Tag: police

police

  • Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার হওয়া শাহরুল জানিয়েছিল সে গুলি করেনি। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে নতুন মোড় নিচ্ছে হত্যাকাণ্ডে। পুলিশের দাবি, গুলি শাহরুল করেছে। গত ১৩ নভেম্বর সকালে তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিনের হত্যার পর একবারও খুনে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে ফোন করেনি শাহারুল। পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গুলি করেছিল শাহরুল (Joynagar Murder)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা খুনের (Joynagar Murder) ঘটনায় বাইকে করে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। এদের মধ্যে শাহরুল গুলি করেছিল। খুনের পরে শাহরুল ধরা পড়ে যায়।। ঘটনায় অভিযুক্তের মধ্যে আরও তিনজন এখনও পালাতক। অপর দিকে আনিসুরকে হরিণঘাটা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার শাহরুলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের পর, পুলিশ শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের বক্তব্য, “শাহরুলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে খুনের ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটা মানিব্যাগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে বন্দুকে ব্যবহার করা কার্তুজ এবং মৃত তৃণমূল নেতার ছবি। সঙ্গে ছিল আধার এবং প্যান কার্ড।” পুলিশের আরও অনুমান, “টার্গেট যাতে মিস না হয় তাই তাঁকে ছবি দেওয়া হয়েছিল। গুলি শাহরুল করেছে।”

    পরিকল্পনা করে খুন করা হয়

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় কেউ কেউ আর্থিক মদত করেছে। সইফুদ্দিনকে হত্যা (Joynagar Murder) করার জন্য শাহরুল রীতিমতো নজরদারি করেছিল। শাহরুলকে খুনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল আনিসুর এবং কামরুল। এই ঘটনায় আরও দুই থেকে তিনজন আর্থিক সহায়তা করেছিল বলে পুলিশের অনুমান। বারুইপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে আরও ১১ জন পুলিশ রয়েছেন। খুনের জন্য মোট ৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় (Khardah) বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত প্রতারকরা। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। মূলত, প্রতারণা জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত জামতারা গ্যাং। পুলিশকে ঘোল খাইয়ে বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অনেক ঘটনা রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। জামতা়ড়া গ্যাংকে টেক্কা দেওয়ার মতো গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছিল খড়দায়। পুলিশ টের পর্যন্ত পায়নি। করোনার সময় এই গ্যাং মার্কিন মুলুকে সব থেকে বেশি প্রতারণা করেছিল। গত চার বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভয়েস চেঞ্জার, অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেরাদুনের পাঁচ তারা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করত? (Khardah)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে  কথা বলত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় (Khardah) বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের আশঙ্কা। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দেরাদুন থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

    কীভাবে হদিশ মিলল প্রতারকদের?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান নামে এক প্রতারকের বাড়িতে চলত এই কল সেন্টার। সেখানে খড়দা,(Khardah) টিটাগড়ের পাশাপাশি কলকাতার গড়ফার একজনেক হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপর এই কেসের তদন্তভার কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগ আরবাজ হাসান নামে একজনকে সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। এরপর গত তিনদিন আগে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের  একটি পাঁচ তারা হোটেল থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ শাহাবাজ হাসান, সোনু জয়সওয়াল, কৃষ্ণ কুমার সিং, অনীশ ঠাকুর, ফরহাদ হাসান ও হর্ষ দিনানি। এই ছয়জনকে শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হচ্ছে বারাকপুর আদালতে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর খড়দার (Khardah) একটি কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রচারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একটি অডি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবীণ ব্যক্তিদের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কল সেন্টার কাজ করে। এই চক্র দীর্ঘ চার বছর ধরে এরা খড়দা থেকে চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar: হামলার খবর আগাম জেনেও সতর্ক হয়নি পুলিশ! জয়নগর কাণ্ডে বদলি আইসি

    Joynagar: হামলার খবর আগাম জেনেও সতর্ক হয়নি পুলিশ! জয়নগর কাণ্ডে বদলি আইসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার  জয়নগরের (Joynagar) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনা নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে ঘটনাস্থল থেকে শাহরুল নামে আরও এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এরইমধ্যে জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় বারুইপুর গোয়েন্দা পুলিশের আধিকারিক পার্থসারথি পালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    কেন বদলি হলেন আইসি? (Joynagar)

    তৃণমূল নেতার উপর হামলা ঘটনা পুলিশ আগে থেকে জানত। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের উপর হামলার আশঙ্কার বিষয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে জয়নগর থানাকে সতর্কও করা হয়। তারপরও থানার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই কী আইসি আচমকাই বদলি করে দেওয়া হল। যদিও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একে লোকসভা নির্বাচনের আগে রুটিন বদলি বলেই বলা হচ্ছে।

    পরিকল্পনা করেই খুন!

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, জয়নগরে (Joynagar) তৃণমূল নেতা খুনের দেড় মাস আগে থেকে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আনিসুরই ছিল পরিকল্পনার মুল মাথা। তবে অর্থ যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে উঠে আসছে আরও দু’জনের নাম, তাঁদের মধ্যে একজন সইফুদ্দিনের পরিবারেই সদস্য। যার সাট্টার ঠেক ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সাট্টার ঠেক বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল সইফুদ্দিনের প্রভাবে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ ছাড়া সন্দেহের রয়েছেন বামনগাছি অঞ্চলের একজন ব্যবসায়ী যার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সইফুদ্দিনের হুমকি এবং নানা কর্মকাণ্ডে। তবে তাঁরা দু’জনেই ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে আনিসুরের সঙ্গে বড় ভাইয়ের’যোগাযোগ ছিল। দু’জনেই সিপিএমের কর্মী। বড়ভাই খুনের জন্য দক্ষ শাহরুলকে আনিসুরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। গুলি করার পর কিছুটা বাইকে তার পর গ্রামবাসীরা ধাওয়া করলে রাস্তার পাশ দিয়ে ধানক্ষেত ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শাহরুল। তখনই ফোন করে সে আনিসুরকে জানায় যে টার্গেট কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় তিনজন ধরা পড়লেও আরও ৭-৮ জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর সকালে জয়নগরের (Joynagar) বামনগাছি পঞ্চায়েতের বাঙালবুড়ির মোড়ে নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় খুন হন সইফুদ্দিন। মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি, এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের এক জনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় আনিসুর লস্কর এবং কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও দুই অভিযুক্তকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের, ইডেনে জিতে টিকে থাকল পাকিস্তান

    ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের, ইডেনে জিতে টিকে থাকল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকল পাকিস্তান। ক্রিকেটের নন্দনকাননে বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বাবর আজমের পাকিস্তান (Pakistan) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইডেনে পরপর দুই ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। টস জিতেও পিচ না বুঝতে পেরে ম্যাচ হেরে খেসারত দিতে হল বাংলাদেশকে। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। 

    ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা

    ক্রিকেটের নন্দনকাননে হতাশ করল না গ্রিন আর্মি। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওপেন করতে নেমে এদিন ব্যর্থ হন বাংলাদেশের তানজিদ তামিম। তিনি শূন্য রানে আউট হন। ওভারের পঞ্চম বলে তিনি আউট হন। এরপর তৃতীয় ওভারে ৪ রান করে আউট হন শান্ত। ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর ৫ রান করে ফেলেন মুশফিকুর রহিম। সেই সময় বাংলাদেশের রান ২৩। শুরুর তিনটে উইকেট দেখেই বোঝা গিয়েছিল শেষটা কী হতে চলেছে। আর সেটাই হয়েছে। প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এদিন উপরের দিকে ব্য়াট করতে নামেন মাহমদুল্লা। তিনি ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করেন ৫৬ রান। ওপেন করতে নামা লিটন দাস ৪৫ রান করেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশেষে রান পান। তিনি ৪৩ রান করেন। বল হাতে এদিন দুর্দান্ত কামব্য়াক করেন শাহিন আফ্রিদি। নতুন বলে তিনি বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। ৩ উইকেট নেন। 

    রান তাড়া করতে নেমে বাবরদের জয়ের ভিত গড়ে দেয় ওপেনিং জুটি। আবদুল্লা শফিক ও ফখর জামানের ১২৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ছিল। ৮১ রান করেন ফখর। বাবর আজম অবশ্য রান পাননি। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০৫ বল বাকি থাকতেই ২০৫ রানের টার্গেট পূরণ করে ফেলে গ্রিন আর্মি। ৩২.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান।

    বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ!

    এই পরাজয়ের ফলে, সরকারিভাবে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিল বাংলাদেশ। এখনও পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। ৬টিতেই পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে খেলে পয়েন্ট মাত্র ২। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানের হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনকী নেদারল্যান্ডসের কাছেও হারতে হয় সাকিবদের। বেঙ্গল টাইগারদের এদিন ইডেনে বধ করল পাকিস্তান। পাশাপাশি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও শাকিবরা যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। কারণ, প্রথম সাত দল এবং আয়োজক দেশ (এক্ষেত্রে পাকিস্তান) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ বর্তমানে রয়েছে নবম স্থানে।

    সন্ত্রাসকে সমর্থন!

    বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের গ্যালারিতে দেখানো হল প্যালেস্তাইনের পতাকা। মাঠে ঢোকার গেটেও উড়ল সেই লাল-কালো-সাদা-সবুজ পতাকা। এর পরেই গ্যালারি থেকে চার জনকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ। ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর গেট থেকে দু’জন এবং ব্লক ডি থেকে দু’জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের পার্টি ক্যাডারের থেকেও অধম। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। এদিন তিনি জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।এই ক্যান্সার আক্রান্ত শুভঙ্করবাবুকে দুদিন আগে থানার ওসি মারধর করেন। আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকার তিনি বার্তা দেন।

    দলীয় প্রার্থীকে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু(Suvendu Adhikari)?

    আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু বলেন, বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। দলীয় প্রার্থী দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগী। এই ওসি যেভাবে একজন জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তারা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম। শুভঙ্কর মাহাতোকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে এখানে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সাঁকরাইল ব্লকের ২০১৮ সালে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। এখানে বিজেপির জনসমর্থন অনেক বেশি। কিন্তু, এই একজন দলদাস ওসিকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো যে গুন্ডামি করাচ্ছে,  সেটা এখানে আমরা দেখেছি। এই তোলামূলের ওসি, মমতা পুলিশ দুটো মিথ্যে মামলা করেছে। আমি জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছি মামলার কপিগুলো তুলবে এবং বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী হাইকোর্টে রিট পিটিশন করবে। মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। শুভঙ্কর মাহাতো একজন কুড়মি সমাজের মানুষ। তার উপর পুলিশের এই হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত ওসিকে শুধু সাসপেন্ড নয় যাতে গ্রেফতার করা হয় তারজন্য যা যা  করা দরকার তা করা হবে।

    জঙ্গলমহলে পুলিশি অত্যাচার নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    তপসিয়ায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পুলিশ দিয়ে অত্যাচার করছে। মিথ্যা মামলা করছে। এভাবে জঙ্গলমহলকে দমিয়ে রাখা যায় না। জঙ্গলমহল প্রতিবাদী মানুষের জায়গা।  জঙ্গলমহলে যত অত্যাচার হবে তত প্রতিরোধ হবে। নয়াগ্রামে বিজেপির সভায় শুভেন্দু অধিকারি বলেন,‘সিপিএমের তিনতলা পাকা বাড়ি। তার সঙ্গে কম্পিটেশন করে চোর তৃণমূলও তিনতলা পার্টি অফিস বানিয়েছে। ছাদ থেকে পতাকা নাড়াচ্ছেন। নয়াগ্রামের আইসি দাঁড়িয়েছেন। পুলিশের আসকারায় এসব হচ্ছে। জঙ্গলমহলে পুলিশিরাজ চলবে না।’

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু ?

    মাওবাদী তকমা দিয়ে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশি অত্যাচারের বামফ্রন্টের আমলের সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর সঙ্গে মানুষ নেই। কর্মসংস্থান দিতে পারেননি। মানুষের পেটে ভাত, হাতে কাজ দিতে পারেননি। ৫০০ টাকা দিয়ে কারো সংসার চলে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এর থেকে অনেক বেশি মহিলারা টাকা পান। সেই জায়গায় ভোটের জেতার জন্য অত্যাচার একমাত্র রাস্তা। একটা পানীয় জলের কাছে আড়াইশো মহিলা বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। জল দিতে পারেনি, গ্রাম দখল করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জঙ্গলমহলের ছেলেরা ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডে গিয়ে  কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী কাজ দিতে পারেনি। জঙ্গলমহলের কোনও বাড়িতে পুরুষ মানুষ থাকে না। পুরো পঞ্চায়েত চুরি করেছে। শৌচালয়ের টাকা মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এত হকদার একটাও প্রকৃত লোক পায়নি।

    পঞ্চায়েতে  ক্ষমতায় আসলে বিজেপির পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, জঙ্গলমহলে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের জয়ী করুন। মানুষের পঞ্চায়েত হবে। গ্রাম সংসদের সভায় বসে উপভোক্তা কারা হবেন তা ঠিক করা হবে। সে যদি তৃণমূল, সিপিএমের লোক পাওয়ার যোগ্য হয়, তবে তিনিও পাবেন। পঞ্চায়েতে কোনও রাজনীতি হবে না। আমরা সেটা নিশ্চিত করব। গতবারে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। এসপিকে দিয়ে ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা গড়ার খেলা করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে ট্রাকে লোড করে ৭টি গরু পাচার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে একটি গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দিল আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়ি আটক করায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়।

    কীভাবে উদ্ধার হল?

    শুক্রবার বিকালে আসানসোলের (Asansol) ভগৎ সিং মোড়ে গরু সমেত একটি গাড়িটিকে আটকে দেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়িতে উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। গাড়িটি পুরুলিয়ার দিক থেকে আসানসোলে আসছিল বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক। আসানসোল  দক্ষিণ থানার পুলিশ গাড়িটি আটক করে নিয়ে যায়। ভগৎ সিং মোড় এলাকায় গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় অনেক পথ চলতি মানুষও।

    কী বললেন বিধায়কিয়া (Asansol)?

    বিজেপি বিধায়িকা (Asansol) অগ্নিমিত্রা পল বিষয় সম্পর্কে বলেন, আমি খবর পেয়েছি এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার চলছে! তারপর রাস্তায় এসে গরু সমেত একটি গাড়ি উদ্ধার করি। গাড়ির চালকের কাছে শীলমোহর সমেত কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। একটা কাগজে ২টি গরুর কথা বললেও গাড়িতে মোট সাতটি গরু দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বেজেপি নেত্রী। কাশীপুর থেকে অবৈধ ভাবে এই গরু আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিধায়িকা আরও দাবি করেন, এই রাস্তায় প্রত্যেকদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকে করে গরু পাচার হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি একা কত গরু আটকাবো! সরকার এই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রত্যেক থানায় পুলিশদের কাটমানি দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে সব খবর আছে। এমন নয় যে পুলিশের চোখের আড়ালে সব ঘটছে। এরপর আরও বলেন, বলা হয় যে অসুস্থ বা বিকলাঙ্গ গরুদের কাটা যেতে পারে, কিন্তু এই ট্রাকে থাকা সবকটা গরু অপূর্ণ বয়সের গরু! উল্লেখ্য গাড়িতে কোনও নম্বর প্লেট নেই বলে জানান তিনি। পুলিশের সম্পর্কে আরও বলেন তিনি, পুলিশ শুধু বিজেপির কর্মীদের আটকাতে বেশী তৎপর। অবৈধ চোরাচালান আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ। সরকার এই গরু পাচারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গরু পাচার আটকানো সম্ভব নয়। 

    প্রশাসনের ঘুম কবে ভাঙে, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থীদের পুলিশি পাহারা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। এর উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার, অভিমত হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, এই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, পুলিশি পাহারার মধ্যেই এক জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক জন আক্রান্ত। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে হামলা হল? এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির নির্দেশ, মামলকারীরা যে সব অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও যে পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি

    পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মনোনয়ন জমা নিয়ে এই আদালতের বিচারের এক্তিয়ার নেই। তাই মামলাকারীদের আবেদন মতো পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন যুদ্ধের ছবি সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দৃশ্য মিলিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পোস্টে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘গতকাল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হাজার হাজারবার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জীবদ্দশায় আমরা যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব অঞ্চলের ফুটেজ, উদ্বাস্তু সংকট দেখেছি। কিছু বিরক্তিকর ছবি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যায়। আতঙ্কিত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের ছবি ‘আত্মসমর্পণের জন্য হাত তুলে’; বন্দুকের ব্যারেলের দিকে তাকিয়ে থাকা এমন একটি ছবি যা আমাদের যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

    সম্প্রতি ভাঙরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যেখানে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁদের হাতে নথি তুলে ধরে যাতে পুলিশ তাঁদের উপর গুলি না চালায়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে বোমা মেরে মনোনয়ন কেন্দ্রের দিকে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে অনীহা। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) অন্য রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ আনতে রাজি নবান্ন (Nabanna)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অন্য কয়েকটি রাজ্যের কাছ থেকে সশস্ত্র পুলিশ চেয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে, আজ, শনিবার থেকে রাজ্য পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একমাত্র জরুরি কারণেই ছুটির আবেদন বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবিতে আদালতেও গিয়েছেন বিরোধীরা। তার পরেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীতে গররাজি হলেও, অন্য কয়েকটি রাজ্যের কাছে সশস্ত্র পুলিশ চেয়েছে রাজ্য সরকার।

    রাজ্যের বক্তব্য

    জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Panchayat Election 2023) রাজীব সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে সব বুথে সশস্ত্র বাহিনী দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা নেই। রাজ্যের তরফে এও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী আনা হবে। পড়শি রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড থেকে বাহিনী আনতে পারে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬টি। প্রতি বুথে ২ জন করে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করলেও সব মিলিয়ে পুলিশ কর্মী প্রয়োজন ১ লক্ষ ২৩ হাজারের কিছু বেশি। সেক্ষেত্রে অন্তত ২০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীর প্রয়োজন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, তল্লাশি, ফ্লাইং স্কোয়াড, মোবাইল নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও পুলিশ কর্মীর প্রয়োজন। পুলিশ দরকার স্ট্রং-রুম রক্ষায়ও। তাই প্রয়োজন হয়তো আরও কিছুটা বাড়তে পারে। আবার সব থানা ফাঁকা করেও পুলিশ কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো যাবে না। সেই কারণেই বাইরে থেকে আনতে হবে বাহিনী। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্বাচনের কাজে লাগাতে চাইছে না নবান্ন। তার বদলে পুলিশ কর্মী আনার চেষ্টা করছে ভিন রাজ্য থেকে।

    ‘কেন্দ্র-ফোবিয়া’ থেকেই কী এহেন সিদ্ধান্ত রাজ্যের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলের বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, অভিযোগপত্রে ৩৪ জনের নাম রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সহ পরিবারের লোকজনও। বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু ছবি সামনে আনা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতৃত্ব অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে নিয়ে মিটিং করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এই ব্যাপারে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিষ মণ্ডল আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন। 

    কী অভিযোগ করলেন বিজেপির জেলা নেতা (Mayna)?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিষ মণ্ডল বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলে বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুন করা হয়েছিল। সেখানে ৩৪ জন আসামির নাম দেওয়া হয়েছে। টিমটা ছিল ৫০ জনের মতো। তা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ওখানকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে দুধকুমার হাজরা, শশাঙ্ক মাজি, সুশান্ত মাল, আশুতোষ দাস, পঙ্কজ ভুঁইয়া সহ প্রায় ২০ জনের একটা টিম পুরো বাকচা মাতিয়ে বেড়িয়েছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, বোমা ছিল, বন্দুক ছিল। তারা ধরে ধরে মানুষকে হুমকি দিয়েছে। তারা নানা জায়গা ঘুরে অঞ্চল অফিসের পাশে ফুটবল মাঠে গিয়ে জমা হয় এবং সেখান থেকে ফোন করে করে মানুষকে হুমকি দেয়। বিজেপির কয়েকজনকেও তারা হুমকি দিয়েছে। প্রকাশ্যে তারা এইভাবে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশকে বারবার বলেছি, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, ফের না কোনও ক্ষতি হয়ে যায়। ৩৪ জন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? আসলে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাদের গ্রেফতার করছে না। সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ হয়েছে। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব আমরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share