Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • PM Modi: বালিকার আঁকা ছবি উপহার পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী মোদি, খুদেকে দিলেন বিরাট প্রতিশ্রুতি

    PM Modi: বালিকার আঁকা ছবি উপহার পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী মোদি, খুদেকে দিলেন বিরাট প্রতিশ্রুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মানুষের ভালবাসায় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর প্রতি জনগণের ভালবাসা, তাঁকে সামনে পেয়ে জনগণের আবেগ চোখ এড়ায় না প্রধানমন্ত্রীরও। ছত্তিসগড়ের (Chhatisgarh) কানকেরে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা এক ছোট্ট কিশোরীর তাঁর প্রতি ভালবাসা চোখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা

    ছত্তিসগড়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় দর্শকদের সারিতে একেবারে সামনের দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক কিশোরী। তার হাতে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি। নিজের হাতে মোদির সেই ছবিটি স্কেচ করেছে সে। যা দেখে মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তোমার এই ছবি দেখেছি। তুমি অনেক বড় কাজ করেছ। আমি তোমাকে আশীর্বাদ করছি। কিন্তু, তুমি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে? ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এখানে পুলিশকর্মীদের আমি বলছি, ওই ছবি আমার কাছে পাঠিয়ে দিতে আর তোমার বসার ব্যবস্থা করে দিতে।” প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও বলেন, “ওই ছবির পিছনে অবশ্যই তুমি তোমার ঠিকানা লিখে দেবে। আমি তোমাকে অবশ্যই চিঠি লিখব।” প্রধানমন্ত্রীর এই কথা শুনে করতালিতে ফেটে পড়ে জনসভা।

    কানকেরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম আকাঙ্খা ঠাকুর। প্রধানমন্ত্রী তার হাতে আঁকা ছবি গ্রহণ করেছেন এবং চিঠি দেবেন জানানোয় আপ্লুত সে। আকাঙ্খা জানিয়েছে, সে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভক্ত। অনেকদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। তাই বাড়ির কাছে প্রধানমন্ত্রী আসবেন শুনে একটি ছবি এঁকে নিয়ে আসে। প্রধানমন্ত্রীর চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে আকাঙ্খা।

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্নের নথি প্রকাশ! ‘কালীঘাটে জমি দখল করে বাস করছেন,’ মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    আগামী ৭ ও ১৭ নভেম্বর, দু-দফায় ভোট হবে ছত্তিশগড়ে। এদিন নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীদের একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নতিতে বিজেপি যে কাজ করছে তাকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের ওপর মানুষের আর ভরসা নেই। কংগ্রেস আর উন্নতি কখনই একসঙ্গে থাকতে পারে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas Conflict: শুরু ‘অপারেশন অজয়’! ইজরায়েল, যুদ্ধে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে সক্রিয় সরকার

    Israel-Hamas Conflict: শুরু ‘অপারেশন অজয়’! ইজরায়েল, যুদ্ধে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে সক্রিয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলে (Israel-Hamas Conflict) আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে বিমান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র সরকার। গাজায় হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত বেঁধেছে। এই পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র। বুধবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। জেরুজালেম, তেল আভিভ-সহ ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে আনুমানিক ১৮ হাজার ভারতীয় বসবাস করেন। তাঁদের কেউ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। কেউ পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। কেউ আবার পড়ুয়া।

    অপারেশন অজয় 

    জয়শঙ্কর জানান, ‘‘ইজরায়েল থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে অপারেশন অজয় শুরু করা হচ্ছে। বিশেষ চার্টার্ড উড়ান-সহ সব ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারই একটি বিশেষ উড়ান ভারত থেকে ইজরায়েলে (Israel-Hamas Conflict) গিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনবে। তারপর ধাপে ধাপে আরও যারা যারা ফিরতে চাইবেন, তাঁদের সকলকেই ফিরিয়ে আনা হবে।

    বিশেষ ব্যবস্থা মোদি সরকারের

    চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিদেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। এর আগে এপ্রিল-মে মাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান থেকে নাগরিকদের ফেরাতে ‘অপারেশন কাবেরী’ চালিয়েছিল মোদি সরকার। এবার ইজরায়েল (Israel-Hamas Conflict)। তেল আভিভের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথম স্পেশাল বিমান ইজরায়েল থেকে রওনা দেবে। এ ব্যাপারে একাধিক ভারতীয় নাগরিককে ইমেল করে জানানো হয়েছে। রেজিস্টার্ড বাকি ভারতীয়দের পরবর্তী বিশেষ বিমানগুলি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: হামাসকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা বাইডেনের, ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব

    গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উপর বড়সড় হামলা চালায় হামাস জঙ্গিরা। এর পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করে ইহুদি সেনা। গাজায় একের পর এক এয়ার স্ট্রাইক চালায় তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি থেকে তেল আভিভ পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।

    ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম

    বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইজরায়েল- প্যালেস্টাইনের (Israel-Hamas Conflict) পরিস্থিতি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য় ও সহায়তা দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে।

    কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি হল:

    1800118797 (toll free), +91-11 23012113, +91-11-23014104, +91-11-23017905 , +919968291988,

    ইমেল আইডি:

    situationroom@mea.gov.in

    অন্যদিকে তেল আভিভে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে +972-35226748, +972-543278392 নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের মেল আইডি হল cons1.telaviv@mea.gov.in

    রামাল্লাতে ভারতীয় দূতাবাসের কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল +970-592916418 (WhatsApp-ও)

    ইমেল আইডি হল rep.ramallah@mea.gov.in

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: লাইনে পাথর, লোহার রড! চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়াল বন্দে ভারত

    Vande Bharat: লাইনে পাথর, লোহার রড! চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়াল বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৫০ মিটার জুড়ে লাইনের ওপর সারি সারি বসানো ছোট-বড় পাথর। তা দেখেই লোকো পাইলট বুঝতে পেরেছিলেন, কিছু গণ্ডগোল রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন ব্রেক কষলেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় উদয়পুর-জয়পুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। দেখা যায়, শুধু পাথর নয়, ফিশ প্লেটের জায়গায় লাইন বেঁকিয়ে লম্বালম্বি পুঁতে রাখা রয়েছে প্রায় এক ফুট দৈর্ঘ্যের একটি লোহার রড! বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটাতে কোনও নাশকতামূলক চক্রান্ত ছিল এটা। তবে, কপালজোরে এবং চালকের বুদ্ধিমত্তায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় রেল। প্রাণে বেঁচে যান বহু মানুষ। 

    প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে নাশকতার ছক!

    ঘটনাটি সোমবারের। ঘটেছে রাজস্থানের চিতোরগড়ে। ওই দিন সকালে জয়পুর যাওয়ার পথে রেললাইনে পাথর, লোহার রড দেখে সতর্ক হয়ে যান চালক। আপৎকালীন ব্রেক কষে উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী বন্দে ভারত (Vande Bharat) থামিয়ে দেন চালক। রেলের কন্ট্রোলে খবর দেন চালক। রেলকর্মীরা এসে লাইনের উপর থেকে পাথর সরিয়ে দেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, চিতোরগড়ের কাছে গঙ্গরার এবং সোনিয়ানা স্টেশনের মাঝে লাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। আর এই ঘটনা ঘটল এমন এক দিনে, যেদিন সেই শহরেই সভা ছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi)। 

    রাজস্থান ভোটকে লাইনচ্যুত করতেই কি!

    সামনেই রাজস্থানে বিধানসভা ভোট (Assembly Elections 2023)। সেই প্রেক্ষিতে সোমবারই চিতোরগড়ে নির্বাচনী প্রচার সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ঠিক তার কিছুক্ষণ আগে সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই রাজস্থানে বন্দে ভারত লাইনচ্যুত করার ছক কষা হয়েছিল কি? এই মুহূর্তে ভারতীয় রেলের পোস্টার বয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) এই ট্রেনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বন্দে ভারতকেই ভবিষ্যতে ভারতীয় রেলের প্রধান ট্রেন হিসেবে তুলে ধরেছে। এর আগে, ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। কিন্তু, লাইনে এক ফুট লম্বা লোহার রড পোঁতা! এটা কখনও হয়নি।

    উত্তর-পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশী কিরণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘লাইনে দু’টি এক ফুট লম্বা লোহার রড ছিল। চালকের তৎপরতায় সেগুলি সরানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ৬ দিনে ৪ ভোটমুখী রাজ্যে ৮ সভা! ম্যারাথন নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: ৬ দিনে ৪ ভোটমুখী রাজ্যে ৮ সভা! ম্যারাথন নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যে আট সভা। আগামী ৬ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কর্মসূচি এমনটাই। যার শুরুটা হল শনিবার। যা চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

    ৩০ সেপ্টেম্বর-৬ অক্টোবর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর

    আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে চলতি বছরের শেষে হতে চলেছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections 2023)। এই পাঁচ রাজ্য হল— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, ছত্তিসগড় ও মিজোরাম। এই নির্বাচনগুলি অনেকটা ফাইনালের আগে হওয়া সেমি ফাইনালের মতোই। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করে নিতে তৎপর সব পক্ষই। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে আবার প্রথম চারটিতে ভাল ফল করতে চাইছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই।

    এই পরিস্থিতিতে, শনিবার থেকে ভোট প্রচারে (Assembly Elections 2023) জোরকদমে নামছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার থেকেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে মেগা নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদির। এই সময়ে মোদি চার রাজ্যে থাকবেন। সেগুলি হল— মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা ও ছত্তিসগড়। এই ৬ দিনে আটটি র‌্যালিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রচার ঝড় তুলবেন নমো। কোথাও পরিবর্তনের ডাক তো কোথাও প্রত্যাবর্তনের আশ্বাস। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের সূচনাও করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেস-শাসিত ছত্তিসগড় সরকারকে আক্রমণ মোদির

    এদিন ছত্তিসগড় দিয়ে বৃহৎ নির্বাচনী (Assembly Elections 2023) কর্মসূচির সূচনা করলেন মোদি (Narendra Modi)। শনিবার বিলাসপুরে বিজেপির দু’টি পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন মহাসংকল্প’ সমাবেশ। পাশাপাশি, বিলাসপুরের বিজ্ঞান কলেজ মাঠে বক্তব্য পেশ করেন। এদিন বিলাসপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, ‘‘মদ থেকে গোবর, সবতেই দুর্নীতি করেছে এই প্রশাসন।’’ রাজ্যের শাসক শিবিরের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি সংসদে মহিলা বিল পাশ করা এবং কংগ্রেস আমলে সেটা যে দীর্ঘদিন আটকে ছিল, তাও উত্থাপন করেন মোদি। বলেন, ‘‘আরও একটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি আমি। নারী শক্তি আজ বাস্তব। গত ৩০ বছর ধরে আটকে ছিল।’’

     

     

    পরপর জনসভা ও একাধিক সরকারি কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদির

    আগামিকাল, ১ অক্টোবর তেলঙ্গনার মেহবুবনগর জেলায় যাবেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা। রেল পরিষেবারও সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি যাবেন নিজামের শহরে। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যলয়ে নতুন পাঁচটি ভবন তৈরি করা হয়েছে। ভবনগুলির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশে যাবেন মোদি। গোয়ালিয়রে দুটি জনসভা (Assembly Elections 2023) করার কথা। জবলপুর এবং জগদলপুরেও জনসভা করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী যাবেন রাজস্থানের চিতোরগড়ে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও সভা করবেন তিনি। ৩ অক্টোবর, তেলঙ্গানার নিজামাবাদ এবং তার পরে লাগোয়া ছত্তিসগড়ের জগদলপুরে মোদির জনসভা কর্মসূচি রয়েছে। এর পর ৬ তারিখ মোদি ফের যাবেন রাজস্থানে। সেখানে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের শহর জোধপুরে বিজেপির সমাবেশে অংশ নেবেন মোদি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পক্ষে। এরপরেই তোড়জোড় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই আগ্রহ এবং কৌতূহল দুটোই বাড়ছিল যে কবে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের! এবার নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গেল। রাম মন্দির (Ram Mandir) কনস্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কের অবসান আগেই করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়দানের মাধ্যমে, এবার মন্দির উদ্বোধন হলে পূর্ণতা পাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও শুভ মুহূর্তে হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, সেদিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। এরপর ১০ দিন ধরে চলবে আচার-অনুষ্ঠান। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন আরও জানিয়েছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তিন তলা মন্দিরের  একতলার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। 

    কবে খুলছে রাম মন্দিরের দরজা 

    রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণশৈলী বিশেষভাবে করা হয়েছে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন যে মন্দিরের শিখরে এমন একটি জিনিস বসানো হচ্ছে যাতে প্রতি বছর রামনবমীর দিন সূর্যের আলো ঠিক রামের মূর্তির মাথায় পড়বে। এটির নির্মাণকার্য ইতিমধ্যে চলছে বেঙ্গালুরুতে। ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের জন্য রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে আড়াই একর জমির উপরে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় আট একর জায়গায়।

     

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Varanasi Cricket Stadium: আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিবের ছোঁয়া! শিলান্যাস করবেন মোদি

    Varanasi Cricket Stadium: আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিবের ছোঁয়া! শিলান্যাস করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটে ভারতে স্টেডিয়ামের তালিকায় আরও একটি স্টেডিয়াম যোগ হতে চলেছে। বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের নতুন একটি স্টেডিয়াম। আইসিসি-র সমস্ত নিয়ম মেনে তৈরি করা হচ্ছে এই স্টেডিয়ামটি। প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকা উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে (Varanasi Cricket Stadium) এই অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। শনিবার নতুন স্টেডিয়ামের শিল্যান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নতুন স্টেডিয়ামের থিম শিব 

    বারাণসীর নতুন স্টেডিয়াম (Varanasi Cricket Stadium) তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভাবনায়। যাতে থাকবে কাশী এবং শিবের ছোঁয়া। গ্যালারির আকৃতি হবে শিবের মাথায় থাকা এক ফালি চাঁদের মতো। স্টেডিয়ামের প্রবেশপথ হবে বেলপাতার আদলে। ফ্লাডলাইটের স্ট্যান্ড হবে ত্রিশূলের মতো দেখতে। ৩০.৬ একর জমিতে এই স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টার হবে ডমরুর আদলে। গ্যালারি তৈরি করা হবে বারাণসীর গঙ্গার ঘাটগুলির আদলে। একসঙ্গে ৩০ হাজার দর্শক বসে এই স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে পারবেন। নতুন এই স্টেডিয়ামে থাকবে মোট ৭টি পিচ (প্রধান এবং অনুশীলনের মিলিয়ে)। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। কানপুর এবং লখনউয়ের পর এই স্টেডিয়াম হবে বারাণসীর তৃতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

    আরও পড়ুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশে “মা-বোনেদের স্বপ্নপূরণ’’, মহিলাদের প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর

    স্টেডিয়ামের জন্য খরচ ৪৫১ কোটি

    বারাণসী রিং রোডের পাশে গঞ্জারি গ্রামে নতুন স্টেডিয়ামের (Varanasi Cricket Stadium) জন্য জমি চিহ্নিত করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। জমি অধিগ্রহণ করতে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের খরচ হয়েছে ১২১ কোটি টাকা। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বরাদ্দ করেছে ৩৩০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নতুন স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৪৫১ কোটি টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। শনিবারের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল গাওস্কর, রবি শাস্ত্রী, দিলীপ বেঙ্গসরকারেরা। থাকবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিনি এবং সচিব জয় শাহও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Vande Bharat: রবিবার থেকে রাজ্যে ছুটবে আরও ২টি বন্দে ভারত, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

    Vande Bharat: রবিবার থেকে রাজ্যে ছুটবে আরও ২টি বন্দে ভারত, উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের সুবিধা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সবটাই রয়েছে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে। যা নিয়ে  সারা ভারতবর্ষে চর্চা চলে। এরই মধ্যে রবিবার আরও ন’টি নতুন বন্দে ভারতের (Vande Bharat) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে সারাদেশে ২৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চলে। নতুন ন’টি চালু হওয়ার পর বন্দে ভারত ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৪টি। যার মধ্যে বাংলাতে পাটনা-হাওড়া বন্দেভারত এবং হাওড়া-রাঁচি  রয়েছে এই তালিকায়। নতুন বন্দে ভারতগুলিকে ২৫টি নয়া ফিচার জোড়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন নয়া ট্রেনগুলির

    জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনগুলির উদ্বোধন করবেন। নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি রবিবার ন’টি বন্দে ভারতের (Vande Bharat) উদ্বোধন করতে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীকে। যে ২৫টি নতুন ফিচার যোগ করা হচ্ছে নয়া বন্দে ভারত ট্রেনগুলিতে সেগুলির মধ্য উল্লেখযোগ্য হল, ট্রেনের সিটগুলিকে আরও বেশি ঘোরানো যাবে, বসার আসনগুলি আরও আরামদায়ক হচ্ছে। কামরাগুলির সিটের রং এবার থেকে লাল থেকে বদলে নীল হয়ে যাচ্ছে, সিটের নিচে যে মোবাইল চার্জিং পয়েন্টগুলি থাকে, সেগুলিও সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি সামনে পা রাখার জায়গাটাও প্রশস্ত করা হচ্ছে। ওয়াশ বেসিনের জল যাতে ছিটকে যাত্রীদের গায়ে না লাগে সেজন্য ওয়াশ বেসিনগুলিকে আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে গভীর করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভোল বদলে যাচ্ছে টয়লেটগুলির।

    রাজ্যে ফের জোড়া বন্দে ভারত (Vande Bharat)

    কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নতুন ন’টি বন্দে ভারত উদ্বোধনের (Vande Bharat) সময় ওড়িশা বা রাজস্থানে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার থেকেই বাংলায় পাঁচটি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়ে যাচ্ছে। এর আগে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী এই তিন রুটে বন্দে ভারত ট্রেনের পরিষেবা শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পাটনা-হাওড়া এবং রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, আপ এবং ডাউন রুটে হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যে স্টেশনগুলিতে স্টপ নেবে সেগুলি হল, আসানসোল, জসিডি, ঝাঝা, লক্ষীসরাই, মোকামা এবং পাটনা সাহিব। হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারতের ট্রায়াল গত ৫ অগাস্ট এবং ১২ অগাস্ট সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৫৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে এই বন্দে ভারত (Vande Bharat) সময় নেবে সাড়ে ৬ ঘণ্টার মতো। অন্যদিকে হাওড়া-রাঁচি রুটে বন্দে ভারত চালু করার প্রস্তুতিও একেবারে শেষ। আগামী রবিবার থেকে শুরু হয়ে যাবে পরিষেবা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    PM Narendra Modi: মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদির ‘মাস্টারস্ট্রোক’, এক সিদ্ধান্তেই দিশেহারা বিরোধী-জোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পেশ করে কি এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)? দুই পাখির একটি হল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় পাখি হল— বিরোধী-ঐক্যকে বা বলা ভাল, অধুনা ‘ইন্ডি’ জোটের ঐক্যকে খান-খান করা। নরেন্দ্র মোদির এই এক সিদ্ধান্তেই বিরোধীদের ‘রাতের ঘুম’ যে উড়ে গিয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অন্তত এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মঙ্গলবার, গণেশ চতুর্থীর পুণ্য-লগ্নে নতুন সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনেই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। প্রথমেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল, ২০২৩) লোকসভায় পেশ করে মোদি সরকার। দেশের সংসদ ও রাজ্যগুলির বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে এই বিলে। মহিলা সংরক্ষণ ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করার কথা ভেবে আসছিল সাম্প্রতিককালে-গঠিত বিরোধীদের ‘ইন্ডি’ জোট। 

    ইস্যু হারিয়ে দিশাহীন ইন্ডি-জোট!

    কিন্তু, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দেওয়ায় বিরোধীদের মুখের গ্রাস সেখানেই কেড়ে নেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিকে, ইস্যু হাত ফস্কে বেরিয়ে যাওয়ায় সেই থেকেই বিরোধীরা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে। ইন্ডি-জোট যেখানে ভেবেছিল, মোদিকে কোণঠাসা করবে, সেখানে দেখা যায়, উল্টে তারাই চাপে পড়ে গিয়েছে। কারণ, এখন মহিলা সংরক্ষণ বিলের স্বপক্ষেই যাওয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনও পথ নেই। বিরোধীরা ভালমতোই বুঝতে পারছে, তারা যদি এখন সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করার স্বার্থে মহিলা বিলকে (Womens Reservation Bill) সমর্থন না করে, তাহলে, দেশবাসীর সামনে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়বে। অন্যদিকে, সমর্থন করলেও আখেরে লাভ হবে বিজেপি তথা এনডিএ-র। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর পুরো ফায়দা যে বিজেপির ঘরেই উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই নিয়ে ইন্ডি-জোট উভয় সঙ্কটে। যে কারণে, তারা এখন কৃতিত্বের দাবি করে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়।

    অতীতে বিরোধিতা, এখন সমর্থন বিরোধীদের!

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা এই বিলকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী-জোটের ‘হেড অফ দ্য ফ্যামিলি’ কংগ্রেস। সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে বিরোধী জোট-শরিক সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও বহুজন সমাজ পার্টির তরফে। এমনকি, সমর্থন জানাতে সম্মত হয়েছে বিজেপির একসময়ের শরিক তথা বর্তমানে বিরোধী ধরের সদস্য নীতীশ কুমারের জেডিইউ। এখানে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হবে প্রথম তিন শরিক দলের। কারণ, এই দলগুলিই এক সময় সংসদে পেশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) নাকচ করেছিল। সেই ইতিহাসের সাক্ষী রয়েছে সদ্য-প্রাক্তন হওয়া সংসদ ভবন। এখন এই দলগুলির সামনের সারিতে একাধিক মহিলা মুখ আসায়, মনোভাবও পাল্টাতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

    মহিলা ভোটাররাই বিজেপির শক্তি

    পাশাপাশি, আরেকটা চিন্তা যা বিরোধীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে তা হল ভোট ব্যাঙ্ক হাতছাড়া হওয়ার ভয়। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিল সংসদে পাশ হয়ে গেলে ভোটে সবচেয়ে লাভবান হবে বিজেপি। তাঁদের মতে, বিজেপির মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক বিপুলভাবে ফুলে উঠবে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় এক শতাংশ ভোট বেশি ছিল মহিলাদের। আবার মহিলা ভোটারদের বেশিরভাগ পছন্দ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে মহিলাদের ভোটদানের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৬ শতাংশ আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২০ শতাংশ মহিলা ভোট। পাঁচ বছর আগে, ২০১৪ সালে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ২৯ শতাংশ মহিলা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে বিজেপির মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। 

    নরেন্দ্র মোদির ‘গেম-চেঞ্জার’ সিদ্ধান্ত!

    আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১২টি এমন রাজ্য ছিল যেখানে পুরুষদের থেকে বেশি সংখ্যক মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ২টো রাজ্য বাদ দিয়ে বাকি ১০টিতে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গেরুয়া শিবির মহিলাদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সেই তালিকার অন্যতম ছিল তিল তালাক নিষিদ্ধ করা। এর পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনা, মহিলাদের মুদ্রা ঋণ, পোষণ প্রকল্প, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও-এর মতো কর্মসূচি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। এবার, মহিলা সংরক্ষণ বিল (Womens Reservation Bill) পাশ হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে এই শতাংশের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। আর ঠিক এই জন্যই, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হল সংসদের বিশেষ সংক্ষিপ্ত অধিবেশন (Parliament Special Session)। এদিন অধিবেশনের শুরুতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি বিরোধীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার, গণেশ চতুর্থীর পুণ্য তিথি থেকে অধিবেশন বসবে নতুন সংসদ ভবনে।

    মোদির কথায়  চন্দ্রযান ৩ এবং জি২০-র সাফল্য

    এদিন বক্তব্যের রাখতে গিয়ে মোদির (Narendra Modi) কথায় উঠে আসে চন্দ্রযান ৩ এবং জি২০-র সাফল্য। তিনি বলেন, “চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে শুধু ভারত নয় সারা বিশ্ব অভিভূত। দেশের মধ্যে একটা নতুন আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, জি২০ বৈঠকের সাফল্য কোনও দল বা ব্যক্তির নয়, গোটা দেশের। জি২০ সম্মেলনে দেশের বৈচিত্রের উদ্‌যাপন হয়েছে।” জি২০ সম্মেলনের শীর্ষ বৈঠক সফল ভাবে আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনকে (Parliament Special Session) ‘ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। এই প্রেক্ষিতে পুরনো কথা ভুলে বিরোধীদের এগিয়ে আসার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “পুরনো কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে এগিয়ে আসুন।” সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘সংসদে ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বড় অধিবেশন। কারণ, এই অধিবেশনে নেওয়া হবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’’ এর পাশাপাশি বিরোধীরা যাতে সময় নষ্ট না করেন, সেই কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন।”

    গণেশ চতুর্থীতে নতুন ভবনে ‘গৃহপ্রবেশ’

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ঘোষণা করেন, গণেশ চতুর্থীর দিনেই নব-নির্মিত সংসদ ভবনে বসবে অধিবেশন। তিনি বলেন, ‘‘আগামী মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিনই নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন সাংসদেরা। সব বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে ভারত সব স্বপ্ন এবং সঙ্কল্প পূরণ করবে।” এর পাশাপাশি তিনি জানালেন যে, পুরনো ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হিসাবে রয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি! পিছনে ফেললেন কোন কোন বড় নেতাদের?

    PM Modi: জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদি! পিছনে ফেললেন কোন কোন বড় নেতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর একটি সমীক্ষা অনুসারে জনপ্রিয়তার নিরিখে ৭৬ % মানুষের সমর্থন রয়েছে মোদির ঝুলিতে। বিশ্বের তাবড়-তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষস্থান পেলেন তিনি। তাঁর ধারে-কাছে নেই জো বাইডেন, ঋষি সুনকের মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রনেতারা। এটা দেশবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা ও তাঁর প্রতি জনগণের আস্থার বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি বলে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সমর্থন

    গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং ট্র্যাকার-এর রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৭৬ শতাংশ মানুষ। তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৮ শতাংশ মানুষ। আর ৬ শতাংশ মানুষ কোনও মতামত জানাননি। জনপ্রিয় নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলাইন বারসেট এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তাঁদের প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ৬৪ শতাংশ ও ৬১ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: ৫৪০০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত ‘যশোভূমি’, রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কী এক বৈশিষ্ট্য?

    আর কে কোথায়

    জনপ্রিয়তার নিরিখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ দ্য সিলভা ৪৯ শতাংশের সমর্থন পেয়ে রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ রয়েছেন পঞ্চম স্থানে। ৪৮ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে ইটালির প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেয়েছে ৪০ শতাংশের সমর্থন। তিনি আছেন সপ্তম স্থানে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন অষ্টম স্থানে। তিনি পেয়েছেন ৩৯ শতাংশের সমর্থন। ৩৮ শতাংশের সমর্থনে আয়াল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকর নবম স্থান পেয়েছেন। দশম স্থানে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পেয়েছেন ৩৭ শতাংশের সমর্থন। ঋষি সুনকের রেটিং ২৭%, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমর্থন ২৪ শতাংশ। প্রথম দশে স্থান হয়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। স্থান হয়নি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ-র।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share