Tag: police

police

  • Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    Bhupatinagar: ভূপতিনগর থানার ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র, দাবি উঠল সরানোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার পর ফের উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Bhupatinagar)। এবার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠকের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে এক নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    ২০২২ সালে তৃণমূল নেতার বাড়িতে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। আর তাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের হামলা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে চর্চায় রয়েছে ভূপতিনগর। তার মধ্যেই সোমবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় ভূপতি নগরে। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ভূপতিনগর থানা ওসি গোপাল পাঠক তাঁর বাহিনী নিয়ে অর্জুননগরে বিজেপি বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেই সময়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি কার্যালয়েই ছিলেন। পুলিশের দাবি, এক অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছিল। পুলিশের তাড়া খেয়ে সেই অভিযুক্ত বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। এরপর বিধায়ক পুলিশের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান। তখনই শুরু হয় বিতণ্ডা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, চায়ের দোকান থেকে বিজেপির সহ-সভাপতি বিভাস প্রধানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ঘটনাকে ঘিরে সোমবার রাতে বিধায়কের কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ ওসি অবশ্য খালি হাতেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। এবার সেই ওসি-র বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হল। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানায় এনআইএ যে অভিযোগ করেছিল, সেই মামলারও প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন গোপাল পাঠক। এখন অবশ্য এই মামলায় তাঁকে সরিয়ে শ্যামল চক্রবর্তীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যেই থানার ওসি নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি অফিসে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে  কমিশনের কাছে গোপাল পাঠককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

    Bhupatinagar: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ শিরোনামে ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ড (Bhupatinagar)। সম্প্রতি এই এলাকায় বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। আর এরই মধ্যেই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারকে (investigating officer ) বদল করা হল। ভূপতিনগরের সার্কেল ইন্সপেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই মামলার তদন্তভার। প্রথমে এই মামলায় থানার এক সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বদল করে এবার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হল। কিন্তু কেন এই বদল? এনআইএ -র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল? এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    প্রসঙ্গত, দেড় বছরের পুরনো এই বিস্ফোরণের মামলায় (Bhupatinagar blast incident) এনআইএ (NIA) অভিযান চালায় এবং দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলে তা নিয়ে তুলকালাম বাধে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে সেই প্রভাব পড়ে দিল্লিতে। ইতিমধ্যে দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, নির্বাচন কমিশনেও জমা পড়েছে অভিযোগ। গত শনিবার বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ (NIA)। তবে এই অভিযুক্তদের গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা অভিযুক্তদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকে। এর পরেই এনআইএ-র ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে এক এনআইএ আধিকারিক আহত হন। কিন্তু ঘটনার দুদিন পরেও হামলার ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি। তাই প্রশাসন চাপে পড়ে এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত দুটি মামলায় তদন্তকারী অফিসার (investigating officer) বদল করেছে। নতুন তদন্তকারী অফিসার শ্যামল চক্রবর্তী এই হামলা সংক্রান্ত মামলা দুটির তদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    এনআইএকে চিঠি পুলিশের

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক আহত হয়েছিলেন, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট (medical report) চেয়ে পাঠিয়েছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। হামলার ফলে এনআইএ এবং গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকেরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবার আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ (state police)। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআইএ-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নোটিশ (notice) আকারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর শান্তিপূর্ণ রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালিয়ে ছিল বহিরাগতরা। বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর পরই দুবারই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলে হামলা চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল হাওড়া শহর। আর এসবের জন্য রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার হাওড়া শহরের জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা। অনুমতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল গত দুবছর? (Ram Navami)

    ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। শিবপুরের পিএম বস্তি এবং চওড়া বস্তি এলাকায় শোভাযাত্রা এগোনোর সময় পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জি টি রোডের দু পাশে একাধিক দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালানোর ঘটনা ঘটে। একাধিক বাইক এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। গতবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য পুলিশের তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ হাতে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে অন্য পদ্ধতি নিয়েছে হাওড়া পুলিশ।

    শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনে আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। প্রতিবছরের মতো এবারেও শিবপুর কাজীপাড়ার কাছে নরসিংহ মন্দির থেকে জি টি রোড হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অঞ্জনি পুত্রসেনা এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। এ ব্যাপারে গত দুমাস ধরে তারা হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আগের রুটের তাদের লিখিত কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা জিটি রোড দিয়ে না গিয়ে ফরশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন দুশো জন অংশগ্রহণকারী ও চল্লিশ জন ভলান্টিয়ার ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না শোভাযাত্রায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    আরও পড়ুন: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

     বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়ার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, প্রতি বছর যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, সেই রুট দিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami) অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। আসলে মাত্র দুশো মিটার রাস্তায় ঝামেলা হয়। অথচ সেখানে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ পুলিশ। উল্টে তাদের শোভাযাত্রায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেই পুলিশ ও সরকার এই নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁদের ফরশোর রোড দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যেতে বলছে। কিন্তু ওই রোড পুরোপুরি ফাঁকা। তাই তারা ওই রোড দিয়ে যাবেন না। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রশাসন এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে কেউ হাইকোর্টে যেতে পারেন। তবে গত দুবছর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে তার আশা বিচারপতিরাও গোটা ঘটনা বিবেচনা করে দেখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক জায়গায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার

    Howrah: লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে একাধিক জায়গায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বাংলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে জিআরপি উদ্ধার করেছে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অপর দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে নাকা চেকিং করে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ভোটের আগে পুলিশের উদ্যোগে উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    হাওড়ায় উদ্ধার বিপুল টাকা (Howrah)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাউন নিউ দিল্লি হাওড়া (Howrah) রাজধানী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় জিআরপি পুলিশ। প্রথমে সন্দেহের কারণে ৬ যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। তবে এই ৫০ লাখ টাকা কোন কারণে বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি পাঁশকুড়ায়। বাকি চারজন লখনৌয়ের বাসিন্দা। এই টাকার কোনও বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি। ধৃতদের নাম হল বিশ্বনাথ জানা (৩৮ ), সৌমেন জানা (২৯), সৈয়দ আসিফ (৫৩), জিসান খান মিরাজ (৩৪), মুদিত রাষ্ট্রগী (৪২ ), মোহম্মদ দানের (২৯)। তবে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসা করার জন্য টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও কোন ব্যবসা এবং কী ব্যবসা, সেসব বিষয় জানাতে পারেনি ধৃতেরা।

    কোলাঘাট থেকে উদ্ধার টাকা

    হাওড়ার (Howrah) পাশাপাশি নাকা চেকিং করে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকায় একটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে প্রাইভেট গাড়িকে আটকানো হয়। এরপর গাড়ির তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কোথা থেকে, কোন উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা সন্ধনানের চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কোলাঘাট বিডিও-কে খবর দেওয়া হয়েছে। এরপর আয়কর দফতরে খবর দেওয়া হয়। বর্তমানে তাদের বিডিও অফিসে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টাকা উদ্ধারের খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।    

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার দিনই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আবারও পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। এবারের ঘটনাস্থল সন্দেশখালির সুখদোয়ানি।

    ঠিক কী হয়েছে? (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে, ইট বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। এমনকী ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে দেখানো হয় বিক্ষোভ। তাড়া খেয়ে দুই তৃণমূল নেতা পালিয়ে যান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামে পুলিশ ও র‍্যাফ। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দুর্গা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ ইট বিক্রি করে দিয়েছেন তৃণমূলের দুই নেতা। একজনের নাম সঞ্জীব আড়ি। তিনি অঞ্চল সভাপতি। অপরজন দেবব্রত ভুঁইয়া। তিনিও এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চর বিক্রি করে দোকান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এই দুই নেতার ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ইট ঠিকাদার চিত্ত অধিকারীকে বিক্রি করে দিয়েছেন এই দুই নেতা। এরপর ঠিকাদার সেই ইট তুলতে এলে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা নাক গলাতে এসে বিপাকে পড়েন। তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। মহিলারা তাড়া করেন তাঁদের। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে একটি ঘরের ভিতর ঢুকে যান দুই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে গোটা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে র‍্যাফ। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতা দেবব্রতর বাইক ভাঙচুর করেন। অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে তাঁর ভাইপোকে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, গ্রামবাসীদের ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ মাটিতে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা দেবব্রত ভুঁইয়া বলেন, এলাকায় কালভার্টের কাজ চলছে। সেটার জন্য কিছু ইট কম পড়ে। আমি ঠিকাদারকে বলেছিলাম পঞ্চায়েতের ইট নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু, এখানকার পুজো কমিটি বলেছে ইট দেব না। এরপর ঠিকাদার সেই ইট নামিয়ে দেয়। আর আমরা মিটিংয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ঘিরে ধরে বলে শাহজাহান এই করেছে ওই করেছে। আর কিছুই হয়নি। বাকি যা যা বলছে সব মিথ্যা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় হানা দিল সিবিআই, করল পুনর্নির্মাণ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় হানা দিল সিবিআই, করল পুনর্নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে হানা দিল সিবিআই। মূলত ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এবার সিবিআই। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান তদন্তকারীরা। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই (Sandeshkhali)

    সোমবার রাতে রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ২ জনকে নিয়ে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথমে বামনপুকুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় যান তাঁরা। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। এরপর সোজা আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটবিটপোল এলাকায় যান তাঁরা। রাতের অন্ধকারে একটি ভেড়ি এলাকায় গিয়ে সিবিআই ঘটনার পুণর্নিমাণ করে বলে খবর। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রায় ৫৫ দিন সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠরা। ইডির ওপর হামলার ঘটনার রহস্যভেদের পাশাপাশি কোথায় কোথায় সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা আত্মগোপন করেছিলেন, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর ধৃতরা কোথায় ছিল তা জানার চেষ্টা করে সিবিআই। তাদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সিবিআইয়ের নজরে পুলিশের ভূমিকা!

    রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান ইডি আধিকারিকরা। উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি। কিন্তু, ইডি এলাকায় পৌঁছতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আক্রান্ত হন খোদ ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও নিস্তার পাননি। রীতিমতো প্রাণ হাতে নিয়ে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। প্রথমে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান-সহ বেশ কয়েকজন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই। ১২ জানুয়ারি পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। কীসের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। ইডি হামলার ঘটনায় ধৃতরা কী করেছিল তা জানতে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে পুলিশের ভূমিকাও এখন সিবিআইয়ের নজরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

    সিবিআইয়ের দাবি (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলা এবং ইডির আধিকারিকদের উপর শাহজাহানের দুস্কৃতী বাহিনীর আক্রমণ প্রসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, “অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবল ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেখানে সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বহু নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের বয়ানের উপর নির্ভর করে আদালতে এমনটাই জানাতে চলেছে সিবিআই। আদালতের কাছে এই বক্তব্য পেশ হলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের এক একবার প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    পুলিশের দ্বারা ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাব

    গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট (Sandeshkhali) আদালতে আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই জানায়, ধৃতদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়, কিন্তু তদন্তকারী অফিসারেরা জানান ঘটনায় হামলার সঙ্গে এইসব ব্যক্তিরা যুক্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) পুলিশের দ্বারা ধৃতদের জেরা করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধৃতেরা জানিয়েছেন, “তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাদের থানায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছলে, তাদের সেইসময় গ্রেফতার করা হয়।” তাদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা ধৃতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহবুব মোল্লার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর আবার গতকাল রবিবার, রামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা কথা বলেন। ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বলে ওয়াকিবহাল মানুষ মনে করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পুলিশের কাছে বহুবার অভিযোগ জানাতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। পরে, সন্দেশখালিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রামে ক্যাম্প করেছিল পুলিশ। এবার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আইনজীবীরা সন্দেশখালিতে শিবির করলেন।

    শিবিরে অভিযোগ জানাতে ভিড় (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশে এই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কারা। মূলত শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানতে শিবির করল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারাটি বিটপোল বাজার এলাকায় শিবির করেছেন। শনিবার সকাল থেকে সেই শিবিরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কারও অভিযোগ সরাসরি সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কারও আঙুল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের দিকে।

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফেও শিবির হয়েছে সন্দেশখালিতে। অভিযোগ জানতে দুয়ারে সরকার শিবিরের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও অভিযোগ-অনুযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিও শিবির করল সন্দেশখালিতে। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। সন্দেশখালিতে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা আমরা দেখতে চাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে, আমরা তাঁদের জন্য কিছু করব।”

    শাহজাহানের সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন এক বাসিন্দা

    শনিবার ওই শিবিরে পৌঁছে নানা অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তবে বেশির ভাগই জমি দখলের অভিযোগ। মালতি মাহালি নামে এক মহিলা বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের একটি জমি দখল করে নেন শাহজাহানের অনুগামীরা। আমার স্বামী দুলাল মাহালি সেই জমি উদ্ধার করতে শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ট্যাংরামারি স্কুলে দেখা করতে। কিন্তু, তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামীর খোঁজে একাধিক বার শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিন ফের অভিযোগ করলাম এই শিবিরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: এবিভিপি-র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ, চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেল পুলিশ

    ABVP: এবিভিপি-র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ, চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শিলিগুড়িতে এবিভিপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠি চালাল পুলিশ। পুলিশের লাঠিতে জখম হলেন অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীর। এদিন এবিভিপি (ABVP) উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই মিছিরকে আটকাতেই  উত্তরকন্যার আগে  তিনবাত্তি মোড়ে নির্মমভাবে লাঠি চালায় পুলিশ।

    কেন উত্তরকন্যা অভিযান? (ABVP)

    রাজ্যের নারী নির্যাতন সহ সন্দেশখালি ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে এদিন উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল এবিভিপি। এই কর্মসূচির তিনদিন আগেই ঘোষণা করেছিল এবিভিপি (ABVP)। রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনার মাঝে সন্দেশখালি ঘটনা উঠে এসেছে। তাতে নবান্নে চরম বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই অভিযান কর্মসূচি ছিল।  তাই কোনও স্মারকলিপি নয়, প্রতিবাদি মিছিল নিয়ে উত্তরকন্যায় পৌঁছে সেই বার্তা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল এবিভিপি।

    জারি করা হয় ১৪৪ ধারা

    উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে ছাত্র-যুব এদিন এবিভিপির (ABVP) এই মিছিলে অংশ নেয়। দিল্লি থেকে আসেন এবিভিপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লা। এই বিশাল মিছিল দেখে চিন্তায় পড়ে পুলিশ প্রশাসন। যে কোনওভাবে মিছিল আটকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। শিলিগুড়ি থেকে উত্তরকন্যা যাওয়ার মূল রাস্তার জায়গায় জায়গায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। জলপাই মোড় থেকে তিনবার মোড় ব্যারিকেড করে রেখেছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তিনবাত্তি মোড় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।  বেলা দুটোর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল এসে জলপাই মোড়ে  জমায়েত হয়। শুরু হয় উত্তরকন্যা অভিমুখে যাত্রা।

    কীভাবে মিছিল আটকাল পুলিশ?

    নৌকাঘাট অতিক্রম করার মুখেই প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলে মিছিল। তিনবাত্তি মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই দেখা যায় দলবেঁধে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে মিছিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিনা প্ররোচনাতেই এবিভিপি (ABVP) মিছিলের ওপর পুলিশের নির্মমভাবে লাঠি চালায়। এই আক্রমণে বহু ছাত্র ছাত্রী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অনেকে দৌঁড়ে পালান। দেখা যায় অলিতে গলিতে চলে যাওয়া এবিভিপি সমর্থকদের পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে টেনে আনছে মারতে মারতে। এবিভিপি বহু ছাত্র-যুব সদস্যকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লা রয়েছেন।  তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দেখা যায় পুলিশ তাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে।

    আরও পড়ুন: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

      এবিভিপি-র নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিভিপি-র উত্তরবঙ্গ জোনের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমাদের আন্দোলন সফল। কেননা এবিভিপির মিছিলকে আটকাতে এদিন পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে যেভাবে  বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  যাজ্ঞবাল্ক শুক্লাকে পুলিশ যেভাবে টেনে হিঁচড়ে মেরে গাড়িতে তুলেছে, এতে প্রমাণ হয় সত্যকে চাপা দিতে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল সরকার ন্যায় বিচারের দাবিতে এবিভিপি আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চেয়েছে। পুলিশ যেভাবে লাঠি চালিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়েছে এবিভিপির আন্দোলন সফল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share