Tag: PM Modi

PM Modi

  • BJP: ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্মেলন, হাজির থাকবেন মোদি

    BJP: ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্মেলন, হাজির থাকবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১৭ ও ১৮ তারিখ দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) রাষ্ট্রীয় অধিবেশন রয়েছে। অধিবেশন ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুমুল ব্যস্ততা চলছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে লেগে রয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। সূত্রের খবর, মোদি সরকারের একাধিক জনমুখী কর্মসূচিকে নিয়েই প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। জনমুখী কর্মসূচিগুলি রয়েছে থিমের আকারে। মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ১২টি অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মসূচিকে তুলে ধরা হচ্ছে। এই ১২টি থিম বিজেপির (BJP) সদর দফতর থেকে ভারত মণ্ডপের রাস্তা পর্যন্ত সাজানো হবে।

    ১২টি থিম কী কী?

    বিজেপির (BJP) সদর দফতরে বসানো হয়েছে একটি থিম সেখানে দেখা যাচ্ছে কাটআউট রয়েছে তেজোস বিমানের। সেখানে নরেন্দ্র মোদি এয়ার ফোর্সের ড্রেস পরে রয়েছেন। বাকি ১১টির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে থাকছে অযোধ্যার রাম মন্দির, মিশন চন্দ্রযান, কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন, জনধন অ্যাকাউন্ট এবং মোদি সরকারের অন্যান্য কর্মসূচিগুলি। বিজেপির এই সর্বভারতীয় সম্মেলনে হাজির থাকবেন কমবেশি সমস্ত বিজেপি নেতা। সারাদেশের জেলা স্তরের বাছাই করা কর্মীরাও হাজির থাকবেন প্রতিনিধি হিসেবে। রাজ্য থেকেও সমস্ত জেলা সভাপতি, লোকসভার কনভেনরদের যাওয়ার কথা রয়েছে ওই সম্মেলনে। হাজির থাকবেন রাজ্যের নেতারাও। লোকসভা ভোটের প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    বিজেপির স্লোগান কী হবে?

    বিভিন্ন সমীক্ষা মারফত এমনিতেই উঠে এসেছে, তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের গঠন হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এই আবহে দলীয় কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে এই সর্বভারতীয় সম্মেলন। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, লোকসভায় বিজেপির স্লোগান হতে চলেছে, ‘তিসরি বার মোদি সরকার, আব কী বার চারশো পার’। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ৩৫৩ আসনে (BJP) জয়লাভ করে। ১০০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি ইউপিএ। তাদেরকে ৯১ টি আসন নিয়ে থামতে হয়। অন্যান্যরা জেতে ৯৮ টি আসনে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয় ৭ দফায়। শুরু হয় ১১ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৯ মে। চলতি বছরেও লোকসভা ভোট এপ্রিল মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UPI: দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করলেন মোদি

    UPI: দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসেও ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) চালু হয়ে গেল। দুপুর ১টা নাগাদ একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস পরিষেবা চালু করা হয়। এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথ এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির অনিল বিক্রমসিংহ। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারেও সম্প্রতি ইউপিআই ব্যবস্থা চালু হয়।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) চালু করার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত বছর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের ভারত সফরের সময় দুই দেশ একটি ভিশন ডকুমেন্ট গ্রহণ করেছিল। আর্থিক সংযোগ বাড়ানো এর একটি মূল অংশ ছিল। গত বছর মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা ও মরিশাস এই ঘটনা থেকে লাভবান হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভারতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের ছোট্ট গ্রামের ক্ষুদ্রতম ব্যবসায়ীও ডিজিটাল পেমেন্ট করছে. কারণ এতে সুবিধার পাশাপাশি গতিও রয়েছে।’’ 

    লেনদেনে সুবিধা হবে নাগরিকদের

    প্রসঙ্গত, এই পরিষেবা (UPI) চালু হওয়াতে দুই দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে ওই দুই দেশে ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকরা এবং ভারতে ভ্রমণকারী মরিশাস ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা ইউপিআই-এর সুবিধা ভালোভাবে নিতে পারবেন। সম্প্রতি ফ্রান্সে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি মরিশাসে এদিন একসঙ্গে রূপে কার্ডের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাও চালু করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: হাসপাতালে ভর্তি মিঠুন, অসুস্থ অভিনেতার সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    Mithun Chakraborty: হাসপাতালে ভর্তি মিঠুন, অসুস্থ অভিনেতার সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ভর্তি থাকা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত শনিবারই অভিনেতা শ্যুটিং করতে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খোঁজ তাঁর শারীরিক অবস্থার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে রাজনীতি ও চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই গিয়েছেন।

    রবিবার বিকাল নাগাদ ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী

    জানা গিয়েছে, রবিবার বিকাল নাগাদ মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীকে অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি আশা রাখছেন খুব তাড়াতাড়িই ছাড়া পাবেন হাসপাতাল থেকে। কিছুক্ষণ কথা বলার পরে, অভিনেতার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ফোন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় বিজেপিতে যোগদান করেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতি মুহূর্তে মিঠুন চক্রবর্তীর হেলথ আপডেট দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে। সামনেই লোকসভা ভোট। মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা বিজেপির অন্যতম মুখ তথা স্টার ক্যাম্পেনার।

    হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    হাসপাতালে গিয়ে অভিনেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুক পোস্টে অভিনেতাকে (Mithun Chakraborty) বাংলা ও বাঙালির আইকন বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মিঠুন চক্রবর্তী সুস্থ রয়েছেন। তাঁকে আগামিকালই ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপরেই উনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। হয়তো শ্যুটিংয়েও নেমে পড়তে পারেন। সবাই জানেন, উনি একজন লড়াকু মানুষ। কামব্যাক করা ওঁর জীবনের বৈশিষ্ট্য। মিঠুনদাকে দেখে আবার সেই পুরনো মিঠুনদাই মনে হল। উনি তো কাল থেকেই শ্যুটিংয়ে নেমে পড়তে চাইছিলেন। চিকিৎসকরাই বলেছেন একটা দিন বিশ্রাম নিয়ে নামতে। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সবার প্রিয় মিঠুনদাকে আবার পর্দায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও দেখতে পাব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AAP Scam: কেজরিওয়ালের উচিত মোদিজিকে অনুসরণ করা, কেন একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

    AAP Scam: কেজরিওয়ালের উচিত মোদিজিকে অনুসরণ করা, কেন একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি ও জল বোর্ডের দুর্নীতি (AAP Scam) ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে মীনাক্ষী লেখি টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণও। এবং তিনি বলেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করা। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সিবিআই তলব করে। সেসময় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ঘটনা টেনে মীনাক্ষী লেখি বলেন যে তিনি (নরেন্দ্র মোদি) যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি ইস্যুতে (AAP Scam) ইতিমধ্যে পাঁচবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কিন্তু প্রতিবারই তিনি গরহাজির থেকেছেন। শেষবারের মতো আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর কাছে নোটিশ পৌঁছায় গত ২ ফেব্রুয়ারি।

    কেজরিওয়ালকে খোঁচা 

    এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খোঁচা দিয়ে মীনাক্ষী লেখি বলেন যে তিনি কিভাবে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হবেন? কারণ তাহলে তো তাঁর নাটক এবং দুর্নীতি দুটোই ধরা পড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় ক্রমশই চাপ বাড়ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার খোঁজ চালাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমারের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মোট ১০ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান চলছে। 

    দুর্নীতির অভিযোগে আপ পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতা জেলে

    এদিন মীনাক্ষী লিখে আরও বলেন যে দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে দিল্লির জল বোর্ডের বিরুদ্ধেও। সেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ঠিকাদারকে গত সপ্তাহেই (AAP Scam) গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির আম আদমি পার্টির কিছু শীর্ষ নেতাও এই দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যন্দ্র জৈন। এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। মীনাক্ষী লেখির মতে, ‘‘দিল্লির সরকার শুধুমাত্র প্রচারে থাকতে চায় সব সময় এবং তারা যে কোনও মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG: মমতা জমানায় কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা খরচের হিসাব নেই, উল্লেখ ক্যাগ রিপোর্টে

    CAG: মমতা জমানায় কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা খরচের হিসাব নেই, উল্লেখ ক্যাগ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার দশ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অনুদানের ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের কোনও হিসাব জমা দিতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এমনটাই উঠে এসেছে ক্যাগ (CAG) রিপোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আসতে এটা পরিষ্কার হল যে কেন্দ্রীয় অনুদান কীভাবে নয় ছয় করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার।

    টাকা নয়ছয় তৃণমূল সরকারের

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাগ রিপোর্টে ২০০২-২০০৩ সাল থেকেই খরচের শংসাপত্র না মেলার কথা রয়েছে। অর্থাৎ বাম জমানা থেকেই এই টাকা নয় ছয় এর বিষয়টি পরিষ্কার। এর পাশাপাশি একই অভিযোগ সামনে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জমানাতেও। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় অনুদানের ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকার খরচের শংসাপত্র (CAG) জমা দেয়নি। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১-২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার খরচের শংসাপত্র জমা দেওয়া হয়নি। বাকি ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচের শংসাপত্র মেলেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায়।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক?

    এনিয়ে অর্থ মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক এর দাবি, ‘‘এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট, আগের সরকারের দোহাই দিয়ে কোনও ভাবেই বর্তমান সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। কারণ যে টাকা খরচের হিসাব মেলেনি, তার সিংহভাগ অর্থই বর্তমান সরকারের আমলে খরচ হয়েছে। বিশেষত ২০১৮-২১, এই তিন বছরে।’’

    তৃণমূল সাংসদকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়তে বলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী  

    প্রসঙ্গত চলতি বছরে রাষ্ট্রপতি বক্তৃতার পরেই বাজেট অধিবেশনে রাজ্যের বকেয়া প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ক্যাগ রিপোর্ট (CAG) পড়তে বলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাগ রিপোর্টেই তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। বাজেট অধিবেশনের পরেই ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিজেপি নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সাংবাদিক বৈঠক করেন। ক্যাগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিবৃতি এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনেরও। তিনি বলেন যে জনগণের প্রাপ্য টাকা কাদের হাতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বকেয়া দিতে হবে, এই দাবিতে গত বছরের অগাস্ট মাস থেকেই দিল্লিতে গিয়ে নাটক শুরু করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। পরবর্তীকালে রাজভবনের সামনেও তাঁদেরকে ধরনায় দেখা যায়। বর্তমানে কলকাতাতেও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গতকালই শেষ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ধরনা। কিন্তু এরই মাঝে এই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ক্যাগ রিপোর্ট ভুল এমন হাস্যকর দাবিও শোনা গিয়েছে তৃণমূলের তরফে। ক্যাগ রিপোর্টে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে যে ২০১৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ৩,৪০০ কোটি টাকার বিল জমা দেয়নি। কীভাবে সেই অর্থ খরচ হয়েছে তার কোনও উত্তর মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: আমূল বদলে যাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশন, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে

    Indian Railways: আমূল বদলে যাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশন, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমূল বদলে যাচ্ছে মালদা টাউন স্টেশন (Indian Railways)। আজকের মালদা টাউন স্টেশন এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পিত মালদা টাউন স্টেশনের মধ্যে যে বিরাট পার্থক্য থাকবে, তা বাংলার মানুষের জন্য লাভজনক হবে বলেই পুর্ব রেল মনে করছে। কেন্দ্রীয় সরকার অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন আনতে  চলেছে, যার মধ্যে মালদা টাউন একটি অন্যতম স্টেশন। পূর্ব রেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই পরিবর্তন যজ্ঞের জন্য মালদা টাউন স্টেশনের ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ হবে ৪৩ কোটি টাকা।

    নতুন আঙ্গিকের স্টেশনে কী কী থাকবে? (Indian Railways)

    রেলের দাবি, পরিবর্তনের পরবর্তীকালে মালদা টাউন স্টেশনকে দেখা যাবে এক সম্পূর্ণ অন্য এবং নূতন আঙ্গিকে। কারণ এই স্টেশনে হবে নতুন স্টেশন ভবন, প্রাইভেট দু’চাকা এবং চারচাকা গাড়ি পার্কিং-এর বন্দোবস্ত, পৃথক অ্যারাইভাল এবং ডিপার্চার ব্লক, ওয়াকওয়ে, স্টেশন সারকুলেটিং এরিয়ার উন্নতিবিধান, আমূল বদলে যাওয়া প্ল্যাটফর্ম, অত্যাধুনিক ফিটিং সহ ঝাঁ চকচকে টয়লেট। এছাড়াও থাকবে সমস্ত সুবিধাযুক্ত ওয়েটিং লাউঞ্জ, ফুড প্লাজা এবং সর্বোপরি ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট স্টল, যাতে স্থানীয় কারিগর এবং শিল্পীরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বৃহত্তর বাজারে নিয়ে যেতে পারেন। এই উন্নত পরিকাঠামোর ফলে মালদা টাউন স্টেশন স্টেশন কেবলমাত্র যাত্রী পরিষেবা কেন্দ্রই নয়, ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়িক তথা অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠবে।এই উন্নতি বিধানের কাজের গতি দ্রুততর করতে পূর্ব রেলের (Indian Railways) সমস্ত স্তরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে যত শীঘ্র সম্ভব এই উন্নতমানের স্টেশনের বাস্তবায়ন করা যায়।

    আগেও গুরুত্ব পেয়েছে মালদা টাউন স্টেশন (Indian Railways)

    পূর্ব রেল ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে যাত্ৰীদের সুবিধার্থে মালদা টাউন স্টেশনে অনেকগুলি নতুন ট্রেনের স্টপেজ হয়েছে এবং আগামী দিনেও হবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারতবর্ষের প্রথম অমৃত ভারত ট্রেন যেটি মালদা টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরু অবধি চলছে। এছাড়াও, আগরতলা-আনন্দ বিহার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস মালদা টাউন স্টেশন হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই  রেল (Indian Railways) এই পদক্ষেপগুলি নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    Nitish Kumar: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সকালে আরজেডি জোট থেকে ইস্তফা, বিকালে পুনরায় শপথ। নীতীশের শপথে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপি শিবিরে নীতীশের (Nitish Kumar) ফিরে আসাকে তিনি স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন। এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন বলেও জানান নাড্ডা। এর পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ব্যাপকভাবে জিততে চলেছে, তাও সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘‘আগামী লোকসভায় বিজেপি এনডিএ জোট সব আসনগুলিতেই জয়লাভ করবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মানুষজন জেডি(ইউ) এ বিজেপি জোটকেই জিতিয়েছিল। বিজেপি জেডি(ইউ) জোট যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই বিহারে আইন-শৃঙ্খলা থেকে অর্থনৈতিক উন্নতি চরম শিখরে পৌঁছায়।’’ এদিন ইন্ডি জোটকেও বিহার থেকে তোপ দাগেন নাড্ডা, তাঁর মতে, ‘‘তাদের (ইন্ডি জোটের) স্লোগান হল দুর্নীতি বাঁচাও-পরিবার বাঁচাও।’’ 

    রবিবার নীতীশের প্রতিক্রিয়া

    রবিবার রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, দেখলেন তো কী হল। সবারই কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে ওখানে। আমি অনেকদিন ধরে চুপ ছিলাম। এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না। তাই ইন্ডিয়া জোট আমি ছেড়ে দিলাম।’’

    প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন নীতীশকে

    গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ কুমারকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মধ্যে নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা একদিকে যেমন এনডিএ জোটের জয়কে ত্বরান্বিত করল, অন্যদিকে বড়সড় ভাঙনের মুখে ফেলে দিল ইন্ডি জোটকে। তার কারণ নীতীশই মূল কারিগর ছিলেন ইন্ডি জোটের। গত বছরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন নীতীশ।

    কী বলছে বিহার বিজেপি?

    নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার পরেই বিবৃতি সামনে এসেছে বিহারের রাজ্য বিজেপিরও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বিহারের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বিহারের মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। সেই অবস্থা যেন ফেরত না আসে তাই দলের তরফে এই পদক্ষেপ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেখে রবিবার সকালেই ইস্তফা দিয়েছেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা রটেছিল যে তিনি ফের এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন, অবশেষে তা সত্যি হল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন নীতীশ। এরপরেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। তোপ দাগেন  ইন্ডি জোটের বিপক্ষেও। নীতীশ বলেন, ‘‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, দেখলেন তো কী হল। সবারই কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে ওখানে। আমি অনেকদিন ধরে চুপ ছিলাম। এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না। তাই ইন্ডিয়া জোট আমি ছেড়ে দিলাম।’’

    প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন নীতীশকে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ কুমারকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মধ্যে নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা একদিকে যেমন এনডিএ জোটের জয়কে ত্বরান্বিত করল, অন্যদিকে বড়সড় ভাঙনের মুখে ফেলে দিল ইন্ডি জোটকে। তার কারণ নীতীশই মূল কারিগর ছিলেন ইন্ডি জোটের। গত বছরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন নীতীশ।

    কী বলছে বিহার বিজেপি?

    নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার পরেই বিবৃতি সামনে এসেছে বিহারের রাজ্য বিজেপিরও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বিহারের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বিহারের মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। সেই অবস্থা যেন ফেরত না আসে তাই দলের তরফে এই পদক্ষেপ।’’ বিভিন্ন সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে রবিবারই বিকাল চারটে নাগাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি পদে বসতে চলেছেন সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: যুবকরাই দেশ গড়ার কারিগর, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    PM Modi: যুবকরাই দেশ গড়ার কারিগর, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)  শনিবার বলেন, ‘‘তাঁর সরকার নারী সশক্তিকরণ এবং যুবকদের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছে। কারণ এর মাধ্যমেই উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।’’ শনিবার তিনি যোগ দেন এনসিসির একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে। এবং সেখানেই এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আপনারাই হলেন আগামী ভারতের কারিগর। নারী শক্তি আগে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক যে কোনও অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা স্বাক্ষর রাখছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে।’’ সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান তাঁদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    নিরাপত্তা বাহিনীতে ১০ বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে নারী সদস্য সংখ্যা 

    কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে নারী সংখ্যা গত ১০ বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর সরকারের আমলে একটি ডিজিটাল বিপ্লব হয়েছে, এমনটা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এবং এই ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমেই যুবকদের যেকোনও ধরনের সৃজনশীলতা প্রকাশ করা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিগত এক দশক আগে মানুষ সীমাবদ্ধ ছিল ২জি এবং ৩জি-তে কিন্তু বর্তমানে ৫জি এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক এ পৌঁছেছে দেশের সব গ্রামে।

    ভাইব্রান্ট ভিলেজ কর্মসূচি 

    গ্রামের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকার সদা ব্যস্ত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে গ্রামগুলিকেই পর্যটন শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তাঁর সরকার ভাইব্র্যান্ট ভিলেজ কর্মসূচিও নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর মতে, ভারতবর্ষে রয়েছে সব থেকে বড় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। ১ লাখ ২৫ হাজার স্টার্ট আপ রয়েছে ভারতে। ১০০টিরও বেশি ইউনিকর্ন রয়েছে।

     

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান রামের বিজয় হল অধর্ম ও অসত্যের বিনাশের সংকেত। যিনি রামচন্দ্রের অপমান করছেন, অধর্মের সাথ দিচ্ছেন, অসত্যের পথে হাঁটছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশাসন কতদিন চলে দেখব। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় সাংগঠনিক  বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি। মধ্য হাওড়ার সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের অশান্তির ঘটনার জন্য কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি স্থাপন নিয়ে যখন আনন্দ-সমারোহ হচ্ছিল, তখন হাওড়ায় এই ওয়ার্ডে শিব মন্দিরে পাথর ছোড়া হয়। রাম ভক্তদের ওপর হামলা হয়। রামের ছবি ছেঁড়া হয়। যে গুন্ডারা এই কাজ করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয় পায়।

    এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)

    সনাতন ধর্মে ইন্ডি জোট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা নেই, রয়েছে বিদ্বেষ। হামলার সময় পুলিশ ছিল না। কিন্তু জাতীয় ভোটার দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবার সময় পুলিশ টিভি বন্ধ করতে হাজির হয়। এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে ইন্ডি জোটের নেতারা আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে, সেখানে রামচন্দ্রের প্রতি অপমান আছে, এটা পরিষ্কার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই। পুলিশ চুপচাপ তামাশা দেখেছে। কেন নরেন্দ্র মোদির প্রতি রাগ, কেন ভগবান রামের প্রতি অপমান-এর জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। এদিন ডুমুরজলার সাংগঠনিক বৈঠকে এসে টিকিয়াপাড়ার ঝামেলায় আক্রান্তদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাদের পাশে থাকার ভরসা দেন। তাঁর (Smriti Irani) আশ্বাসে খুশি আক্রান্তরা।

    অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল (Smriti Irani)

    স্মৃতি ইরানি বলেন, মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শিখদের উৎসব উদযাপন করছিলেন। আমিও মদিনায় গিয়েছিলাম। অনেক অহিন্দু প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। পার্সিদের প্রধান পুরোহিতও অযোধ্যায় ছিলেন। কিন্তু সনিয়া গান্ধী গেলেন না। স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল। ভারতীয় হিন্দুরা ১৮৮০র দশক থেকে এই নিয়ে লড়াই করেছেন। ঈশ্বরের ইচ্ছায় এই ভাবে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সব হিন্দুই সুযোগ পেলে অযোধ্যা যেতেন। আস্থার এই জায়গাটিই কেউ কেউ বোঝেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share