Tag: police station

police station

  • Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    Manipur: মণিপুরে নতুন করে হিংসা ছড়াতেই ৬টি থানা এলাকায় আফস্পা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে সহিংসতার মধ্যেই মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) আরোপ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর আইন জিরিবাম সহ ছয়টি থানায় পুনর্বহাল করা হয়েছে। উল্লেখ্য এখানেই শেষবার হিংসা সংগঠিত হয়েছিল। উল্লেখ্য গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষে ১০ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। গোটা এলাকা এখনও থমথমে।

    কোন কোন থানায় পুনর্বহাল আফস্পা (Manipur)?

    সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে এই এলাকাকে অশান্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই নিরাপত্তা বিষয়ে কড়া নজর রাখা হয়েছে। এলাকায় আফস্পা আরোপ করা হয়েছে। এই ছয় থানা হল— ইম্ফল পশ্চিম জেলার সেকমাই, লামসাং, ইম্ফলপূর্ব জেলার জিরিবাম, কাংপোকপির লেইমাখং এবং বিষ্ণুপুরের মৈইরাং।

    পুলিশের বিবৃতি

    অশান্তির ঘটনা না ঘটায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে মণিপুরের ১৯টি থানায় আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল আগেই। কিন্তু ফের গত সপ্তাহে অশান্তির কারণে কড়া অবস্থান নিয়েছে সেনা। মণিপুর (Manipur) রাজ্যের পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গত ৯ সেপ্টেম্বর মেইতি এবং কুকিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর বন্দুক দিয়ে লড়াই হয়। মৃতদের মধ্যে তিনজন চুরাচাঁদপুর জেলার কুকি বিদ্রোহী বলে জানা গিয়েছে। চতুর্থ মৃতদেহটি জিরবামের কুকি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। আবার পঞ্চম মৃতদেহ মেইতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (পাম্বে)-এর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘হিংসার রাজধানী পশ্চিমবঙ্গ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা’, তোপ গিরিরাজের

    সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি

    ২০২৩ সালে হাইকোর্টের সংরক্ষণ বিষয়ক রায়কে ঘিরে মণিপুরের (Manipur) মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য চোরাচালান, ড্রাগ কারবারি এবং মায়ানমারের একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ভারত সরকার এবং মণিপুর সরকারের যৌথ আহ্বানে কুকি-জো উপজাতিদের প্রায় ২৪টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করেছিল আগেই। যার নাম সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি। তাতে বলা হয়, বিদ্রোহীরা নির্ধারিত ক্যাম্পে থাকতে হবে এবং তাদের অস্ত্র জমা রাখতে হবে। নিয়মিত চলবে নজরদারি। যদিও এই চুক্তি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। এখনও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২২০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫০,০০০ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সবটা মিলিয়ে মণিপুরে অশান্তির কালো মেঘ এখনও কাটেনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে বিজেপির (BJP) ডাকে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। অনেক জায়গায় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

    নন্দীগ্রামে উত্তেজনা (BJP)

    থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় নন্দীগ্রামে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন দিতে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, তারা একটি নির্দিষ্ট প্রতিনিধি দলকে থানায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁরা সকলেই থানার ভিতরে ঢুকবেন। এরপর নন্দীগ্রাম থানার গেটের কাছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ আটকে দেয়। তারপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বচসা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। পরে বিজেপি (BJP) কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে অবশ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল থানায় ডেপুটেশন জমা দেয়।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    ঘোলায় ব্যারিকেড ভাঙল বিজেপি

    এদিন ঘোলা থানায় বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন। বিজেপি (BJP) কর্মীদের আটকাতে থানার অনেকটা আগে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগিয়ে যান। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।

    মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে দিলীপ ঘোষ

    মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও শেষ পর্যন্ত থানা ঘেরাও না করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ডাক্তার, প্রিন্সিপালও বাঁচাতে পারবেন না। এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আর তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের জমে থাকা ক্ষোভ চোখে পড়ছে। তাই উকিল, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিবাদে নেমেছেন। এর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

    টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রাম, ঘোলা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি কাঁকসা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। কাঁকসার হাটতলা থেকে মিছিল করে আসে বিজেপি কর্মীরা, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। থানায় ঢুকে ডেপুটেশন জমা দেয়। মাথাভাঙ্গা থানা ঘেরাও নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। মাটিগাড়ায় বিজেপি থানা ঘেরাও করে। থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

    পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি

    চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে চুঁচুড়া থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা যেতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবানি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নিউ জলপাইগুড়ি থানা করেন অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়লেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়ির চৈতালি মোড়ে এদিন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বিজেপি। নেতৃত্বে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়ে এদিন মিছিল করেন সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: সহকর্মীকে বেধড়ক মার পুলিশের! বিচার চেয়ে থানার সামনে অবস্থানে সিভিক ভলান্টিয়াররা

    Cooch Behar: সহকর্মীকে বেধড়ক মার পুলিশের! বিচার চেয়ে থানার সামনে অবস্থানে সিভিক ভলান্টিয়াররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকদের ‘দাদাগিরি’। কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল সেই থানারই কর্তব্যরত এক পুলিশ আধিকারিক চন্দ্রনাথ বটব্যাল সহ দুজনের বিরুদ্ধে। ওই পুলিশ আধিকারিক থানার মেজবাবুর দায়িত্বে রয়েছেন। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে থানার সামনে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার প্রতিবাদে অন্যান্য সিভিকররা আক্রান্ত সহকর্মীর সঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে যাওয়ার কথা ছিল পুন্ডিবাড়ি থানার (Cooch Behar) পুলিশের। সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) সন্তোষ দাস বলেন, একজনকে গ্রেফতার করার জন্য সোমবার রাতে থানা থেকে বের হচ্ছিলাম। থানার লকআপ থেকে আসামীকে আমাদের সঙ্গে অভিযানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমি আসামীকে আমাদের গাড়ির পরিবর্তে মেজবাবুর গাড়িতে তুলতে গিয়েছিলাম। এরপরই মেজবাবু আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। থানার মেজোবাবু সহ দুই জন আধিকারিক মিলে আমাকে মারধর করে এবং পুণ্ডিবাড়ি সরকারি হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁরা ডাক্তার’কে দিয়ে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করেন। আমি নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলাম। এটা একেবারে মিথ্যা। কোনও কারণ ছা়ড়াই আমার ওপর এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই থানায় অনেক সিভিক ভলান্টিয়ার আমার মতো নির্যাতনের শিকার। আমরা এই ঘটনার সুবিচাই চাই। পুলিশ আধিকারিকদের এই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে আমরা পুন্ডিবাড়ি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) বলেন, থানার বড়বাবু গত একমাস ধরে নাইট ডিউটি দিচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে একটি জঙ্গলের মধ্যে ব্রিজে একা ডিউটি করতে পাঠাচ্ছেন। এসবই ইচ্ছাকৃত করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটিতে (North 24 Parganas) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট, অফিস ভাঙচুর এবং প্রতিবাদে খড়দা থানা ঘেরাও-এর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর এবং যুব নেতার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই কোন্দলের চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয়েছে পুলিশ।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (North 24 Parganas)?

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পানিহাটি( North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড রেল পার্ক এলাকায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী রানা বিশ্বাসকে মারধর করে আরেক তৃণমূল কর্মী পরিতোষের গোষ্ঠীর লোকজন। এরপর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে খড়দা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্যের দলবল। কিন্তু সোমবার সকালে, পাল্টা আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যত অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে জিনিসপত্র বাইরে বের করে দেয়। চেয়ার, টেবিল, কাচের দরজায় ভাঙচুর করে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা এবং কাউন্সিলর (North 24 Parganas) প্রবীর ভট্টাচার্য এই সংঘর্ষ সম্পর্কে বলেছেন, “তৃণমূল করি তাই আমাদের দায়িত্ব আছে। এলাকার মানুষ এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন যে তার ফলাফল স্বরূপ এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া এমনই হয়। এলাকায় দুষ্কৃতীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল দল এই কাজের অনুমোদন দেয় না। প্রশাসনের কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা চায়। বুবাই এবং পরিতোষ এলাকার গুন্ডা। তাঁদের কারণে কোনও মা-বোন সুরক্ষিত নয়। আমরা জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    তৃণমূল যুব নেতা বুবাই মল্লিকের বক্তব্য

    আবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা বুবাই মল্লিক বলেছেন, “দলের একাংশ আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমার অফিস খুলতেও বাধা দিচ্ছে। এলাকায় (North 24 Parganas) দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে টার্গেট করছে দলেরই কিছু দুষ্কৃতী। তৃণমূল দল যাতে আমি না করি সেই জন্য আমাকে বার বার ভয় দেখানো হচ্ছিল। আমার অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতো হুমকির মধ্যে আমি রবিবার ২১ জুলাই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করল আদালত। আজ নেজাট থানার ওসি শুভাশিষ প্রামাণিক এবং তদন্তকারী অফিসারকে তীব্র তুলোধনা করেছেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসবাদ করার জন্য তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর।

    ঘটনার দিন পুলিশ কাকে গ্রেফতার করেছিল (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জিপাড়ায় চলতি বছরে পাঁচই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। শেখ শাহাজানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় একদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। আবার অন্যদিকে ইডি আধিকারিকেরা পাল্টা মামলা করেন। সেইদিন বিকেল বেলায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিকের নেতৃত্বে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাঁদের নাম-সুকোমল সর্দার, মেহেবুব মোল্লা, আলী হোসেন ঘরামী, এনামুল শেখ, হাজিমুল শেখ, সঞ্জয় মন্ডল এবং আইজুল শেখ।

    আরও পড়ুনঃ রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    কোর্টের বক্তব্য

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক, আজ এই সাতজনের নাম সিবিআই চার্জশিটে নেই বলে মন্তব্য করেন। কোন গ্রাউন্ডে এই সাতজনকে নেজাট (Sandeshkhali) থানার পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার করেছিলেন? সেই বিষয়ে জানতে চান। এই প্রেক্ষিতে আদালতে নেজাট থানার ২৬১ নম্বর কেসে মামলার শুনানি করে। আদালতের বিচারক তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিক ও তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গ্রেফতারের কারণ জানাতে বলেছেন। অপর দিকে যাঁদের নাম সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে তাঁরা হলেন, শাহজাহান শেখ, শেখ আলমগীর, জিয়া উদ্দিন মোল্লা, মাহফুজার মোল্লা, সিরাজুল মোল্লা, দিদাস বক্স মোল্লা, ফারুক আকঞ্জি। এই এই ছয়জনের নামে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  এনআইএ হামলা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সরাসরি ফোন ভূপতিনগর থানায়

    NIA: এনআইএ হামলা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সরাসরি ফোন ভূপতিনগর থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গিয়ে শনিবার ভোর-রাতে আক্রান্ত হয়েছেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয়েছে। দুজন আধিকারিক চোট পেয়েছেন। এনআইএ আধিকারিকরা তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন। এনআইএ (NIA) টিম চলে যাওয়ার পরও তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এনআইএ-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পরও শাসকদলের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও।

    কী পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র? (NIA)  

    এদিন ভোরে ভূপতিনগরে এনআইএ (NIA) টিমের উপর হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, অমিত শাহর মন্ত্রক থেকে ফোন করা হয়েছে ভূপতিনগর থানায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোন গ্রামের ঘটনা, ঠিক কী ঘটেছিল এবং এদিনের সার্বিক ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে ভূপতিনগর থানার থেকে। তদন্তকারীদের ঘিরে বিক্ষোভ, হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফোনে খোঁজখবর নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কান্ডে শনিবারই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই গ্রেফতারি করতে যাওয়ার সময় বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনআইএ-এর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ধৃত দুই তৃণমূল নেতা বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা দুজনেই বোমার তৈরির ষড়যন্ত্র করছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, আতঙ্ক ছড়ানোই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন বিচারক ৫দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    এনআইএ বিরোধী স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের মুখে, উঠছে প্রশ্ন

    সন্দেশখালির কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সময় ফের এনআইএ-কে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছে এনআইএ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শাসকদলের মদতে এই বাজি কারখানা চলতো। বিরোধীদেরও অভিযোগ, পুলিশ ও শাসকদলের মদতে শাসক দলের নেতারা এই কারখানা চালাতো। এদিন এনআইএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতা ফাল্গুনী নন্দের অভিযোগ, ভোটের সময় কেন এই ভাবে আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে রণক্ষেত্র, সাসপেন্ড ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সিঙ্গার গ্রামে গোবিন্দ ঘোষ নামে এক ব্যাক্তির পাশের প্রতিবেশীর বাড়িতে বেশ কয়েক ভরি সোনা এবং লক্ষাধিক টাকা চুরি যায়। জানা যায়, সন্দেহবশত গ্রামেরই সাতজনের নামে অভিযোগ করেন মালপত্র চুরি যাওয়া পরিবার। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নবগ্রাম থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর এরপরেই থানায় পটিয়ে খুনের অভিযোগে সরব হয় পরিবার এবং গ্রামবাসী। আপাতত নবগ্রাম থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    পরিবারের লোকেরা থানায় গেলে, থানা থেকে জানানো হয় যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই ছেড়ে দেয়া হবে। যেদিন এই চুরির ঘটনা ঘটে, সেদিন গোবিন্দ ঘোষ সেনা ছাউনিতে কাজ করছিল বলে থানায় জানানো হয়। সেই সব প্রমাণ পত্র সেনা ছাউনি থেকে নিয়ে এসে নবগ্রাম থানায় জমা দেওয়া হয়। কিন্তু নবগ্রাম থানা (Murshidabad) কোনও প্রমাণপত্রের ধার ধারে না। নবগ্রাম সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজ করত গোবিন্দ ঘোষ। গত শুক্রবারও সেনা ছাউনিতে দিনমজুরের কাজে গিয়েছিল সে। আর তার নথিপত্র সব পুলিশকে দেখানো হয়। পুলিশ বাড়ির লোককে জানিয়েছিল যে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, সেইমতো বাড়ির লোকেরা সকাল থেকেই থানার সামনে বসেছিলেন, কিন্তু কার্যত দেখা গেল সন্ধ্যের দিকে গোবিন্দ ঘোষকে পুলিশের গাড়িতে করে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপরেই তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মৃত বলে ঘোষণা করে।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ চুরির সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তার উপর অত্যাচার চালায়। আর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যু হয় বলে পরিবার দাবি করে। গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই আনুমানিক রাত্রি সাড়ে আটটা থেকে নটার সময় গ্রামের একাংশ এবং পরিবারের লোকজন নবগ্রাম থানায় (Murshidabad) ভিড় জমায় এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। গোবিন্দ ঘোষের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পুলিশকে সমস্ত তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ সেগুলি বিশ্বাস না করে থানায় পিটিয়ে খুন করে। তাই দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করে পরিবার।

    পুলিশের বক্তব্য

    নবগ্রাম (Murshidabad) থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, জমায়েত করে গ্রামবাসীরা থানার মেন গেটে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ভিতরে ঢুকতে না পেরে ইটবৃষ্টি শুরু করে। রাস্তার মধ্যে কাচের বোতল ভেঙে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি কাঁদানো গ্যাস ফাটানো হয়। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, আইনশৃঙ্খলা জনিত একটা সমস্যা নবগ্রাম থানা এলাকায় হয়েছে, আর সেই কারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ভার প্রাপ্ত কোনও অফিসার যদি ঘটনায় জড়িত থাকেন তাহলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভগতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। থানায় খুনের অভিযোগে উত্তাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher: অবাক কাণ্ড! থানায় লাইন দিয়ে মুচলেকা জমা দিলেন শিক্ষকরা, কেন জানেন?

    Primary Teacher: অবাক কাণ্ড! থানায় লাইন দিয়ে মুচলেকা জমা দিলেন শিক্ষকরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সিলেকশান কমিটিতে কোনও আত্মীয় ছিলেন না’, এই মর্মে প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে হলফনামা নিচ্ছে পুলিশ। ২০১২ সালে নিয়োগ পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের ৩,৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে দ্রুত এই হলফনামা স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ও প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের অফিসে জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই জেলার ২১টি থানায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই হলফনামা জমা দিতে দেখা গিয়েছে।

    থানায় লাইন দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া নিয়ে কী বললেন প্রাইমারি শিক্ষক?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১২ সালে প্রাথমিকে ঢালাও শিক্ষক নিয়োগ হয় রাজ্য জুড়ে। সেই নিয়োগে সিলেকশন কমিটিতে প্রার্থীদের আত্মীয়দের থাকার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃণাল কান্তি মাইতি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার সূত্র ধরেই ২০১২ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে হলফনামা চায় জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল। ৪ আগষ্টের মধ্যে এই হলফনামা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আচমকাই পুলিশের তরফ থেকেও ওই শিক্ষকদের ফোন করে থানাতেও হলফনামা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা শাসকের থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই পুলিশের তরফ থেকেও  মুচলেকা জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। থানায় লাইন দিয়ে হলফনামা জমা প্রসঙ্গে এক শিক্ষক বলেন, মনে হচ্ছে আমরা কোনও অপরাধ করেছি। অন্য এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষা দফতর থেকে পুলিশের কাছে মুচলেকা জমা দেওয়ার কোনও নির্দশ নেই। কিন্তু আচমকা পুলিশের ফোন পেয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এখন নির্দেশ মেনেই আমরা হলফনামা জমা দিয়েছি।’

    কি রয়েছে এই হলফনামায়?

    জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হলফনামায় নিজের নাম পরিচয় উল্লেখ করার পাশাপাশি ৩টি পয়েন্টের উল্লেখ করতে হচ্ছে। যেখানে ওই শিক্ষকদের জানাতে হচ্ছে, ‘আমি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১২ সালে চাকরি প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। ইন্টারভিউ বোর্ড বা সিলেকশন কমিটির এক বা একাধিক সদস্য আমার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এবং আমি ঘোষণা করছি, আমার দেওয়া বিবরণ মিথ্যা বা ভুল হলে আমার নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং আমি প্যানেল কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকব’। স্ট্যাম্প পেপারে এই হলফনামাটি লিখে এফিডেভিটের পর তা জেলা স্কুল কাউন্সিলে জমার পাশাপাশি প্রত্যয়িত কপি থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষায় বেসিক পাশ না থাকাদেরও বসতে সুযোগ দেওয়া হয় এবং ওই বছর বিপুল পরিমাণে নিয়োগ হয় রাজ্যে। যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর শীর্ষস্থানে ছিল বলে খবর। পরে এনসিইআরটি’র গাইডলাইন মেনে এই সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক ভাবে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে নতুন করে পাশ করতে হয় এবং ডিএড পাশ করে সেই সার্টিফিকেটও জমা করতে হয় সংসদে। এবার নতুন করে এই সমস্ত শিক্ষকদের হলফনামা দেওয়া নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। থানায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পুলিশকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা মাধ্যম যাচাই করেনি)। এই বিক্ষোভ আন্দোলনে এক টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নতুন করে রহস্য দানা দাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ না আন্দোলনকারী, কারা গুলি চালিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনোজ কুমার বর্মন নামে ওই টোটো চালকের বাম হাতে গুলি লাগে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন কিভাবে টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হলেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন? গুলিতে জখম যুবক মনোজবাবু বুধবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, আমি টোটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। থানার সামনে জমায়েত দেখে আমি টোটো রাস্তার ধারে রেখে সেখানে গিয়েছিলাম। গণ্ডগোল শুরু হওয়ার পরই আমি গুলিবিদ্ধ হলাম। কে গুলি চালিয়েছে তা বুঝতে পারিনি।

    থানায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে কতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আদালতের এপিপি নিলাদ্রী সরকার বলেন, বুধবার ধৃত ৩২ জনকে রায়গঞ্জ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ৯ জনকে আটদিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি ২৩ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গণ্ডগোলের পর কী অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj)?

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ। পথে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সকালে থানায় গিয়ে দেখা গেল, একাধিক স্থানে তাণ্ডবের ছাপ স্পষ্ট। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইট, পাথরের টুকরো। থমথমে পরিবেশ হলেও থানায় ধ্বংসস্তুপ সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে তাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় থানা চত্বর। সেই ঘটনার পর সকাল থেকে স্বাভাবিকের পথে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত থানার পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার ওই এলাকার বাড়িতে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। সেই আঘাত এসে পড়ে নব নির্মিত আধুনিকমানের যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের ওপর। যাত্রী প্রতিক্ষালয় তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত ঠান্ডা পানীয় জলের জলাধারও ভেঙে এক প্রকার গুঁড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা স্থানীয় কাউন্সিলার মনোজ সরকার ও শহর তৃণমূলের সভাপতি রাজীব সাহাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের। তাণ্ডবের পর এদিন এলাকায় জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

    Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ স্কুলের টিফিনের সময় ছোট ছোট পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল। তাতে একটু চিত্কার হয়েছে। এটাই অপরাধ। আর তার জেরেই প্রতিবেশী অমিত সাউয়ের কাঁচা ঘুম ভেঙে যায়। সমস্ত রাগ গিয়ে তার স্কুল পড়ুয়াদের উপর পড়ে। আর দুপুর বেলায় কাঁচা ঘুম ভাঙানোর অপরাধে নিজের বাড়ি থেকে লাঠি নিয়ে সটান হাজির হয় বাড়ি পাশে থাকা স্কুলে। আর লাঠি দিয়ে স্কুলের গেটের সামনে মহানন্দে খেলা করতে থাকা পড়ুয়াদের বেধড়ক পেটায় (Attack) বলে অভিযোগ। ভাটপাড়ার ৪ নম্বর গলির সর্বোদয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের মধ্যে এসে এভাবে পড়ুয়াদের লাঠিপেটা (Attack)  করতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অমিত সাউ নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কেন সে এভাবে স্কুল পড়ুয়াদের মেরেছে তা পরিষ্কার নয়। তার মানসিক চিকিত্সা করা জরুরি। আদালতে বিষয়টি বলব।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Attack

     প্রতিবেশী ওই যুবকের আচমকা হামলার (Attack)  জেরে ১৭ জন স্কুল পড়ুয়া জখম হয়। ক্লাস টু, থ্রি এবং ফোরের পড়ুয়া রয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অভিভাবকরা পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়া থানার সামনে হাজির হন। তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। সে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিনের সময় খেলা করছিল। সেই সময় ওই যুবক এসে আমার ছেলে সহ বন্ধুদের বেধড়ক মেরেছে (Attack) । এটা হতে পারে না। স্কুলের মধ্যে আমাদের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা ওই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অন্য এক অভিভাবক বলেন, ওই যুবকের হামলায় (Attack)  আমার ছেলে জখম হয়েছে। ও মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ও ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না। আসলে খেলা করার সময় আচমকা হামলা (Attack)  চালিয়েছে বলে ও চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত যুবক প্রকাশ্যে যাতে আর বাইরে বের হতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা সে আরও করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share