Tag: President

President

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

  • Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপি-র দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন রাইসিনা হিলসের নয়া বাসিন্দা।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ভবন। ৩২০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছিল দিল্লির রাইসিনা হিলসের এই রাষ্ট্রপতি ভবন। রাইসিনা হিলসের মূল ভবনে ঘর রয়েছে ৩৪০টি। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাইসিনা হিলসে রয়েছে তাঁর আধিকারিকনিবাস, স্বাগত কক্ষ, অতিথিশালা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ভবনের বাইরে রয়েছে বিশাল আকারের বাগান, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে আস্তাবলও। রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই রয়েছে মুঘল গার্ডেন, মিউজিয়াম। মুঘল গার্ডেনে রয়েছে ময়ূরও। টিকিট কেটে এগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য এখানকারই বাসিন্দা হতে চলেছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ তিনি পাবেন ৫ লক্ষ করে টাকা। জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ও পেনশনের পরিমাণ। রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি ভ্যাকেশন রিট্রিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বছরে দু বার ছুটি কাটাতে যেতে পারেন তিনি। তাঁর জন্য ব্যবস্থা থাকে সিমলার দ্য রিট্রিট বিল্ডিং ও হায়দরাবাদের রাষ্ট্রপতি নিলয়মে। সফরের যাবতীয় খরচ বহন করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এ তো গেল রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সুযোগ সুবিধা। অবসরের পরেও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফি মাসে রাষ্ট্রপতি পেনশন পান দেড় লক্ষ টাকা। রাইসিনা হিলস ছেড়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সুসজ্জিত বাংলোর। এজন্য কোনও টাকা দিতে হয় না তাঁকে। পাঁচজন কর্মচারীও রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কর্মচারীদের বেতন দেয় ভারত সরকার। জীবনভর বিনা মূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণের সুযোগও পান অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।

     

  • Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি রাজাপক্ষের (Rajapaksas) বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েই একথা বললেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। দেশে যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বন্ধ আমদানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে করতে হচ্ছে লোডশেডিং। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। এক সময় জনগণ গিয়ে দখল নিয়ে নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে তার আগেই রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    এদিকে, বুধবার শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। রাষ্ট্রপতি পদে শপথও নেন তিনি। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। তারা গো ব্যাক রনিল স্লোগানও দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রনিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমসিংহে বলেন, আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি জনগণের বন্ধু।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    এদিন শপথ নেওয়ার পরেই নয়া রাষ্ট্রপতি চলে যান কলম্বোর একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেই তিনি জানান, যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্রমসিংহে বলেন, যদি আপনারা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করার চেষ্টা করেন, সেটা গণতন্ত্র নয়। এটা আইন বিরুদ্ধ। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। অল্প কিছু লোক দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।

    রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নয়া রাষ্ট্রপতি। এদিকে, এদিনও ফের একবার শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারত।

     

  • Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি,  কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি, কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেন্নাইতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড(Chess Olympiad)। সেই উপলক্ষে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড (Bill Board)। তাতে ছবি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। এর পরেই কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী গিয়ে বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর ঠিক পরের দিনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) তামিলনাড়ু সরকারকে সাফ জানিয়ে দেয়, ওলিম্পিয়াডের বিলবোর্ড, পোস্টারে রাখতে হবে রাষ্ট্রপতি (President) এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
    কিছুদিন পরেই তামিলনাড়ুতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শহর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবি সম্বলিত পোস্টারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও তাতে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ছবি ছিল না। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন দেশ ব্যস্ত তখন রাষ্ট্রপতির ছবি মেলেনি। তাই পোস্টারে ছবি দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রপতির। আর পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়নি কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর ছবি ছাপার অনুমতি এসেছিল দেরিতে।

    আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    রাজ্য সরকারের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মুনিশ্বর নাথ ভাণ্ডারি ও বিচারপতি এ আনন্থির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে জাতির গুরুত্বটাই সবার ওপরে হওয়া উচিত। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবি থাকে। কারণ তাঁরাই দেশের প্রতিনিধি। এটা শুধুই দেশের উন্নতির চিত্র প্রদর্শন নয়, এটা অল্প সময়ে ওই দেশের আয়োজনের ক্ষমতাও প্রমাণ করে। রাজ্য সরকার সহ প্রত্যেক সরকারের এ ব্যাপারে কাজ করা উচিত। যখন দেশ এমন এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, তখন সেটা যাতে নিখুঁতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা যাতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধামন্ত্রীর ছবি রয়েছে, তা যেন বিকৃত করা না হয়। যদি  এমন খবর আসে, তাহলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন : রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

     

  • Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী,  জানেন কি আসল কাহিনি?

    Yashwant Sinha: রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত কীভাবে হলেন বিরোধী প্রার্থী, জানেন কি আসল কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি (President) পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি হারছেন তা আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমন বলতে তিনিই পারেন। নিজেদের জোটের প্রার্থীকে ভোটের আগেই হারিয়ে দিয়ে এনডিএ-র (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) জয় নিশ্চিত বলেছেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক আগে পাল্টি খেয়ে তিনি দ্রৌপদীদেবীকে সমর্থন করে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মমতা সবই পারেন!

    যশবন্ত সিনহা ছিলেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তাঁকে সমর্থন করছে সিপিএম-সহ বাম দলগুলি। এতদিন যে সিপিএম ‘দিদি-মোদি’ সেটিংয়ের তত্ত্ব প্রচার করত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারাই প্রমাণ করে দিয়েছে সেটিং আসলে ‘সীতা-মমতা’র। কিন্তু মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের পর মত বদলেছে মমতার। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সহ-সভাপতি যে ভোটে হারছেন তা তিনি আগেই ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক বৃত্তে অনেকের প্রশ্ন, কাকে, ঠিক কী বার্তা দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো?এত কিছুর মাঝেও যশবন্ত সিনহা কীভাবে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী জোটের প্রার্থী হলেন তার আসল কাহিনি অনেকের অজানা। মাধ্যম সে কথাই আজ জানাবে।

    আরও পড়ুন : “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত?

    দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ জুন হয় সেই বৈঠক। মমতা চাইছিলেন শারদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্খী হোন। তা ঠিক করতে দিল্লি পৌঁছান মমতা। উদ্দেশ্য ছিল, জাতীয় রাজনীতিতে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা। কিন্তু নয়াদিল্লিতে নেমেই মমতা জানতে পারেন, তাঁর ১৫ জুনের বৈঠকের পর আরও একটি বৈঠক ২১ জুন ডাকা হচ্ছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা আলোচনা করে তা ঠিক করে ফেলেছেন। তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, মমতা বুঝতে পারেন আরও বৈঠক হলে এবং তা তৃণমূলের নেতৃত্বে না হলে ১৫ জুনের বৈঠকের কোনও মূল্যই থাকবে না। ফলে শারদ পাওয়ারকে ম্যানেজ করতে দিল্লিতে পা দিয়েই তাঁর বাড়িতে ছোটেন মমতা। পাওয়ারকেই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেন। এনসিপি নেতা সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েও দেন।

    আরও পড়ুন : বাজল উপরাষ্ট্রপতি পদের দামামাও, কীভাবে ভোট হয় জানেন?

    এমন পরিস্থিতিতে ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বৈঠক বসে। মমতা-শারদ পাওয়ার সেই বৈঠকের পর একটি তিনপাতার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের জন্য সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে দায়িত্ব দেন। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাবও করা হয় সেখানে। বৈঠকে আলোচনার পর তৃণমূল নেত্রী যখন যৌথ বিবৃতির কথা বলেন সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন ডিএমকে নেতা টি আর বালু। তিনি জানিয়ে দেন, এমন বিবৃতি এবং প্রস্তাবিত নাম নিয়ে এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি সই করতে পারবেন না। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি জানান। তার পর মুখ বাঁচাতে মেহবুবা মুফতিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে গিয়ে শুধু দুটি নাম নিয়ে আলোচনার কথা জানাতে বাধ্য হন তৃণমূল সুপ্রিমো। দু এক দিনের মধ্যে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং ফারুক আবদুল্লা জানিয়ে দেন তাঁরাও রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চান না।

    জাতীয়স্তরে  মমতার বিশ্বাসযোগ্যতাকে তলানিতে ঠেকিয়ে আসরে নামেন সীতারাম ইয়েচুরি, শারদ পাওয়ার এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁরা যৌথভাবে প্রস্তাব দেন যশবন্ত সিনহাকে। ২১ জুনের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু যশবন্তকে বলা হয় আগে তৃণমূল ছাড়ুন তারপরই প্রার্থীপদে আপনার নাম ঘোষণা হবে। সেই মতো তৃণমূল সুপ্রিমোকে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে এবং টুইট করে তৃণমূল ছেড়ে দেন যশবন্ত সিনহা। তাই তাঁর নিজের দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে বিশেষ নাচানাচি করতে চাইছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের নেতা হয়েও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য যশবন্ত আবার প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্য থেকে। আর কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতেন। মহারাষ্ট্রের দেওয়াল লিখন দেখে দ্রৌপদী মুর্মুর মাধ্যমেই এনডিএ-র কৃষ্ণ ভগবানকে স্মরণ করতে চাইছেন কি তিনি? রাজনৈতিক চর্চাজীবীদের একাংশের তেমনই মত। 

     

  • Droupadi Murmu: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    Droupadi Murmu: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) শেষমেশ দ্রৌপদী মুর্মুকেই (Droupadi murmu)  প্রার্থী করল এনডিএ (NDA) জোট। ওড়িশার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মোদি (Modi) সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদেও ছিলেন তিনি।

    জুলাই মাসের ১৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএর তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সকাল থেকে বেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম ভেসে বেড়ালেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করা হয় দ্রৌপদীর নাম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    দ্রৌপদীর জয়ের পথ সুগম বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কারণ ভোটমূল্যের প্রাথমিক হিসাবে কংগ্রেস-তৃণমূল-বাম সহ ১৮টি বিরোধী দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন দ্রৌপদী।

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কুড়ি জনের নাম এনডিএর বৈঠকে উঠে এলেও, দ্রৌপদীই যে বিজেপির তুরুপের তাস হতে চলেছেন, সে ইঙ্গিত দিয়েছিল মাধ্যম। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দের পরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদীকে প্রার্থী করে এবার বিজেপি বিরোধী জোটকে টেক্কা দিল গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে মুখ ফেরালেন মমতার তিন প্রার্থীই

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রাংপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী। পেশায় শিক্ষিকা দ্রৌপদীর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল রায়রাংপুর পুরভোটে জিতে। অনুন্নত এলাকায় বেড়ে ওঠা। দ্রৌপদীর ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্রের মধ্যে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেও চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। ভুবনেশ্বরের রামদেবী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক হন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেচ দফতরের কেরানি হিসেবে। পরে যোগ দেন শিক্ষিকার পদে। তারও পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেড়া ওঠা দ্রৌপদীকে। ২০০০ ও ২০০৪ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে নবীন পট্টানায়েকের নেতৃত্বে বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালও ছিলেন দ্রৌপদী।

    বিজেপি বিরোধী শিবিরে মূলত তিনজনের নাম উঠে এসেছিল রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে। এঁরা হলেন, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কংগ্রেসের গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনজনেই রাষ্ট্রপতি পদের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তার পরেই চূড়ান্ত হয় যশবন্তের নাম। এদিকে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির রাজনাথ সিং। বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও, তা ব্যর্থ হয়। তাই এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে ১৮ জুলাই সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু ও যশবন্ত সিনহা।

    রাইসিনা হিলসে শেষমেশ কে পৌঁছান, তা বলবে সময়।

     

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya Sabha Polls) আবহেই ঘোষণা হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Prez Poll) নির্ঘণ্ট। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোট হবে ১৮ জুলাই। ফল ঘোষণা তার তিন দিন পরে। রাজ্যসভার ভোট ১০ জুন। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৫ জুন। ১৯ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। প্রসঙ্গত, এর আগের বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০ জুলাই।

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জুলাই। তার আগেই নির্বাচন করতে হবে নতুন রাষ্ট্রপতি। তাই এদিন ওই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেন জনগণ। ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। এখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন না। তাঁদের হয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। এই নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৮০৯ জন। তাঁদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন নয়া রাষ্ট্রপতি।

    প্রত্যেক রাজ্যের ১৯৭১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই সূত্র অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সিকিমের। প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভা ভবন ও দিল্লিতে সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য বুথ তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও, শাসক কিংবা বিরোধী কোনও পক্ষই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শাসক শিবিরে কয়েকটি নাম ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার পক্ষপাতী। যদি তা হয়, তবে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। এঁদের একজন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ওড়িশার মানুষ। দীর্ঘদিন বিজেপির নেত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়জন তেলঙ্গনার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন।

     

     

  • Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে এবার আদিবাসী কোনও মহিলাকে বসিয়ে চমক দিতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ফের কোনও মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে পারে দেশ।

    ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে রামনাথ কোবিন্দের। তাই শাসক তো বটেই বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উজিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলতিভাবে যাতে প্রার্থী দেয়, সেই জন্যই ওই তৎপরতা।

    বিরোধীরা যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা টের পেয়েছে দেশের শাসক দলও। হাত গুটিয়ে বসে নেই তারাও। একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কয়েকদফা আলোচনা শেষে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নামের একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি ওড়িষার বিজেপি নেত্রী। এক সময় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বিরোধীদের আদিবাসী-বিরূপতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে বিজেপি। তাছাড়া, চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাত সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দ্রৌপদীকে রাইসিনা হিলসে পাঠানো গেলে ওই রাজ্যগুলির আদিবাসী ভোট এসে পড়বে গেরুয়া ঝুলিতে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যার সুফলও ফলবে বলে দাবি শাসক শিবিরের।

    দ্রৌপদী ছাড়া আরও একজন রয়েছেন রাইসিনা হিলসের দৌড়ে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল। বর্তমানে তিনি যোগীরাজ্যের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন। তবে চব্বিশের মহারণের আগে দ্রৌপদীকেই রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

LinkedIn
Share