Tag: PoJK

  • JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    JK Accession: জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কোন অবদান ছিল আরএসএসের গুরুজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ কবলমুক্ত হয়ে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট। এরও দু’মাসেরও বেশি সময় পরে জম্মু-কাশ্মীর যুক্ত (JK Accession) হয়েছিল ভারতের সঙ্গে। দিনটি ছিল ২৬ অক্টোবর, ১৯৪৭।

    ভারত-ভঙ্গ (JK Accession)

    ভারতের স্বাধীনতা লাভ, দেশভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গিয়েছিল যে, এর সঙ্গে যুক্ত কারও জন্যই সময়টি সহজ ছিল না (Guruji Golwalkar)। ব্রিটিশদের জন্য তো নয়ই, নয় দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্যও, যাঁরা স্বাধীনতা লাভ করতে জান-প্রাণ এক করেছিলেন। কারণ দেশপ্রেমিক ভারতীয়দের জন্য এই ভারত-ভঙ্গ ছিল এমন এক গভীর আঘাত, যা এর আগে কখনও অনুভব করেননি তামাম ভারতবাসী। দেশভাগ, যার ফলে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের, তা আজও ভারতের জন্য এক দগদগে ঘায়ের মতো। ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে এটি ছিল একটি তাজা ও গভীর ক্ষত, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে। সেই সময় দেশীয় রাজ্য ছিল ভূস্বর্গ। এর অর্ধেকেরও বেশি ভূখণ্ড পাকিস্তানের হাতে চলে গিয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতক হামলার মাধ্যমে। পাকিস্তান মহারাজা হরি সিংকে ধোঁকা দিয়ে বিশ্বাস করিয়েছিল যে তাদের উদ্দেশ্য সম্মানজনক ও সৎ। অগাস্ট ১৯৪৭-এ যখন মহারাজা স্ট্যান্ডস্টিল চুক্তিতে সই করেছিলেন, পাকিস্তান তখন সেই কথাই বলেছিল।

    সংঘচালক বদ্রী দাস

    পাঞ্জাব ও বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও অস্থিরতা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পণ্ডিত প্রেম নাথ ডোগরা মহারাজাকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি দ্রুত তাঁর রাজ্যকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি জনমত গঠন করেন এবং বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মহারাজার কাছে পেশ করেন। প্রতিবেশী পাঞ্জাবের সংঘচালক বদ্রী দাস স্বয়ং মহারাজার সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন মহারাজা হরি সিং।

    হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা

    কী কারণে মহারাজার এই দশা? এর উত্তর হল স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মহারাজা হরি সিংয়ের প্রতি বৈরিতা। সেই কারণেই মহারাজা দ্রুত স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখাননি। এই হিংসার শেকড় মেলে ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মকালের কোহালা ঘটনায়। সেই সময় নেহরু, তাঁর বন্ধু (দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত) শেখ মহম্মদ আবদুল্লাকে রক্ষা করতে শ্রীনগরে যাওয়ার (Guruji Golwalkar) চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় আবদুল্লা ছিলেন গারদে। পথে বাধা দেওয়া হয় নেহরুকে। তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হরি সিংয়ের রাজ্যে আর এগোতে পারবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনাই নেহরুর মানসিকতায় গভীর ছাপ ফেলেছিল। এর পর থেকে তিনি হরি সিংকে শত্রু হিসেবেই বিবেচনা করতে শুরু করেন (JK Accession)।

    জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন

    ১৭ অক্টোবর, জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। কারণ ১৯৪৭ সালের এই দিনেই শ্রী গুরুজি গোলওয়ালকর শ্রীনগরে মহারাজা হরি সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এজন্য গুরুজি দিল্লি থেকে বিমানে শ্রীনগর গিয়েছিলেন এবং মহারাজাকে তৎক্ষণাৎ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি করিয়েছিলেন। গুরুজি তিন দিন শ্রীনগরে থেকে দিল্লিতে ফেরেন ১৯ অক্টোবর। এর পর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অসংখ্য কর্মীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতে ৫৬০টিরও বেশি দেশীয় রাজ্য ছিল। এই দেশীয় রাজ্যগুলির নিজ নিজ ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ছিল। তারা চাইলে ভারত কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমাও ছিল না। তা সত্ত্বেও হরি সিংয়ের প্রতি নেহরুর বৈরী মনোভাবের কারণেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন ভূস্বর্গের মহারাজা। অথচ, ১৯৩০-৩১ সালেই লন্ডনে অনুষ্ঠিত দেশীয় রাজ্যগুলির গোলটেবিল বৈঠকে মহারাজা স্পষ্টভাবে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন (JK Accession)।

    নেহরুর চালাকি!

    মনে রাখতে হবে, নেহরু মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল তাঁর ওপরই। অথচ, জম্মু-কাশ্মীর ছিল এমন এক দেশীয় রাজ্য, যেটির ব্যাপারে নেহরু নিজেই সিদ্ধান্ত নেন যে এটি তিনি তাঁর নিজের হাতে রাখবেন (Guruji Golwalkar)। নেহরু সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। কারণ তিনি তাঁর বন্ধু শেখ আবদুল্লাকে একটি সুবিধাজনক চুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। নেহরুর এই ব্যক্তিগত ইচ্ছাই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দেয়। নেহরু চেয়েছিলেন হরি সিংহকে জব্দ করতে। ইচ্ছে পূরণে তিনি যেসব পদক্ষেপ করেছিলেন, তার জেরেই জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কিত বহু জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার মোকাবিলা আজও করতে হচ্ছে ভারতকে। হরি সিং জানতেন, পাকিস্তানে যোগ দিলে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হবেন। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে চাননি তিনি।

    গুরুজির হাতযশ

    ক্রান্তিকাল। এহেন পরিস্থিতিতে গুরুজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ১০ দিনের মধ্যেই হরি সিং স্বাক্ষর করেন ভারতভুক্তির দলিলে। তাঁর পুরো রাজ্য একীভূত হয়ে যায় ভারতের সঙ্গে (Guruji Golwalkar)। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি, এ রাজ্যের বিরাট একটা অংশ, যেমন গিলগিট-বালতিস্তান, পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (PoJK) এবং আরও কিছু অঞ্চল তৎকালীন সরকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এই অঞ্চলগুলি জোর করে দখল করে ফেলেছিল পাকিস্তান। যার মাশুল ভারতীয়দের গুণতে হচ্ছে আজও (JK Accession)।

  • MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে, তা পাকিস্তানের (Pakistan) দমন-পীড়ন নীতিরই পরিণতি। দাবি ভারতের (MEA On POJK Protests)। ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি। পাক সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আহ্বানও জানিয়েছে ভারত সরকার।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (MEA On POJK Protests)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি, যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির স্বাভাবিক পরিণতি।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের দমনমূলক নীতি এবং এই অঞ্চলগুলির সম্পদের সুসংগঠিত লুটপাটের ফলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি এখনও তারা জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তানকে তার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সংকট, মৌলিক পরিষেবার অভাব এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কঠোর (Pakistan) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফে পাক সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে (MEA On POJK Protests)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ গোটা জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কয়েক দিনের ঘটনায় নিহতদের শেষযাত্রায় শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও সমাধির শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন।

    অব্যাহত বিক্ষোভ

    শুক্রবার পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ছিল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিক্ষোভ। এলাকায় এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে যখন পাক বাহিনীর গুলিতে তিন তরুণ নিহত হন। মুজাফ্‌ফরাবাদে তাঁদের শেষযাত্রায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ জনরোষে আরও ইন্ধন জোগায়। জম্মু-কাশ্মীর যৌথ আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ একটি ৩৮ দফা দাবিসনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে (Pakistan)। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা সরবরাহ, বিদ্যুতের শুল্ক হ্রাস, বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিলের দাবিও (MEA On POJK Protests)।

    পিটিআই পার্টির নেত্রীর দাবি

    এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুজাফফরাবাদ। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট, বাজার ও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেত্রী সৈয়দা জাহরা শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলেন, “কাশ্মীরের সুনামি আজ মুজাফফরাবাদকে আঘাত করবে।” তিনি একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়েছিল যে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ওপর চালানো ব্যাপক হিংসার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবুও জনগণ পিছিয়ে যায়নি। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুক্রবারের নামাজের পর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ওই ভিডিও ক্লিপে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পাক সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে (MEA On POJK Protests)।

    উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    হিংসায় লাগাম টানতে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একটি অসামরিক জোটের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গুরুতর জখম হন বহু মানুষ। এর পর বৃহস্পতিবার ফের এই আলোচনা শুরু হয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pakistan)। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আট সদস্যের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। কমিটিতে রয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সর্দার মুহাম্মদ ইউসূফ, রানা সানাউল্লাহ এবং তারিক ফজল চৌধুরি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং প্রাক্তন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকও (MEA On POJK Protests)।

    অন্যদিকে, শোকসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেকেজেএএসি-এর নেতা মির আন্দোলনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রধান দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনায় বসার আগে ধিরকোট-সহ অন্যান্য এলাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে (MEA On POJK Protests)।”

  • PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    PoK Anti-Terrorism Sentiment: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের ছবি! গ্রামবাসীদের রোষে পালাতে বাধ্য হল লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিবর্তনের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) হাওয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। পিওকে-তে কুইয়ান গ্রামের মানুষরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। গ্রামবাসীদের রোষের জেরে শেষমেশ সশস্ত্র দলবল নিয়ে পালাতে বাধ্য হল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদলের কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সম্প্রতি ভারতের অপারেশন মহাদেব-এ শ্রীনগরের হারওয়ানে খতম করা হয়েছে জঙ্গি হাবিব তাহিরকে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় হাবিব যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে ভারত। ওই জঙ্গির অন্ত্যেষ্টিতে হানিফ ও তার দলবল হাজির হয়। যা ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জঙ্গিদলগুলির সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিবাদের ছবি সে অঞ্চলে পরিবর্তনের হাওয়া বলে মনে করছেন অনেকে।

    কী ঘটেছিল

    পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) -এর কুইয়ান গ্রামে জঙ্গিবাদ বিরোধী নজিরবিহীন গণআন্দোলনের চিত্র সামনে এসেছে। সম্প্রতি ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত লস্কর-ই-তৈইবার প্রশিক্ষিত জঙ্গি হাবিব তাহির ওরফে ছোট্টুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ঘটে নাটকীয় পরিবর্তন। গ্রামের মানুষ প্রথমে শোক প্রকাশ করলেও, লস্কর ও যুক্ত জেকেএউএম (JKUM) জঙ্গিরা যখন অস্ত্রসহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হয়, তখন পরিস্থিতি ঘোরতর পাল্টে যায়। গ্রামবাসীরা সোজাসুজি প্রতিবাদ জানান। সূত্রের খবর, গ্রামের বাসিন্দারা স্পষ্ট জানান, তাদের সন্তানদের ব্রেনওয়াশ করে কাশ্মীরে জঙ্গি হিসেবে আর পাঠাতে নারাজ তাঁরা। এর বিরুদ্ধে তারা আর চুপ থাকবেন না। লস্করের স্থানীয় কমান্ডাররা, পাক নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকিও দেয়। সাধারণ মানুষ ও জঙ্গিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ওই জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে তাড়িয়ে দেন।

    ‘জিগরা’ জনসভার মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান

    এই ঘটনায় উৎসাহিত হয়ে পিওকে-র (PoK Anti-Terrorism Sentiment) একাধিক গ্রামে এখন ‘জিগরা’ ডাকা হচ্ছে। ‘জিগরা’ হল জনসভা। এই জনসভাগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো—সন্ত্রাসে শিশু-কিশোরদের নিয়োগ, ধর্মের নামে জিহাদের অপব্যবহার এবং জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানো। এক ভিডিও-বার্তায়, ‘ছোট্টুর শিক্ষক’ লিয়াকত আলি বলেন, “ওরা আমাদের শিশুদের জঙ্গি বানায়, নিজেদের সন্তানদের পাঠায় ইংল্যান্ড-আমেরিকায়।” লিয়াকত আলি একটি ৮ মিনিটের ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কারা আমাদের শিশুদের কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে? ওরা ব্রেনওয়াশ করে আমাদের গরিব ছেলেদের ভারতের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সামনে ঠেলে দিচ্ছে।” তিনি জঙ্গি সংগঠনগুলোর উদ্দেশে আহ্বান জানান—“নিজেদের সন্তানদের বাঁচাও, আমাদের সন্তানদের মরতে দিও না।” তিনি আরও বলেন, “ধনী জিহাদিদের সন্তানরা ইংল্যান্ড-আমেরিকায় পড়াশোনা করছে, আর আমাদের মতো গরিবদের সন্তানদের মরতে হচ্ছে তথাকথিত জিহাদের নামে।” এই ভিডিওটি পিওকে জুড়ে ভাইরাল হয়।

    পাকিস্তানের ভেতরেই ভাঙনের সুর

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK Anti-Terrorism Sentiment) স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরেও বিরোধিতা চোখে পড়েছে। পিওকে-র বাঘ জেলায় এক সম্মেলনের আয়োজন করতে চেয়েছিল জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী। কিন্তু প্রশাসন জননিরাপত্তার খাতিরে তাতে অনুমতি দেয়নি। ওই সম্মেলনে অস্ত্রধারীদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ছিল বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত থাকার কথা ছিল পিওকে-র পরিচিত মুখ নওমান শেহজাদেরও। প্রশাসনের মতে, এমন সম্মেলনের আড়ালে জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতার বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছিল। পিওকে-র গ্রামবাসী, শিক্ষক, এবং স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে পাকিস্তানের ‘ডিপ স্টেট’ ও সন্ত্রাস-সাপোর্টিং কাঠামোর বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, তা পাকিস্তানের জন্য গভীর সংকেত। বালোচিস্তান থেকে পিওকে—দেশজুড়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুরবস্থা, সেই সঙ্গে জনগণের প্রতিরোধ—পাকিস্তানের অবৈধ দখল ও জঙ্গি-সমর্থন নীতিকে টলিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি কুইয়ান গ্রামের বাসিন্দারা একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় গর্জে উঠেছেন। ওই এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে গ্রামবাসীদের এহেন পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    পরিবর্তনের ছবি স্পষ্ট

    বহু দশক ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK Anti-Terrorism Sentiment) সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। লস্কর-ই-তৈইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি এখানে পাকিস্তানি সামরিক এবং গোয়েন্দা সংস্থার নীরব মদতে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে একাধিক বড়সড় হামলার পিছনে এদের হাত রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক মহলের অভিযোগ। এই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের উপস্থিতিতে সেখানে ‘ভারত-বিরোধী’ সন্ত্রাসী সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি)-র নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রবীণ নেতারাও! কিন্তু কুইয়ানের মতো ঘটনা এই পুরনো বাস্তবতায় ধাক্কা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পিওকে-তে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক নতুন জনচেতনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

LinkedIn
Share