Tag: rafale m jet deal

  • Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M) কেনার বিষয় চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। বুধবারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। যা জানা গিয়েছে, এই বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল (G2G Deal) হবে। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হবে। চুক্তির মূল্য আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যার দৌলতে, ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale-M) ফাইটার জেট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ, অস্ত্র, সিমুলেটর, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে চুক্তির আওতায়।

    বেশি খরচে কম সংখ্যক বিমান

    এর আগে, ২০১৬ সালে একইভাবে ফ্রান্সের থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল এফ-৩ যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। সেবারও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় রফা হয়েছিল। ফলে, একটা প্রশ্ন আসতে পারে, ৩৬টি বিমান কিনতে যা অর্থ ব্যয় হয়েছিল, সেই তুলনায় একই সংস্থা থেকে কম সংখ্যক একই প্রজাতির বিমান কিনতে বেশি খরচ কেন? প্রশ্নটা বৈধ। তবে, উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে বিমানেই। বায়ুসেনার ব্যবহৃত রাফালের (Rafale-M) সংস্করণ এবং বিশেষভাবে নৌবাহিনীর জন্য তৈরি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের মধ্যে অনেক মিল আছে বটে, তবে ফারাকটাও বিস্তর। বায়ুসেনার মডেলের তুলনায় এই সংস্করণে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটি বিমানবাহী রণতরী থেকে অপারেট করতে পারে। কীরকম? তা একটু খোলসা করে বলা যাক (Rafale vs Rafale-M)।

    রাফাল বনাম রাফাল-এম: তুল্যমূল্য বিচার (Rafale vs Rafale-M)

    বায়ুসেনায় ব্যবহৃত রাফালের তুলনায় তার নৌ-সংস্করণ (Rafale-M) বেশি ভারী। এর প্রধান কারণ, রাফাল-এম জেটের সামনের ছুঁচলো দিক (বিমানের নাক) অধিক লম্বা ও রিইনফোর্সড করা। লক্ষ্য, মাঝ-সমুদ্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমান ও পাইলটকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করা। একইসঙ্গে, এই বিমানে একটি শক্তিশালী ‘আন্ডারক্যারেজ’ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়।

    সাধারণ রাফাল যুদ্ধবিমান টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট রানওয়ে পায়। একটা রানওয়ে সাধারণত দেড় থেকে ২ কিমি লম্বা হয়। ফলে, আকাশে ওড়ার প্রয়োজনীয় শক্তি রানওয়ে থেকে পেয়ে যায় রাফাল। সেই জায়গায়, রাফাল-এম (Rafale-M) জেটকে উড়তে হবে ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর ডেক থেকে। আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেকে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ মিটার। যা রানওয়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট।

    ছোট ডেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং

    এছাড়া, ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারগুলির ডেকের চরিত্র ভিন্ন। মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলিতে রয়েছে ক্যাটাপুল্ট অ্যাসিস্টেড টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (ক্যাটোবার) সিস্টেম। এখানে ডেকের ঠিক নীচে একটি স্প্রিং-কয়েল থাকে। সেই স্প্রিংকে বিমানের সামনের চাকার সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্প্রিং ছেড়ে দিলে, তা উচ্চগতিতে রিকয়েল করতে করতে বিমানকে টেনে নিয়ে গিয়ে ডেক থেকে উড়িয়ে দেয়। ফলে, বিমান যত ভারীই হোক, তাতে সমস্যা হয় না। সেখানে, ভারতের ক্যারিয়ারগুলি শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে বিমানের টেক-অফ (ওড়ার) করার জন্য এক প্রান্তে স্কি-জাম্প রয়েছে। অর্থাৎ, ওপরের দিকে বাঁকানো। ফলে, বিমানকে নিজের শক্তিতে উড়তে হয়।

    রাফাল-এম (Rafale-M) একে বেশি ভারী। তার ওপর টেক-অফের জায়গা কম এবং ক্যাটবার বা আরও আধুনিক ইমালস (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিস্টেম) নেই ভারতীয় রণতরীতে। ফলত, এই সমস্যার মোকাবিলা করতে রাফাল-এম জেটে বসানো হয়েছে অনেকটাই শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের থ্রাস্ট ভারী রাফাল-এম জেটকে অস্ত্র নিয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের ডেক থেকেও উড়তে সাহায্য করে।

    এছাড়া, রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে রয়েছে একাধিক পরিবর্তন। এতে যোগ করা হয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি, যা একে বায়ুসেনার ভার্সান থেকে পৃথক করেছে।

    রাফাল-এম জেটের অনন্য বৈশিষ্ট্য

    ● এতে থাকছে অ্যারেস্টার হুক। জাহাজের ডেকে অবতরণ করার জন্য। এই হুকের সাহায্যেই বিমানগুলি রণতরীর ছোট্ট ডেকে গতিতে অবতরণের পরও থেমে যেতে পারে। এছাড়া রয়েছে ক্যারিয়ার-নির্ভর মাইক্রোওয়েভ ল্যান্ডিং সিস্টেম।

    ● জায়গা বাঁচাতে এই বিমানের সঙ্গেই থাকে একটি ছোট ভাঁজযোগ্য সিঁড়ি। যার মাধ্যমে পাইলট বিমানে চড়তে বা বেরোতে পারেন।

    ● জায়গা বাঁচাতে রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানের ডানাগুলি ভাঁজ করা যায়, যা বায়ুসেনার ভেরিয়েন্টে সম্ভব নয়।

    ● ডানার একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে বিশেষ ‘টেলেমির সিস্টেম’, যা বাহ্যিক সরঞ্জামের সঙ্গে বিমানের ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের সুসংহত যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

    ● এছাড়া, এই রাফালের নৌ-ভার্সানে রয়েছে ‘থালেস আরবিই২-এম’ রেডার সিস্টেম। এটি যে কোনও সমুদ্র-অভিযানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    ● রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘থালেস স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট’, যা নৌসেনার অভিযানে ভীষণই প্রয়োজনীয়।

    ● এখানেই শেষ নয়। রাফালের বায়ুসেনার ভার্সানের তুলনায় রাফাল-মেরিন (Rafale vs Rafale-M) সংস্করণ বিমানটি আরও বেশি ধরনের অস্ত্রবহনে সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া থাকে আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রও।

  • Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Super Rafale F5)। আগামী এক-দু মাসের মধ্যেই ওই ফ্রান্সের সঙ্গে সরকারিস্তরে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে ভারত, এমন জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই চুক্তি হলে, তা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে চলেছে। তবে, এটা খবর নয়। কেন্দ্রীয় সূত্র মারফৎ নতুন যা তথ্য এসেছে, তা আরও চমকে দেওয়ার মতো। এক কথায়, শীঘ্রই সম্ভবত ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হতে চলেছে ‘মাদার অফ অল ডিফেন্স ডিল’।

    যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত!

    শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি মিডিয়াম রোল ফাইটার এয়ারক্র্যাফট বা এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত। সূত্রের দাবি, সরকারিভাবে এখনও এই নিয়ে কোনও কথা না বলা হলেও, ভারত আবার রাফালকেই কিনতে চলেছে। তবে, এক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনায় বর্তমানে রাফালের যে সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে, এমআরএফএ-তে সেই বিমান আসবে না। ভারত চাইছে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে একেবারে সর্বাধুনিক মডেল ‘সুপার রাফাল’-কে ঘরে তুলতে।

    কী এই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5)

    ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) ডিল বা সরকারিস্তরে সরাসরি চুক্তি করেছিল ভারত। রাফালের কার্যকারিতা ও ক্ষমতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় বায়ুসেনা। যে কারণে, সম্প্রতি নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-মেরিন (নৌ-সংস্করণ) কেনায় সম্মতি জানিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। এই চুক্তিও সম্ভবত হতে চলেছে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। তবে, ভারতীয় বায়ুসেনা বর্তমানে যে রাফাল ব্যবহার করছে সেটি এফ-৩ সংস্করণের। তবে, এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য ভারতের চাইছে একেবারে এই যুদ্ধবিমানের সর্বাধুনিক তথা এই শ্রেণির সবচেয়ে শক্তিশালী এফ-৫ সংস্করণ কিনতে। অন্তত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার ইচ্ছা তেমনই। এই যুদ্ধবিমানকেই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5) বলে অভিহিত করেছে বিমানটির ফরাসি প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো।

    ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের ‘সুপার রাফাল’

    ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (AMCA) তৈরি করছে। ফলে, ভারত চাইছে এমন একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যা ক্ষমতায় পঞ্চম প্রজন্মের মতো পাল্লা দিতে সক্ষম। রাফালের এফ-৩ সংস্করণটি কার্যত চতুর্থ প্রজন্মের। কিন্তু, এফ-৫ সংস্করণটি (Super Rafale F5) ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের। এই সংস্করণে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের একাধিক প্রযুক্তি রয়েছে। অন্তত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান এমনটাই। কারণ, এফ-৫ রাফাল জেটে যুক্ত করা হয়েছে এমন প্রযুক্তি, যা বর্তমান তো বটেই, এমনকী ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্যও আদর্শ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে এই যুদ্ধবিমানকে ‘অত্যন্ত বুদ্ধিমান’ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী এক ‘লয়াল উইংম্যান’-কেও।

    কী এই ‘লয়াল উইংম্যান’?

    আকাশ যুদ্ধে ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট বা ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে ভারত সহ বিশ্বের তামাম সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশ গবেষণা চালাচ্ছে। ভারতের ‘অ্যামকা’-তেও এই ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট রাখা হয়েছে। ‘লয়াল উইংম্যান’ হচ্ছে একটি আনম্যানড্ কমব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যল বা ইউসিএভি (UCAV)। এক কথায় সশস্ত্র মানববিহীন যুদ্ধবিমান। এটি মাদারশিপের (চালক যুদ্ধবিমান) সঙ্গে সুসংহত যোগাযোগ রেখে পাশাপাশি উড়বে। পেটে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম ‘লয়াল উইংম্যান’ (Loyal Wingman) মাদারশিপের পাইলটের কমান্ডে যাবতীয় কাজ করবে। শুধু তাই নয়। প্রয়োজন পড়লে, পাইলট তথা মূল যুদ্ধবিমানকে বাঁচাতে নিজেকে বলিদান দেবে।

    ছায়াসঙ্গী সবচেয়ে ঘাতক ড্রোন

    ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নুর দাবি, নতুন এফ-৫ রাফাল (Super Rafale F5) জেটটি একটি স্টেলথ ফাইটার ড্রোন দিয়ে সজ্জিত হবে।” মন্ত্রীর কথার সত্যতা স্বীকার করে নেন রাফালের প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো-র সিইও এরিক ত্রাপিয়ে। তাঁর মতে, রাফালের সঙ্গে এই ইউসিএভি যুক্ত করলে আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই মিশনের কর্মক্ষমতা এবং সাফল্যের শতাংশ বহুগুণ উন্নত হতে পারে।” তিনি আরও জানান যে, রাফাল এফ-৫ জেটের (Super Rafale F5) ইউসিএভি-র ওজন হবে ১০ টন এবং তার অস্ত্রবহন ক্ষমতা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টন হবে। এছাড়া, পূর্বসূরি এফ-৪-এর তুলনায় এফ-৫ সংস্করণে আরও শক্তিশালী সাফরান ইঞ্জিন এবং সর্বাধুনিক ডেটা লিঙ্ক থাকবে। এতে মোতায়েন করা যাবে স্ক্র্যামজেট-নির্ভর হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে ০-২০ গুণ বেশি গতি) ক্ষেপণাস্ত্র, যা লড়াইয়ে যুদ্ধবিমানকে প্রভূত সুবিধা দেবে।

    এমআরএফএ নিয়ে ফ্রান্সের আগ্রহ

    কিন্তু, কেন রাফাল এফ-৫ (Super Rafale F5) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কেনই বা এই বিমানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় কর্তারা? কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফ্রান্স এবং উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিকস্তরে এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে ভারত। সূত্রের দাবি, আলোচনার টেবিলে ফ্রান্স ভারতের এই শর্তে রাজি হয়েছে যে, এমআরএফএ চুক্তি হলে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি বিমান ফ্রান্সে তৈরি হয়ে আসবে। বাকিগুলো ভারতেই তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, দাসোর সিইও ত্রাপিয়ে ভারতকে খোলা প্রস্তাব দিয়েছেন যে, তারা ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমান উৎপাদনের একটি পৃথক অ্যাসেম্বলিং ইউনিট খুলতে ভীষণই আগ্রহী। শর্ত একটাই— যদি ভারতের থেকে ন্যূনতম ১০০টি যুদ্ধবিমানের বরাত মেলে তবেই। এদেশে দাসোর অ্যাসেম্বলি ইউনিট হলে, খরচ অনেকটাই কম হবে। পাশাপাশি, রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও প্রচুর সুবিধা হবে। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করতে শীঘ্রই ভারতে আসতে পারেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নু। তখনই, এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে ফের বসা হবে বলে আশা।

    চুক্তি হলেই ভারতে অ্যাসেম্বলি ইউনিট

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাফাল এফ-৫ যুদ্ধবিমান (Super Rafale F5) এখনও হাতে পায়নি ফরাসি বায়ুসেনাই। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশা, ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ এই যুদ্ধবিমান সেদেশের বায়ুসেনার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ভারত যদি আগামী এক-দু বছরের মধ্যে এই চুক্তি করে নেয়, তাহলে, দাসো দ্রুত এদেশে অ্যাসেম্বলি ইউনিট তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, দাসোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে ভারতের এক বা একাধিক বেসরকারি সংস্থাও। তেমনটা হলে, ২০৩২ সাল থেকেই ভারতের কারখানা থেকে রাফাল এফ-৫ বের হবে।

  • Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতে আসতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale M) কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় খবর।

    ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বুধবারই এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যেমন দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই এক্ষেত্রেও ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale M) ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে।

    নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন

    তবে, বায়ুসেনার সংস্করণের থেকে রাফালের নৌবাহিনীর সংস্করণ কিছুটা আলাদা হবে। মূলত, নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী, তাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাফাল-এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের সামনের অংশটি আরও লম্বা, শক্তিশালী। এছাড়া, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সুবিধার্থে এই বিমানে একটি শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলিতে ব্যবহৃত শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) বা স্কি-জাম্প পদ্ধতির জন্য এই বিমানগুলিকে তেমনভাবেই মডিফাই করা হয়েছে।

    মিগ-২৯কে-এর জায়গা নেবে রাফাল-এম

    নৌসেনার এক কর্তা জানান, রাফাল-এম যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠা-নামার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং একবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে, এই জেটগুলি ভারতীয় নৌবহরের পরিপূরক হবে। এই জেটগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। ওই কর্তা জানান, একবার রাফাল-এম (Rafale M) জেটগুলি আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন হয়ে গেলে, ভারতের জলসীমায় নৌসেনার (Indian Navy) সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

    চার বছর পর থেকে আসবে বিমানগুলি

    জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন ফাইটার জেট কেনার পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ব্যাচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকটি যুদ্ধবিমান (Rafale M) ২০৩১ সালের মধ্যে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

LinkedIn
Share