Tag: program

program

  • Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    Geeta Path Program: পাঁচ নয়, ব্রিগেডে গীতা পাঠ করলেন সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হল ব্রিগেডে (Brigade) পাঁচ লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠের অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)। মাঠময় গেরুয়া। দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝপথেই ভাষণ শেষ করে দিতে বাধ্য হন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর। রবিবারের এই কর্মসূচির আয়োজক ছিল সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুপস্থিত মমতা? (Geeta Path Program)

    উদ্যোক্তাদের তরফে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল এই কর্মসূচিটি অরাজনৈতিক। সেই কারণেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকেও। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গা বাঁচাতে প্রত্যাশিতভাবেই অনুপস্থিত রইলেন তিনি। অথচ এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দীঘায় ঘটা করে উদ্বোধন করেছিলেন জগন্নাথ ধামের। যে জগন্নাথ আদতে শ্রীকৃষ্ণই। তাঁরই মুখনিঃসৃত বাণী পাঠের দিনই স্রেফ ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে, বলা ভালো, নবান্নের চোদ্দতলার ঠান্ডা ঘরের চেয়ারটা যাতে হাতছাড়া না হয়, তাই এদিন আমন্ত্রণ পেয়েও ব্রিগেডে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত, বিরোধীদের দাবি তেমনই।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    তবে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও, গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে মহাভারত এবং গীতার নানা অংশের উদ্ধৃতি। গীতার ‘পরিত্রাণায় সাধুনাং’ শ্লোকটি উদ্ধৃত করে তিনি দুষ্টের দমনের ডাক দেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের অর্জুনকে কর্মে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কর্ম করার জন্য প্রস্তুত’। পরে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গও ধর্মীয় ঔদ্ধত্যকে শেষ করার জন্য প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “গীতা আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক – সব ক্ষেত্রেই গভীর গুরুত্ব বহন করে।” গীতাকে তিনি ভগবানের সঙ্গীত বলেও উল্লেখ করেন। রাজ্যপাল বলেন, “এই ধর্মগ্রন্থ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবাহিত, নিঃস্বার্থ কর্ম ও উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য পথনির্দেশ করে। গীতা আজও নাগরিকদের সমাজ ও জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করতে প্রাণিত করে।”

    কারা ছিলেন অনুষ্ঠানে

    গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিধানসভার (Geeta Path Program) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির দুই প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষও। গীতা পাঠের জন্য এদিন ব্রিগেডে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল (Brigade)। মূল মঞ্চের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মঞ্চ ছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন সাধুসন্তরা। এসেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মতুয়াদের একাংশও।

    সাধ্বী ঋতম্ভরা

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধ্বী ঋতম্ভরা। গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে প্রথম ভাষণটি দেন তিনিই। বক্তা হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায় মাঠে। মাঠের শেষের দিকে থাকা লোকজন মঞ্চের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। এই হুড়োহুড়ি দেখে ভাষণ দীর্ঘায়িত করেননি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেত্রী। হিন্দুরাষ্ট্রের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। এও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটি জেগে ওঠো, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জেগে ওঠো। দুষ্টের দমন করো।” পরে (Geeta Path Program) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের বাবরি মসজিদের শিলান্যাস প্রসঙ্গে ঋতম্ভরা বলেন,  “এ দেশে বাবর বা বাবরির কোনও ভিত্তি নেই। ইট দিয়ে একটি কাঠামো তৈরি করা যায়, কিন্তু বাবরকে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই দেওয়া যায় না। এই দেশ রামের, চিরকাল রামেরই থাকবে। এখানে শুধু ভগওয়া রাজ করবে। এটাই চিরন্তন সত্য (Brigade)।”

    “ঐতিহাসিক দৃশ্য”

    ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড, যা প্রায়ই বড় রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এদিন সেটিই রূপান্তরিত হয়ে উঠেছিল সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের একস্বর শ্লোকপাঠের মধ্যে গেরুয়া সমুদ্রে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই সমাবেশকে “ঐতিহাসিক দৃশ্য” বলে বর্ণনা করেছেন এবং জনতার উপস্থিতিকে “অসাধারণ” ও “খাঁটি ভক্তিতে পূর্ণ” বলে আখ্যা দেন (Geeta Path Program)। মালব্যের বক্তব্য যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলল পুলিশেরই একটি সূত্রে। এদিনের অনুষ্ঠানের নাম ছিল পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। যদিও সূত্রের খবর, লোক হয়েছিল সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি। রবিবারের অনুষ্ঠান যে অরাজনৈতিক, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেছিলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্কই নেই। ভোট তো সারা বছরই চলছে। সারা ভারতে চলছে। শ্রীমদ্ভাগবদ গীতার সৃষ্টি হয়েছিল মোক্ষদা একাদশীতে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীই মোক্ষদা একাদশী। এই তিথিটা তো এই সময় আসবেই। তাই এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা বিভিন্ন (Brigade) মসজিদেও জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ। কোনও রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন নয়। কোনও সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তির প্রদর্শনও নয়। এটি একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান (Geeta Path Program)।”

  • Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী পর্যটন গন্তব্য থেকে চরিত্র বদলে দেশটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে ভিয়েতনাম (Vietnam)। এই লক্ষ্যে তারা চালু করেছে ১০ বছরের একটি “গোল্ডেন ভিসা” (Golden Visa Program)। বিদেশি বিনিয়োগকারী, দক্ষ কর্মী এবং দীর্ঘমেয়াদী পর্যটকদের —বিশেষ করে ভারতের মতো উদীয়মান বাজার থেকে লোক টানতেই এই ভিসা চালু করেছে এশিয়া মহাদেশের এই দেশটি।

    গোল্ডেন ভিসা (Vietnam)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গোল্ডেন ভিসা উদ্যোগটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভিয়েতনামকে একটি বৈশ্বিক ব্যবসা, সংস্কৃতি ও সহযোগিতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভিয়েতনাম এখন বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে ভিয়েতনামকে নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে। ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অথরিটি অফ ট্যুরিজমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩১ শতাংশ। প্রশ্ন হল, কী এই গোল্ডেন ভিসা? জানা গিয়েছে, গোল্ডেন ভিসায় যাঁরা ভিয়েতনামে যাবেন, তাঁদের সে দেশে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। এই ভিসা নবীকরণও করা যাবে। বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানো এবং অর্থনীতির ভিত মজবুত করার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে এই ভিসা।

    ভারত ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক

    যদিও গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ এখনও শুরু হয়নি এবং চূড়ান্ত যোগ্যতার মানদণ্ডও এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি আরও স্থায়ী ভিত্তি খুঁজছেন এমন উচ্চ-সম্পদশালী ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ডিজিটাল যাযাবরদের দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেওয়া। এ ধরনের ব্যক্তিরা পর্যটন, উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ভারত ও ভিয়েতনামের (Vietnam) মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটি পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ভারতীয় পর্যটকদের ভিয়েতনাম ভ্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ হল দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতার মতো প্রধান ভারতীয় শহরগুলোর সঙ্গে বিমান যোগাযোগের উন্নতি (Golden Visa Program)।

    ফোর্বসের বক্তব্য

    ফোর্বসের মতে, ভিয়েতনাম ২০২৫ সালে ২.৩ কোটি পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। এর একটা বড় অংশই ভারতীয় পর্যটক হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পটি কেবল পর্যটনের ক্ষেত্রেই নয়, বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও অনেক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। যেসব ভারতীয় তাঁদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চান বা বিদেশে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাঁরা ভিয়েতনামের উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগ করে আইনসম্মতভাবে ব্যবসা করতে পারেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ভিয়েতনামে মোট ১৬,০২৪ জন ভারতীয় বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭,৫৫০ জন হচ্ছেন অনাবাসী ভারতীয় (NRI), ৪৬২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (PIO), এবং ৮,০১২ জনকে প্রবাসী ভারতীয় (Golden Visa Program) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প (Vietnam) চালু হলে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।

    সুবর্ণ সুযোগ ভারতীয়দের সামনে 

    ভারতীয় উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল নোমাডদের জন্য ভিয়েতনাম শুধু আবাসনের সুযোগই নয়, বরং ব্যবসার বিকাশেরও বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে। তথ্য প্রযুক্তি(IT), বস্ত্রশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ও পর্যটন পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ভিয়েতনাম দ্রুত উন্নতি করছে, যা দেশের তরুণ কর্মশক্তি ও গতিশীল অর্থনীতির দ্বারা সমর্থিত। ভারতের পর্যটন খাতের জন্য ভিয়েতনাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠেছে। ভিয়েতনামের সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারিত প্রবাসী-সহায়ক পরিকাঠামো ভারতীয় দক্ষ কর্মী, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য কর্মীদের আকর্ষণ করছে।

    প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু

    অনুমোদন মিললে সরকার এই কর্মসূচি প্রথমে বিদেশিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু করবে, যার মধ্যে রয়েছে হো চি মিন সিটি, হ্যানয় এবং দা নাং (Vietnam)। মার্চ মাসে ভিয়েতনাম পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইজারল্যান্ডের পর্যটকদের জন্য ভিসা-মুক্ত থাকার মেয়াদ ৪৫ দিনে বাড়িয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া-সহ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের জন্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত ভিসা ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে। ভিয়েতনামের জাতীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দেশটি (Golden Visa Program) ৭.৬৭ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক পেয়েছে — যা এখনও পর্যন্ত ত্রৈমাসিক হিসেবে সর্বোচ্চ এবং ২০২৪ সালের এই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি (Vietnam)।

  • BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    BJP: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বারাসতে বিজেপির কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, জলকামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে এসপি অফিস অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করে গেরুয়া শিবির। আর এই কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। কোথাও পুলিশি লাঠিচার্জে বিজেপির জেলা সভাপতি আক্রান্ত হন, কোথাও বিজেপি কর্মীদের ঠেকাতে পুলিশ জলকামান চালায়। কোথাও আবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সবমিলিয়ে বিজেপি-র এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

    বর্ধমানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি (BJP)

    বর্ধমানে বিজেপির (BJP) পুলিশ সুপার অফিস অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বিজেপি কর্মী জখম হন। সঙ্গে একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ব্যবহার করে। সন্দেশখালি সহ পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযান ছিল বিজেপির। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যাওয়ার আগেই কার্জন গেট চত্বরে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থক পর পর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কোর্ট চত্বরের রাস্তায় নেতাজি স্ট্যাচুর সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা-র নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থক রাস্তায় বসে পড়ে। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। এরপর ফের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে জলকামান ব্যবহার করে।

    মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি

    এদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কলেজ মোড়ে এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপি মহিলা মোর্চার হাতে লাঠি ও ঝাঁটা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলেন মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) বিজেপি-র জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। তাতেই মাথা ফেটে যায় বিজেপির জেলা সভাপতির। তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অক্সিজেন চলছে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ

    এদিন বালুরঘাট পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করে  বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। এদিকে পুলিশের তরফে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের তরফে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল করে আসে। এরপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরে রাস্তার ওপর বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে, বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী সহ জেলা বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    বারাসতে বিজেপি কর্মীদের অবরোধ

    জানা গিয়েছে, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপির (BJP) এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রথম ব্যরিকেড ভেঙে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মীরা গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে, এসপি অফিস থেকে কিছুটা দূরে জাতীয় সড়কের ওপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে  থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share