Tag: POK

POK

  • Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “হিন্দু হোক বা মুসলিম, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অংশ এবং এখানকার জনগণ হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা ভারতীয়ই। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা তাঁদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভারতীয়ই, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার এই দাবি করেন শাহ। 

    প্রসঙ্গ সিএএ

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “তিনটি দেশই ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুসলমানরা নিপীড়নের মুখোমুখি হতে পারে না।” 

    সকলেই ভারতীয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, দেশভাগের সময় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সহ কংগ্রেস নেতারা বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ভারতে স্বাগত জানানো হবে। দেশভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ ছিল। সেখান থেকে কমে এখন ৩.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, ১৯৫১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ২২ শতাংশ ছিল। ২০১১ সালে তা কমে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দুদের সংখ্যা ২ লাখ ছিল। আজ মাত্র ৫০০-তে ঠেকেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোথায় গেলেন বাকিরা? ভারতে তো তাঁরা আসেননি। অর্থাৎ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি সরকার তা পূরণ করেছে। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খাটে না বলেও মত দেন শাহ। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়। ওটা ভারতের, তাই ওখানকার সকল বাসিন্দা, হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই ভারতীয়।”

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর শিবিরগুলির প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে এল বেশ কিছু পরিবর্তন

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গ

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪টি আসনও সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চলছে। এমনকি বালুচিস্তানেও এ ধরনের একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও উঠেছে পিওকে থেকে। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর কাশ্মীরে পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সে কথাও স্মরণ করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তার জন্য আতঙ্কবাদকে কোনও ভাবেই রেয়াত না করার কথা শোনা গিয়েছে শাহের বক্তব্যে। ভারতের ক্ষতি করার কেউ চেষ্টা করলে পাল্টা জোরাল জবাব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gilgit Baltistan: চার দিনে পড়ল বাল্টিস্তানবাসীর প্রতিবাদী আন্দোলন, কী বলছেন তাঁরা?

    Gilgit Baltistan: চার দিনে পড়ল বাল্টিস্তানবাসীর প্রতিবাদী আন্দোলন, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর্তুকিযুক্ত গমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। শনিবার পাক অধিকৃত গিলগিট-বাল্টিস্তানের (Gilgit Baltistan) এই আন্দোলন পড়ল চারদিনে। গত চারদিন ধরে এই আন্দোলন করছে ‘অল পার্টি অ্যালায়েন্স’। ইদগার চকে প্রতিবাদ আন্দোলনের পাশাপাশি শুক্রবার স্কার্দু এলাকার জামিয়া মসজিদ চত্বরে সমাবেশও হয়েছে।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    হাড়হিম করা ঠান্ডা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ। কেবল স্কার্দু এলাকায় নয়, প্রতিবাদ আন্দোলন হচ্ছে গ্যাঞ্চে শিঘার এবং খারমুং এলাকার রাস্তায় রাস্তায়ও। গমের মূল্য কমানো না হলে সাহারা বাল্টিস্তান এলাকা বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘অল পার্টি অ্যালায়েন্সে’র প্রধান গুলাম হুসেন আথার বলেন, “গমের মূল্যবৃদ্ধির এই প্রতিবাদ আন্দোলন তুলে নিতে বলে আমাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আন্দোলন তুলে নিলে ফেডারেশন আমাদের ১৫ বিলিয়ন পাক মুদ্রার প্যাকেজ দেবে, বলেছে।”

    বোকা বানানো হচ্ছে!

    তিনি বলেন, “সাড়ে চার বিলিয়ন দেওয়া উচিত ছিল। অথচ তারা বলছে ১৫ বিলিয়ন দেবে। এটা আমাদের বোকা বানানোর একটা কৌশল।” আথার বলেন, “আমরা যাতে গমের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই আন্দোলন থেকে সরে আসি, তাই আমাদের বিভিন্ন ধরনের অফার দেওয়া হচ্ছে। আমাদের আকর্ষণীয় ইনসেনটিভও দেওয়া হচ্ছে। আমরা কখনও বিক্রি হয়ে যায়নি। আর কোনওদিন বিক্রিও হব না। কারণ সমস্যাটা আমাদের প্রত্যেকের কাছেই এক।”

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    জানা গিয়েছে, প্রাদেশিক সরকার গমের মূল্য বাবদ দরিদ্রদের দিতে ৩ হাজার ৬০০ পাক মুদ্রা দিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। যদিও সেই টাকা প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, গিলগিট-বাল্টিস্তান অ্যাসেম্বলি এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করার কোনও যোগ্যতাই নেই। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ইসলামাবাদের পে-রোলে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিলগিট-বাল্টিস্তান অ্যাসেম্বলি জনগণের মুখপাত্র নয়। তারা সুবিধাভোগী শ্রেণি। তাদের সাফ কথা, সরকার যতক্ষণ না গমের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও নোটিশ দেবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। প্রসঙ্গত, ভর্তুকিযুক্ত গমের দাম বাড়িয়ে দিন কয়েক আগে নোটিশ জারি করেছিল পাকিস্তান সরকার। তার প্রতিবাদেই আন্দোলন করছেন গিলগিট-বাল্টিস্তান (Gilgit Baltistan) এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    VK Singh: “শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর”, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর।” রাজস্থানের দৌসায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনা প্রধান ভিকে সিংহ (VK Singh)। চলতি বছরই রয়েছে রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। সেই উপলক্ষে রাজস্থানে এসেছেন মন্ত্রী। এখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শীঘ্রই নিজে থেকেই ভারতের সঙ্গে মিশে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। একটু অপেক্ষা করুন।”

    শিয়া মুসলিমদের দাবি

    নির্বাচনমুখী রাজস্থানে ‘পরিবর্তন সঙ্কল্প যাত্রা’র আয়োজন করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। সেই কারণেই দৌসায় এসেছিলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, শিয়া মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন লাদাখের কারগিল চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার। সেই প্রসঙ্গেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতে মিশে যাওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী (VK Singh)। জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনসংখ্যা ৪৫ লাখের কাছাকাছি। এর ৯৭ শতাংশই মুসলিম। বাকি তিন শতাংশ হিন্দু সহ অন্যান্য ধর্মের।

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে জবাব মন্ত্রীর

    কেবল পাকিস্তান নয়, চিনা আগ্রাসন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন বিদেশ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী। মানচিত্রের নয়া সংস্করণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে নিজেদের এলাকা বলে দেখিয়েছে বেজিং। এদিন সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা চিনের পুরনো অভ্যাস। শুধুমাত্র ভারতের কিছু অংশ নিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করে ওরা কিছু করতে পারবে না। এতে কিছু বদলাবে না। কোন এলাকাগুলি আমাদের, আমাদের সরকার তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। অবান্তর দাবি করলেই অন্য লোকের এলাকা আপনার হয়ে যায় না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক, শুরু জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবরই দাবি করে আসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের। অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। মে মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠিত এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোও। তাঁর সামনেই অবৈধভাবে দখল করা এলাকা তাঁরা কখন ফাঁকা করে দেবেন, এ প্রশ্নও তুলেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজস্থানে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, এদিন তাও জানিয়েছেন মন্ত্রী (VK Singh)। বছর কয়েক আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে পাক ভূখণ্ডে থাকা বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। তার পর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে নিয়ে আসার আশ্বাস দিচ্ছেন বিজেপির বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী। অখণ্ড কাশ্মীরের স্বপ্ন যে অচিরেই পূরণ হতে চলেছে, এদিন প্রাক্তন সেনা প্রধানের কথায়ই তা স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

  • Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান কপর্দকশূন্য। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা চাইছেন ভারতের অংশ হতে।” মঙ্গলবার এই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগরে প্রায় ১২১২ কোটি টাকার ২৩৩৯টি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আইনেই কাশ্মীরকে (Kashmir) শাসন করা হচ্ছে। একটা নতুন শান্তি আর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের মধ্যে চলে আসতে। কেউই আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না।”

    ৩৭০ ধারা রদ

    কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ন’ বছর আগে কেউ কি ভেবেছিলেন যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব? কেউ ভাবতে পারেননি। এবং আপনারা দেখলেন ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”

    শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ 

    আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “আজ কাশ্মীরে কোনও হিংসা নেই। সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজনও ভারতের অংশ হতে চাইছেন। আসলে দরিদ্র পাকিস্তানের সঙ্গে কেউই থাকতে রাজি নন।” তিনি বলেন, “সেই ১৯৫২ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন দুজন প্রধান, দুটো পতাকা এবং দুটো বিধান এক দেশে থাকতে পারে না। সেই কারণে তাঁকে জীবন বলি দিতে হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    আরও পড়ুুন: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মোদি জমানায় যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানান আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিকাঠামোর উন্নতি করা, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সহ সকলের উন্নতির জন্য বিগত বছরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাওবাদী, নকশালদের হিংসার ঘটনা ছিল। দেশের মধ্যে ১১৫টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল তারা। এখন সেটা কমে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ৩ থেকে ৪টি জেলায়।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংকটমোচন’ বলেও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “বর্তমানে কোনও দেশ বিপদে পড়লে ভারতের শরণ নেয়। প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হন সংকটমোচনের ভূমিকায়। ভারত বদলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বেরই মূল্যায়ন এটি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indresh Kumar: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    Indresh Kumar: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) আমাদের। ফের আমাদের হওয়া উচিত। এই কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)। শুক্রবার ছিল মুসলিম ন্যাশনাল ফোরামের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইন্দ্রেশ কুমারকে। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, বালুচিস্তান এবং সিন্ধের মতো অঞ্চলগুলি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে। সেখানকার বাসিন্দারা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। এবং এজন্য তাঁরা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন।

    আরএসএসের এই নেতা বলেন…

    আরএসএসের এই নেতা বলেন, যদি মানুষ ধর্মান্ধতার চোখে একে দেখেন, তাহলে উত্তরও বদলে যাবে। যদি তাঁরা সততার সঙ্গে বিবেচনা করেন, তাহলে সত্য প্রকাশ্যে আসবেই। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, পাকিস্তানেই স্লোগান উঠছে, কাশ্মীর ছাড়া পাকিস্তান অসম্পূর্ণ। তিনি (Indresh Kumar) বলেন, এটা আমাদেরও কর্তব্য। ভারতীয়দেরও বলতে হবে লাহোর, করাচি ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। এট মসজিদ, মাদ্রাসা এবং জনসভায় বলতে আমাদের সমস্যা কোথায়?  

    আরও পড়ুন: প্রাক নববর্ষে এক পদ, এক পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, জানুন বিশদে

    পাকিস্তানকে নিশানা করে ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar) গালিব অডিটোরিয়ামের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। তোমরা তোমাদের দেশকে ভালবাস। তোমরা যদি আমাদের ভালবাসা চুরি কর, তাহলে তোমাদেরও আয়না দেখাতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের ২০তম প্রতিষ্ঠা সভায় ইন্দ্রেশ কুমার বলেছিলেন, এতে আমাদের কী সমস্যা হবে যদি বলি নানকানা সাহিব, সারদাপীঠ, লাহোর, করাচি ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। এবং এটাই সত্য। তিনি বলেন, কৈলাশ-মানস সরোবরও আমাদের। আবারও আমাদের হওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহার! ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Singh on Pok:পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সেনার শৌর্য দিবস উপলক্ষে শ্রীনগরের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং বলেন যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে  নৃশংসতা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।

    [tw]


    [/tw]

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পুনরুদ্ধার করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান যে, জন্মু কাশ্মীর ও লাদাখের উন্নয়নের ধারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পৌঁছে দিতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর।এই উন্নয়ন কাজের পরিসমাপ্তি ঘটবে গিলগিট ও বালোচিস্তান অর্জনের পর।  ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের মাটিতে প্রথম বহিরাগত আক্রমণ প্রতিহত করে। শিখ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়ান এই জয় এনে দেয়। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই স্বাধীন ভারতের প্রথম সামরিক ইভেন্টের স্মরণে পদাতিক দিবস পালন করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও বলেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে সব সময় অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভারতকে টার্গেট করা। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা বাতিল করার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা বইছে কাশ্মীর উপত্যকায়। আজ জন্মু কাশ্মীরের জনগণের প্রতি বৈষম্যেরও অবসান ঘটেছে এই ধারা গুলি অবসানের মাধ্যমে।

    রাজনাথ আরও বলেন, জম্মু কাশ্মীরে যখন সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা হয়, তখন দেশের কিছু মানবাধিকার কর্মী কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু সেই সন্ত্রাসবাদীরাই যখন জওয়ানদের আক্রমণ করে, তারা লুকিয়ে পড়ে। এভাবেই নব্বই দশকের শুরু থেকে এখানে অরাজকতা শুরু হয়েছিল। তবে উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বাতিল করে পরিস্থিতির যে উন্নতি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। সেখানে গিয়ে তিনি বারংবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। এর পরেই খেপে যায় ভারত। শুক্রবার ব্যক্ত করে কড়া প্রতিক্রিয়া। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, মোদি সরকারের বিরোধিতা উপেক্ষা করেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সে খবর জানানো হয়েছে ওয়াশিংটনকে।

    জানা গিয়েছে, অক্টোবরের ৩ তারিখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) গিয়েছিলেন ব্লোম। সেই ছবি তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে করেন ট্যুইট। জানান, ওই অঞ্চলে ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে গিয়েছিলেন তিনি। আরও জানান, মুজফফরাবাদে কায়েদ-ই-আজম মেমোরিয়াল ডাক বাংলো পরিদর্শনের কথাও। ১৯৪৪ সালে এই ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না স্বয়ং। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাটিকে তিনি বারবার আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আদাজ কাশ্মীরে প্রথমবার পা রাখতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে একটি রেজলিউশন পাশ করে ভারত। তাতে বলা হয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতেরই অংশ। পাকিস্তানকে অবশ্যই জায়গাটি খালি করে দিতে হবে। ছাড়তে হবে অবৈধ দখলদারি। চলতি বছর জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়ে দিয়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেই অংশ। তিনি বলেছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

    আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সফর ভাল চোখে দেখেনি ভারত। জানিয়েছে জোরালো প্রতিবাদ। গত ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং এফ ১৬ যুদ্ধ বিমানকে ঢেলে সাজাতে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল জো বাইডেনের দেশ। সেবারও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। সেই সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, এটা সবাই জানে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে এফ ১৬ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান। আপনি এসব বলে কাউকে বোকা বানাতে পারবেন না। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মেলানোর আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি করল আমেরিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    Kerala MLA Controversy: ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে বিতর্কে সিপিএম বিধায়ক, পদত্যাগের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর (Azad Kashmir) বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন কেরলের সিপিএম (Kerala CPM) নেতা কেটি জলিল (KT Jaleel)। এবার তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ (V Muraleedharan)। জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুরলিধরণ জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন।

    সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জলিল লেখেন, কাশ্মীর মোটেই উজ্জ্বল নয়। উপত্যকার সর্বত্রই ভারতীয় সেনা। পুলিশ কর্মীরাও কাঁধে বন্দুক নিয়ে ঘোরেন। সেনাবাহিনীর পোশাকের রং-ই এখন কাশ্মীরের রং হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক একশো মিটারে তাদের দেখতে পাওয়া যায়। কাশ্মীরিদের দেখলে মনে হয় তাঁরা হাসতে ভুলে গিয়েছেন। এর পরেই সংবিধানের ৩৭০ ধারার উল্লেখ করে জলিল বলেন, মোদির এই সিদ্ধান্তে উপত্যকাবাসী মোটেই খুশি নন। তিনি লিখেছেন, পাকিস্তান সংলগ্ন কাশ্মীরের অংশটি আজাদ কাশ্মীর হিসেবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুন :ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    জলিলের এই সোশ্যাল মিডিয়া-মন্তব্যে হইচই শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেন বিধায়ক। রাতারাতি ফেসবুক পোস্টটি এডিট করে নেন তিনি। আজাদ কাশ্মীর শব্দটি বদলে লেখেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর শব্দটি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, প্রথমে মুসলিম লিগ ও পরে দলবদলে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন জলিল। তাই তিনি যে পাকিস্তানের পক্ষেই কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

    এদিন জলিলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধরণ। তাঁর মতে, জলিলের ওই মন্তব্য বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। জলিলের পদত্যাগও দাবি করেন মুরলিধরণ। তিনি বলেন, কেরলের একজন বিধায়ক কাশ্মীর, যেটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তার একাংশ যেটা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, তাকে আজাদ কাশ্মীর বলছেন। এটা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এটা জাতীয়তাবিরোধী মন্তব্য। বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি কে সুরেনদ্রন বলেন, কেরলের এই সিপিএম নেতা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করেছেন। কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, উপেক্ষা করেছেন তাও। তিনি বিশ্বাসঘাতক।

    সম্প্রতি আরএসএসের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী বীণা ফিলিপ। এবার ফের একবার দলের মুখ পোড়ালেন বিধায়ক জলিল। ঘটনার জেরে বেজায় অস্বস্তিতে কেরল সিপিএম।

    আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

LinkedIn
Share