Tag: PSLV

PSLV

  • PM Modi on Vikram-1: দুই তরুণ নিজেদের সংস্থায় তৈরি করছে রকেট! ‘‘ভারত বড় স্বপ্ন দেখে’’, ‘বিক্রম-১’-এর উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on Vikram-1: দুই তরুণ নিজেদের সংস্থায় তৈরি করছে রকেট! ‘‘ভারত বড় স্বপ্ন দেখে’’, ‘বিক্রম-১’-এর উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে মহাকাশ চর্চার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে স্কাইরুট ইনফিনিটি ক্যাম্পাসের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ক্য়াম্পাসের উদ্বোধন করেন তিনি ৷ এটি মূলত একটি বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ৷ যার মালিকানা রয়েছে পবন চন্দনা এবং নাগা ভরত ডাকার হাতে ৷ তাঁরা দুজনেই ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির প্রাক্তনী ছিলেন ৷ ইসরোতে দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি করেছেন তাঁরা ৷ এরপর দুজন মিলে স্কাইরুট কোম্পানির জন্ম দেন৷ বৃহস্পতিবার ‘স্কাইরুট অ্যারোস্পেস’ সংস্থার তৈরি প্রথম অরবিটাল রকেট ‘বিক্রম-১’-এরও উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি সরকারের মেক-ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফসল

    সম্পূর্ণ বেসরকারি ভাবে তৈরি ‘বিক্রম-১’ রকেট ভারতের মহাকাশ চর্চায় এক বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে, এই ঘটনা আগামী দিনে ভারতকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ জগতের নেতার আসনে বসাতে পারে। বিক্রম-১ ভারতের মহাকাশ খাতের নীতিগত পরিবর্তনের এক জ্বলন্ত প্রমাণ। তিন বছর আগে মহাকাশ খাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বিশেষ করে স্টার্ট-আপগুলিকে উন্মুক্ত করেছিল মোদি সরকার। এই রকেট সেই সিদ্ধান্তেরই সাফল্য। বৃহস্পতিবার স্কাইরুটের উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত বড় স্বপ্ন দেখে, অনেক বড় কিছু করে এবং সবথেকে ভালো জিনিস ডেলিভার করে৷’’ সেই কারণে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীকে ভারতে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি ৷

    বিক্রম-১ রকেটের বৈশিষ্ট্য

    ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জনক, বিক্রম সারাভাইয়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে এই রকেটের। স্কাইরুটের দাবি, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও উৎক্ষেপণ স্থানে তাদের এই রকেট অ্যাসেম্বল করা যাবে এবং তারপরে উৎক্ষেপণ করা যাবে। অর্থাৎ, এটিকে টুকরো টুকরো অংশ ভাগ করে বিশ্বের যে কোনও জায়গায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। ফলে, বিক্রম-১-এর মাধ্যমে যে সমস্ত গ্রাহক মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে চাইবেন, তাদের ভারতেই আসতে হবে, তার কোনও মানে নেই। শুধু তাই নয়, বিক্রম-১ রকেটটির বডি অর্থাৎ কাঠামো সম্পূর্ণ কার্বন-ফাইবার দিয়ে তৈরি। এর ফলে ইসরোর পিএসএলভি (PSLV) রকেটের তুলনায় এটি অত্যন্ত হালকা ওজনের। তবে হালকা বলে পলকা নয়। এই রকেট অত্যন্ত মজবুত।

    ইসরোর আধিপত্যে থাবা

    এতদিন ভারতের মহাকাশ চর্চায় একচেটিয়া আধিপত্য ছিল ইসরোর। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর পিএসএলভি (PSLV) রকেটের উপরে নির্ভর করত। এর অন্যতম কারণ, মহাকাশ চর্চায় অগ্রগামী অন্যান্য দেশের তুলনায় ইসরোর রকেট উৎক্ষেপণের খরচ অনেক কম ছিল। এ বার সেই আধিপত্যে থাবা বসালো স্কাইরুট। বিক্রম-১ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ৩০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড পৌঁছে দিতে পারে। একাধিক স্যাটেলাইটকে একসঙ্গে কক্ষপথে স্থাপন করার ক্ষমতাও রয়েছে এই রকেটের। এছাড়াও, এতে ব্যবহার করা হয়েছে থ্রিডি-প্রিন্টেড লিকুইড ইঞ্জিন। এই প্রযুক্তি উৎক্ষেপণের খরচ এবং সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দেবে বলে দাবি স্কাইরুটের। এটা গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে। বিক্রম-১ চলে আসায় এখন ভারতের মহাকাশ খাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই প্রতিযোগিতা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে দাবি ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সামগ্রিক ভাবে মহাকাশ চর্চায় অনেকটা এগিয়ে যাবে ভারত। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরিষেবা দানকারী থেকে মহাকাশ খাতে বিশ্বের সেরা শক্তিকেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জায়গায় পৌঁছে যাবে দেশ।’’

    তরুণ প্রজন্মের হাতে এগোচ্ছে দেশ

    এর পাশাপাশি, বিক্রম-১ রকেট আরও এক কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে ভারতের যুবশক্তি সম্পর্কে একটা কথা অত্যন্ত প্রচলিত, ভারত ইঞ্জিনিযার তৈরি করে, উদ্ভাবকের অভাব রয়েছে। উদ্ভাবনী ভাবনার অভাব রয়েছে। পবন চন্দন এবং নাগা ভরত ডাকা— আইআইটি-র দুই প্রাক্তনীর নেতৃত্বে তৈরি এই রকেট এই সমালোচনারও জবাব বলে মনে করা হচ্ছে। বিক্রম-১ ভারতের তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং ঝুঁকি নেওয়ার সাহসকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরল। প্রমাণ করল এটাই নতুন ভারত। স্কাইরুটের ওই ক্যাম্পাসে স্টেট অফ আর্ট ফেসিলিটি দেওয়া হয়েছে ৷ যেখানে মহাকাশ গবেষণার যাবতীয় সুবিধা রয়েছে৷ বিভিন্ন লঞ্চ ভেহিক্যালের জন্য ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, ইন্টিগ্রেটিং এবং টেস্টিং সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে সেখানে৷ দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশযান নিয়ে গবেষণা করছে স্কাইরুট ইনফিনিটি ৷ ২০২২ সালে স্কাইরুট সর্বপ্রথম সাব- অর্বিটাল রকেট বিক্রম-এস লঞ্চ করে৷

    অ্য়াভিয়েশন সেক্টর প্রভূত উন্নতি

    এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন সাফরান এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন সার্ভিসের (Safran Aircraft Engine Service) নতুন মেনটেন্যান্স, রিপেয়ার এবং ওভারহাউল (MRO) ফেসিলিটি৷ সাফরান এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন সার্ভিসের নতুন মেনটেন্যান্স হাব উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘‘ জিএমআর এয়ারোস্পেসে স্যাফরন এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন সার্ভিসের যে হাব উদ্বোধন হল তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের স্থান অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে৷ বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত অ্য়াভিয়েশন সেক্টর প্রভূত উন্নতি করেছে ৷ বর্তমানে ভারত হচ্ছে গোটা বিশ্বের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া ডোমেস্টিক অ্য়াভিয়েশন মার্কেট ৷’’

  • ISRO: সৌর রহস্যভেদে ইসরোর রকেটে মহাকাশে পাড়ি দিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ‘প্রোবা-৩’

    ISRO: সৌর রহস্যভেদে ইসরোর রকেটে মহাকাশে পাড়ি দিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ‘প্রোবা-৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে পাড়ি দিল প্রোবা-৩ (Proba-3)। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ওই সৌরপর্যবেক্ষণকারী কৃত্রিম উপগ্রহকে নিয়ে ইসরোর (ISRO) ওয়ার্কহর্স রকেট পিএসএলভি রওনা দিল বৃহস্পতিবার বিকেলে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর), বিকেলেই এই অভিযান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে স্যাটেলাইটটিতে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায়, উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়েছিল। এদিন অবশ্য আর কোনও বাধা-বিপত্তি দেখা দেয়নি। বিকেল ৪টে বেজে ৪ মিনিটে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ বন্দর নির্বিঘ্নে প্রোবা-৩ স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ইসরোর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা পিএসএলভি এক্সএল (PSLV-XL) রকেট।

    খুশির হাওয়া ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায়

    সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইসরো (ISRO) বলেছে, ‘‘সফল লিফ্ট অফ! সফলভাবে মহাকাশে পাড়ি দিল পিএসএলভি-সি৫৯ (PSLV-C59)। ইসরো-র প্রযুক্তিগত দক্ষতায় ইএসএ-র যুগান্তকারী প্রোবা-৩ স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপনের মধ্য দিয়ে এক আন্তর্জাতিক অভিযানের সূচনা হল৷ এটা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ভারতের মহাকাশ সাফল্যের সমন্বয় উদযাপনের এক গর্বের মুহূর্ত!’’ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, সূর্যের থেকেও করোনোর তাপমাত্রা বেশি (১.৮ মিলিয়ন থেকে ৩.৬ মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট)। সেখান থেকেই সৌরজগতের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রিত হয়। স্বভাবতই সেই জায়গা নিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রচুর আগ্রহ আছে। আর ইসরোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ব্যাপার হল যে ইতিমধ্যে সৌর মিশন চালাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা। ‘প্রোবা-৩’ মিশন থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে, তা আদিত্য-এল১ মিশনের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে।

    কীভাবে কাজ করবে ‘প্রোবা-৩’ 

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যেভাবে ‘প্রোবা-৩’ (Proba-3) মিশন উৎক্ষেপণ করা হবে, তা বিশ্বে প্রথমবার হচ্ছে। তাতে দুটি স্যাটেলাইট আছে। দুটি মহাকাশযান (করোনাগ্রাফ এবং অকুলটার) একসঙ্গে উড়ে যাবে। দুটি খুব কাছাকাছি থাকবে। প্রায় ১৮ মিনিট যাওয়ার পরে ৫৫০ কিলোগ্রামের ‘প্রোবা-৩’ স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেয় পিএসএলভি। প্রাথমিক কক্ষপথে পৌঁছানোর পরে দুটি স্যাটেলাইট ১৫০ মিটারের ব্যবধানে এগিয়ে যাবে। এমনভাবে ওই স্যাটেলাইট দুটি যাবে, যাতে সূর্যের ‘সোলার ডিস্ক’-কে ঢেকে দেবে অকুলটার। আর সেই পরিস্থিতিতে সূর্যের করোনা এবং সূর্যের আশপাশের পরিবেশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে করোনাগ্রাফ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: মহাকাশে ভারতের প্রথম এআই ল্যাবরেটরি! ইসরোর নয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন কি?

    ISRO: মহাকাশে ভারতের প্রথম এআই ল্যাবরেটরি! ইসরোর নয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ল্যাবরেটরি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরো। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV) দ্বারা প্রোবা-৩ মিশনটি মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। হায়দরাবাদ ভিত্তিক বেসকরকারি স্পেস প্রযুক্তি সংস্থা ‘টেকমি ২ স্পেস’ ভারতের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরি ‘মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর’ (MOI-TD) মহাকাশে পাঠাচ্ছে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখেই এটি পিএসএলভি এক্স এল (PSLV-XL) রকেটে মহাকাশে পৌঁছবে। এই মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় বিপ্লব আনতে সক্ষম হবে ভারত। এমওআই-টিডি(MOI-TD) প্ল্যাটফর্মটি মহাকাশে রিয়েল-টাইম ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে গবেষণা পদ্ধতিকে আরও উন্নত করবে।

    মহাকাশে এআই ল্যাব-এর সুবিধা

    বর্তমানে, স্যাটেলাইটের প্রাপ্ত ডেটার ৪০% পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়ার কারণে অকার্যকর হয়ে যায়, যার ফলে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় লাগে। এআই ল্যাব মহাকাশে ডেটা প্রক্রিয়া করে দ্রুত এবং কম খরচে কার্যকরী তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে। টেকমি২ স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রৌনক কুমার সামানট্রয় বলেন, ‘‘এই গবেষণা মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও উন্মুক্ত করবে।’’ তিনি মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। মহাকাশে এই এআই গবেষণাগার ব্যবহারকারীরা ‘অরবিটল্যাব’ নামে একটি ওয়েব-বেসড কনসোলের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবেন। যা তাঁদেরকে পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, বনভূমি উচ্ছেদ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শনাক্তকরণের মতো বিভিন্ন এআই মডেল আপলোড করার সুযোগ দেবে।

     এআই গবেষণাগারের গুরুত্ব

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে এই মিশনটি “ইনস্পেস টেকনিক্যাল সেন্টার”-এর সমর্থনে তৈরি হয়েছে। যা ভারত সরকারের একটি সংস্থা। আমেদাবাদে অবস্থিত ইনস্পেস “মাই অরবিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর”-কে প্রস্তুত করেছে। তার ওপর সফল পরীক্ষাও করা হয়েছে। এআই অ্যাক্সিলারেটর, নমনীয় সৌর কোষ এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে এই এআই গবেষণাগারে। এই মিশনটি শুধুমাত্র পৃথিবী থেকে মানুষের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়াবে না, বরং ভবিষ্যতে মহাকাশ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে। এই প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই তার প্রথম গবেষণা অংশীদার, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতীয় স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি দলকে পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO:  নতুন মাইলফলক ইসরোর, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা

    ISRO:  নতুন মাইলফলক ইসরোর, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর (ISRO) মুকুটে নয়া পালক ৷ অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং (এএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করলেন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ৷  পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল) এর পিএস4 ইঞ্জিনে এই নতুন তরলটি পরীক্ষা করা হয় ৷ মাত্র ৬৬৫ সেকেন্ডের মধ্যে এই পরীক্ষাটি শেষ করেন বিজ্ঞানীরা ৷ সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবে তৈরি এই ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা করা হয় ওড়িশার মহেন্দ্রগিড়িতে অবস্থিত ইসরো-র প্রোপালসন কমপ্লেক্সে ৷ 

    এই ইঞ্জিনে নতুন কী

    প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্মিত এই পিএস৪ ইঞ্জিনটি পিএসএলভি-এর চতুর্থ পর্যায়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৷ বায়ুশূন্য অবস্থায় এই ইঞ্জিনের বলপ্রয়োগের ক্ষমতা ৭.৩৩ কিলোনিউটন ৷ পিএসএলভি-র প্রথম পর্যায়ের বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাতেও (রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম) এই ইঞ্জিনটিকে ব্যবহার করা হয় ৷ ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে, লিকুইড প্রোপালসন সিস্টেম সেন্টার (এলপিএসসি) দ্বারা নির্মিত এই ইঞ্জিনে অক্সিডাইজার হিসেবে নাইট্রোজেন টেট্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয় ৷ সেইসঙ্গে প্রেসার-ফেড অবস্থায় জ্বালানী হিসেবে মোনো মিথাইল হাইচড্রেজিন ব্যবহার করা হয়েছে ৷ অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এই ইঞ্জিনটিকে পুনর্গঠন করেছে এলপিএসসি ৷ যার ফলে তরল রকেট ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষার ক্ষেত্রে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ইসরোর বিজ্ঞানীদের ৷ 

    দেশেই তৈরি

    ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, এই নতুন ইঞ্জিনটি সম্পূর্ণ রূপে ভারতে তৈরি করা হয়েছে। উইপ্রো ৩ডি এই ইঞ্জিন তৈরি করেছে। এই ইঞ্জিনে রয়েছে লেজার পাউডার বেড ফিউশন ৷ নয়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের সংখ্যা কমানো যাবে ৷ ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের সংখ্যা ১৪ থেকে একক-পিসে কমিয়ে আনা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, নতুন ডিজাইনে ১৯ টি জোড় জয়েন্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেট ইঞ্জিন থেকে ওয়েল্ড জয়েন্টগুলির সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়েছে ৷ ফলে প্রতি ইঞ্জিনে কাঁচামাল ব্যবহার কম করতে হবে ৷ অন্যদিকে নয়া এই প্রযুক্তির সাহায্যে সামগ্রিক উৎপাদনের সময় কমেছে ৬০ শতাংশ ৷ উল্লেখ্য, নয়া এই এম পিএস৪ ইঞ্জিনটিকে খুব শীঘ্রই পিএসএলভি প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে ইসরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবেই সম্পন্ন হল ইসরোর মিশন PSLV-C54, এই মিশনের দ্বারা  Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) এর সঙ্গে আরও ৮টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপিত হল। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এদিন জানিয়েছেন, উপগ্রহগুলি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে। এটি ছিল PSLV-এর ৫৬তম মহাকাশ অভিযান। বেলা ১১:৫৬ মিনিটে, ৪৪.৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রকেটটি যাত্রা করে ৩২১ টন ওজন সমেত। মোট ৯টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ৮টি স্যাটেলাইট হল ন্যানো স্যাটেলাইট। অন্য Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) স্যাটেলাইটটির ওজন ১,১১৭ কেজি, এটি তৈরি হয়েছে ইসরোর UR Rao Satellite Centre-এ।

    আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    ইসরো চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    Earth Observation Satellite-6 হল ওশেনস্যাট সিরিজের থার্ড জেনারেশন স্যাটেলাইট। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল অবিরাম ভাবে Ocean Colour এবং Wind Vector ডেটা প্রাপ্তি। ইসরো চেয়ারম্যান মিশন কন্ট্রোল কেন্দ্রে তাঁর বক্তব্যে বলেন,”আমরা প্রত্যেকেই পর্যবেক্ষণ করেছি যে, এই রকেটটির কার্যক্ষমতা প্রতিটি ধাপেই সফল। PSLV এর সমস্ত টিমকে অভিনন্দন, সফল উৎক্ষেপণ এর জন্য। রকেটটির দ্বারা স্যাটেলাইটটি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে ৭৪২ কিমি উচ্চতায়, সময় লেগেছে ১,০৩৩ সেকেন্ড”।

    আরও পড়ুন: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    spacecraft separation সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, একথা লিখে ইসরো থেকে এদিন ট্যুইটও করা হয়েছে। ২০২২ সালে এটাই ইসরোর শেষ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • PSLV: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    PSLV: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে যাতায়াত, গবেষণা, কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পথকে আরও সুগম করতে ও ভারতের মহাকাশ সংস্থাকে আরও বেশি উন্নত করতে চার বছরের মধ্যে পাঁচটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) রকেট তৈরি করার বরাত দেওয়া হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T) সংস্থাকে। এই বরাত নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL)-এর তরফে দেওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড ও এল অ্যান্ড টি একটি মহাকাশ কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। আর এই পাঁচটি পিএসএলভি রকেট তৈরি করার জন্য নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড এই কনসোর্টিয়ামকে ৮৬০ কোটি টাকার বরাত দিয়েছে।

    একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে জানা গিয়েছে, সোমবার বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (BIEC) সপ্তম বেঙ্গালুরু স্পেস এক্সপো ২০২২-এর (Bengaluru Space Expo 2022) উদ্বোধনী অধিবেশন চলাকালীন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি স্বাাক্ষর করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    বছরের পর বছর ধরে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) পিএসএলভি, ৫২ টিরও বেশি উৎক্ষেপণ সফলভাবে সঞ্চালিত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ইসরোর অত্যাধুনিক শক্তিশালী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা পিএসএলভি (PSLV) রকেটে চাপিয়েই একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। ইসরো ১৯৯০ সাল থেকে PSLV-এর মাধ্যমে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে আসছে। শুধুমাত্র ভারতের নয়, অন্যান্য ৩৩টি দেশের ৩১৯টি কৃত্রিম উপগ্রহও উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, একটি পিএসএলভি ১০৪টি উপগ্রহ নিয়ে কক্ষপথে প্রবেশ করছিল যা একটি বিশ্বরেকর্ড।

    ভারতীয় স্পেস প্রোগ্রামের চাহিদা মেটানোর জন্য, উচ্চ-প্রযুক্তি সম্পন্ন রকেট উৎপাদন এবং উৎপাদনের সংখ্যা বাড়াতে ইসরো একটি পৃথক বিভাগ নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL) গঠন করেছিল। এরই অংশ হিসেবে এনএসআইএল ২০১৯ সালে ১৬ অগাস্ট পাঁচটি পিএসএলভি রকেট তৈরি করার ক্ষেত্রে দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। হ্যাল ও এলএন্ডটি-এর কনসোর্টিয়াম এই চুক্তি পায়।

LinkedIn
Share