Tag: railways

railways

  • Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে হবে মেলা। যেহেতু মহাকুম্ভের এই যোগ আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। 

    মহাকুম্ভ স্নান শুরু (Mahakumbh 2025)

    প্রয়াগরাজ-সহ মোট ১০টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে রেল। রেলের আশা, এবার প্রায় ১০ কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছবেন। প্রয়াগরাজ স্টেশনটি উত্তর-মধ্য রেলওয়ে অঞ্চলের আওতায়। মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) স্নান শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং আপগ্রেড করতে ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল (Indian Railways)।

    রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে রেলমন্ত্রক এবার ৯৯২টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। এই ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ জংশন, সুবেদারগঞ্জ, নৈনি, চেয়োকি, প্রয়াগরাজ রামবাগ, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, প্রয়াগ এবং ফাফামাউ স্টেশন থেকে চলাচল করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির পাশাপাশি ফেস রিকগনিশন (এফআর) ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল (Indian Railways)। এই এফআর ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজের রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রায় ৬৫০টি সিসিটিভি এবং ১০০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হবে (Mahakumbh 2025)।

    আঞ্চলিক রেলওয়ে (Indian Railways) স্টেশনগুলিতে বহু ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের নিজস্ব ভাষায় ট্রেন সংক্রান্ত তথ্যবলী সহজেই পেতে পারবেন। হিন্দি এবং ইংরেজির পাশাপাশি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা করা হবে। এই ভাষাগুলি হল— গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, কন্নড়, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া এবং পঞ্জাবি।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    যেহেতু এবার ব্যাপক ভিড় হবে মহাকুম্ভ মেলায়, তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ১৬০০-এরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন। এজন্য রেলওয়ে বোর্ড (Indian Railways) অন্য অঞ্চলগুলিকে বুকিং ক্লার্ক, বাণিজ্যিক-কাম-টিকিট ক্লার্ক, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক এবং সহকারী বাণিজ্যিক ম্যানেজার-সহ অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। মহাকুম্ভ মেলার সময় অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মীদের চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার করে হয় কুম্ভ। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এই কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ হয় প্রয়াগরাজে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Indian Railways: ‘সুপার অ্যাপ’ আনছে রেল, এক অ্যাপেই সব মুশকিল আসান, কী কী সুবিধা মিলবে?

    Indian Railways: ‘সুপার অ্যাপ’ আনছে রেল, এক অ্যাপেই সব মুশকিল আসান, কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে রেলে সব চেয়ে বেশি যে দিকটায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা হল যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য। যাত্রীরা যাতে ভারতের ‘লাইফ লাইনে’ চড়ে আরামদায়ক সফর করতে পারেন, সেদিকেই নজর দিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এই যাত্রীদেরই সুবিধার্থে এবার নয়া একটি মোবাইল অ্যাপ আনছে তারা। রেল সূত্রে খবর, এই ডিসেম্বরেই রেলের যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারবেন এই ‘সুপার অ্যাপ’ (Super App)। এই একটা অ্যাপেই মিলবে ট্রেনের টিকিট বুকিং, প্ল্যাটফর্ম টিকিট, খাবার অর্ডার, ট্রেনের শিডিউল মনিটর ইত্যাদি যাবতীয় সুবিধা।

    আসছে সুপার অ্যাপ (Indian Railways)

    রেলের সুপার অ্যাপ তৈরি করেছে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন। বর্তমানে নানা পরিষেবা দিতে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ রয়েছে রেলের। এক্সপ্রেস ট্রেনের বুকিং, ক্যান্সেল এবং মডিফিকেশনের কাজ হয় আরআরসিটিসি রেল কানেক্ট (Rail Connect) অ্যাপের মাধ্যমে। ট্রেনে সফর করার সময় খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্য রয়েছে আইআরসিটিসি ই-কেটারিং ফুড অন ট্র্যাক অ্যাপ (IRCTC e-Catering Food on Track)। রেল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানাতে রয়েছে রেল মদত (Rail Madad) অ্যাপ। রেলের অসংরক্ষিত টিকিট মেলে ইউটিএস (UTS) অ্যাপের মাধ্যমে। ট্রেনের রানিং স্টেটাস জানা যায় ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়্যারি সিস্টেম অ্যাপের মাধ্যমে (Indian Railways)। এই সব পরিষেবাই এবার মিলবে একটি মাত্র অ্যাপে, রেল যার নাম দিয়েছে ‘সুপার অ্যাপ’।

    আরও পড়ুন: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    কী বলছে রেল

    রেলের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “সিআইআইএস এবং যাত্রীদের মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করবে আইআরসিটিসি। পরিকল্পিত সুপার অ্যাপ এবং আইআরসিটিসির মধ্যে ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে।” তিনি জানান, এই অ্যাপ চালু হলে রেলের বিভিন্ন পরিষেবা এক ছাতার তলায় চলে আসবে। বর্তমানে প্রচুর মানুষ রেলের অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন। শুধু আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। সুপার অ্যাপে যেহেতু আরও বেশি পরিষেবা মিলবে, তাই বাড়বে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। রেলের ওই কর্তা বলেন, “সুপার অ্যাপকে (Super App) নয়া রোজগারের রাস্তা হিসেবে দেখছে আইআরসিটিসি (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: নতুন বছরেই মহাকুম্ভ মেলা, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নম্বর চালু করল রেল

    Mahakumbh Mela 2025: নতুন বছরেই মহাকুম্ভ মেলা, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি নম্বর চালু করল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার ফের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হচ্ছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025)। নতুন বছরের প্রথম মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শুরু হবে (Railways) মহাকুম্ভ স্নান। চলবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। যেহেতু এই যোগ ফের আসবে ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার ব্যাপক ভিড় হবে বলেই আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের।

    টোল ফ্রি নম্বর (Mahakumbh Mela 2025)

    মহাকুম্ভ মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবার এগিয়ে এল রেলও। কোটি কোটি তীর্থযাত্রী যাতে সহজ ও সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারতীয় রেল। পুণ্যার্থীদের আরামদায়ক ও নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে টোল-ফ্রি হেল্পলাইন (১৮০০৪১৯৯১৩৯) নম্বর চালু করেছে তারা। এই নম্বরে ফোন করেই জানা যাবে ট্রেনের সময়সূচি, বুকিং এবং স্টেশনে মিলবে যেসব সুবিধা, সেগুলি সম্পর্কে (Mahakumbh Mela 2025)।

    কুম্ভমেলা

    প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে হয় কুম্ভমেলা। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। তাই এবার ভিড়ও হবে রেকর্ড। ২০২৫ সালের এই মেলায় দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ যোগ দেবেন এই ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাকুম্ভ স্নানে মোচন হয় পাপ। মেলে কাঙ্খিত মুক্তি। সেই মোক্ষ লাভের আশায়ই ফি কুম্ভে ব্যাপক ভিড় হয় প্রয়াগরাজে। মেলায় আসতে গিয়ে দর্শনার্থীরা যাতে বিপাকে না পড়েন, তাই চব্বিশ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন চালু করল রেল।

    আরও পড়ুন: ইউপিআইয়ের মাধ্যমে গণেশ মূর্তি কিনলেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট, সস্ত্রীক পালন করলেন দীপাবলিও

    প্রত্যাশিত ভিড় সামলানোর জন্য, রেল বিশেষ ট্রেন, অতিরিক্ত পরিষেবা এবং প্রয়াগরাজ ও আশপাশের স্টেশনগুলিতে উন্নতমানের পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে (Railways)। বাড়তি পরিষেবার পাশাপাশি টোল-ফ্রি হেল্পলাইনটি একটি মূল বৈশিষ্ট্য যা যাত্রীদের প্রয়োজন মেটাতে ভারতীয় রেলওয়ের প্রস্তুতির প্রতিফলন (Mahakumbh Mela 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Vande Bharat Sleeper Train: দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন কোন রুটে জানেন?

    Vande Bharat Sleeper Train: দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন কোন রুটে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অচিরেই ভারতীয় রেলপথে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটবে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper Train)। রেল সূত্রে খবর, নাগপুর এবং পুণের মধ্যে প্রথম ছুটবে এই ট্রেন। মধ্য রেলের নাগপুর ডিভিশনে নিত্য বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। সেই কারণেই প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Nagpur Pune Route) চালানো হবে এই রেলপথে।

    বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper Train)

    কেবল এই রেলপথেই নয়, দেশের আরও কয়েকটি জায়গায় চালানো হবে দুরন্ত গতির এই ট্রেন। তবে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালানো হবে নাগপুর-পুণে রুটে। নাগপুর-পুণে রুটে গরিব রথ, অজনি-পুণে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং নাগপুর-পুণে এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন রয়েছে। তার পরেও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। তাছাড়া, ট্রেনগুলির সবই চেয়ার কার। স্লিপার কোচের অপশন নেই। এই সব ট্রেনেও সিট পেতে কালঘাম ছুটে যায় যাত্রীদের। দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় গাঁটের কড়ি গচ্চা দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয় বাসে। তাই ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীমহলে। সেই কারণেই রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালানো হবে নাগপুর-পুণে রুটে।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী!

    ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। এদিনই উদ্বোধন হতে পারে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের। পরে চালানো হবে অন্যান্য রুটেও। জানা গিয়েছে, হাওড়া-দিল্লি রুটেও চালানো হতে পারে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। রেলেরই অন্য একটি সূত্রে খবর, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন ছুটবে দিল্লি-মুম্বই রুটে। স্বাধীনতা দিবসে এর যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে (Vande Bharat Sleeper Train) সব মিলিয়ে মোট ১৬টি কোচ থাকবে। এর মধ্যে ১০টি সংরক্ষিত থাকবে থার্ড এসি-র জন্য। সেকেন্ড এসি-র জন্য থাকবে ৪টি কোচ। আর ফার্স্ট এসির জন্য থাকবে একটি কোচ। ট্রেনটিতে সিটিং কাম লাগেজ কোচও থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ট্রেন ছুটবে (Nagpur Pune Route) ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিতে। পরে আস্তে আস্তে বাড়বে গতি। সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ২২০ কিমি (Vande Bharat Sleeper Train)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে কোনও আপোস করবে না, বুধবার সংসদে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, দেশে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার রুটে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (Automatic Train Protection System) কবচ (Kavach) বসানো হয়েছে। এই কবচ বসানো হয়েছে ১৪৪টি লোকোমোটিভেও।

    ‘কবচ’ বসাতে ব্যয় (Kavach)

    সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়েতে বসানো হয়েছে এই কবচ। মন্ত্রী জানান, কবচ সিস্টেম বসাতে গিয়ে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১৬.৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১১২.৫৭ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ক্যাপিটেল এক্সপেনডিচার হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কবচ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে। কবচ ৪.০-এর উন্নত সংস্করণ অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুত তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘কবচ’ কী?

    প্রশ্ন হল, কবচ কী? কবচ হল একাধিক ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর উচ্চ প্রযুক্তি। ট্রেনের গতি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার সময় বিপদ বুঝলে এই প্রযুক্তি লোকোপাইলটকে সতর্ক করে দেবে। লোকোপাইলট যদি ব্রেক কষতে ব্যর্থ হন, তবে কবচই করে দেবে সেই কাজ। যার জেরে ট্রেন যাবে দাঁড়িয়ে। এড়ানো যাবে সংঘর্ষ। প্রাণ বাঁচবে যাত্রীদের। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কবচই এখনও পর্যন্ত উচ্চস্তরীয় নিরাপত্তা দেয় বলে শংসাপত্র দিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অ্যাসেসর।

    আরও পড়ুন: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মন্ত্রী জানান, দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া করিডরে চলছে কবচ (Kavach) সম্পর্কিত কাজ। এই দুই রুটে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজও চলছে। ইতিমধ্যেই এই ফাইবার বসানো হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার রেলপথে। ইনস্টল করা হয়েছে ৩৬৪টি টেলিকম রওয়ার। ২৮৫ ইউনিট কবচ যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে (Automatic Train Protection System)। কবচ ট্র্যাকসাইড ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টল করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ কিলোমিটার রুটে (Kavach)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: ‘দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হয়েছে’, দাবি রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: ‘দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হয়েছে’, দাবি রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাট মাত্র দশ বছরের। তার মধ্যেই দেশের ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। অঙ্কের হিসেবে দেখলে, মোদি জমানায় যে রেলপথ পাতা হয়েছে, তা গোটা জার্মানির সমান। এই তথ্য জানিয়েছেন রেলওয়েজ, কমিউনিকেশনস এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে রেল উপেক্ষিত ছিল বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।

    কংগ্রেস জমানায় রেল ছিল উপেক্ষিতই (Indian Railways) 

    মুম্বইয়ে বিকশিত ভারত অ্যাম্বাসাডর ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় রেল ‘দুগ্ধবতী গাভি’ হলেও, পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় উপেক্ষিতই ছিল। রেলের উন্নতি যা কিছু হয়েছে, তা মোদির আমলে। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী দেখিয়ে দেন, নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে কত নয়া রেলপথ পাতা হয়েছে, কত কিলোমিটার রেলপথে হয়েছে বৈদ্যুতিকরণের কাজ, দেশের অর্থনীতিরই বা কী উন্নতি হয়েছে। বিকশিত ভারত অ্যাম্বাসাডরদের মন্ত্রী (Indian Railways) বলেন, “আজ দেশে প্রতিদিন চার কিলোমিটার করে রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। কেবল গত অর্থনৈতিক বর্ষেই আমরা ৫ হাজার ৩০০ কিমি রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করেছি। এটা সুইজারল্যান্ডের গোটা ট্রেন নেটওয়ার্কের সমান।”

    নয়া রেলপথ কত হয়েছে জানেন?

    এর পরেই তিনি বলেন, “গত দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক তৈরি হয়েছে। এটা জার্মানির পুরো নেটওয়ার্কের সমান।” মোদি জমানায় যে রেলে বৈদ্যুতিকরণও বেশি হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও দেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মোদি জমানার দশ বছরে ৪৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে। আর গত ৬০ বছরে কংগ্রেসের জমানায় বৈদ্যুতিকরণের কাজ হয়েছিল মাত্র ২০ হাজার কিলোমিটার।” তিনি বলেন, “আজ আমরা ভারতীয় রেলপথের একশো শতাংশই বৈদ্যুতিকরণের পথে এগোচ্ছি।”

    আর পড়ুন: “মমতার শেষ দেখে ছাড়ব”, জেলমুক্ত হয়েই হুঙ্কার সন্দেশখালির মাম্পির

    তিনি জানান, ভারতে গণপরিবহণের প্রধান মাধ্যম রেল। অথচ আগের সরকার একে উপেক্ষা করেছিল। পাঁচ-ছয়ের দশকে মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে করা উচিত ছিল রেলপথকে। এই কাজটাই হয়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। মোদি জমানায় যে রেলের স্টেশনগুলির সংস্কার হচ্ছে, দেশেই অত্যাধুনিক ট্রেন তৈরি হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IRCTC Swiggy: চলন্ত ট্রেনে এবার সুইগির মাধ্যমেও মিলবে পছন্দের হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার!

    IRCTC Swiggy: চলন্ত ট্রেনে এবার সুইগির মাধ্যমেও মিলবে পছন্দের হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে মিলবে নিজের পছন্দসই যে কোনও হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার। ভারতীয় রেলের তরফে এমনই ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আইআরসিটিসি সুইগির (IRCTC Swiggy) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ট্রেনযাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ এক ক্লিকে এবার সরাসরি ট্রেনে নিজের মনপসন্দ হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার।

    ভারতে প্রতিদিন ট্রেনে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় রেলের মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রাপথে খাবারের বিষয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। অনেক সময় পছন্দসই খাবার পেতে সমস্যা হয় যাত্রীদের। বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেনে ই ক্যাটারিং চালু থাকলেও যাত্রীরা নিজের পছন্দের হোটেল বা রেস্তরাঁর খাবার পান না। আইআরসিটিসির নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গা থেকেই খাবার কিনতে হয়। সুইগির সঙ্গে জোট বাঁধার পর সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    চারটি স্টেশন দিয়ে শুরু (IRCTC Swiggy) 

    বর্তমানে এই খাবার পৌঁছানোর সুবিধা শুধুমাত্র চারটি স্টেশনে শুরু হবে। সেগুলি হল বেঙ্গালুরু, ভুবনেশ্বর, বিজয়ওয়াড়া এবং বিশাখাপত্তনম। এই পরিষেবা আগামী দিনে আরও অনেক স্টেশনে চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আইআরসিটিসি (IRCTC Swiggy) এই ধরনের নামী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম ট্রেনের যাত্রীদের খাবার সরবরাহের কাজ শুরু করেছে, এমন নয়। আইআরসিটিসি গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে জোম্যাটোর সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ শুরু করেছে। ভারতের অনেক স্টেশনে এই কোম্পানি খাবার পরিষেবা দিয়ে থাকে।

    কীভাবে করবেন অর্ডার?

    যে সব যাত্রী আইআরসিটিসির (IRCTC Swiggy) মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বুক করে থাকেন, তাঁরা খুব সহজেই ট্রেনে ভ্রমণের সময় তাঁদের ই ক্যাটারিং পোর্টালে পিএনআর নম্বর দিয়ে খাবার বুক করতে পারেন। অর্ডারের সময়ে যাত্রীরা অ্যাপে রেস্টুরেন্টের নাম, খাবারের নাম, এমনকী পছন্দের যে কোনও রেস্টুরেন্ট থেকে খাবারের অর্ডার করে থাকেন। অনলাইনে খাবার নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্যাশ ছাড়াও অনলাইনেও পেমেন্ট করা যায়। ফের নতুন এই ধরনের পরিষেবায় প্রচুর যাত্রী উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মাথায় নয়া তাজ। তৈরি হয়ে গেল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। স্বাভাবিকভাই এই করিডর চালু হয়ে গেলে আয় বাড়বে ভারতীয় রেলের। পণ্য পরিবহণ করে সব চেয়ে বেশি আয় করে ভারতীয় রেল। তবে লাইনে জটের জেরে মালগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছায় দেরিতে। এতে ক্ষতি হয় দু’তরফেই। একদিকে যেমন ট্রিপ কমে যায় গাড়ির, তেমনি অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাঁরা, যাঁরা পণ্য আমদানি-রফতানি করেন। তার জেরে পণ্য পরিবহণ বাবদ আয় কমে গিয়েছে রেলের। সেই কারণেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। সেই কাজই শেষ হয়েছে।

    দুই করিডর

    রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, দুটি করিডর তৈরি হবে। একটি ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর, অন্যটি ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডর। এই দুই করিডর ক্রস করবে একটি জায়গায়। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গে সন্নাগর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি হল ইস্টার্ন করিডর। আর উত্তরপ্রদেশের রেওয়ারি থেকে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বিমানবন্দর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি ওয়েস্টার্ন করিডর। রেওয়ারি থেকে দাদরি পর্যন্তও ট্রেন নিয়ে যাওয়া যাবে এই করিডরের মাধ্যমে। কাজ শেষ হয়েছে এই ইস্টার্ন করিডরের। এই করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৩৩৭ কিমি। ওয়েস্টার্ন করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৫০৬ কিমি। রেল সূত্রে খবর, এই করিডরের কাজ শেষ হয়েছে ৭৮ শতাংশ।

    গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল

    এর পাশাপাশি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের বিকাশেও নয়া নীতি নির্ধারণ করেছে রেলমন্ত্রক। এর ফলে রেলের মাধ্যমে রেলের পাশাপাশি সড়ক এবং জলপথেও পণ্য নিয়ে যাওয়া যাবে এক স্থান থেকে অন্যত্র। ইতিমধ্যেই ১৫টি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে উঠেছে। গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে তুলতে আরও ৯৬টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    জানা গিয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ও গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের লক্ষ্যই হল লজিস্টিক সেক্টরে ভারতে গ্লোবাল লিডার হিসেবে গড়ে তোলা। এতে একই সঙ্গে বৃদ্ধি এবং বিকাশ হবে ভারতীয় অর্থনীতির। এর পাশাপাশি (Indian Railways) বাড়বে কাজের সুযোগও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগও বাড়বে। উৎপাদন, কৃষি এবং খনির মতো ক্ষেতেই মূলত বাড়বে বিনিয়োগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway Board DA Hike: দশেরাতেই দীপাবলি উপহার! ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল রেল, কর্মীদের মুখে হাসি

    Railway Board DA Hike: দশেরাতেই দীপাবলি উপহার! ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল রেল, কর্মীদের মুখে হাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরাতেই দীপাবলির উপহার পেলেন রেলকর্মীরা! দশেরা ও দীপাবলি উপলক্ষে কর্মচারীদের জন্য সুখবর আনল ভারতীয় রেল। লক্ষাধিক কর্মচারীকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি (Railway Board DA Hike) ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল বোর্ড। এই ঘোষণার ফলে, রেল কর্মচারীদের ডিএ বর্তমানের ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৬ শতাংশ হল। রেল বোর্ডের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন হার ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। 

    ডিএ বৃদ্ধিতে খুশি কর্মচারীরা

    এই প্রেক্ষিতে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন’স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র জানান, জুলাই থেকে কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি আটকে ছিল। এমতাবস্থায় এটা পাওয়া ছিল কর্মচারীদের অধিকার। অবশেষে সেই কর্মচারীরা তাঁদের অধিকার পাচ্ছেন। এদিকে, রেল বোর্ডের এই ঘোষণাকে (Railway Board DA Hike) স্বাগত জানিয়েছে রেলের কর্মচারী ইউনিয়নগুলি। ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েম্যানের সাধারণ সম্পাদক এম রাঘভাইয়া জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতির হারের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কোনও প্রভাব যাতে কর্মীদের ওপর না পড়ে তাই এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০ গুণ বাড়াল মোদি সরকার

    গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদেরও বোনাস

    এর আগে, রেলের নন-গ্যাজেটেড অফিসার বা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি স্তরের কর্মীদের জন্য দীপাবলি বোনাসের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ১১ লাখের বেশি রেলওয়ে কর্মী ৭৮ দিনের অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ন্যূনতম বেতন বা বেসিক পে-র ওপর ভিত্তি করে এই বোনাস হিসেব করা হয়—যার ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৭ হাজার টাকা। সেই হিসেব অনুযায়ী, ৭৮ দিনের হিসেবে এরফলে প্রায় ১৮ হাজার টাকা বোনাস (Railway Board DA Hike) পাবেন রেলওয়ে কর্মচারীরা। এই বোনাসের জন্য মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • BJP: পুজোর পরেই ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি, লোকসভার প্রচারে হাতিয়ার রেল!  

    BJP: পুজোর পরেই ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি, লোকসভার প্রচারে হাতিয়ার রেল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে মাত দিতে আস্তিন গোটাচ্ছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। আগামী বছরের এই মহারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সাফল্যকেই ক্যাশ করবে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মোদির আমলে দেশজুড়ে যে আক্ষরিক অর্থেই উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, তা তুলে ধরবে বিজেপি।

    রেলের উন্নয়ন

    তবে সব চেয়ে বেশি হাইলাইট করা হবে রেলের গতি আনয়ন। রেলের উন্নয়নে বাংলার প্রতি যে কেন্দ্র বিশেষ নজর দিয়েছে, তুলে ধরা হবে তাও। ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৩৭টি রেলস্টেশনকে ঢেলে সাজাচ্ছে রেলমন্ত্রক। পেয়েছে পাঁচটি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। নতুন করে নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্পের দাবি মেনে নিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। রাজ্য সহযোগিতার হাত বাড়ালে রেল প্রকল্পের আরও কাজ হতে পারত বলেও দাবি বঙ্গ বিজেপির (BJP)। এই বিষয়টিকেও তুলে ধরা হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে।

    কী বললেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি এ রাজ্যে যেটা বলে, সেটা করে। বাংলায় রেলকে আরও গতিশীল করতে, যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের যে যে ঘোষণা করেছিলেন, তার ৯৫ শতাংশও বাস্তবায়িত হয়নি। কেবল ঘোষণার জন্য ঘোষণা ছিল। কিন্তু বিজেপি কাজ করে দেখিয়েছে। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন প্রকৃত উন্নয়ন কে করছে, আর কারা বাধা দিচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    রেলের উন্নয়নের পাশাপাশি তুলে ধরা হবে তৃণমূলের নানা কেলেঙ্কারির কথাও। বিজেপি সূত্রে খবর, উৎসবের মরশুম শেষ হলেই কোমর কষে নামবেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় গিয়ে ফলাও করে বলা হবে তৃণমূলের একের পর এক কেলেঙ্কারির কথা। জনসভার পাশাপাশি হবে প্রচারপত্র বিলি। বিজেপি (BJP) ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করবে, রাজনৈতিক রং দেখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ায় কীভাবে বঞ্চিত হয়েছেন মানুষ। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে তৃণমূলের পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির কারণেই যে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, তাও বোঝানোর চেষ্টা করা হবে গেরুয়া শিবিরের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share