Tag: Poultry

Poultry

  • Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির (Chicken)৷ আর এই কারণে আগুন দাম হতে পারে মুরগির মাংসের, এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি ২৪০ টাকার আশপাশে দাম চলছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এরকম চলতে থাকলে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটাই এখন চরম দুশ্চিন্তার বিষয়। বোলপুরের বেশ কয়েকটি ফার্মে কয়েকদিন ধরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে মুরগি৷ স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের৷

    কোনও ব্যবস্থাই কাজে আসছে না

    কয়েকদিন ধরেই বীরভূমের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে৷ কখনও কখনও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন৷ অতিষ্ঠ পশু-পাখিরাও৷ শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বইছে লু৷ এই তাপপ্রবাহের কা্রণেই মৃত্যু হচ্ছে পোলট্রি মুরগির (Chicken)। বোলপুরের সিয়ান এলাকায় প্রচুর পোলট্রি মুরগির ফার্ম রয়েছে। এমনিতেই গরমে মাংসের বিক্রি কমে গিয়েছে। কমেছে ডিমের চাহিদাও। গরম থেকে মুরগিদের বাঁচাতে ফার্মের জলছাদ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ফ্যান। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন শয়ে শয়ে মুরগি মারা যাচ্ছে৷ দাবদাহ এতটাই বেশি যে কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না৷ 

    কী বলছেন ফার্ম মালিকরা?

    এক পোলট্রি ফার্ম মালিক মনির শেখ বলেন, “রোজ এসে দেখছি ৫০ থেকে ৬০ টি করে মুরগি মরে পড়ে আছে৷ এত গরম পড়েছে, সানস্ট্রোক হয়ে মারা যাচ্ছে মুরগি (Chicken)৷ ছাদে জল দিচ্ছি। ফ্যান লাগিয়ে দিচ্ছি। তাতেও কাজ হচ্ছে না৷ শুধু আমার ফার্মে নয়, আশপাশের ফার্মেও একই অবস্থা।”

    মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    উল্লেখ্য, পোলট্রির মুরগি এমনিতেই দুর্বল প্রাণী৷ অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না৷ এবছর তাপমাত্রার পারদ চড়তেই থাকছে৷ এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে প্রতিটি ফার্মে রোজ শয়ে শয়ে মৃত মুরগি (Chicken) মিলছে৷ যাতে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের৷ প্রসঙ্গত, এই তীব্র দাবদাহ থেকে বল্লভপুর অভয়ারণ্যের হরিণদের রক্ষা করতে জলের সঙ্গে ওআরএস দেওয়া হচ্ছে৷ শরীর ঠান্ডা রাখতে ভূট্টো পাতা, সবুজ পাতা খাওয়ানো হচ্ছে। নিয়মিত নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা কিন্তু মুরগি নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তের হাওয়ায় বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি! ইতিমধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। তার জেরে উদ্বেগে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, নেল্লোর-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস। ঘটনায় মুরগি পালনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ওই রাজ্যের পশুপালন দফতর।

    ১০ হাজার মুরগির মৃত্যু

    জানা গিয়েছে, নেল্লোর জেলার পুধালাকুরু, কোভুরু ও মাইদাপুরম এলাকায় গত তিন মাসে বার্ড ফ্লুয়ে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ হাজার মুরগির। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই দুই গ্রামের বাইরেরও ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। জনবসতির ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আগামী তিন মাস মুরগির মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। নেল্লোরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। আশপাশের জেলাগুলিতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। যেহেতু পোল্ট্রিগুলিতেই বেড়েছে সংক্রমণ, তাই আগামী ১৫ দিন পোল্ট্রিগুলি থেকে অন্য কোথাও মুরগি পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ড্রপলেট থেকে রোগ ছড়ায় 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ফ্লুয়ের (Bird Flu) মতো বার্ড ফ্লুও ছড়ায় নাক-মুখ থেকে নিঃসৃত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জলকণা বা ড্রপলেট থেকে। এই ড্রপলেট অন্য পাখির শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে ওই পাখিটিও সংক্রমিত হতে পারে ফ্লুয়ে। জানা গিয়েছে, যাঁরা মূলত পোল্ট্রির কাজেই যুক্ত, তাঁরাই সাধারণত সংক্রমিত হন। বসন্তের বাংলায় এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি মুরগি থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ায় এবং সংক্রমিত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই এ রাজ্যে আসেন, সে ক্ষেত্রে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা’’, তীব্র আক্রমণ মোদির

    জানা গিয়েছে, মূলত পোল্ট্রি ফার্মের মাধ্যমেই বেশি ছড়ায় বার্ড ফ্লু। তবে হাঁস-মুরগি খেলে যে এই বার্ড ফ্লু হবে, এমন কোনও কথা নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডিম আসে এ রাজ্যে। সেই ডিম খেলেও বার্ড ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ যে তাপমাত্রায় মাংস কিংবা ডিম রান্না করা হয়, তাতে ফ্লুয়ের ভাইরাস মারা যায়। একই কথা প্রযোজ্য ওমলেটের ক্ষেত্রেও (Bird Flu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share