Tag: PM Narendra Modi

PM Narendra Modi

  • Adhir Chowdhury: লোকসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

    Adhir Chowdhury: লোকসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury)। জানা গিয়েছে, লোকসভায় অসংসদীয় আচরণের জন্য অধীর চৌধুরীর বিষয়টি আপাতত প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে এবং যতদিন না এই তদন্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে এবং কমিটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত লোকসভা থেকে সাসপেন্ড থাকবেন বহরমপুরের সাংসদ।

    এবিষয়ে কী বললেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী?

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন,  ‘‘নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে হাউসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তথ্য ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এমন কিছু কথা তিনি বলেন যার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কিন্তু তার জন্য তাঁকে কখনও ক্ষমা চাইতে পর্যন্ত দেখা যায়নি।’’ এরপরে স্পিকারের কাছে অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার জন্য আবেদন করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। প্রহ্লাদ জোশির আরও বক্তব্য, ‘‘অধীর চৌধুরীর এই ধরনের অসংসদীয় কাজের জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক এবং যতদিন না রিপোর্ট আসছে তিনি সাসপেন্ড থাকুন।’’ শেষ পর্যন্ত সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর এই  প্রস্তাব মেনে নেন লোকসভার স্পিকার এবং সাসপেন্ড করা হয় বহরমপুরে সাংসদকে (Adhir Chowdhury)।

    বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ মোদির

    বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবী ভাষণে এদিন সংসদে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্য রাখার সময় পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই এবং জাতীয় স্তরে সেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটকে নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) সাইড লাইন করেছে দল। বাংলা থেকে কি তবে ফোন এসেছিল বলেই তাকে এভাবে কোণঠাসা করা হয়েছিল?’’ পাশাপাশি এদিন কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) গুড়কে গোবর বানিয়ে দিতে পারেন!’’ কংগ্রেস-তৃণমূলের জাতীয় স্তরে জোটকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামেদের সঙ্গে একসময় হাত মিলিয়ে ছিল কংগ্রেস। আবার সেই কংগ্রেসই এখন তৃণমূলের সঙ্গে জোট করছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Narendra Modi: ‘অষ্টলক্ষ্মী’র সঙ্গে মোদির বৈঠকে হরেক রকম পদ! জানেন কী কী রয়েছে তালিকায়?

    Narendra Modi: ‘অষ্টলক্ষ্মী’র সঙ্গে মোদির বৈঠকে হরেক রকম পদ! জানেন কী কী রয়েছে তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে ১২ দিন ধরে ধারাবাহিক বৈঠক করে ২০২৪-এর দিশা স্পষ্ট করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সেই পর্বেই আজ অসম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিমের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কিরেন রিজিজু এবং নীতিন গড়করিরও৷

    ‘অ্যাক্ট ইস্ট’-এ জোর মোদির

    ৯ বছর আগে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে মোদি (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সার্বিক উন্নয়নকে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। তাই ইউপিএ সরকারের দেওয়া ‘লুক ইস্ট’ নাম পরিবর্তন করে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ উত্তর-পূর্বের আট রাজ্যকে একযোগে ‘অষ্টলক্ষ্মী’ নামও দিয়েছিলেন মোদি৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলি তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এই রাজ্যগুলি তাদের রান্নায় অনন্য স্বাদের জন্য গর্ব করে। তাই এই আটটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের জন্য মেন্যুতে থাকছে হরেক বাহার।

    আটটি রাজ্যের হরেক খাবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতিটি রাজ্যের বিশেষত্ব ধরে রেখে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সামনে তাদের বিশেষত্ব তুলে ধরতে চায়। উত্তর-পূর্বের প্রবেশ দ্বার অসমের প্রতিনিধিধিরা ঐতিহ্যবাহী জোহা ভাত, আলু পিটিকা এবং সতেড ঢেকিয়া জাক পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। জোহা চাল হল অসমের একটি বিশেষ চাল। যা এর স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য পরিচিত। আলু পিটাকা হল মূলত সরষের তেল, সবুজ মরিচ, ধনে এবং পেঁয়াজ দিয়ে মাখা আলু সেদ্ধ। ঢেকিয়া জাক, বেহালা ফার্ন নামেও পরিচিত, জনপ্রিয় প্রোটিন-সমৃদ্ধ সবুজ শাক যা রান্না করা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: করোনার নয়া রূপ ‘এরিস’! সংক্রমণের হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রিটেনে, বঙ্গেও কি ভয়?

    সিকিমের মোমো থেকে মণিপুরের ক্ষীর 

    হিংসায় জর্জরিত মণিপুর। সেখানে শান্তি ফেরাতে মরিয়া সরকার। সেই মণিপুর থেকে সিংজু এবং চক হাও ক্ষীর পরিবেশন করা হবে। সিংজু ছানার গুঁড়ো, লবণ, মরিচ এবং সবুজ শাক দিয়ে তৈরি করা হয়। ক্ষীর হল খাঁটি কালো চালের তৈরি একটি পুডিং, যা মণিপুর থেকে শুধু ভারতের মধ্যেই নয়, সারা বিশ্বে রফতানি করা হয়। নাগাল্যান্ড রাতের খাবারের জন্য তার ঐতিহ্যবাহী সেদ্ধ সবজির কথা বলেছে। মিজোরাম থেকে অতিথিদের পরিবেশন করা হবে পুরুন জুং বাই, বসন্ত পেঁয়াজ সহ কিছু শিকড় দিয়ে তৈরি একটি খাবার। ত্রিপুরা থেকে পাঁচ ফোরোন (প্রথাগত পাঁচ-মশলা পাউডার দিয়ে টেম্পারিং) সহ একটি বাংলা-শৈলীর মিশ্র উদ্ভিজ সবজি পরিবেশন করা হচ্ছে। সিকিম সবসময়ের প্রিয় খাবার মোমো তৈরি করবে। মেঘালয়ের প্লেটে থাকবে ভাজা বীটরুট পাতার রেসিপি। অরুণাচল প্রদেশ থেকে খাইসা ফ্রাই পরিবেশন করা হবে। এটি ভাজা কাঁচা বাঁশের ডালের একটি খাবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Narendra Modi: দিল্লিতে খুদেদের সঙ্গে প্রদর্শনীশালায় মোদি! ট্যুইট করলেন ভিডিও

    PM Narendra Modi: দিল্লিতে খুদেদের সঙ্গে প্রদর্শনীশালায় মোদি! ট্যুইট করলেন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাচ্চাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) খুব সহজেই মিশে যেতে পারেন। ফের একবার দেখা গেল এই চিত্র দিল্লির প্রগতি ময়দানে। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তার মাঝে সময় বের করে শনিবার দিল্লিতে সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলনের প্রাক্কালে ‘ভারত মণ্ডপম’-এ আয়োজিত শিশুদের এক প্রদর্শনীশালায় গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী। খুদেদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলির ভিডিও পোস্টও করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে। শিশুদের ইচ্ছা আর উৎসাহে তাঁর মন ভরে গিয়েছে, এই ছিল প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটের ক্যাপশন।

    আরও পড়ুুন: “কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি”, বললেন অমিত শাহ 

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, খুদেরা ‘মোদিজী’ বলে তাঁর কাছে এগিয়ে আসছে এবং ‘নমস্কার’ বলে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিও শিশুদের সঙ্গে মুহূর্তের মধ্যে মিশে গেলেন। ঠিক যেন তিনি তাদের বন্ধু। কোনও কোনও বাচ্চা রং-তুলি নিয়ে ছবি আঁকছে এবং সেটা অতি উৎসাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে দেখাচ্ছে। এক শিশু তো এগিয়ে এসে সরাসরি বলছে, “মোদিজী আপনাকে টিভিতে দেখেছি।” তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাল্টা প্রশ্ন, “টিভিতে কী দেখেছ?”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) লেখেন, “ছোট্ট বাচ্চাদের সঙ্গে আনন্দের কিছু মুহূর্ত! তাদের ইচ্ছা আর উৎসাহে মন আনন্দে ভরে যায়।”
    প্রসঙ্গত, দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) তৃতীয় বর্ষে পা দিল। তারই উদযাপন উপলক্ষ্যে এদিন পুরানো প্রগতি ময়দানে অবস্থিত ‘ভারত মণ্ডপম’-এ শিশুদের নিয়ে এক প্রদর্শনীশালার আয়োজন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Coromandel Express: রেল দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায়  শেষ খবর পাওয়া অবধি মৃত কমপক্ষে ৩০। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

    ট্যুইটে কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী?

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট লেখেন, ‘‘ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ। মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’

    রাষ্ট্রপতির শোকপ্রকাশ

    রাষ্ট্রপতি এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে লেখেন, ‘‘ওড়িশার বালাসোরে এই রেলদুর্ঘটনায় খবরে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি।’’

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ

    অমিত শাহ তাঁর ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘রেল দুর্ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। এনডিআরএফ এর দল ওখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’’

    নিহত এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা কেন্দ্রের
     

    দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁরা পাবেন ২ লাখ টাকা এবং বাকি আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

     

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    হাওড়া স্টেশনের জন্য:০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়গপুর স্টেশনের জন্য: ৮৯৭২০৭৩৯২৫,৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর স্টেশনের জন্য: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯,৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার স্টেশনের জন্য: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur City Centre: জবরদখল ঠেকাতে কেন্দ্রের দেখানো পথেই রাজ্য, তৈরি হচ্ছে ‘নগরবন’!

    Durgapur City Centre: জবরদখল ঠেকাতে কেন্দ্রের দেখানো পথেই রাজ্য, তৈরি হচ্ছে ‘নগরবন’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেষজ উদ্যান জবরদখল হয়ে বদলে গিয়েছিল শুয়োরের খোঁয়াড়ে। এবার সেই জবরদখল ঠেকাতে পরিত্যক্ত জমিতে তপোবনের আদলে শহরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নগরবন। দূষণমুক্ত সবুজ অরণ্যের পাশাপাশি সেখানে থাকবে শিশুদের খেলার উদ্যান, বয়স্কদের জন্য পার্কিং, জগিং ট্র্যাকের ব্যবস্থা। দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগরের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জোরকদমে চলছে নগরবন তৈরির কাজ।

    এ রাজ্যে কেন্দ্রের প্রকল্পটি কী?

    প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় এরাজ্যের দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তৈরি হয়েছে নগরবন। দুর্গাপুর, বিষ্ণুপুর সহ সারা দেশের ৭৫ টি জায়গায় একসঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই নগরবনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্গাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের পারুলিয়ায় প্রস্তাবিত ২৫ হেক্টর জমিতে নগরবনের কাজের উদ্বোধন হয়। দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পাশাপাশি এখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া, বীরভুম, দুই বর্ধমান সার্কেলের বন আধিকারিক কল্যাণ দাস। এছাড়াও ছিলেন সচিব সোমা দাস। দুর্গাপুরের পারুলিয়ায় ২৫ হেক্টর জমি ছাড়াও এই রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে ১০ হেক্টর জমিতে তৈরি হচ্ছে নগরবন।

    রাজ্য কোথায় তৈরি করছে নগরবন?

    দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগর এলাকায় আরও দুটি নগরবন তৈরি করছে বন দফতর। জাতীয় সড়ক লাগোয়া নির্ধারিত জমি দুটি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ)। ব্যবহার না হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সিটি সেন্টার ডিভিসি মোড়ের কাছে সড়কের একদিকে তৈরি হচ্ছে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়। রয়েছে রাজ্য সরকারের অতিথি নিবাস। এছাড়াও রয়েছে এনার্জি পার্ক, ভগৎ সিং ক্রীড়াঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বামফ্রন্ট জমানায় ওই জমিতে ভেষজ উদ্যান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, ভেষজ উদ্যান অচিরেই জবরদখলের কব্জায় চলে যায়। বিশাল ওই জমির একপ্রান্তে কাজুবাদাম গাছের বাগান ছিল, আবার অপরদিকে গজিয়ে ওঠে শুয়োর চাষের খোঁয়াড়। আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শুয়োর চাষ ও নোংরা-আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বারবার প্রশ্নের মুখে দুর্গাপুর নগর প্রশাসন। এমনকী তার উল্টোদিকে অতিথি নিবাসে মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিযাপন করায় বিষয়টি নজরে পড়ে। শহরের মাঝে জমা নোংরা জঞ্জালে এককথায় নরক তৈরি হয়েছিল। একইরকম ভাবে বিধাননগরের ওই পরিত্যক্ত জমিতে জবরদখল ক্রমবর্ধমান ছিল। আর এই জবরদখল মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে এডিডিএ’র। জবরদখলের ফলে শহরের সৌন্দর্যায়ন, সবুজায়ন সব মুখ থুবড়ে পড়ে।  

    কী থাকছে এই নগরবনে?

    রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মদত থাকায় জবরদখল উচ্ছেদে বাধাও পেতে হয় এডিডিএ-কে। তবে সম্প্রতি জবরদখল রুখতে কঠোর হয় এডিডিএ। গত কয়েকমাস ধরে শহরের সরকারি জমির ওপর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তারা। এদিকে শহরকে সৌন্দর্যায়ন করতে ও দূষণমুক্ত পরিবেশের লক্ষ্যে সবুজায়নের উদ্যোগ নেয় দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগ। সেই মতো এডিডিএ র কাছে ২৫ হেক্টর জমির আবেদন করে দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগরে দুটি জমি পাওয়া যায়। ওই দুই জায়গা নগরবন তৈরির জন্য দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগের হাতে তুলে দেয় এডিডিএ । গত দুমাস ধরে ওই দুটি জায়গায় নোংরা জঞ্জাল ও আগাছা সাফাই করা হয়। তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। ওই জমির ওপর বড় গাছগুলিকে অক্ষত রেখে খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু হয়। মাটি কেটে জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। জলাশয়ের পাড়ে বসানো হচ্ছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও আমলকি, বহড়া, হরিতকি, অশোক সহ নানান ভেষজ ঔষধি চারাগাছ লাগানোর কাজ চলছে। এছাড়াও ইট ও বাঁশের বেত দিয়ে সৌন্দর্যয়ানের কাজ। স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। বন দফতর সুত্রে জানা গেছে, অনেকটা পৌরানিক যুগের তপোবনের আদলে তৈরি হবে নগরবন। থাকবে প্রজাপতি, পাখিদের আবাসস্থল। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে নগরবন। বয়স্কদের জন্য যেমন জগিং ট্র্যাক থাকবে, তেমনই ছোটদের জন্য বিনোদনের পার্ক থাকবে। এছাড়াও তৈরি হবে শ্রুতিবন। যেখানে মৃত পূর্বপুরুষদের নামে একটি করে চারাগাছ লাগাতে পারবেন ইচ্ছুকরা। এছাড়াও থাকবে নক্ষত্রবন। রাশিফল ও গ্রহ নক্ষত্রের দোষ কাটাতে যেসমস্ত গাছ ব্যাবহার করা হয়, ওইসব গাছ লাগানো হবে।  

    সরকারি আধিকারিকরা কী জানালেন?

    আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজনৈতিক মদতপুষ্ট লুটেরাদের হাত থেকে সরকারি জমি বাঁচাতে এবং শহরকে সৌন্দর্যায়ন ও সবুজায়ন করতে এই উদ্যোগ। এখনও পর্যন্ত এরকম পরিত্যক্ত ৪টি প্লট পাওয়া গেছে। সেগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সবুজায়নের জন্য।” দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনাধিকারিক বুদ্ধদেব মন্ডল জানান, “শহরের অব্যবহৃত জমির জন্য এডিডিএ ও ডিএসপি র কাছে আবেদন করা হয়েছিল। প্রায় ২৫ হেক্টর জমি পাওয়া গেছে। তার ওপরই (Durgapur City Centre) শহর কেন্দ্রিক এই নগরবন তৈরির কাজ হচ্ছে। মূলত দূষণ রোধের পাশাপাশি মানুষকে প্রাণ ভরে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এই নগরবনে দেশীয় গাছ লাগানো হবে। ফলের বাগান তৈরি হবে। যোগব্যায়ম, শিশুদের খেলাধূলার ব্যাবস্থা থাকবে। সুন্দর প্রাকৃতিক মনরোম পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ-র প্রভাব পড়বে ৮ আসনে! রাজ্যের উদ্বাস্তু ভোট যাবে বিজেপির ঝুলিতে, দাবি রিপোর্টে

    CAA: সিএএ-র প্রভাব পড়বে ৮ আসনে! রাজ্যের উদ্বাস্তু ভোট যাবে বিজেপির ঝুলিতে, দাবি রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইন বরাবরই পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। গত ১১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে সিএএ। নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বাস্তবায়নের প্রয়োজন ঠিক কতটা— এনিয়ে একাধিক সমীক্ষা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে। প্রতিটি সমীক্ষাতেই উঠে আসে নাগরিক আইনের বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা। সম্প্রতি, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। সমীক্ষা অনুযায়ী, কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গের ৮ লোকসভা আসনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং তা বিজেপিকে বিপুল অক্সিজেন জোগাবে।

    কেন সিএএ-র প্রয়োজন ছিল?

    এই আইনকে বাস্তবায়নের প্রয়োজন কেন হল? তার কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিভিন্ন সমীক্ষা চালায় পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। ওই সমীক্ষায় উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসা সেদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীরা অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছেন। তাঁদের কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকার পায় নিজেদের নাগরিকত্বের বিষয়টি। মতুয়া-নমঃশূদ্র-রাজবংশী, মূলত এই তিন উদ্বাস্তু সমাজের কাছে জীবন-জীবিকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকত্ব (CAA)।

    মতুয়া-নমঃশূদ্র-রাজবংশীরা সমর্থন করবে বিজেপিকে

    গেরুয়া শিবিরের আভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুযায়ী, নদিয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রভাব ফেলবে মোদি সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের ২টি লোকসভার আসনে বিপুল প্রভাব পড়বে এই আইনের বাস্তবায়ন। এর প্রতিফলন ভোট বাক্সে যে দেখা যাবে তাও ওই অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মতুয়া-নমঃশূদ্র-রাজবংশীরা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে দু’হাত তুলে ভোট দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ১০ থেকে ১৫ শতাংশই মতুয়া

    দেশভাগের সময় থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে দলে দলে মতুয়া সমাজ এবং নমঃশূদ্র সমাজ পশ্চিমবঙ্গে আসতে শুরু করে। ভিটেমাটি ছেড়ে আসা মানুষগুলোর জন্য বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর তৈরি করেন ঠাকুরনগর। সে সময় উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষজনদেরকে সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন (CAA) প্রমথ রঞ্জন ঠাকুর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই যে কত সংখ্যায় মতুয়া ও নমঃশূদ্ররা পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জনসংখ্যার ১০ থেকে ১৫ শতাংশই হল মতুয়া সমাজের। ৫টি লোকসভা আসনে মতুয়া ভোট নির্ণায়ক শক্তি বলে মনে করা হয়। এর প্রত্যেকটিই দক্ষিণবঙ্গে অবস্থিত। যার মধ্যে ২০১৯ সালে রাণাঘাট ও বনগাঁ আসন ২টি জিততে সমর্থ হয় বিজেপি। অন্যদিকে, মতুয়াদের সাপেক্ষে কম সংখ্যায় বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে এসেছিলেন রাজবংশী এবং নমঃশূদ্র সমাজ। বিগত নির্বাচনগুলিতে এই দুই সমাজও বিজেপিকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। মূলত শরণার্থীদের সমর্থনে ভর করেই উত্তরবঙ্গের তিনটি মতুয়া-নমঃশূদ্র-রাজবংশী অধুষ্যিত লোকসভা আসন জেতে বিজেপি। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং বালুরঘাট এই তিন লোকসভা কেন্দ্রে উদ্বাস্তুদের মোট জনসংখ্যা হল ৪০ লাখ।

    ২০২৪ সালে বাংলার উদ্বাস্তু ভোট যাবে বিজেপির ঝুলিতে

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ফলাফল করে বিজেপি। এবং যার কারণ একটাই ছিল, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিশ্রুতি। দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া জেলাতেও মতুয়া ভোট (CAA) হল বড় ফ্যাক্টর। তৃণমূল কংগ্রেস এই জেলার ১৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৬টিতে এগিয়ে থাকতে পেরেছিল। অন্যদিকে, বিজেপি বাকিগুলিতে এগিয়ে যায়। এর পাশাপাশি মতুয়ারা উত্তর চব্বিশ পরগনার এবং নদিয়া মিলিয়ে মোট ছ’টি লোকসভা আসনে নির্ণায়ক শক্তি। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের বেশিরভাগ মতুয়া ভোট বিজেপির ঝুলিতেই যেতে চলেছে।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিক

    এই ৩ উদ্বাস্তু সমাজই দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের নাগরিকত্বের দাবি তুলে আসছিল। বলে রাখা প্রয়োজন, ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে কে নাগরিক তা ঠিক করা হয় ভারতের সংবিধান এবং ১৯৫৫ সালের নাগরিক আইন অনুসারে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড- এর কোনওটাই নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করে না। একজন শীর্ষ বিজেপি নেতা উদ্বাস্তু অধ্যুষ্যিত (CAA) এই আসনগুলিতে সমীক্ষা চালান। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের ৩০ থেকে ৩৩টি বিধানসভার এমন আসন রয়েছে, যেগুলোতে মতুয়া ভোট ৪০ শতাংশের উপরে রয়েছে। এর বেশিরভাগটাই উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে। এই বিধানসভার আসনগুলিকে যোগ করলে মোট পাঁচ থেকে ছয়টি লোকসভার আসন হয়। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিকের মতে, ‘‘মাঝখানে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে কিন্তু তবুও নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০১৯ সালে, তা বাস্তবায়ন করেছে।’’ 

    করোনা মহামারীর কারণে বাস্তবায়নে দেরী

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসেই সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই আইনে স্বাক্ষরও করেন। কিন্তু তার পরবর্তীকালে করোনা মহামারী চলে আসে। এ কারণে বাস্তবায়ন হতে বেশ কিছুটা বিলম্ব হয় এই আইনের। চলতি সপ্তাহের সোমবারই নাগরিকত্ব আইনকে কার্যকর করা হয়েছে। প্রত্যাশা মতোই এই আইন বাস্তবায়িত হতেই বিরোধিতা শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিরোধী শক্তি। নাগরিক আইনের সঙ্গে নাগরিকত্ব হারানোর কোনও সম্পর্ক না থাকলেও, সেকথাই বারবার উঠে আসছে বিরোধীদের ভাষণে। যদিও আইন (CAA) অনুযায়ী, ৩ প্রতিবেশী দেশ – আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যারিত হয়ে আসা ৬ সংখ্যালঘু (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টান) সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে এখানে।

    ২০১৯ সালে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে ছিল নাগরিকত্ব আইন

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে ভারতীয় জনতা পার্টি নাগরিকত্ব আইন চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে সেই প্রতিশ্রুতিতেই ভর করে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া-নমঃশূদ্র-রাজবংশী অধ্যুষিত আসনগুলিতে বিজেপি ব্যাপক ভোট পায়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় তৎকালীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতিই পূরণ হল নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে। ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘পাসপোর্ট আইন’ ও ‘বিদেশি আইন’ সংশোধন করে। এর ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে উদ্বাস্তু হয়ে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব লাভের পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে যায়। উদ্বাস্তু মানুষরা যাতে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন তার প্রচেষ্টা করে বিজেপি।

    ২০১৬ সালে সংসদে পেশ হয় সিএএ

    ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই ভারতের সংসদে ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬’ পেশ করে মোদি সরকার। লোকসভায় এই বিল পাশ হলেও তা রাজ্যসভায় আটকে যায়। এরই মাঝে বিজেপি সরকার আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করার সুবিধার্থে একটি ‘অধ্যাদেশ’ জারি করে। যদিও ছয় মাস পরে নিয়ম অনুসারে ওই ‘অধ্যাদেশ’-এর কার্যকাল শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বিলটিকে আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। পরে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি লোকসভায় ফের পাশ হয় ওই বিল। কিন্তু তা থমকে যায় রাজ্যসভায়। এরই মাঝে ১৬তম লোকসভা ভেঙে যায় এবং দেশে নির্বাচন ঘোষণা হয়। নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার এবং পাশ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে লড়তে যাওয়ার আগে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা নির্বাচনে জেতার পরেই পূরণ করতে সক্ষম হয় মোদি সরকার। প্রয়োজন ছিল নাগরিকত্ব আইনের বাস্তবায়নের এবং ঠিক সেই মতো ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই তা কার্যকর করল বিজেপি সরকার (CAA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মোদির ভূয়সী প্রশংসা মার্কিন কংগ্রেসের ২ সদস্যের, কী বললেন জানেন?

    PM Narendra Modi: মোদির ভূয়সী প্রশংসা মার্কিন কংগ্রেসের ২ সদস্যের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য। তাঁদের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হয়ে ফের দিল্লির কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন মোদি। তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তা ও দক্ষ নেতৃত্বই তাঁকে ক্ষমতায় ফেরাবে বলে মনে করেন তাঁরা।

    কী বললেন রিচ ম্যাককর্মিক? (PM Narendra Modi)

    জর্জিয়া থেকে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির রিচ ম্যাককর্মিক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা অবিশ্বাস্য। আমি ভারতে সম্প্রতি গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেসের লোকজনের সঙ্গে আমি মধ্যাহ্নভোজ করেছিলাম। তাঁর জনপ্রিয়তাও প্রত্যক্ষ করেছি। মোদি এমন একজন মানুষ, যাঁর জনপ্রিয়তা ৭০ শতাংশ। তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।” ম্যাককর্মিক বলেন, “অর্থনীতির ওপর তাঁর (PM Narendra Modi) প্রোগ্রেসিভ দৃষ্টিভঙ্গী, উন্নয়ন সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী, মানব কল্যাণে তাঁর নজর, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী ভারতীয়দের সম্পর্কে তাঁর সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গী এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব, তাদের কৌশলগত সম্পর্ক এসবই আমরা দেখছি। ভারতের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাবও আমি চাক্ষুষ করেছি।” মার্কিন কংগ্রেসের এই সদস্য বলেন, “আপনারা যদি তাঁদের কাজ করার ইচ্ছের দিকে তাকান, তাহলে আমি বলব, আমি সেখানে একটা ক্যাভিয়েট দাখিল করব। চিন যেটা করেছে, মনে হবে, তারা যেন তাদেরই প্রতিলিপি। ব্যবসায়ীদের জন্য ভারতের বাজার প্রসারিত করতে তারা অবিশ্বাস্যভাবে কাজ করছে।”

    ‘ভারতের অগ্রগতি চোখ ধাঁধানো’

    মার্কিন কংগ্রেসের আর এক সদস্য ইন্দো-মার্কিন শ্রী থানেদারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “মোদির নেতৃত্বেই ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার দশম স্থান থেকে চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে।” মিচিগান থেকে জয়ী হয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য হয়েছেন থানেদার। তিনি বলেন, “গত দশ বছরে (এই দশ বছরই কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি) ভারতের অগ্রগতি চোখ ধাঁধানো। আমি যখন ভাবি মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার দশ নম্বরে ছিল। এখন চলে এসেছে পাঁচে। অচিরেই দেশটি চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। তাই ভারত যে বিস্ময়করভাবে উন্নতি করছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহই নেই।”

    আরও পড়ুুন: মমতার পরিবারে ‘বিদ্রোহ’! ‘‘নির্দল হয়ে লড়ব’’, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর ভাই

    থানেদার বলেন, “ভারত প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করেছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন দেখছি। প্রযুক্তির এই প্রয়োগ শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারতে একটা বিপ্লব চলছে (PM Narendra Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • Lok Sabha Election 2024: এনডিএ পেতে পারে ৩৫৮-৩৯৮ আসন, ইন্ডি জোট ১১০-১৩০, বলছে টাইমস-নাও সমীক্ষা

    Lok Sabha Election 2024: এনডিএ পেতে পারে ৩৫৮-৩৯৮ আসন, ইন্ডি জোট ১১০-১৩০, বলছে টাইমস-নাও সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, এমনই তথ্য উঠে এল ‘টাইমস নাও-ইটিজি রিসার্চ’- এর যৌথ সমীক্ষায় (Opinion Poll)। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ফের একবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সমীক্ষা মোতাবেক এনডিএ জোট পেতে চলেছে ৩৫৮ থেকে ৩৯৮টি আসন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনডিএ জোটকে ৪০০ আসনের (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। ‘টাইমস নাও-ইটিজি রিসার্চ’- এর (Times Now-ETG Research Survey) যৌথ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হবে গেরুয়া শিবির।

    ইন্ডি জোট কত আসন পাবে (Opinion Poll)? 

    অন্যদিকে এই সমীক্ষা অনুযায়ী ইন্ডি জোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে পেতে চলেছে ১১০ থেকে ১৩০ আসন। যেখানে জগনমোহন রেড্ডির ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি’ পেতে পারে ২১ থেকে ২২ আসন। নবীন পট্টনায়কের ‘বিজু জনতা দল’ পেতে পারে (Lok Sabha Election 2024) ১০ থেকে ১১ আসন এবং অন্যান্যরা ১১ থেকে ১৫ আসন জিততে পারে। প্রসঙ্গত ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি’ বা ‘বিজু জনতা দল’- এই দুটি রাজনৈতিক দল এনডিএ বা ইন্ডি কোনও জোটের মধ্যেই নেই। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দলই বিজেপি সরকারের পাশে থাকে।

    ২০১৯ সালে করা নিজেদের রেকর্ডই ভাঙবে বিজেপি (Lok Sabha Election 2024)!

    সমীক্ষায় (Opinion Poll) যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি, ২০১৯ সালে তাদের নিজেদের রেকর্ডকেই ভাঙতে চলেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩ আসন। ‘টাইমস নাও’ এবং ‘ইটিজি রিসার্চ’-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেতে পারে ৩৩৩ থেকে ৩৬৩ আসন।

    ভয়ঙ্কর ভরাডুবি কংগ্রেসের 

    শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলকে এবারও আটকে যেতে হবে ৫০-এর নীচে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে ওই সমীক্ষায়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ আসন। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পায় ৫২ আসন। এবারে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হতে চলেছে কংগ্রেসের। এমনটাই উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায় (Opinion Poll) এবং দেখা যাচ্ছে ২৮ থেকে ৪৮ আসনে জিততে পারে শতাব্দী প্রাচীন এই দল (Lok Sabha Election 2024)। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে পেতে পারে ২৪ থেকে ২৮ আসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারে ১৭ থেকে ২১ আসন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ৫ থেকে ৭ আসন জিততে পারে।

    ইন্ডি জোটের আভ্যন্তরীণ বিবাদ

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে ভোট হবে এপ্রিল এবং মে মাসে বেশ কয়েক দফায়। বিজেপি বিরোধী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এক ছাতার তলায় আসার জন্য গত বছর থেকে প্রয়াস চালিয়েছে এবং তৈরি করেছে ইন্ডি জোট। এই জোটের মূল কারিগর ছিলেন বিহারের জেডিইউ নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সম্প্রতি তিনিও ফিরেছেন এনডিএ জোটে। অন্যদিকে, রাজ্যে রাজ্যে ইন্ডি জোট শরিকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ চলছেই। পশ্চিমবঙ্গে কোনওরকম জোট না করার কথা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে একই ছবি দেখা দিয়েছে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির ক্ষেত্রেও।

    কেন ৩৭০ আসনের (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্যমাত্রা বাঁধলেন মোদি

    গতমাসের ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বসে বিজেপি জাতীয় সম্মেলন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা ভোটের প্রচারে সুর বেঁধে দেন। বিজেপিকে টার্গেট দেন ৩৭০ আসনের (Lok Sabha Election 2024)। প্রসঙ্গত, ৩৭০ সংখ্যা বাছার কারণ সংবিধানের বাতিল হওয়া ধারা ৩৭০-এর জন্যই। ২০১৯ সালে ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে এই ধারা তুলে দেয় বিজেপি সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতেই আন্দোলন করতে গিয়ে কাশ্মীরে গ্রেফতার হয়ে মৃত্যু বরণ করে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই প্রধানমন্ত্রী ৩৭০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    PM Modi: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট। কাজিরাঙার জঙ্গলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর আগে ১৯৫৭ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জওহরলাল নেহরু কাজিরাঙা (Kaziranga National Forest) অভয়ারণ্য পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। মোদি হলেন দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি কাজিরাঙা অভয়ারণ্য পরিগর্শন করলেন। ইন্দিরা গান্ধীও দু’বার কাজিরাঙা এসেছিলেন। তবে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও ১৯৮৮ সালে কাজিরাঙায় গিয়েছিলেন। তবে অতিথিশালায় মধ্যাহ্নভোজ সেরেই ফিরে যান। অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেননি। মোদি (Modi on Elephant Safari)  এলেন শনিবার, ঘুরে দেখলেন জঙ্গলের ভিতর-বাহির। মন জয় করলেন সেখানকার মানুষের।

    কাজিরাঙায় মন জয় মোদির

    কোহরা ফরেস্ট রেঞ্জে নেহরু ও ইন্দিরা হাতির পিঠে চড়ে ঘুরেছিলেন৷ এর পর আর কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখেননি৷ শোনেননি সেখানকার মনের কথা। শনিবার সকালে হাতির পিঠে চড়ে অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi on Elephant Safari)। জিপে করেও জাতীয় উদ্যানের বেশ কিছু অংশ ঘুরে দেখেন তিনি। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রথমে কোহরা রেঞ্জের মিহিমুখ এলাকায় হাতির পিঠে চড়েন। কিছু অংশ পরিদর্শনের পরে একই রেঞ্জের ভিতরে জিপ সাফারি করেন। মোদির সঙ্গে ছিলেন জাতীয় উদ্যানের ডিরেক্টর সোনালী ঘোষ এবং অন্য ঊর্ধ্বতন বনকর্তারা।

    গহন অরণ্যে প্রধানমন্ত্রী

    দু’দিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে রয়েছেন মোদি (PM Modi)। শুক্রবার তেজপুর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে মোদি পৌঁছন পানবাড়ি হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে গাড়িতে করে কাজিরাঙা যান শুক্রবার সন্ধ্যায়। রাত কাটান কোহরা রেঞ্জের অতিথিশালায়। শনিবার ভোরে তিনি সাফারির (Modi on Elephant Safari) জন্য বেরোন। তিনি ভ্রমণ করলেন টাইগার রিজার্ভ এবং ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে।

    এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট গণ্ডার, হাতি, বাইসন, হরিণ এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। বন্য জন্তুদের সেই ডেরায় অ্যাডভেঞ্চারে এবার দেশের প্রধানমন্ত্রী। আজ, দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি এসে পৌঁছবেন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। সন্ধ্যা ৭টায় তিনি পৌঁছবেন বারাণসীতে। সেখান থেকেই এবারও লোকসভা ভোটে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চিপ তৈরিতে এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এই সমস্ত দেশগুলির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে মোদি সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া (Make in India) কর্মসূচিতে এবার সফ্টওয়ারের পাশাপাশি হার্ডওয়ারেও দিশা দেখাবে ভারত। এবার দেশেই তৈরি হবে চিপ। গতকাল বৃহস্পতিবারই ৩টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার।

    ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি চিপ ফ্যাবরিকেশন প্লান্ট

    জানা গিয়েছে, এই ৩টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি হবে পশ্চিম ভারতের গুজরাটে এবং অপরটি উত্তর পূর্ব ভারতের ১টি অসমে। ৩টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই চিপ প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান ১ লাখ মানুষের হবে বলেই জানা গিয়েছে (Make in India)। এনিয়ে ট্যুইট সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি এটিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা বলে উল্লেখ করেছেন।

    গুজরাটে ২টি প্ল্যান্ট কোথায় কোথায় হবে?

    জানা গিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুজরাটের ধলেরাতে (Make in India) একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার, জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের সানন্দ অপর প্ল্যান্টটি তৈরি হবে। সানন্দের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অসমের মরিগাঁওয়ে হবে প্ল্যান্ট

    এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড অসমের (Make in India) মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ উৎপাদন করবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন প্ল্যান্টটি টাটা এবং পাওয়ারচিপ-তাইওয়ানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হবে। যার কারখানা হবে গুজরাটের ধলেরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় গুজরাটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেটি হবে ধলেরায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share