Tag: Putin

Putin

  • Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছেন। গত মাসেই রাশিয়ান সেনা অধিকৃত এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেন সেনার তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে দোনেটস্ক (Donetsk) , লুহানস্ক (Luhansk) , খেরসন (Kherson)  এবং জাপেরিঝিয়া (Zaporizhzhia) এই অঞ্চলের কোনোটিকেই রুশ সেনারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত আট মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধে একাধিক বড় ধরনের পরাজয়ের পর ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারির মাধ্যমে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে রুশ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি যেসব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সমর্থনে অর্থনীতি, শিল্প ও উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাশিয়ার জন্য, আমাদের জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জটিল ও বৃহৎ আকারের সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।যুদ্ধের সমর্থনে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে তিনি রাশিয়ার সব প্রদেশের নেতাদের অতিরিক্ত কর্তৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই সামরিক আইনেই দখলীকৃত চারটি অঞ্চলে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত করা রয়েছে। এলাকায় ভ্রমণ, জনসমাবেশ এই গুলির উপরে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    এদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর খেরসনে আবারো আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। খেরসন পুনর্দখলে ইউক্রেনের এটিই শেষ চেষ্টা বলে মনে করছেন রুশ কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কায় খেরসনের কিছু এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার  বেসামরিক লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই সামরিক আইন জারী করার পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি উল্লেখ করে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেনে ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল। দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে থাকা ছাত্র-ছাত্রী-সহ ভারতীয় নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    তবে শুধু রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে রুশ সামরিক আইন জারির প্রেক্ষিতেই, ভারতীয় দূতাবাস থেকে এই ধরনের পরামর্শ জারি করা হল, তেমনটা নয়। গত আট মাস ধরে যুদ্ধের পর, বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে বড় ধরনের পাল্টা-আক্রমণের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ইউক্রেনীয় শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ-সহ প্রধান প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে লোকালয়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন। ইউক্রেন সরকারের অভিযোগ, দেশের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, ইউক্রেনের বহু অংশেই অন্ধকার নেমে এসেছে। সামনেই শীত আসছে। তার আগে যতটা সম্ভব এলাকা দখলের চেষ্টায় রাশিয়া মরণ কামড় দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের ব্যাপারে তিনি এক প্রকাশ নিশ্চিত। মন্ত্রিসভার সদস্যদের একশো দিনের কাজের পরিকল্পনা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, ভারত-ভাগ্য-বিধাতা। সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (PM Modi) এবার আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখল রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।

    যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ (PM Modi)

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফোনে ফের যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের তরফে আমন্ত্রণ জানানো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    পুতিনকে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দূরভাষে কথা হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছিলেন, “ভারত ও রাশিয়ার স্পেশাল ও প্রিভিলেজড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গভীর ও আরও বাড়াতে কাজ করব বলে আমরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সম্মত হয়েছি।” মোদি-পুতিনের আলোচনায় অনিবার্যভাবেই এসে পড়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। পুতিনকে ফের যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মলনের ফাঁকে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়ও প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। বুধবারও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সময় মোদি তাঁকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটাতে বলেছেন বলে সূত্রের খবর।

    এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-ইউক্রেন অংশীদারিত্ব আরও পোক্ত করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে। শান্তি ফেরাতে ভারতের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং অবিলম্বে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধ থামাতে ভারত মানবিক সাহায্য করে যাবে।” প্রেস বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত চায় যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা, কূটনীতি, ক্রমাগত সংলাপ হওয়া উচিত যাতে উভয় পক্ষই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করেনি। সে খবর মাধ্যম জানিয়েছিল পাঠককে। আবারও রাশিয়া-ইউক্রেনকে শান্তির ললিত বাণী শোনাচ্ছে রাইজিং ইন্ডিয়া। যে ভারতের রূপকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জয়ের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারের পর ফের বুধবার প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন পুতিনকে। ২০২৪ সালে ব্রিকসের সভাপতিত্ব করবে রাশিয়া। তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে ফোন মোদির (PM Modi)

    চলতি বছর অক্টোবরে হবে ব্রিকস সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতিত্বের জন্য রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একাধিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। লিখেছেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আগামী দিনে ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও প্রশস্ত করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।” 

    ফোন জেলেনস্কিকেও 

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মোদি-পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে আরও জোর দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সম্মতিও জানিয়েছেন মোদি-পুতিন। কেবল পুতিন নন, এদিন প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকেও।

    আরও পড়ুুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশই দুই দেশকে অগ্রাধিকার দেয়। আগামী বছরগুলিতে এই অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রাজি হয়েছেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিতে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে মোদি ও পুতিনের। এদিন আরও একবার যুদ্ধের পথ থেকে সরে এসে আলোচনা ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করার পরামর্শও পুতিনকে দেন মোদি। রুশ জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তার পরেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ।

    এজন্য অবশ্য ফাটল ধরেনি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে। যুদ্ধের আবহে যখন আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে, তখনও জাতীয় স্বার্থে পুতিনের দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে মোদির (PM Modi) ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি”, পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: “একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি”, পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।” সোমবার রাশিয়ার পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই কথাগুলিই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৮৭ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন পুতিন।

    পুতিনকে শুভেচ্ছা মোদির (PM Modi)

    ষষ্ঠবারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ৪ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন পুতিনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের জন্য পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি (PM Modi) লিখেছেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছে জানাই। আগামী বছরগুলিতে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।”

    রাশিয়ার সংবিধান

    রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ছ’বছর। ২০১৮ সালে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন পুতিন। তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের পর আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন না তিনি। যদিও এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। ফের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করতে ২০২১ সালেই এই আইন পরিবর্তন করেছিলেন কেজিবির প্রাক্তন প্রধান পুতিন। প্রথম মেয়াদে টানা দু’বার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন টানা তৃতীয়বার। অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার কর্তা তিনিই।

    প্রসঙ্গত, পুতিনের আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পদে দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন জোসেফ স্তালিন ও লিওনিদ ব্রেজনেভ। টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা। তাঁদের সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়তে চলেছেন পুতিন। এহেন পুতিনকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুতিনের মুখে মোদি-স্তুতি শোনা গিয়েছে বহুবার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোদির সাফল্যও কামনা করেছিলেন পুতিন। গত ডিসেম্বরে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছিলেন এবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে ভারতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করবে রাশিয়া (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: বিহারে আসনরফা চূড়ান্ত, কত আসনে লড়বে বিজেপি, জানেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। সেটা ২০২২ সাল। সে বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হয় প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে। মস্কো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ওই আঘাত হানতে চেয়েছিল। তবে, সময়মতো হস্তক্ষেপ করে, একটা বড় বিপর্যয় রুখে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। 

    মোদির (PM Modi) উদ্যোগের প্রশংসা

    রাশিয়া যদি ওই পারমাণবিক আঘাত হানত, তাহলে সেটা হত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ-উত্তর প্রথম পারমাণবিক হামলার ঘটনা। প্রায় আশি বছর আগে জাপানের ওই দুই শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। সিএনএন-এর রিপোর্টেই এই তথ্য মিলেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে নিরস্ত করেছিলেন যিনি, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও কয়েকটি দেশও রাশিয়াকে নিষেধ করেছিল ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে।

    শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)

    ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ সমর্থন করেনি ভারত। তাই এসসিও সামিটে উজবেকিস্তানে গিয়ে যখন পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তিনি পুতিনকে শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়, বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কো যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনও। সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে আঁচ করেই ভারত (PM Modi) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য চায় বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    এই দেশগুলি যাতে পুতিনকে বোঝায়, তিনি যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন। প্রবীণ এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “আমরা ওই দেশগুলিকে কেবল বার্তা পাঠিয়েই ক্ষান্ত হইনি, আমরা তাদের কাছে জোরালো অনুরোধও করেছিলাম। তারা যাতে অন্য দেশগুলিকেও একই অনুরোধ করে, তাও বলেছিলাম।” সিএনএনের প্রবীণ কর্তারা স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য কয়েকজন এই সঙ্কট (ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ) কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্বেগ বুঝতে পারবে রাশিয়া।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এ বিষয়ে কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র হামলা রুখে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    Russian Opposition Leader Dead: রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতার, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে রাশিয়ার জেলে মৃত্যু পুতিন বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির (Russian Opposition Leader Dead)। বয়স হয়েছিল সাতচল্লিশ বছর। রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিসের তরফে এ খবর মিলেছে। ডিসেম্বরেই নাভালনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এখন এল মৃত্যুর খবর। আর্কটিক পেনাল কোলোনিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

    অচৈতন্য হয়ে পড়েন নাভালনি

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নানা সময় মুখর হয়েছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার কারা বিভাগের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার জেলেই অসুস্থ বোধ করেছিলেন নাভালনি। তার আগে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। জরুরি ভিত্তিতে তলব করা হয় মেডিক্যাল স্টাফদের। কিন্তু নাভালনিকে বাঁচানো যায়নি। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিস বলেন, “তিনি যে বেঁচেছিলেন (অচৈতন্য হওয়ার সময়), সে আশা ছিল না।”

    রাশিয়ার কারাগারে বন্দি

    একুশের জানুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি ছিলেন পুতিন-বিরোধী (Russian Opposition Leader Dead) এই নেতা। গ্রেফতারির আগে পুতিন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। এ নিয়ে প্রচারও করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের কড়া সমালোচনাও করেছিলেন নাভালনি।  

    ক্রেমলিন বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বও দেন। তার পরেই উগ্রপন্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালত তাঁকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার প্রিজন সার্ভিস নাভালনির মৃত্যুর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    পুতিন বিরোধী নেতার জেলবন্দি দশায় মৃত্যুতে ফুঁসছে তামাম বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এই ঘটনার জন্য পুতিনই দায়ী। পুতিন সরকারের দুর্নীতি, হিংসা এবং সব খারাপ কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যালিক্সি। তাই তাঁকে মরতে হল। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী। একমাত্র পুতিন দায়ী।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বলেন, “এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুতিন কতদূর যেতে পারেন। রাশিয়ার মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে যিনিই কথা বলতে চাইবেন, তাঁকে থামানোর জন্য যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারেন পুতিন। গোটা বিশ্বের আরও একবার মনে পড়ে গেল, পুতিন ঠিক কত বড় (Russian Opposition Leader Dead) রাক্ষস।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    PM Modi: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে হয়ে গেল জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। আয়োজক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানরা। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একদম সঠিক কাজ করছেন তিনি। দেশে তৈরি গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত।” মঙ্গলবার দেশের বন্দর শহর ভ্লাদিভসতকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’

    দেশীয় পণ্যের ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করে পুতিন বলেন, “আগে আমাদের কাছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি ছিল না, এখন আমাদের কাছে রয়েছে। এটা সত্যি যে মার্সিডিজ বা অডি গাড়ির তুলনায় আমাদের তৈরি গাড়িগুলি অনেক শোভনীয় দেখতে। নয়ের দশকে আমরা অনেক গাড়ি কিনেছিলাম, কিন্তু এটা ইস্যু নয়। আমাদের বন্ধুদের দেখে শেখা উচিত। যেমন ভারত। ওরা দেশীয় প্রযুক্তিতে গাড়ি তৈরি ও তা ব্যবহারের ওপর নজর দিয়েছে। আমার মনে হয়, মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রচার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) একদম সঠিক কাজ করছেন। উনি একদম ঠিক।”

    আরও পড়ুুন: লুকিয়ে একা পর্ন ছবি দেখা কি দণ্ডনীয় অপরাধ? যুগান্তকারী মন্তব্য কেরল হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে নিজস্ব তৈরি গাড়ি রয়েছে। আমাদের সেগুলি ব্যবহার করা উচিত। ওই গাড়িতে কোনও সমস্যা নেই। এতে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিক্রি বাড়বে। এমন একটা চেইন তৈরি করতে হবে, যাতে কোন শ্রেণির আধিকারিকরা কী ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, তা জেনে সেই অনুযায়ী গাড়ি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনা নিয়ে একাধিক প্রস্তাবনা আনা হয়েছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের অটোমোবাইল সংস্থা রয়েছে। আর আমাদের সেই গাড়িগুলি ব্যবহার করা উচিত। এই পদক্ষেপের জন্য আমাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে থাকা কোনও নীতির বিরোধিতা বা লঙ্ঘন করতে হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিপুণ দক্ষতায় ওয়াগনার (Wagner) বিদ্রোহে জল ঢেলে দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Modi-Putin Talk)। রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ক্রেমলিন প্রকাশিত বিবৃতিতে। তাতে বলা হয়েছে, “২৪ জুন রাশিয়ায় যা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে রুশ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট পদক্ষেপে যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা ও রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করা গিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মোদি।”

    মোদি-পুতিন কথা

    শুক্রবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পুতিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনায় উঠে এসেছিল দিন কয়েক আগে ঘটে যাওয়া ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রসঙ্গও। রাশিয়ার দাবি, যেভাবে ওই বিদ্রোহ দমন করেছেন পুতিন, তার প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই রাষ্ট্র প্রধানের (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক ওই বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাশিয়া ও ভারতের রাষ্ট্র প্রধানের। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর রাশিয়ার বর্তমান অবস্থার বিষয়ে মোদিকে অবহিত করেছেন পুতিন। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির বিষয়েও কথা বলেছেন মোদি-পুতিন। জি-২০ সম্মেলন এবং এসসিও সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও ফোনে আলোচনা হয়েছে পুতিন ও মোদির।

    আরও পড়ুুন: “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারত-রাশিয়া এনএসএ কথা

    শুক্রবার মোদি-পুতিন (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক বৈঠকের ঠিক আগের দিন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেছিলেন রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠককে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক জল্পনার। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব যে ডোভালকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে দু দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্যই ডোভালকে ফোন করেছিলেন পাত্রুশেভ।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান মস্কো দখল অভিযানের কথা ঘোষণা (Modi-Putin Talk) করেন। এর পরেই রাশিয়ার তরফে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন সহ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। একদা ঘনিষ্ঠ প্রিগোঝিনকে বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন পুতিন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। ইতি পড়ে বিদ্রোহে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

LinkedIn
Share