Tag: rahul gandhi

rahul gandhi

  • Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের লড়াই শুধু বিজেপি বা আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেসের লড়াইটা গোটা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে! কংগ্রেস কর্মীদের এক সম্মেলনে অত্যুৎসাহে বলে ফেলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এখন সেই মন্তব্যের জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হচ্ছে রাহুলকে। এই মন্তব্যের জেরে সম্ভলের জেলা আদালত নোটিস পাঠাল লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছিলেন রাহুল

    দিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর উদ্বোধনের দিন বক্তব্য পেশ করছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বর্তমানে বিজেপি-আরএসএস দেশের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যদি কেউ মনে করেন, আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে বলব দেশে কী ঘটছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আমাদের এখন শুধু বিজেপি, আরএসএস নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে।’’ এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে জোড়া মামলা দায়ের হয়। দুই রাজ্য থেকেই আইনি নোটিস পেয়েছেন রাহুল।

    রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে। আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। গুয়াহাটিতে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল যা বলেছেন সেটা উগ্রপন্থীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। ওই মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া। সেই মামলা গৃহীত হলে রাহুলকে ফের জেলে জেতে হতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একটি এমপি-এমএলএ কোর্টেও রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সম্ভলের আদালত আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে।

    রাহুলকে আক্রমণ বিজেপির

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘‘শহুরে নকশাল এবং ডিপস্টেটের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বাস্তুতন্ত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ভারতকে অপমান, অবমাননা এবং অসম্মান করতে চায়। কংগ্রেসের কুৎসিত সত্য তাদের নিজেদের নেতাই উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতে চাই। গোটা দেশ যা জানে, তাই তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তা ভারতকে ভাঙার এবং আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যেই করেছেন।’’ তীব্র আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী, তোমরা কেন সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ঘোরো?’’

  • BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই (Rahul Gandhi) দায়ী এবং তাঁর ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ বন্ধ করা উচিত।” শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য কাজ করা দলের নেতা-কর্মীদের ছেঁকে বের করার প্রয়োজন আছে।” এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন অপসারণেরও।

    রাহুলকে আক্রমণ (BJP)

    এর পরেই রাহুলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী দলের শীর্ষে আসার পর থেকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা গুজরাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র শেখাচ্ছেন। যদিও এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁর মন্তব্য অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্দশা এবং তাঁর ক্রমশ অবনতিশীল মানসিক অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।”

    সবচেয়ে খারাপ নেতা

    রাজ্যসভার এই সাংসদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মিডিয়ার ওপর দোষারোপ করার পর, তিনি এখন নিজের দলের লোকদের দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। পদ্ম-পার্টির এই নেতা (BJP) বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে নিজের দলের লোকদের অপমান করার উদাহরণ আপনি অন্য কোনও নেতার মধ্যে খুঁজে পাবেন না। গান্ধী যদি আত্মবিশ্লেষণ করেন, তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে তিনি দলের সবচেয়ে খারাপ নেতা।”

    বিজেপির আর এক জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী গুজরাটে নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন এবং নিজের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন – তিনি তাঁর ব্যর্থতার জন্য খাড়্গেজি এবং তাঁর দলের কর্মীদের দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের অর্ধেকেরও বেশি নেতা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত। আর তিনিই নিজের দলকে ৯০টিরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এই দিক থেকে, তিনিই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।” তাঁর প্রশ্ন, “আপনি (Rahul Gandhi) কি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত (BJP)?”

  • Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দলকে ফাঁসালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)! ভারতের ড্রোন শিল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে একটি পোস্টে তিনি ব্যবহার করলেন নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন (Banned Chinese Drone)। তার পর আর যায় কোথায়! দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন গান্ধী পরিবারের এই উত্তরসূরি।

    রাহুলের সমালোচনা (Rahul Gandhi)

    রাহুলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (DFI) প্রেসিডেন্ট স্মিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ড্রোন শিল্পকে অস্বীকার করে চিনা ডিজেআই ড্রোন প্রদর্শন করা কেবল অন্যায় নয়, বিভ্রান্তিকরও।” ডিজেআই ড্রোন তৈরি করে একটি চিনা কোম্পানি। ডিজেআই টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড নামের ওই সংস্থাটি রয়েছে শেনঝেন, গুয়াংডং-এ। এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ডিজেআই ড্রোন ২০২২ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ। তবুও রাহুল গান্ধীকে এরই একটি নিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ড্রোনটা কীভাবে এল? এটি ব্যবহারের আগে বৈধ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা।”

    ভারতের ড্রোন

    শাহ (Rahul Gandhi) বলেন, “ভারতের ড্রোন শিল্প এখনও বিকাশমান। এখানে এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে বাস্তব সমাধান না দিয়ে বিস্তৃত বক্তব্য দিলে আদতে কোনও কাজ হয় না। শিল্প নেতৃবৃন্দ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই বাস্তব অগ্রগতি তৈরি করছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী ড্রোন চালানোর বিষয়ে আইনগত উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন। জানতে চেয়েছেন তার কি বৈধ রিমোট পাইলট সনদ আছে এবং ড্রোন কি ডিজিটালস্কাইতে রেজিস্টার্ড ছিল, যেমনটা ভারতের ড্রোন নিয়ম ২০২১ অনুসারে প্রয়োজন”। ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার  প্রেসিডেন্টের আরও প্রশ্ন, “তাঁর বাসস্থান এবং অফিস সম্ভবত একটি সীমাবদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। ড্রোন ওড়ানোর আগে তিনি কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছিলেন? এই নিয়মগুলি কি তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, নাকি তিনি সহজেই উপেক্ষা করেছেন?”

    মোহনদাস পাই পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত। তিনি ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও এবং বোর্ড সদস্য। তিনি বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম শিল্প উৎপাদনকারী দেশ, ২য় বৃহত্তম স্টিল উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম সিমেন্ট, ৩য় বৃহত্তম অটোমোবাইল উৎপাদক, বৃহত্তম ২ডাব্লু উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদক, ৩য় বৃহত্তম শক্তি উৎপাদক (Banned Chinese Drone)। এর মধ্যে অধিকাংশই হয়েছে গত ১০ বছরে (Rahul Gandhi)।”

  • Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, বোঝাই যায় না।” বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস নেতার এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)।

    বিজেপির তোপ (Sam Pitroda)

    দলের জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা বলেন, “কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তবু ওরা ড্রাগনকে বিপজ্জনক ভাবতে পারছে না। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা চিনের কাছে আমাদের ৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ছেড়ে দিয়েছে, তারা এখনও ড্রাগনের কোনো হুমকি দেখতে পায় না… আশ্চর্যের কিছু নেই যে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মুগ্ধ এবং আইএমইইসি ঘোষণার এক দিন আগে পর্যন্ত বিআরআইয়ের পক্ষে ছিলেন… কংগ্রেসের চিনের প্রতি অতি আগ্রহের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালের কংগ্রেস-সিসিপি সমঝোতা স্মারকে।”

    পদ্ম নেতার নিশানায় কংগ্রেস

    পদ্ম শিবিরের আর (Sam Pitroda) এক সৈনিক প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “ভারতের চেয়েও চিনের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস।” রাহুলকে চিনের হাতের পুতুল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রতি পিত্রোদা বলেন, “আমি চিনের থেকে আসা হুমকিটা বুঝি না। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নির্ধারণের একটি স্বভাব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে, সমস্ত জাতির সহযোগিতা করার, সংঘাতের নয়।”

    প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পিত্রোদার এহেন মন্তব্য।

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী পিত্রোদাকে নিশানা করে বলেন, “চিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য কংগ্রেসের মানসিকতার প্রতিফলন। এটি (BJP) ভারতের মর্যাদার ওপর আঘাত।” তাঁর দাবি, তাঁর (পিত্রোদার) মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যেন ভারতই আগ্রাসী (Sam Pitroda)।

  • Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে তলব করল লখনউয়ের একটি আদালত। মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

    কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব। ওই মামলাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে আদালত। ঘটনাচক্রে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার ‘বিজয় দিবস’। এ প্রসঙ্গে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    কী বলছে আদালত

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব যে মামলা দায়ের করেন তাতে অভিযোগ করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সেখানে রাহুল জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা তাঁকে চিন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবে না বলে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। রাহুলের দাবি ছিল, চিন ভারতের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তারপরেও সেনা কিছু করেনি। তিনি এ নিয়ে ঠিক ছিলেন এবং দেশ তা দেখেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্যর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে রাহুল ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘সেনার অবমাননা’র অভিযোগ তুলেছিল বিজেপিও।

  • Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    Congress: ০, ০, ০! দিল্লিতে অন্য হ্যাটট্রিক কংগ্রেসের, জাতীয় রাজনীতিতে অস্তাচলে গান্ধীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা তিনবার দিল্লিতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস (Congress)। শুধু পরাজয়ই নয়, এক্কেবারে টানা তিন-তিন বার খালি হাতে ফিরে শূন্যের হ্যাটট্রিক করল শতাব্দীপ্রাচীন পার্টি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অস্তাচলে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার? ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর দিল্লির মসনদে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেই দিল্লির জনগণ তাদের সেখান থেকে উৎখাত করে। বিগত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যায় কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও ভরাডুবি হয় দলের। দিল্লির (Delhi Election) অন্তর্গত লোকসভাগুলিতে ব্যাপক ভরাডুবি হয় আম আদমি পার্টির।

    দিল্লির মানুষ প্রত্যাখান করেছে কংগ্রেসকে (Congress)

    ২০২৫ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির মধ্যে জোট হয়নি। এই আবহে একদিকে বিজেপি অন্যদিকে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে থাকেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। কিন্তু এত সব কিছু করেও বিফলে গেল তাদের প্রচার। দিল্লির জনগণ ফের একবার প্রত্যাখ্যান করল কংগ্রেসকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কংগ্রেসের ভরাডুবি শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। সেখানে মাত্র ৮টি আসনে জয় পায় তারা। শতাংশের বিচারে ভোট পায় ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওই বছরে আম আদমি পার্টি ২৮টি আসনে তারা জয় লাভ করে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে। এরপরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। সেবারের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনেও জিততে পারেনি। দলের ভোট শতাংশের হার নেমে আসে ৯.৬৫।

    ২০২০ সালেও কোনও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস (Congress)

    ৫ বছর পরে ২০২০ সালে কংগ্রেস আবারও একবার শূন্য পায়। ভোট শতাংশের হার তারও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ৪.২৬। দলের এমন ফলাফলে যথেষ্ঠই হতাশ কংগ্রেস নেতা তথা ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রী টিএস সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন দিল্লির ফলাফল নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে (Delhi Election) যা হল তা কংগ্রেসের (Congress) জন্য যথেষ্ট হতাশার। বিজেপি জিতছে আম আদমি পার্টির হারছে। আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত। যারা জিতল তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।’’

  • Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    Modi Govt: দেশ, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে রাহুলের ‘মিথ্যাচার’, স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু গান্ধীর মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা দেশের সম্মান, প্রধানমন্ত্রীপদ এবং সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।’’

    জয়শঙ্করের মার্কিন সফর প্রসঙ্গ

    সোমবার সংসদে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর বন্দোবস্ত করানোর জন্য আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে আমেরিকায় পাঠাব না।’’ বিজেপির অভিযোগ, গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরকেই ইঙ্গিত করেছেন রাহুল। বোঝাতে চেয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই ছিল ওই সফর। সোমবার বিকেলে জয়শঙ্কর সরাসরি রাহুলকে নিশানা করে এক্স পোস্টে লেখেন— ‘‘বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী আমার ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের আমেরিকা সফর সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন ৷’’

    ক্ষমা চান রাহুল

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি, তিনি আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ভারতের কনসাল জেনারেলের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও পর্যায়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা সকলেই জানেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। সাধারণত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁর বিশেষ দূতেরা।’’ প্রসঙ্গত, ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির দূত হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো সরকার এক। রাহুল গান্ধী সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের বিপরীতে কথা বলেছেন, তা চ্যালেঞ্জ করা উচিত।’’

    চিনা আগ্রাসন নিয়ে মিথ্যাচার রাহুলের

    লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে এ দিন লোকসভায় মুখর হন রাহুল গান্ধী। প্রথমে অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের এই সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবির সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যের অ-মিল রযেছে। দু’পক্ষের দাবি পরস্পর-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন চিনা আগ্রাসন হয়নি। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, আমাদের ৪,০০০ বর্গ কিমি এলাকা চিন দখন করে রেখেছে। কোনটা ঠিক?’’ এ প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘‘বিজেপি সাংসদরা গান্ধীকে তাঁর দাবির প্রমাণ দিতে বলবেন। তিনি মিথ্যা বলছেন। রাহুল গান্ধী যতটা চিনকে প্রশংসা করেছেন, তা আগে কেউ করেনি। তিনি এমন একটি দলের সদস্য, যাদের পরিবার ১৯৫৯ ও ১৯৬২ সালে চিনকে আমাদের জমি দখল করতে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের ভুলের জন্য তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’’

  • Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্তব্য মাত্র ৪৫ মিনিটের। এই পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার এহেন ‘চিন-প্রীতি’তে বেজায় চটেছে বিজেপি। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ শানান পদ্ম নেতৃত্ব। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।”

    রাহুলের অভিযোগ (Rahul Gandhi)

    দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর-সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।”

    বিজেপির নিশানায় রাহুল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি ব্যঙ্গ করে তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ (চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) বলে অভিহিত করেন (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “আমি তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ বলেই সম্বোধন করতে চাই। তিনি চিনের নাম ৩৪ বার উচ্চারণ করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছেন যেন পরের জন্মে তিনি চিনা হতে পারেন।”

    তিনি বলেন, “২০০৪-১৪ সালের কংগ্রেস শাসন আমলে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।” তিনি রাহুলের ব্যাঙ্কিং খাত সংক্রান্ত মন্তব্যও উড়িয়ে দেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৫১ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ইউপিআইয়ের মতো আর্থিক উদ্ভাবনের বিরোধিতা করেছিল। এটি বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি লেনদেন পরিচালনা করছে।’

    প্রসঙ্গত, রাহুল বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। ২০১৪ সালে (BJP) উৎপাদন ক্ষেত্রে জিডিপি ছিল ১৫.৩ শতাংশ। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন (Rahul Gandhi)।”

  • Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে।” আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে (Indian State) এআইসিসির সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ‘দেশদ্রোহিতা’র কথা বলেন।

    কী বললেন রাহুল? (Rahul Gandhi)

    রাহুল বলেন, “ভাববেন না আমরা একটি ন্যায্য লড়াই করছি। আপনি যদি মনে করেন আমরা বিজেপি এবং আরএসএস নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে জেনে রাখুন তারা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এখন আমরা শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।”

    নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

    তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারের হঠাৎ উপস্থিতি সমস্যাজনক। বিধানসভা নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম এবং ঠিকানা-সহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অথচ নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছ হওয়া।”  তিনি (Rahul Gandhi) বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজি হবে না? আমাদের তালিকা না দিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে, এবং কেন তারা এটা গোপন রাখছে? স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কেন এটা ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। ভাগবতকে (Indian State) নিশানা করতে গিয়েই ভারত বিরোধিতার কথা বলেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিজের গড়েই ধরাশায়ী কংগ্রেস। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন ধরে অসমের (Assam) এই গড় ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই গড়েই ধস নামিয়ে দিলেন বিজেপির (BJP) দীপলু রঞ্জন শর্মা। নগাঁও জেলার সামাগুড়ি কেন্দ্রে উড়ল পদ্ম-ঝান্ডা। অসমের এই অঞ্চলের একটা বড় অংশের ভোটার মুসলমান সম্প্রদায়ের। তাই তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘ দিন ধরে এই কেন্দ্রের রাশ ধরে রেখেছিল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। সেই গড়েই কংগ্রেসকে দুরমুশ করে বিজেপির বিজয় কেতন ওড়ালেন দীপলু।  

    ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান (BJP)

    বছরের পর বছর ধরে নগাঁও কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবেই পরিচিত ছিল। এই জেলায়ই রয়েছে সামাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে অসমের রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে গেলেও, বিজেপির উত্থান হলেও, কংগ্রেস তার এই দুর্গ ধরে রেখেছিল। এই আসন থেকে ‘হাত’ চিহ্নে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি জয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধুবড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ রাকিবুল হুসেনও।   

    শেষ রক্ষে হয়নি

    তিনি টানা পাঁচবার সামাগুড়ির বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাকিবুল হুসেন। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক আখ্যান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সামাগুড়ির রাজনীতিতে তাঁর পরিবার প্রভাবশালী শক্তিও। তাঁর বাবা নুরুল হুসেন ১৯৮১ ও ১৯৯১ সালে সামাগুড়ির বিধায়ক হয়েছিলেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ধুবড়ির সাংসদ হন রাকিবুল। গড় ধরে রাখতে রাকিবুলের ছেলে তানজিল হুসেনকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। তানজিলকে ২৬ হাজার ২০০ ভোটে পরাস্ত করে বিজেপি। জয়ী হন পদ্ম-প্রার্থী দীপলু রঞ্জন। প্রসঙ্গত, সামাগুড়ির মোট ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৪ জন।

    আরও পড়ুন: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    দীপলু (BJP) তরুণ, শিক্ষিত। ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে তাঁকেই বাজি ধরে বিজেপি। দীপলুর নাম ঘোষণা হতেই রাকিবুল কটাক্ষের সুরে বলেন দীপলু ‘বলির পাঁঠা’, যাঁকে বিজেপি অনিবার্য পরাজয়ের জন্য পাঠিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দীপলুও। বলেছিলেন, সব চেয়ে কঠিন লড়াইগুলো দেওয়া হয় সব চেয়ে শক্তিশালী সৈনিককে। নগাঁও কলেজে বাণিজ্যে স্নাতক হন দীপলু। কলেজে পড়াকালীনই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন। অল্প বয়সে নগাঁও যোগাযোগ প্রধান হিসেবে আরএসএস তাঁকে নিয়োগ করে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকও হন। সেখান থেকে বিজেপিতে। এবং শেষমেশ বিধানসভায় চলে এলেন (Assam) লড়াকু নেতা দীপলু (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share