Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: কার্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মালব্য

    PM Modi: কার্টুনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মালব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লাথি মেরে মই থেকে ফেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলকে কার্টুন ইস্যুতে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মতে, এ ধরনের কার্টুন সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণনাশের হুমকি। এর পাশাপাশি অমিত মালব্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে আর্জিও জানিয়েছেন, নিজের এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে। এনিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাথি মারতে পারে!

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘কোনও শব্দই খুঁজে পাচ্ছিনা, এই ধরনের কার্টুনের নিন্দা করার জন্য। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সমেত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলা বিজেপির নেতাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’’

    তৃণমূলের পতন হচ্ছেই!

    প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতি, সন্ত্রাস প্রভৃতি ইস্যুতে লোকসভা ভোটের আগে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে তাদের লোকসভা ভোটে ভরাডুবির খবর। ইতিমধ্যে একদা তাদের রাজনৈতিক রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরও তৃণমূলের পতনের পূর্বাভাস দিয়েছেন নিজের এক সাক্ষাৎকারে। এমতাবস্থায়, যত ভোট এগিয়ে আসছে তত বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য ভেসে আসছে তৃণমূল নেতাদের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবারের ভোটে আর গুন্ডামি করতে দেব না’’, রেখার সভায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবারের ভোটে আর গুন্ডামি করতে দেব না’’, রেখার সভায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীনভাবে এবারের লোকসভা ভোটে সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী ব্যবহৃত হবে বাংলায়। বাহিনী সংখ্যায় বাংলার পিছনে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরও। বাংলায় ৯২০ কোম্পানি ফোর্স পাঠানোর কথা জানিয়েছে কমিশন। এই আবহে  শুক্রবারই বসিরহাটের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘এবারের ভোটে আর গুন্ডামি করতে দেব না। সব বুথে ৬ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। লাগলে আরও বাহিনী আসবে।’’

    রেখার সমর্থনে শুভেন্দুর পদযাত্রা

    জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এসেছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় বাহিনী আসে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ। ১ এপ্রিল আরও ২৭ কোম্পানি রাজ্যে আসার কথা। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় রাজ্যের ৩ আসনে ভোট রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে সবমিলিয়ে ২২৫ থেকে ২৫০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির প্রার্থী করেছে সন্দেশখালির আন্দোলনের প্রতিবাদী ‘মুখ’ রেখা পাত্রকে। শুক্রবারই রেখাকে সঙ্গে নিয়ে বসিরহাটের মৈত্রবাগান থেকে বোটঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা এবং পথসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রায় ৪ কিমি রাস্তা জুড়ে হয় শুভেন্দুর পদযাত্রা।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবাধ ভোটের ব্যবস্থা আমরা করে দেব। চোরের দলকে হারাতেই হবে। রেখাকে আমরা দিল্লি পাঠাবই।’’ কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা পাত্র। এদিনের রোড শো শেষে বক্তব্যে তিনি (রেখা) বলেন, ‘‘কীভাবে বক্তৃতা করতে হয় আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, জিতলে আপনাদের কথা দিল্লিতে তুলে ধরব।’’ শাহজাহানকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনি বলেছিলেন, সন্দেশখালিতে ঢুকলে আমার ছাল চামড়া গুটিয়ে দেবেন, আপনি জেলে আর আমি বাইরে। এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, ওর বাকি শাগরেদগুলোকেও ভেতরে ভরব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi-Bill Gates: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে’’, বললেন বিল গেটস

    PM Modi-Bill Gates: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে’’, বললেন বিল গেটস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’’ শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে এমনই মন্তব্য করলেন বিল গেটস (PM Modi-Bill Gates)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বিল গেটসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনায় উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন বিষয়ও।

    ডিজিটাল সরকার

    ডিজিটাল বিপ্লব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা আমাদের দেশের ডিজিটাল বিপ্লব সম্পর্কে তাদের কৌতূহল প্রকাশ করেছিলেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমরা প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করেছি। প্রযুক্তিকে জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য চালনা করেছি।” একথা শুনে মোদি সরকারকে এদিন “ডিজিটাল সরকার” আখ্যা দেন বিল গেটস (PM Modi-Bill Gates)।

    মোদি-গেটস কথোপথন

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নয়া দিল্লিতে জি২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন বসেছিল। সেই সম্মেলনও উঠে আসে দুই ক্ষেত্রের দুই নেতার আলোচনায়।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি: “জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আমাদের বহু আলোচনা হয়েছিল। আপনি হয়তো দেখেছেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে, জি২০ কার্যক্রমগুলি এদিক-ওদিক, এদিক-ওদিক করছিল। আমরা এখন জি২০-র মূল উদ্দেশ্যগুলিকে মূলধারায় নিয়ে এসেছি। আশা করি আপনার নিজের অভিজ্ঞতাও একই কথা বলে।” 

    বিল গেটস: “জি২০ অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ভারতকে এই সম্মেলনের আয়োজনের সময় ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো অনেক নতুন বিষয় তুলে এনেছে। কীভাবে উত্তরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার বদলে দক্ষিণে-দক্ষিণে সহযোগিতা অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে। আপনি ভারতে অতীতে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান এতটাই উত্তেজিত যে, আমরা এই সাফল্য অন্য অনেক দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় অংশীদার হতে চাই।”

    নমো ড্রোন দিদি

    বিল গেটসকে (PM Modi-Bill Gates) এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্পের বিষয়েও বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভাজনের কথা যখন শুনতাম, তখনই আমি ঠিক করেছিলাম, আমার দেশে এমন কিছু ঘটতে দেব না। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। ভারত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। আমি ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছি। অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে চলছে এই প্রকল্প। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যে তারা সাইকেলও চড়তে জানত না। কিন্তু এখন তারা প্রত্যেকে পাইলট এবং ড্রোন ওড়াতে পারে। মানসিকতাই বদলে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    PM Modi: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা আইনজীবীদের চিঠির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিচার ব্য়বস্থার পবিত্রতা নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লেখেন দেশের ৬০০ জন আইনজীবী। এর জবাব দিতে গিয়েই কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ মোদি লিখলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ সবাইকে নিজেদের মতো করে ভাবে কংগ্রেস দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয় দেখিয়ে কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা কংগ্রেসের সংস্কৃতি। পাঁচ দশক আগে, ওরাই একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ডাক দিয়েছিল। লজ্জাহীন ভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাকিদের সবটুকু চায় ওরা। কিন্তু দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে নারাজ। ১৪০ কোটি ভারতীয় যে ওদের প্রত্যাখ্যান করছে, এতে আশ্চর্য কিছু নেই।’ 

    আইনজীবীদের চিঠি

    মোদির (PM Modi) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কিছুক্ষণ আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দেন দেশের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০০ জন আইনজীবী। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে আইনজীবী হরিশ সালভে এবং সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্ররও। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আদালতের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত মামলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, সেই সব মামলাতেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: নাইট শিবিরে বদলি, চিন্নাস্বামীতে আজ কলকাতার সামনে বেঙ্গালুরু

    কিরেণ রিজিজুর উত্তর

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অরুণাচল ওয়েস্টের প্রার্থী, কিরেণ রিজিজু এই নিয়ে গত কালই সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কংগ্রেসই ভারতীয় সংবিধানকে শিকেয় তুলে একেবারে নিবেদিত বিচারব্যবস্থার ভাবনা এনেছিল। কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা চায়, আদালত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন শুধু তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। না হলেই তারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকেই আক্রমণ করতে শুরু করে দেয়।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। তবে, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরও প্রচার শুরু না করায় অনেকে রেখাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার থেকে তিনি শুরু করেন প্রচার। রেখাকে নিয়ে সন্দেশখালি জু়ড়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। তাঁকে এক পলখ দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, আবেগের কাছে হার মানতে হয় রেখাকে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করা হাসপাতালে।

    বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানলেন রেখা! (Sandeshkhali)

    বিজেপি প্রার্থী নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রার্থী  হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। আর প্রচার শুরুর পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।   বুধবার বিকেলেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। বুধবার রেখা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পা রাখতেই ভিড় উপচে পড়ে। কারও বাড়ির মেয়ে, কারও দিদির মতো করে তিনি কথা বলেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে সকাল থেকে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা পাত্র। তাঁর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। কল্যাণী এইমসে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর সবরকমের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হয়, স্যালাইনও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    চিকিৎসকরা কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসকরা বলেন, রেখার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার কবে ফের প্রচারে নামবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করায় তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    RSS: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাথর ছোড়া, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ, সেসব এখন অতীত। কাশ্মীরে ভারতীয়ত্ববোধ জাগরণের জন্য অনবরত কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার (RSS)। আরএসএস-এর শাখা সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতী’র উদ্যোগে চলে ‘একল বিদ্যালয়’গুলির কাজ। কাশ্মীরের মুসলিম শিশুদের পড়ানো হচ্ছে কোরানের আয়াত, তাদের শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম। এছাড়া, ভারতীয় হিসেবে তাদের কর্তব্যও বোঝানো হচ্ছে। পাঠদান চলছে ভারতীয়ত্ববোধের এবং কাশ্মীরিয়ত-র। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সূত্রে জানা গিয়েছে, এরকম একল বিদ্যালয় ১,২৫০টি চলছে উপত্যকায়। এই স্কুলগুলি সেই সমস্ত জায়গাতেই অবস্থান করছে যেখানে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস রয়েছে।

    ২ বছরে স্কুল বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

    জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের দশটি জেলাতে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ। যার মধ্যে কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলাতেই এমন স্কুলের সংখ্যা ১৮০টি। প্রসঙ্গত, এই জেলায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে একল বিদ্যালয়ের কাজ হঠাৎই ৫৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। গত দু’বছরে একল বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০০ থেকে ১,২৫০ হয়েছে।

    কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে

    স্কুলগুলি গড়ে উঠেছে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। তাদেরকে দেখাশোনা করে মুসলিম শিক্ষকরা। একজন করে অভিযান প্রমুখও রয়েছে স্কুলগুলিতে। যে সমস্ত গ্রামে ‘একল বিদ্যালয়’ রয়েছে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির মধ্যে বেশ কিছু জায়গাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে।

    কী বলছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা?

    কাশ্মীরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা চাই না, আমাদের ছেলেরা পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখাক অথবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যুক্ত হোক। আমরা এটাও চাই না, আমাদের ছেলেরা মাদকাসক্ত হোক।’’ বিগত পাঁচ বছরে বারমুল্লা জেলাতে একজন একল বিদ্যালয়ের (RSS) ছাত্রও স্কুল ছেড়ে যায়নি অথবা টাকার জন্য পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখায়নি। এমন কথাই জানাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা আরও বলছেন, ‘‘একল বিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে, তারা প্রত্যেকেই গর্বিত হিন্দুস্তানি-মুসলমান। আমরা তাদেরকে কোরান পড়াই।’’

    পরিবর্তন হচ্ছে কাশ্মীরের সমাজের

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিকশিত ভারত-বিকশিত জম্মু কাশ্মীর’ অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এই ভিড়ই জানান দিচ্ছে যে কাশ্মীরের সমাজ কত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, এ কথা বলেন একল বিদ্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক। একল বিদ্যালয়ে চার ধরনের প্রমুখ বানানো হয়েছে। ‘অঞ্চল অভিযান প্রমুখ’, ‘পরীক্ষণ প্রমুখ’, ‘মূল্যায়ণ প্রমুখ’ ও ‘জাগরণ প্রমুখ’। আরও চমকপ্রদ তথ্য হল, একল বিদ্যালয়ে যাঁরা পাঠদান করেন তাঁদের ৭০ শতাংশই হলেন মহিলা। জানা গিয়েছে, একল বিদ্যালয়ের কাজ চালানোর জন্য দেশের ভিতরের বিভিন্ন বিশিষ্টজন এখনও পর্যন্ত ১২৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হল ৪৪ কোটি টাকা। কাশ্মীরে মোট ৪৮০টি গ্রামে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    Mumbai: বেজিং-কে টপকে শীর্ষে মুম্বই, এশিয়ায় কোটিপতিদের রাজধানী ভারতের বাণিজ্য নগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিং (Beijing)-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর (Asia’s billionaire capital) শিরোপা ছিনিয়ে নিল মুম্বই (Mumbai)। সেই সঙ্গে ঢুকে পড়ল আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের প্রথম তিনটি শহরের তালিকাতেও। সম্প্রতি হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ (Hurun Global Rich List 2024) প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে শতকোটি ডলার সম্পদের মালিকের সংখ্যায় বেজিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মুম্বই।

    এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    কেন্দ্রে মোদি (PM Modi) সরকারের হাত ধরে ভারতের অর্থনীতি যে এগোচ্ছে এই তালিকা তার প্রমাণ। হুরান গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪ অনুযায়ী, রেকর্ড গতিতে উত্থান হয়েছে ভারতের কোটিপতিদের। গতবছরের তুলনায় এই বছর প্রায় ১০০ জন বিলিওনিয়ার বেরিয়েছে দেশ থেকে। আর বেজিং-কে টপকে এশিয়ায় বিলিওনিয়ারদের রাজধানীর তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বই (Mumbai)। বর্তমানে চিনের রাজধানী বেজিংয়ে যখন ৯১ জন বিলিওনিয়ার রয়েছেন তখন ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে বসবাস করছেন ৯২ জন।

    আর্থিকভাবে এগিয়ে মুম্বই

    বিশ্বে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা শহরগুলির মধ্যে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে মুম্বই (Mumbai)। বিশ্বে সবথেকে বেশি বিলিওনিয়ারের বাস নিউ ইয়র্কে। ১১৯ জন কোটিপতির ঠিকানা হল এই শহর। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে লন্ডন (৯৭)। এর পরের স্থানে আছে মুম্বই। এই সাফল্যের সৌজন্যে চিন ও আমেরিকার পর ভারত বিলিওনিয়ারদের তৃতীয়তম স্থানে থাকা দেশ। ভারতের ধনকুবেরদের মধ্যে শীর্ষে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। যাঁর মোট সম্পদের মূল্য ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ-সহ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। মাত্র এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: সপ্তাহের শেষেই তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চড়ছে পারদ

    দিল্লির রেকর্ড

     নয়াদিল্লিও ইতিহাসে প্রথমবারের মতন ঢুকে পড়েছে আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা বিশ্বের টপ ১০টি শহরের মধ্যে। সেখানে প্লাম বিচ, ইস্তানবুল, মেক্সিকো সিটি এবং মেলবোর্ন স্থান পেয়েছে প্রথম ৩০টি শহরের মধ্যে। গত বছরের তুলনায় মুম্বইয়ের সম্পদ যেখানে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে বেজিং-এর কমেছে ২৭ শতাংশ। এই বছর চিনে যেখানে ৫৫ জন নতুন বিলিওনিয়ার উঠে এসেছেন সেখানে ভারত সাক্ষী থেকেছে নতুন ৯৪ জন বিলিনিয়ারের উত্থানের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ভূস্বর্গে আফস্পা প্রত্যাহারের ভাবনা, বিধানসভা ভোটই বা কবে? কী বললেন শাহ?

    Amit Shah: ভূস্বর্গে আফস্পা প্রত্যাহারের ভাবনা, বিধানসভা ভোটই বা কবে? কী বললেন শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনই হল আফস্পা। ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতেই বলবৎ করা হয়েছিল এই আইন। এই আইন বলে এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি, গ্রেফতার ও প্রয়োজনে গুলি চালাতে পারে সেনা। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতেই উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা রদ করেছিল মোদি সরকার। তার পর থেকেই ভূস্বর্গের একাধিক সংগঠন আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছিল।

    আফস্পা তুলে নেওয়ার ভাবনা (Amit Shah)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের ওপর ভরসা ছিল না। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন এই পুলিশ বাহিনীই অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফলে এখন সেখান থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করতেই পারি।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “উত্তর-পূর্বের অন্তত ৭০ শতাংশ জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই আফস্পা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও জম্মু-কাশ্মীরে তা এখনও লাগু রয়েছে।”

    বিধানসভা নির্বাচন কবে?

    আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন হবে বলেও জানান শাহ। বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গণতন্ত্র শুধুমাত্র তিনটি পরিবারের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না, এটা জনগণের গণতন্ত্র হবে। যদি কেউ কাশ্মীরকে রক্ষা করতে পারেন, তবে সেটা একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই।” তিনি বলেন, “আবদুল্লা ও মেহবুবার (ভূস্বর্গের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) সময় একাধিক ভুয়ো এনকাউন্টার হত। অথচ গত পাঁচ বছরে উপত্যকায় একটিও ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি। উল্টে যাঁরা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আমরা কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করব। কোনও সংগঠন, যাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজশ রয়েছে, তাদের গুরুত্ব দিতে আগ্রহী নই। কারণ ৪০ হাজার যুবকের মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মুসলমানেরাও আমাদের ভাই। তাঁরাও ভারতীয়। যেসব মুসলমান ও হিন্দু ভাইয়েরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকেন, তাঁরাও ভারতীয়। পাকিস্তান ওই এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। প্রত্যেক কাশ্মীরির জেদ, ওই এলাকাকে ফিরিয়ে আনা।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছি আমরা। আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সফল করতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে সরব হয়েছিলেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সেই প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। শুরু হয়েছে এলাকায় দেওয়াল লিখনও। কর্মীরাও প্রচার শুরু করেছেন। এমনিতেই তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির কিছু মানুষ বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তাঁরা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই আবহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হওয়ার পর অনেকটাই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন তিনি। তবে, তিনি অন্যান্য প্রার্থীদের মতো করে প্রচার শুরু করেননি।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা (Sandeshkhali)

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হওয়ার পর রেখা বলেন, ১৫ মিনিট কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি মা-বোনদের পাশে আছেন। জিজ্ঞেস করেছেন, বোন তুমি পারবে তো জয়ী হতে? উত্তরে আমি বলেছি, মা-বোনেরা আমার সঙ্গে আছে। আমি নির্ভয়ে এগিয়ে যাব। রেখা আরও বলেন, বসিরহাটের মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে না আমাকে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে ভোট দিতে আমাকে দ্বিধাবোধ করবেন না মানুষ, কারণ তাঁরাও চান অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে। আমাকে কেউ অবহেলা করবেন না। অত্যাচারিত মা বোনেদের সুরক্ষার জন্যই যে আমার লড়াই। তবে প্রচার কবে থেকে শুরু হবে, সে ব্যাপারে এখনও দলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে, তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে অনেক আগেই আমি লড়াই শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের মানুষ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদ দেখেছেন। ভোট প্রচারে সেই লড়াই তুলে ধরব।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ওয়াই ক্যাটেগরি পাচ্ছেন রেখা!

    শেখ শাহজাহান শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। সেই সময় আন্দোলনের মুখ ছিলেন রেখা পাত্র। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। একের পর শাহজাহান বাহিনী জেলবন্দি হয়েছেন তাঁর প্রতিবাদের পরই। তাই, সুরক্ষার প্রয়োজনে তাঁর ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swami Smaranananda: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Swami Smaranananda: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smaranananda) মহারাজ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী স্মরণানন্দের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ (Swami Smaranananda) আধ্যাত্মিকতা এবং জীবসেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় ও মননে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি ও প্রজ্ঞা বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।” মোদি আরও লিখেছেন, “কয়েক বছর ধরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুব নিবিড় হয়েছিল। ২০২০ সালে বেলুড় মঠ সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিয়েছিলাম। বেলুড় মঠের অসংখ্য ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা।”

    চলতি মাসেই স্বামী স্মরণানন্দকে (Swami Smaranananda) দেখতে, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রায় ১০ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নেন তাঁর চিকিৎসা ও শারীরিক বিষয় নিয়ে। কথা বলেন মঠের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে। কোনও প্রয়োজন হলে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারী তৃণমূলকে মানবে না তমলুক’, বললেন অভিজিৎ

    স্বামী স্মরণানন্দের কর্মজীবন

    উল্লেখ্য,  স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। ১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ (Swami Smaranananda)। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৪৯-এ মুম্বই পাড়ি দেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে, ২২ বছর বয়সে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন তিনি। ১৯৫৮-তে ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর কলকাতা শাখায় আসেন। প্রায় ১৫ বছর ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ’-এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩-তে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share