ ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এই ট্রেনে সফর করেছেন।

    রেলফোর্স ওয়ান কী

    বিলাস বহুল পর্যটনের জন্য ২০১৪ সালে চালু হয় এই ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ (Rail Force One)। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রনেতা ও কূটনীতিকদের ইউক্রেন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হচ্ছে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’। এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়। বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাই প্রোফাইল যাত্রীর যাত্রা সুখকর করতে রয়েছে নানা সামগ্রী। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে প্রশস্ত টেবিল। ট্রেনে সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমনোর জন্য আরামদায়ক বিছানাও রয়েছে।

    আয়রন বা লৌহ-কূটনীতি (PM Modi Ukraine Visit)

    এই ট্রেন পথ ‘আইরন কূটনীতির’ অংশ। ইউক্রেন পরিচালিত এই ট্রেনে বিশ্বনেতারা সওয়ার হয়ে ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সহমর্মিতা দেখান। বসার জায়গা থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দিক থেকে এই ট্রেন অন্য ট্রেনের থেকে একেবারেই আলাদা। ট্রেনে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ট্রেন কখন ছাড়বে এবং কখন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছবে তাও গোপন রাখা হয়। ট্রেনের পাশাপাশি রেললাইনের নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর থাকে ৷ দিনের বিভিন্ন সময়ে এই রেল লাইনের প্রতিটি অংশে নজরদারি চলে। নিরাপত্তার ভার থাকে সেনার হাতে। রাশিয়া হামলা শুরু করার পর পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে এই রেলপথ শুরু করে ইউক্রেন (PM Modi Ukraine Visit)। বিশ্বের তাবড় নেতাদের ট্রেনে পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করাই এই কূটনীতির লক্ষ্য। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অস্ত্র বা অন্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ট্রেন লাইনের ব্যবহার করে ইউক্রেন সেনা।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    কেন ট্রেন সফর মোদির

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইউক্রেনের আকাশ এখন বিপজ্জনক। আকাশপথে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ। ফলে বিমানে চেপে কিয়েভে পৌঁছনোর উপায় নেই। তাই ট্রেনই (Rail Force One) ভরসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit) এর আগেও বেশ কয়েকবার ট্রেনে সফর করেছেন। ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় জুরিখ থেকে দাভোস পর্যন্ত ট্রেনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সে বছর অক্টোবর মাসে জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে সঙ্গে নিয়ে বুলেট ট্রেনে সফর করেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    PM Modi:‘‘যুদ্ধে কোনও সমস্যার উত্তর মেলে না’’, ইউক্রেন সফরের আগেই বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। ভারত মনে করে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সমাধান হওয়া অসম্ভব। ইউক্রেন সফরের (Modi Ukraine Visit) আগে পোল্যান্ড থেকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউরোপে যুদ্ধের আবহের মধ্যেই পোল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছেন মোদি৷ প্রায় ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন৷ ওয়ারশ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ 

    এটা যুদ্ধের সময় নয়

    ইউক্রেন সফর (Modi Ukraine Visit) শুরুর আগে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) মুখে শোনা গেল, “দিস ইজ নট অ্যান এরা অব ওয়ার” (এটা যুদ্ধের সময় নয়)। তিনি পোল্যান্ডের মাটিতে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন। মোদি বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট৷ আমরা কখনওই যুদ্ধকে সমর্থন করি না৷ যুদ্ধ সবসময়ই মানবতার পরিপন্থী। আমরা পৃথিবীতে শান্তি-মানবতা স্থাপনে বিশ্বাসী৷ পৃথিবী জুড়ে সংঘাতের আবহে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করা জরুরি৷’’ সুন্দর আতিথেয়তার জন্য পোল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি৷ গৌতম বুদ্ধের অহিংসার দর্শনের তুলনা টেনে মোদি বলেন, “ভারত বুদ্ধের ঐতিহ্যে বিশ্বাসী। তাই ভারত শান্তিতে বিশ্বাস রাখে, যুদ্ধে নয়।” উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে এসসিও সামিটেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    সহানুভূতি ভারতীয়দের বৈশিষ্ট্য

    মোদি (PM Modi) পোল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “সহানুভূতি ভারতীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যখনই কোনও দেশ সঙ্কটে পড়েছে, প্রথম দেশ হিসেবে ভারত সাহায্য করেছে। যখন কোভিড এল, তখন ভারত বলেছিল, আগে মানবিকতা।” পোল্যান্ড থেকে মোদি দেশের বিদেশনীতিতে বদল আসার ইঙ্গিতও দেন। তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারত অন্য দেশগুলির থেকে দূরত্ব বজায় রাখত। পরিস্থিতি এখন বদলে গিয়েছে। আজ ভারতের নীতি হল সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা। 

    ইউক্রেন সফর মোদির

    পোল্যান্ড সফর শেষে আগামিকাল, ২৩ অগাস্ট ইউক্রেনে (Modi Ukraine Visit) যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) তন্ময় লাল জানিয়েছেন, জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রাধান্য পাবে কৃষি, পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখান থেকে তিনি যাবেন ইউক্রেনে। এবার চার দিনের মার্কিন মুলুক (US) সফরে যাচ্ছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। চারদিনের সরকারি সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন রাজনাথ।

    আমেরিকা সফরে রাজনাথ (Rajnath Singh)

    ২৩ অগাস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। থাকবেন ২৬ তারিখ পর্যন্ত। রাজনাথের এই সফরে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজনাথ। একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। এই সফরে রাজনাথ সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন স্তরে প্রতিরক্ষা এনগেজমেন্টের ব্যকড্রপে হচ্ছে রাজনাথের এই সফর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন কম্প্রিহেনসিভ গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আরও গভীর এবং চওড়া করা হবে বলে আশা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মনে রাখতে হবে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। গত বছর রাজনাথের (Rajnath Singh) সঙ্গে অস্টিনের বৈঠক হয়েছিল। তার আগে আগে হয়েছিল ভারত-মার্কিন ২+২ মিনিস্ট্রিয়াল ডায়লগ। জটিল ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত টেকনোলজি কো-অপারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। এই সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করবেন। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন মার্কিন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্তাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে কিছু মিলিটারি ফেসিলিটি ঘুরে দেখবেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চলতি সফরে ৩১টি এমকিউ ৯বি প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতে জিই এফ ৪১৪ ইঞ্জিনের উৎপাদন নিয়ে কথা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে। জিই-হল চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। গত বছর জুনে মোদি যখন বাইডেন সরকারের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউস সফরে গিয়েছিলেন তখনই স্বাক্ষরিত হয়েছিল জিই হাল চুক্তি (GE HAL Pact)। অস্টিন-রাজনাথের আগের বৈঠকেও উঠেছিল বিষয়টি। এবারও (Rajnath Singh) উঠবে বলেই আশাবাদী (US) বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, জিই (GE) হল জেনারেল ইলেকট্রিক অ্যারোস্পেস এবং হাল (HAL) হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    Mukhtar Abbas Naqvi: ওয়াকফ সংশোধনী বিল ‘সময়ের দাবি’, বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) ২০২৪ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi)। তাঁর মতে, এই বিলটি সময়ের দাবি।

    ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ (Mukhtar Abbas Naqvi)

    সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’ পেশ করেছে মোদি সরকার। এই বিল নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমবার বৈঠকে বসতে চলেছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি। তার আগে বিলটিকে সময়ের দাবি বলে দাবি করেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নাকভি। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করাতে চায় এনডিএ সরকার।

    পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক

    তবে বিলটি সম্পর্কে যাবতীয় পর্যালোচনা করবে পার্লামেন্টারি জয়েন্ট কমিশন। এই কমিশনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করবে বিলটির ভবিষ্যৎ। বিলটি পাশ করাতে মরিরা সরকার যে কেবল বিরোধীদের দাবির কথা শুনছে তা নয়, বিলটি যাতে বিতর্ক ছাড়াই পাশ করিয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য বোঝানোর চেষ্টা চলছে এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং চিরাগ পাশোয়ানকেও। তাঁরা যাতে বিলটি সমর্থন করেন, জোর কদমে সেই চেষ্টাই করে চলেছে মোদি সরকার।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে নাকভি (Mukhtar Abbas Naqvi) আগেই বলেছিলেন, “ওয়াকফ এবং ওয়াক্ত উভয়ের জন্যই এটি ভালো।” তাঁর মতে, সংস্কারগুলি সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। এদিন তিনি বলেন, “পুরো সিস্টেমটাকে (ওয়াকফ বোর্ডে) বেরিয়ে আসতে হবে টাচ মি নট পলিটিক্স থেকে। ওযাকফ সিস্টেমটাকে উন্নত করতেই সরকার এই বিল এনেছে।”

    আরও পড়ুন: পোল্যান্ড সফরে মোদি, গুজরাটের রাজার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, বৈঠক প্রবাসীদের সঙ্গে

    তিনি বলেন, “এমন নয় যে এই প্রথম ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এর আগেও ওয়াকফ আইন সংশোধন হয়েছে।” নাকভি বলেন, “কংগ্রেস এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় এই আইন সংশোধন হয়েছে। সরকার যে বিল পেশ করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত, আলোচনা হওয়া উচিত, ডিটেইলসে বিশ্লেষণও করা উচিত। সেই কারণেই বিলটিকে পাঠানো হয়েছে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটিতে।” তিনি (Mukhtar Abbas Naqvi) বলেন, “জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি একটা সাংবিধানিক বডি। এর (Waqf Amendment Bill) বৈঠকে বিলটি নিয়ে খোলা মনে আলোচনা হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫ বছরে প্রথম। পোল্যান্ডে পা দিলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৭৯ সালে পোল্যান্ড গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। তার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ বছর। এবার গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     রাজধানী ওয়ারশর বিমানবন্দরে নামতেই রাজকীয় অভ্যার্থনা জানানো হয় নমোকে। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ারশর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানানো হয়। এর পর হোটেলে পৌঁছে পোল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়দের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন বেলায় ২ দেশের সফরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিশেষ আকর্ষণ অবশ্যই তাঁর ইউক্রেন সফর। ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী যাবেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। বুধবার রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য উন্মুখ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেনে একটি আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করছি। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার পোল্যান্ড সফর। পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের প্রতি আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি আমার বন্ধু প্রাইম মিনিস্টার ডোনাল্ড টাস্ক ও প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ। আমি পোল্যান্ডের প্রাণবন্ত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।”

    ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান!

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, “পোল্যান্ড থেকে আমি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে ইউক্রেন সফর করব। এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর। আমি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি এবং চলমান ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেব। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করি।” প্রধানমন্ত্রীর আশা, তাঁর এই সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা হিসেবে কাজ করবে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সম্পর্কের ভিত্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কিভ (Ukraine) সফরে (ইউক্রেনের রাজধানী) শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে (PM Modi)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লক্ষ্য শান্তি ফেরানো! রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য শান্তি ফেরানো! রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধের (Russia War) আবহে শান্তির বাণী প্রেরণ করতে ইউক্রেন যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! ২১ অগাস্ট দু’দিনের সফরে পোল্যান্ড যাবেন তিনি। সেখান থেকে ২৩ অগাস্ট তিনি রওনা দেবেন ইউক্রেনের উদ্দেশে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরসূচি চূড়ান্ত করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    আড়াই বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যান রাশিয়া সফরে। বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। এবার তিনি যাবেন যুদ্ধরত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। মোদিই হচ্ছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারত-ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম যাচ্ছেন ইউক্রেন সফরে।

    ভারসাম্যের রাজনীতি

    গত মাসে যখন প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফরে যান, তখন পশ্চিমের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তাঁদের বক্তব্য, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি। বিবদমান দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্যের রাজনীতি বজায় রাখতেই তাঁর এই কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফর। যদিও বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হওয়ার পর মোদিকে শুভেচ্ছা জানান জেলেনস্কি। তখনই তিনি কিভ সফরের আমন্ত্রণ জানান মোদিকে। সেই আমন্ত্রণই রক্ষা করতে ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মোদি-জেলেনস্কি

    গত জুন মাসে ইটালিতে জি৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত জি৭-এর সদস্য দেশ নয়। আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। এই সম্মলেন জেলেনস্কির (Russia War) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। যার জেরে বিপাকে পড়ে তেল-নির্ভর অর্থনীতির দেশ রাশিয়া। যদিও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে যাচ্ছিল ভারত, পশ্চিমি বিশ্বের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই। ইউক্রেনের সঙ্গেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। তবে ভারত যে যুদ্ধের পক্ষে নয়, রাশিয়াকে পইপই করে বলেছে নয়াদিল্লি।

    ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’’

    পুতিনকে কাছে পেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’ তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া সফরের পর ইউক্রেন সফরে গিয়ে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিতে পারেন মোদি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতে পারেন মোদি। কারণ আমেরিকা ও পশ্চিমের শান্তি আলোচনায় মস্কোকে ডাকা হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হলেও, পুতিন যেতেন না। তাই দৌত্যের জন্য পুতিনের প্রথম পছন্দ নয়াদিল্লি। বস্তুত, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    স্থপতি মোদিই!

    রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করা হয় মোদিকে। মস্কো সফরে যাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন পুতিন। নিজে গাড়ি চালিয়ে মোদিকে পাশে বসিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন মস্কোয় তাঁর সরকারি বাসভবন। মোদির এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। স্বাক্ষর হয়েছে একাধিক মউ-ও। রাশিয়া যদি মন্ত্রমুগ্ধ হয় মোদিতে, তাহলে ইউক্রেনেরও আস্থা রয়েছে মোদির ওপর। সব মিলিয়ে রাশিয়া-ইউক্রনের মধ্যে চলা যুদ্ধ বন্ধের স্থপতি হতে পারেন মোদিই। রাশিয়া সফর সেরে দেশে ফেরার পরেই জল্পনা ছড়ায় এবার মোদি যাবেন ইউক্রেন সফরে। তখন বিদেশমন্ত্রকের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত করা হয় মোদির কিভ সফর।

    ‘এটা কোনও শূন্য যোগ খেলা নয়’

    বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পাশ্চাত্য বিশ্ব-বিষয়ক) তন্ময় লাল বলেন, “রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের একটি স্বাধীন সম্পর্ক রয়েছে। দ্বন্দ্বের অবসানে ভারত বরাবরই কূটনৈতিক ও আলোচনার পথে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।” তিনি বলেন, “এটা কোনও শূন্য যোগ খেলা নয়। দুপক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য বিকল্পগুলির মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে স্থায়ী শান্তি। এটি নিষ্পত্তি হতে পারে একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছেন।” দুই দেশের যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ ভারত খুঁজবে বলেও জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর প্রকাশ্যেই রাশিয়ার সমালোচনা করেছিল ভারত (PM Modi)। কারণ রাশিয়াই প্রথম আঘাত হেনেছিল ইউক্রেনে। রাশিয়াকে নিরস্ত করতে একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছে ভারত। যুদ্ধ যে কোনও সমস্যার সমাধান নয়, তাও (Russia War) জানিয়ে দিয়েছেন বুদ্ধ-অশোকের দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Paralympics 2024: ‘‘নতুন রেকর্ড গড়ে তুলুন’’, ভারতীয় প্যারালিম্পিক্স প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা মোদির

    Paris Paralympics 2024: ‘‘নতুন রেকর্ড গড়ে তুলুন’’, ভারতীয় প্যারালিম্পিক্স প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্স শেষ হলেও প্যারিসে ক্রীড়া উৎসব কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। এ মাসের ২৮ তারিখ থেকে অলিম্পিক্সের ভেন্যু প্যারিসেই শুরু হবে প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralympics 2024) আসর। আর সে প্রসঙ্গেই সোমবার রাখি বন্ধনের দিনই ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভারতের প্যারা অ্যাথলিটদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কথোপকথন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। উল্লেখ্য, এবার সর্ববৃহৎ দল নিয়ে প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে মোট ৮৪ জনের দল প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছেন। 

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, ‘‘আপনাদের এই প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralympics 2024) যাত্রা দেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এটি আপনাদের ক্যারিয়ারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের জয় মানেই দেশের জয়, দেশের গৌরব। ১৪০ কোটি ভারতীয় আপনাদেরকে তাঁদের আশীর্বাদ পাঠাচ্ছেন। বিজয় ভব (আপনারা বিজয়ী হোন)।’’

    একইসঙ্গে এদিন এই কথোপকথনে মোদি বলেন, ‘‘ভারতীয় দল ফ্রান্সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনারা সকলেই ভারতের পতাকাবাহী হিসাবে প্যারিসে যাচ্ছেন। এর আগে আপনারা যেমন এশিয়ান প্যারালিম্পিক্স এবং টোকিও প্যারালিম্পক্সে সাফল্য পেয়েছিলেন, সেভাবেই আমি চাই আপনারা সবাই এবার প্যারিসে নতুন রেকর্ড তৈরি করুন।’’

    এবার প্রত্যাশা প্যারালিম্পিক্সকে ঘিরে (Paris Paralympics 2024) 

    এই প্রথমবার প্যারিসে প্যারালিম্পক্সের আসর বসতে চলেছে। ২২টি খেলায় ৫৪৯টি ইভেন্টে এবার মোট ৪৪০০ জন প্যারা অ্যাথলিট প্যারালিম্পিক্সে (Paris Paralympics 2024) অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। ১১ দিন ধরে চলবে এই মেগা ইভেন্ট। প্রসঙ্গত, এবারের প্যারিস অ‌‌লিম্পিক্সে প্রত্যাশা অনুসারে পদক জিততে পারেনি ভারত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবার প্রত্যাশা প্যারালিম্পিক্সকে ঘিরে। আসন্ন প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে পতাকা বাহক হিসেবে দেখা যাবে সুমিত আন্তিল ও ভাগ্যশ্রী যাদবকে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    এদিন ভার্চুয়াল কথোপকথনে হাই জাম্পার মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু, জ্যাভলিন থ্রোয়ার সুমিত আন্তিল, তায়কোয়ান্দো অ্যাথলিট অরুণা তানওয়ার, শ্যুটার রুদ্রাংশ খান্ডেলওয়াল, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ভাবিনা প্যাটেল, শাটলার তরুণ ধিলোন সহ আরও কয়েকজন প্যারা-অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    Bangladesh Crisis: মোদিকে ফোন ইউনূসের, দিলেন বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অবস্থিত হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করে বাংলাদেশি হিন্দুদের যথাযথ সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। এই ফোনালাপের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মোদিকে কী বার্তা ইউনূসের

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। গণতান্ত্রিক, স্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উনি আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে।’’ প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কারণ ১৪০ কোটি ভারতীয়রা হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    মোদিকে পাশে থাকার আর্জি

    এর আগে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ইউনূসকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলেন মোদি (PM Modi)। তারপরই গত মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। এরপর বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। আওয়ামি লিগ তথা হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে বা যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।  গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি ভারতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। তার পরই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর গত কয়েক দিনে বার বার হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগেও তোলপাড় ভারতের পড়শি দেশ। এই আবহে মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করলেন ইউনূস। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের আর্জি রেখেছেন ইউনূস। একইসঙ্গে মোদিকে আশ্বাস দিয়ে ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে সুরক্ষিত সংখ্যালঘুরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ফক্সকন কর্তার সঙ্গে বৈঠক মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: ফক্সকন কর্তার সঙ্গে বৈঠক মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফক্সকনের (foxconn) সিইও তথা চেয়ারম্যান ইয়াং লিউয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয়া বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতেই লিউয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মোদি-লিউয়ের বৈঠকে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর অগ্রগতি কেন্দ্রিক উৎপাদন এবং স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্মাতা ফক্সকন

    ফক্সকন তাইওয়ানের একটি নামজাদা কোম্পানি। পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রনিক যন্ত্র নির্মাতা ফক্সকন। কোম্পানিটি বিশ্বের একাধিক নামী ব্র্যান্ড যেমন, অ্যাপল, ইনকর্পোরেটেড আইপড এবং আইফোনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরি করে। বুধবার এই কোম্পানিরই সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। অদূর ভবিষ্যতে যে সেক্টরগুলিতে ভারত উজ্জ্বল ভূমিকা নেবে, সেখানে বিনিয়োগের সুবিধার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে ভারতের একাধিক রাজ্যে বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান লিউ।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে ফক্সকনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে দারুণ আলোচনা হয়েছে।” গত বছরই একবার ভারত সফর করে গিয়েছেন লিউ। সেবার তিনি যোগ দিয়েছিলেন গুজরাটে সেমিকন ইন্ডিয়া কনক্লেভে। জুলাই মাসের ওই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও (PM Modi)। সেই সময়ও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল লিউয়ের।

    জানা গিয়েছে, ভারতে ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা করেছে লিউয়ের কোম্পানি। কর্মসংস্থান হবে ৪০ হাজার মানুষের। তামিলনাড়ুতে ফক্সকন ১৬০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, এ রাজ্যে নিউ ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টস ইউনিট খুলবে ফক্সকন। কর্মসংস্থান হতে পারে আরও ৬ হাজার জনের। তেলঙ্গানায় তাইওয়ানের এই কোম্পানি লগ্নি করবে অতিরিক্ত ৩৩০০ কোটি টাকা। ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি তৈরিতেই বিনিয়োগ করা হবে এই পরিমাণ (PM Modi) অর্থ।

    আরও পড়ুন: আরজি করে তাণ্ডব, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু, কী বললেন সুকান্ত?

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপির নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার পরেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র আওয়াজ তোলেন তিনি। এই প্রোগ্রামেই বিদেশি নামী কোম্পানিগুলিকে ভারতে কারখানা গড়ার আহ্বান জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই প্রোগ্রামে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। গত ১০ বছরে ভারতে বেড়েছে বিদেশি কোম্পানির (foxconn) বিনিয়োগ (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share