Tag: potters

potters

  • Ram Temple: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, পোয়া বারো মৃৎশিল্পীদের

    Ram Temple: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, পোয়া বারো মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের দিন দেশজুড়ে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতেই যারপরনাই খুশি মৃৎশিল্পরীরা। সারাবছর মাটির ভাঁড় তৈরি করেন যাঁরা, দীপাবলির সময় বাড়তি পরিশ্রম করে মাটির প্রদীপ তৈরি করেন বাড়তি দু’পয়সা রোজগারের জন্য। আর সোমবার অকাল দীপাবলি এসে পড়ায় তাঁরা খুবই খুশি।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Temple)

    যাঁরা সারা বছর চায়ের দোকানের ভাঁড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও দীপাবলির আগে তাঁরা মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে ঘরের মহিলারা বাড়তি কিছু আয় করেন যা তাঁরা উৎসবে খরচ করেন। সোমবার অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরে (Ram Temple) রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে তাঁদেরও বাড়তি আয় হলে, সেই টাকায় একটু স্বাচ্ছন্দ্য আসবে, শখও মেটাতে পারবেন তাঁরা। তাই এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসারের কাজ সেরে ফেলছেন প্রদীপ বানানোর জন্য। গত কয়েকদিন ধরেই পাইকাররা এসে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। পিলখানায় ২৫ ঘর মতো মৃৎশিল্পীর বাস। তাঁরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। হাওড়ার পিলখানার ভাঁড়পট্টির কারিগর ঝাঙুর প্রজাপতি বলেন, ২২ তারিখে মোদি যে প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন তারজন্য হঠাৎ চাহিদা বেড়ে গেছে। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলবে। তাই আমরাও ঘরে ঘরে প্রদীপ তৈরি করছি। আমরা সকলেই খুব খুশি। ভোর থেকে কাজ শুরু করছি, সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মৃৎশিল্পী কমলা দেবী বলেন, রামন্দিরের জন্য চাহিদা বেড়েছে, দামও বেশি পাচ্ছি।  যে প্রদীপের দাম ৫ টাকা ছিল এখন চাহিদা বাড়ায় তা ৮ টাকা হয়ে গেছে। ৭-৮ টাকার প্রদীপ ১০টাকায় বিকোচ্ছে। স্থানীয় মৃৎশিল্পী লক্ষ্মী দেবী বলেন, এমন দিন আসবে ভাবতেই পারিনি। রাম মন্দির যে সত্যিই হবে ভাবতেও পারিনি। জানা গিয়েছে, পাইকারদের হাত ধরে এখান থেকে প্রদীপ চলে যাচ্ছে হাওড়ার বিভিন্ন বাজার ও কলকাতার বড়বাজারে। সেখান থেকে প্রদীপ ছড়িয়ে পড়ছে শহরের আনাচে-কানাচে। বাড়তি আয় করতে পেরে খুশি কমলা প্রজাপতি, পূজা প্রজাপতিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দুই দিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। কেমন হচ্ছে প্রতিমা বিক্রি? কেমনই বা আছেন মৃৎশিল্পী কর্মীরা? মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ফরাক্কার মহাদেবনগরের পালপাড়া গ্রাম এবং বহরমপুরের মৃৎশিল্পীদের কথায় উঠে এলো তাঁদের জীবনে সংগ্রামের কথা। প্রতিমা তৈরির শেষ তুলির টান চলছে জোর কদমে। পুজো কি আর সারা বছর হয়! বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তাই এই সময়ে যদি প্রতিমা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে না পান, তাহলে মৃৎশিল্পীদের বাকি সারাটা বছর অত্যন্ত অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে। তাই শিল্পীরা নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে, রাজ্য সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই জেলার মৃৎশিল্পীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করে বলেন, পুজো মন্ডপ গুলির মতন আমাদেরও অনুদান চাই। 

    সরকারী অনুদান চাইলেন মৃৎশিল্পীরা (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাল বাদে পরশু বিশ্বকর্মা পুজো। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যাস্ততা। তবে এই বছর তেমন ভাবে বেচাকেনা নেই, কিছু প্রতিমার অর্ডার পাওয়া গেলেও, তাতে লাভের পরিমাণ কম। আর তাই তাঁদের খুব কষ্টের মধ্যেই কাটছে দিন। এই অবস্থায় মৃৎশিল্পকে এবং শিল্পীদের পারিবারিক জীবনকে সুরক্ষিত করতে সরকারের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। শিল্পীদের তরফে জানানো হয়, পুজো উদ্যোগতা ক্লাব গুলির জন্য যদি, ৭০ হাজার টাকা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে যাঁরা পুজোর ঠাকুর তৈরির কারিগর, তাঁরা কেন আর্থিক সাহায্য পাবেন না!

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    ফরাক্কার (Murshidabad) মৃৎশিল্পী কৌশিক পাল বলেন, “যেমন ভাবে সরকার পুজো মন্ডপ গুলোকে অনুদান দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।” উল্লেখ্য ফরাক্কার পালপাড়ায় ও বহরমপুরে খাগড়ায় বহু মৃৎশিল্পীদের পরিবার চলে একমাত্র প্রতিমা বিক্রি এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজের উপর। তাই এই শিল্পীদের জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    বহরমপুরের আরেক শিল্পী বলেন, এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো বায়না অনেক কম হয়েছে। দিন দিন সাজের জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ভালো সাজ না হলে ক্রেতারা প্রতিমা ক্রয় করতে চাননা। তাই দাম বেশি বলে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি কলকাতার কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের মতন আমাদেরও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করত, তাহলে আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হতাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share