Tag: police

police

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামশেরগঞ্জের আমবাগান থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে ফলের বাগানে, রেজিনগরে পাট ক্ষেতে এবং ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। এই জেলায় (Murshidabad) ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটি আমবাগান থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জীবনে এখন বোমার আতঙ্ক যেন নতুন সংযোজন।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কীভাবে বোমা উদ্ধার?

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই ফের ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমার খোঁজ মিলল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সোমবার সকাল সকাল এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার হাউসনগর কৃষক বাজার সংলগ্ন এলাকায়। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাউসনগর কৃষক বাজারের উল্টো দিকে একটি আমবাগানে হানা দেয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। এরপর ঘটনাস্থলকে ঘিরে রেখে, খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। কে বা কারা আমবাগানে বোমাগুলো রেখেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই ব্যাগে প্রায় ১৫ টি বোমা থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে।

    এবার দেখা যাক, এর আগে জেলার কোথায় কোথায় বোমা উদ্ধার হয়েছিল।

    রানিনগরে (Murshidabad) বাগান থেকে উদ্ধার বোমা

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রানিনগর (Murshidabad) থানার ইলসামারি এলাকায় একটি বাগানে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং তিনটি ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চলা ছড়ায়। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বোম্ব স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছিল বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। কে বা কারা, কী কারণে এতগুলি বোমা বাগানের মধ্যে মজুত করে রেখেছিল, সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রেজিনগরে পাট ক্ষেতে বোমা উদ্ধার

    বেলডাঙা ২ রেজিনগর (Murshidabad) থানার বিকননগর কৈখালী সাঁকোর কাছে পাটের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ড্রাম ভর্তি তাজা সকেট বোমা। আর এই উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। স্থানীয়রা ক্ষেতের মধ্যে বোমা দেখে, রেজিনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এই ঘটনায় এলাকার চাষিরা জমিতে চাষ করতে গেলে ভয় পাচ্ছেন বলে জানা যায়।

    ডোমকলে নদীর ধারে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার হয়েছিল সকেট বোমা। আর একে ঘিরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শিয়ালমারী ঘাটের ধারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সকাল নদীর ধারে একটি বাগান থেকে একটি বালতি বোঝাই সকেট বোমা উদ্ধার হয়। তারপরেই বোমার স্থানকে ঘিরে রাখে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    Missing: পুলিশ ব্যস্ত অভিষেকের নিরাপত্তায়, নাবালিকা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুক চাপড়াচ্ছে হতভাগ্য বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাদল থানা এলাকার গোপালপুর গ্রামের গণেশ অধিকারীর ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা নিখোঁজ (Missing)। গোপালপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। কিন্তু এখন তার সন্ধান করবে কে? জেলার সব পুলিশ তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রায় সুরক্ষার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা না ভেবে কেবল রাজনৈতিক নেতাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলছে পরিবার। এলাকায় এ নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দানও।

    অভিষেকের সুরক্ষার ফলে কী ঘটেছে (Missing)?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ। ফলে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার মা-বাবা। পরিবার থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাতে আছেন, তাই সমস্ত পুলিশ এখন তাঁর নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। পুলিশ জানিয়ে দেয়, তিনি জেলা থেকে চলে গেলে তারপর খোঁজখবর (Missing) নিয়ে দেখা হবে। আর এই কথাতেই পরিবার মনে করছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আদৌ চিন্তিত নয়। তারা চিন্তিত কেবল শাসক দলের নেতার সুরক্ষা নিয়ে। নিখোঁজ নাবালিকার সন্ধান পাওয়া নিয়ে পরিবার এখন খুবই চিন্তিত।  

    কেন পুলিশ নিখোঁজ (Missing) কন্যার সন্ধান করতে ব্যর্থ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে নবোজোয়ার কর্মসূচি করছেন। জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। এর কারণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরে সভা করতে এলে, তাঁকে চড় মেরেছিল এক যুবক। আর তারপর থেকেই তিনি এই জেলাতে এলেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকে জেলার পুলিশ প্রশাসন। যেহেতু তিনি জেলাতে আছেন, তাই প্রত্যেকটি থানার পুলিশ নিরাপত্তার কাজে ব্যস্ত। জেলা পুলিশ বর্তমানে অন্য বাকি কাজ (Missing) করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। কিন্তু নাবালিকাকে অপহরণের পর যদি কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহিষাদল থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে, নিখোঁজ (Missing) নাবালিকার বিষয়ে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। আপাতত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। নিখোঁজ মেয়েটিকে উদ্ধারে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    Panihati: পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে এবার পুজো দিতে পারবেন না ভক্তরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল, শুক্রবার পানিহাটির (Panihati) মহোৎসবতলা ঘাটে চিঁড়ে উৎসবের সূচনা হচ্ছে। সাজো সাজো রব গোটা এলাকা। গতবারের  দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পানিহাটির মহোত্সবতলা ঘাটের মন্দিরের ভিতরে ঢুকে এবার আর ভক্তরা পুজো দিতে পারবেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। গতবার পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন বহু ভক্ত। মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে এবার ভক্তের সংখ্যা কমবে মনে হয়। আর ভক্তরা এসে মন্দিরে পুজো দিতে না পারলে তাঁরা হতাশ হবে। ফলে, আগামীদিনে ভক্তের সংখ্যা আরও কমবে। তবে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে।”

    দুর্ঘটনা এড়াতে এবার কী উদ্যোগ নিল প্রশাসন?

    জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব এবছর প্রশাসন কিছু নির্দিষ্ট রুটে দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ধার্য করা হয়েছে। মূলত দর্শনার্থীরা সোদপুর ট্রাফিক মোড় ও স্বদেশী মোড় দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে উৎসব প্রাঙ্গণে। কিছুটা দূরত্ব থেকে একমুখী পথ রাখা রয়েছে দর্শনার্থীদের  জন্য। সেই পথ ধরে কয়েকটি ড্রপ গেট ধরে এগিয়ে শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দির পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব তলায় প্রবেশ করতে পারবেন  দর্শনার্থীরা। মূল মন্দিরে পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু নির্দেশিকা। মূল মন্দির থেকে ইসকন পানিহাটি হয়ে রাঘব ভবন (পাটবাড়ী) যাওয়ার পথ সম্পূর্ণ একমুখী রাখা রয়েছে। পানিহাটি বৈষ্ণব সমিতি মাঠে করা হচ্ছে পূর্ণার্থীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা। রয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। এছাড়াও দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ফ্রায়ার ব্রিগেড থেকে শুরু করে পানীয় জলের সুব্যবস্থা। প্রসাদ বিতরণের জন্য মন্দিরগুলিকে আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। মেলার ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্টল বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবার। এছাড়া খুব গরম থাকায় থাকবে বিশেষ জল বর্ষণের ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে ২০০ টির বেশি সিসিটিভির মাধ্যমে সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    কবে শুরু হয়েছিল এই উৎসব?

    চৈতন্য মহাপ্রভু পানিহাটির (Panihati) মহোত্সবতলা ঘাটে চিঁড়ে উত্সবের সূচনা করেছিলেন। ৫০৭ বছর আগেই ভক্তদের উপস্থিতিতে মহাপ্রভুর নির্দেশে এই উত্সব শুরু হয়েছিল। কথিত আছে ১৫১৬ সালে সপ্তগ্রামের জমিদার রঘুনাথ দাসকে দই চিঁড়ে বিতরণের কৃপাদণ্ড দিয়েছিলেন। মহাপ্রভু ও ভক্তদের সকলের জন্য দই, চিঁড়া, কলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই থেকেই  এখানে এই চিঁড়ে উত্সব পালিত হয়ে আসছে। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই উত্সবে আসতেন। এছাড়াও রামদাস বাবাজী, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মণীষীদের পদধূলি ধন্য এই মহোত্সব তলা ঘাট। কালের নিয়ম মেনেই কয়েকশো বছর ধরেই এই পানিহাটিতে এই উত্সব পালিত হয়ে আসছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও দুজন। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। আহত পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ।

    নদিয়ার (Nadia) কোথায় এবং কী ঘটেছে?

    চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। মানুষের দাবি এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল গরু চুরির ঘটনা। গতকাল রাতে এক চোরকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে, আর সেই চোরকে উদ্ধার করতে গেলে জনরোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ পুলিশ তখন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশের গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক বালকের এবং আরও দুজন আহত অবস্থায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কুলগাছি (Nadia) এলাকর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগে পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। অপর দিকে পুলিশ চোর ধরতে এসে কীভাবে উপস্থিত মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে, এক বাচ্চাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল, সেই বিষয় নিয়েও এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    কুলগাছি (Nadia) উত্তরের তৃণমূল বহিরগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ বর্মন বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখ জনক, ঘটনা অপ্রীতিকর। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। তবে এই এলাকায় মাঝে মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে এবং এই কিছু দিন আগেই গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পুলিশ ঠিক মতন চোরদের ধরতে পারে না বলে, এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাইব, ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, যে দোষী তার শাস্তি হোক। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। চোর ধরতে এসে পুলিশের গাড়িতে কেন প্রাণ গেল! সেই প্রশ্নেই বিক্ষোভ করছে এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোনার দোকানে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, মালিকের ছেলের মৃত্যু, জখম ২

    Barrackpore: সোনার দোকানে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, মালিকের ছেলের মৃত্যু, জখম ২

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুটআউট! পড়়ন্ত বিকেলে জনবহুল এলাকায় সোনার দোকানে ঢুকে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে এলোপাথারি গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের। গুলিতে জখম হন দোকানের মালিক নীলরতন সিনহা ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী শংকর। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) ১৪ নম্বর রেলগেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীলাদ্রি সিনহা (২৯)। দোকানের মালিকসহ দুজনকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

     বারাকপুর (Barrackpore) স্টেশন লাগোয়া ১৪ নম্বর রেলগেট থেকে আনন্দপুরী স্টেট ব্যাঙ্কের যাওয়ার রাস্তায় বাঁদিকে সোনার দোকানটি রয়েছে।  দোকানের নাম সিংহ জুয়েলার্স হাউস। দোকানটি ছোট্ট হলেও ভিতরটি অত্যন্ত সাজানো গোছানো রয়েছে। দোকানের ভিতরে ঢোকার জন্য কাচের দরজা রয়েছে। ফলে, ভিতরে কী হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতো নীলরতনবাবুর সঙ্গে তাঁর ছেলে ও দুজন কর্মচারী দোকানে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ দুটি বাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী আসে। ক্রেতা সেজেই তারা ভিতরে ঢোকে। তিনজনের মাথায় হেলমেট ছিল। একজনের মাথায় টুপি ছিল। ঘটনার সময় দোকানের ভিতরে অন্য ক্রেতা থাকার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। চারজন ঢোকার পরই প্রথমে সোনার দরদাম করতে করতেই আচমকা একজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সোনার গয়না সব বের করে দিয়ে বলে। কিন্তু, দোকানের মালিক তাতে রাজি ছিলেন না। এরমধ্যে একজন দুষ্কৃতী জোর করে সোনার গয়না বের করার চেষ্টা করে। সেই সময় দোকানের মালিকের ছেলে নীলাদ্রি তাকে বাধা দেন। পিছনে থাকা এক দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কাঁদের কাছে গুলি লাগে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চোখের সামনে ছেলেকে গুলি করা দেখে নীলরতনবাবু দুষ্কৃতীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। ততক্ষণে গুলির আওয়াজে বাইরে জটলা শুরু হয়ে যায়। দোকানের নিরাপত্তারক্ষী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও দুষ্কৃতীরা গুলি করে। তার পায়ে গুলি লাগে। বাইরে লোকজনের জমায়েত দেখে দুষ্কৃতীরা দোকানের বাইরে বেরিয়ে গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। ভয়ে কেউ সামনে আসতে চায়নি। এই সুযোগে বাইক নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই বারাকপুর (Barrackpore) পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস যান। তিনি বলেন, এলাকায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরে নকল একে-৪৭ সহ ভুয়ো সেনা অফিসার গ্রেফতার, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Durgapur: দুর্গাপুরে নকল একে-৪৭ সহ ভুয়ো সেনা অফিসার গ্রেফতার, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন ভুয়ো সেনা অফিসারকে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হায়দার বেগলো। সে ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে পুলিশ নকল একে-৪৭ সেভেন, একটি পিস্তল, ভারতীয় সেনার পোশাক এবং নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে। কেন এই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দুর্গাপুরে বসবাস করছিল, তা নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কীভাবে আটক!

    বাইরে থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) শিল্পাঞ্চলে বহু মানুষ কাজ করতে আসেন। এখনে স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাসিন্দা প্রচুর বসবাস করে থাকেন। এর মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাটাও প্রচুর। দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক সচেতনতা। পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই এখানে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করে থাকেন। পুলিশের আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় ভাড়াটেদের উপর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ফর্মও চালু করা হয়েছে। এরকমই তথ্য পেয়ে ছত্তিসগড়ের ভুয়ো সেনার খোঁজ মিলল দুর্গাপুরে। পরে পুলিশ তথ্য যাচাই করে দুর্গাপুরের সুভাষপল্লির একটি বাড়ি থেকে ভুয়ো ওই অফিসার হায়দার বেগলোকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। ভুয়ো অফিসার গ্রেফতারে এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। 

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ জানিয়েছে, হায়দার বেগলো ভারতীয় সেনার অফিসার পরিচয় দিয়ে সুভাষপল্লির বেনাচিতি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে ছিল। প্রায় দু’মাস ধরে সে সেখানে বসবাস করছিল। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কেন সে সেনার পোশাক, ভুয়ো পরিচয়পত্র, এয়ারগান অস্ত্র এবং একটি বাইক ব্যবহার করত, কী উদ্দেশ্য ছিল তার, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। অবশ্য হায়দার নিজে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে, সে ভুয়ো সেনা অফিসার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, হায়দারের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তার স্ত্রী হায়দারকে আর্মি অফিসার বলেই জানেন। ভুয়ো সেনার অভিসন্ধি কী ছিল, তা জানার জন্য এখনও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা জুড়ে যৌথভাবে তল্লাশি চালাল পুলিশ ও সিআইডি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা এবং সরঞ্জাম। পুলিশ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে। শাসক দল একে পুলিশের সাফল্য বললেও বিরোধীদের দাবি, সবটাই লোক দেখানো।

    বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার (Birbhum) 

    এগরার ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷ বেআইনি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চলবে বলেও জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। এদিন বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ তল্লাশি চালায় সিআইডি৷ লাভপুরের (Lavpur) পূর্ণা গ্রামে একটি বাজি তৈরির কারখানা থেকে ১০০ কেজির বেশি বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয়৷ পাশাপাশি, বাজি তৈরির প্রচুর সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ বেআইনি ভাবে প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় ৪ জন অভিযুক্তকে আটক করেছে সিআইডি৷ আরও জানা গেছে, বাজি তৈরির মশলাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতার অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছে এই বাজি কারখানার খবর ছিল এবং রীতিমতো ওই কারখানা থেকে তোলা আসত। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পরও অবৈধ অস্ত্র এবং বোমা কারখানায় তল্লাশির কথা পুলিশকে বলেছিলেন স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। যার ফলস্বরূপই লোক দেখানো মাত্র কয়েকটি জায়গাতে তল্লাশি (Birbhum) হচ্ছে। আসল অপরাধীরা শাসক দলের আশ্রয়েই রয়েছে। রাজ্যে সিংহভাগ অবৈধ বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই, এমন অভিযোগও উঠেছে। সমানে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই দেশি বাজির কারখানায় দেশি বোমা তৈরি হচ্ছে কি না, তা সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ভাবাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share