Tag: prashant kishore

prashant kishore

  • Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Poll Battle) প্রার্থী হচ্ছেন না ভোট কুশলী তথা রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। এই নির্বাচন হবে ৬ ও ১১ নভেম্বর, দু’দফায়। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের বিভিন্ন আসনে লড়ছে পিকের নবগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’। তবে এই দলের মাথা পিকেই লড়ছেন না।

    পিকের বক্তব্য (Prashant Kishore)

    তিনি জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের পরিবর্তে সাংগঠনিক কাজ ও অন্যান্য প্রার্থীর জন্য প্রচারে মনোযোগ দিতে পারেন। এর আগে পিকে যখন রাঘোপুরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ‘আমেঠির মতো’ পরাজয়ের হুমকি দিয়েছিলেন, তখন থেকেই জল্পনা তীব্র হয়েছিল যে এবার কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন পিকে স্বযং। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিলেন ভোটকুশলী। উল্লেখ্য, এই রাঘোপুর তেজস্বী যাদবের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্রে পিকে এবার চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন।

    দু’টি তালিকা প্রকাশ

    জন সুরাজ পার্টি এখন পর্যন্ত দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছে। মোট ১১৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সমাজকর্মী-সহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। পিকে ঘোষণা করেছেন (Prashant Kishore), বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৫০টিতে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়,  “এর কম হলে সেটি হবে ব্যক্তিগত পরাজয়।” পিকে বলেন, “জন সুরাজ পার্টি শুধুমাত্র নির্বাচনী সাফল্যের জন্য নয়, বরং স্বচ্ছ রাজনীতির একটি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে।” বিহার ভোটের ফল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। বলেন, “আসন বণ্টন নিয়ে বিবাদের কারণে বর্তমান এনডিএ সরকার নিশ্চিতভাবেই পতনের পথে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না।”

    এনডিএর পরাজয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারকে দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ শানান (Bihar Poll Battle)। পিকের অঙ্গীকার, “যদি জন সুরাজ পার্টি সরকার গঠন করে, তাহলে তারা রাজ্যের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন নেতা ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে (Prashant Kishore)।”

     

  • One Nation One Election: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    One Nation One Election: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বারংবার নির্বাচনের ফলে যে বিস্তর খরচ হয়, মূলতঃ তা কমাতেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বিরোধীরা।

    সমর্থন পিকের

    তবে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। তিনি বলেন, “সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হলে এক দেশ এক নির্বাচন জাতীয় স্বার্থের অনুসারী।” এক সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলে ছিলেন পিকে। পরে তাঁর সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন। গড়েন নিজের দল জন সুরজ। পরে তৃণমূলকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য তাঁকে বাংলায় নিয়ে আসেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গেই।

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’

    তবে ইদানিং যেন তৃণমূল-পিকে সম্পর্কের সুতো খানিক আলগা হয়েছে। কারণ দিন কয়েক আগেই বিরোধীদের জোট গঠনের উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছিলেন পিকে। এবার সমর্থন জানালেন প্রধানমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতিকে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতির প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি ছিল ভোট বাবদ বিস্তর খরচ কমার পাশাপাশি খাটনি কমবে সরকারি কর্মীদের। বারংবার নির্বাচন হলে একাধিকবার লাগু হবে আদর্শ আচরণ বিধি। যার জেরে থমকে যাবে উন্নয়ন-রথের গতি।  

    আরও পড়ুুন: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    প্রধানমন্ত্রীর মতো পিকেও বলেন, “এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election) নীতি কার্যকরী হলে কমবে জাতীয় ব্যয় এবং ভোটারদের ক্লান্তি। এই উদ্যোগের ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে পারে। ভারতের মতো বড় একটি দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট আসে। তাই যাঁরা সরকার পরিচালনা করেন, তাঁদের অনেকেই এই নির্বাচনের বৃত্তে ব্যস্ত থাকেন। এই ভোট প্রক্রিয়া যদি এক বা দু’ বারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে ভালো হবে।” তিনি বলেন, “যদি সঠিক উদ্দেশ্যে এটা করা হয়, আর একটা সময়কাল চার থেকে পাঁচ বছর, যাতে পর্যাপ্ত সময় পায়, তাহলে এটা দেশের পক্ষে ভালো হবে। এটার কারণ, এটা আগে দেশে চালু ছিল ১৭-১৮ বছর ধরে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share