Tag: PM

PM

  • Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আমার মায়ের ওপর চালানো হত্যার চেষ্টা প্রতিরোধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।” এর পাশাপাশি তিনি ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং যে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর মায়ের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন। ওয়াজেদ থাকেন আমেরিকায়।

    ওয়াজেদের অভিযোগ (Sheikh Hasina)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, বিচারকদের বরখাস্ত করছে এবং শেখ হাসিনাকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সব সময়ই আমাদের ভালো বন্ধু। সঙ্কটের সময়ে ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশ না ছাড়তেন, জঙ্গিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।”

    হাসিনার প্রত্যর্পণ

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এহেন বার্তা এমন একটা সময়ে এল, যখন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বাংলাদেশে যেমন খুশির হাওয়া দেখা গিয়েছে, তেমনি সঞ্চার করেছে ব্যাপক ক্ষোভেরও। বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওয়াজেদের অভিযোগ, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ধাপে আইনি প্রক্রিয়াকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, “প্রত্যর্পণ ঘটতে হলে বিচার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার রয়েছে, তা অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং বেআইনি (PM Modi)। আমার মাকে দোষী সাব্যস্ত করতে তারা আইন সংশোধন করেছে, যাতে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা যায়। তাই এই আইনগুলিও বেআইনিভাবে সংশোধন করা হয়েছে। আমার মাকে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের (Sheikh Hasina) আইনজীবী নিয়োগ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাঁর আইনজীবীদের আদালতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”

    হাসিনা-পুত্রের দাবি

    হাসিনা-পুত্রের দাবি, ট্রাইব্যুনালের গঠনই এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে পূর্বনির্ধারিত রায় নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, “বিচারের আগে আদালত থেকে সতেরোজন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। নিয়োগ করা হয়েছিল নতুন বিচারকদের। এঁদের মধ্যে আবার কয়েকজনের বিচারকের আসনে বসে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। এঁরা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই সেখানে কোনওরকম যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। অথচ কাউকে প্রত্যর্পণ করতে যথাযথ প্রক্রিয়া থাকা বাধ্যতামূলক।”

    প্রসঙ্গত, ট্রাইবুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (Sheikh Hasina) একটি প্রক্রিয়া বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাসিনা স্বয়ং-ও। তিনি বাংলাদেশছাড়া হওয়ার পর ক্ষমতার রশি যায় ইউনূসের হাতে। তারপর থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। সেই সব মামলার বিচার হয় ট্রাইব্যুনালে। হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত (PM Modi)।

  • Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumars Oath Ceremony)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিশিষ্ট নেতা। বিহার বিধানসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হবে ১৯ নভেম্বর। তার পরের দিনই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে হবে নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

    উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (Nitish Kumar Oath Ceremony)

    নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই কারণে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ওই ময়দানে। জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও। সোমবার থেকেই ওই ময়দানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাই-প্রোফাইল এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ময়দান। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শপথ গ্রহণের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ স্তরের নেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জেপি নাড্ডা। তাঁদের উপস্থিতি বিহারে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থানই স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৮৯ কেন্দ্রের রাশ। তার পরেই রয়েছে নীতীশের দল। তারা পেয়েছে ৮৫টি আসন। যদিও বিজেপি এবং নীতীশের দল জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি করে আসনে।

    আর কারা থাকবেন

    এর আগে ন’বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। টানা ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। এবার তিনি শপথ নিতে চলেছেন দশমবারের জন্য। এটি হবে বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও নজিরবিহীন মাইলফলক (Nitish Kumar Oath Ceremony)। ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি এবং এনডিএ পরিচালিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে (PM Modi) পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও।

    বম্ব স্কোয়াডের লোকজন

    সোমবার গান্ধী ময়দান ঘুরে দেখেন বম্ব স্কোয়াডের লোকজন। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে বিছানো হয়েছে সবুজ কার্পেট। অতিথিদের বসার জন্য ১ হাজার ৫০০টি সোফার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মাঠ সাজানোর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে লরি লরি ফুল (Nitish Kumar Oath Ceremony)। এদিকে, মঙ্গলবারই বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন নীতীশ। বৈঠক শেষে তাঁরা চলে যান রাজভবনে। সেখানেই ১৯ নভেম্বর বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পেশ

    এদিন নীতীশের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরিও। রাজ্যের বিদায়ী জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯ নভেম্বর থেকে বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সুপারিশও করেছেন।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এদিন পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগ করবেন ১৯ নভেম্বর। সেদিনই রাজ্যপালের কাছে নয়া সরকার গঠনের দাবিও জানাবেন (Nitish Kumar Oath Ceremony)।

    জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন

    অতীতে বহু রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পাটনার এই গান্ধী ময়দান। তবে এনডিএ শিবিরের দাবি, অতীতের সেই সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে যাবে নীতীশের এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ময়দানে প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি জার্মান হ্যাঙ্গার। এই বিশাল হ্যাঙ্গারে এক সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। হাজার তিরিশেক চেয়ারও রাখা হচ্ছে। পাটনার জেলাশাসক এসএম ত্যাগরাজন বলেন, “এটা স্পষ্ট যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এখানেই হবে। সেজন্য নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক করে তোলার জন্য প্রস্তুতি প্রায় সারা (PM Modi)।”

    কী বলছে নীতীশের দল

    সরকার গড়ার লক্ষ্যে জেডিইউয়ের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঝা প্রথমে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। রবিবার তিনি দেখা করেছিলেন নীতীশের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই নয়া সরকার গঠন করা হবে। এনডিএর ইস্তেহারে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Nitish Kumar Oath Ceremony)।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতীশের দলের এক নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এটি একটি জমকালো অনুষ্ঠান হবে। সমাগম হতে পারে (PM Modi) বিপুল দর্শকের। আমাদের দল নয়া মন্ত্রিসভায় আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা করছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় আমাদের দলের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র ১২ জন।”

  • PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারের ভোটাররা এসআইআরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছেন। এখন সব দলের কর্তব্য হল তাদের কর্মীদের সক্রিয় করে ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার কাজে লাগানো”। শুক্রবার বিহারে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএর বিপুল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এসআইআর চালু হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের শাসক দল। গেল গেল রব তুলে আমজনতাকে খেপিয়েও দিয়েছিল কোনও কোনও রাজ্যের শাসক দল। বিহারে নির্বাচন হয়েছিল দু’দফায়।

    এমওয়াই সূত্র (PM Modi)

    উচ্চ ভোটদানের হারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণ একটি নয়া সূত্র দিয়েছেন – এমওয়াই (MY), মহিলা এবং যুবা।” এই ফর্মুলা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিহারের কিছু দল তোষণের জন্য এমওয়াই ফর্মুলা তৈরি করেছিল। কিন্তু আজকের এই জয় একটি নতুন, ইতিবাচক এমওয়াই ফর্মুলা দিয়েছে, আর সেটি হল মহিলা এবং যুবা। আজ বিহার দেশের সেই সব রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে যুবকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, এবং এর মধ্যে রয়েছে সকল ধর্ম ও সকল জাতির যুবসমাজ। তাদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের আশা এবং তাদের স্বপ্ন জঙ্গলরাজের লোকদের পুরানো সাম্প্রদায়িক এমওয়াই ফর্মুলাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

    মহাগঠবন্ধন পর্যুদস্ত

    আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনকে পর্যুদস্ত করে বিজেপি ৯০টি আসনে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ প্রায় ৮৪টি আসন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “জনগণ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিহার নির্বাচনে জঙ্গলরাজ এবং কাটা সরকার সম্পর্কে কথা বলতাম, তখন আরজেডি কোনও আপত্তি তুলত না। তবে এতে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়েছিল। আজ আমি আবারও বলতে চাই যে কাটা সরকার আর কখনও বিহারে ফিরে আসবে না। বিহারের মানুষ বিকশিত বিহারের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আগে নকশাল-প্রভাবিত এলাকায় ভোটগ্রহণ বিকেল (BJP) ৩টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু এখন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন। রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখায় আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

  • ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    ESTIC 2025: ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’ এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির ভারত মন্ডপমে ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ  ২০২৫’-এর (ESTIC 2025) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি ভারতের গবেষণা ও উদ্ভাবন-ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

    ১ লাখ কোটি টাকার ফান্ড (ESTIC 2025)

    দেশের গবেষণা ও উদ্ভাবন পরিকাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ১ লাখ কোটি টাকার রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন (আরডিআই) স্কিম ফান্ডেরও উদ্বোধন করেন। এই তহবিলের লক্ষ্যই হল ভারতকে একটি বেসরকারি খাত–নির্ভর গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করা। চলতি বছরের ৩ থেকে ৫ নভেম্বর আয়োজিত তিন দিনের এই কনক্লেভে শিক্ষাঙ্গন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, শিল্পক্ষেত্র ও সরকারি সংস্থাগুলির ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নোবেল বিজয়ী, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক এবং নীতি–নির্ধারকরাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের যুগে প্রবেশ করেছে। এই তহবিল তরুণ গবেষক ও উদ্ভাবকদের নয়া স্বপ্ন পূরণের মঞ্চ করে তুলবে। এই প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, শিল্পখাত এবং গবেষণা সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, যাতে তারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়।”

    যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্ব

    ‘ইমার্জিং সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন কনক্লেভ ২০২৫’-এ প্রধানত যে ১১টি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে, সেগুলি হল উন্নত (ESTIC 2025) উপকরণ ও উৎপাদন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়ো–ম্যানুফ্যাকচারিং, ব্লু ইকোনমি, ডিজিটাল যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, উদীয়মান কৃষি প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তি। এই কনক্লেভে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্যানেল ডিসকাসন, উপস্থাপনা এবং প্রযুক্তি প্রদর্শনীও হয়েছে। গবেষক, শিল্প-নেতা এবং তরুণ উদ্ভাবকদের মধ্যে সহযোগিতার একটি মঞ্চ হিসেবেও কাজ করছে এটি, যা ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবেশ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলেই (ESTIC 2025) ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের (PM Modi)।

  • PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৫ সাল ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” বুধবার মুম্বইয়ে গ্লোবাল মেরিটাইম লিডার্স কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫’-এর (India Maritime Week 2025) তৃতীয় দিন ছিল বুধবার। এদিন ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, নৌবাহিনীর ক্যাডেট এবং শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে ভারতের সামুদ্রিক যাত্রার এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সামুদ্রিক শিল্পে ভারত যে ব্যাপক উন্নতি করেছে, এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ভারতের প্রধান বন্দরগুলি আমাদের ইতিহাসে সর্বাধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করেছে। শুধু তাই নয়, কাণ্ডলা বন্দরই দেশের প্রথম বন্দর যেখানে মেগাওয়াট-স্কেলের দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল। আজ এটি একটি সত্যিকারের বৈশ্বিক সম্মেলনে পরিণত হয়েছে।”  তিনি বলেন, “৮৫টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ ভারতের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক শক্তি সম্পর্কে বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহণ খাতে একাধিক বৃহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কোটি কোটি টাকার সমমূল্যের মউ স্বাক্ষর করার কথাও ঘোষণা করেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতার প্রতি বিশ্বের আস্থার প্রতিফলন।”

     কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্পর্কের প্রসঙ্গও টানেন (PM Modi)। এখানে ভারত মুম্বই কন্টেইনার টার্মিনালের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সম্প্রসারণের ফলে বন্দরের পণ্য পরিচালনার ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে, যা একে ভারতের সবচেয়ে বড় কন্টেইনার বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে (India Maritime Week 2025)।” তিনি জানান, এই সাফল্য এসেছে ভারতের বন্দর পরিকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (FDI) মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পে অংশীদারিত্বের জন্য সিঙ্গাপুরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, পুরানো, ঔপনিবেশিক যুগের জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত আইনগুলি পরিবর্তন করে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, “এই নতুন আইনগুলি রাজ্য সামুদ্রিক বোর্ডগুলিকে ক্ষমতা দিয়েছে, অগ্রাধিকার দিচ্ছে নিরাপত্তা ও মজবুত উন্নয়নকে, উৎসাহিত করছে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়কে।”

    মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে সামুদ্রিক শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের কথাও। তিনি জানান, প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.২ লাখ কোটি টাকা) মূল্যের নয়া বিনিয়োগ হতে চলেছে। এটি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতায় এক বিশাল উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন এই বলে যে, তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত ভিঝিঞ্জাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর, যা ভারতের প্রথম গভীর সমুদ্র ট্রানশিপমেন্ট হাব, এ বছর সম্পূর্ণরূপে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনার জাহাজ এমএসসি-ইরিনা সেখানে নোঙরও করেছে।

    ভারত কনটেইনার শিপিং লাইন

    তিনি জানান, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ২০৪৭ সালের মধ্যে তাদের বহরে ২১৬টি জাহাজ যুক্ত করবে। এর মধ্যে থাকবে বাল্ক ক্যারিয়ার, ট্যাঙ্কার এবং অফশোর ভেসেলসও। প্রধানমন্ত্রী এদিন উদ্বোধন করেন ভারতের নিজস্ব ভারত কন্টেইনার শিপিং লাইন, যার বহরে থাকবে ৫১টি কন্টেইনার জাহাজ। এই খাতে বিনিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তেল ও গ্যাস খাতের সরকারি সংস্থাগুলি ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ৫৯টি নতুন জাহাজ কেনার অর্ডারও দিয়েছে। একটি নতুন গ্রিন টাগ প্রোগ্রামও চালু করা হয়েছে (India Maritime Week 2025)। এই প্রোগ্রামে ১২ হাজার কোটি টাকায় ১০০টি পরিবেশবান্ধব টাগবোট কেনা হবে। ভারতের বন্দরগুলি আরও মজবুত করতেই এই ব্যবস্থা। ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকায় ১১টি ড্রেজারও কিনবে (PM Modi)।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, “এই সম্মেলন হল দৃষ্টি, শিক্ষা, নীতি ও উদ্ভাবনের এক মিলনক্ষেত্র।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও ভাষণ দেন এদিন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক এখন এমন এক মঞ্চে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের নবীন উদ্ভাবনগুলি ভারতের বন্দর ও জলপথের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ (India Maritime Week 2025) জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে নতুনভাবে কল্পনা করে তিনি এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা করেছেন (PM Modi)।”

  • RTI: আরটিআই নিয়ে অভিযোগ, কংগ্রেসের ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিল মোদি সরকার, কীভাবে জানেন?

    RTI: আরটিআই নিয়ে অভিযোগ, কংগ্রেসের ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিল মোদি সরকার, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড হল তথ্য জানার অধিকার আইন, সংক্ষেপে আরটিআই (RTI)। চলতি মাসে ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছে এই আইন। এই সময়ই আইনটিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার আরটিআইকে দুর্বল করে দিচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে এবং স্বচ্ছতাকে ফেলছে হুমকির মুখে। রাহুলের এহেন মন্তব্যের জোরালো জবাব দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন তুলে ধরে তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আরটিআই এখন আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে আরও শক্তিশালী, দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ মামলারই নিষ্পত্তি হচ্ছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

    কংগ্রেসের অভিযোগ (RTI)

    কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মোদি সরকার ধীরে ধীরে আরটিআই আইনকে ফাঁপা করে দিচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, নয়া আইনগুলি, যেমন ডেটা প্রোটেকশন আইন, সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য প্রকাশে বাধা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, সরকার আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এড়িয়ে যাচ্ছে। এই মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির বিস্তারিত তথ্যের দাবি, ভুয়ো রেশন কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি, নোটবন্দি নীতি এবং বাতিল হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্প। তাঁর বক্তব্য, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য গোপন করছে এবং আরটিআই ব্যবস্থাকে দুর্বল করছে। কংগ্রেসের বক্তব্য হল, সরকার এই বিষয়গুলিতে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ভয় পেয়ে ২০১৯ সালে আরটিআইয়ে একটি সংশোধনী পাশ করে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনকে দুর্বল করা হয়েছে। কারণ এতে সরকারকে কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদের ওপর বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে, যা কমিশনের স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

    ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলল কেন্দ্র

    কংগ্রেসের এহেন ‘মিথ্যের মুখোশ’ খুলে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের প্রতিবেদন এবং সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের দেওয়া তথ্য কংগ্রেসের দাবির উল্টো ছবিই তুলে ধরেছে। এই সংখ্যাগুলি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আরটিআই ব্যবস্থার কার্যকারিতায় নাটকীয় উন্নতি নির্দেশ করছে। উদাহরণস্বরূপ, মামলার নিষ্পত্তির হার আগের ইউপিএ সরকারের সময় ছিল ৮১ শতাংশ। সেটা এখন হয়েছে ৯৪ শতাংশেরও বেশি। এই উচ্চ হার বজায় ছিল কোভিড-১৯ অতিমারির কঠিন সময়েও (RTI)।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মোদি সরকার

    এহ বাহ্য। আবেদনকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় হতাশার কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় মুলতবি মামলার জট। বর্তমানে এই জট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে প্রায় অর্ধেক (PM Modi) হয়েছে। ২০২০-২১ সালে সিআইসিতে মুলতবি মামলার সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ১১৬টি। ২০২৩-২৪ সালে এটাই কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ২৩৩টিতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ব্যবস্থাটির প্রতি জনসাধারণের আস্থা এখন পৌঁছেছে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৭.৫ লাখেরও বেশি আরটিআই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এটি এক দশক আগের সংখ্যার দ্বিগুণ। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, আরও বেশি নাগরিক এখন মনে করছেন আরটিআই একটি কার্যকরী হাতিয়ার এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে এর মাধ্যমে তাঁরা সঠিক উত্তর পাবেন (RTI)।

    চোখধাঁধানো সাফল্যের সূত্র

    প্রশ্ন হল, কীভাবে মিলল এহেন চোখধাঁধানো সাফল্য? সরকারি সূত্রে খবর, সব চেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে একটি নির্দিষ্ট অনলাইন পোর্টাল চালুর মাধ্যমে। এখন দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে নাগরিকরা ২৪ ঘণ্টা আরটিআই আবেদন জমা দিতে পারেন। এতে একদিকে যেমন কাগজপত্রের ঝামেলা দূর হয়েছে, তেমনি অন্যদিকে প্রক্রিয়াটি হয়েছে অত্যন্ত সহজ। অনলাইন ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী যে, অতিমারির সময় দেশজুড়ে পূর্ণ লকডাউন থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। দ্বিতীয়ত, সিআইসি চালু করেছে হাইব্রিড শুনানির ব্যবস্থা (PM Modi)। এর মাধ্যমে আবেদনকারী ও সরকারি আধিকারিকরা অডিও এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারেন (RTI)। ফলে কমিশন প্রতিদিন আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারছে। তৃতীয়ত, সরকার আরটিআই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে কঠোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। প্রথম আপিলের জন্য ৩০ দিনের এবং দ্বিতীয় আপিলের জন্য ৪৫ দিনের সীমা নির্ধারিত রয়েছে। কোনও আধিকারিক তথ্য দিতে দেরি করলে তাঁর জরিমানা হতে পারে।

    সর্বোপরি রয়েছে সিআইসির বাজেট বৃদ্ধি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এটি পৌঁছেছে ১২০ কোটি টাকায়। সরকার সময় মতো কমিশনারদের শূন্যপদ পূরণের দিকেও সচেষ্ট রয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা পূর্ণ শক্তি নিয়ে দ্রুত কাজ করতে পারে। আরটিআইয়ের ধরন বিশ্লেষণ করতে এবং ভুয়ো বা পুনরাবৃত্তি হওয়া আবেদন (PM Modi) দ্রুত বাছাই করতে সিআইসি এখন এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারও শুরু করেছে। সব মিলিয়েই এসেছে সাফল্য (RTI)।

  • PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী (Canadian FM) অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আনন্দ এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। চলতি সফরে তাঁর তিনটি দেশে যাওয়ার কথা। সেই সফরে বেরিয়েই আনন্দ প্রথম এসেছেন ভারত সফরে। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সফরকে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের একটি সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    মোদি-আনন্দ সাক্ষাৎ (PM Modi)

    এদিন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আনন্দকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন যে তাঁর এই সফর ভারত–কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের চলমান প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার গুরুত্বও তুলে ধরেন (PM Modi)।

    কী বললেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে নিজের সাক্ষাৎ সম্পর্কিত বিস্তারিত শেয়ার করে আনন্দ লেখেন, “আজ সকালে আমি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই বছরের গ্রীষ্মে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী @মার্ককার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের গতিকে ভিত্তি করে কানাডা ও ভারত আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে—একইসঙ্গে আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা আলোচনা বজায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও সম্প্রসারিত করছে।”

    রবিবার আনন্দ পৌঁছন নয়াদিল্লিতে। বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীনভাবে আরও মজবুত করা উচিত।” চলতি সফরে আনন্দের (Canadian FM) বৈঠক করার কথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। নয়াদিল্লি সফর শেষে কানাডার বিদেশমন্ত্রী যাবেন চিন এবং সিঙ্গাপুরে (PM Modi)।

  • PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র লক্ষ্য পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাই বিদেশি প্রযুক্তির ওপর দেশের নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছেন তিনি। সেই কারণে দেশীয় ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media Platforms) তৈরিতে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তাঁর সরকার। ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয় বলে সূত্রের খবর।

    শক্তিশালী ইকোসিস্টেম (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সচিব টিভি সোমনাথন শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি বৈঠকে আলোচিত ২৮টি বিষয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান। এই পরিকল্পনার অন্যতম মূল লক্ষ্যই হল ভারতেই ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এ জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দেশের যুবসমাজকে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং দেশে নিজস্ব ডিজিটাল পরিকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।

    ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’

    সোমনাথন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হিসেবে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছেন। অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে ছিল সরকারের যোগাযোগ কৌশলকে আরও শক্তিশালী করা, শিক্ষা, ক্রীড়া ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং ভারতীয় প্রতিভা ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরার পর্যায়ে নিয়ে আসাও (PM Modi)। ভারতে প্রায় ৯৬.৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং এক্স-এর মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া মোদি সরকারের সেই প্রচেষ্টার সঙ্গেই মিলে যায়, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন, বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তখন থেকে।

    ভারতীয় কোম্পানি যেমন জোহো (Zoho) ইতিমধ্যেই মেসেজিং অ্যাপ চালু করেছে। এটি ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপের একটি দেশীয় বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ পদস্থ মন্ত্রীরাও সরকারি কাজে ভারতীয় এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্র এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির দখলেই রয়েছে (Social Media Platforms)। মোদি সরকারের আশা, স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব (PM Modi)।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কৃষি (Farmers) খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এগুলি হল ‘পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন’। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।

    দুই প্রকল্পে ব্যয় (PM Modi)

    নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় (IARI) এক বিশেষ কৃষি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল কাটার পর সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি, সেচ ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচিত ১০০টি জেলার কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সহজ করা।ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর উদ্দেশ্য হল ডালের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের এলাকা বাড়ানো, ক্রয়, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-সহ সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করা এবং ফসল কাটার পর ক্ষতির পরিমাণ কমানো।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণ, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ। এই কর্মসূচিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষককেন্দ্রিক নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫ হাজার ৪৫০ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু ও জম্মু-কাশ্মীরে কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমরেলি ও বানাসে উৎকর্ষ কেন্দ্র, অসমে রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের অধীনে একটি আইভিএফ ল্যাবরেটরি, মেহসানা, ইন্দোর ও ভিলওয়ারায় মিল্ক পাওডার উৎপাদন কারখানা এবং অসমের তেজপুরে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি এবং ওড়িশায় বিভিন্ন আধুনিক মৎস্য ও কৃষি পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বেশ কয়েকটি (Farmers) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি যৌথ কোল্ড চেইন ও মানোন্নয়ন পরিকাঠামো (রশ্মি বিকিরণ) ইউনিট, উত্তরাখণ্ডে ট্রাউট মৎস্য খামার, নাগাল্যান্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক, পুদুচেরির কারাইকালে একটি স্মার্ট ও মাছ ধরার বন্দর, এবং ওড়িশার হীরাকুদে একটি অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক।

    সরকারি উদ্যোগের সাফল্য

    এদিনের অনুষ্ঠানে (PM Modi) বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে ৫০ লাখ কৃষকের সদস্যপদ, যার মধ্যে ১ হাজার ১০০টি সংস্থা ২০২৪–২৫ সালে বার্ষিক ১ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছে। অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে জাতীয় মিশনের অধীনে ৫০ হাজার  কৃষকের সার্টিফিকেশন, ৩৮ হাজার মৈত্রীর (গ্রামীণ ভারতের বহুমুখী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিবিদ) সার্টিফিকেশন এবং ১০ হাজারটিরও বেশি বহুমুখী ও ই-প্যাকস ইউনিটের অনুমোদন ও কার্যকলাপ শুরু। এছাড়াও, বেশ কিছু প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহায়ক সমবায় গঠন এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি তাদের কার্যকলাপে বৈচিত্র্য এনে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দুই নয়া প্রকল্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই (Farmers) কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “চাল ও গম উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু ডাল উৎপাদনে এখনও বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টন ডাল আমদানি করতেই হয়। সরকারের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাল উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হবে।” তিনি জানান, কৃষকরা যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন করবেন, তার ১০০ শতাংশই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনে নেবে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে ধান ও গম চাষের জমিতে ফসল কাটা হয়ে গেলে সেটিকে ডাল চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সয়াবিনের সঙ্গেও ডাল চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে কৃষকদের (PM Modi)।

  • Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তামাম বিশ্বে দিনের পর দিন তাঁর জনপ্রিয়তার পারা যে বাড়ছে, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি একাধিকবার। আবারও একবার মিলল তার প্রমাণ। বৃহস্পতিবার সিকিউরিটি ক্যাবিনেট বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। সেই সময় ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বন্ধুর ফোন ধরতে বৈঠক স্থগিত করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ওই একই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি।

    নেতানিয়াহুকে ফোন মোদির (Benjamin Netanyahu)

    ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানাতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। আমরা বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে উন্নত মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি আবারও বলেছি যে, যে কোনও রূপে সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়।”

    ইজরায়েলের বিবৃতি

    মোদি-নেতানিয়াহু কথোপকথন প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক থামিয়ে দিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই কথোপকথনের সময় ইজরায়েল-ভারত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রতি ভারতের সমর্থনের জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের। তিনি ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ (Benjamin Netanyahu) করেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে এবং স্থায়ী শান্তির (PM Modi) পথ প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির অধীনে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইজরায়েলের গারদে আটক শত শত প্যালেস্তাইন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে (Benjamin Netanyahu)।

LinkedIn
Share