Tag: PM

PM

  • Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আনেননি সনিয়া অথবা রাহুল গান্ধীর নাম। মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি এক বারও। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে ফের একবার পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জপুরে  বিজেপির দলীয় সম্মেলনে মোদি বলেন, “যে দলগুলির ভিত্তি পরিবারতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে তারা দেশের মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পরিবারের জন্যই তোলা থাকে। পরিবারের স্বার্থেই কাজ করেন তাঁরা। দেশের স্বার্থ তাঁদের কাছে গৌন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনের আট বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়কালকে দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য উত্সর্গ করেন মোদি। তিনি বলেন, “২০১৪-এর পরে দেশে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জনগণের হারানো বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই আট বছর সরকার সেবা, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এনডিএ আমলের এই আট বছর প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের সময় ছিল।” 

    আরও পড়ুন: ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য দেশের গর্ব, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি জানান, এটা থেমে থাকার সময় নয়।  তিনি বলেন, “বিজেপির জন্যও আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য ঠিক করার এবং অবিরাম কাজ করে চলার সময় এটা। সারা বিশ্ব এখন বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” দলের কর্মীদের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যেতে হবে। বিরোধীরা অনেক ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে আমল দিলে চলবে না বলে জানান মোদি। তাঁর তোপ, ” বিরোধীদের লক্ষ্যই হল ছোট ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করা।”

    এদিন ফের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে মোদি বলেন, “বংশ পরম্পরার রাজনীতি দেশের স্বার্থ সবার উপরে রাখার বদলে ‘আমি এবং আমার’ ভাবনাকে পোক্ত করে। রাজনৈতিক দুর্নীতির এটি বড় কারণ। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। পারিবারিক রাজনীতির পরম্পরা রক্ষা শুধু গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে না, দুর্বলও করে দেয়।’’ বিজেপি শুরু থেকেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধী বলে জানান মোদি। 

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে (MGNREGA) যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল (TMC) নেতার পকেটে টাকা ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার অভিযোগের জবাব এভাবেই দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সব রাজ্যে  ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হয়। সেই কাজ করায় বিভিন্ন রাজ্য সরকার। প্রকল্পের পুরো টাকাই দেয় কেন্দ্র। মমতার দাবি, গত চারমাস ধরে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, দেরি না করে অবিলম্বে ১০০ দিনের প্রকল্প  ও আবাস যোজনার (pm awas yojana fund) টাকা দিয়ে দিন।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গত চার মাস ধরে ওই প্রকল্পে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই মজুরি পাননি প্রকল্পে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা। আবাস যোজনায়ও রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আবাস যোজনায় এ রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল। তারপরেও ওই প্রকল্পে কেন নতুন করে বরাদ্দ হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার এই দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলের মতে, ভোট কুড়োতে নানা প্রকল্পে খয়রাতি করছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী সহ নানা প্রকল্পে জলে যাচ্ছে রাশি রাশি টাকা। প্রকৃত উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। যার জেরে তৃণমূলের বহু ছোট-বড়-মেজ-সেজ নেতা রাতারাতি বড়লোক বনে গিয়েছেন।

    ১০০ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার পকেটে ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে।

    আরও পড়ুন : অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

     

  • Covid Vaccine: করোনা-রুখতে শিশুদের টিকাকরণে গতি আনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Covid Vaccine: করোনা-রুখতে শিশুদের টিকাকরণে গতি আনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের ঊর্ধ্বমূখী করোনার গ্রাফ। ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ। এরমধ্যেই স্কুলও খুলে গিয়েছে। গত দু’সপ্তাহে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সংক্রমণের শিকার হচ্ছে সেই সব বাচ্চা, যারা এখনও টিকার একটিও ডোজ় পায়নি। তাই খুদেদের টিকাকরণে গতি আনতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে বিশেষ টিকাকরণ শিবির আয়োজন করার পরামর্শও দেন তিনি।
    সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ রুখতে বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে করোনা-সংক্রান্ত ২৪তম বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি ইউরোপে সক্রিয়। যার ফলে ওই মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ছে ভারতেও।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। তাই যে শিশুরা টিকা পায়নি, তাদের দ্রুত টিকাকরণের উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এত দিন ৬-১২ বছর বয়সিরা টিকাকরণের আওতার বাইরে রয়ে গিয়েছিল। ওই বয়সের কারও টিকাকরণ না করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় ওই বয়সিদের মধ্যে বেশি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাই দেরি না করে গতকালই ৬-১২ বছর বয়সিদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা মঞ্জুর করেছে মোদী সরকার। 
    এদিন এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে টিকাকরণের হার বাড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলিতে টিকাকরণ শিবির করতে হবে।’’ তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার উপরেও জোর দেন। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে চলছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ টিকার অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। ১৫ বছরের বেশি বয়সি অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৮৪ শতাংশ ইতিমধ্যেই টিকার দু’টি ডোজ় পেয়ে গিয়েছে।
    বর্তমানে এ দেশে টিকাকরণের মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচকে শক্তিশালী করতে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রিকশান বা বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বাড়িতে শিশুসন্তান রয়েছে এমন বাবা-মায়েদেরও প্রিকশান ডোজ় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার ন’মাস পরে প্রিকশান ডোজ় নিতে পারবেন এক ব্যক্তি। এ ছাড়া, সংক্রমণকে দ্রুত চিহ্নিতকরণ করতে সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সেই নমুনা জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, ওই জিনোম পরীক্ষাই বলে দেবে দেশের কোনও প্রান্তে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রশ্নে করোনা ভাইরাসের কোন প্রজাতি সক্রিয়। যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে মন্ত্রক।

LinkedIn
Share