Tag: purba medinipur

purba medinipur

  • North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বানভাসি হয়েছে তিস্তা নদী। জলের তোড়ে সিকিমে আরও এক হ্রদে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তার জল কমতেই বেরিয়ে আসছে নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    ময়নাগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসছে দেহ (North Bengal Disaster)

    ময়নাগুড়িতে (North Bengal Disaster) তিস্তা নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ আকার নিলে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর, চাষের জমি ইত্যদি ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়। নদীর জলে ভেসে আসছে বেশ কিছু মৃতদেহ। এখানকার ব্লকের তিস্তার চর ধর্মপুরে হেলাপাকড়ি এলাকা থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও অনেক মৃতদেহ জলে আটকে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং দুজন সাধারণ নাগরিক। এই সংখ্যা যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে।

    সিকিমে ভাঙল আরও এক হ্রদ

    সূত্রের খবর, সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২৩ কিমি উপরে সাকচু হ্রদের আশেপাশে ব্যাপক বিপর্যয় নেমেছে। হ্রদে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরে স্যাটেলাইটে ছবি ধরা পড়ছে না বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার ললটাং, গাজলডোবার (North Bengal Disaster) নিচু এলাকা থেকে অনেক মানুষকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। আগামী দিনগুলি যে কী হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লী নিয়ে যাক তৃণমূল। ওদের তো কোটি কোটি টাকা! বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতে বিজেপির ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে কর্মশালার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

    কী বলেন শুভন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)?

    কাঁথিতে (Purba Medinipur) কর্মীদের কর্মশালায় যোগদান করে, সাংবাদিকদেরকে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ট্রেন বন্ধ হয় নি। আলাদা বগি দিতে পারবেন না তাই বলেছেন। তৃণমূলের কাছে প্রচুর টাকা আছে। ভাইপো এবং পিসি নিজেরা চার্টার্ড প্লেনে যান, তৃণমূলের কর্মীরাও যাবেন। মদ, ডিয়ার লটারি, গাছ পাচার, সেচ দফতর থেকে, পিডবলু দফতর, উত্তরবঙ্গে মহিষ পাচার থেকে শুরু করে পিএইচ-এর জল জীবন মিশন পর্যন্ত মাসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা তোলা আসছে তাঁদের। ডিয়ার লটারি, তাঁদের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়করের রিটার্ন ফাইলে বলেছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ৩০০ কোটি টাকা জমা করেছে। আইএফবি মদের কোম্পানি বলেছে, তাঁদের মদের ব্যবসা চালাতে গত ২০২১ সালের এক ছয় মাসেই ৪২ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূলকে। তাই তৃণমূল দু’শ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে, কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিল্লিতে যাক। দুই দিন ধরে তৃণমূলের কর্মীরা আকাশে উড়তে থাকুক। সামিম, শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর খান সবাইকে প্লেনে করে নিয়ে যাক ভাইপো। যুবরাজ এই খরচ বহন করুক।”

    ডিএ নিয়ে কী বলেনশুভেন্দু?

    এদিন এই প্রশিক্ষণ শিবির (Purba Medinipur) থেকে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে জেলে ঢোকানোর জন্য, এই মমতার সরকার সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টে মোট খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা। যখন রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট  চলছে, তখন ইমাম-মোয়াজ্জিমদের ভাতা কেন ৫০০ করে বৃদ্ধি করা হল। আশাকর্মী, রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দিতে পারছেন না কিন্তু এই দিকে দান খয়রাতি চলছে। যে টাকায় ভারত চন্দ্রযান পাঠালো, তাঁর ৫৭ শতাংশ সমান ৩০১ কোটি টাকা ক্লাবে ক্লাবে অনুদান দিচ্ছে তৃণমূল। এই লজ্জা কোথায় রাখবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন মাননীয়া। দেবীর বোধন, পুস্পাঞ্জলি, বিসর্জন, নিরঞ্জন হবে পঞ্জিকা মতে কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র একটি উৎসবে পরিণত করেছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীর ভোটেই খেজুরিতে (Purba Medinipur) পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি অবশেষে গঠন করল বিজেপি। তিনি বলেন, “খেজুরির গ্রাম উন্নয়নের পক্ষে এই ভোট”। উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে, শাসক দলের দৌরাত্ম্যে উত্তাল হয়ে উঠেছিল খেজুরির বিডিও অফিস। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ ওঠে। সাংসদ শিশিরবাবু সেই দিন ভোট দিতে গেলে, রাস্তায় যাওয়ার পথে, তাঁর গাড়িতে ইট ছোড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়।

    বিজেপি কীভাবে গঠন করল স্থায়ী সমিতি (Purba Medinipur)?

    তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার আশ্রয় নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আটকানো গেল না। খেজুরি ২ (Purba Medinipur) পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি দখল করল বিজেপি। গতকাল বুধবার, তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকায় অবস্থিত জেলা শাসকের দফতর ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল পুলিশের। অফিসের ৫০০ মিটার এলাকায় জারি ছিল ১৪৪, প্রচুর পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছিল। খেজুরি ২ পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্য জেলা শাসকের অফিসে আসেন। এরমধ্যে আটজন তৃণমূলের এবং সাতজন ছিলেন বিজেপির সদস্য। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে মোট ২৪ জন ভোট দাতা উপস্থিত হন। ভোটের পরে স্থায়ী সমিতি গঠনে বিজেপি জয়ী হয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকেই খেজুরি বেশ উত্তপ্ত ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ আসনের মধ্যে ৯ টি বিজেপি এবং ৬ টি তৃণমূল পায়। বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং আরও এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরেই শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। ভোট পর্ব স্থগিত হয়ে যায়। মামলা পৌঁছায় হাইকোর্টে। এরপর আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার স্থায়ী সমিতি গঠন হয়।

    সাংসদের বক্তব্য

    কাঁথি (Purba Medinipur) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “ আমার ভোট উন্নয়নের পক্ষে ছিল। দলের কোন হুইপ থাকলে আমাকে দল জানায় নি। যাঁরা উন্নয়ন করবে তাঁদের পক্ষেই আমি ভোট দিয়েছি। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোট আশা করতে পারেন, কিন্তু তাতে আমার কিছু করার নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা অসিত মণ্ডল বলেন, “ নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য ২৪ জন ভোটারের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৩ এবং তৃণমূল পেয়েছে ১১। আজ শিশিরবাবু তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে দিয়েছেন। আর এরফলেই বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়েছে। কে কাকে ভোট দিয়েছে আমরা সবই দেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। বিডিও অফিসে ঘটল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলল ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হল অফিস এবং গাড়ি। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। স্থায়ী সমিতির গঠনকে নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় ঝুলে রইল সমিতির নির্বাচন।

    ঘটনা কী ঘটেছে?

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল আজ। আর তাকে ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিস এবং সরকারি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে চলে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খেজুরি ২ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন পঞ্চায়েত প্রধান, খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। ঘটনাস্থলে ছিল প্রচুর পুলিশ, জল কামান। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক শোরগোলে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল।

    সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্য চলেছে সর্বত্র। গায়ের জোর দেখিয়ে এলাকা (Purba Medinipur) দখল করতে চাইছে তৃণমূল। শাসক দল বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, একটি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এলাকার মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। মানুষ সবই দেখছেন। এরপর সাংবাদিকরা ভিতরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী আছেন বলে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে সৌমেন্দু বলেন, আইনশৃঙ্খলা মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই জন্যই আমরা আছি বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল মিশ্র পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিজেপিকে উস্কানি দিয়ে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি তৃণমূলের, তাই তৃণমূলই পরিচালনা করবে এই পঞ্চায়েত সমিতিকে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠনের নামে বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ শিশির অধিকারীকে এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। তারপর ভোটাভুটি করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে বিজেপি। বিজেপি ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    কাঁথির মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, বিডিও সাহবের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। অফিসে ভাঙচুরও হয়েছে। তবে কে বা কারা আক্রমণ করছে তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। বিল্ডিং এর বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। বিডিও সাহেবকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।

    কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?

    সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন ‘এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: পর্ষদ স্বীকৃত গণিত বইতেই ‘শুভেন্দু-নওশাদে’র নাম! অঙ্ক-বিভ্রাট কাণ্ডে নতুন মোড়

    Purba Medinipur: পর্ষদ স্বীকৃত গণিত বইতেই ‘শুভেন্দু-নওশাদে’র নাম! অঙ্ক-বিভ্রাট কাণ্ডে নতুন মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রয়েছে শুভেন্দু-নওশাদের নাম। আর এই প্রশ্ন পত্রকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চাল্য শুরু হয়েছে। কেন এই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতাদের নামে গণিত (অঙ্কের) পরীক্ষার প্রশ্ন? নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) মহেশপুর স্কুল শিক্ষকের এমন প্রশ্নের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা(Purba Medinipur)?

    নন্দীগ্রামের মহেশপুর (Purba Medinipur) হাইস্কুলের দশম শ্রেণির দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অঙ্কের প্রশ্ন বলে জানা গেছে। অঙ্কের উদাহরণের মধ্যে ব্যবসায়ী হিসাবে নামের উল্লেখ পাওয়া যায় শুভেন্দু এবং নওশাদের নাম। এই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে সমাজিক মাধ্যমে ব্যাপাক ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু পরে জানা যায় এই প্রশ্ন স্কুল তৈরি করেনি, করেছে মধ্য শিক্ষাপর্ষদ। ফলে শিক্ষাপর্ষদ কীভাবে এই নাম ব্যবহার করে প্রশ্ন করলেন? এই প্রশ্নে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    প্রশ্নপত্রে কী রয়েছে?

    ভাইরাল হওয়া প্রশ্নে রয়েছে, শুভেন্দু-নওশাদ উভয়ে যৌথ ব্যবসা করতে চেয়েছেন। এই ব্যবসার মাধ্যমে লাভ-ক্ষতির একটি বিশেষ হিসেব করতে বলা হয় ছাত্রদের। প্রশ্নের ভাষায় লেখা হয়, “শুভেন্দু- নওশাদ যাথাক্রমে ১৫০০ এবং ১০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করেন। একবছর পরে ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে, শুভেন্দুর ক্ষতি হয়- (৪৫ টাকা/৩০ টাকা/২৫ টাকা/৪০ টাকা।” কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থকেই বিজেপি-আইএসএফকে নিয়ে বারবার শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের সরব হতে দেখা গেছে। এখন স্কুলের (Purba Medinipur) প্রশ্ন কি কোনও উদ্দেশ্য প্রণোদিত? তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    স্কুল শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের(Purba Medinipur) শিক্ষক আশিস দাস বলেন, এই প্রশ্ন আমাদের স্কুলের। অনিচ্ছাকৃত ভাবে এটি ভুল হয়েছে। শিক্ষক আরও বলেন, এই প্রশ্নে এখনও পরীক্ষা হয়নি। আমরা প্রশ্ন বদলে দেবো। এই বিষয়ে আমাদের দুই শিক্ষকে প্রাথমিক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অপর দিকে স্কুলের অঙ্কের মাষ্টারমাশাই রাজীব বলেন, আমি যে প্রশ্ন তৈরি করেছি, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে তার কোনও সাদৃশ্য নেই।

    বিজেপর বক্তব্য

    তমলুক (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন যে তৃণমূল সরকার এখন স্কুলের ছাত্রদের মধ্যেও রাজনীতির ষড়যন্ত্রের বীজ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অপর দিকে প্রশ্ন বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, বিষয়টি দেখেছি, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে চার জনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আর নদিয়ার রানাঘাটেও বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বাজ পড়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে এক মহিলার। তাঁর বয়স ৪০ বছর। রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু, ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি । তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানিদেবী তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁশকুড়া (Purba Medinipur) থানার চকগোপাল গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ। এর ফলে দুই পক্ষের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হবার পর তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকা এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকা।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী অলোককুমার দুলই বলেন, চকগোপাল গ্রাম বহুদিন ধরে সন্ত্রাস কবলিত। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে জনজীবনকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। মানুষ জানেন যে, এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে একমাত্র বিজেপিই মুক্ত করতে পারবে। আর তাই গত বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক একই রকম ভাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপি এলাকায় জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। বাড়ির মহিলাদের মারধর করে বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে! এমনকি বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি এবং টোটকেও ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনা মিথ্যা। আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী দিলীপ দুলই বলেন, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল, অবশেষে গতকাল রাতে এলাকায় বিজেপি করি বলেই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ দুলই বলেন, আমরা চাষ করে দিনপাত করি। এলাকায় তৃণমূল করি। গতকাল রাত ১০ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০ জন বিজেপির কর্মী এসে বাড়িতে হামলা করে। দোষ আমার একটাই কেন তৃণমূল করি! অপর দিকে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁকা মাঠে তাজা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হল ১১ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। জখম কিশোরের নাম নুর ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মনোহরপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে নুর ইসলাম গরুকে জল খাওয়াতে যায়। ফাঁকা মাঠে ঘাসে কিছু পড়ে থাকতে দেখে সে। কিছু বুঝতে না পেরে তার ওপর পা দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আরও কোথাও তাজা বোমা পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন জখম কিশোরের পরিবারের লোকজন?

    বোমায় জখম কিশোরের দাদু সেখ সোহরাব বলেন, বাড়ির গরু ও ছাগলকে ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিয়ে আসা হয়। গরু ও ছাগলকে জল দেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে গিয়েছিল নাতি। তখনই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।  আমাদের প্রশ্ন, এই বোমাগুলি কোথা থেকে এল? আমার অনুমান, আশেপাশে আরও বোমা পড়ে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুক অবৈধভাবে জড়ো করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি হল এই ঘটনা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) পার্টি ক্যাডার। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ তোলে। এটা যে শুধু অভিযোগ নয়, তা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ঘটনায় প্রমাণিত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২৮ জুলাই তৃণমূলের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে টিএমসিপি। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে ২ জনের নাম রয়েছে শেখ আসিফ ইকবাল কাজি এবং মোশারফ হোসেন। এই আসিফ ইকবাল কাজি হলেন নন্দীগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতা?

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পন্ডা বলেন, প্রশাসনিক কাজে যুক্ত, সে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হতে পারে? তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি যাকে করা হয়েছে, তিনি রেলে চাকরি করেন। ফলে, সিভিক ভলান্টিয়াররা যে পার্টি ক্যাডার, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের তমলুক (TMC) সাংগঠনিক জেলার  জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইয়া বলেন, তৃণমূলের  ছাত্র সংগঠন স্বাধীনভাবে কাজ করে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দায়িত্ব দিয়ে থাকলে অসুবিধার কিছু নেই। এর সঙ্গে মাদার সংগঠনের কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটি দায়িত্ব দিয়ে থাকলে থাকতে পারে। তারা স্বাধীনভাবে সমস্ত কিছু দেখাশোনা করে।

    থানা সূত্রে কী জানা গেল?

    একজন প্রশাসনিক কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে রাজনৈতিক কাজে যুক্ত হতে পারেন, সেই নিয়ে বিতর্কের ঝড় নন্দীগ্রামে। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তৃণমূল (TMC)  ছাত্র পরিষদের নেতা শেখ আসিফ ইকবাল কাজির তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। নন্দীগ্রাম থানা সূত্রে খবর, ইকবাল কাজি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে এখনও কাজ করছেন। কোনও পদত্যাগপত্র তাঁর কাছ থেকে থানায় জমা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share