Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    PM Modi: মোদি জমানায় ব্যবসার আদর্শ পরিবেশ দেশে! ৯ বছরে স্টার্টআপ বেড়েছে ২৬০ গুণ

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৯

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। বিশ্বমানের আধুনিক কোম্পানিগুলি এদেশে বিনিয়োগ করতে চায়, যা সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের (PM Modi) নীতির কারণে। বিগত ৯ বছর ধরে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক নীতিই বিদেশি বিনিয়োগ টেনে আনছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের আগে যেখানে স্টার্ট আপের সংখ্যা এদেশে ছিল ৩৫০ টি, এখন তা বেড়েছে ২৬০ গুণ। শুধু তাই নয়, ইউনিকর্নের (১০০ কোটি ব্যবসার কোম্পানি, যা শেয়ার মার্কেটে নথিভুক্ত নয়) সংখ্যা বর্তমানে দেশে ১০০ ছাড়িয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকেই উদ্যোগপতিদের কাছে সরকার কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বরং পরামর্শদাতা রূপে পাশে থেকেছে। এই কারণেই শিল্পপতিরা আজ এ দেশে ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশ পেয়েছেন।

    রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্স কমার ফলে বিনিয়োগে বিপুল পরিমাণে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে শিল্পপতিদের মধ্যে। এছাড়া গত ৯ বছরে যথেষ্ট পরিমাণে কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্সও। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) একটি বড় নীতি হল, দেশের মানুষের উপর বিশ্বাস স্থাপন। তিনি মনে করেন, এর ফলেই একটি শক্তিশালী দেশ তৈরি হতে পারে। তাঁর এই নীতির কারণেই আজ করদাতাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং রেকর্ড পরিমাণে ট্যাক্স সংগ্রহ হয়েছে বিগত বছরগুলিতে। ভারতের লক্ষ্য হল বিশ্বমানের ব্যবসার মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করা। যত সময় গড়িয়েছে, বিগত ৯ বছর ধরে এখানে যথেষ্ট উন্নতি করতে পেরেছে দেশ। একটি রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালের আগে বিশ্বের নিরিখে ব্যবসা করার আদর্শ পরিবেশ হিসেবে ভারতবর্ষের স্থান ছিল ১৪২, ২০১৯ সালে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। বিশ্বব্যাঙ্কের লজিস্টিক পারফরম্যান্সের ইনডেক্সে ৬ ধাপ এগিয়েছে ভারত এবং বর্তমানে তার স্থান ১৪৯ টি দেশের মধ্যে ৩৮ তম। এই সমস্ত রিপোর্ট এবং পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, কীভাবে গত ৯ বছর ধরে মোদি সরকারের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। এই সমস্ত সংস্কার এবং মোদি সরকারের নীতির কারণেই গত ৯ বছর ধরে পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে দেশে। পূর্ববর্তী সরকারের কাছে শিল্পপতিরা যেন ছিল শুধুই অর্থভাণ্ডার বা ধনকুবের। কিন্তু তাঁদের সরকারের সহযোগী করে তুলে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাতে পেরেছেন নরেন্দ্র মোদি।

     বিনিয়োগ করার মতো আদর্শ পরিবেশ কীভাবে গড়ে উঠল ভারতে?

    ১) ব্যবসা করার আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে ভারতের স্থান ২০১৪ সাল থেকে ৭৯ ধাপ এগিয়েছে গোটা বিশ্বের নিরিখে।

    ২) ১.৬৭ লাখ নতুন কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে গত এক বছরে, যা একটি সর্বকালীন রেকর্ড।

    ৩) শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে চারটি নতুন লেবার কোড আনা হয়েছে।

    ৪) রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্স কমানো হয়েছে।

    ৫) কর্পোরেট ট্যাক্সের পরিমাণও কমেছে।

    ৬) গত সাত বছরে পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

    ৭) করের হার এখন আর ব্যবসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠছে না। নতুন ডোমেস্টিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলির জন্য সর্বনিম্ন কর্পোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ।

    ৮) বর্তমানের কোম্পানিগুলির জন্য সরকার কর্পোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করেছে।

    ৯) বিগত কয়েক বছরে এফডিআই তার পূর্ববর্তী সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

    ১০) ব্যবসার জন্য সমস্ত রকমের সরকারি প্রক্রিয়াও এখন সহজ হয়েছে এবং কোম্পানির অ্যাপ্রুভালের জন্য ১৪ টি নয়, এখন তিনটি ধাপ পেরোতে হয়।

    ১১) ২০১৪ সাল থেকে দেড় হাজারেরও বেশি কেন্দ্রীয় আইনকে সংশোধন করা হয়েছে।

    ১২) আমেরিকা এবং চিনের পরেই বিশ্বের অর্থনীতিতে ভারত এখন তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম গড়তে পেরেছে।

     

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    PM Modi: মোদি জমানায় মজবুত অর্থনীতি, বছরে ৩১ কোটি মোবাইল উৎপাদন!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির পর সারা বিশ্ব জুড়েই বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এই আবহে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড ঘোষণা করেছে, ভারতের অর্থনীতি সারা বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত গতিশীল। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের এই ঘোষণা আসলে ৯ বছরের মোদি সরকারের (PM Modi) আমলে দেশের আর্থিক উন্নতিতে সিলমোহর দিল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ। জিএসটি চালু হওয়ার পর বিগত বছরগুলিতে দেখা গেছে, বিপুল পরিমাণে সেখান থেকে লাভ হয়েছে সরকারের। রেকর্ড পরিমাণে রফতানি বেড়েছে গত ৯ বছরে। এই কারণগুলির জন্যই করোনা কালে বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলেও ভারতে তা প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে মোদি সরকারের শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতির জন্য, পরিকাঠামোগত সংস্কারের জন্য।

    ভারতের অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করে তুলতে এবং দেশের মধ্যে উৎপাদন বাড়াতে মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এই প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মেক-ইন-ইন্ডিয়া। এই ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি দেখা গিয়েছে বিগত ৯ বছরে। বিগত বছরগুলিতে কয়েক লাখ যুবকের কর্মসংস্থানও হয়েছে এই স্কিমগুলির দৌলতে। বিশ্বের অর্থনীতিতে ভারত হল এখন মোবাইল তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ সালে যেখানে মোবাইল তৈরি হত দেশে ৬ কোটি, সেখানে ২০২১-২২ সালে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি। বিশ্বের মধ্যে ভারতবর্ষকে এখন বিনিয়োগ করার জন্য বেছে নিচ্ছেন শিল্পপতিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)  নেতৃত্ব এবং তাঁর স্পষ্ট অর্থনৈতিক নীতির কারণেই এগুলি সম্ভব হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এফডিআই এসেছে ভারতে ৮,৩০০ কোটি টাকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই নীতির ফলে ভারতের রফতানি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের রফতানি ৪২ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রতে এই বিপুল সংস্কার এবং উন্নয়নের প্রভাব ভারতবর্ষের জনসাধারণের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এবং তাঁরা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দের জীবনযাপন করতে পারছেন। তাঁদের পরিবারের সন্তানরা ভালো মানের শিক্ষা পাচ্ছেন।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গত ৯ বছরের উন্নয়ন

    ১) ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড ঘোষণা করেছে, অর্থনীতিতে দ্রুত এগিয়ে চলা দেশগুলির মধ্য়ে ভারত অন্যতম।

    ২) করোনাকালীন সময়ে ২৭.১ লক্ষ কোটি টাকার আত্মনির্ভর ভারতের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

    ৩) প্রতি মাসেই জিএসটি সংগ্রহ রেকর্ড স্পর্শ করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ এর এপ্রিলে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা।

    ৪) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিদেশে রফতানি হয়েছে ৭৭ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী এবং অন্যান্য জিনিসপত্র।

    ৫) আগামী পাঁচ বছরে ষাট লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

    ৬) বিদেশে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র রফতানি ৫০ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা ২,৩০০ কোটি টাকা স্পর্শ করেছে।

    ৭) ৬.৬০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ উদ্ধার করা গেছে।

    ৮) ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতে এফডিআই এসেছে ৮,৪০০ কোটি টাকার।

    ৯) জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২০১৪ সালে ছিল ৯১ হাজার ২৮৭ কিমি। সেখানে ২০২২-২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৫৫ কিমি।

     

    আরও পড়ুন: ৯ বছরের মোদি জমানায় সফল বিদেশ ও সুরক্ষা নীতি, কাশ্মীরে বিলোপ ৩৭০ ধারা!

    আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    PM Modi: মোদি সরকারের ৯ বছরে ১৫ টি নতুন এইমস, ৩৭ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য বিমা!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৬

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ বছরে ভারতবর্ষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। ১৪০ কোটি মানুষের দেশে করোনা মোকাবিলা করা ছিল যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের কাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেখানে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে মোদি সরকার। রিপোর্ট বলছে, এখনও অবধি ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে। ২০১৮ সালে মোদি সরকার চালু করে আয়ুষ্মান ভারত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জন আরোগ্য যোজনা হল পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা স্কিম। এর আওতায় ২২ কোটি মানুষ সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। সরকার চালু করেছে ই-সঞ্জীবনী প্রকল্প, যা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ কোটি মানুষ তাঁদের বাড়ির দরজায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন।

    মোদি সরকারের জমানায় সারা দেশে চালু হয়েছে ৯,০০০ জন ঔষধি কেন্দ্র, যা দেশের ৭০০ জেলাতে রমরমিয়ে চলছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাচ্ছেন মানুষজন। মোদি সরকারের জমানায় চালু হয়েছে ইন্দ্রধনুস প্রকল্প, যেখানে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিশু এবং দেড় কোটি গর্ভবতী মহিলাকে বারোটি রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নতুন মোড়ের সন্ধান মিলেছে মোদি জমানায়। বহু সরকারি কলেজ স্থাপন যেমন হয়েছে, তেমনই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির উচ্চ ফি এবং আসন ভর্তিতে দুর্নীতি কমানো গেছে গত ৯ বছরে। মোদি জমানায় গত ৯ বছরে অনেক রাজ্যে তৈরি হয়েছে এইমস এবং পাশাপাশি নতুন মেডিক্যাল কলেজ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অসমে প্রথম স্থাপিত হয়েছে এইমস।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মোদি (PM Modi) জমানায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী কী নতুন বদল এসেছে

    ১) আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় সারা দেশে হাসপাতালগুলিতে আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি।

    ২) আয়ুষ্মান ভারতের ১.৫৯ লক্ষ সেন্টার তৈরি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

    ৩) ৯,৩০৪ টি জন ঔষধি কেন্দ্র চলছে দেশের ৭০০ রও বেশি জেলায়। যেখানে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাচ্ছেন মানুষজন।

    ৪) মিশন ইন্দ্রধনুস প্রকল্পে ৫.৬৫ কোটি গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

    ৫) বিগত ৯ বছরে দেশে স্থাপিত হয়েছে ১৫টি নতুন এইমস এবং ২২৫টি মেডিক্যাল কলেজ।

    ৬) করোনা মোকাবিলায় ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।

    ৭) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় আনা হয়েছে।

    ৮) সাধারণ মানুষের ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি লাভ হয়েছে জন ঔষধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে। যেখানে জনগণ অনেক কম মূল্যে জীবনদায়ী ওষুধ পেয়েছেন।

    ৯) ২০১৪ সালের পর থেকে সারা দেশে মেডিক্যালে আসন বাড়ানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৬৩টি।

    ১০) করোনাকালীন সময়ে ২০২০ মার্চ পর্যন্ত ১৪ টি ল্যাবরেটরি ছিল করোনা পরীক্ষার জন্য, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩,৩৯০ টি।

    ১১) করোনার সময় প্রতিদিন ২০ লক্ষ করে পিপিই কিট তৈরি করতে পেরেছে সরকার।

    ১২) মার্চ ২০২০ অবধি সারা দেশে আইসিইউ বেড ছিল ২,১৬৮টি, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার।

     

    আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    PM Modi: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ৯ বছরে ঘরে ঘরে পানীয় জল, মাথার উপর ছাদ, রান্নার গ্যাস, শৌচালয়, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট পরিষেবা, বিমা, কর ছাড়-এ সবই মধ্যবিত্ত জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বাস্তবায়িত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আচ্ছে দিনের সংকল্প। মধ্যবিত্তরা যাতে নিজেদের প্রথম বাড়ি বানাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য সুদের হারে অনেকটাই ছাড় দিয়েছে মোদি সরকার। এই ছাড়কে যুক্ত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সঙ্গেও। রোজগারের ওপর বিপুল কর ছাড়ের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন অনেকটাই সঞ্চয় করতে পারছে, এমনটাই বলছে রিপোর্ট। ২০১৪ সালে বিমানে চড়ার কথা শুধু ধনীরাই ভাবতে পারত। কিন্তু পরবর্তীকালে মোদি সরকারের ‘উড়ান’ প্রকল্পের দৌলতে সাধারণ মানুষও বিমানে যাতায়াত করতে পারছেন। অফিস টাইমে দেশের প্রতিটি শহরেই নিত্যযাত্রীদের ভিড়ে ট্রেনগুলি উপচে পড়ত। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কমবেশি প্রতিটি শহরের সঙ্গে শহরতলিকে জোড়ার জন্য ট্রেন এবং মেট্রো রেলের বিভিন্ন প্রজেক্টকে বাস্তবায়িত করেছে মোদি সরকার। যার ফলে অফিস যাত্রীদের সময় যেমন বাঁচছে, তেমনি প্রাইভেট যানবাহনে তাঁদের চড়তে হচ্ছে না। ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাপক উন্নত এখন। নরেন্দ্র মোদি সরকার সম্প্রতি ৫জি সার্ভিসও চালু করেছে। গত ন’ বছর ধরে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণ, স্মার্ট সিটি, শিল্প- এই সমস্ত ক্ষেত্রেই নতুন জোয়ার এসেছে। সরকার গত ন’ বছর ধরে সাধারণ মানুষের জীবনের মানের উন্নতি করার জন্য সদা সচেষ্ট থেকেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’, ‘সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’ গত ৯ বছরে সফল, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনযাপন অনেক সহজ হয়েছে মোদি (PM Modi) জমানায়

    ১) ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক রোজগারের কোনও কর দিতে হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সঞ্চয় আরও বেড়েছে।

    ২) যাদের বার্ষিক আয় ১৫ লক্ষ টাকা, তাদের কার্যকরী করের হার ২০১৩ সালে ছিল ১৯.২২ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে হয়েছে ১০.৪ শতাংশ।

    ৩) স্মার্ট ফোনের যুগে ২১,৮০১টি সরকারি পরিষেবাকে হাতের মুঠোয় তুলে দিয়েছে মোদি সরকার,  Umang app এর মাধ্যমে।

    ৪) এক লক্ষেরও বেশি মামলা ‘রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি’র মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেছে।

    ৫) ৩ কোটির বেশি শহুরে এবং গ্রামীণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়া গেছে।

    ৬) ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে মাত্র ৫ টি শহরে মেট্রো চলত। ২০২৩ সালে ২০ টি শহরে চলছে।

    ৭) ১ কোটি ১৬ লক্ষ মানুষ উড়ানের সুবিধা পাচ্ছেন, যার ফলে তাঁদের বিমানযাত্রা সুলভ হয়েছে।

    ৮) ইন্টারনেট ডেটার দাম কমেছে ৯৭ শতাংশ।

    ৯) ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা এখন অনেক বেশি সহজ হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করেছিলেন ৩ কোটি ৯১ লক্ষ মানুষ। সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেখা যাচ্ছে ট্যাক্স ফাইল করেছেন ৭ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় গত ১০ বছরে এসেছেন প্রায় দ্বিগুণ মানুষ। এতেই বোঝা যাচ্ছে মোদি সরকারের উপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা কত বাড়ছে।

    ১০) মোদি (PM Modi) জমানায় অনেকটাই কমেছে গৃহ নির্মাণের ঋণ, যার ফলে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ছয় লক্ষ মধ্যবিত্ত।

    ১১) ২০১৪ সাল থেকে কমেছে গাড়ি কেনার ঋণের পরিমাণও।

    ১২) ৪০ শতাংশ ভারতবাসীকে আনা হয়েছে আয়ুষ্মান যোজনা প্রকল্পের আওতায়। এতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে করা যাবে।

    ১৩) গত ৯ বছরে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির হার ২৩১ শতাংশ।

    ১৪) পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে কম দামের স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যায় ভারতে। মোদি (PM Modi) সরকারের জমানায় নির্মিত জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে এগুলি মেলে।

    ১৫) পরিবহণের ক্ষেত্রে গত ৯ বছরে চালু করা হয়েছে ২,৪৩৫টি ইলেকট্রিক বাস। যা পরিবেশবান্ধব।

    ১৬) ১.৯৩ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে ভারত নেটের অপটিক ফাইবারের সঙ্গে।

    ১৭) প্রধানমন্ত্রী জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ বিক্রি চলছে।

    ১৮) মধ্যবিত্তদের ইলেকট্রিক বিলও কম আসছে, উজ্জ্বলা এলইডি লাইটের জন্য।

     

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    PM Modi: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রায়ই বলেন, ‘‘আমাদের দুটি অপরিসীম শক্তি আছে। একটি হল জনসংখ্যা এবং অপরটি গণতন্ত্র। পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি যুবক এখন রয়েছেন ভারতে। সরকার সম্পূর্ণভাবে এই শক্তিকে কাজে লাগাতে চায়।’’ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রূপায়ণের ফলে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে গেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিকে তৈরি করা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তির ওপর এবং বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৯ বছরে রেকর্ড সংখ্যায় আইআইটি, আইআইএম, মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশ জুড়ে স্থাপিত হয়েছে। অন্যদিকে এখনও অবধি ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবক স্কিল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কৌশল বিকাশ যোজনার মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই রোজগার মেলার আয়োজন করেছে। ১০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের যুবসমাজকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহ দিতে আনা হয়েছে অগ্নিপথ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্ট। কর্মসংস্থান তৈরির বদলে ছোট বড় উদ্যোগপতি নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্র। যাতে বর্তমান যুবসমাজ চাকরিমুখী হওয়ার থেকে চাকরিদাতা হতে পারে। এই উদ্দেশ্যে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে ২০১৬ সাল থেকে।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, যুব সমাজের জন্য মোদি সরকারের (PM Modi) প্রয়াস  

    ১) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুব অ্যাথলেটিকদের তুলে আনা হচ্ছে খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রচেষ্টার ফল ভারত দেখেছে টোকিও অলিম্পিকে, ২০২১ সালে। এর ফলে অলিম্পিকে ৭টি মেডেল পায় ভারত।

    ২) প্রায় ৪০ বছর পরে জাতীয় শিক্ষানীতিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হল। শিক্ষাকে সময়োপযোগী এবং কর্মমুখী করে তোলার এক অনবদ্য প্রয়াস মোদি সরকারের।

    ৩) যুব উদ্যোগপতি বানাতে স্টার্ট আপ প্রজেক্ট  চালু করা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকেই।

    ৪) ১ কোটি ৩৭ লক্ষ যুবককে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীনে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

    ৫) গত ৯ বছরে নতুন সাতটি আইআইএম চালু করা হয়েছে।

    ৬) প্রধানমন্ত্রী শ্রী যোজনার আওতায় ১৪,৫০০ স্কুলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

    ৭) ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২৩ লক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাকরি তৈরি করা গেছে, স্টার্ট আপ প্রজেক্টের মাধ্যমে।

    ৮) অধিক সংখ্যায় AIIMS তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশে যার সংখ্যা ২৩টি।

    ৯) ৭ টি নতুন আইআইটি তৈরি হয়েছে। সারা দেশে আইআইটির সংখ্যা এখন ২৩। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছিল ১৬ টি আইআইটি। অন্যদিকে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে স্থাপিত হয়েছে ৭ টি আইআইটি।

    ১০) পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৪৬৬। অন্যদিকে বিগত ৯ বছরে মেডিক্যালে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৬২৩। বর্তমানে মোট আসন সংখ্যা ১ লক্ষ ৫২ হাজার ১৩৯।

    ১১) পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬৪১ টি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। ৯ বছরের মোদি সরকারের জমানায় কলেজের বাড়ানো হয়েছে ৭০০টি। বর্তমানে দেশে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১,৩৪১।

    ১২) সারা দেশে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৭২৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। মোদি জমানায় গত ৯ বছরে আরও ৩৯০ টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১,১১৩।

    ১৩) ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে দেশের কমনওয়েলথ গেমসে (২০২২) ৬১টি মেডেল এনেছেন আমাদের যুব ক্রীড়াবিদরা।

     

    আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সরকারের ৯ বছর! বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের সূচনা মোদির

    BJP: সরকারের ৯ বছর! বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে বুধবারই রাজস্থানের আজমিরের ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন বিজেপির মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। চলবে এক মাস। ৫৪৩ টি লোকসভা এলাকায় পৌঁছাবে এই অভিযান।

    জন সম্পর্ক অভিযানের খুঁটিনাটি

    ৩১ মে থেকে শুরু হয়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এমনটাই জানা গেছে বিজেপি (BJP) সূত্রে। মোদি সরকারের ন’বছরের সাফল্য গাথা তুলে ধরবে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, মহা-জনসম্পর্ক অভিযানে হবে ৫১টি মহামিছিল। ৫০০ র বেশি স্থানে জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। ৬০০ সাংবাদিক সম্মেলন হবে পাঁচশোর বেশি লোকসভা কেন্দ্রে। ৪ হাজার বিধানসভা কেন্দ্রকেও স্পর্শ করবে এই জনসংযোগ অভিযান। ৫ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করবে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বলছে বিজেপি (BJP)?

    মহা-জনসম্পর্ক যাত্রার কনভেনারের দায়িত্বে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। তিনি বলেন, ‘‘২৮৮ জন প্রথম সারির বিজেপি নেতা এবং ১৬ লক্ষ পার্টির কার্যকর্তাকে নিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি বুথে পৌঁছাবে আমাদের মহা-জনসম্পর্ক যাত্রা। সেখানে আমাদের কর্মীরা বার্তা দেবেন কীভাবে দেশের জন্য উন্নয়ন করেছে ৯ বছরের মোদি সরকার।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই মহা-জনসম্পর্ক যাত্রায় আমাদের পার্টি নেতৃত্ব এক হাজারেরও বেশি বিশিষ্ট পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। শিক্ষক, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব সমেত সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে সেমিনার করা হবে।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, দরজায় দরজায় প্রচারের কাজ চলবে ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে। দলের যুব শাখা মুদ্রা যোজনা, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়ার কথা তুলে ধরবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতিটি বুথে যাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। দলের ৩০০ জন সাংসদ এবং ১৪০০ র ওপর বিধায়কই এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী নতুন ভোটারদের নিয়েও সম্মেলন করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলি, যারা বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, তাদের কাছেও পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে!’’ দেশে ফিরে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ সফর শেষে দেশের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। এদিন বিমানবন্দরের পা রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের পর্যটকের কাশ্মীর দেখা উচিত”, বললেন জি২০-র প্রতিনিধিরা

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে ভিড় করতে দেখা যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘‘জনগণ আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি কোভিড ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে দিয়েছি। এই প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে চাই, এই ভূমি হল গৌতম বুদ্ধের। এই ভূমি হল মহাত্মা গান্ধীর। আমরা আমাদের বিরোধীদেরও খেয়াল রাখি। আজকে সারা বিশ্ব জানতে চায়, ভারত কী ভাবছে।’’

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যখন আমি আমার দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমি বিশ্বের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। আমার এই আত্মবিশ্বাস আসে। কারণ আমি জানি, আপনারা একটা সরকার গঠন করেছেন, যে সরকারের সঙ্গে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জনসমর্থন রয়েছে। আজ এখানে যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য আসেননি, এসেছেন দেশের জন্য।’’

    অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণও টানেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী সিডনির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদাহরণ টানেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্য়ান্থনি আলবানিজই উপস্থিত ছিলেন না, দর্শকাসনে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও সমস্ত বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বার্থে। এটাই গণতন্ত্রের শক্তি।’’ অনেকে মনে করছেন, এভাবেই বিরোধীদের ঠুকলেন তিনি।

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)

    চারদিনে তিন দেশের সফর সারলেন মোদি। প্রথমে তিনি জাপানে যান জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে পাপুয়া নিউগিনি ও শেষে অস্ট্রেলিয়া যান। প্রতিটি দেশেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান প্রধানমন্ত্রী। পাপুয়া নিউগিনি ও ফিজির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানেও সম্মানিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার। শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের হিরোসিমায় জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি (PM Modi)। খাদ্য নিরাপত্তা, রাসায়নিক সার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ওই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক সারের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা অবলম্বন করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ওপরও জোর দেন তিনি।

    জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১০টি পয়েন্টের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে ছিল খাবার নষ্ট হওয়ার প্রসঙ্গও। রায়াসনিক সার নিয়ে মেরুকরণের কথাও বলেন। তুলে ধরেন খাদ্য শস্য হিসেবে মিলেটের উপকারিতা এবং প্রাসঙ্গিকতার কথা। উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন তিনি। সওয়াল করেন ডিজিটাল হেল্থ কেয়ারের পক্ষে। উন্নত বিশ্বের (G-7) দেশগুলির মডেল অনুসরণ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। ভোগবাদে প্রাণিত উন্নয়নের মডেলও বদলে গিয়েছে।

    রাসায়নিক সার প্রসঙ্গে কী বললেন মোদি?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজের একটি মানুষও, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকও যেন প্রতিদিন মুখে দু মুঠো অন্ন তুলতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্বে রাসায়নিক সারের জোগান আরও শক্তপোক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক যেসব বাধা আসবে, তা দূর করতে হবে। আমাদের সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    এদিন প্রধানমন্ত্রী খাবার নষ্টের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, খাবার নষ্ট বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের সমবেত দায়িত্ব। বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা আমাদের করতেই হবে। জি-৭ (G-7) এর সদস্য দেশগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান। বিশ্বের ধনীতম দেশগুলি জি-৭ এর সদস্য। এ বছর জি-৭ সম্মেলেন আয়োজক দেশ জাপান। সেই জাপানের তরফ থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারত এবং আরও সাতটি দেশকে। এদিন গণতন্ত্র, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারে প্রযুক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    PM Modi: উত্তরপ্রদেশে পুর নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া (BJP) ঝড়। শনিবার ফল বের হয় ওই নির্বাচনের। তার পরেই যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এই ফলই তার প্রমাণ। ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি কর্মী এবং পুরভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ১৭টি পুরসভার মধ্যে মেয়র পদে জিতেছে ১৭টিতেই। অযোধ্যা, ঝাঁসি, বরেলি, মথুরা-বৃন্দাবন, মোরদাবাদ, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, শাজাহানপুর এবং গাজিয়াবাদে জয়ী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    উত্তরপ্রদেশে দলের এই বিরাট জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব বিজেপির তরফে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। নির্বাচনের আগে ১৩ দিনে ৫০টি জনসভা করেছেন তিনি। বস্তুত এ রাজ্যে বিজেপির প্রচারের মুখ ছিলেন তিনিই। তাই প্রধানমন্ত্রীও তাঁর প্রশংসা করেছেন। দু দফায় হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। ভোট (PM Modi) হয়েছে মেয়র, নগর পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সন এবং নগরপালিকা পরিষদ চেয়ারপার্সন বাছাই করতে। সর্বত্রই ক্লিন বোল্ড হয়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মূলত দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

    একটি হল, উত্তরপ্রদেশে অপরাধী এবং মাফিয়াদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়টি হল, অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি। প্রসঙ্গত, ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে ১৭টি মেয়র পদে। নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪টি আসন গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। নগর পালিকা পরিষদ নির্বাচনে ১৯৯টি আসনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রাজ্যের যে ১৭টি নগর নিগমে বিজেপি (PM Modi) জিতেছে সেগুলি হল রাজধানী লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর শহর গোরক্ষপুর এবং অযোধ্যা। সাহারানপুর, আগ্রা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলি, শাহজাহানপুর এবং আলিগড়ও রয়েছে এই তালিকায়। এই নগরনিগমগুলির মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরেটর পদের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসনও গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: কর্নাটক (Karnataka) ক্যাডারের আইপিএস (IPS) অফিসার প্রবীণ সুদ (Praveen Sood) হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) নয়া ডিরেক্টর। রবিবার এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সিবিআইয়ের বর্তমান প্রধানের। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নয়া সিবিআই প্রধান নির্বাচন। সেই জন্যই শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন সিবিআই প্রধান পদে তিনজনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছিল। এঁরা হলেন, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান।

    সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর…

    বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে সিবিআই ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। ২৫ মে শেষ হতে চলেছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বসেছিল বৈঠক। রবিবার ঘোষণা করা হল প্রবীণের নাম।

    বস্তুত সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন প্রবীণ। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রবীণ আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী। ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার তিনি। এর আগে টানা তিন বছর ধরে কর্নাটকের ডিজিপি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের মে মাসে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিবিআই ডিরেক্টর মনোনীত হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে হবে কমপক্ষে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দুর্নীত ও অর্থনৈতিক নানা অপরাধ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করেন সিবিআই প্রধানকে। এই পদে কাউকে মনোনীত করা হয় দু বছরের জন্য। পরে প্রয়োজনে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে তাঁর মেয়াদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share