Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • Rahul Gandhi: রাহুল ও কংগ্রেসকে নিশানা করে চিঠি বিশিষ্ট নাগরিকদের

    Rahul Gandhi: রাহুল ও কংগ্রেসকে নিশানা করে চিঠি বিশিষ্ট নাগরিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (ECI) নিশানা করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার রাহুল এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন দেশের ২৭২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি, ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিক, কূটনীতিক ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীণ সদস্যরাও। বুধবার ওই চিঠি দেন তাঁরা। চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনবিশ্বাস ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি পরিকল্পিত চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অভূতপূর্ব হস্তক্ষেপ ভারতের প্রতিষ্ঠানগত ও কৌশলগত ব্যবস্থার কিছু অংশে দেশের সংবিধানিক সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রতিফলিত করে।

    স্বাক্ষরকারীরা (Rahul Gandhi)

    চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ১২৩ জন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট, ১৪ জন রাষ্ট্রদূত এবং ১৩৩ জন প্রাক্তন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধিকারিক। তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে তারা পুনরাবৃত্তিমূলক, প্রমাণহীন এবং উসকানিমূলক নির্বাচনী প্রতারণার অভিযোগ করছে, যা তাঁদের মতে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে। চিঠিটিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “এই ধরনের বিবৃতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস ক্ষয় করে এবং সংবিধানিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাজকর্মকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে।”

    রাহুলের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন রাহুল। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ভোট চুরি এবং হরিয়ানা ও কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। যদিও এসব দাবির পক্ষে কোনও জোরালো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি (Rahul Gandhi)। রাহুলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ECI) রাহুলকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, “তিনি যেন হলফনামা জমা দিয়ে নির্দিষ্ট করে অবৈধ ভোটারদের নাম উল্লেখ করেন, যাতে অভিযোগগুলি যাচাই করা যায়।” তবে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও হলফনামা জমা দেওয়া হয়নি কংগ্রেসের তরফে (Rahul Gandhi)।

  • Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    Rahul Gandhi: আরও একটি নির্বাচন, আরও একবার পরাজয়! রাহুলকে পুরস্কার দিন, তোপ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি নির্বাচন, আরও একটি পরাজয়! বিহারে হারের (Bihar Election Results) পর রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তোপ দাগল বিজেপি। বিহারে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে গত দুই দশকে ৯৫টি নির্বাচনী পরাজয় দেখিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতার সমালোচনা করেছে বিজেপি। কার্যত রাহুলের নেতৃত্বে লালুপুত্র তেজস্বীকেও বড়সড় হারের মুখে পড়তে হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। সোনিয়া গান্ধীর পর দলের কমান সামলেছেন পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে আশানুরূপভাবে সাফল্য পায়নি দল। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য হাত ছাড়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহার ভোটের প্রচারে রাহুল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং এসআইআর ইস্যুতে ভোট চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরলেও, বিহারবাসী ইভিএমের ভোটে তার কড়া জবাব দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পরাজয়ের পুরস্কার (Rahul Gandhi)!

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি পোস্ট করে রাহুলকে নিশানা করে বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নানা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেখানে যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে সেখানে পরাজয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। বিহারের এই নির্বাচন (Bihar Election Results) আরও এক পরাজয়। তবে হ্যাঁ এই পরাজয় ধারবাহিক পরাজয়। এভাবে লাগাতার পরাজয়ের জন্য যদি কোনও পুরস্কার থেকে থাকতো তাহলে সবগুলি পুরস্কার তিনি একাই পেতেন।”

    লোকসভা বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়

    ভারতের একটি মানচিত্রের গ্রাফিক্স প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা মালব্য। তাতে রাজ্যগুলির ৯৫টি তির চিহ্ন দিয়ে মানচিত্রও শেয়ার করেছেন। সেখানে রাহুল দলের কেন্দ্রীয় প্রচারক হয়ে ভোট প্রচারে যাওয়ার জন্য সেখানে সেখানে কংগ্রেসকে পরাজয়ের মুখ দেখাতে হয়েছে। এই তালিকায় প্রায় প্রতিটি প্রধান রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- হিমাচল প্রদেশ (২০০৭, ২০১৭) এবং পাঞ্জাব (২০০৭, ২০১২, ২০২২) থেকে শুরু করে গুজরাট (২০০৭, ২০১২, ২০১৭, ২০২২), মধ্যপ্রদেশ (২০০৮, ২০১৩, ২০১৮, ২০২৩), মহারাষ্ট্র (২০১৪, ২০১৯, ২০২৪) এবং দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাধিক ভোট কেন্দ্র রয়েছে। তবে এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরাজয় এবং ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের নানা আসনও রয়েছে। ওই মানচিত্রে ভোটকেন্দ্র এবং আসনগুলি লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় কেন্দ্রের পরাজয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    সরকার গড়ার পথে এগিয়ে এনডিএ

    বিহারে (Bihar Election Results) বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসয়ানের দল, জিতেন রাম মাঝির দল এখন বিরাট জয়ের পথে। সরকার গড়তে গেলে বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১২২টি আসন প্রয়োজন। তবে এখনও পর্যন্ত ২০৩টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তাই জয় নিশ্চিত মনে করেছে এনডিএ জোট। অপরে বাম কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট ৩৬ আসনে এগিয়ে।

    মোদির সভায় বেশি জয়

    এই জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “সুশাসন, বিকাশ, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে। বিহারে শাসকজোটের এই সাফল্য ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব। মানুষের এই রায় সাধারণ জনতার সেবা করার এবং বিহারের জন্য নতুন সংকল্পে কাজ করার শক্তি দেবে আমাদের।” উল্লেখ্য এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যে যে এলাকায় সভা করেছেন সেখানে সেখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। আর রাহুল (Rahul Gandhi) যেসব এলাকায় প্রচারে গিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের ভোট কমেছে।

    প্রভাব ফেলেছে এসআইআর

    পরিসংখ্যান বলছে, বিহার নির্বাচনে ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রে এসআইআরের কারণে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ পড়েছে। পটনা, মধুবনি এবং পূর্ব চম্পারণ জেলা বাতিলের তালিকায় শীর্ষে। এসআইআর প্রভাবিত এই ১০৬টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায়ই জয়ী হতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। মহাগঠবন্ধনের দখলে থাকতে পারে হাতেগোনা কয়েকটি আসন। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, এসআইআরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অপপ্রচার এবং অভিযোগ ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেনি।

  • Bihar Election Results: রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে সাড়া নেই, ২০২০-র তুলনায় আরও নিচে নামল কংগ্রেস

    Bihar Election Results: রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে সাড়া নেই, ২০২০-র তুলনায় আরও নিচে নামল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ কংগ্রেস, আরও একবার প্রমাণিত গেরুয়া ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল ‘হাত’। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Election Results) আবারও কোনও ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হল কংগ্রেস। প্রাথমিক গণনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, তারা লড়াই করা ৬০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ রূপান্তর হার ১০ শতাংশেরও নিচে—২০২০ সালের তুলনায় আরও বড় ধাক্কা। ২০২০ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৭০টি আসনে লড়াই করে ১৯টি আসনে জয় পেয়েছিল।

    ‘ভোট চুরি’ স্লোগানে কাজ হল না

    লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর আক্রমণাত্মক প্রচার—যার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তথাকথিত “ভোট চুরি”—এবারও ভোটে পরিণত হয়নি। একাধিক জনসভা, ভোটার অধিকার যাত্রা, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কেন্দ্র ও ইসি-কে নিশানা করেও তিনি ভোটারদের মন জিততে পারেননি। পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় ইস্যুর তুলনায় বিহারের ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন স্থানীয় সমস্যা, জাতপাত সমীকরণ ও শাসনকার্যের মূল্যায়নকে। বিহারে ভোটের মুখে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস প্রচারের মূল ইস্যু হিসাবে তুলে এনেছিলেন এসআইআর-কে, ভোটচুরিকে। যা কোনওভাবেই বিহারের স্থানীয় ইস্যু নয়। তাছাড়া এসআইআর শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশি বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যাওয়ায়, সেই ইস্যুও ধোপে টেকেনি। মাঝখান থেকে মূল যে ইস্যু সেই বেকারত্ব, দলিত নির্যাতন, দুর্নীতি, সেসব পিছনে পড়ে গিয়েছে। তাছাড়া শেষবেলায় এসে তেজস্বী যে সব পরিবারকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন, সেটাও বিশেষ বিশ্বাসযোগ্য হয়নি আমজনতার।

    প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস

    একসময় জাতীয় ও প্রাদেশিক রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান থাকা কংগ্রেস এখন বিহারে কার্যত প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। একাধিক আসনে দল তৃতীয় বা চতুর্থ অবস্থানে নেমে যাচ্ছে। রাজ্যে তাদের শেষ উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গিয়েছিল ১৯৯০ সালে জগন্নাথ মিশ্রের নেতৃত্বে। তারপর থেকে বিহারে সংগঠন পুনর্গঠনে কংগ্রেস বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেসের খারাপ পারফরম্যান্স মহাগঠবন্ধনের প্রধান দল আরজেডি-র উপরও প্রভাব ফেলেছে। যদিও আরজেডি এখনও ৩০টির মতো আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং তাদের মূল ভোটব্যাঙ্ক বেশি। অপরদিকে, এনডিএ এগিয়ে চলেছে মসৃণ জয়ের দিকে। প্রাথমিক গণনায় এনডিএর আসন প্রায় ১৯০ ছুঁয়েছে—যা ২০১০ সালের ২০৬ আসনের রেকর্ডের কাছাকাছি। এনডিএর এই শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে জোটের নেতৃত্ব, সংগঠন ক্ষমতা এবং ভোটার আস্থার প্রভাব।

    জঙ্গল-রাজের আতঙ্ক

    ‘যব তক রহেগা সমোসে মে আলু, বিহার মে রহেগা লালু।’ অরণ্যের প্রাচীন এই প্রবাদ হয়তো এবার ‘জঙ্গলে’ ফেলার সময় এসে গিয়েছে। কারণ বিহারবাসী এখনও লালুর জঙ্গলরাজের আতঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অন্তত ২০২৫ সালের বিহার ভোটের ফলাফলের (Bihar Election Result) ট্রেন্ড সে কথাই বলছে। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও পর্যন্ত বিহারের ফলাফল বলছে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ দু’শোর কাছাকাছি আসন পেতে পারে। আর তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন ৫০ আসন পাওয়া নিয়েও সংশয়ে।

    কংগ্রেসের দুর্বলতায় চাপ বাড়ল মহাগঠবন্ধনের ওপর

    মহাগঠনন্ধনের শুরুটা ভালো হয়েছিল। রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রায় একসঙ্গে প্রচার শুরু করেছিলেন রাহুল-তেজস্বীরা। কিন্তু যাত্রা শেষ হতেই ছন্দপতন। আসন সমঝোতা নিয়ে রীতিমতো খেয়োখেয়ি করল বিরোধী শিবির। এমন পরিস্থিতি দাঁড়াল যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হল না। তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ঘোষণা করা হল একেবারে শেষবেলায়। যে চক্করে মাসখানেক প্রচারে সেভাবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, এমনকী আরজেডির শীর্ষ নেতাদেরও প্রচারে দেখা গেল না। ততদিনে ঘর গুছিয়ে ফেলেছে এনডিএ। যার সুফল মিলল ভোটের ফলে।

    কংগ্রেসের সামনে কঠিন পথ

    আরও একবার হতাশাজনক ফলাফলের পর বিহারে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ঘনিয়েছে। প্রচারকে ভোটে রূপান্তর করতে ব্যর্থতা, গ্রাসরুটে পৌঁছতে না পারা এবং দুর্বল স্থানীয় নেতৃত্ব—এই সব মিলিয়ে দল ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। এনডিএ শক্তিশালী হচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলো নিজেদের ভিত্তি ধরে রাখছে—এ অবস্থায় বিহারে পুনর্জাগরণের জন্য কংগ্রেসকে জরুরি ভিত্তিতে সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসে নামতে হবে।

  • SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিরোধীদের। প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাঁদের দ্বিচারিতার রাজনীতিও। এক সময় এসআইআরের দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই তিনিই এখন এসআইআরের বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন পথে। এই দ্বিচারিতার রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেসও (Rahul Gandhi)। নির্বাচন কমিশনের দাবি, একদিকে রাহুল গান্ধী এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। অথচ এটি ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে তিনিই অতীতের ভোটার তালিকার অশুদ্ধির কথা তুলে ধরে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। কমিশনের সাফ কথা, “এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, শুরুতে তিনি বিরোধিতা করলেও, এখন তিনি এসআইআরকে সমর্থনই করছেন।”

    ভোট চুরির অভিযোগ রাহুলের (SIR)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফের দাবি করেন, দেশে ব্যাপকভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। এদিন তিনি তাক করেছিলেন হরিয়ানাকে, যেখান ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। দুপুরে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিরোধী দলনেতা শ্রী রাহুল গান্ধীর প্রেস কনফারেন্সের বিস্তারিত জবাব শীঘ্রই জানানো হবে।” হরিয়ানা সিইওর এক্স হ্যান্ডেলে ‘হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, পোলিং এজেন্ট, প্রাপ্ত অভিযোগ এসবেরই বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে (Rahul Gandhi)।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    সংবাদ সংস্থা এএনআই নির্বাচন কমিশনের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচনী তালিকা নিয়ে কোনও আপিল দাখিল হয়নি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হাইকোর্টে মাত্র ২২টি পিটিশন বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে (SIR)। সূত্রের প্রশ্ন, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন যে ডুপ্লিকেট ভোট হয়েছে, তবে তাঁরা ভোটকেন্দ্রেই আপত্তি জানালেন না কেন? গান্ধী কি এসআইআর প্রক্রিয়া সমর্থন করেন নাকি বিরোধিতা করেন? এই প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে ডুপ্লিকেট, মৃত এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বও। সূত্রের আরও প্রশ্ন, কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্টরা কেন তালিকা সংশোধনের সময় কোনও দাবি বা আপিল দায়ের করেননি? নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর ওই দাবিতে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে নকল বা দ্বৈত ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। আর বিজেপির দাবি ছিল, সেই ভোট পড়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, ‘হাউস নম্বর জিরো’ সেই সব এলাকাকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এখনও বাড়ির নম্বর বরাদ্দ করেনি (Rahul Gandhi)।

    রাহুলের বিস্ফোরক দাবি

    রাহুল গান্ধীর দাবি, হরিয়ানার প্রতি আটজন ভোটারের একজন নকল। তিনি বুথে পড়া ভোট ও পোস্টাল ব্যালটে পড়া ভোটের মধ্যে অকারণ ফারাক সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন। প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে হরিয়ানায় ২৫ লাখ ভোটার নকল, এরা হয় নেই, অথবা এদের নাম দ্বৈতভাবে রয়েছে, অথবা এমনভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাতে যে কেউ তাদের নামে ভোট দিতে পারে। হরিয়ানায় প্রতি ৮ জনের ১ জন ভোটার নকল, শতাংশের বিচারে তারা ১২.৫ (SIR)।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ‘এইচ’ ফাইলস নামে একটি নথি আছে এবং এটি দেখায় কীভাবে পুরো একটি রাজ্যকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছিলাম যে এটি কেবল আলাদা আলাদা আসনে হচ্ছে না, বরং রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও ঘটছে। হরিয়ানা থেকে আমাদের প্রার্থীদের কাছ থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছিলাম যে কিছু একটা ঠিকমতো কাজ করছে না। তাদের সমস্ত পূর্বাভাস উল্টে গিয়েছিল। আমরা এ ধরনের অভিজ্ঞতা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রেও পেয়েছি, কিন্তু আমরা হরিয়ানায় জুম করে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল সেটা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে।

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচন হয় ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভার। সেই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয় ৪৭টি আসনে।  কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সেই নির্বাচনের এক বছর পর এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার ঠিক আগের দিনই দিল্লিতে রাহুল অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানায় ৫.২১ শতাংশ ডুপ্লিকেট ভোটার ভোট দিয়েছিলেন (Rahul Gandhi)।  ৯৩ হাজার ১৭৪ জন অবৈধ ভোটার ভোট দেন। আর ১৯ লাখ ২৬ হাজার বাল্ক ভোটার ভোট দেন। সব মিলিয়ে চুরি হয়েছে ২৫ লাখ ভোট (SIR)।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় হস্তক্ষেপই করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। মামলাকারীর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিক নির্বাচন কমিশনকে। তাতেও না করে দিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”

    জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)

    দেশের শীর্ষ আদালতে যিনি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা, তিনি তাতে উল্লেখ করেছিলেন রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগাস্ট জানিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় অপরাধমূলক জালিয়াতি হয়েছে। কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও করেছিলেন রাহুল। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এ সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগাস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাতদিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও শুনতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

    রাহুলের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে রাহুল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর দাবি, ভোটে জালিয়াতি করার পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল (Rahul Gandhi) মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের তদন্তের ফলও তুলে ধরেন। এটি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ওই আসনে বিজেপি ৩২ হাজার ৭০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল (Supreme Court)।

  • ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে বড় উদ্যোগ নিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। যেহেতু এবার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ভোটার কার্ড নিয়ে (Online Voter), তাই আর ভোট চুরির অভিযোগ তোলা যাবে না, ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না আর কোনও ভোটারের নাম। এবার জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তটা ঠিক কী, ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য ভোটারদেরই বা কী করতে হবে।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (ECI)

    কর্নাটকে ভোট চুরি হয়েছে বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভায় অন্তত ৬ হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে ভোট চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। যদিও রাহুলের অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যখন তুঙ্গে, তখনই নয়া নিয়ম আনল নির্বাচন কমিশন। বিতর্কের আবহেই নিজেদের পোর্টালে ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় একমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়া কিংবা তথ্য সংশোধন করা যাবে।

    কমিশনের নয়া নিয়ম

    কমিশনের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে যদি কোনও ভোটার তাঁর নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন (ECI), তখন তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬, নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফর্ম ৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম ৮ ফিল-আপের সময় এপিক নম্বর দিতে হত ভোটারদের। আলাদাভাবে আর কোনও তথ্য যাচাই করা হত না। এবার ফর্ম ফিলআপের সময় আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশনও করতে হবে।

    মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে নয়া নিয়ম। নতুন এই ব্যবস্থায় তিনটি ফর্ম ফিল-আপের সময়ই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে তথ্য যাচাই করা হবে। দেখা হবে, যাঁর নাম বাদ যাবে, তিনি নিজেই আবেদন করছেন, না কি তাঁর হয়ে অন্য কেউ?

    জানা গিয়েছে, ভোট দিতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। সেটি জমা দিতে গেলেই খুলবে একটি ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল। সেখানে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। তাতে ওই আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই সম্পূর্ণ হবে যাচাই প্রক্রিয়া (Online Voter) এবং আবেদনকারীর আবেদন সঠিকভাবে জমা পড়বে (ECI)।

  • Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত রাহুল গান্ধীর অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রায় ৬০১৮টা আবেদন জমা পড়েছিল। এত বেশি সংখ্যক আবেদন সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, প্রতিটা আবেদন খুঁটিয়ে দেখে কমিশন। দেখা যায় মাত্র ২৪টা আবেদন সঠিক। ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো। তাই শুধু ওই ২৪টা গ্রহণ করে বাকি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কমিশন।

    কী বলল নির্বাচন কমিশন

    রাহুলের অভিযোগকে ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে কর্নাটক তথা জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, নির্দিষ্ট সফ্‌টঅয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে (কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন) ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।” কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে কেউ কোনও ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।

    এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন

    রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া’ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কর্নাটকের সিআইডি কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি করছিলেন রাহুল। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের নির্দেশে কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুলিশকে সব তথ্য দেন। কর্নাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। সেই সময় একটি এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন।

  • ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও সাধারণ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। কোনও সাধারণ নাগরিক অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না, যেমনটি রাহুল গান্ধী মনে করছেন। কোনও ভোট মুছে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বক্তব্য না শুনে তা করা সম্ভব নয় (ECI)।”

    ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে (ECI)

    নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিও ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে ১০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ভোট চোরদের রক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃত ভোটারদের ভুয়ো পরিচয়ে বসিয়ে দিচ্ছে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম মুছে দিচ্ছে।” যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালে কিছু ভোট মুছে ফেলার জন্য এমন কিছু ‘ব্যর্থ চেষ্টা’ হয়েছিল। কমিশনের নির্দেশে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগও।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “২০২৩ সালে আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটারের নাম মুছে ফেলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এফআইআর দায়ের করেছিল।” কমিশন আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা বিআর পাটিল ২০২৩ সালে আলন্দ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন (ECI)। ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুবোধ গুট্টেদার।সম্প্রতি (Rahul Gandhi) এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কর্নাটকের আলন্দ কেন্দ্র থেকে ছ’হাজারেরও বেশি ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, “কর্নাটকের আলন্দে ৬০১৮টি ভোট কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ২০২৩ সালের নির্বাচনে মোট কতগুলো ভোট মুছে ফেলা হয়েছে, আমরা জানি না, কিন্তু একজন ধরা পড়েছে। এটি ধরা পড়েছে, যেমন বেশিরভাগ অপরাধ ধরা পড়ে, কাকতালীয়ভাবে। ঘটনাটি ঘটেছিল এভাবে যে বুথ লেভেল অফিসার লক্ষ্য করেছিলেন যে তাঁর কাকার ভোটও মুছে ফেলা হয়েছে।”

    খুলে পড়ল কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ

    প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ‘ভুল’ কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তিনি ক্যামেরার সামনে ভোট চুরির যে প্রমাণ দিয়েছিলেন, যা তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল গান্ধী যখনই গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখনই তার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি বিদেশি ছায়া। রাহুলের (Rahul Gandhi) তথাকথিত ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যে, তা প্রকাশ পেয়েছে মেটাডাটার তদন্তে। তারাই জানিয়েছে, রাহুলের দেওয়া নথিটি ভারতে নয়, তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে (ECI)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

LinkedIn
Share