Tag: railline

railline

  • Nadia: কথা রাখলেন জগন্নাথ, কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেল লাইনে শুরু হল ট্রেনের ট্রায়াল রান

    Nadia: কথা রাখলেন জগন্নাথ, কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেল লাইনে শুরু হল ট্রেনের ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জঘাট পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণ করার কথা বলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সাংসদ হওয়ার পর রেল সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায়ে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বুধবার পরিদর্শনে এলেন পূর্ব রেলের ডিআরএম দীপক নিগম। এই প্রথম কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে।

    কৃষ্ণনগর-আমঘাটা রেললাইনের কাজ পরিদর্শনে ডিআরএম (Nadia)

    বহু বছর আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ধাম পর্যন্ত ন্যারোগেজ ট্রেন চলাচল করতো। পরবর্তীকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। রেল দফতরের উদ্যোগে আবারো নতুন করে কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত ব্রডগেজ ট্রেন চালু করার চিন্তাভাবনা করা হয়। সেইমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল দফতরের পক্ষ থেকে কাজ শুরু হয়। জমি জটে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অবশেষে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত ট্রেন চালু করার চিন্তা ভাবনা নেয় রেল দফতর। সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। এদিন আমঘাটা রেললাইন পরিদর্শনে যান পূর্ব রেলের ডিআরএম দীপক নিগম। তিনি বলেন, এদিন প্রথম ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হয়। ইলেকট্রিক সিগন্যাল, রেলগেট সহ যা প্রযুক্তি রয়েছে তা সব ঠিকঠাক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যাবে ট্রেন চলাচল। যারা এই দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ রিপোর্ট রেল দফতরের কাছে পেশ করবেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সাধারণ মানুষের জন্য যত দ্রুত সম্ভব চালু করা হবে পরিষেবা। তবে, লোকসভা ভোটের আগে এই ট্রেন চালুর প্রশ্ন নিয়ে তিনি বলেন, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। এটা দীর্ঘদিন আগে থেকেই চালু করার চিন্তা ভাবনা চলছিল। কিছু সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার দিকে। পাশাপাশি রেললাইন তৈরিতে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে অভিযোগ এসেছে। সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সে দিকটাও আমরা চিন্তা ভাবনা করব।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ২০১৯ সালে সাংসদ হওয়ার পর আমার প্রথম টার্গেট ছিল কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করার। সেই মতো বারংবার আমি সংসদে এবং রেল দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। পরবর্তীকালে রেল দফতরের তরফে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।  আমি সাধারণ মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, সেই কথা রাখতে পেরেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জমিদাতাদের ‘কাটমানি’ চেয়ে ফোন! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই বহু জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। তবে এখনও অনেকের জমির কাগজ ও নানা নথি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টাকা দেরিতে ঢুকছে। তাই প্রতিদিনই হিলি ও বালুরঘাটে জমি দাতারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর সুযোগেই বেশকিছু দালাল চক্রের সক্রিয় হয়ে এমন কাজ করছে বলে এক অডিও কল রেকর্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। যদিও বা ওই অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অডিও কলে কী রয়েছে? (Dakshin Dinajpur)

    ওই অডিও কলে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে এক জমিদাতাকে ফোন করেছেন। ওই জমিদাতার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে দর কষাকষি চলছে। ওই জমিদাতা ব্যক্তির অভিযোগ, ঘুষ দিলে টাকা ঢুকবে। শুধু একজনই নয়, এমন একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।  যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই ফোন প্রশাসনের কোনও কর্মী নয়। এর পিছনে দালালচক্র কাজ করছে বলেই মত প্রশাসনের একাংশের। তবে এমন গুরুতর অভিযোগ ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরেই দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অভিযোগকারী জমিদাতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবিষয়ে অভিযোগকারী ব্যক্তি বলেন, আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল। জমি দেওয়ার টাকা দ্রুত আমার অ্যাকাউন্টে দেবে বলে সেই ব্যক্তি জানিয়েছিল। আমাকে ফোন করে জানায় যে আজ কালের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। তাই ওই ব্যক্তিকে যেন ৫৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা ঘুষের টাকা। তাই প্রমাণ রাখার জন্য  ওই কল রেকর্ড করেছি। আর কারও কাছে  এই ধরনের টাকা যাতে না চাওয়া হয়, তাই আমি অভিযোগ দায়ের করব।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। তবে এখনও এনিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এমনটা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব সুকান্ত

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেখানে টাকার গল্প থাকে সেখানেই এক প্রকার দালাল চক্র শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের  টাকা নিয়েও দালালি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সঠিকভাবে নজর দিচ্ছে না। তাই তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, এই ধরনের কাজ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যাপার, প্রশাসন নিশ্চয়ই সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানো বিজেপির কাজ। আসলে বিজেপির মদতেই এই ধরনের দালাল চক্র বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share