Tag: PM Modi

PM Modi

  • Jalpaiguri: মোদির সভা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, আশায় বুক বাঁধছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা

    Jalpaiguri: মোদির সভা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, আশায় বুক বাঁধছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) নির্বাচনী জনসভা করতে আসছেন নরেন্দ্রে মোদি। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক কথায় বলা যেতেই পারে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তে নারাজ বিজেপি শিবির। কোচবিহারের পর এবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের ময়নাতলিতে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়নাতলি লাল স্কুল এলাকায় সভাস্থল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে। সব মিলিয়ে মোদির সভাকে ঘিরে এই মুহুর্তে  উন্মাদনা তুঙ্গে জলপাইগুড়ি জুড়ে।

    সভাস্থলে প্রস্তুতি তুঙ্গে (Jalpaiguri)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক পার্শ্ববর্তী ময়নাতলি লাল স্কুল এলাকায় তিনি সভা করবেন। রাস্তার অপর প্রান্তেই তৈরি করা হচ্ছে হেলিপ্যাড। বেলা দুটো নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে উল্টো দিকের কৃষি জমিতে তার সভাস্থলে ঢুকবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে আধা সামরিক বাহিনীর ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াড এর কড়া নজরদারিতে সভামঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। হেলিপ্যাড থেকে শুরু করে সভাস্থল, সভামঞ্চ সবক্ষেত্রেই বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। রীতিমতো ময়নাতলি এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সভা স্থল মুড়ে ফেলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আসনে গতবার জয়ন্ত রায় জয়ী হয়েছিলেন। এবার দল তাঁকে প্রার্থী করেছে। এই আসনটি ফের নিজেদের দখলে রাখতে খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসছেন। আবার ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পর ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণা এবং সেই প্রার্থীকেই লোকসভা আসনে মনোনীত করাকে ছোট করে দেখতে চাইছে না বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর সভা কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল উচ্ছ্বাস। দলের নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়ে থেকে সমস্ত কাজ তদারকি করছেন। সভায় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তারজন্য পর্যাপ্ত জল এবং মেডিক্যাল টিমও থাকবে বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, মোদিজির সভায় কয়েক লক্ষ লোক হবে বলে আমরা আশা করছি। সাধারণ মানুষ দলীয় প্রার্থীকে ফের একবার আশীর্বাদ করবেন। এদিকে বায়ু সেনার হেলিকপ্টার দুদিন মহড়া দিয়ে গেছে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিজেপি ‘নেশন ফার্স্ট’ নীতিতে কাজ করেছে”, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন মোদি

    PM Modi: “বিজেপি ‘নেশন ফার্স্ট’ নীতিতে কাজ করেছে”, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে সব কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেল প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে আমি দেশজুড়ে দলের সমস্ত কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানাই। যারা কঠোর পরিশ্রম, লড়াই ও আত্মত্যাগ করে এত দিন ধরে দলকে গঠন করেছেন, তাঁদেরও স্মরণ করছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, আমরা ভারতের সব চেয়ে পছন্দের দল, যারা সর্বদা ‘নেশন ফার্স্ট’ নীতিতে কাজ করেছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দের যে বিজেপি উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, সুশাসন ও দেশের প্রতি দায়ব্ধতার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছে। আমাদের দল দেশের ১৪০ কোটি জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্খারই প্রতিফলন। দেশের যুব প্রজন্ম আমাদের দলকে তাদের লক্ষ্যপূরণ ও একবিংশ শতাব্দীতে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার দল হিসেবেই দেখে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রেই হোক বা রাজ্যে, আমাদের দল বরাবর সুশাসনকেই প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের প্রকল্প ও নীতিগুলি দেশের গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে শক্তি জুগিয়েছে। যারা দশকের পর দশক ধরে অবদমিত হয়ে এসেছে, তারাও কণ্ঠ খুঁজে পেয়েছে, আশা দেখতে পেয়েছে আমাদের দলের মধ্যে দিয়ে। সকল ভারতীয়ের জীবনযাত্রাকে সহজ করার লক্ষ্যেই আমরা সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজ করেছি। আমাদের দল ভারতকে দুর্নীতি, জাতপাত, সম্প্রদায়িকতা ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করেছে। আজকের ভারত স্বচ্ছ শাসনের ওপরে জোর দেয়, যা গরিবদের কাছে কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই উন্নয়নের ফসল পৌঁছে দিয়েছে।”

    নির্বাচন নিয়ে বার্তা

    দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এদিন সে প্রসঙ্গেও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “এনডিএর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আমরা গর্বিত। জাতীয় স্তরে উন্নয়ন ও আঞ্চলিক আকঙ্খার মেলবন্ধন এনডিএ। এই জোট ভারতের বিভিন্নতাকেই তুলে ধরেছে। আমরা এই অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দিই এবং আগামিদিনে এই জোট আরও শক্তিশালী হবে। ভারত নতুন লোকসভা নির্বাচন করতে প্রস্তুত। সাধারণ মানুষ আমাদের ফের আশীর্বাদ করে ক্ষমতায় আনবেন, এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী। বিগত এক দশকে আমরা যা কাজ করেছি, তার ওপর ভিত্তি করেই নতুন কাজ শুরু করতে পারি। বিজেপি এবং এনডিএ-র সমস্ত কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানাই।”

    BJP national president JP Nadda tweets “On the foundation day of the BJP, I pay my respects to all my senior leaders, who gave the organisation nationwide expansion through their sacrifice, dedication and hard work. On this occasion, heartiest wishes of the foundation day to all… pic.twitter.com/4UqP2yM4UU

    — ANI (@ANI) April 6, 2024

    আরও পড়ুুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানাল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় সভাতে শিশুদের নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জমা দিয়েছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতার শিশির বাজোরিয়া। ঐ চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করার। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে এমন মন্তব্য করা যায় না। রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদের সম্পর্কে গাইড লাইনও যেখানে প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিনি কিভাবে এমন মন্তব্য করেন এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।

    তৃণমূলের সভায় শিশুরা, কমিশনে বিজেপি

    চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, বিজেপির হাতে এমন ভিডিও ফুটেজ আছে যেখানে স্পষ্টই শাসক দলের ব়্যালিতে বহু সংখ্যক শিশুদের দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিশুরা হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে রয়েছে সেই ছবিও ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়টি একেবারে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য (Election Commission) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও হুগলির বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন।

    কোচবিহারের সভা থেকে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কোচবিহারের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘বিনা পয়সায় রেশন দেব বলেছিলাম, আমরা দিই। মনে রাখবেন, ওরা যে সংখ্যাটায় দেয় সব লোককে দেয় না। ওরা ৪০ পারসেন্ট দিলে আমরা ১০০ পারসেন্ট দিই। বাংলার বাড়ি প্রকল্প? নামটা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আর তার ৫০ পারসেন্ট টাকা (Election Commission) আমাদের দিতে হয়। ৪০ পারসেন্ট টাকা আমরা দিই। আর জায়গাটাও আমরা দিই। তাহলে কত হল? ৫০ – ৫০। তাহলে তোমার নাম কেন থাকবে? বলছে রেশন দোকানে রেশন যাবে, তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আর বিজেপির লোগো থাকবে। শালা আমি না খেতে পেয়ে মরে যাব। তবু আমি বলে দিচ্ছি আমি ওর মধ্যে যাব না।’’ পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরি আমি। উইড্র অ্যা ওয়ার্ড। আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress Manifesto 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    Congress Manifesto 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে বিদেশের ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি দাবি করে, রাহুল গান্ধীর প্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ডের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশ বিভাগে। নিউইয়র্কের বাফেলো নদীর ছবিও স্থান পেয়েছে জল সম্পদ বোঝানোর সময়। দেশের কোনও কিছুই দেখানোর মতো পায়নি কংগ্রেস, ব্যঙ্গ বিজেপির।

    কী বলল বিজেপি

    কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর তা সমালোচনা করে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেছেন, “কংগ্রেসের ইস্তাহারে জল ব্যবস্থাপনার একটি ছবি রয়েছে। এই ছবিটি নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো নদীর। এখনও পর্যন্ত কে  তাদের এই ছবি পাঠিয়েছে, তা  কি জানতে পেরেছে কংগ্রেস? পরিবেশ বিভাগের অধীনে, রাহুল গান্ধীর পছন্দের গন্তব্য তাইল্যান্ডের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। কে তাদের ইস্তাহারে এই সব রাখছে?” প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।  

    কংগ্রেসের ইশতেহার

    লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ১৪ দিনের মাথায় শুক্রবার ৫ এপ্রিল দিল্লিতে কংগ্রেসের কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী, কেসি ভেনুগোপাল, পি চিদাম্বরমের উপস্থিতিতে দলের ইস্তাহার ‘ন্যায়পত্র’ প্রকাশ করল দল (Congress Manifesto)। দেশে দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দলের ইস্তাহারে মহালক্ষ্মী প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। ক্ষমতায় এলে দরিদ্র পরিবার গুলোকে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এছাড়া দেশের ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, মহিলাদের আর্থিক সহায়তা সহ আরও একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে। তবে কংগ্রেসের এই প্রতিশ্রুতি যে শুধুই মুখের কথা তা স্পষ্ট করেছে বিজেপি। রাজস্থানের চুরুতে একটি জনসভায় বক্তৃতা করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসের নাম না করে বলেন, “অন্যান্য দলগুলির মতো, বিজেপি শুধু ‘ঘোষনা পত্র’ জারি করে না, আমরা ‘সংকল্পপত্র’ নিয়ে এসেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Katchatheevu Island: শুধু কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, দেশের অখন্ডতাকেও ভেঙেছে কংগ্রেস, অভিযোগ ভিএইচপির

    Katchatheevu Island: শুধু কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, দেশের অখন্ডতাকেও ভেঙেছে কংগ্রেস, অভিযোগ ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচ্ছতিভু দ্বীপ (Katchatheevu Island) নিয়ে বিতর্ক চলছেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ নিয়ে অভিযোগ করেন, ৫০ বছর আগে এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দান করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দ্বীপ ইস্যুতে প্রথমে কংগ্রেস তারপর দক্ষিণ ভারতের দল ডিএমকেকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতিকেই সিলমোহর দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, শুধুমাত্র কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, সমগ্র ভারতবর্ষের অখন্ডতাকেও টুকরো টুকরো করেছে কংগ্রেস।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আবেদন 

    বৃহস্পতিবার, নিজেদের বিবৃতিতে (Katchatheevu Island) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন ব্যাখা করেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশপ্রেমী এবং জাতীয়তাবাদী মানুষেরা সেই সরকারকে নির্বাচিত করবেন কেন্দ্রে, যারা অসংসদীয়ভাবে অন্য রাষ্ট্রকে দান করা দ্বীপ উদ্ধার করতে পারবে। তার পাশাপাশি,  ভারতবর্ষের যে সমস্ত ভূখণ্ড, জলসীমা এবং আকাশ সীমা আগ্রাসনকারীদের দখলে রয়েছে, সেগুলিকেও উদ্ধার করার ক্ষমতা যাদের রয়েছে। তাদেরই নির্বাচিত করবেন দেশের মানুষ। নিজেদের একটি বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও জানিয়েছে, ঐতিহাসিকগতভাবে কচ্ছতিভু দ্বীপ সর্বদাই অখন্ড ভারতের অংশ। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অসংসদীয়। যা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে। ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থার প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত।

    বেরুবারি মামলার রায় মানেনি ইন্দিরা সরকার 

    ৫০ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের (Katchatheevu Island) নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন ইন্দিরা গান্ধী সরকার কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এই কচ্ছতিভু দ্বীপকে শ্রীলঙ্কাকে প্রদান করে। এটি অসংসদীয়। কারণ ১৯৬০ সালের বেরুবারি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যদি অন্য কোনও দেশকে ভারতের কোন ভূখণ্ড দিতেই হয়, তাহলে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের সংসদ এবং ভারতের সংসদের সম্মতি প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, এই সম্মতি হতে হবে সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী মানুষদের মতামতের ওপরে ভিত্তি করেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ, এর কোনওটাই মানেনি ইন্দিরা গান্ধীর সরকার।

    পাকিস্তান ও চিন দখল করেছে ভারতের ভূখণ্ড

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Katchatheevu Island) আরও অভিযোগ, কংগ্রেস জমানায় কাশ্মীরের ৪২ হাজার ৭৩৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা চিন দখল করেছে। ৩৪,৬৩৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা পাকিস্তান দখল করেছে বলেও অভিযোগ আনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই দখল স্বাধীনতার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পন্ন করেছে তারা। কংগ্রেস নেতৃত্বকে তারা প্রশ্নও ছুড়েছে, কেন দেশের প্রতি এত অবহেলা তাদের!

    কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে মোদির ট্যুইট

    সম্প্রতি কচ্ছতিভু দ্বীপ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘‘কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে আরটিআই রিপোর্ট খুবই চমকপ্রদ। এই রিপোর্ট আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। এখান থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেস কেমন নিষ্ঠুর ভাবে ওই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “১০ বছরে যা হয়েছে, এটা তো ট্রেলার, আমাকে অনেক কাজ করতে হবে”, বললেন মোদি

    Narendra Modi: “১০ বছরে যা হয়েছে, এটা তো ট্রেলার, আমাকে অনেক কাজ করতে হবে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন বিকশিত ভারত তৈরির সময়। ভারত বিকশিত হলে বাংলারও লাভ। বাংলার ভাইবোনেদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে। এটা দেশের নির্বাচন। দিল্লিতে মজবুত সরকার জরুরি। মোদি মজবুত সরকার দেয় কিনা? সেটা আপনারাই বলুন। দেশের সরকার বানাতে হবে। কাজ করার মতো সরকার বানাতে হবে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন।

    আপনাদের স্বপ্নই মোদির সংকল্প (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, স্বাধীনতার পর ৬-৭ দশক পর্যন্ত জনগণ কেন্দ্রে কেবল কংগ্রেসের মডেল দেখেছে, এবার গত দশ বছরে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিজেপি সরকারের মডেল দেখেছে। আজ দুনিয়া বলে, মোদি মজবুত নেতা। আজ মানুষ বলে, মোদি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো নেতা। আমি হাত জোড় করে বলছি, মোদি ভারতে জনতার সামান্য সেবক। মোদি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কারণ তাঁর ওপর ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আছে। আপনাদের স্বপ্নই মোদির সংকল্প, মোদির গ্যারান্টি। আজ গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল হচ্ছে। ঘরে ঘরে ফোন পৌঁছে গিয়েছে। এত আধুনিক নেটওয়ার্ক দুনিয়ার অনেক বিকশিত দেশেও নেই। এসসি-এসটি ও গ্রামের মহিলাদের জীবনে সুযোগ এসেছে। গরিবি হঠাও সংকল্প নিয়েছে সরকার। দেশকে গরিবিয়ানা থেকে বার করে মোদি দেখিয়ে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ আমাদের ভাগ্য, সততা সঙ্গে রয়েছে। তাই আমি বলি, উদ্দেশ্য সঠিক, তাহলে পরিণামও সঠিক। মোদি আপনাদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে।

    ১০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এটা তো ট্রেলার

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, মোদির লক্ষ্য সঠিক, তাই এত বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে আর্টিকল ৩৭০ থেকে মুক্তি মিলেছে, নারীরা তিন তালাক প্রথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ৫০০ সাল পরে অযোধ্যাতে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তাই দেশ বলে, যেখানে অন্যের থেকে চাহিদা শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়। বাংলার কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন, পাকা ঘর পেয়েছেন, বাংলার কোটি মানুষ শৌচাগার, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সব মিলেছে, কারণ মোদির গ্যারান্টি ছিল। চাষিদের জন্য পিএম কৃষাণ সম্মান নিধিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা সোজাসুজি দিই। ১০ সালে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার লিস্ট অনেক লম্বা। বাংলার সব এলাকায় হয়েছে। তবে এটা মনে রাখবেন ১০ বছরে যে বিকাশ হয়েছে, এটা তো ট্রেলর। এখন তো আমাকে অনেক অনেক কাজ করতে হবে। দেশকে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাকে অনেক আগে নিয়ে যেতে হবে। মোদী গ্যারান্টি দিয়েছে, ৩ কোটি ‘বোন’কে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর। নমো ড্রোন দিদি যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের ড্রোন দিচ্ছি। ড্রোন পাইলট বানাচ্ছি। যাতে চাষের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। বাংলার মেয়েদের আত্মনির্ভর বানাতে হবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বহু সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার বিকাশের জন্য নিরন্তর কাজ করেছে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের জোট কেবল রাজনীতি করতেই ব্যস্ত

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করা, যাতায়াত সুবিধা যাতে হয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসের জোট কেবল রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। ওরা মতুয়াদের কখনও পরোয়া করেনি। বিজেপি সরকার সিএএ এনেছে, তাহলে ওরা ভুল রটাচ্ছে। সব পরিবারকে নাগরিকতা দেওয়া মোদির গ্যারান্টি। বাংলার সব পরিবারকে বলছি, এই তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস ভয় দেখাবে। লোকতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে ভুল কথা বলবে। কিন্তু দশ বছর ধরে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন, এখন আমার গ্যারান্টির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এখানে তো তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সবাই লড়াই করছে। কিন্তু দিল্লিতে তো ওরা এক থালাতেই খায়। এক সঙ্গে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    Narendra Modi: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।” কোচবিহারের মঞ্চ থেকে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এই প্রথম বাংলায় মোদি। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। সভায় তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন তৃণমূল সরকার কীভাবে সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পুরো শক্তি লাগিয়ে দিল! সেখানে মহিলাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে। এখন বিজেপি সংকল্প নিয়েছে, সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দিয়েই ছাড়বে। সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।

    আরও পড়ুন: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না রাজ্যে

    গরিবদের লুটেরাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছে মোদি। দেশ যাতে ভ্রষ্টাচারমুক্ত হয়, দেশ যাতে আতঙ্কবাদ মুক্ত হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারাই বলুন যারা আপনাকে লুটেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত কিনা? দিনরাত মোদিকে গালি দেয়। তোলাবাজি, খুন খারাবির রাজনীতি এভাবে চলছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুর্নীতিতে যুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ হবে। এটা তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময়। বাংলার জনতার জন্য যে যোজনা আনি, বাংলার সরকার এখানে সেটা হতেই দেয় না। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পকে আটকেছে। তৃণমূল সরকার করতেই দিচ্ছে না। যদি এখানে এই প্রকল্প হত, তাহলে অন্য রাজ্যেও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা হত। সব জেলাতে একটা করে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায় বিজেপি। তৃণমূল সেটা করতে দিচ্ছে না। বাংলাকে রেকর্ড পয়সা দেওয়ার পরও দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না। রেশন দুর্নীতিতে, শিক্ষা দুর্নীতি যারা জড়িত, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের মন্ত্রীদের থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    কৃতজ্ঞতা জানালেন মোদি

    কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, দেখে মনে হচ্ছিল, যেন কোনও রোড শো হচ্ছে। আপনাদের এই ভালোবাসা আমার মাথায় রয়েছে। আমি সবার প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছি। ২০১৯ সালে যখন আমি এই ময়দানেই এসেছিলাম, তখন এখানে মাঝখানে একটা বড় মঞ্চ বানিয়ে ময়দানের জায়গা ছোট করে দিয়েছিলেন তিনি। যাতে মোদির কথা কেউ শুনতে না পারে। সেদিন আমি মমতাদিদিকে বলেছিলাম, দিদি আপনি এটা করে ভুল করলেন, মানুষ জবাব দেবে, সেটাই হয়েছে। কিন্তু, আজ মমতাদিদি সেরকম কিছুই করেননি। ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। আপনাদের সকলের মুখ আজ আমি দেখতে পারছি। বাংলার জনগণের মুখ দেখার জন্য কোনও বাধা না দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    PM Modi: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন হবে আর ঠিক ১৪ দিন পরে। এই দফায় দেশের একাধিক কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হবে বাংলার তিন আসনেও। উত্তরবঙ্গের এই তিন আসনেই যখন তুঙ্গে নির্বাচনী প্রচার, মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময় বাংলার বুথ সভাপতিদের কাছে বার্তা এল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)।

    ‘মহিলা-তরুণদের কাছে যান’ (PM Modi)

    বলা হল, আরও বেশি করে মহিলা এবং তরুণ ভোটারদের কাছে যাও। আজ, লক্ষ্মীবারেই প্রধানমন্ত্রী আসবেন কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে, বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে জনসভা করতে। তার আগের দিনই ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী মিলিত হন বাংলার বুথ সভাপতিদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, “কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে তৃণমূল সরকার বঞ্চিত করছে, তা প্রতিটি বুথের যুব সম্প্রদায় ও মহিলাদের বোঝান। এ জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরুন বুথ সভাপতিরা।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভোটারদের এই বলে ভরসা দিতে হবে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, কোনওভাবেই তা থেকে পিছপা হব না। এর পাশাপাশি আপনাদের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে যে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের যে সব শরিক পশ্চিমবঙ্গে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করার দাবি করছে, তারা আসলে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হয়েছে। আর তাদের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হল, পরিবারবাদের রাজনীতি ও দুর্নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।” বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট দল গঠনের পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি দলে অন্তত একজন বা দু’জন মহিলা কর্মী রাখার নির্দেশও দেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ বাংলা, বিজেপির পালে ঝড় তুলতে বাংলার আসরে মোদি-শাহ

    বলেন, “প্রতিটি দলের ওপর দায়িত্ব থাকবে ১০-১৫টি নির্দিষ্ট পরিবারের সঙ্গে জনসংযোগের। এই পরিবারগুলির সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগে থাকতে হবে বুথস্তরের ওই ছোট ছোট টিমগুলিকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই পরিবারগুলির ভোট পাকা করতে হবে আমাদের। যে দল পোলিং বুথ জিতবে, সেই দলই লোকসভায় জিতবে, সেই দলই দেশের ভোট জিতবে।” তিনি বলেন, “বাংলায় প্রতিটি নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের যেনতেন প্রকারে আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। গোটা দেশ তা দেখেছে। এখানে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন বিজেপি কর্মীরা (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: পাখির চোখ বাংলা, বিজেপির পালে ঝড় তুলতে বাংলার আসরে মোদি-শাহ

    Lok Sabha Election 2024: পাখির চোখ বাংলা, বিজেপির পালে ঝড় তুলতে বাংলার আসরে মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। বাংলার ৪২টি আসনের সবক’টিতেই জিততে হবে বলে বঙ্গ বিজেপিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে যে তিনিও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই বাংলায় তিনটি জনসভা সেরে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-শাহের জনসভা (Lok Sabha Election 2024)

    বৃহস্পতিবার সভা করবেন কোচবিহারে, বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রে। বিজেপি সূত্রে খবর, এ রাজ্যে অন্তত ১৫টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে কেবল উত্তরবঙ্গেই তিনি সভা করতে পারেন ৬টি। রাজ্যে আসছেন (Lok Sabha Election 2024) মোদির ‘সেনাপতি’ অমিত শাহও। তিনিও প্রায় ১৫টি সভা করবেন বাংলায়। এ রাজ্যে প্রচারে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। এঁরা প্রত্যেকেই বাংলায় সভা করবেন পাঁচ থেকে সাতটি করে। রোড-শো করবেন রাজনাথ সিংহ, স্মৃতি ইরানি এবং মানিক সাহার মতো বিজেপির তারকা প্রচারকরা।

    শহিদ মিনারেও জনসভা

    কলকাতার শহিদ মিনারেও একটি জনসভার আয়োজন করা হবে বিজেপির তরফে। সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন, তা জানা যায়নি। যেমন যানা যায়নি, ঠিক কবে হবে শহিদ মিনারের জনসভা।বাংলার লোকসভার আসন ৪২টি। গত ডিসেম্বরে বঙ্গ সফরে এসে শাহ বলেছেন, অন্তত ৩৫টি আসন পেতে হবে বঙ্গ বিজেপিকে। মাসখানেক আগে বাংলার নির্বাচনী প্রচারে এসে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের সবক’টিতেই বিজেপিকে জেতাতে হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপির বাংলার পদ্ম নেতারা।

    আরও পড়ুুন: বঙ্গে রামের দলের নয়া মুখপাত্র রাধিকা, চেনেন তাঁকে?

    ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির আসন বাড়ছে বলেই আশাবাদী গেরুয়া শিবির। ঠিক দু’বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পালাবদল হবে ছাব্বিশেই। তাই আপাতত বাংলাই পাখির চোখ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই কারণেই ঘন ঘন বাংলা সফরে এসে বিজেপির পালে জোরালো হাওয়া তুলতে চাইছেন গেরুয়া পার্টির ভোট ম্যানেজাররা (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোট-প্রচারে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মোদি, সভা করবেন কোচবিহারে

    Lok Sabha Elections 2024: ভোট-প্রচারে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মোদি, সভা করবেন কোচবিহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে ফের বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার তিনি সভা করবেন কোচবিহারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্রে। সভা হবে কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানে। এদিন প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন হাসিমারা এয়ারবেসে। সেখান থেকে কোচবিহারে গিয়ে সভা করবেন নিশীথের সমর্থনে।

    ৯ দিনে রাজ্যে চারটি সভা (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে এনিয়ে ৯ দিনে রাজ্যে চারটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাসমেলা ময়দানে জোরকদমে চলছে সভার মঞ্চ বাঁধার কাজ। দুটি মঞ্চ করা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি থেকে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মূল মঞ্চের প্রথম সারিতে ছ’জন মহিলা নেত্রীকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে। বিজেপি সূত্রে খবর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে তিনজন করে মহিলা নেত্রী থাকবেন মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীরা থাকবেন। দুই জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বও থাকবেন। তাঁদের পাশেই থাকবেন ছ’জন মহিলা নেত্রী।

    পাঁচ বছর পরে একই জায়গায় সভা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাঁচ বছর পর ফের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ৪ এপ্রিল সেখানেই সভা করবেন তিনি। তারই প্রস্তুতি তুঙ্গে (Lok Sabha Elections 2024)। প্রশাসনিক কর্তারা বারবার পরীক্ষা করছেন মঞ্চ ও তার আশপাশের এলাকা। বিজেপির একাধিক নেতাও আসছেন ময়দানে পরিদর্শনে। এদিন রাসমেলা ময়দান পরিদর্শন করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, “হঠাৎ করে প্রোগ্রাম হলেও জোরকদমে কাজ চলছে। গ্রামে দিন রাত মাইকিং হচ্ছে। আশা করছি, কাল (বৃহস্পতিবার) বেলা বারোটার মধ্যেই মাঠ ভর্তি হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এত লোক আসবেন যে কোচবিহার স্তব্ধ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: অভিজিৎ, অর্জুন-সহ চার বিজেপি নেতাকে বিশেষ নিরাপত্তা কেন্দ্রের, কেন জানেন?

    বিজেপি সূত্রে খবর, সভায় এক লাখ দশ হাজার মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্ম-পার্টি। কোচবিহারের নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, শীতলকুচি বিধানসভার রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। এই বিধানসভা এলাকাগুলির প্রতিটি থেকে ২০ হাজার করে কর্মী-সমর্থক নিয়ে আসা হবে। বিজেপির দখলে থাকা কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ থেকেও পনেরো হাজার করে কর্মী-সমর্থক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দিনহাটা ও সিতাই থেকেও কুড়ি হাজার করে লোক নিয়ে আসা হবে। আলিপুরদুয়ার থেকে আনা হবে চল্লিশ হাজার কর্মী-সমর্থক (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share