Tag: police

police

  • Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের  ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভলবো বাসে করে গরু ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ ফের গরু উদ্ধার হল তেলের ট্যাঙ্কার থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পুলিশের নাকা চেকিং থেকে এই গরু বোঝাই তেলের ট্যাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল।

    কীভাবে উদ্ধার হল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু বোঝাই একটি তেলের ট্যাঙ্কার যাচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) হেঁড়িয়া ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়ক ধরে। কিন্তু গাড়ির গতিপ্রকৃতি দেখেই সন্দেশ করে পুলিশ। এরপর গাড়িকে আটক করতে চাইলে গাড়িকে নিয়ে চালক আচমকা ছুট দিতে চায়। এরপর পুলিশ আরও তৎপর হলে ট্যাঙ্কারকে ধাওয়া করে গাড়িকে পাকড়াও করে। গাড়িটিকে ইটাবেড়িয়া বাজার থেকে ভূপতিনগর থানার পুলিশ আটক করে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি।

    ট্যাংকার খুলতেই পুলিশের চোখ কপালে!

    ইটাবেড়িয়া বাজারে (Purba Medinipur) তেলের ট্যাঙ্কার খুলতেই পুলিশের চোখ একাবারে কপালে উঠে যায়। গাড়ির ট্যাঙ্কারে তেল নেই, এক দম ফাঁকা। লাইন করে বাঁধা রয়েছে প্রচুর গরু। এরপর পুলিশ, চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু তাদের বক্তব্যে অসঙ্গগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিজে অত্যন্ত তৎপর হয়ে বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে নাকা চেকিংয়ে এই ভাবে গরু আটক হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবার অনেক স্থায়ীবাসিন্দা বলেছেন, এই ভাবে গরু পাচার হল এক অভিনব কায়দায় গরু পাচার।

    ভলভো বাসের উদ্ধার গরু

    গতকাল শুক্রবার, যে বিলাস বহুল বাসে মানুষ যাতায়ত করে সেই বাসে করেই গরু পাচার করা হচ্ছিল। বর্ধমানের মেমারিতে জিটি রোডর কাছেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বাসের দুই পাশেই ভিতর থেকে পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। পর্দার রঙ রঙিন হওয়ায় বাইরে থেকে বাসের ভিতরের অংশ দেখা যাচ্ছিল না। আর সম্ভব এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের সচেতনতায় পাচার হওয়া গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকালকের পর আজ পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) গরু পাচারের ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়, ছাত্রদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা নিয়ে মঙ্গলবার স্কুলে আন্দোলন শুরু করেছিল পড়ুয়ারা। প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। আর সেই ঘটনায় পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) জলঙ্গি থানার ওসি কৌশিক পালের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের দাবি “স্কুলে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলাম। সেই সময় স্কুলে পুলিশ ডেকে আমাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়।” এই ঘটনায় স্কুলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ছাত্রদের অভিযোগ (Murshidbad)

    স্কুলের (Murshidbad) পড়ুয়াদের দাবি, “আমরা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই অবরোধ চালাচ্ছিলাম। সেই সময় প্রধান শিক্ষক পুলিশ ডেকে বেধড়ক মারধর করায়। ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ওসি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বহুদিন ধরে টাকা-পয়সা নিয়ে দুর্নীতি করছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের খাবার না দিয়ে বঞ্চনা করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছিল। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করলে আমাদের উপর পুলিশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আমাদের অনেককে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা যাতে বাইরে এই মারধরের কথা না জানাই, তাই আমাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোনও মারধর করা হয়নি বলে বক্তব্যকে ভিডিও করে নেওয়া হয়।” এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত ছাত্রদেরকে চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

    অভিভাবকের বক্তব্য

    স্কুল পড়ুয়াদের এক অভিভাবক বলেন, “গতকাল আমাদের ছাত্ররা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এরপর সন্ধ্যায় তিন গাড়ি পুলিশ আসে। ছাত্রদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। ছাত্রদের উপর এই পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ লোক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করে উল্টে ছাত্রদের ভয় দেখায়। এটা রক্ষকের ভক্ষক সুলভ আচরণ। দুর্নীতির কথা যাতে বাইরে না যায়, তাই ছাত্রদের উপর অত্যাচার করে আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    Sheikh Shahjahan: এ কেমন গ্রেফতার শাহজাহান! কোমরে দড়ি পরানো দূর, গায়ে হাত পর্যন্ত দিতে পারল না পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে পুলিশের আচরণ দেখে হতবাক রাজ্যবাসী। সাধারণত দাগী অপরাধীদের আদালতে তোলার সময় কোমড়ে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক সময় কোমড় ধরে বা হাত ধরে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু, সন্দেশখালির বাদশা শাহজাহানকে কোমরে দড়ি পরানো তো দূরের কথা পুলিশ হাত পর্যন্ত দেওয়ার সাহস দেখাল না। আদালতের এজলাসে তোলার সময় কোনওভাবে মনে হচ্ছিল না শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরং, তাঁর পিছনে যেভাবে পুলিশ ছিল তাতে তাকে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমনই অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দেশখালির বাসিন্দারা কী বললেন? (Sheikh Shahjahan)

    সাদা জামা, সাদা প্যান্ট, ম্যাচিং করে ধূসর রঙের কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। ৫৫ দিন পর শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এই সাজেই ধরা দিলেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর শরীরে কার্যত দেখা গেল না কোনও উত্তাপ। তাঁর হাতে দেখা গেল না কোনও হ্যান্ডকাফ, কোমরে নেই দড়িও। আঙুল উঁচিয়ে এমন ভাবে আদালতে প্রবেশ করলেন যেন ‘জামাই’। তাহলে কি নিয়ম সবার জন্য আলাদা? এমনই প্রশ্ন তুলেছে সন্দেশখালিবাসী। তাঁদের বক্তব্য, শাহজাহান কোনও বীর পুরুষ নন। তিনি একজন ধর্ষণকারী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি লুট, একাধিক খুন, বাড়ি ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। এরকম একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে পুলিশের আচরণ মেলানো যাচ্ছে না। পুলিশের সামনেই খোশ মেজাজেই রয়েছে শাহজাহান। গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়া হল। তাহলে পুলিশ হেফাজতে শাহজাহান বহাল তবিয়তে থাকবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, আসলে ইডি-র হাত থেকে শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)  রক্ষা করতেই মরিয়া পুলিশ। তাঁকে লোকদেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশ এতদিন জামাই আদর দিয়ে, ভালো-মন্দ খাইয়ে রেখেছিল। আজ যখন লোক দেখানো গ্রেফতারের পর আদালতের উদ্দেশ্যে তাঁকে বার করা হচ্ছে, পুলিশ তাঁর হাতটুকু ধরার সাহস দেখাতে পারিনি। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব জোনাল কমিটির সদস্য কিংকর কান্তি রায় বলেন, পুলিশের ক্ষমতা নেই শাহজাহানের কোমরে দড়ি পরানোর। বারবার বিভিন্ন কেস দিয়ে শুধু পিসি টানবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কার্যত লেজেগোবরে দশা তৃণমূলের। এহেন আবহে সন্দেশখালি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ‘খালিস্তানি’ গল্প ফেঁদেছে তৃণমূল। অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন শিখ পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলার অভিযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করার জন্য এডিজিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। অন্যথায় তাঁকে পরিণতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আড়ালে থেকে যা খুশি করতে পারে না রাজ্য পুলিশ।”

    ২৪ ঘণ্টা সময়

    অভিযোগ প্রমাণ করতে শুভেন্দু স্বয়ং এডিজি দক্ষিণবঙ্গকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন, “কর্তৃপক্ষ যদি দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে মানহানির মামলা করব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যেদিন সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন, সেদিন তাঁকে ধামাখালিতে বাধা দিতে এক শিখ আইপিএসকে মোতায়েন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইপিএস যশপ্রীত সিংহ তাঁকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেন। সেই সময় শুভেন্দু খালিস্তানি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেন শুভেন্দু।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি

    তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেছেন এডিজিকে। তা না হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি সুপ্রতীম সরকারকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম। যদি ওই সময়ের মধ্যে ধামাখালিতে পুলিশ অফিসারকে আমি খালিস্তানি বলেছি তা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আমি রাজ্য পুলিশের এডিজি সুপ্রতীম সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুুন: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মঙ্গলবার সুপ্রতীম বলেন, “জনৈক পুলিশ অফিসার যশপ্রীত সিংকে যেভাবে খালিস্তানি বলেন আক্রমণ করা হয়েছে, তা তাঁর এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা এমন মন্তব্য করতে পারেন না। আমরা বিরোধী দলনেতার খালিস্তানি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।” শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালিতে যেভাবে আমার যাওয়ার পর জন সুনামি হয়েছিল, তা থেকে নজর ঘোরাতেই প্লট তৈরি করা হয়েছে (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে এবং ভালো পোস্টিং পেতে নিজে এ কথা বলেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) বাম কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ বহরমপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দলেনের ডাক দিয়েছিল বামেরা। এরপর বামকর্মীরা পুলিশের উপর ইট ছুড়লে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক লাঠচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তিনি পোস্ট অফিসে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের মারে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দাবি কী ছিল (Murshidabad)?

    শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পক্ষ থেকে আজ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলাশাসকের (Murshidabad) দপ্তর অভিযান করা হয়। আইন অমান্য ও জেলভরো আন্দোলনে সামিল হন সিপিএমের সমস্ত সহযোগী দলগুলি। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। প্রথমে বাধা দেয় বহরমপুর পুলিশ প্রশাসন। এরপর পুরো এলাকাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। মিছিল রুখতেই রীতিমতো শুরু হয় সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, তাতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ছোড়া হয়ে টিআর গ্যাস, মিছিল বাঞ্চাল করাই উদ্দেশ্যে ছিল।

    পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, বিদুৎ বিল, স্মার্টমিটার বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি হল বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সি.আই.টি.ইউর আহ্বানে আইন অমান্যের কর্মসূচীর জন্য জিটি রোডে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো বর্ধমানেও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি চলে আন্দোলনকারীদের। তারপর বাদামতলার মোড়ে ব্যারিকেডে আটকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।সেখানেই পথসভা করা হয় সিটুর পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    Sandeshkhali: “এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত”, নথি না আনায় বিচারকের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ভর্ৎসনা করা হল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। মূলত বসিরহাট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিং। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃতদের শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। সকলের সামনেই তদন্তকারী আধিকারিকতে রীতিমতো বিচারক ধমক দেন। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তদন্তকারী আধিকারিককে কী বললেন বিচারক? (Sandeshkhali)

    রবিবার নিরাপদ সর্দারদের বসিরহাট আদালতে তোলার কথা ছিল। সেইমতো ধৃতদের আদালতে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু কোর্ট লকআপে বসিয়ে রাখতে হয়। কারণ, আদালতে পুলিশ প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে পারেনি। সেই একই ঘটনা ঘটল সোমবারও। আদালতে পেশ করার যথাযথ নথি পুলিশ না দিতে পারায় এদিনও সম্পূর্ণ হল না সন্দেশখালির শুনানি। এরপরই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার তদন্তকারী আধিকারিককে এদিন ভর্ৎসনা করেন বসিরহাট আদালতের বিচারক। ‘অপদার্থের মত কাজ’ বলে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। ‘বেআইনিভাবে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এটা সন্দেশখালি নয়, আদালত’। সন্দেশখালির পারদ তো চড়েই আছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আইনজীবীদের তরফে রবিবারের ঘটনার রেশ টেনে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বিচারকের। তাতে সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। ধৃতদের আদালতে পেশ করা নিয়ে আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ করা হয় সন্দেশখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে। সোমবারও শুনানি স্থগিত রাখা হয়। বিচারক পুলিশকে নির্দেশ দেন, আজকের মধ্যেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত সমস্ত কেস ডায়েরি ও গ্রেফতারের যে কাগজপত্র তা জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সম্পূর্ণ শুনানি হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) হস্টেলে ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিবারের তরফ থেকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং হোস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

    মৃত পড়ুয়ার পরিচয় (Durgapur)

    স্থানীয় (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম রাজদীপ সরকার, বয়স ১৮। পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামের দাড়িয়াপুরের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার ২৫ নম্বর ওয়র্ডের ফুলঝোড় মোড়ের কাছেই একটি বেসকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। কলেজের হোস্টেলই থেকে পড়াশুনা করতেন রাজদীপ।

    মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য

    মৃত পড়ুয়া রাজদীপের জেঠু চঞ্চল সর্দার বলেন, “রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজের (Durgapur) হোস্টেলের ছাদ থেকে রাজদীপ পড়ে গিয়েছে বলে কলজে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতলে যেতে যেতেই আমরা মৃত্যুর খবর পাই। তবে রাজদীপের চোখে মুখে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ একবার বলছে ছাদ থেকে মৃত্যু আবার বলছে বিছানা থেকে পড়ে মৃত্যু! উভয় ঘটনায় ব্যাপক সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ব়্যাগিং করা হয়েছে।”

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ঘটনায় কলেজ (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অধ্যক্ষ রাজদীপ রায় জানিয়েছেন, “ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ মিথ্যা। রাজদীপ এবং সিদ্ধার্থ নামের এক পড়ুয়া গল্প করছিল। সেই সময় বিছানা থেকে পড়ে যায়। মেঝেতে থাকা স্টিলের একটি গ্লাসে আঘাত লাগে তাঁর মুখে। তাই চোখে মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।” অপর দিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক মোদি জানান, “পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোর্টের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। এই নদের দুই পাড় থেকে বালু চুরি করে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজস্ব না দিয়েই অবাধে বালি চুরি করে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোনও রকম সরকারের অনুমতি নেওয়ার বালাই নেই। বিএলআরও এফআইআর করলেও বালিপাচারে নিস্ক্রিয় পুলিশ। একেবারে কার্যত পাইপ লাগিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে অবাদে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে। একই ভাবে সরকারি রাজস্বে প্রচুর ক্ষতির অভিযোগও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Purba Bardhaman)

    অবাদে অজয় নদ (Purba Bardhaman) থেকে বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ হল, “শাসক দল, পুলিশ, বিএলআরও একত্রিত বোঝাপড়া করে মাঝে মাঝে তাল্লাশি বা অভিযান করেন বটে, কিন্তু তাঁরা একত্রিত হয়ে সংগঠিত ভাবে এই পাচারকাণ্ডে অংশীদার হচ্ছেন।” ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এসডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই এলাকার বিজেপি নেতা আলোকতরঙ্গ গোস্বামী জানিয়েছেন, “প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না।” অপর দিকে ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক, পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বক্তব্য

    এই অবাদ বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় (Purba Bardhaman) ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাহুল ঘোষ বলেন, “যখনই অভিযোগ পাচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে রেইড করছি। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত ভাবে করছি। গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় একটি এফআইআর করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগের পরেও কেন পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশই বলতে পারবে, আমি কিছু জানিনা।”

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মঙ্গলকোর্টে (Purba Bardhaman) অজয় নদের বালি চুরির ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা শাসক অর্চনা পো ওয়াংখেড়ের জানিয়েছেন, “বিএলআরও বলেছেন থানায় এফআইআর করা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা দ্রুত করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল সন্দেশখালিতে। পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাতে এলাকায় পুলিশ অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপি-র প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়। প্রতিনিধি দলে রাজ্য বিজেপি (BJP) সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ বসিরহাট বিজেপি সংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা ছিলেন। ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়।

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিজেপি নেত্রী? (BJP)

    পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থানার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বিজেপি (BJP) কর্মীরা। অপরদিকে, বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা চারজন রয়েছেন। প্রয়োজনে পুলিশও তাঁদের সঙ্গে যেতে পারে। কোথাও আইন ভাঙা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ কেস দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গ্রামবাসীরা যাঁদের নামে অভিযোগ করল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। উল্টে সাধারণ গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাতে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে। আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা নিয়ে উত্তেজনা

    শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন সন্দেশখালির এক অংশের মানুষ। পাল্টা শিবু হাজরার দলকেও এলাকার দখল নিতে দেখা গিয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রচুর পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে। এর মধ্যে এলাকায় প্রবেশে বাধা পেলেন বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share