Tag: Punjab

Punjab

  • Punjab Girl Dies: অনলাইনে কেনা জন্মদিনের কেক খেয়ে অসুস্থ বালিকা, হাসপাতালেই নিভল জীবনদীপ

    Punjab Girl Dies: অনলাইনে কেনা জন্মদিনের কেক খেয়ে অসুস্থ বালিকা, হাসপাতালেই নিভল জীবনদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিন। কেক কাটছে বছর দশেকের মানভি। হইহই করছে প্রতিবেশীদের বাচ্চারা। সমস্বরে গাইছে, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’। অনলাইনে অর্ডার করা (Punjab Girl Dies) কেকের ওপর বড় বড় করে ইংরেজিতে লেখা ‘মানভি’।

    জন্মদিনের পার্টিতে কান্নার সুর (Punjab Girl Dies)

    কেক কাটার আগে প্রথা মেনে মোমবাতিও নিভিয়েছে বছর দশেকের ওই বালিকা। যদিও বার্থ-ডে পার্টিতে উপস্থিত কেউই জানতেন না যে মোমবাতির দীপ নিভে যাওয়ার পরে পরেই নিভে যাবে মানভির জীবনদীপও। জন্মদিনের পার্টির হুল্লোড়ে তখন শোকের পরিবেশ। যে মুখগুলো এতক্ষণ ধরে হ্যাপি বার্থ-ডে গাইছিল, সেই মুখগুলোতেই হাহাকার করা কান্নার সুর। ঘটনাটি তবে (Punjab Girl Dies) খুলেই বলা যাক। পাঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা বছর দশেকের মানভির জন্মদিনের পার্টি ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে অনলাইনে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল কেক।

    বরাত জোরে বেঁচে গেল মানভির বোন

    শনিবার সন্ধেয় কেক কাটা হয়। মানভির বাড়ি তখন কচিকাঁচার কলকাকলিতে ভরপুর। ওদিকে হেঁসেলে চলছে রকমারি রান্না। সুগন্ধে ম ম করছে মানভির বাড়ি। মোমবাতি নিভিয়ে কেক কেটে প্রথম টুকরোটি মুখে নেয় মানভি ও তার বোন। উপস্থিত বাচ্চারা অবশ্য কেক খায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই বোন। ঘন ঘন বমি করতে থাকে। দ্রুত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানভিকে মৃত ঘোষণা করেন। মানভির দাদু হারবান লাল বলেন, “মানভির বোন বেঁচে গিয়েছে। গোটা কেকটা ও বমি করে বের করে দিয়েছিল। তাই চিকিৎসকরা ওকে বাঁচাতে পেরেছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির ভোট কাটতেই সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে যাদবপুরে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মানভির পরিবারের তরফে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। যদিও সংস্থার দাবি, মানভির পরিবারে কোনও কেক এদিন সরবরাহ করা হয়নি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মানভির পোস্টমর্টেম হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কেকের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে তারা (Punjab Girl Dies)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাজ্যে ‘রামধাক্কা’ খেল আম আদমি পার্টি। তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে। পাঞ্জাবের সবেধন নীলমণি সাংসদ আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু (জলন্ধরের সাংসদ) হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তিনি একা নন, জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়ক আপের শীতল অঙ্গুরালও যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। আপ ছেড়ে সাংসদ ও বিধায়কের পদ্ম শিবিরে যোগদানের অনুষ্ঠান হয় দিল্লিতে, বুধবার।

    আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ! (Lok Sabha Elections 2024)

    গত বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে আপ। সেই প্রথম দিল্লির বাইরে রাজত্ব পায় আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে এক সাংসদ ও এক বিধায়কের বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনাটিকে পাঞ্চাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে সুশীল ও শীতলকে স্বাগত জানান গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগদানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পাঞ্জাব রাজ্য সভাপতি সুনীল কুমার জাখর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

    বিজেপিতে আপ সাংসদও

    পাঞ্জাব থেকে আপের একমাত্র সাংসদ ছিলেন সুশীল। অংসদীয় আচরণের জন্য সংসদের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। আপের আগে কংগ্রেসেই ছিলেন সুশীল। তিনি কংগ্রেসের তিনবারের কাউন্সিলরও ছিলেন। জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়কও হয়েছিলেন ‘হাত’ প্রতীকে লড়ে। ২০২৩ সালে যোগ দেন আম আদমি পার্টিতে। জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদে পা রাখেন আপের প্রতিনিধি হয়ে।

    আরও পড়ুুন: কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, অতঃ কিম?

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ায়ই যে তিনি বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে তা জানিয়ে দিয়েছেন সুশীল। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে পারিনি। কারণ আমার সরকার আমায় সাহায্য করেনি। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাজের ধরন আমায় মুগ্ধ করেছে। জলন্ধরের উন্নয়ন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ নিয়ে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছি। কেন্দ্র তা অনুমোদন করেছে। আমি কোন পার্টির তা বিচার করেনি। আদমপুর বিমানবন্দরেও বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “জলন্ধরে বন্দে ভারত ট্রেন থামছে। আদমপুর ও জলন্ধরে রেলওয়ে ওভারব্রিজ চাই। কেন্দ্রের সাহায্যে এটাও করব। আমার নিজের কোনও লোভ নেই। কিন্তু জলন্ধরবাসীর জন্য আমার অনেক কিছু চাওয়ার আছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ বিজেপির, চতুর্মুখী লড়াই ১৩ কেন্দ্রেই

    Lok Sabha Elections 2024: পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ বিজেপির, চতুর্মুখী লড়াই ১৩ কেন্দ্রেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) পাঞ্জাবে ‘একলা চলো নীতি’ নিল বিজেপি। পঞ্চ নদের তীরের এই রাজ্যের ১৩টি আসনেই একা লড়বে পদ্ম শিবির। মঙ্গলবার বিজেপির তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। শিরোমনি অকালি দল এনডিএতে ফিরবে বলে যে জল্পনা দিন কয়েক ধরে চলছিল, তাতেও জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তাই পাঞ্জাবের ১৩টি আসনেই লড়াই হবে চতুর্মুখী।

    কী বলছে বিজেপি? (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপির পাঞ্জাব ইউনিটের প্রধান সুনীল জাখর বলেন, “পাঞ্জাবের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিশেষত তরুণ ও কৃষকদের কথা মাথায় রেখে একা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি যে কাজ করছে, তা কারও কাছেই গোপন নয়। বিজেপি পাঞ্জাবের জন্য যে উন্নয়নই করুক না কেন, কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়া হোক বা রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে শস্য সংগ্রহ করা…সবটাই সাধারণ মানুষ জানেন।”

    ‘সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত’ 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও-বার্তায় তিনি বলেন, “জনকল্যাণের জন্য দলটি তার এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” পাঞ্জাবের মানুষ, রাজ্য বিজেপির নেতা ও তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত (Lok Sabha Elections 2024) নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাঞ্জাবে লোকসভার আসন রয়েছে ১৩টি। উনিশের নির্বাচনে এর মধ্যে ৮টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। ২টি করে আসন গিয়েছিল বিজেপি ও শিরোমণি অকালি দলের ঝুলিতে। একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন আপ প্রার্থী। বিজেপি একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হবে পাঞ্জাবের সব আসনে। ‘ইন্ডি’ জোটের দুই শরিক কংগ্রেস এবং আপ আলাদা আলাদা করে প্রার্থী দেবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। এনডিএ শিবিরে যোগ না দেওয়ায় প্রার্থী দেবে শিরোমণি অকালি দলও। ময়দানে বিজেপির প্রার্থী তো রয়েইছেন।

    বিজেপির প্রার্থী ডিসকোয়ালিফায়েড এমএলএ

    এদিকে, হিমাচল প্রদেশে বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের ডিসকোয়ালিফায়েড এমএলএ। শনিবারই এঁরা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এঁরা হলেন, সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, ইঁদের দত্ত লখনপাল, চেতন্যা শর্মা, দেবিন্দার কুমার ভুট্টো এবং রাজিন্দর রানা (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এবার জেলে পাঠানো হল কবিতাকে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    Indi Alliance: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের একাধিক রাজ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র (Indi Alliance) শরিক দলগুলির মধ্যে মতান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এনডিএ-তে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও। এই আবহের মধ্যে লোকসভায় পাঞ্জাবে কংগ্রেসের তেমন কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় খারিজই করে দিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। তাই, পাঞ্জাবে লোকসভায় আপের ভূমিকা কী হয় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল, তারমধ্যে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন,পাঞ্জাবের সব আসনেই লড়াই করবে আপ। শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

    পাঞ্জাবে সব আসনে এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা আপের (Indi Alliance)

    পাঞ্জাবে ১৩টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে একটি লোকসভা আসন রয়েছে। গত লোকসভায় কংগ্রেস পাঞ্জাবে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) এবং বিজেপি জোট বেঁধে লড়াই করে মোট ৪টি আসন পেয়েছিল। আপ পেয়েছিল একটি আসন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য চমক দেয় আপ। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়ী হয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তারা। মাত্র ১৮টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে। শনিবার পাঞ্জাবে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল বলেন, “রাজ্যের ১৩টি আসনে এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে আপ।” ফলে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে (Indi Alliance) জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন আপ প্রধান

    এ দিন কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস এত বছর ধরে শাসন করেছে। আপনারা যদি বলেন কংগ্রেসের একটা ভাল কাজ বলতে, আমার মনে পড়বে না। অকালি দল এত বছর ক্ষমতায় ছিল, তাদের কোনও ভাল কাজের কথা আপনাদের মনে পড়বে না।’ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের আপের একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই গোয়া, হরিয়ানা, গুজরাতে দলের রণকৌশল ঠিক করবে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের ভারুচ আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের সঙ্গে আদৌ সমঝোতার পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় ভোট কুড়োতে খয়রাতি চালু করেছে বাংলার শাসক দল। এতে ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে ঘাসফুলের। তবে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে আর্থিক স্বাস্থ্য (Fiscal Health)। কেবল বাংলা নয়, একই অবস্থা পঞ্জাব এবং কেরলেরও। বলা বাহুল্য, এই তিনটি রাজ্যই শাসন করছে বিজেপি বিরোধী দল। ইএসি-পিএম ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের তথ্যে ধরা পড়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি পরিচালিত রাজ্যগুলির কঙ্কালসার দশার ছবি।

    খয়রাতির রাজনীতি

    ফি বার নির্বাচনের আগে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটের পরে সেগুলি পূরণ করার একটা দায়বদ্ধতা থাকে। আর তা করতে গিয়েই ফতুর হয়ে যায় রাজকোষ। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয় আর্থিক স্বাস্থ্য। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অনুদান পান মহিলারা। দুর্গাপুজো করতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হয় মোটা টাকা। এসব করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। কোনও রাজ্য আবার ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার দেয়। নিখরচায় জল, বিদ্যুৎও দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কোনও কোনও রাজ্য। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। এই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে বিস্তর খরচ করতে হয়। ফাঁকা হয়ে যায় রাজকোষ (Fiscal Health)। বিভিন্ন সময় এই খয়রাতি রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই বিজেপি এই জাতীয় প্রতিশ্রুতি না দিলেও, পদ্ম-বিরোধী দলগুলি দেয়।

    কী বলছে গবেষণা?

    ইএসি-পিএম (প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি)-এর সদস্য শমিকা রবি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুদিত কাপুর ‘ভারতে রাজ্যের বিজেট: ১৯৯০-২০২০ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণমূলক সময়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে ভারতের রাজ্যগুলির আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিহারের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমেছে। বিহারের প্রকৃত মাথাপিছু আয় ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    কোনও রাজ্য উন্নয়নমূলক ব্যয় বেশি করলে সেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল ধরে নেওয়া হয়। ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে উন্নয়ন ব্যয় ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটাই নেমে এসেছে প্রায় ৬০ শতাংশে। পঞ্জাব ও কেরলে উন্নয়ন ব্যয়ের অংশ ৫০ শতাংশেরও কম। অথচ অন্য রাজ্যগুলিতে এটি ৫০ শতাংশের বেশি।

    কেরল ও পঞ্জাবে গত এক দশকে সুদের অর্থ প্রদান ও ঋণ পরিষেবার অংশও বেড়েছে। কেরলে এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর পঞ্জাবে ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যয়ের সুদ পরিশোধ ও ঋণ দেওয়ার পরিমাণ সর্বভারতীয় স্তরের চেয়ে বেশি। রবির মতে, পঞ্জাব ও কেরলের এই প্রবণতা (উন্নয়ন ব্যয় কমে যাওয়া) তাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধ ও বিকাশের জন্য ভাল ইঙ্গিত নয় (Fiscal Health)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোগায় (Moga) এক রোগীর পেটের ভেতর থেকে বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন উদ্ধার করেছেন ডাক্তাররা। মানুষের পেটের ভিতরে এই সব হাজারো ধাতব শক্ত জিনিস! ডাক্তাররাও অপারেশন করে রীতিমতো আশ্চর্য! এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। এই সব জিনিস পেটে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রোগী। অবশেষে অপারেশনে আরোগ্য পেলেন। 

    রোগীর সঙ্গে ঘটনা কী ঘটেছিল (Moga)?

    ঘটনাটা গল্পের মতন শুনতে মনে হলেও, এটাই সত্য যে একজন ৪০ বছরের এক রোগীর পেট থেকে রহস্য জনক ধাতব জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের মোগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালে। এই উদ্ধার হওয়ার বিষয় নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে ছিল, বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন, লকেট, স্ক্রু, এবং রাখি। সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন আগে শরীরে তীব্র জ্বর এবং পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই রোগী। প্রথমে ডাক্তাররা তাঁকে নিরীক্ষণে রাখেন। এরপর পেটের যে জায়গায় ব্যাথা রয়েছে, সেই জায়গাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। এরপর রোগীর যন্ত্রণা ও সমস্যার কথা ভেবে ডাক্তার বাবুরা পেটের এক্স-রে করান। এই পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেখে ডাক্তারদের চক্ষু, একেবারে চড়কগাছে পরিণত হয়। মানুষের পেটে এই সামগ্রী কীভাবে? পরিস্থিতি বেগতিক এবং ভয়াবহ বুঝে, ডাক্তাররা প্রায় তিন ঘণ্টার ধরে পেটের অপারেশনে এই জনিস গুলি উদ্ধার করেন। বোঝাই যাচ্ছিল বিষয়গুলি কতটা প্রাণঘাতী হতে পারত।

    ডাক্তারের বক্তব্য

    রোগীর পেটের পাকস্থলী থেকে এই ভাবে অপারেশনের ঘটনায় সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের মুগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালের ডাক্তার আজমে কালরা বলেন, “আমি আমার জীবদ্দশায় এই ধরণের ঘটনার প্রথম সম্মুখীন হলাম। রোগী প্রায় দুই বছর ধরে এই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। খুব ভালো হল যে এই মারণঘাতী জিনিস গুলি থেকে তাঁকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়েছে। এই জিনিস গুলি তাঁর পেটে অনেক দিন ধরে জমে থাকায় শারীরিক ভাবে অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।”

    পরিবারের বক্তব্য

    রোগীর (Moga) পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরাও পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া নিয়ে জিনিস নিয়ে বিস্মিত। অনেকদিন ধরে যন্ত্রণার কথা বলে বেশ কিছু ডাক্তারের কাছে আগে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তবে এখন যন্ত্রণা থেকে রোগী অনেকেটাই আরোগ্য লাভ করেছেন বলে জানা গেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab: স্বাধীনতা দিবসের আগে পঞ্জাব পুলিশের জালে জঙ্গি মডিউল, ধৃত ৩

    Punjab: স্বাধীনতা দিবসের আগে পঞ্জাব পুলিশের জালে জঙ্গি মডিউল, ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ঠিক একদিন আগে পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের জালে ধরা পড়ল একটি জঙ্গি মডিউল। যেখানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি পিস্তল। পঞ্জাবের (Punjab) ডিজি গৌরব যাদব বলেন, ‘‘এই জঙ্গি মডিউলটি চেক রিপাবলিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। নিয়ন্ত্রণ করতেন গুরুদেব সিং জইসেল। কানাডা ভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠনের নেতা লাখভির সিং-এর নামও উঠে এসেছে। পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে সাতবির সিং এবং আলিয়া সাত্তার নামের আরও দুইজনের।’’ জানা গিয়েছে সারহালে পুলিশ স্টেশন আক্রমণে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদত ছিল এবং উপরোক্ত নেতারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন পাচার কাজে যুক্ত।

    গ্রেফতার হওয়া  তিন জঙ্গির পরিচয় 

    যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের পরিচয় হল অস্মাপ্রীত সিং, প্রদীপ সিং এবং সুখমন। জানা গিয়েছে, পিস্তলের পাশাপাশি এই দলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৭,৫০০ টাকা। পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের ডিজি একটি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান গুরুদেব সিং জইসেল নতুন মডিউল খোলার কাজে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঞ্জাবে এরকমই একটি গোপন খবর পেয়ে পুলিশে এদিন মাজার অঞ্চলে অপারেশন চালায়। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে।’’

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের? 

    সিনিয়র পুলিশকর্তা গুরমিত সিং চৌহান বলেন,‘‘গুরুদেব সিং জয়সেইলের সঙ্গে এই জঙ্গি মডিউলের সদস্যদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার নির্দেশেই কাজ করত এরা। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে যে নির্দেশ আসতো ফোনে, সেটাকেই পালন করত জঙ্গিরা। পঞ্জাবের (Punjab) শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করা ছিল এদের উদ্দেশ্য।’’ অন্যদিকে পঞ্জাবের (Punjab) ডিজি আরও জানিয়েছেন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই জয়সেইলের নির্দেশ মতো বিভিন্ন লোকের কাছে টাকা তুলত এবং অস্ত্র সংগ্রহ করত। এই জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে কাদের কাদের যোগাযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পঞ্জাব (Punjab) পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ১১৫, ১২০ (বি) তে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ২৫(৬), ২৭(৭) অস্ত্র আইনের মামলাও রজু করা হয়েছে। এছাড়াও বেআইনি কার্যকলাপের ১৩, ১৬, ১৭, ১৮, ১৮ (বি), ২০ এবং ৪০ নম্বর ধারা লাগু করা হয়েছে। এনডিপিএস আইনের ২১ এবং ২৯ নম্বর ধারাও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    Amritpal Singh: অমৃতপালের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, জানাল পঞ্জাব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে এদিন থেকেই কার্যকর হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA)। রবিবার একথা জানালেন পঞ্জাব (Punjab) পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল, হেডকোয়ার্টার সুখচেইন সিংহ। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওয়ারিস দে পঞ্জাবের নেতা অমৃতপাল সিংহকে। তারপর বেলার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখচেইন। তিনি বলেন, অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছিল। এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর থেকেই সেই আইন কার্যকর হয়েছে।

    অমৃতপালের (Amritpal Singh) বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

    এদিন ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পঞ্জাবের ভিলেজ রোড এলাকায় গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। অমৃতপাল স্বঘোষিত ধর্মগুরু। খালিস্তানের দাবিতে সম্প্রতি সুর চড়িয়েছেন তিনি। তাঁকে ধরতে যৌথভাবে তল্লাশি চালায় পঞ্জাব পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা। তিনি বলেন, অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড়ে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তিনি বলেন, যাঁরা দেশের শান্তি ও ঐক্য বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অমৃতসর পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার যৌথে উদ্যোগে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরেই এদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে (Amritpal Singh)।

    আরও পড়ুুন: কার্গিল যুদ্ধে জীবন বলিদান দিয়েছিলেন বাবা, এবার শহিদ হলেন ছেলে কুলওয়ান্ত

    পবিত্রতা বজায় রাখতে এদিন পুলিশ গুরুদ্বার সাহিবে প্রবেশ করেনি। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিব্রুগড়ে। অমৃতপালকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভাতিন্ডায় বায়ুসেনা স্টেশনে। সেখান থেকেই বিমানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিব্রুগড়ে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল অমৃতপালের সঙ্গী পাপালপ্রীত সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে। অমৃতপালকে গ্রেফতারের পরে পরেই পঞ্জাব পুলিশের তরফে মোগার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানানো হয় শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকেও তাঁদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অমৃতপালের (Amritpal Singh) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এক সময় তিনি মুক্তভাবে সর্বত্র ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু এখন আর তিনি ওই সব কাজ করতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তান সমস্যা। খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice) নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সোমবার এই সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) হুমকি দিয়েছেন, জি-২০’র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সময় হামলা করা হবে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়ানো হবে খালিস্তানের ঝান্ডা। 

    শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice)…

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব (Punjab) ভারত নয় স্লোগান লেখা হয়েছে এসডিও অফিস কমপ্লেক্সে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড ভিলেজে বাঘাপূর্ণা অ্যান্ড গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের দেওয়ালেও লেখা হয়েছে ওই স্লোগান। শিখস ফর জাস্টিসের তরফে দাবি করা হয়েছে দেওয়ালের ওই স্লোগান লিখেছে তারাই। উল্লেখ্য যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রেওয়ালা এই রোড ভিলেজেরই বাসিন্দা ছিলেন।

    পান্নুন (Sikhs for Justice) বলেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জি-২০’র বিদেশমন্ত্রীদের। পঞ্জাব ভারত নয়। শিখস ফর জাস্টিস নিউ দিল্লি এয়ারপোর্ট আক্রমণ করবে। সেখানে উড়িয়ে দেবে খালিস্তানি ঝান্ডা। তিনি বলেন, এই হচ্ছে সময় যখন আপনারা (জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীরা) আমাদের খালিস্তানের দাবি সমর্থন করবেন। শিখদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন। ভারত ভূখণ্ডকে আপনারা চিনতে পারবেন না। কারণ ভারত কোনও দেশ নয়, শর্তসাপেক্ষে কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। তিনি বলেন, যদি মানুষ এই ইউনিয়নে থাকতে না চায়, তাহলে তাদের ভোটের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) ভারত-বিরোধী কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে দীর্ঘদিন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়াতে পারলে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালে। তখন পান্নুন বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি আসছে। লালকেল্লায় ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উড়বে। ২৬ জানুয়ারি ওই পতাকা সরিয়ে টাঙিয়ে দাও খালিস্তানি পতাকা। দিন কয়েক আগে আর এক খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানি আন্দোলন দমন করতে গেলে অমিত শাহের পরিণতি হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানের দাবি অধিকারের। এর অর্থ, শিখরা তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তাঁদের এই দাবিকে কেউ ছিনতাই করতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে হাইওয়েতে আন্দোলন করতে পারবেন না কৃষকরা (Punjab Farmers Agitation)। মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট অনুযায়ীই এটা করতে পারেন না তাঁরা। মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, প্রত্যেকেই জানেন তাঁদের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি। আন্দোলনকারী কৃষকদের সাংবিধানিক কর্তব্যটিও মনে করিয়ে দেয় আদালত।

    আন্দোলনে কৃষকরা

    ২৩টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কৃষকরা যাতে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান, সেজন্য সরকার পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। তার পরেও মেলেনি রফাসূত্র। যার জেরে আজ, বুধবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যদিও যেসব জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে, সেসব তাঁরা ভাঙবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বলছে আদালত?

    তবে হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় আন্দোলনকারী কৃষকদের ভর্ৎসনা করে (Punjab Farmers Agitation) পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি যে চালানো যায় না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া ও বিচারপতি লপিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। কেন পঞ্জাব সরকার হাইওয়েতে ট্রাক্টর নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের অনুমতি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাস্তা বন্ধ করে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী উদয় প্রতাপ সিং। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে এক সঙ্গে অনেকেই জড়ো হতে না পারেন, সেই বিষয়টি দেখতে পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সান্ধাওয়ালিয়া। আদালত এও জানিয়েছে, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে, তবে সেজন্য তাঁদের কিছু রেস্ট্রিকশন মানতে হবে।

    এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের পরেও হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে মিছিল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কৃষকরা। আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতাদের সাফ কথা, কৃষকদের আন্দোলনের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আন্দোলন হবে, এমএসপি আইন চাই। কেন্দ্র আইন না করলে, ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা (Punjab Farmers Agitation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share