Tag: QRSAM

QRSAM

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সৌজন্য তামাম বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। এবার, আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) বা আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শীঘ্রই ভারতের হাতে আসছে আরও একটি নতুন ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার পোশকি নাম কুইক রিয়্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে ‘কিউআরস্যাম’ (QRSAM)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ৩০ হাজার কোটি টাকার কিউআরস্যাম

    ভবিষ্যতে পাকিস্তান, চিনের বিরুদ্ধে সংঘাতের মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩০,০০০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন স্বদেশীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (QRSAM) কিনতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিনস্থ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, দেশের পশ্চিম এবং উত্তর সীমান্তে মোতায়েনের জন্য দেশীয় এই নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (Air Defence System) তিনটি রেজিমেন্ট কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি যৌথভাবে উৎপাদন করবে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ভারত ডিনামিক্স লিমিটেড।

    প্রতিক্রিয়ার সময় মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড!

    যা জানা যাচ্ছে, ‘কিউআরস্যাম’-কে (QRSAM) বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেনার ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অ্যাসেটগুলিকে লক্ষ্য করে হওয়া শত্রুর ফাইটার, হেলিকপ্টার, ড্রোন, সার্ফেস-টু-সার্ফেস এবং এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল সহ আকাশপথে যে কোনও হানা প্রতিহত করার জন্যে। কিউআরস্যাম সিস্টেমটি একটি ট্রাকে চাপিয়ে সেনা কনভয়ের সঙ্গেও চলতে পারে। সিস্টেমটি কুইক রিয়্যাকশন-এর জন্যে তৈরি। অর্থাৎ, একটি টার্গেট চিহ্নিত ও লক থেকে লঞ্চ হতে সময় নেয় মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড। দিন হোক বা রাত– যে কোনও সময়ই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (Air Defence System) সমান কার্যকর। প্রতিটি লঞ্চারে ৬টি মিসাইল থাকে। একটি ব্যাটারিতে ৪টি লঞ্চার, একটি ব্যাটারি সার্ভিলেন্স রেডার, এবং ব্যাটারি মাল্টি ফাংশন রেডার আর কমান্ড সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ প্রতি ব্যাটারিতে ২৪টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, সঙ্গে রিলোড মিসাইল থাকে। ৩টি ব্যাটারি থাকে একটি রেজিমেন্টে। অর্থাৎ ২৪×৩=৭২টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল। ভারত ৩টি রেজিমেন্ট নিচ্ছে। অর্থাৎ ৭২×৩=২১৬টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, এর সঙ্গে আলাদা রিলোড মিসাইল। সেনাবাহিনীর আখেরে ১১টি কিউআরস্যাম (QRSAM) রেজিমেন্টের প্রয়োজন হবে।

    ভারতে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা (Air Defence System)

    ভারত বর্তমানে বিভিন্ন পাল্লার জন্য বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছে, যাদের সমন্বয় ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আকাশতীর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। দূরপাল্লার জন্য রয়েছে রাশিয়া থেকে কেনা ৩৮০ কিমি পাল্লার ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, যা ভারতে ‘সুদর্শন চক্র’ হিসেবে পরিচিত। মাঝারি পাল্লার জন্য রয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ৭০ কিমি পাল্লার ‘বারাক-৮’ ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া রয়েছে ২৫ কিমি পাল্লার স্বদেশীয় ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা সিস্টেম এবং ৬ কিমি পাল্লার ‘ভিশোরাড’ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রায় ৩০ কিমি পাল্লার কিউআরস্যাম (QRSAM) সিস্টেমটি স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার বিদ্যমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের (Air Defence System) আওতায় এগুলো ছাড়াও রয়েছে এল-৭০, জডইউ-২৩ এবং শিলকা বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, যেগুলি অপারেশন সিঁদুর-এর সময় নিজেদের জাত চিনিয়েছিল। এর বাইরে, ভারত বর্তমানে ‘প্রোজেক্ট কুশ’ নিয়ে গবেষণা করছে। এটি অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষা শুরু হবে। ভারতের লক্ষ্য, ২০২৯ ২০২৯ সালের মধ্যে ৩৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা।

  • QRSAM: পরীক্ষা সফল! সেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তৈরি কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল

    QRSAM: পরীক্ষা সফল! সেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তৈরি কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বৈরিতা লেগেই আছে। তাই শত্রুপক্ষের মোকাবিলায় ক্রমশ নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিদেশি তৈরি মিশাইল বা যুদ্ধাস্ত্র নয়, দেশে তৈরি আধুনিক সমরাস্ত্রের উপরই ভরসা রাখছে সেনা। সেই মতো চলছে পরীক্ষা। একের পর এক সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে ডিআরডিও (DRDO)। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে তাই এয়ার মিসাইলের শক্তি পরীক্ষা শুরু করেছে ডিআরডিও। বৃহস্পতিবার ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) থেকে মাঝারি পাল্লার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইলের (QRSAM) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ডিআরডিও। দুরন্ত গতির এই এয়ার মিসাইল ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা যায়। যে কোনও নিশানায় অতি দ্রুত লক্ষ্যভেদ করতে পারে এই মিসাইল।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা যতটা তার চেয়েও বেশি দূরে ছুটে গিয়ে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাতহানতে পারে। এই মিসাইল সিস্টেমে রয়েছে (QRSAM) অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিকালি-স্ক্যানড অ্যারে মাল্টিফাংশনাল রাডার সিস্টেম। এর ফলে বহুদূর থেকেও শত্রুসেনার এয়ারক্রাফ্টের সন্ধান পাওয়া যায়। দিনে ও রাতে য কোনও সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো যাবে। আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র কাজ করতে সক্ষম।

    আরও পড়ুন: ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    ডিআরডিওর তরফে জানানো হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম, মাল্টি  ফাংশনালরাডার ও সার্ভিল্যান্স। এই মিসাইলের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপে অনেক আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে। এই মিসাইলের গতি বাড়ানোর জন্য সলিড ফুয়েল ডাকটেড র‍্যামজেট (এসএফডিআর) টেকনোলজির প্রয়োগ করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোনওরকম যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই এই মিসাইল তীরের বেগে উড়ে গিয়ে নিশানায় আঘাত করেছে। প্রতিরক্ষা বিশষজ্ঞদের মতো,  কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইলের সফল পরীক্ষা প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের এক বড় সাফল্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share