Tag: police

police

  • Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা এক পুলিশ কর্মীর রেল লাইনের ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে মদনপুর- কল্যাণী (Kalyani) স্টেশনের মাঝে রেল লাইনে ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃত উদ্ধার হয় ওই পুলিশ কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম ইসরাফিল সাহাজি। তার বয়স ৩০ বছর। তাঁর বাড়ি মদনপুর এলাকায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরাফিল বুধবারই ডিউটি শেষ করে মদনপুরের বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে তিনি হাঁটতে বের হন। স্থানীয় লোকজন তাকে বিকেলে এলাকায় শেষবার দেখেছে। সন্ধ্যার পর থেকে আর তার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরিচিত সকলের সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করে। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপরই রাতে থানার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিবারের লোকজন। তার আগে জিআরপি-র কাছে থাকা আসা ফোন পেয়ে ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, বাড়ি আসলে সাধারণত বিকেলে হাঁটতে বের হতেন। তবে, সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু, এদিন তা হয়নি। তাই, তাঁকে ফোন করতেই আর তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। রাত বাড়তেই তিনি বাড়ি না ফেরায় আমরা চারিদিকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাই। কিন্তু, কোথাও তার হদিশ পাইনি। পরে, জিআরপি-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা কল্যাণী (Kalyani) -মদনপুর স্টেশনে রেল লাইনের ধার থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায়। জানা গিয়েছে, ইসরাফিলের পকেটে পরিচয়পত্র রাখা ছিল। তা দেখেই জিআরপি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবারে লোকজন গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পরিবারের লোকজন এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।

    কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?

    সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন ‘এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার। দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণস্থলের একেবারে কাছেই দুটি দোকান ঘরে এরকম কয়েকশো বাজির বস্তার হদিশ। যেগুলির প্রতিটিতেই কোনও না কোনও সরকারি সংস্থার ছাপ দেওয়া রয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বাজি কারবারিরা এই অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও পুলিশ সেই সমস্ত বাজি ভর্তি বস্তা বাজেয়াপ্ত কিংবা দোকানঘর থেকে সরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এমনটাই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।

    ল্যাবরেটরির পর সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তার হদিশ

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন জঙ্গল এবং বাঁশঝাড়ে বাজির উপকরণ ফেলে দিয়েই চম্পট দেয় শ্রমিকরা। যা এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশেপাশে। মঙ্গলবারই নিহত কেরামত আলির রাসায়নিক ভর্তি গোডাউনের হদিশ পাওয়া যায়। তারও আগে বেরুনান পুকুরিয়ার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির হদিশ মিলেছিল। সেখান থেকে টেস্টটিউবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তেমনই অত্যাধুনিক সেই ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের বোমা-বাজির পরীক্ষা-নিরীক্ষারও বন্দোবস্ত ছিল। এবার হদিশ মিলল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি মজুতের বস্তা।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Duttapukur)

    দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল গ্রাম এবং তার আশপাশে বাজিই যেন কুটির শিল্প। এলাকার যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই লক্ষ্য করা যাবে ছোট, বড়, মাঝারি মাপের বাজি তৈরির গোডাউন। কেউ কেউ আবার ঘর ভাড়া নিয়ে বাজির কারখানা করে ফেলেছেন। ঘটনাস্থলের ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর তিনটি শাটার দেওয়া দোকানঘরের হদিশ পাওয়া যায়। এর দুটিতেই থরে থরে সাজানো ছিল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি ভর্তি বস্তা। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় ছাপ দেওয়া, আবার কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, কর্ণাটকের চিনি কলের ছাপ দেওয়া রয়েছে বস্তায়। কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। পুলিশের এই গা-ছাড়া মনোভাব আতঙ্ক বাড়িয়েছে মোচপোল গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে একজন এলাকাবাসী বলেন, দোকানঘরগুলি কেরামত আলি ভাড়া দিত। সেখানে বাজি মজুত করত সে। আমরা বললেও আমাদের কথা তারা শুনত না। উল্টে টাকার গরম দেখিয়ে ভয় দেখাত আমাদের। পুলিশেকে টাকা খাইয়ে এই বেআইনি কারবার চালাত। আমরা গরিব, আমাদের টাকাপয়সা নেই। তাই পুলিশ আমাদের কথা শুনতো না। সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় বাজি মজুতের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকা জুড়ে। যে বস্তায় খাদ্সামগ্রী থাকার কথা, সেই বস্তায় কীভাবে বাজি মজুত হল, এখন সেটাই সব থেকে বড় দেখার প্রশ্ন। পাশাপাশি কীভাবেই বা সেই সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তা বাজি কারবারিদের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    Crime: ফ্ল্যাটে স্ত্রী-কন্যার গলাকাটা দেহ! স্বামী রেলে আত্মঘাতী! হাড়হিম করা ঘটনা দমদমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার প্রাক্তন সেনাকর্মীর। একই দিনে তাঁর স্ত্রী-কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার (Crime) হল দমদমের ফ্ল্যাটে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই সেনাকর্মী।

    কীভাবে ঘটল (Crime)?

    সূত্রে জানা গেছে, দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৮), দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৪) এবং মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (১৯) নিয়ে ছোট্ট সংসার ছিল তাঁদের। আজ শুক্রবার মধ্যমগ্রাম রেল স্টেশনের কাছ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় স্বামী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৪৮)। তারপরই তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মর্মান্তিক দৃশ্য (Crime)। দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং মেয়ের গলাকাটা মৃতদেহ। সূত্রে আরও জানা গেছে, গৌতম নিজে প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Crime)

    পুলিশের অনুমান, মেয়ে এবং স্ত্রীকে খুন (Crime) করা হয়েছে। কারণ দু’ জনের গলায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৌতম রেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। আপাতত দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাড়ির আশপাশে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করছে পুলিশ।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    পাশের বাড়িতে থাকা এক বাসিন্দা বলেন, এই পরিবারে তেমন কোনও অশান্তির কথা আমরা আগে শুনতে পাইনি। সব সময় হাসিখুশি ছিলেন তাঁরা। গোটা পরিবারে এমন মৃত্যুর ঘটনায় (Crime) আমরা স্তম্ভিত। এই প্রতিবেশী আরও বলেন, মৃত গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ রেল লাইনের পাশে পাওয়ার পর সূত্র ধরে পুলিশ দমদমের ফ্ল্যাটে আসে। এরপর উদ্ধার হয় স্ত্রী এবং কন্যার মৃতদেহ। ফলে ওই ব্যক্তি কেন এমন করলেন, তা অনেককেই অবাক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুধু আরামবাগ নয়, হুগলি জেলায় প্রথম বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করল। যদিও বোর্ড গঠনের আগেই একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৫ টি আসনে। আর বাকি ১৮ টি আসনের দখল নেয় বিজেপি। সেই কারণে এদিন সকাল থেকে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক জমায়েত হন। প্রথমদিকে সামান্য উত্তেজনা হওয়ার পর বিজেপি বোর্ড গঠন করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত, ব্লক অফিসে একটি অচেনা গাড়ি ঢোকাকে কেন্দ্র করে। অচেনা গাড়ি দেখে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই বাধ্য হয়েই পিছু হটতে হয় পুলিশকে। যদিও পরে, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন হয়। প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই খানাকুলে তৃণমূল এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছিল। এবার মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে নতুন বিজেপি বোর্ড। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ তাদের ওপর অমানবিকভাবে বিনা দোষে লাঠি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাসক দল চেয়েছিল পুলিশকে দিয়ে বোর্ড গঠন বানচাল করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা মার খেয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। তাই, এতদিন পর আমরা বোর্ড দখল করলাম।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপির বাধায় আমাদের কর্মীরা যেতে পারেনি। যাওয়ার পর ওরা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতে কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে। তবে পুলিশের উপর হামলা করেছে বলে জানতে পারছি। এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। প্রথমে প্রশাসনের কর্মীদের রাস্তা আটকে পঞ্চায়েতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কার্যত বোর্ড গঠন ঝুলে রইল জলপাইগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার  দিন ধার্য্য থাকলেও বোর্ড গঠন ঝুলে রইল ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই অঞ্চলে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি করে আসন। টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের মাঝ পথেই এদিন তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি (BJP) নেতা কর্মীরা তাদের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আসলেও তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী না আসায় বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত থাকে। এদিকে বিজেপি নেতা কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যেতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জানিয়েছে, ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে তারা। পুলিশের কথা শুনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আন্দোলনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে, এদিন দুপুর পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঝুলে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্ত স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে এদিন বোর্ড গঠনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের আটকে দেয়। তার ওপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এদিন আর বোর্ড গঠন হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান করব, যাতে তৃণমূল অন্যায়ভাবে এসে বোর্ড গঠন করতে না পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠন করতে হলে একজন বিরোধী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন। সেই কারণে বিনা অপরাধে নির্দল প্রার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের জয়ী প্রার্থী গোপাল ঘোষ। ওই এলাকার এর আগে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ছিলেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। সেই কারণে তিনি নির্দলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায় প্রচুর ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১ টি আসন, ৮ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং ৩টি নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে গেলে এখনও একটি আসন প্রয়োজন তৃণমূলের। অভিযোগ রবিবার গোপাল ঘোষ তাঁর পরিবারের এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িতে ফিরছিলেন রানাঘাটে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর গাড়ি সহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানায় থাকতে হবে এমনটাই তাঁকে জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে, তাঁকে আটকে রাখার কারণ হিসেবে কিছুই জানায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নির্দল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে না দিলে এবং বোর্ড গঠনের দিন তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে পথ অবরোধ করে আরও বড়সড় বিক্ষোভে নামব। এ বিষয়ে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্য অপর্ণা ঘোষ বলেন, যেহেতু দুদিন পরেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, সেই কারণে তাঁকে শাসকদলের (TMC) নির্দেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হয় তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে বোর্ড গঠনের দিন পুলিশকে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মালদায় (Malda) আসেন। সোমবার হাওড়ার পাঁচলায় ‘নির্যাতিতা’ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন মালদার মানিকচকে দুই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আর ওই দুই মহিলার মুখ থেকে গত ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুলিশের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।

    পুলিশ আধিকারিককে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    মালদার (Malda) বামনগোলার পাকুয়াহাটের ঘটনায় ‘নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করা হল কেন? আপনারা কি পুতুল? মালদা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খানকে এমন প্রশ্নই করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ওই পুলিশ আধিকারিকেরা জাতীয় মহিলা কমিশনের ওই প্রতিনিধিদের জবাব দেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, গত ২৬ এপ্রিল মালদহেরই মুচিয়া চন্দ্ৰমোহন হাই স্কুলের ভরা ক্লাসঘরে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিতে থাকে সে। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ডিএসপি আজহারউদ্দিন। পিস্তল উঁচিয়ে থাকা ওই যুবককে পাকড়াও করেন তিনিই।

    মালদাকাণ্ড (Malda) নিয়ে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন  সাংবাদিকদের সামনে বলেন, চুরির ঘটনা প্রমাণিত হল না, অথচ ওই দুই মহিলা ছয়দিন জেল খাটলো। আর যদি ঘটনাটি ঘটেই থাকতো, তাহলে এভাবে ওদের মারার অধিকার দিয়েছে কে? অর্ধনগ্ন এবং আহত অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে থানায় বসিয়ে রাখে পুলিশ। এমনকী ওদের মিথ্যা মামলা দিয়ে  জেলে পুড়েছে। এব্যাপারে জাতীয় মহিলা কমিশন চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: প্রোমোটারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গন্ডগোলে রণক্ষেত্র জগৎবল্লভপুর, গুলিবিদ্ধ মহিলা

    Howrah: প্রোমোটারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গন্ডগোলে রণক্ষেত্র জগৎবল্লভপুর, গুলিবিদ্ধ মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠের ধারে একটি নবনির্মিত ভবনের জানালা রাখা নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে গুলি চলল হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের পোলগুস্তিয়া এলাকায়। কয়েকদিন আগে থেকে গণ্ডগোল চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় দেখাতে আসেন দিলীপ চোংদার নামে এক প্রোমোটার। দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি করতে থাকে বলে অভিযোগ। পরে, অভিযুক্ত প্রোমোটার সহ ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah) পোলগুস্তিয়া এলাকায় একটি জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, দিলীপ চোংদার নামে এক প্রোমোটার জোর করে গ্রামের একটি জমি দখল করে আবাসন তৈরি করছিলেন। এই মাঠেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলো করে। সেই জমি দখলের অভিযোগ ওঠে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় দেখাতে আসেন ওই প্রোমোটার। দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি করতে থাকে বলে অভিযোগ। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন মহিলা। অভিযোগ, আচমকা গুলি চলায় এক মহিলা জখম হন। তাঁর পায়ে এসে লাগে গুলি। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়়ে তোলেন। তখনই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের তরফ থেকেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। পরে, দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ে। আপাতত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

    কী বললেন অভিযুক্ত প্রোমোটার?

    হামলার প্রসঙ্গে প্রোমোটার দিলীপ চোংদার বলেন, আমার নিজের জমি। সমস্ত অনুমতি নিয়েই আমি বিল্ডিংটা তৈরি করছি। থানাকে জানানো আছে। জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়েছি। কিন্তু, স্থানীয় যুবক সমিতি ক্লাবের কিছু ছেলে আমার কাছে চার লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমি তা দিইনি। এটাই অপরাধ। তার জন্য ওরা মাঠের দিকে আমাকে জানালা রাখতে দেবে না। তাই নিয়েই বিবাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে বিজেপির বিডিও অফিস অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুর (Nadia)। চলল ব্যারিকেড ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি। গ্রেফতার বিজেপির দুই বিধায়ক সহ ৫০০ জন কর্মী। ডেপুটেশন দিতেই পারল না বিজেপি নেতৃত্ব। তীব্র উত্তেজনা জেলায়।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Nadia) ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসে। উল্লেখ্য, একুশে জুলাই উপলক্ষে যখন ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তাখন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিডিও অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নদিয়া জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। ঠিক সেই মতো ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে বিডিও অফিস থেকে কিছুটা দূরে মঞ্চ বাঁধে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে একের পর এক নেতৃত্ব বক্তব্য রাখার পর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    তবে বিডিও (Nadia) অফিসের কিছুটা দূরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশকে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল এবং শান্তিপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার। বিজেপির মিছিল ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছাতেই বাধা দেয় প্রশাসন। এরপরেই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধস্তাধস্তি চলার পর অবশেষে পিছু হটে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, শান্তিপুর ব্লকের বিডিও ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেছে, সেই কারণে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বিধায়কসহ ৫০০ জন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হল বলে পুলিশের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে রানাঘাট (Nadia) বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি বলেন, আমরা জেলার অন্যান্য ব্লক অফিসেও আজ ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু এইরকম প্রশাসনের ব্যবহার দেখিনি। অন্যান্য ব্লক অফিসে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা কয়েকজন মিলিতভাবে ডেপুটেশন দিয়ে এসেছি। এখানে আমাদের ডেপুটেশন দিতেই দেওয়া হল না। যেহেতু শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাদের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেই কারণে পুলিশ এই ধরনের ব্যবহার করছে। আমরা বলেছি যদি বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না করতে পারে তাহলে আন্দোলন আরও ব্যাপক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share