Tag: police

police

  • Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশনের সামনে অটোচালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। একজন এএসআই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁর ওপরও অটো চালকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অটো চালকদের হামলার জেরে একজন এএসআই, চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। জখম সিভিকদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    এমনিতেই ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ২৪ নম্বর রেল গেট থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত অটো, টোটো সোজা না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই অটো, টোটো চলাচল করে। এনিয়ে এক অটো চালকের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বচসা হয়। এমনিতেই রাস্তার ওপর অটো দাঁড় করে অটো চালকরা যাত্রী তোলেন। যাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের সামনেই অটো দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে সিভিকরা বলতে গেলেই অটো চালকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অটো চালকরা দল বেঁধে এসে সিভিকদের বেধড়ক পেটায়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী বললেন অটো চালক?

    এক অটো চালক বলেন, শ্যামনগরে (Shyamnagar) রাস্তায় অটো চলাচল করা নিয়ে সিভিকের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে এক অটো চালকের নাক ফাটিয়ে দেয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ইট নিয়ে আসে। সেই ইট কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছে। আর আমাদের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত এএসআই?

    আক্রান্ত এএসআই বলেন, আমি শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডিউটি করছিলাম। গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি, অটো চালকরা সিভিকদের মারধরক করছে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আমি ছাড়াতে গেলে আমার ওপর ওরা চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ওরা ফেলে দেয়। বুকে আর কোমড়ে চোট লেগেছে। মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। অটো চালকরা আমাদের উপর দাদাগিরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amritsar: ৭ দিনে ৩ বার! অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কাছে ফের বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৫

    Amritsar: ৭ দিনে ৩ বার! অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের কাছে ফের বিস্ফোরণ, গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) স্বর্ণ মন্দিরের (Golden Temple) কাছে আবার বিস্ফোরণ (Blast)। বুধবার মধ্য রাতে অমৃতসরে (Amritsar) স্বর্ণ মন্দিরের কাছে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এই নিয়ে স্বর্ণ মন্দিরের কাছে গত এক সপ্তাহে তৃতীয়বার বিস্ফোরণ হল। ক্রুড বোমা (Crude Bomb) বিস্ফোরণ করানো হয়েছিল বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বর্ণ মন্দিরের কাছে অশান্তি সৃষ্টি করাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল।

    হতাহতের খবর নেই

    পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সওয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে স্বর্ণমন্দির এলাকার শ্রী গুরু রামদাস নিবাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। হরমন্দির সাহিবের কাছে যে উদ্যান রয়েছে, তার সামনের গলিপথেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই বলে পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল। পুলিশ স্বর্ণ মন্দির সহ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। যে ঘরে বিস্ফোরণ হয়, সেখানে দুই ব্যক্তি ও এক মহিলা ছিলেন। তাদের ইতিমধ্যেই জেরা করা শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে বড় কোনও নাশকতার ছক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও অবধি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি বলেই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর মুকুটে নয়া পালক! বিশ্বে প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি

    তদন্তে পাঞ্জাব পুলিশ

    এই প্রথম বার নয়, সাত দিনের মধ্যে পর পর তিন বার স্বর্ণ মন্দির (Amritsar) এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। চলতি বছরের ৬ মে স্বর্ণ মন্দিরের কাছে হেরিটেজ সরণিতে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। তার ঠিক দু’দিন পর একই এলাকায় আবার বিস্ফোরণের প্রবল শব্দ পাওয়া যায়। গত ৬ মে-র বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন আহত হন। বেশ কিছু বিল্ডিংয়ের কাঁচ ভেঙে যায় বিস্ফোরণের জেরে। এর ৩০ ঘণ্টা বাদেই ফের আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। তবে এই বিস্ফোরণের মাত্রা কিছুটা কম ছিল। ওই বিস্ফোরণে ১জন আহত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায় এনআইএ-র দলও। পুলিশের দাবি, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে কিছু লিফলেট পাওয়া গিয়েছে। বোমা ফাটার পর তার অবশিষ্টাংশও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিস্ফোরণগুলির নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে। পাঞ্জাব পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    Bomb: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে তেঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) উদ্ধার হল। স্কুলের সামনে বোমা পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর কিছুদিন পরই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই শাসনের মতো জায়গায় ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) কোথায় রাখা ছিল?

    শাসনের সদ্যারআটি তেঘরিয়া এলাকায় রাস্তার ধারে একটি কালভার্টের নীচেই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা (Bomb) দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যাগে ৮ টি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। তবে কে বা কারা রেখে গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্যই দুষ্কৃতীরা হয়তো বোমা রাখতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শাসনের মাটি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাম জমানায়। পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার আসে। তৃণমূল কংগ্রেস আসার পর মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে শাসনের মাটি। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সেই শাসনেই কালভার্টের নীচে থেকে উদ্ধার হল বোমা (Bomb)। কারা কোন উদ্দেশ্যে বোমাগুলি রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে শাসন থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে কীভাবে এল এতগুলো তাজা বোমা (Bomb) তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জেনে গিয়েছে, তারা এবার একটি ভোটও পাবে না। তাই যেভাবে হোক সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয় তার জন্যই তারা বোমা (Bomb), গুলি, পিস্তল আগে থেকেই মজুত করে রাখছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ তৃণমূল সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এসব করে আর লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিছক ড্রেন তৈরি নিয়ে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই চলল গুলি। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ জখম হননি। তবে, সামান্য ড্রেন তৈরির ঘটনা নিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি (Memari) থানার দুর্গাপুর অঞ্চলের মগলামপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মগলামপুর গ্রামের অশোক বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জল নিকাশির জন্য বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করছিলেন। মিস্ত্রিরা এসে এদিন ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। অশোকবাবুর প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ এসে ড্রেনের কাজ করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেইসময় তাঁরা একে অপরের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময় বিপ্লব সাধুখাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁ আচমকা ঘর থেকে তাদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনালা বন্দুক বের করে গুলি চালায়। অশোকবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয় একজনের তত্পরতায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে, স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। অশোকবাবু বলেন, সামনেই আমার ছেলের বিয়ে। তাই বাড়ির সামনে একটি ড্রেন তৈরির কাজ করছিলাম। এক প্রতিবেশী ওই কাজে আমাদের বাধা দেয়। এনিয়ে আমাদের মধ্যে বচসা চলছিল। আচমকা প্রতিবেশীর ছেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার দাদা বন্দুকটি সরিয়ে না নিলে তিন-চারজনের মৃত্যু হতে পারত। ঘটনার পর খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

    গুলি চালানো নিয়ে কী বলল অভিযুক্ত যুবক?

    রাজীব সাধুখাঁ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। ঘটনার পর পরই মেমারি (Memari) থানার পুলিশ এসে রাজীব ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়। গুলি চালানো নিয়ে রাজীবের বক্তব্য, আমার বাবাকে সকলেই মারধর করছিল। চোখের সামনে আমি সেটা সহ্য করতে পারিনি। মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই, বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে গুলি চালিয়েছিলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CCTV Camera: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে জোরদার করা হল নিরাপত্তা, কীভাবে?

    CCTV Camera: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে জোরদার করা হল নিরাপত্তা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করতে সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) মুড়ে দেওয়া হল। মূলত মন্দিরে ঢোকার প্রবেশপথে এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আগে ভবতারিণী মন্দির এবং মন্দির চত্বরে সিসিটিভি (CCTV Camera) ছিল। তবে, মন্দিরে ঢোকার রাস্তায় কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। বিশেষ করে স্কাইওয়াকের আশপাশের এলাকায় এতদিন কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। এদিন থেকে সেখানেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হল। সেই সঙ্গে যাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরি হল একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়।

    কী বললেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার?

    এমনিতেই দক্ষিণেশ্বর মন্দির রাজ্যের অন্যতম তীর্থস্থান। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের বহু ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই মন্দিরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। এক সময় বেলঘরিয়া থানার পক্ষ থেকে এই মন্দিরের নিরাপত্তা দেখভাল করা হত। মন্দির চত্বরেই ছোট্ট ফাঁড়ি ছিল। মন্দিরে আসা ভক্তদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে শুধু মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকার জন্য নতুন দক্ষিণেশ্বর থানা তৈরি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তা অনেকটাই জোরদার করা হয়েছে। এমনিতেই মন্দির চত্বরে সিসি ক্যামেরা ছিল। বাইরে কোনও ক্যামেরা ছিল না। এবার থেকে মন্দিরের ভিতর এবং বাইরে সিসিটিভি (CCTV Camera) ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হল। দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে, যাতে কোনো অঘটন না ঘটে তার জন্য গোটা রাস্তাকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে আসা হলো। ডানলপ মোড়ে আগেই লাগানো হয়েছিল এই ক্যামেরা। পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে ঢোকার রাস্তার পাশাপাশি বনহুগলি এবং সবেদা বাগান মোড়েও লাগানো হল সিসি ক্যামেরা। সবমিলিয়ে ১৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগানো হল। বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এমনিতেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় নজরদারি চালানো হয়। এবার সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) লাগানোর পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হল। এতে কেউ অপরাধ করলে আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে যেভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে হয়, সেই ঘটনায় প্রদীপ্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। দলও যে বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চলেছেন অভিযুক্ত এই নেত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন আদিবাসী মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে তদন্ত। এবার আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন তিনি। দলীয় পদ খোয়ানোর পর এবার আইনি নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে এই আইনি নোটিস পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আগেই তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী পদ খোয়ান তিনি। পুলিশি নোটিশ পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে। দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব

    এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল (TMC) নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের পর গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমালোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানান। তাঁর সেই প্রতিবাদের জন্য বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এনিয়ে শনিবার তিনি শিলিগুড়ি থানায় এফআইআরও করেছেন।

    টুইটারে কী লিখেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শঙ্করবাবু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, হীরক রানির রাজ্যে এভাবেই ধর্ষিতা কন্যাদের মৃতদেহ সম্মান পায়। সঙ্গে একটি কার্টুন ছবিও তিনি তুলে ধরেন, যেখানে একজন নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। তাঁর এই টুইটারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমি তৃণমূলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কেননা আমাকে গ্রেফতার করে মারার কথা বলা হয়েছে। গ্রেফতার কে করবে? পুলিশ, আর পুলিশ তৃণমূল সরকারের। এছাড়াও যে অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তৃণমূলের নব জোয়ারের ট্যাগ করা রয়েছে। কাজেই আমাকে মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সে কারণে আমি পুলিশে এফআইআর করেছি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের দার্জিলিং(সমতল) জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূল নয়, এ রাজ্যে যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছেন শঙ্কর বাবু ও তাঁর দল। অপরাধীরা অপরাধ করে এরাজ্যে পার পায় না। শঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগের তিরে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। আর এই ঘটনার জেরে দুদিন আগেই থানায় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। থানায় আগুন লাগানো থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনা নিয়ে টুইটও করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বিষ্ণু বর্মন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন?

    মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ছেলে শিলিগুড়িতে একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। সেখানেই পরিবার নিয়ে সে থাকত। খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়ের জন্য সে সপরিবারে এসেছিল। বৃহস্পতিবারই ট্রেনে করে তাদের শিলিগুড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বুধবার রাতে পুলিশ পাশের বাড়িতে একজনকে ধরতে আসে। আমার দুই ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। পুলিশের গুলিতে আমার ছোট ছেলের মৃত্যু হয়।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার কেউ কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের ঘটনায় যায়নি। তাহলে পুলিশ কেন এই এলাকায় অভিযান চালাল? একজনকে ধরে নিয়ে গেল? একজন নিরীহ যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করল। মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান?

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বলেন, কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় গণ্ডগোলের দিন গ্রামে বিয়ে ছিল। সেদিন গ্রাম থেকে কেউ সেখানে যায়নি। পুলিশ কেন এই গ্রামে অভিযান চালাতে এসেছিল তা জানি না। আর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না।

    পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানে তিনি মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার ও গ্রেফতার করছে। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) থানা জ্বালানো কিংবা পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কোথাও বিজেপি যুক্ত নেই। বিজেপি-র এস পি অফিস ঘেরাওয়ের আলাদা কর্মসূচি ছিল। সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেফতার, অত্যাচার, গুলি করে, খুন করে বিজেপিকে শেষ করতে চাইছে। যদি তিনি মনে করেন এভাবে বিজেপিকে শেষ করা যাবে তা কোনওদিনই সম্ভব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share