Tag: Potassium

Potassium

  • Beet juice: বিটের রসেই হবে বাজিমাত! কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে এই সবজি?

    Beet juice: বিটের রসেই হবে বাজিমাত! কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে এই সবজি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের রঙিন সবজি বিট। মরশুমের হলেও এখন সারা বছর বিট পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বিট খেলে বিশেষত বিটের রস খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। আটকানো যাবে একাধিক সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, দিনের নির্দিষ্ট সময় বিটের রস (Beet juice) খেলে বাড়তি‌ উপকার পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে বিট?

    আয়রনের ঘাটতি কমায় (Beet juice)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিটের পুষ্টিগুণ প্রচুর।‌এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই নিয়মিত বিট খেলে বিশেষত বিটের রস খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কমবে। বিশেষত যাঁরা আয়রনের অভাবে ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিট খুবই উপকারী। গর্ভবতীদের জন্য বিট বাড়তি উপকার দেয়।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবে

    বিট রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিটে (Beet juice) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই বিট খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করবে

    বিট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন বিটে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সহ একাধিক খনিজ পদার্থ। যা শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ (Diseases) থাকে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বিট বাড়তি উপকার দেয়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও বাড়তি উপকারী (Beet juice)

    রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে বিটের উপকার অপরিসীম। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রুখতেও বিট খুব সক্রিয়। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি উপকারী বলেই মত পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করবে

    বলিরেখা রুখতে এবং বার্ধক্য ঠেকাতে বিটের গুরুত্ব অপরিসীম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক টানটান রাখতে এবং বার্ধক্য রুখতে বিট খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিটে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি নাইট্রেট থাকে। যা শরীরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড শরীরে রক্তপ্রবাহে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে অকাল বার্ধক্য আটকানো যায়।

    স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে (Beet juice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতেও বিট খুবই কার্যকরী। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিট থেকে শরীর প্রচুর নাইট্রিক অক্সাইড পায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তাই সহজেই পৌঁছে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও বিট খুবই উপকারী।

    ত্বকের জন্য বাড়তি উপকারী

    ঠোঁট, গাল বা দেহের বিভিন্ন অংশে কালো ছোপ দূর করতে, ব্রণের সমস্যা মোকাবিলায় বিটের (Beet juice) উপকার অনেক। এমনটাই জানাচ্ছেন ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত বিট খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এর ফলে একাধিক ত্বকের সমস্যা কমে। বিশেষত ব্রণর মতো সমস্যা মোকাবিলায় এটা খুবই কার্যকরী। তাছাড়া বিটে থাকে একাধিক ভিটামিন এবং আয়রন। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। ত্বকের শুষ্কতা কমে। ত্বক উজ্জ্বল থাকে। তাই নিয়মিত বিটের তরকারি বা বিটের রস খেলে ত্বক ভালো‌ থাকবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Spinach: শীতে কেন খাবেন পালং শাক? কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে সবুজ, সতেজ এই সবজিটিতে?

    Spinach: শীতে কেন খাবেন পালং শাক? কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে সবুজ, সতেজ এই সবজিটিতে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের বাজার মানেই হরেক রঙের সবজি। আর তার সঙ্গে হাজির থাকে সবুজ, সতেজ পালং শাক (Spinach)। শীতের মরশুমে বাঙালির পাতে পালং শাক থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদে নয়, গুণেও পালং শাক অতুলনীয়। বিশেষত শীতের সময়ে পালং শাক খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। একাধিক রোগ মোকাবিলায় পালং শাক খুবই সাহায্য করে। তাই মরশুমের সবজি হিসেবে শীতে পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী (Spinach)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে তাপমাত্রার রকমফেরে অনেক সময়েই রক্তচাপ ওঠানামা করে। তাই যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, অথবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁরা শীতে পালং শাক খেলে বাড়তি উপকার পাবেন। কারণ, পালং শাকে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। শীতের শুরুতে কিংবা শীতের বিদায়পর্বে আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়। আর তার জেরেই নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। ফলে, অনেকেই নানান সংক্রমণের শিকার হন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি পর্যাপ্ত থাকলে ভোগান্তি কমবে‌। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ। এই উপাদান দেহের রক্তের শ্বেত কণিকাকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে বাড়তি সাহায্য করে।

    ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য

    শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়। আদ্রর্তার অভাবেই এই সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাক এক্ষেত্রে বাড়তি উপকারী।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে (Spinach) ভিটামিন এ থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে এই উপাদান‌‌ বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়াও, পালং শাকে থাকে ফলিক অ্যাসিড।‌ ফলে এই সবজি খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। শীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। তাই হৃদরোগ রুখতে পালং শাক‌ বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে, শুধু শীতের সমস্যা কমায় না। পালং শাক শরীরে একাধিক উপকার করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে‌ বিটা ক্যারোটিন। এর ফলে চোখ ভালো থাকে। চোখে ছানির ঝুঁকি কমায় এই উপাদান। এছাড়াও পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    পালং শাক খাওয়ার সময় কোন দিক নজরে থাকবে? (Spinach)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকের উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। কিন্তু কয়েকটা দিক নজরে রাখা জরুরি। তবেই শরীর ভালো থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। গ্যাস, পেটব্যথাও হতে পারে। তাই পরিমাণের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। আবার পালং শাক নিয়মিত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। কারণ পালং শাক বেশি খেলে শরীরে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত পালং শাক (Vegetable) খেলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন কিডনির সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হয়‌।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Carrots: আপনি কি নিয়মিত গাজর খান? জানেন, এর কত ধরনের উপকারিতা রয়েছে? 

    Carrots: আপনি কি নিয়মিত গাজর খান? জানেন, এর কত ধরনের উপকারিতা রয়েছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরকারি হোক কিংবা স্যালাড, গাজর (Carrots) অনেকেই খান।‌ আবার শিশুদের স্ট্রু কিংবা ঝোলেও অনেকেই কয়েক টুকরো গাজর দেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত গাজর খেলে শরীরে তার গভীর প্রভাব পড়ে।

    গাজর শরীরে কী প্রভাব ফেলে? (Carrots)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত শিশুকে গাজর খাওয়ালে হাড়ের গঠন ভালো হয়। আবার মহিলাদের জন্যও গাজর খুব উপকারী। কারণ, গাজরে থাকা ক্যালসিয়াম মহিলাদের শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ করে। হাড়ের ক্ষয় রোগ কমায়। চোখের সমস্যা কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, ক্যালসিয়ামের অভাবে চোখের একাধিক সমস্যা হয়। 
    পাশাপাশি গাজরে থাকে পটাশিয়াম। তাই যাদের রক্তচাপ বেশি, হৃদরোগের ঝুঁকিও রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত গাজর খাওয়া দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে পটাশিয়ামের জোগান দেয় গাজর। তাই নিয়মিত গাজর খেলে হৃদযন্ত্র সক্রিয় থাকে। 
    গাজরে থাকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই দুই প্রকার ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ উপকারী। পাশপাশি বার্ধক্য রোধেও এই দুই ভিটামিন কাজ করে। তাই ত্বকের বলিরেখা রুখতে নিয়মিত গাজর (Carrots) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    শিশুদের পাশপাশি পঞ্চাশোর্ধ্বদের জন্যও গাজর বিশেষ উপকারী। কারণ, গাজর কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গাজর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    হজমের সমস্যায় গাজর (Carrots)

    গাজর নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা কমে। কারণ, গাজরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার পরিপাকতন্ত্র এবং অন্ত্রের জন্য উপকারী। তাই গাজর সব বয়সীদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। এতে হজম শক্তি বাড়ে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজনের সমস্যা থাকলে স্থূলতা রুখতে নিয়মিত গাজর খেতে হবে। কারণ, গাজরে ফাইবার থাকে। এটা কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার। নিয়মিত গাজর (Carrots) খেলে হজম ভালো হয়। আবার শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। তাই স্থূলতা রুখতে নিয়মিত গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    ক্যান্সার প্রতিরোধ (Carrots)

    পাশপাশি, গাজরে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজর হল ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত গাজর খেলে কোলন, পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত গাজর খাওয়া জরুরি। তবে স্যালাড বা তরকারির উপকরণ হিসেবে গাজর খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মিষ্টি জাতীয় পদ গাজর (Carrots) দিয়ে তৈরি করলে তাতে ওজন ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    Visva-Bharati: ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করল বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ (Visva-Bharati)। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক৷ ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। এখনও পর্যন্ত লিভিং কোনও কিছুর নাম কবি ও কবিপুত্রর নামে হয়নি। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)। কৃষিকাজকে সমৃদ্ধ করতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষি গবেষণার উপর জোর দিয়েছিলেন৷ তাই তিনি শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ এমনকী, নিজের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কৃষিবিদ্যা পাঠ নিতে বিদেশেও পাঠিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য হন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তাঁর হাত ধরে শুরু হয় কৃষি গবেষণার নানা কাজ।

    কীভাবে সন্ধান মিলল? (Visva-Bharati)

    কৃষিক্ষেত্রে ফলন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। এই তিনটি উপাদানকে একত্রে বলে এনপিকে৷ মাটি থেকে উদ্ভিদ এই উপাদান সংগ্রহ করে৷ কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে মাটিতে এর জোগান কম থাকলে বাজার থেকে উপাদানগুলি কিনে দিতে হয় চাষিদের৷ বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ একটু নতুন প্রজাতির উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছে। নাম ‘প্যান্টোইয়া টেগোরী’ ( Pantoea Tagorei )। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অণুজীববিদ্যার অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম তাঁর ৫ পড়ুয়া রাজু বিশ্বাস, অভিজিৎ মিশ্র, অভিনব চক্রবর্তী, পূজা মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে এই ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন৷ মূলত ধান চাষের অত্যন্ত সহায়ক অণুজীব। এছাড়া, লঙ্কা ও মটর চাষের পক্ষেও উপকারী এই ব্যাকটেরিয়া। এটি মাটি থেকে অতি সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে৷ ৬ জনের এই দল গবেষণা করতে করতে শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি, পরে ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি অঞ্চলের মাটি থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান৷ কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের ভাবনা, অবদানকে স্মরণ করে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে ব্যাকটেরিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্টস অফ ইণ্ডিয়া (এএমআই)।

    কী বলছেন গবেষকরা? (Visva-Bharati)

    বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বুম্বা দাম বলেন, “এই ব্যাকটেরিয়া চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। আমরা আগে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে দেখেওছি৷ সদ্য শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তাই আমরা এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রেখেছি। লিভিং কোনও অর্গানিজমের নাম টেগরের নামে। আমার গবেষক পড়ুয়ারাও (Visva-Bharati) খুব মন দিয়ে কাজ করেছে এক্ষেত্রে।” গবেষক পড়ুয়াদের মধ্যে রাজু বিশ্বাস ও অভিজিৎ মিশ্র বলেন, “এটা বিশ্বভারতীর আবিষ্কার। এই ব্যাকটেরিয়া ব্যাবহারের ফলে চাষিরা উপকৃত হবে৷ সারের খরচ অনেকগুণ কমবে৷ এই ব্যাকটেরিয়া মাটি থেকে সহজেই পটাশিয়াম সংগ্রহ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারে৷ আমরা ঝরিয়ার কয়লা খনি অঞ্চল থেকে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share