Tag: pneumonia

pneumonia

  • Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    Drug Resistant Pneumonia: বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা, আবিষ্কার নয়া অ্যান্টিবায়োটিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বায়োটেকনোলজি জগতে যুগান্তকারী ঘটনা। মহারাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ওকহার্ট লিমিটেড প্রথম দেশীয়ভাবে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ‘নাফিথ্রোমাইসিন’ (বাণিজ্যিক নাম- মিকন্যাফ) তৈরি করেছে। এটি বহু-ওষুধ প্রতিরোধী (Drug Resistant Pneumonia) জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর। এই নয়া অ্যান্টিবায়োটিকটি (Antibiotic) প্রাপ্তবয়স্কদের কমিউনিটি-অ্যাকোয়ার্ড ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া (CABP) চিকিৎসার কাজে লাগবে।

    ‘সফট লঞ্চ’ (Drug Resistant Pneumonia)

    চলতি বছরের ২০ নভেম্বর কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল (BIRAC) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই ওষুধটির ‘সফট লঞ্চ’ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্রাগ-প্রতিরোধী নিউমোনিয়া প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী  ২০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার মধ্যে ভারতের অংশ ২৩ শতাংশ। এখানে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো প্রচলিত ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কারণে চিকিৎসায় নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে (Drug Resistant Pneumonia)।

    কী বলছেন প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান?

    বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল ওকহার্টকে নাফিথ্রোমাইসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ৮ কোটি টাকা দিয়েছে। যদিও প্রকল্পের খরচ ৫০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। ওকহার্টের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ডঃ হাবিল খোরাকিওয়ালা তাঁর বক্তব্যে মিকন্যাফের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এটি একটি ওরাল ড্রাগ, যা কমিউনিটি রেসপিরেটরি ইনফেকশন মোকাবিলার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। গত ৩০ বছরে এই সেগমেন্টে বিশ্বব্যাপী কোনও নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, ওষুধটি অ্যাজিথ্রোমাইসিনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি কার্যকর এবং ফুসফুসে ৮ গুণ বেশি এক্সপোজার দেয়। এটি প্রতিদিন একবার করে তিন দিন খেতে হবে। তিনি জানান, নাফিথ্রোমাইসিন উন্নততর নিরাপত্তা এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করে। এতে ক্লিনিক্যাল কিওর রেট রয়েছে ৯৬.৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাফিথ্রোমাইসিনের উন্নয়ন ১৪ বছরের টানা গবেষণা এবং ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের (Antibiotic) ফল, যেখানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ভারতের মধ্যে পরিচালিত হয়েছে (Drug Resistant Pneumonia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে একাধিক বিপদ। আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) মতো রোগের দাপট মারাত্মক বেড়েছে। ১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট বাড়ছে, তাতে সচেতনতা না বাড়ালে মোকাবিলা করা কঠিন। আরও কঠিন হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনযাপন। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই বছরে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নিঃশ্বাস কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা জরুরি। বাতাসে যেভাবে দূষিত উপাদান বাড়ছে, তাতে পরিশুদ্ধ বাতাস কতখানি পাচ্ছে, মানুষকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বছরের থিম ‘Every Breath Counts’।

    কাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া? (Pneumonia) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রোগ।‌ নিউমোনিয়ার দাপটে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ৮০ লাখ শিশুর জীবন-সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবীণ নাগরিকদেরও জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ। গত কয়েক বছরে সত্তরোর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকছে নিউমোনিয়া। তাই প্রথম থেকেই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা না থাকলে বিপদ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে নিউমোনিয়ার মোকাবিলা সম্ভব?

    টিকাকরণ জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সুস্থতার (Lung infection) দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাই টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বিশ্বের একাধিক দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। ফলে, এই রোগের দাপট আরও বাড়ছে।

    ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপান অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। যে ধূমপান করছে, তার পাশপাশি তার আশপাশের মানুষের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকারক।ফুসফুসের উপরে এটা মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) দাপট বাড়াতে পারে এই অভ্যাস। তাই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া দরকার।

    নিয়মিত হাত পরিষ্কার

    সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস থাকলে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ফলে, নিউমোনিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

    ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি (Pneumonia) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরের ভিতরের বাতাস কতখানি পরিশুদ্ধ সেদিকেও‌ নজরদারি জরুরি। প্রয়োজনে আরও ইন্ডোর গাছ ঘরে রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বহু গাছ বাতাসের দূষিত উপাদান সহজেই টেনে নেয়। তাই সেদিকে নজর দিলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়‌।

    রোগ নিয়ে সচেতনতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে একেবারেই এড়িয়ে চলা যাবে না। প্রথম থেকেই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ সহজ হয়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    Pneumonia: বসন্তেও চোখরাঙানি নিউমোনিয়ার! শিশুদের জন্য কি বাড়তি বিপদ? কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরুতেই ফুসফুসের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স্ক থেকে শিশু, অনেকেই ফুসফুসের নানা রোগে (Pneumonia) আক্রান্ত হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের শেষেও বিপদ কাটছে না। ফুসফুসের রোগে নাজেহাল অনেকেই‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। তাই প্রয়োজন‌ বাড়তি সুরক্ষা।

    কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। হঠাৎ করেই উধাও শীত। হালকা গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বসন্তের এই সময়ে বাড়ছে নিউমোনিয়ার দাপট। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ শীতের শুরুতে কিংবা শীত বাড়লে ফুসফুসের এই সমস্যা (Pneumonia) দেখা দেয়। কিন্তু চলতি বছরে বসন্তেও দাপট দেখাচ্ছে নিউমোনিয়া। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই বিপদ আরও বেশি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কলকাতার একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। যাদের অধিকাংশের বয়স পাঁচের কম। ফুসফুসের জটিল সংক্রমণ থেকেই ফুসফুসের ভিতরে এক ধরনের জল জমছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম নিউমোনিয়া।

    কেন শিশুদের জন্য বিপদ?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের অধিকাংশের নিউমোনিক্কাল ভ্যাকসিন নেওয়া নেই। নিউমোনিয়া রুখতে সদ্যোজাতের নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন জরুরি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সচেতনতার অভাবে অভিভাবকেরা এই টিকাকরণে গুরুত্ব দেননি। যার জেরে ফুসফুসের সংক্রমণ বড় আকার নেয়। পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের যে কোনও রোগের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। কলকাতা ও আশপাশের এলাকা একেবারেই পরিচ্ছন্ন নয়। বাতাস দূষিত। তাই ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। যার খেসারত দিচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া, হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে শরীরে একাধিক ভাইরাস ঘটিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যার প্রভাব ফুসফুসের উপরে পড়ছে (Pneumonia)। তাই বিপদ বাড়ছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো দ্রুত নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। এই টিকা দেওয়া থাকলে নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা সহজ হয়। বড় বিপদ এড়ানো যায়। পাশপাশি আবহাওয়ার এই বদলে শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। কোনও ভাবেই ফ্যান কিংবা এসি চালানো যাবে না। হঠাৎ গরম মনে হলেও এসির হাওয়া বিপদ বাড়াবে। কারণ, এর জেরে ভাইরাসঘটিত একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। তরল খাবার অতিরিক্ত খাওয়ানো জরুরি। বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে। কারণ, আবহাওয়ায় শুকনো ভাব দেখা দিচ্ছে। এর জেরে শরীরে জলের পরিমাণ যাতে না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশপাশি তরমুজ, ড্রাগন ফ্রুটের মতো রসালো ফল এবং নানা প্রকার লেবু আরও বেশি পরিমাণে খাওয়ানো দরকার। যাতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। তাতে ফুসফুসের সংক্রমণের (Pneumonia) ঝুঁকি কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    World Lung Day: হাঁপানি, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের একাধিক রোগে জেরবার? সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা। তবে, ভারতীয়দের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের সমস্যার বোঝা বাড়ছে এ দেশে! তাই ওয়ার্ল্ড লাং ডে (World Lung Day) উপলক্ষ্যে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশেষ কিছু দিকে নজর দিলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। কমবে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি।

    ভারতে কোন ধরনের ফুসফুসের রোগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের রোগ মানেই ক্যান্সার নয়। ক্যান্সার ছাড়াও একাধিক ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বিভিন্ন বয়সীরা। তবে, ফুসফুসের রোগের তালিকায় প্রথমেই আছে হাঁপানি। দেশ জুড়ে বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা। শিশুকাল থেকেই অনেকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। প্রত্যেক বছর ৪-৫ শতাংশ শিশু হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। 
    হাঁপানির পরেই ফুসফুসের যে রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তা হল নিউমোনিয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ, ভারতে সবচেয়ে বেশি ফুসফুসের রোগে মৃত্যুর কারণের পিছনে থাকে নিউমোনিয়া। ফুসফুসে জল জমে বিকল হয়ে যাওয়ার এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। 
    এর পাশাপাশি ক্রনিক পালমোনারি অবস্ট্রাক্টিভ ডিসঅর্ডার (সিওপিডি) ভারতে অন্যতম ফুসফুসের রোগ (World Lung Day)। গোটা বিশ্বের মোট সিওপিডি রোগীর ৩৮ শতাংশ ভারতীয়। এর থেকেই স্পষ্ট, এ দেশে ফুসফুসের সমস্যা ক্রমশ উর্ধ্বগামী।

    কীভাবে ফুসফুস সুস্থ রাখা যাবে (World Lung Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করতে হবে। ভারতে ধূমপায়ীর সংখ্যা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কিশোর বয়স থেকেই ধূমপান করার প্রবণতা বাড়ছে। লাগাতার ধূমপানের জেরে যেমন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি ফুসফুসের রোগের অন্যতম কারণ ধূমপান। হাঁপানি রোগীদের ধূমপানের অভ্যাস মৃত্যুর আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর কিশোরকাল থেকে লাগাতার ধূমপানের অভ্যাস সিওপিডি কিংবা লাং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 
    নিজে ধূমপান বন্ধ করার পাশপাশি পরিবারের কেউ যাতে ধূমপান না করে, সে দিকেও সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, ধূমপানের ধোঁয়া অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের জেরেও ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অর্থাৎ, অন্য কেউ ধূমপান করছে, সেই ধোঁয়া লাগাতার নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলেও বিপজ্জনক। তাতেও হাঁপানি, সিওপিডি-র ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    নিয়মিত তুলসীপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে মধু আর তুলসরপাতা একসঙ্গে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে (World Lung Day)। এই অভ্যাস ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস ফুসফুসকে সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ফুসফুস ভালো থাকে। এছাড়াও বেরি, অ্যাপ্রিকটের মতো ফল ফুসফুস ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। নিয়মিত সবজির তালিকায় টমেটো আর কুমড়ো রাখলে ফুসফুস ভালো থাকবে বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এই দুই সবজি ফুসফুসের সক্রিয়তা বাড়ায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    Pneumonia: নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি টিকা জরুরি? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে! আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া (Pneumonia)। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

    কাদের ভোগান্তির (Pneumonia) আশঙ্কা বেশি? 

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় (Pneumonia) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যও নিউমোনিয়া দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গোটা পৃথিবীর মোট নিউমোনিয়া আক্রান্তের ২৭ শতাংশ ভারতে হয়। প্রতি বছর ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। তাই নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে, শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। বিশেষত, ৬০ বছরের উর্ধ্বে এই রোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে।

    নিউমোনিয়া (Pneumonia) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়া (Pneumonia) হল ফুসফুসের সংক্রমণ। ঠান্ডা লাগলে ফুসফুসে এক ধরনের জীবাণু সংক্রমণ হয়। যার জেরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে। 

    কী কী উপসর্গ (Pneumonia) হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? 

    সাধারণ সর্দি-কাশি থেকেও নিউমোনিয়ার (Pneumonia) সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুদের মতোই বয়স্কদের জন্য সচেতনতা জরুরি। যদি কয়েক সপ্তাহ লাগাতার কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এছাড়া, যাদের ফুসফুসের কোনও সমস্যা রয়েছে, বর্ষা বা শীত, যে কোনও ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও তাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার অন্যতম উপসর্গ হল বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। তাই সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে বাড়তি সতর্কতা দরকার। 
    অনেক সময় কাশির সঙ্গে সামান্য রক্তপাত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এটাও নিউমোনিয়ার উপসর্গ। 
    শ্বাস নেওয়ার সময় কাশি ও যন্ত্রণা অনুভব হলে তা নিউমোনিয়ার ইঙ্গিত বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    শিশুদের মতো বয়স্কদেরও কি নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ভ্যাকসিন জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিউমোনিয়ার মোকাবিলায় ভ্যাকসিন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শিশুর জন্মের ন’মাসের মধ্যে যেমন তাকে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যা নিউমোনিয়া মোকাবিলায় সাহায্য করে। তেমনি বয়স্কদেরও নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো পশ্চিমের দেশগুলোয় প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠলেও, এদেশে সেই সচেতনতার হার কম বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিউমোনিয়া (Pneumonia) রুখতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বয়স্কদের সজাগ করাও জরুরি বলে জানাচ্ছে তারা।৬০ বছরের উর্ধ্বে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিলে বিপদ অনেকটাই কমানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    তবে, ভ্যাকসিনের পাশপাশি অন্যান্য সচেতনতাও জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রকম ফ্লু হলেই বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বড় বিপদ আনতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরে জলের পরিমাণ সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। যেমন, অতিরিক্ত জল নিউমোনিয়া আক্রান্তের জন্য ক্ষতিকর। তেমনি শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, যা প্রাণনাশের কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • China Outbreak: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    China Outbreak: ‘সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত’! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর চিনে মহামারীর রূপ নিচ্ছে অজানা নিউমোনিয়া (Pneumonia)। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এই নিউমোনিয়ায়। পাশাপাশি বাড়ছে এইচ৯এন২ সংক্রমণও। পড়শি দেশে এই সংক্রমণে  উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, “যেকোনো ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য ভারত প্রস্তুত। আমার খুব ঘনিষ্ঠভাবে এই রোগের কেসগুলি পর্যবেক্ষণ করছি। ভারতে এই অসুস্থতার ঝুঁকি খুব কম রয়েছে।”

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতি

    চিনের এই অজানা নিউমোনিয়া নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এই সংক্রমণ নিয়ে ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে একটি বিবৃতি জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, “কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং কিছু পরিচিত রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ফলেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এমনটাই দাবি করছেন চিনা কর্তৃপক্ষ। আর এই রোগজীবাণু বা প্যাথোজেনের মধ্যে অন্যতম হল ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ, যা ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি হয়), রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) এবং এসএআইএস-সিওভি-২ (এটাই সেই ভাইরাস, যা কোভিড ১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী)।” উত্তর চিনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে এখনও অবধি অজানা কোনও প্যাথোজেনের হদিস পাওয়া যায়নি। 

    কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও চিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, চিনে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ফুসফুসের সংক্রমণ ও এইচ৯এন২ সংক্রমণের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, ভারত যে কোনও জনস্বাস্থ্য ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কেন্দ্র স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন করেছে, বিশেষ করে করোনাকালের পর থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পিএম আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য প্রকল্পও সমস্ত স্বাস্থ্য ক্ষেত্র ও প্রতিষ্ঠানকে একছাতার নীচে আনতে ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share