Tag: Pt Usha

Pt Usha

  • Commonwealth Games: অলিম্পিক্সের দিকে একধাপ! শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস আমেদাবাদেই, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    Commonwealth Games: অলিম্পিক্সের দিকে একধাপ! শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস আমেদাবাদেই, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতেই বসছে ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস। আমেদাবাদকে আয়োজক শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে কমনওয়েলথ কমিটি। শেষ ২০১০ সালে দিল্লিতে হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। ২০ বছর পর আবার ভারতের মাটিতে ফিরছে কমনওয়েলথ গেমস। কমনওয়েলথের আসরকে অনেকেই অলিম্পিক্সের ওয়ার্মআপ ম্যাচ হিসেবে দেখছে। ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করতে চায় ভারত। তার আগে মাল্টি-গেমের আন্তর্জাতিক আসর বসিয়ে প্রস্তুতি সারতে চাইছে ভারত।

    সরকারিভাবে স্বীকৃতি

    ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ আয়োজনে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল নাইজেরিয়া। আবুজা শহরে এই গেমস করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু ৭৪ সদস্য দেশ শেষ পর্যন্ত ভারতকেই বেছে নিল। কমনওয়েলথ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০৩৪ সালের প্রতিযোগিতা নাইজেরিয়ায় দেওয়া হতে পারে। তার আগে আমেদাবাদের উপর ভরসা রেখেছে কমিটি। তবে এই নাম ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। প্রথমে ‘কমনওয়েলথ স্পোর্টস এভালুয়েশন কমিটি’ আমেদাবাদের নামের প্রস্তাব দিয়েছিল। তার পর গত মাসে ‘কমনওয়েলথ স্পোর্টস এগজিকিউটিভ বোর্ড’ আয়োজক হিসাবে ভারতের এই শহরের নাম প্রস্তাব করে। বুধবার গ্লাসগোতে বার্ষিক সাধারণ সভায় তাতে সিলমোহর পড়ে।

    প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হবে ভারতের আমেদাবাদে। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি সোশ্যাল সাইটে লেখেন, “২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য ভারত জয়লাভ করায় আমি আনন্দিত! ভারতের জনগণ এবং ক্রীড়া প্রেমীদের অভিনন্দন। আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি এবং ক্রীড়া মনোভাবের কারণেই ভারত বিশ্ব ক্রীড়া মানচিত্রে দৃঢ়ভাবে স্থান পেয়েছে। বসুধৈব কুটুম্বকমের নীতিমালা অনুসরণ করে, আমরা এই ঐতিহাসিক গেমগুলি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করতে আগ্রহী। আমরা বিশ্বকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আমেদাবাদে ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য ভারত এই মর্যাদাপূর্ণ বিড জেতায় প্রত্যেক নাগরিককে অভিনন্দন জানাই। ভারতকে বিশ্ব ক্রীড়া কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গির এটি একটি প্রমাণ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোদি সরকার বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করেছে এবং কার্যকর প্রশাসন ও নিবিড় দলগত কাজের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে।”

    শতবর্ষে কমনওয়েলথ

    ভারতের পক্ষে গ্লাসগোতে হাজির ছিলেন ভারতীয় অলিম্পিক্স কমিটির প্রেসিডেন্ট পিটি উষা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সচিব কুণাল কে, আইওএ সিইও রঘুরাম আইয়ার, গুজরাটের ক্রীড়ামন্ত্রী হর্ষ সাংভি। ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পিটি ঊষার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। পিটি উষা বলেছেন, “‘কমনওয়েলথ সংস্থা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, এটা সম্মানের। ২০৩০ সালের ১০০ বছর পূর্তি হবে গেমসের। সেটা যেমন উদযাপন করা লক্ষ্য, তেমনই ভবিষ্যতের দিকে গেমসকে এগিয়ে দেওয়া লক্ষ্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ২০২৬ সালের সিডব্লিউজি, যা হবে গ্লাসগোতে, সেখানে মাত্র ১০টা খেলা আয়োজন করা হবে। কিন্তু ভারতে সেটাই বেড়ে দাঁড়াবে অন্তত ১৫-১৭টা খেলা।” কমনওয়েলথ স্পোর্টের সভাপতি ডোনাল্ড রুকারে জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী, ২০৩০ সালে আমেদাবাদ খুব ভাল ভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তিনি বলেন, “ভারতে খেলার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগ রয়েছে। ২০৩০ সালে কমনওয়েলথের ১০০ বছর। আমরা আশাবাদী, ভারতের মাটিতে তাদের উন্নত ও বৈচিত্রমূলক সংস্কৃতির পরিচয় আমরা দেখতে পাব। খুব ভাল একটা প্রতিযোগিতার অপেক্ষায় রইলাম।”

    মোদি সরকারের প্রয়াস

    শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হবে ভারতের আমেদাবাদে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় খেলার দুনিয়ায় অনেক বদল এনেছে বিজেপি সরকার। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে অলিম্পিক্স খেলাগুলোয়। গত কয়েক বছর ধরেই অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। সেই পথেই একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। অলিম্পিকের দিকে তাকিয়ে আমেদাবাদে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের পরিকাঠামো। সবরমতি নদীর তীরে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিশাল স্টেডিয়াম। কমনওয়েলথ গেমসের আগেই তা পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। অলিম্পিক্সের জন্য পরীক্ষানিরীক্ষাও সেরে নিতে পারবে ভারত। আর তাই কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক হতে মরিয়া হয়েছিল ভারত।

    দেশে খুশির জোয়ার

    ভারত সরকারিভাবে কমনওয়েলথ গেমস ২০৩০ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছ, এই ঘোষণার পরেই স্কটল্যান্ডের জেনারেল অ্যাসাম্বলিতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। ২০ জন গরবা নৃত্যশিল্পী এবং ৩০ জন ঢোল বাদক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অ্যাসাম্বলি হল আলোকিত হয়। ‘নিউ এজ গেমস ফর এ নিউ সেঞ্চুরি’ অর্থাৎ নতুন শতকের জন্য নতুন আঙ্গিকের গেমস, এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমেদাবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা সকলকে মুগ্ধ করেছে। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হিসেবে ভারত এই ক্রীড়াযজ্ঞে নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চারিত করেছে, তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আমেদাবেদে আয়োজনের ফলে বিরাট সংখ্যক অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা, সমর্থক, মিডিয়া কর্মীরা ভারতে আসবেন। এতে দেশের পর্যটন, হসপিটালিটি, বাজার, পরিবহণ খাতে অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে। কমনওয়েলথ গেমস কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়, এতে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ-সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সোনার পদকের লক্ষ্যে প্যারিস অলিম্পিক্সে নামার কথা ছিল বিনেশ ফোগাটের (Vinesh Phogat)। কিন্তু সব যেন এক লহমায় বদলে গেল। খেলা শুরুর আগেই বুধবার সকালে অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল বিনেশ ফোগাটের নাম। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে বিনেশের মনোবল বাড়িয়ে, তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi) 

    বিনেশকে (Vinesh Phogat) সান্ত্বনা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘তুমি তো বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসো। আমার বিশ্বাস তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। আমরা তোমার পাশে আছি।’’একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিনেশ, তুমি চ্যাম্পিয়নের চ্যাম্পিয়ন! তুমি দেশের গর্ব এবং প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে অনুপ্রেরণা। আজকের ধাক্কাটা বেদনাদায়ক। আমি কী অনুভব করছি, তা যদি শব্দে বোঝাতে পারতাম..”

    উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই প্যারিস অলিম্বিক্সে (Paris Olympics) কুস্তির ফাইনাল খেলার কথা ছিল বিনেশের (Vinesh Phogat)। তার আগে বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি ফাইনাল খেলতে পারবেন না। কারণ তাঁর ওজন নির্ধারিত সীমার থেকে ১০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। আর বিনেশের নাম অলিম্পিক্স থেকে বাদ হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ফাইনালে পৌঁছেও বিনেশের এমন আচমকা বাদ যাওয়া সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। এর নেপথ্যে নিশ্চই কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি, তাতে ভারত সরকারেরও হাত থাকতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    পিটি ঊষাকে ফোন মোদীর

    যদিও বিনেশের (Vinesh Phogat) নাম ফাইনাল থেকে বাদ পড়তেই ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঊষার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানতে চান, ঠিক কী ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী কী করতে পারে, সেটাও জানতে চান মোদি। প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানালে যদি ফোগাটের কোনও লাভ হয়, তা হলে সেটাও যেন করা হয়। জানা গিয়েছে, বিনেশকে ফাইনাল থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PT Usha: বাম শাসিত কেরলে পিটি উষার জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

    PT Usha: বাম শাসিত কেরলে পিটি উষার জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট পিটি উষাকে (PT Usha) সাংবাদিকদের সামনেই হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গেল। পিটি উষার (PT Usha) অভিযোগ, নিজের অ্যাকাডেমিতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। বাম শাসিত কেরলের কোঝিকোড়ে রয়েছে তাঁর এই অ্যাকাডেমি। যে গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তাঁর এই অ্যাথলিট স্কুল অবস্থিত সেটিও সিপিএমের দখলে। পিটি উষা (PT Usha) বর্তমানে বিজেপির সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ। তাই অনেক মহল এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ-ও দেখছেন। কেরলের জমি মাফিয়ারা জোর করে তাঁর অ্যাকাডেমি দখল করতে চাইছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন অ্যাথলিট। জোর করে তাঁর অ্যাকাডেমির জমি দখল করতে চাইছে একদল দুষ্কৃতী। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর অ্যাকাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরাও। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও।

    সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন পিটি উষা (PT Usha)

    শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন পিটি উষা (PT Usha)। তিনি জানান, তাঁর অ্যাকাডেমির জমিতে বারবার বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ চলছে। এমন কী বেআইনি ভাবে নির্মানকাজও চালানো হচ্ছে সেখানে। গভীর রাতে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ছে গাড়ি। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পরেই এই সমস্যা আরও গুরুতর হয়েছে। দেশের অন্যতম গর্ব এই অ্যাথলিট আরও বলেন, আমিতো একজন অ্যাথলিট, কোনও রাজনীতিবিদ নই। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিজেপির সুপারিশে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি।

    তাঁর দাবি, ‘উষা স্কুল অফ অ্যাকাডেমিতে এই মুহুর্তে ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যার মধ্যে ১১ জন উত্তর ভারতীয়। ফলে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে সকলকে সুরক্ষিত রাখার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়নকে। তাঁর অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা বামশাসিত পঞ্চায়েতের চোখের সামনেই এই কাজ করছে। অথচ পঞ্চায়েত নির্বিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     

     

     

  • PT Usha: নজির গড়লেন পিটি ঊষা! রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন ‘সোনার রানি’

    PT Usha: নজির গড়লেন পিটি ঊষা! রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন ‘সোনার রানি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। বৃহস্পতিবার সংসদে তাঁকে দেখা গেল এক অন্য ভূমিকায়। রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন না উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। তাঁর জায়গায় সভাপতিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিটি ঊষাকে। তাই তিনি আজ রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনে অস্থায়ী ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন। ফলে ঊষা আজ এক ইতিহাস গড়লেন।

    পিটি ঊষা কী বললেন?

    রাজ্যসভা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি ট্যুইট করেছেন, “ফ্র্যাঙ্কলিন রুজভেল্ট বলেছিলেন, ক্ষমতালাভের সঙ্গে দায়িত্ববোধ জড়িয়ে থাকে। রাজ্যসভার সভাপতির চেয়ারে বসে সেই কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আশা করি আগামী দিনে আরও অনেক মাইলস্টোন গড়তে পারব। জনতার উপর আস্থা রেখে এই পথে এগিয়ে যেতে চাই।” আজ রাজ্যসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভার কাজ পরিচালনার প্রাক্তন অ্যাথলিটের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবে পাশও হয়ে যায়। এরপরেই  রাজ্যসভার পরিচালনার দায়িত্বে দেখা যায় তাঁকে।

    ঊষা হলেন ভারতের কিংবদন্তি অ্যাথলিট। তিনি দেশকে বহুবার আন্তর্জাতিক পদক এনে দিয়েছেন। আবার তিনি ২০২২ সালের জুলাই মাসে ঊষা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হন। তিনি নিয়মিতভাবে সংসদে হাজিরও থাকেন। এরপর নভেম্বর মাসে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের প্যানেলে জায়গা করে নেন তিনি। আর আজ এই প্রথমবার রাজ্যসভার কার্যাবলি পরিচালনা করলেন তিনি।

    আজকের এই নজির গড়ার একটি ভিডিও প্রকাশের পরেই ভারতীয় অ্যাথলিটকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দেন তাঁর ভক্তরা। এক ভক্ত লিখেছেন, আপনি আমাদের সকলের গর্বের। আজ এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন। আশা, আগামী দিনেও আপনার হাত দিয়ে তৈরি হবে ইতিহাস। আরও এক ভক্ত লিখেছেন, ঊষা ভারতের সব মহিলাদের গর্ব।

  • PT Usha: ইতিহাস গড়ে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন পিটি ঊষা

    PT Usha: ইতিহাস গড়ে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন পিটি ঊষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ক্রীড়া প্রশাসনে এক নতুন যুগের সূচনা করলেন পিটি ঊষা (PT Usha)। কিংবদন্তি পিটি ঊষা শনিবার ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে বসেছেন তিনি। তার সভাপতি হওয়ার কথা আগেই ঠিক হয়ে ছিল। গতকাল তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল ও তাতে সিলমোহর দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শীর্ষ আদালতেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের তত্ত্বাবধানে গতকাল হল আইওএ নির্বাচন।

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম মহিলা সভাপতি…

    ঊষা ভারতের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ (PT Usha)। ৫৮ বছর বয়সী পিটি ঊষা এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী এবং ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে  ৪০০ মিটার হার্ডলস ফাইনালে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে এশিয়ান গেমসে ১১টি পদক জিতেছিলেন ঊষা। তার মধ্যে ছিল চারটি সোনা। ১৯৮৬ সালের সোল এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ও ৪ X ৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসেও ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে পদক জিতেছিলেন ঊষা। এরপর ঊষা ১৯৯০ সালে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। পরের বছর তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ফের ট্র্যাকে ফেরেন হিরোশিমা এশিয়ান গেমসে। সেখানে তিনি রুপো জিতেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়। তারপরেই ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিক্সের আগে পাকাপাকিভাবে অবসরের ঘোষণা করে দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: নেইমার থেকে রোনাল্ডো বিদায়, অঘটনের বিশ্বকাপ!

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতির পদে…

    ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচন ছিল ১০ ডিসেম্বর। ২৭ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিনহা জানিয়েছিলেন, ঊষা ছাড়া আর কেউ সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেননি। আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ঊষা যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অলিম্পিক সংস্থার সভাপতি হবেন তা নিশ্চিত ছিল। ফলে ২৭ নভেম্বরই ঊষাকে (PT Usha) ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কিরণ রিজিজু।

    আইওএ-র ৯৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সভাপতি পদে বসলেন কোনও অলিম্পিয়ান এবং আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও পদকজয়ী। ভারতের হয়ে ১৯৩৪ সালে টেস্ট খেলা মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং আইওএ-র শীর্ষ পদে বসেছিলেন ১৯৩৮ সালে। তৃতীয় আইওএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর সেই পদে ছিলেন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। তারপর এই প্রথম দেশের প্রতিনিধিত্ব করা কোনও ক্রীড়াবিদ আইওএ সভাপতি হলেন।

    আইও-এর নির্বাচন ২০২১-এ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইওএ-এর সংঘাতের কারণে তা হয়নি। এই বছরের মধ্যে আইওএ-এর নির্বাচন না করে নতুন বোর্ড গঠন না করলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা আইওএ-কে নির্বাসন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ফলে এবছর নির্বাচন হতেই হত। তবে পিটি ঊষা (PT Usha) সভাপতি পদে বসার সঙ্গে সঙ্গেই আইওএ-এর অন্দরের সংকটের অবসান হল বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এবারে কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ পিটি উষার (PT Usha) নতুন ইনিংসের দিকে তাকিয়ে পুরো ক্রীড়া মহল।

  • PT Usha: সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন ট্র্যাক কুইন, ঊষাকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    PT Usha: সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন ট্র্যাক কুইন, ঊষাকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাথলেটিক ট্র্যাক থেকে সংসদ ভবনে। বিজেপির রাজ্যসভায় সদস্য (Rajya Sabha MP) হিসেবে শপথ নিলেন পিটি ঊষা (PT Usha)। সংসদ ভবনে তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইট বার্তায় ঊষাকে তাঁর নতুন ভূমিকায় স্বাগতও জানান। বুধবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হিন্দিতে শপথ নেন কেরলের মেয়ে ঊষা। প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই বিজেপির সরকারের তরফে তাঁকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করা হয়। পিটি ঊষা ছাড়াও এই তালিকায় ছিলেন সঙ্গীত কম্পোসার ইলায়ারাজা, সমাজসেবী বীরেন্দ্র হেগগড়ে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক কে.ভি. বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। 

    [tw]


    [/tw]

    গত সোমবার রাজধানী দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন পিটি ঊষা ৷ মঙ্গলবার দেখা করেন বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার (Jagat Prakash Nadda) সঙ্গে ৷ নাড্ডাও তাঁকে অভিনন্দন জানান। নাড্ডা বলেন, তাঁর মতো প্রতিভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি খুশি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্যতম পিটি উষা ৷ কেরলের কোঝিকোড় জেলার এক গ্রামে তাঁর জন্ম ৷ লক্ষ লক্ষ ভারতীয় মেয়ের কাছে পিটি ঊষা আদতে একটি আদর্শ ও অনুপ্রেরণার নাম ৷ অনুরাগী মহলে ‘পায়োলি এক্সপ্রেস’ (Payyoli Express) এবং ‘কুইন অফ ইন্ডিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড’ (Queen of Indian Track and Field) নামেও তিনি জনপ্রিয় ৷ ১৯৮৪ সালের অলিম্পিক্সে ভারতের জন্য পদক জিততে না পারলেও গোটা বিশ্বের নজর কাড়েন ঊষা ৷ সেবার ৪০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থানে লড়াই শেষ করেন তিনি ৷ 

    আরও পড়ুন: মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য তথা রাজনীতিক হরভজন সিং, লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে মিসা ভারতী এবং বিসিসিআই-এর সহসভাপতি রাজীব শুক্লা-সহ প্রায় ২৫ জন রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন৷

LinkedIn
Share