Tag: political news

political news

  • BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিজের গড়েই ধরাশায়ী কংগ্রেস। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন ধরে অসমের (Assam) এই গড় ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই গড়েই ধস নামিয়ে দিলেন বিজেপির (BJP) দীপলু রঞ্জন শর্মা। নগাঁও জেলার সামাগুড়ি কেন্দ্রে উড়ল পদ্ম-ঝান্ডা। অসমের এই অঞ্চলের একটা বড় অংশের ভোটার মুসলমান সম্প্রদায়ের। তাই তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘ দিন ধরে এই কেন্দ্রের রাশ ধরে রেখেছিল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। সেই গড়েই কংগ্রেসকে দুরমুশ করে বিজেপির বিজয় কেতন ওড়ালেন দীপলু।  

    ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান (BJP)

    বছরের পর বছর ধরে নগাঁও কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবেই পরিচিত ছিল। এই জেলায়ই রয়েছে সামাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে অসমের রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে গেলেও, বিজেপির উত্থান হলেও, কংগ্রেস তার এই দুর্গ ধরে রেখেছিল। এই আসন থেকে ‘হাত’ চিহ্নে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি জয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধুবড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ রাকিবুল হুসেনও।   

    শেষ রক্ষে হয়নি

    তিনি টানা পাঁচবার সামাগুড়ির বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাকিবুল হুসেন। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক আখ্যান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সামাগুড়ির রাজনীতিতে তাঁর পরিবার প্রভাবশালী শক্তিও। তাঁর বাবা নুরুল হুসেন ১৯৮১ ও ১৯৯১ সালে সামাগুড়ির বিধায়ক হয়েছিলেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ধুবড়ির সাংসদ হন রাকিবুল। গড় ধরে রাখতে রাকিবুলের ছেলে তানজিল হুসেনকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। তানজিলকে ২৬ হাজার ২০০ ভোটে পরাস্ত করে বিজেপি। জয়ী হন পদ্ম-প্রার্থী দীপলু রঞ্জন। প্রসঙ্গত, সামাগুড়ির মোট ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৪ জন।

    আরও পড়ুন: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    দীপলু (BJP) তরুণ, শিক্ষিত। ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে তাঁকেই বাজি ধরে বিজেপি। দীপলুর নাম ঘোষণা হতেই রাকিবুল কটাক্ষের সুরে বলেন দীপলু ‘বলির পাঁঠা’, যাঁকে বিজেপি অনিবার্য পরাজয়ের জন্য পাঠিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দীপলুও। বলেছিলেন, সব চেয়ে কঠিন লড়াইগুলো দেওয়া হয় সব চেয়ে শক্তিশালী সৈনিককে। নগাঁও কলেজে বাণিজ্যে স্নাতক হন দীপলু। কলেজে পড়াকালীনই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন। অল্প বয়সে নগাঁও যোগাযোগ প্রধান হিসেবে আরএসএস তাঁকে নিয়োগ করে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকও হন। সেখান থেকে বিজেপিতে। এবং শেষমেশ বিধানসভায় চলে এলেন (Assam) লড়াকু নেতা দীপলু (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেণির ১২ বছর বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কী।” 

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য (Yogi Adityanath)

    এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, ”গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দিই, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তরপ্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়বে।” 

    আরও পড়ুন: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য প্রকাশ (Crime rate in UP) 

    মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের পরেই (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ”২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল, তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।” এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 
    ফলে এ তথ্য আবারও প্রমাণ করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে, তবুও একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাড় (Wayanad Landslide)। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে রাস্তা। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ঠিক যেন মৃত্যুপুরী। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও একবারের জন্যও এলাকা পরিদর্শন করেননি কংগ্রেস নেতা। 

    বাতিল রাহুলের ওয়েনাড় সফর (Rahul Gandhi)

    ৩১ জুলাই বিপর্যস্ত ওয়েনাড় সফরের (Wayanad Landslide) কথা ছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু এখনও এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে ওয়েনাড়ে। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বিমান বা কপ্টার নামতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপরেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর রাহুলের এই সফর বাতিলের পরেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

    আরও পড়ুন: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট রাহুল গান্ধীর

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা ওয়েনাড়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতির (Wayanad Landslide) উপর নজর রাখছেন তাঁরা। যাবতীয় সাহায্যের কাজও করা হবে। এই কঠিন সময়ে ওয়েনাড়ের জনগণের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে ধসের ধ্বংসলীলা (Wayanad Landslide)। কেরলের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ প্রায় শতাধিক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। তবে বারবার প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এরইমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ”এই ভাষণ সকলের শোনা উচিত”, জাতগণনা ইস্যুতে অনুরাগের বক্তৃতার প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জাতগণনা ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ করে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) ঘিরে উত্তাল হয় লোকসভা। এবার অনুরাগ ঠাকুরের সেই মন্তব্যেরই ভরপুর সমর্থন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। 

    প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য (PM Modi)   

    এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সমাজমাধ্যমে সাংসদ কক্ষের সেই তর্কবিতর্কের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন যে, ”আমার তরুণ সহকর্মীর বক্তব্য শুনুন সকলে। তিনি কত সুন্দর করে তথ্য এবং যুক্তি দিয়ে ‘ইন্ডি জোটের নোংরা রাজনীতি’ সকলের কাছে ফাঁস করে দিলেন।”   

    আগে কী বলেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর? 

    এর আগে লোকসভায় বাজেট নিয়ে বিতর্কে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, ‘ইন্ডি জোট’ ক্ষমতায় এলে দেশের ওবিসিদের সংখ্যা নির্ধারণে জাতগণনা করাবে। এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি সাংসদ, প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নাম না করেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেছিলেন, ”যাঁর নিজের জাতের ঠিক নেই, সে এখন গণনার কথা বলছে।” এখানেই শেষ নয়, অনুরাগ আরও কটাক্ষ (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) করে বলেন যে, ” কিছু মানুষ আছে যারা হঠাৎ করে হিন্দু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁদের মহাভারত সম্বন্ধেও কম জ্ঞান আছে।” 

    আরও পড়ুন: ওয়েনাড়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৩! চলছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান

    অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যের পরেই গোটা বিরোধী শিবির প্রতিবাদ জানায়। রাহুল নিজে উঠে বলেন, ”এ দেশে বঞ্চিত, গরিবের জন্য যে মুখ খুলেছে, তাঁকে গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আপনারা আমায় যত অপমান করুন, আমি ক্ষমা চাইতে বলব না। কিন্তু এই সংসদে জাতগণনা পাশ করিয়ে ছাড়ব।” এদিনের এই বাকবিতণ্ডার মধ্যে অনুরাগ ঠাকুরের কটাক্ষকেই এবার ভরপুর সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। 
     
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ওপার বাংলায় ভারত-বিরোধী স্লোগান! বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে নালিশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ওপার বাংলায় ভারত-বিরোধী স্লোগান! বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে নালিশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বিধায়করা। কেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে যে অশান্তি চলছিল সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্বন্ধেও কুরুচিকর স্লোগান দেওয়া হয়েছে৷ 

    এক্স হ্যান্ডেলে কী জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বাংলাদেশ আন্দোলনের সময় এমন অনেক ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তো বটেই, হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত করেও স্লোগান দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে আমরা চাইছি না। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের ঘটনা নিয়ে। কিন্তু এই ধরনের ভারতবিরোধী, হিন্দু ভাবাবেগ বিরোধী স্লোগানের তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের মাতৃভূমির এমন অপমান বরদাস্ত করব না। সম্প্রতি বাংলাদেশে অশান্তির কিছু ভিডিও ক্লিপিংসে স্লোগানের ভাষা শুনে উদ্বিগ্ন বিজেপি। তেমনই চারটি ভিডিও ক্লিপিংস জমা দেওয়া হয়েছে ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে।’’

    আরও পড়ুন: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    শুভেন্দুর দাবি  

    বিষয়টি নিয়ে তিনি গত শনিবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে ই-মেইল করেন। ডেপুটি হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর সেই মতো সোমবার বিকেলে শুভেন্দু ডেপুটি হাইকমিশনের দফতরে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। অবশেষে তিনি ২০ জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে প্রবেশ করেন। এরপর ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে তিনি দাবি করেন, যারা এই ধরনের স্লোগান দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, হিন্দুদের সঞ্জীবনী মন্ত্র- ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’-কে বিকৃত করা হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজও তুলে দেওয়া হয়েছে ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা। আর এটাই অসমিয়াদের কাছে জীবন-মরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানান, অসমে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে (Changing Demography)। ১৯৫১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, অসমে মুসলমান ছিলেন মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্তের কারণে বদলে গিয়েছে অসমের ডেমোগ্রাফি। এনিয়ে ওই বৈঠকে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদল উদ্বেগের বই কি! এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং আমার কাছে এটি জীবন-মরণের সমস্যা।”

    অসমের ডেমোগ্রাফি বদল (Himanta Biswa Sarma)

    গত কয়েক দশকে কীভাবে অসমের ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে, সেই ছবিও তুলে ধরেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “১৯৫১ সালে অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। এখন এটাই বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।” তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলো জেলা হারিয়েছি (এই জেলাগুলিতে বর্তমানে মুসলমানরাই সংখ্যাগুরু। বোধহয় এই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছে হিমন্ত)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়াটা আমার কাছে একটা বড় ইস্যু।” ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই যে রাজ্যে মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্ত, তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলাদেশের মুসলমানদের ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই মুসলমানদের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার প্রতিদিন প্রচুর অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়ার নেপথ্যেও যে তুষ্টিকরণের রাজনীতি রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন হিমন্ত। বলেন, “আমি মনে করি, অসমের জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা কংগ্রেসের দায়িত্ব। কারণ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস নেতাদের কথা শোনেন। তাঁরা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে রাহুলকেই বেছে নেবেন। তাঁরা আমায় শত্রু মনে করেন।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাহুল গান্ধী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলে, আগামিকাল থেকেই অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমবে ব্যাপকভাবে।”

    হু হু করে বাড়ছে মুসলমান

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যে প্রতি দশ বছরে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে ৩০ শতাংশ করে। সেই হিসেবে ২০৪১ সালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন মুসলিমরাই। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “দশ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমাতে পদক্ষেপও করছে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ

    বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশের ফলে যে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই সে সংবাদ পরিবেশন করেছিল মাধ্যম। সেই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে পশ্চিমবাংলা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জাল নথি বানিয়ে বাংলার সীমানায় থাকা ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেখানকার আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে তারা জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এই অনুপ্রবেশের ফলেই যে ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, তারও খতিয়ান পেশ করা হয়েছিল মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে।

    হিমন্তর আশ্বাস

    অসমের মতো ঝাড়খণ্ডেও যে অনুপ্রবেশকারীরাই মাথাব্যথার কারণ, তা ভালোই বুঝেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে তারা কোনও কঠোর পদক্ষেপ করছে না। উপজাতির তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছে তারা। পরে করছে ধর্মান্তকরণ। সরকার এসব জেনেশুনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।” ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সরকার বদলের ডাকও দেন হিমন্ত। আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ করবে বলেও আশ্বাস দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    ঝাড়খণ্ড সরকার হাত গুটিয়ে কেন?

    তিনি বলেন, “এ রাজ্যেও ঝাড়খণ্ডের বাইরে থেকে আসছে অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে। এসবই ঘটছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট শাসকের ছত্রছায়ায়। অসমও সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্য। সেখানেও আমি প্রতিদিন লড়াই করছি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। তাহলে লাগাতার অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও ঝাড়খণ্ড সরকার কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে?” অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরানোটা যে রাজ্য সরকারেরই কর্তব্য, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    প্রসঙ্গত, পয়লা জুলাইও কোনও ধর্মের নাম না করেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের এক শ্রেণির মানুষকে নিশানা করেছিলেন (Changing Demography) অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, অসমের অপরাধমূলক কাজকর্মকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এরাই। তিনি অবশ্য এ-ও বলেছিলেন, “আমি বলছি না যে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষই কেবল অপরাধ করছে। যদিও অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয় (Himanta Biswa Sarma)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Clash)। অভিযোগ, উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের (Sunanda Sarkar) হাতে মার খেলেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার সরকার। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা ঘেরাও করেন কেদার অনুগামীরা। কাউন্সিলরও ঘটনা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই খবর।

    ঠিক কী জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? (TMC Clash)

    কানাঘুষো শোনা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুর বিধানসভার বিধায়ক শশী পাঁজার ঘনিষ্ঠ যুবনেতা কেদার দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল করেন। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যাস্ত করেছিলেন শশী। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সুনন্দার দ্বন্দ্ব চলছিল। তবে এদিনের এই ঘটনা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। কথা চলতে চলতেই অচমকাই সুনন্দা কেদারের গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তারপর দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। এরপরেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ঠাঁটিয়ে চড় মারেন (TMC Clash) ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পরেই সুনন্দাকে কার্যত তেড়েমেড়ে ছুটে যেতে দেখা যায় কেদারের দিকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। আর তারই ফলস্বরূপ এই চড়। 

    কেদার দাসের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে কেদার দাস বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা (TMC Clash) হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি। এরপর দুপুর নাগাদ কাউন্সিলর আমায় ফেলে মেরেছে।” 

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে নয়, ফের বলিউড ছবির সুবাদে মুম্বইয়ে পাড়ি প্রসেনজিৎ-এর

    সুনন্দার পালটা দাবি (Sunanda Sarkar) 

    কেদারের এই মন্তব্যের পর সুনন্দার পালটা দাবি, কখনওই কেদারকে থাপ্পড় মারা (TMC Clash) হয়নি। ‘‘কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।’’ 
    এ প্রসঙ্গে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এই আচরণ (TMC Clash) প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টা দেখতে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের ফলাফলের একদিন পরেই রবিবার উত্তর প্রদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Governments) প্রশংসা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রাজ্য জুড়ে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উলেখ্যযোগ্য কাজের কথাও তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই সভায় বিরোধীদের লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণও করেছেন জেপি নাড্ডা।  

    কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার (JP Nadda)

    এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করতে পিছ পা হন না জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “৯০ বার কংগ্রেস নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল। এরপরেও সংসদে বলে যে এটি অস্থায়ী এবং অপসারণ করা হবে। আজ বিরোধীরা গণতন্ত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছে এবং সংবিধানের রক্ষক হয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তা অমান্য করে অন্ধ্রপ্রদেশে একবার নয়, চারবার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
    এছাড়াও তিনি আরও বলেন “বিজেপি এবং কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ৬৪টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। এর মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছে, আর বাকি  ৬২টি আসন জিতেছে বিজেপি।” পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda)বলেন, ‘‘তিনটি লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। আজ দেশের ১৩টি রাজ্যে একজনও কংগ্রেস সাংসদ নেই। আমরা সমাজকর্মী বেশি, রাজনৈতিক কর্মী কম। আমরা সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি। কংগ্রেস একটা পরজীবী দল।’’  

    যোগী সরকারের প্রশংসা (Yogi Governments)

    পাশাপাশি বিজেপির জাতীয় সভাপতি (JP Nadda) রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং উত্তরপ্রদেশকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণে লোকেরা উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছিল। আজ, মাফিয়া রাজ শেষ হয়েছে। গত ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশ অনেক উন্নতি করেছে। রাজ্যের অর্থনীতি দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।”  

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব মদ্যপ এনএসইউআই সদস্যদের, রাম-বিবেকানন্দর মূর্তি-ছবি ভাঙচুর

    নাড্ডার (JP Nadda) মতে, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে, যে দলই থাকুক না কেন, তারা যদি উত্তর-পূর্বে সক্ষম হয় তবে মধ্য ভারতে তারা শূন্য। উত্তর ভারতে যদি কোনও দল সক্ষম হয়, দক্ষিণ ভারতে সেই ম্যাজিক আবার দেখা যায় না। যদি পশ্চিম ভারতে সক্ষম হয়, তাহলে পূর্বদিকে দলের নাম নেওয়ারও কেউ নেই। আর কেন্দ্রে যদি কেউ সক্ষম হন, তবে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল, যা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই আছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    Kalyan Chaubey: ইটের বদলে পাটকেল! কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে এবার একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিকতলা উপনির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) মধ্যে দ্বৈরথ অব্যাহত রইল। মানিকতলা উপনির্বাচনের আগে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কুণালের সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি প্রার্থী। উপনির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে কুনালের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ চৌবে।

    কুণাল ঘোষের অভিযোগ (Kunal Ghosh) 

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”রবিবার আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয় স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ।” তবে কুনাল এই অফার প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ”এই বিজেপি প্রার্থীকে (Kalyan Chaubey) একটা ভোটও দেওয়া উচিত নয়।” এরপর নিজের দাবির সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন তৃণমূল নেতা। 

    যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”আমি কখনো কোথাও বলিনি ফুটবল ফেডারেশনের কোন পদে রাখব। সেটা অপপ্রচার করছেন। এটা ওনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। কথোপকথনকে রেকর্ড করে বাইরে ছাড়া শুধুমাত্র ওনার বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ করল না, মানুষ এরপর থেকে কারোর সাথে কথা বলতে চাইলে দশবার ভাববে। আমি ওনাকে ফোন করেছি, কারণ উনি আমাকে বলেছিলেন রাত এগারোটায় ফোন করতে এবং সেই কথা রেকর্ড করে প্রকাশ্যে এনেছেন।” 

    বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা জবাব (Kalyan Chaubey) 

    কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর নির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ”‌আমি সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। সেই হিসাবে তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। পুরো অডিয়ো ক্লিপিং শোনালে সেটা বোঝা যাবে।”‌ আর এরপরেই বিজেপি প্রার্থী একেবারে বেনজির আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে। পরিষ্কার বলেই দিলেন, “এই মানুষটা কয়েকদিন আগে তাপস রায়কে জেতানোর জন্য নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট রয়েছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব লোকেরা তাপস রায়ের হয়ে কাজ করছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তবে আমি ব্যক্তিগত কথোপকথন বাইরে আনব না।”   

    আরও পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    উল্লেখ্য, ভোটের আগের দিনই কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) অভিযোগ করে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য একাধিকবার তাঁর বাড়িও গিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “উনি আমার বাড়িতে একটা মেরুন স্যান্ট্রো করে অংখ্যবার গিয়েছেন। আমায় বলেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেবেন।” এ নিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) জানিয়েছিলেন, “বিজেপি-তে যাওয়ার ইচ্ছা হলে পচা কল্যাণকে আমার লাগবে না।” যদিও বুধবার ‘পচা কল্যাণ’ শব্দটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই শব্দটাকে আমি নিন্দা করছি। উনি নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: বুথে ২২ জন এজেন্ট বসবে কোথায়? ভেবেই কুল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

    Loksabha Election 2024: বুথে ২২ জন এজেন্ট বসবে কোথায়? ভেবেই কুল পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি হও সুজন, তেঁতুল পাতায় ৯ জন। কিন্তু বাংলার প্রবাদ একটু বদলে গেছে বরাহনগরে। এখানে যেন তেঁতুল পাতায় ২২ জন। কথা হচ্ছে একেবারে শেষ দফার ভোটের। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বরাহনগর বিধানসভায় লোকসভা (Loksabha Election 2024) ও উপনির্বাচন মিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ২২। স্বাভাবিকভাবেই সকলে এজেন্ট দিলে কমপক্ষে ২২ জন কে স্থান দিতে হবে প্রতিটি বুথে। আর এ নিয়েই চিন্তার ভাঁজ কমিশনের কপালে।

    ২ ইভিএম বনাম ২২ এজেন্ট

    একদম শেষ দফায় ১ জুন দমদম লোকসভার সঙ্গেই হবে বরাহনগর বিধানসভার। উপনির্বাচনের এই কেন্দ্রে পাশাপাশি দুটি ইভিএমে ভোট দেবেন বরাহনগরের বাসিন্দারা। একদিকে দমদম লোকসভায় প্রার্থীর সংখ্যা ১৪। অন্যদিকে বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২২, তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপির মত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি কিছু নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন। তাঁরা সকলে একজন করে যদি এজেন্ট দেন সে ক্ষেত্রেও ২২ জনকে কোথায় বসানো হবে, একরতি বুথের ভিতর, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তারপর নিয়মমাফিক একজন প্রিসাইডিং অফিসার ও দুজন পোলিং অফিসার এবং ব্যালট ইউনিটের জন্য আলাদা জায়গা।

    কমিশনের রফাসূত্র

    ভোটারদেরও এই কেন্দ্রে ঢুকলে অন্য কেন্দ্রের থেকে আলাদা চিত্র দেখতে হবে। এতগুলি এজেন্টের দিকে ভোটারদের না তাকালেও চলবে। কিন্তু দুটি ইভিএম দেখতে পাবেন নির্বাচকরা। একটি দমদম লোকসভার জন্য অন্যটি বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই দুটি ইভিএমের বোতামে টিপতে হবে ভোটারদের। তবে ভোটারদের থেকে বেশি এখন চিন্তা নির্বাচন কমিশনের কারণ দমদম লোকসভায় প্রধান তিন দলের প্রার্থী ছাড়াও ১১ জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে বিধানসভার উপনির্বাচনে পাঁচ জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। ফলে ২২ জন প্রার্থীর জন্য সব জায়গায় না হলেও কিছু জায়গায় ২২ জন এজেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের কোথায় বসাবে কমিশন, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। এবার বরাহনগরে অনেক ক্লাবেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। ক্লাবের ছোট্ট পরিসরে বহু জায়গায় ২২ জনের বসার জায়গা হবে না।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    বরাহনগরে ২৫২ টি বুথের মধ্যে ৩২ টি বুথ ছোট বলে নির্বাচন কমিশন চিহ্নিত করেছে। সেখানে মেরে কেটে ৪-৫ জন বসতে পারবে সুস্থভাবে। এর মধ্যে আবার নির্বাচনের কাজ পরিচালনার জন্য আধিকারিক কর্মী মিলিয়ে অন্তত চারজন থাকেন। বাকিরা কোথায় বসবেন তা নিয়েই রফা সূত্র বের করার চেষ্টা করছে কমিশন। কমিশনের রফাসূত্র হল ছোট্ট বুথ গুলিতে অস্থায়ী কাঠামো করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজেন্টের চাপ কমাতে সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশনের তরফে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে লোকসভা (Loksabha Election 2024) এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বুথে একজন করে প্রতিনিধি বসানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে শাসক দল কমিশনের অনুরোধ না মানলে বিরোধীরা ও বেঁকে বসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share