Tag: Rafale Fighter Jet

Rafale Fighter Jet

  • Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়ো প্রচার চালিয়েছিল চিন। বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি আমেরিকার। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে এবং ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাফালে ধ্বংসের খবর ছড়িয়েছিল চিন। সঙ্গী হয় পাকিস্তানও। কিন্তু আমেরিকার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাফাল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে চিন। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাফালের জনপ্রিয়তা কমিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির চিনা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানকে তুলে ধরা। তাই অপারেশন সিঁদুরের সময়টাকেই হাতিয়ার করে চিন।

    কেন অপপ্রচার চালায় চিন

    চলতি বছর মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে চিন। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান নামিয়েছে তারা। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। এবার জানা গেল, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমানের সুনাম নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছে চিন। সম্প্রতি ‘আমেরিকা-চিন ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশন’-এর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে মরিয়া বেজিং, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।

    ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় থেকেই চিন এই ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এআই দিয়ে তৈরি ভাঙা রাফালের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চিন, এমনটাই দাবি আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে। ভুয়ো ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের ব্যবহার করা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতে পারেনি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যকে খাটো করে এবং রাফালকে দুর্বল প্রমাণ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির কাছে নিজেদের যুদ্ধবিমান বেচতে চেয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। আমেরিকার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের হামলার পরে ভারত যখন তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিল, তখন নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই ডিজিটাল যুদ্ধ চালায় চিন। এমনকি এই সুযোগে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেয় তারা।

    ফ্রান্সের সংস্থার দাবি

    চিনের এই হীন চক্রান্ত ফাঁস হতেই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাফাল প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের কর্তারা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে রাফাল সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। ওই দেশগুলি যাতে রাফাল না কেনে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ওই দুই দেশ। তাদের মূল উদ্দেশ্য, রাফাল যুদ্ধবিমানের ‘সুখ্যাতি’ নষ্ট করা। ফ্রান্সের শীর্ষকর্তারা দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সত্যি নয়। রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ফ্রান্স দাবি করে, তাদের যুদ্ধবিমান নিখুঁত। রাফালের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার অভিযান চলছে এবং ফরাসি আধিকারিকেরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, দাবি করেছিল সে দেশের সরকার। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের বিক্রি কমানোর জন্য চিনের মদতে এই ধরনের প্রচার চলছে। এ বার মার্কিন রিপোর্টও একই দাবি জানাল। রাফাল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত-পাক সংঘাতের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। রাফাল জেটের কার্যক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া সরকার। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এতেও চিনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাকিস্তান চিনের তৈরি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের কাছে আরও ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রায় একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছে।

    দেশের ভিতরে অপপ্রচার

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভিতরে কারা সেদিন চিনের এই মিথ্যা আখ্যানের পালে হাওয়া দিয়েছিল? কারা কয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে জানতে চেয়েছিল? তিনি কারও নাম করেননি, তবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কথাই বলতে চেয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্রের সামনে পাকিস্তানের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে এবং ভুয়ো দাবি করছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করছিল যে ভারতের নাকি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে দাবি করছিল যে “সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তারই মধ্যে এখন মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাফাল ধ্বংস করার যে দাবি করছিল পাকিস্তান, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জাল ছিল। এর পিছনে চিনের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। মার্কিন কমিশন এটিকে চিনের ব্যাপক ‘গ্রে জোন কৌশল’-র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে সরাসরি সামরিক সংঘাত ছাড়াই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা হয়।

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

  • Suvendu Adhikari: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কলকাতা দখল! একটা রাফালই যথেষ্ট’, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাব শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সামরিক শক্তি কত বেশি, তা বাংলাদেশের (Bangladesh) অনুমান ক্ষমতারও বাইরে। ভারত কতটা শক্তিশালী, সেটা জানে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের মতো দেশ। একটা রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা ভয়ঙ্কর তা বুঝতে পারছে না বাংলাদেশের একাংশ। কাঁথিতে রবিবার জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    রাফাল-হুমকি

    রবিবার কাঁথিতে সনাতনী সমাজের মিছিলের পরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, বাংলাদেশের যে ব্যাক্তি, চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছেন, তিনি অবার্চীনের মতো কথা বলেছেন। বিজ্ঞান নিয়ে ন্যূনতম ধারণা নেই তাঁর। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘কতগুলো অর্বাচীন ঢাকায় দাঁড়িয়ে কাল বলেছে, চার ঘণ্টার মধ্যে নাকি কলকাতা দখল করবে। ওই লোকগুলো কোনও স্কুল-কলেজে পড়েছে বলে জানা নেই আমার। আমাদের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার যে রাফাল বিমানগুলি রাখা আছে না, তার একটা যদি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, শুধু আওয়াজেই ওদের প্যান্টে বাথরুম হয়ে যাবে, আমি বলে গেলাম। ভারতের সামরিক শক্তি কত, সেটা রাশিয়া জানে, আমেরিকা জানে, চিন জানে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘লাশ চাইনি আমি! নতুন সূর্যের উদয় হবে’’, লন্ডনে হাসিনার বক্তব্যে সংখ্যালঘু হত্যা প্রসঙ্গ

    ইতিহাস-স্মরণ

    রবিবার, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রাথমিকভাবে মিছিলের আয়োজন করা হয় কাঁথিতে। সেই মিছিলের শেষে কড়া ভাষায় বাংলাদেশকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘একাত্তর সালে দেড় বছর ধরে অত্যাচার হয়েছে। হিন্দু মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করার জন্য ৩০ লাখ (মানুষ) শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন বাঙালি হিন্দু। ৩,০০০ ভারতীয় সৈনিক শহিদ হয়েছিলেন। আমাদের হাজার-হাজার বিএসএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তারপর বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। দেড় বছর ধরে অত্যাচার করেছিল (পাকিস্তান)। আমি বলি, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। বাংলাদেশের এই মৌলবীগুলো, উগ্রপন্থীগুলোরও পাকিস্তানের রাজাকারদের যা হাল হয়েছিল, সেই হাল হতে চলেছে। অপেক্ষা করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল-এম যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত! ফরাসি সংবাদপত্র ‘লা ত্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম বিমানই যে ভারতীয় নৌসেনা কিনবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।  ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। তাঁর মধ্যে সর্বাধুনিক সংযোজন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। কিন্তু বিক্রান্তের জন্য নৌ সেনার দরকার আধুনিক যুদ্ধবিমান। এক্ষেত্রে লড়াই চলছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট ও ফ্রান্সের রাফালের মধ্যে। নৌসেনা সূত্রে খবর, রাফাল এম কেই বেছে নিতে চলেছে ভারত।

    কবে চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার পর এবার রাফাল ফাইটার জেট পেতে চলেছে দেশের নৌসেনাও। আগামী মার্চ মাসেই ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর। ফরাসী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই সময়ই সম্ভবত নৌসেনার জন্য রাফাল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে অন্তত ২৬টি রাফাল জেট কিনবে ভারত।

    কেন রাফাল

    নৌসেনার তরফে ইতিমধ্যেই রাফাল-এম এর পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা হয়েছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেটও।  গোয়ায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আইএনএস হংস রণতরী থেকে পরীক্ষা করা হয়েছিল যুদ্ধবিমান দুটির। গত ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিশদ রিপোর্ট পেশ করেছিল নৌবাহিনী। এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান প্রত্যাখ্যান করে রাফালই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য একেবারে উপযুক্ত হবে রাফাল এম যুদ্ধবিমান, এমনটাই দাবি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের।

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    নৌসেনার তরফে জানানো হয়, যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল। কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি। এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে,রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share