Tag: private hospital

private hospital

  • Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    Bangladesh Crisis: ওপার বাংলায় তেরঙার অসম্মান, বাংলাদেশের রোগী দেখবে না কলকাতার হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হাত ধরেই স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। পদ্মা-পাড়ের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। সেই বাংলাদেশেই এখন ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে চলছে যাতায়াত। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পরিকল্পিত ভাবে। দ্বিধাহীনভাবে তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। জনরোষ বাড়ছে এপার বাংলায়। এবার বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করল কলকাতার একটি হাসপাতাল। একই পথে হেঁটে বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ করলেন এক চিকিৎসকও।

    হাসাপাতালে নিষেধাজ্ঞা

    উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘‘আপাতত বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ। ভারতের চিকিৎসায় সুস্থ থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা, এটা হতে পারে না।’’ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভ্রাংশু ভক্তের কথায়, ‘‘কারণটা খুব স্পষ্ট। যারা আমাদের দেশের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করল, সেখানকার বর্তমান প্রজন্ম ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা রাখার দরকার নেই বলেই মনে করি। গোটা বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশে কী হচ্ছে। ওখানকার মানুষ এর পরও কোন মুখে এখানে আসছে?’’

    ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা 

    এই মুহূর্তে কোনও বাংলাদেশি রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি নেই। তবে নতুন করে আর ওপার বাংলার কোনও রোগী ভর্তি নিচ্ছে না জেএন রায় হাসপাতাল। কোনও রকম এনকোয়্যারি এলে স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনওভাবেই ‘ডক্টর্স ওথ’-এর অবমাননা হচ্ছে, বলে মনে করেন না চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অমানবিক হয় তাহলে ওখানে যা হচ্ছে তা কি মানবিক? আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধীরে ধীরে আরও অনেকে এই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

    ভারত-বিরোধী স্লোগান বাংলাদেশে

    বাংলাদেশ না পাকিস্তান বোঝা দায়! পদ্মা-পাড়ে এখন ভারতবিরোধী স্লোগান উঠছে মুহুর্মুহু। অথচ নীরব ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে দেশে প্রতিদিন লাঞ্ছিত, নিগৃহীত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ হিন্দু। তছনছ করা হচ্ছে একাধিক মঠ, মন্দির। সে দেখে সংখ্যালঘুদের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করা সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ জেলবন্দি। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে ভারতে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগী দেখা বন্ধ রাখলেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা। 

    চিকিৎসকের প্রতিবাদ

    সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অফ টেকনোলজি’র (বিইউইটি) ভারতীয় পতাকায় পা দিয়ে চলে যাওয়ার ছবিটি পোস্ট করেছেন।  দেশের পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিইউইটি ইউনিভার্সিটির প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি ৷ আগে দেশ, পরে রোজগার৷ আশা রাখব, সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্য চিকিৎসকরাও তাই করবেন৷’’ তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে বিশাল সংখ্যায় মানুষ এদেশে বিশেষত কলকাতায় আসে চিকিৎসা করাতে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু তাঁরাই ফিরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। যার প্রতিবাদ এবার ধরা পড়ল শহরের হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে বেনজির দৃশ্য দেখা গেল কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচি এখনও ন্যায় বিচারের দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবিতে অনড়। মঙ্গলবার জুড়ে চলবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার প্রথম দিনেই একগুচ্ছ হাসপাতলে প্রতীকী কর্মবিরতির শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারেও সেই কর্মসূচি চলছে।

    প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল (RG Kar Case)

    চিকিৎসক মহলের মতে এই সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ কার্যত বেনজির। আগেও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সবটাই স্বতন্ত্রভাবে হয়েছে। একজন চিকিৎসক তরুণীকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়, এই প্রথম গোটা চিকিৎসক মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে ন্যায় বিচারের ঘটনায় একত্রিত হয়ে এই ভাবে প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল। একজোট হয়ে কর্মবিরতির ঘটনা শুধু কলকাতায় পালিত হচ্ছে না, একই ভাবে হাওড়া, কোচবিহার সহ একাধিক জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ পরিষেবা

    সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আটচল্লিশ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আর এন টেগোর, ফর্টিস, চার্নক, পিয়ারলেস, উডল্যান্ডস মাল্টি স্পেশালিটি, সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়াণা স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার তাঁরা সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে পিয়ারলেস হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার অনশন করেন চিকিৎসকরা। একই ভাবে হাওড়ার নারায়াণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতীকী অনশন এবং কর্মবিরতি পালন করা হয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবা মিলেছে সেখানে। বন্ধ ছিল ওপিডি। মানস খাঁ নামক এক চিকিৎসক বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছি। অনশনের জেরে একে একে ডাক্তাররা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চাই সরকারি হস্তক্ষেপে দ্রুত এই অচলাবস্থা মিটে যাক। আরজি করের ঘটনার দ্রুত বিচার (RG Kar Case) হোক।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    বৈঠক ফলপ্রসূ নয়

    অপর দিকে, ১০ দফা দাবি নিয়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার (RG Kar Case)। সোমবার ছিল অনশনের নবম দিন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুজন জুনিয়ার ডাক্তার অনশন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। সকল অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা ইতিমধ্যে সঙ্কটজনক। নানা রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে বিষয় নিয়ে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনার কথা বলেছেন সিনিয়র ডাক্তারদের এক অংশ। আর যদি সময় মতো কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আইএমএ ডাক্তার সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হলেও জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে জটিলতা কাটেনি। আইএমএ-সহ ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সিনিয়র ডাক্তাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অপর দিকে মুখ্যসচিব নেতিবাচক মানতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Corona: শহরে ফের করোনা সংক্রমণ! আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪ সত্তরোর্ধ্ব

    Corona: শহরে ফের করোনা সংক্রমণ! আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪ সত্তরোর্ধ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরে আবার করোনার (Corona) আতঙ্ক! ইতিমধ্যে শহরে চারজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত চারজনেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই নতুন করে করোনা ফের মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করেছে। উল্লেখ্যে গত দুবছর আগে কোভিড-১৯ সারা বিশ্বে মহামারি তৈরি করেছিল। ভারতের মত দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বর্তমানে সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৯ এবং নতুন জেএন-১ উপ-প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১০৯। এর মধ্যে গুজরাটে ৩৬, কর্নাটকে ৩৪, গোয়াতে ১৪, মহারাষ্ট্রে ৯, কেরলে ৬, তেলঙ্গানায় মোট ২ এবং রাজস্থান-তামিলনাড়ুতে একজন করে রোগী আক্রান্ত হয়েছেন।

    আক্রান্ত চার রোগী (Corona)

    জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় (Covid) আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেনে এক বৃদ্ধা। কয়েকদিন আগে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। এরপর দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই ভাবে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনকেই বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁদের হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা চলার সময় কোভিডে আক্রান্ত হন। রোগীদের মধ্যে হলেন, একজন বালিগঞ্জের, অপর আরও দুইজন সন্তোষপুর এবং হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের বাসিন্দা। তবে আক্রান্ত রোগীদের কোমর্বিটির লক্ষণ রয়েছে।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর

    করোনা (Corona) আক্রান্ত রোগীদের সম্পর্কে হাসপাতালের তরফে জানা গিয়েছে, হাওড়ার রোগী কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্তমানে তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও রয়েছে। সন্তোষপুরের রোগী এখন নিম্ন রক্তচাপ এবং রক্তবমির সমস্যায় চিকিৎসাধীন। আনন্দপুরের রোগী করোনার লক্ষণ নিয়েই ভর্তি হয়েছেন। তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে যদি কোনও সমস্যা আর না হয় তাহলে তাঁকে ছেড়েও দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইটিআই (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভিকে পল বলেছেন, “করোনার নতুন সংস্করণকে বিশেষ ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং সব রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলা হয়েছে।”

    গত সপ্তাহেও আক্রান্ত ছিল ৮

    উল্লেখ্য, শীতের সময় করোনার (Corona) প্রকোপ নতুন করে কলকাতায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহে পরপর দুইদিনে মোট আক্রান্ত হয়েছিল মোট ৮ জন। এর মধ্যে ছিল ছয় মাসের এক শিশুও। তাঁদের প্রত্যেকের নমুনা, বিশেষ পরীক্ষা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি করোনার নতুন সংস্করণ জেএন-১ সারা বিশ্বে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। ফলে এখানেও এই রোগের সংস্করণ পাওয়া গেল কিনা তা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছ থেকে উদ্বেগের কথা তেমন শোনা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিখরচায় চিকিৎসা তো দূর অস্ত! স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড রয়েছে জানতে পারলেই বেসরকারি হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। রোগী ভর্তি পর্যন্ত করছে না। এমনই অভিযোগ উঠছে শহরের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ফলে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ভোগান্তিতে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? 

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়। বেসরকারি হাসপাতালেও বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন রাজ্যবাসী। সেজন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়। চিকিৎসা খরচ বাবদ পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থেকে যে কোনও মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড থাকলে, তাঁর চিকিৎসার খরচের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার ব্যয় করবে। তাঁকে কোনও খরচ দিতে হবে না।

    অভিযোগ কী?

    স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে একাধিক জায়গায় রোগী ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতেই চাইছে না। সম্প্রতি বেলঘরিয়ার বছর সত্তরের অনিতা বসুর স্ট্রোক হয়। তাঁকে প্রথমে পার্ক সার্কাসের একটি নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রোগী ভর্তি করাতে হবে জানার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসে। তারা জানায়, আপাতত ওখানে চিকিৎসার সুযোগ নেই। অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে।এরপরে পরিবার অনিতাদেবীকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়। এরপরে তাঁকে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বিপুল অর্থ ব্যয় করেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। 
    স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) আওতায় অস্ত্রোপচার করানোর কথা জানার পরেই আর দিন জানানো হচ্ছে না হাওড়ার সুদর্শন হালদারকে। তিনি জানান, গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা নিয়ে মাসখানেক আগে বাইপাসের একটি প্রথম সারির হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় চিকিৎসা হবে জানার পরেই টালবাহানা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, বারবার যোগাযোগ করলেও কবে অস্ত্রোপচার করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু কতদিন? তার কোনও উত্তর নেই। এদিকে পেটের যন্ত্রণা ও অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও ভোগান্তি অব্যাহত। সূত্রের খবর, সুদর্শন হালদার বা অনিতা বসু কোনও ব্যতিক্রম নন। স্বাস্থ্য সাথীর ভোগান্তির তালিকা দীর্ঘ। 

    কী বলছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার অভিযোগ অস্বীকার করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) আওতায় থাকা রোগীদের পরিষেবা দিতে যে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তা তারা স্বীকার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাপোলো হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, পরিষেবা দিলেও সরকারের কাছ থেকে সময় মতো টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বিল মাসের পর মাস পড়ে থাকছে। এভাবে হেলথ ইন্ডাস্ট্রি চালানো মুশকিল। স্বাস্থ্য ভবনে বারংবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে সাফ জানিয়েছেন আমরি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার তৃতীয় একটি মাধ্যমের সাহায্যে আগে স্বাস্থ্য সাথীর বিল মেটাত। তার ফলে অনেকটা সময় লাগত। স্বাস্থ্য দফতরে জানানোর পরে বলা হয়,  এরপর থেকে সরকার সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালকে টাকা দেবে। কিন্তু তারপরেও টাকা পেতে অনেক দেরি হয়। কোটি কোটি টাকার পরিষেবা এভাবে দেওয়া যায় না। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই অনীহা তৈরি হয়।” বেসরকারি হাসপাতাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে এত বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলেনি, স্পষ্ট বলেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার সহযোগিতা না করলে, স্বাস্থ্য সাথী সফল হবে না। আর রোগী হয়রানি বাড়বে।” তাছাড়া, সরকার যে টাকা অস্ত্রোপচারের জন্য নির্ধারিত করেছে, তাতে চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিতে রাজি নন বলেই জানাচ্ছেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, একদিনে একাধিক স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় থাকা রোগীর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন না চিকিৎসকেরা। কারণ, তাঁরা ওই পরিষেবা দিয়ে যা পারিশ্রমিক পান, তা একেবারেই যথাযথ নয়। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) জন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চায়নি, এমন লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত করা হবে।” তবে, স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথীর একাধিক সমস্যা নিয়ে বারবার স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছে। সেগুলো সমাধানের পরিবর্তে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে নির্বাচনী প্রচার হিসাবেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের ভোগান্তি চলছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MRI: এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু পদার্থবিদ্যার ছাত্রীর! কোথায় ঘটল?

    MRI: এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু পদার্থবিদ্যার ছাত্রীর! কোথায় ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমআরআই (MRI) করাতে এসে বাড়ি ফেরা হল না ছাত্রীর। ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়ার পরেও শেষরক্ষা করা গেলনা। তবে পরিবারের দাবি, বড় কোনও অসুস্থতা ছিল না তার। আঁকার সময় হাতটা ইদানিং কাঁপছিল। স্নায়ুর কোনও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবতে পারেননি আত্মীয় থেকে বন্ধু মহল। পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মৃত ছাত্রীর নাম শ্রীপর্ণা দত্ত (২০)। বাড়ি আসানসোলে হলেও, পড়াশোনার জন্য থাকতেন কলকাতায়। জানা গেছে, ওই তরুণী পদার্থবিদ্যার ছাত্রী ছিলেন।

    ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

    বেসরকারি হাসপাতালে এমআরআই (MRI) করার জন্য এসেছিল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের ওই মেধাবী ছাত্রী। স্নায়ুর কিছুটা সমস্যা ছিল। সেকারণেই চিকিৎসক বলেছিলেন তাঁর এমআরআই (MRI) করার জন্য। সেই মতো পরিবারের লোকজন তাঁর এমআরআই করার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। শুরু হয়েছিল এমআরআই (MRI)। কিন্তু এমআরআই করার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন ওই তরুণী। তবে পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই কাণ্ড হল। কোনও চিকিৎসক ছিলেন না বলে পরিবারের দাবি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের কাছে গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি।

    কী বলছেন আত্মীয়-স্বজনরা?

    মৃত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। আমরা বার বার বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছু করতেই চাইল না। আমাদের প্রশ্ন করছিল আপনারা কে! যা করার পুলিশ করবে। আসলে জুনিয়ররা তার এমআরআই করতে গিয়েছিল। তখনই ওরা সমস্যা করে ফেলে। আমরা এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। তাঁদের আরও দাবি, কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না। একেবারে সুস্থ। শুধু হাতটা মাঝেমধ্যে কাঁপছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেল। এটা পুরোপুরি হাসপাতালের গাফিলতি। শ্রীপর্ণার এক বান্ধবীর মতে, এমআরআই (MRI) করাতে এসে একজন সুস্থ মানুষ এভাবে মারা যাবে এটা মানা যায় না। ওই ছাত্রীর আরও দাবি, স্টাফদের জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। তারা ছোটাছুটি করছিল। শ্রীপর্ণার বুকে পাম্পও করছিল। কিন্তু তারপরেই সব শেষ। এমআরআই করার পরে ওর খিঁচুনি হয়েছিল। তারপরেই শেষ। এদিকে তার সিপিআর করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। গোটা ঘটনায় চাপান উতোর শুরু হয়েছে। কীভাবে ওই ছাত্রীর মৃ্ত্যু হল তা নিয়ে রহস্য চরমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে (Hospital)। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু বাঙালি চিকিৎসক দম্পতির (Doctor Couple)। ওই ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের (Dhanbad) কাছে পুরনো বাজার এলাকার একটি হাসপাতালে। 

    আগুন…

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ হাজরা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। গলগল করে বের হতে থাকে ধোঁয়া। ঘটনাটি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজনের। ততক্ষণে গোটা হাসপাতাল চত্বর ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। তার মধ্যেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক দম্পতি সহ ছজনকে। পাটলিপুত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে চলে আসে দমকলের আটটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক দম্পতির নাম বিকাশ হাজরা ও প্রেমা হাজরা। ওই পরিবারের এক পরিচারিকা সহ মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের।

    আরও পড়ুুন: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

    গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ধানবাদ (Dhanbad)  পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এসি মেশিন থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে প্রথমে আগুন লাগে হাসপাতালের (Dhanbad) দোতলায় থাকা ওষুধের দোকানে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে সপরিবারে থাকতেন ওই চিকিৎসক দম্পতি। হাসপাতালের সঙ্গে ওই রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে যাওয়ার জন্য ছিল করিডর। করিডরের দরজা বন্ধ থাকায় আগুন টের পেলেও, তীব্র ধোঁয়ায় দরজা খুলে বের হতে পারেননি ওই দম্পতি। প্রবল ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয় মৃত্যু হয় তাঁদের। ছ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অগ্নদগ্ধ আরও চারজন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    Swasthya Sathi scheme: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থার হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এবার একটি গ্লোবাল কনসালটেন্সি ( global consultancy)সংস্থার হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ই ওয়াই (আর্নাস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ্গ) নামে ওই সংস্থা এই প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে এই প্রকপ্লের পরিমার্জন সম্ভব তা-ও জানাবে তারা। 
    স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির (private hospital)বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব (health secretery)। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্য পড়ে নাভিশ্বাস উঠছিল রোগী এবং তার পরিবারের।  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ। 
    স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi scheme )কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়, বলে দাবি করে বহু রোগীর পরিবার। অনেকে আবার তা-ও পায় না। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই দিন কেটে যায়। হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়,  এই প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গ চুক্তি অনুযায়ী, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা থাকে তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সবসময় বেড (beds at hospital) পাওয়া যায় না। 
     জনসাধারণের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কোনও রোগের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়,  করোনা পরিস্থিতির পরে চিকিৎসার খরচ অনেকাংশে বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। না হলে, বর্তমান চিকিৎসার খরচে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৩ বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচের পুনর্মূল্যায়ন করেছিল রাজ্য সরকার। ১৫ মাস আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন ফের খরচের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।

      

     

LinkedIn
Share