Tag: post poll violence

post poll violence

  • Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Post Poll Violence: “মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক”, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভার নির্বাচন শেষ হলেও থেমে নেই ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। গড়ে প্রত্যেকদিন ১০টি করে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। খোদ রাজ্যের দেওয়া হিসেব দেখে এবার কড়া মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “অশান্তি নিয়ে অনেক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে, আমরা বাস্তাব চিত্র জানতে চাই।” অবশ্য বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ইন্ধনে জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। কেউ ঘরছাড়া তো আবার বাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছেন।

    বিচারপতিদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) সময়ে হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রান্তদের আইনজীবীরা জানান, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জেলায় জেলায় অনেকেই ঘরছাড়া। আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এরপর বিচারপতিরা বলেন, “আমরা চাই মঙ্গলবারের মধ্যে সকল ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরুক। যে সমস্ত এলাকায় হিংসার খবর আরও বেশি করে আসছে, সেখানে পুলিশের সক্রিতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।” যদিও ১৯ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কলকাতা হাইকোর্ট, মেয়াদ ২১ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু আজ শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় এখনই বাহিনী ফিরবে না, ২৬ জুন পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

    আইনজীবীদের বক্তব্য

    রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন থাকবে কিনা, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠেছিল। এই বেঞ্চে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “রাজ্যের দেওয়া হিসেবেই বলছে জেলা থেকে রোজ ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি করে ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের ডিজির কাছে মেইলে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ এসেছে। এরপর ১৮জুন পর্যন্ত অভিযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫৯টি। এর মধ্যে ২০৪টি ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ১৭০টির অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    রাজ্যপালের চিঠি

    ঘরাছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভাবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদলাত অনুমতি না দিয়ে বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর তিনি রাজ্য ডিজির দফতরের সমানে বসার জন্য আবেদন জানান কোর্টে। অপর দিকে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে নয়, রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: নন্দীগ্রাম থানায় ১৫ দিনে ৪৭টা এফআইআর! পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বিজেপির, অনুমতি কোর্টের

    BJP: নন্দীগ্রাম থানায় ১৫ দিনে ৪৭টা এফআইআর! পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বিজেপির, অনুমতি কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থানায় ১৫ দিনে ৪৭টা এফআইআর বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে! বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ প্রচুর পরিমাণে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এরপর বিজেপি ন্যায় বিচার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে, পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ঘটনায় ফের একবার পুলিশ প্রশাসন প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

    আদালতে বিজেপির দাবি (BJP)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে পুলিশ শাসক দলের নির্দেশে এক তরফা বিদ্বেষ মূলক আচরণ করছে বলে বিজেপির (BJP) দাবি। গত ১৪ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ৪৭টি এফআইআর দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। ভোটের সময় দলীয় কর্মীদের বিজেপির হয়ে কাজ করতে না দিতে, পুলিশ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের এই সব মিথ্যা মামলাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এরপর আজ শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিজেপির আর্জিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল শুভেন্দুর

    নন্দীগ্রামে পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, কার্যত থানার ভিতরেই নিহত বিজেপি (BJP) মহিলা কর্মীর খুনিদের সঙ্গে পুলিশ বৈঠক করেছিল। থানার বাইরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদেরকেও ধমক দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।

    অপরে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। এরপর রাজভবনের সামনেই ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাতেও অনুমতি দেয়নি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। এই মামলা বিচারপতি অমৃতার সিনহার এজলাসে গেলে, তিনি ধর্নার আবেদন খারিজ করে দেন। কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয় নিয়ে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য রাজ্যপালকে আবেদন করেছিলেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম গৌরহরি মাইতি। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর অঞ্চলের ১৯৮ নম্বর বুথ ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামের। তাঁর ছেলে শশাঙ্ক মাইতি স্থানীয় বিজেপি নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বিজেপি কর্মী শশাঙ্কের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) করে তৃণমূল। ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল বোমা, বন্দুক নিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু, বাড়িতে শশাঙ্ককে না-পেয়ে তাঁর বাবা-মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বেরিয়ে আসায় দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, গুরতর আহত অবস্থায় বিজেপি নেতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগবেড়িয়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শশাঙ্কের স্ত্রী খুকুমণি মাইতি অভিযোগ করেন, ” আমাদের বাড়িতে তৃণমূলের বিরাট দলবল হামলা চালায়। আমরা বিজেপি করি বলে টার্গেট করেছিল। আগেও বেশ কয়েকবার ওরা হামলা চালিয়েছে। প্রায়ই শাসানি দিত ওরা। রাতে হামলাকারীরা বোমা ও বন্দুক নিয়ে এসেছিল। আমাদের মারধর করছিল দেখে শ্বশুর ছুটে এসেছিলেন। তিনিও হামলার শিকার হলেন।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “এ বারের নির্বাচনে কাঁথি লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই রাগেই ওরা দল বেঁধে এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” যদিও গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উত্তমকুমার মাইতি। তিনি বলেন, “গতকাল এমন কোনও হামলার খবর জানা ছিল না। বিজেপি নেতার বাবা রাতে খাওয়া-দাওয়া করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Post Poll Violence: কোচবিহারে মহিলা বিজেপি কর্মীকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতীর ধর্ষণ! বিস্ফোরক বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: কোচবিহারে মহিলা বিজেপি কর্মীকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতীর ধর্ষণ! বিস্ফোরক বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার চিত্র খতিয়ে দেখতে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। বিজেপির দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার পর উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। এই টিমের সদস্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেছেন “কোচবিহারে এক বিজেপি মহিলাকে ২০ জন তৃণমূল দুষ্কৃতী ধর্ষণ করেছে।” তাঁর মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    ঠিক কী বলেন বিপ্লব দেব (Post Poll Violence)?

    সোমবার কোচবিহারে তৃণমূলের হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। সেখানে গিয়ে শোনা যায়, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট এবং ঘরছাড়া করেছে কীভাবে? ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূলের অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে বিপ্লব দেব বলেন, “বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ২০ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতী মিলে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতা মহিলা, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নিচ্ছে না। নির্যাতিতাকে সুবিচার না দেওয়ায় ঈশ্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন ঘটাবেন। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। পুলিশের উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে প্রতিবাদ করার কি লোক নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা করা উচিত। বাংলার মাটিকে এই ভাবেই তিনি কলঙ্কিত করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃতৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    আর কী বলেন?

    হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিপ্লব দেব আরও বলেন, “রাজ্যের নির্লজ্জতার একটা সীমা থাকা উচিত। মমতা সবকিছুকে অতিক্রম করে গিয়েছেন। ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্রমস পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যখন পতন হবে, তখন মনে হবে সময় থাকতে কেন ব্যবস্থা নিলাম না। সিপিএমের যে ভাবে পতন ঘটেছে, তাঁরও ঠিক একইভাবে পতন হবে। তৃণমূলের হাল সিপিএমের থাকে খারাপ হবে। আমরা দিল্লিতে সব জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিদর্শন করতে সন্দেশখালিতে আসলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। মঙ্গলবার বিকেলে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সড়বেড়িয়া এলাকায় আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার তৈরি করা ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, কেন্দ্রীয় প্রাক্তন আইন মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ আরও চারজন। এদিন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রের কাছ থেকে অত্যাচারের বিবরণ শোনেন প্রতিনিধি দল।

    এদিন তাঁরা সড়বেড়িয়ার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বিট পোলের ৪২, ৪৫ নম্বর বুথের বামন ঘেরি এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন টিম। তাঁদের বর্তমান অবস্থার কথা জানার চেষ্টা করেন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজপাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে রেখা পাত্রকে বলেন, “রেখা পাত্র সন্দেশখালির বাঘিনী। রেখা যেভাবে লড়াই করেছে, তা বলার মতো। আমি বলে রাখলাম এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। আমি এই নিয়ে বাংলায় মোট পাঁচবার এসেছি। এই সন্দেশখালিতে কেবল অত্যাচারই হয়েছে। আমি উর্দি পরেছি। কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা দেখে দুঃখ পাই।” একই সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও রেখার সাহসিকতার জন্য বাহবা দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    রেখা পাত্রের বক্তব্য

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গদখালিতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আর সেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে থেকে রেখা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শক্তিস্বরূপা। আজ প্রাক্তন পুলিশকর্তা বাঘিনী বললেন আমাকে, তবে আমার মনে হয়, এটা শুধু আমাকে বলা নয়, সন্দেশখালির প্রত্যেক মহিলাকে বলা হয়েছে। মানুষে তো বাড়িতেই ফিরতে পারেননি। কাউন্টিং এজেন্টরা এখনও ঘরছাড়া। গ্রামে ঢুকতে পারেননি। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল কীভাবে?”

    তৃণমূলের অত্যাচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক গ্রাম জনশূন্যে পরিণত হয়েছে। এই টিম কলকাতা, কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় নিপীড়িত বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিজেপির টিম রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার কাছে। আজই তাঁদের রাতে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    Post Poll Violence: তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের লোকসভার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার খবর উঠে আসছে। ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) কারণে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। অনেক গ্রাম জনশূন্য। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঠাঁই হয়েছে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে। আক্রান্ত ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় দেখা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপির নেতৃত্বরা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম।

    কেন্দ্রীয় টিমের বক্তব্য

    আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব। কেন্দ্রীয় টিমের পক্ষ তিনি থেকে বলেন, “বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টি এই কালচার শুরু করেছিল, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই একটি অংশ হিসাবে কাজ করে চলেছে। বাংলা থেকে বিরোধীদের শূন্য করার জন্য এই ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, বেশিদিন এই অত্যাচার আর চলবে না বাংলায়। বিজেপি কী করতে পারে আর না পারে তা সময় বলবে। গ্রামে গঞ্জে মহিলারা থাকতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের পাঠিয়েছে। সব রিপোর্ট দেব। বিজেপি কর্মীদের ন্যায় দিতে যা যা করতে হবে করব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে গুন্ডাবাহিনীতে পরিণত করেছেন। পুলিশ সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এই অত্যাচার আর বেশিদিন বাংলার মানুষ সহ্য করবে না।” আবার বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারের গ্রাম জনশূন্য। গ্রামে লোক নেই। বিরোধী কণ্ঠস্বর বলে কিছু নেই। মমতার শাসনে কোন রাজত্ব চলছে?”

    আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শান্তিপুরের দম্পতি, বাড়ি ফিরলেন প্রাণ হাতে করে!

    অত্যাচারে জনশূন্য গ্রাম!

    মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতলা এলাকায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রতিনিধি দলের সদস্য বিপ্লব দেব আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থক ও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কথা শোনেন এবং সমস্ত রকম সাহায্যে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আলতা বেড়িয়া যে গ্রাম এখন তৃণমূলের অত্যাচারে জনশূন্য, সেই গ্রামেও ঘুরে দেখলেন তাঁরা। যেসব বিজেপি কর্মীর বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে একাধিক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে। আবার শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বাসন্তীর মসজিদ বাটি এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে। এদিন আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পরিদর্শন করে টিম। কিন্তু আতঙ্ক দূর হচ্ছে না গ্রামবাসীদের। কেন্দ্রীয় টিম চলে যাওয়ার পরে ভাঙচুর করতে পারে কর্মীদের বাড়িঘর। আবারও হামলা করতে পারে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মমতা ও তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোটপরবর্তী হিংসা”, মন্তব্য বিজেপি কেন্দ্রীয় টিমের

    Post Poll Violence: “মমতা ও তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোটপরবর্তী হিংসা”, মন্তব্য বিজেপি কেন্দ্রীয় টিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতার সরকারে বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি দল রবিবার কলকাতায় এসে মাহেশ্বরী ভবনে আক্রান্তদের কাছ থেকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের বিবরণ শোনেন। এরপর সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা হয়ে কোচবিহারে গিয়েছেন। সেখানকার নিপীড়িত মানুষের বক্তব্য শুনেছেন।

    একই ভাবে গতকাল প্রায় শতাধিক আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

    কী বলল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল (Post Poll Violence)?

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার প্রভাব বাংলায় কতটা পড়েছে তা নিয়ে পরিদর্শনে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। এই দলের পক্ষে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব বলেছেন, “মমতা এবং তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোট-পরবর্তী হিংসা। এই স্বভাবের দ্রুত বদল ঘটানো উচিত, তাতে তাঁর যেমন ভালো ঠিক তেমনি দলের জন্যও ভালো। এই আচরণে খুব একটা লাভ হবে না তৃণমূলের। এই রাজ্যের মানুষ তো তাঁরই মানুষ। দায়িত্ব সবার আগে তাঁর।”

    আরও পড়ুনঃ খড়্গপুর আইআইটি হস্টেলের ছাদে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ! চাঞ্চল্য

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল

    রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত স্থান পরিদর্শনে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি এদিন বলেন, “২০২১ সালে বিজেপি ব্যাপক ভাবে ভোট পাওয়ায় মমতা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় ভোট-পরবর্তী হিংসাকে মান্যতা দিতে চাননি। এইবার লোকসভায় বিজেপি রাজ্যে আগের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। রাজ্যে ভোটের পর হিংসার চিত্র যেন একটা পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় টিম সব জায়গায় পরিদর্শন করছেন। গতকাল কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আজ কোচবিহারেও আমরা বক্তব্য শুনেছি। ফিরে আরেকবার কলকাতায় বসব।”

    ইতিমধ্যে কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সব জায়াগায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ঘর ছাড়া হয়ে আছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারুইপুরে ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বহরমপুরের (Murshidabad) গোয়ালজান এলাকা। ভোট-পরবর্তী সময়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই, গতকাল রাত্রি বেলায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং বাড়ির মহিলাদের ব্যাপক মারধর করে। আবার এই পঞ্চায়েত এলাকা, আগে থেকেই বিজেপির দখলে ছিল, এইবার লোকসভাতে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। ফলে তৃণমূল রাজনৈতিক হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এদিন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল, দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। একই ভাবে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্র অশান্তির খবর উঠে আসছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্র খবর, বেশ কিছুদিন আগে এই এলাকায় এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গতকাল রবিবার রাতে তাকে ঘিরে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পোস্টে দেখা যায় সেখানে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এরপরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে গোয়ালজান (Murshidabad) এলাকার জলকালী ক্লাব পাড়ায় বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। চলে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। একই সঙ্গে একাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে খবর দিলে গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। রাস্তায় এখনও লেগে রয়েছে বোমার দাগ। আবার পরের দিন সোমবার এই এলাকায় গঙ্গাপুজো ছিল। তাকে ঘিরে মন্দিরের আশেপাশে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। যদিও ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, “এই এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল পরিমাণের লিড পেয়েছে। আর তাই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। গঙ্গাপুজো উপলক্ষে রিফিউজি ফেরিঘাটের (Murshidabad) পাশে প্রতিবছর একটি বড় পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই পুজোকে বানচাল করতে তৃণমূলের গুন্ডারা বিভিন্ন রকমভাবে আক্রমণ করে। জলকালী ক্লাবের সামনে বিজেপি সমর্থকরা যেতেই তৃণমূলের লোকেরা বোমাবাজি করে। পুলিশকে খবর দিলে উল্টে তৃণমূলের হয়ে বিজেপি কর্মীদেরই ব্যাপক মারধর করে।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করে জেলা (Murshidabad) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করতে এই ধরনের কথা বলছে। তৃণমূলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির অন্দরে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share