Tag: Protein

Protein

  • Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    Nutrition: খাওয়ার পরেও খিদে পায়? প্রোটিন আর ফাইবার পর্যাপ্ত থাকছে তো ডায়েটে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতে পেট ভরে খাওয়ার পরেও কয়েক ঘণ্টা পার হলেই খিদে পায়! বারবার খিদের (Nutrition) জন্য কোনও কাজেই মনস্থির করা যায় না! এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পরেও খিদে না মিটলে সজাগ হতে হবে। শরীর ও মন সুস্থ আছে কিনা, সে বিষয়ে সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কোন কোন বিপদের (Nutrition) আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা? 

    পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পাওয়া (Nutrition) মোটেও সুস্থ থাকার লক্ষণ নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। একাধিক কারণে এমন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল স্থূলতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যার শিকার হলে পর্যাপ্ত খাওয়ার পরেও খিদের ভাব থাকে। বিশেষত, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অর্থাৎ, ভাত, রুটি এই সব খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। যেহেতু স্থূলতার জন্য পাকস্থলীতে খাদ্য ধারণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। যদিও তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, অতিরিক্ত খাবার হার্ট, কিডনি, লিভারের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। স্থূলতার সমস্যার জন্য দেহে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ হয়। যা সরাসরি হার্ট ও কিডনিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তাতে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেলে সতর্ক হতে হবে। কোন খাবার, কতটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি, সে বিষয়ে সজাগ থাকা খুব প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    খিদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ

    খিদের (Nutrition) সঙ্গে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের যোগাযোগ আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে ভুগলে অকারণ খিদে পায়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদে যাঁরা ভোগেন, অনেক সময়ই তাঁরা অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খান। ভরপেট খাওয়ার পরেও, তাঁরা পেস্ট্রি, কেক কিংবা যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন। আবার অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়ার মাঝে ব্যবধান রাখতে পারেন না। কারণ, অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় অনেক সময়ই ভুক্তভোগী খিদে, ঘুমের মতো শারীরিক চাহিদা ঠিক মতো অনুভব করতে পারেন না। তাই ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছাড়াও ঠিক মতো ডায়েট না থাকলেও ভারী খাবার খাওয়ার পরেও খিদে পেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কোন ডায়েট সমস্যার (Nutrition) সমাধান করতে পারে? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, কখন হচ্ছে, আর কত পরিমাণে হচ্ছে, সে বিষয়ে নজর দিলেই মুশকিল আসান হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার না থাকলেই সমস্যা বাড়ে। অর্থাৎ, ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি থাকলে, সাময়িক পেট ভরলেও বারবার খিদে (Nutrition) পেতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় থাকুক পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। 
    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার ভারী থাকা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে সকালে দুধ-কনফ্লেক্স, ফল, ডিম সিদ্ধের মতো খাবার তালিকায় থাকুক। তাতে পেট ভরবে (Nutrition) আবার হজম সহজে হবে। রাতের খাবারে ডাল কিংবা পনির, চিকেনের মতো খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাল, পনির, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। আবার যব, রাগির মতো দানা শস্যে থাকে ফাইবার। এগুলো খাবারের তালিকায় রাখলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার এগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি না থাকায়, হজমের সমস্যা বা স্থূলতার সমস্যা বাড়ার ঝুঁকিও কম হয়। তাই সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে শরীর ও মন সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    Fatigue: কাজে বসলেই আসছে ক্লান্তিভাব? এড়াবেন না! মেনে চলুন এই ৫ পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :মানুষের শরীরে যে কোনও সময় ক্লান্তি (Fatigue) আসতে পারে। একটানা কোনও একটি কাজ করার পর তাতে একঘেয়েমি চলে এলে শরীরে ক্লান্তিভাব চলে আসে। এছাড়া অনিদ্রা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও শরীরে ক্লান্তি দেখা যায়। ব্যায়াম করলে প্রায়শই ক্লান্তি আসে যদিও পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমে এই ক্লান্তি কেটে যেতে পারে।

    শরীরে ক্লান্তি চলে এলে দৈনন্দিন রুটিনে (Daily Routine) এর প্রভাব পড়ে। তাই স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি কাটাতে খাবারের দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রনের (Iron) ঘাটতি হলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। শর্করা জাতীয় খাদ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় এই জাতীয় খাবারে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। শরীরে কার্যকারিতা বাড়াতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। আয়রন সহ ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium), জিঙ্ক (Zinc), ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি যুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করলে ক্লান্তি দূর হয়।

    ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরকে উজ্জীবিত রাখার জন্য কিছু সহজ টিপস রয়েছে (Health Tips of beat Fatigue and keep body fit):

    প্রোটিন যুক্ত খাবার (Protein Diet)- দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিন যুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন (Protein) শরীরের স্ট্যামিনাকে ঠিক রাখে। প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের পেশী গঠনে ও হাড়ের ক্ষয় মেরামতে সহায়তা করে। সেই কারণে খেলোয়াড়েরা প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন।

    হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় (Hydrating Drinks)- শরীরে পাচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হাইড্রেটিংযুক্ত পানীয় গ্রহণ করতে হবে। লেবুজল, ফলের রস বা গরুর দুধের মতো পানীয় গ্রহণ করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন (Dehydration) কমে। শরীরে ডিহাইড্রেশন ঘটলে ক্লান্তির বৃদ্ধি ঘটে এমনকি মানুষের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। মহিলাদের উপর ডিহাইড্রেশনের প্রভাব সর্বাধিক।

    আরও পড়ুন: কোন কোন খাবারের যুগলবন্দী শরীরে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়? জেনে নিন

    কফি খাওয়া কমাতে হবে (Reduce Coffee Intake)-  কফি প্রেমীরা এই পরামর্শটি মানতে অবশ্যই নারাজ। সকলের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কফি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। কফি খেলে সাময়িকভাবে শরীরে উদ্দীপনা এলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে শরীরে ক্লান্তি ভাব দেখা যায়। কফি বেশি পান করলে অনিদ্রার মতো রোগ দেখা যায়। তাই এক কাপ কফি খেলে দুই কাপ জল খেতে হবে।

    অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে (Stay away from Alcohol)- অ্যালকোহল (Alcohol) শরীরে এনার্জির মাত্রা শেষ করে দিতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অ্যালকোহল শরীরে এপিনেফ্রিনের মাত্রারও বৃদ্ধি ঘটায় ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

    সুষম আহার গ্রহণ (Balanced Food)- বাজারের ফাস্টফুড (Fast Food) থেকে দূরে থাকতে হবে। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।

    সুষম ডায়েটের (Balanced Diet) পাশাপাশি শারীরিক কসরত করাও প্রয়োজন। স্থুলকায় ব্যক্তিদের দৈনিক ১০ মিনিট হাটাচলা করা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share