Tag: Ram Janmabhoomi

Ram Janmabhoomi

  • Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Janmabhoomi) ট্রাস্টি কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী , চৌপাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এক অনন্য রামভক্ত ছিলেন কামেশ্বর চৌপাল (Kameshwar Chaupal), তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত।’’ প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালকে ‘প্রথম করসেবক’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিহারের প্রাক্তন এমএলসি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ (Ram Janmabhoomi) করা হয়। শোক প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

    সূত্রের খবর, চৌপালের মেয়ে তাঁকে আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিস্থাপন ফলপ্রসূ হয়নি (Ram Janmabhoomi)। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে মারা গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বনবাসী কল্যাণ কেন্দ্র, আরএসএস এবং এবিভিপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনে কাজ করেন তিনি।

    শোক প্রকাশ অমিত শাহের

    প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অমিত শাহ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ram Janmabhoomi) লিখেছেন, ‘‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা কামেশ্বর চৌপাল জি’র প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কাজ ও বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য বিশেষ কাজ করেছিলেন কামেশ্বর চৌপাল। প্রভু শ্রীরাম তাঁর আত্মাকে শ্রীচরণে স্থান দিন এবং তাঁর শোকগ্রস্ত পরিজনদের মানসিক শক্তি প্রদান করুন।’’

  • Ram Navami 2024: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    Ram Navami 2024: অভিষেকের পর অযোধ্যায় প্রথম রাম নবমীতে পূজিত হবেন রামলালা, চলছে বিশেষ প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের পর এবার প্রথম অযোধ্যায় রাম নবমীতে (Ram Navami  2024) পূজিত হবেন রামলালা। গত ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই কয়েকমাসে এত বড় ইভেন্ট আর আসেনি। সেই হিসেবে মন্দির-কমিটি, রামভক্তগণ, অযোধ্যাবাসী (Ayodhya Ram Temple) তো বটেই সারা দেশই গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে! পুরাণ অনুযায়ী, দশরথপুত্র শ্রীরাম, যিনি আবার শ্রীবিষ্ণুর অংশজাত পূর্ণাবতার, তিনি চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিনেই, নবমীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসেবে দিনটি রামের জন্মদিন, যেটি ‘রামনবমী’ বলে চিহ্নিত ও পরিচিত। 

    ৪০ লাখ ভক্ত সমাগম

    রাম নবমীতে (Ram Navami  2024) ৪০ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে অযোধ্যায়। ফৈজাবাদ জেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার এই বৃহৎ অনুষ্ঠানের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি দিচ্ছে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  ইতিমধ্যে, নয়া ঘাট জোন, নাগেশ্বরনাথ জোন, হনুমানগড়ী মন্দির জোন, কনক ভবন মন্দির জোনে যথাযথ নিরাপত্তা নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৬, ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল মন্দির ২০ ঘণ্টা করে দর্শনের জন্য খোলা থাকবে রামলালার দরজা। প্রত্যাশিত ভক্তের সংখ্যা বিবেচনা করে ট্রাস্টের তরফে সাতটি সারি করে দর্শকদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    রাম নবমীর দিন কখন কী 

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন ভোর সাড়ে তিনটে মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশেষ পুজো৷ এরপর রাত ১১টা পর্যন্ত অর্থাৎ, ১৯ ঘণ্টা দর্শনার্থীদের (Ayodhya Ram Temple) জন্য মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। এর মধ্যে ভগবানকে চারবার ভোগ নিবেদনের সময় মন্দিরের পর্দা পাঁচ মিনিটের জন্য শুধু বন্ধ হবে। রাম নবমীর দিন ব্রাহ্ম মুহূর্ত সাড়ে তিনটেয় বিশেষ পুজো শুরু হবে (Ram Navami  2024)৷ ভক্তদের দর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ৷ দর্শনের সময় ভক্তদের তাদের মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে না রাখতে বলা হয়েছে৷ সুগ্রীব কুইলায় ট্রাস্টের তরফে তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি পরিষেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সরযূ নদীতে স্নানের ক্ষেত্রেও নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন৷ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দুই হাজার কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।

    সূর্য তিলক

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২টার সময় এসে পড়বে সূর্যের আলো। যা ললাটে এঁকে দেবে সূর্যতিলক। সূত্রের খবর, প্রতি রাম নবমীর দুপুরেই সূর্যের আলোর একটি রশ্মি সরাসরি রামলালার মূর্তির কপালে এসে পড়বে (Ram Navami  2024)। আর এই কাজ সম্ভব হবে বহু বিজ্ঞানীর অক্লান্ত গবেষণায়। কারণ সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করাতে হবে রামলালার কপালে। আবার ওই নির্দিষ্ট সময়েই। মাত্র ৪ মিনিটের জন্য থাকবে এই তিলক। সূর্যের আলোর তিলক পরবেন রামলালা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    বিশেষ লাড্ডু নিবেদন

    আগামী ১৭ এপ্রিল রাম নবমীতেই বিশেষ রেকর্ড গড়তে চলেছে রাম মন্দির। ওই দিন রাম মন্দিরে পাঠানো হবে ১,১১,১১১ কেজি লাড্ডু। তা রামলালাকে নিবেদন করা হবে। তারপর তা প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হবে! দেবরাহা হংস বাবা ট্রাস্টের তরফে রাম মন্দিরে রাম নবমীতে (Ram Navami) পাঠানো হবে এই ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ কেজি লাড্ডু! হংস ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রতি সপ্তাহেই দেশের কোনও না কোনও বিখ্যাত মন্দিরে লাড্ডু পাঠান বিগ্রহকে নিবেদন করার জন্য। এর আগে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, তিরুপতি বালাজি মন্দিরেও এই রকম লাড্ডু পাঠানো হয়েছে। এবার পাঠানো হচ্ছে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার উদ্দেশে।

    ঘরে বসেই দর্শন

    তবে যাঁরা কষ্ট করে মন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) উপস্থিত থাকতে পারছেন না তাঁদের জন্য ঘরে বসেই রামলালার দর্শন মিলবে। প্রসার ভারতী এর লাইভ টেলিকাস্ট করবে। এদিনের জন্য অযোধ্যায় ১০০ টিরও বেশি জায়গায় এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান টেক-অফের আগে পাইলটের মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। হনুমান চালিশা পাঠের মাধ্যমে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান (Ayodhya Airport)। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানের ক্যাপ্টেন আশুতোষ শেখর সকল যাত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর বিমানে ওঠা সকল যাত্রী জয় শ্রীরাম নাম জপ করে প্রভু রামকে স্মরণ করলেন। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা থেকে কলকাতা-বেঙ্গালুরু বিমান পরিষেবা চালু হবে খুব দ্রুত।

    বিমান পরিষেবার সময়সূচি (Ayodhya Airport)

    এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এবার সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দিরে আকাশপথে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অয্যোধ্যা বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে দিল্লি সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হল। একই ভাবে কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এই বিমান চালু হবে আগামী ১৭ জানুয়ায়রি। ১৭ তারিখে বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে সকাল ৮ টার সময় বিমান পরিষেবা চালু হবে। এই বিমান সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে অয্যোধ্যায় পৌঁছাবে এবং এরপর একই বিমান বিকেল ৩ তে ৪০ মিনিটে ছাড়বে, যা সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাবে। বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যা যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। কলকাতা থেকে যে বিমান অযোধ্যা যাবে, তা ছাড়া হবে ১ টা ২৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে ৩ টে ১০ মিনিট সময়ে। অযোধ্যা থেকে বিমান কলকাতায় যাবে সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে দুপুর ১২  টা ৫০ মিনিটে।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বক্তব্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার মুখ্য বাণিজ্যিক আধিকারিক ডা অঙ্কুর গর্গ বলেছেন, “রাজধানী দিল্লি ছাড়াও পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের তীর্থযাত্রীদের অযোধ্যায় পৌঁছানোর সুবিধা দিতে বেঙ্গালুরু, কলকাতায় বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে একবার বিরতি দিয়ে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। অযোধ্যার জন্য কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু যাথক্রমে পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের প্রবেশ দ্বার হিসাবে কাজ করবে। এই দুই শহর থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার বিমান পরিষেবা সপ্তাহে ৩ দিন করা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর মধ্যেই উদ্বোধন হল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। সেই সঙ্গে রেলের বিষয় হিসাবে অমৃত ভারতের বিশেষ ট্রেনের শুভ সূচনা হয়েছে। অযোধ্যায় মোট ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মোদি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই এই মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা যে তীব্র হচ্ছে, রামনগরীর বাসিন্দারা বুঝতেই পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি তো এখনও ঢের দেরি। নয় নয় করে আরও ২৮ টা দিন। কিন্তু সোমবার অযোধ্যায় (Ram Mandir) পা রাখতেই মনে হল, উৎসব শুরুই হয়ে গেছে। পুণ্যভূমির সর্বত্র শুধু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। দোকানে, বাড়ির দেওয়ালে, এমনকী বাড়ির দরজাতেও। বুঝতে অসুবিধা হল না, গোটা অয্যোধ্যা এখন রামচন্দ্রময়। জলে, স্থলে, আকাশে, বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই ধ্বনি, ‘জয় শ্রীরাম’। আগের অযোধ্যার সঙ্গে ফারাকও বিস্তর। ২২ জানুয়ারির সেই শুভ মুহূর্তটা যত এগিয়ে আসছে, কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। কারণ, প্রশাসনও জানে, ক’টা দিন পরই গোটা বিশ্ব হয়ে উঠবে অযোধ্যামুখী। তাঁদের আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই।

    রামের ঘরে ফেরা (Ram Mandir)

    ২৮টা দিন অয্যোধ্যাবাসীর কাছে অবশ্য কিছু নয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, তাঁদের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পুরাতন বাড়ি, সব জায়গায় চলছে সংস্কার। আমার মতো অযোধ্যায় পা রেখে যে কারও মনে হতেই পারে, হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অযোধ্যা (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে পার্ক, সর্বত্রই ছাপ সনাতন সংস্কৃতির। দোকানের দরজাতেও লেখা ‘জয় শ্রীরাম’। দেদার বিক্রি হচ্ছে রামচন্দ্র-হনুমানের ছবি আঁকা গৈরিক পতাকা। এ যেন সত্যিই রামের ঘরে ফেরা।

    ভগবান রাম যেন সবার (Ram Mandir)

    এখানকার মানুষ একটা বিষয় নিয়ে বেজায় খুশি। তা হল, এ শুধু রামের ঘরে ফেরাই নয়, অযোধ্যার (Ram Mandir) অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন আসছে। রামসীতা-হনুমানের মূর্তি তৈরি করেন জনৈক সন্তোষ শর্মা। তাঁর চোখেমুখে যেন খুশি ঝরে পড়ছে। তাই প্রতিবেদককে অকপটেই বলে দিলেন, ‘‘আগের থেকে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’’ রামনগরীতে ঢোকার মুখে দিব্য কুণ্ড জলাশয় বাঁধানোর কাজ চলছে। দেখলাম, সেটাও প্রায় শেষের দিকে। শ্রমিকরা বললেন, ‘‘গত ১ বছর ধরেই চলছে কাজ। আর কয়েক দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ প্রশাসনও নিরাপত্তার নিরিখে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই পথের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল পুলিশি ব্যারিকেড। বুঝলাম, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামনগরী। অযোধ্যার অলি-গলি-তস্য গলি চষে বেড়িয়ে দেখলাম, কমবেশি সব বাড়ির ছাদেই উড়ছে শ্রীরামের ছবি বসানো পতাকা। কোনও ধনী-দরিদ্র ভাগ নেই। ভগবান রাম যেন সবার হয়ে উঠেছেন।

    ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা (Ram Mandir)

    ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট দাখিল করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, রামের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অযোধ্যার রাস্তাঘাট, পার্ক, জলাশয়, দোকান, বাড়ির ছাদ সবেতেই দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্রকে। সন্ধ্যায় পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর ধারে ভক্ত সমাগমই বলে দিচ্ছে আধ্যাত্মিক ভূমির (Ram Mandir) মাহাত্ম্য। জানা গেল, এখানে রোজই চলে সরযূ আরতি। চলতি বছরের দীপাবলি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় লেজার শো। গোটা রামায়ণকে লাইট শো-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সরযূ আরতির পরে দেখানো হয়। অযোধ্যা কি বদলে গিয়েছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন শুনে সরযূ-আরতি সমিতির সভাপতি মহারাজ শশীরকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে তো কেউই অযোধ্যা আসতেন না। দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে দেখাও যেত না। কারণ সবাই ভীত ছিলেন কখন ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে! তখন অযোধ্যার প্রতি সবাই ছিলেন একেবারেই উদাস। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, যার অবদান, কৃতিত্ব অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির। বদলেছে অযোধ্যা। পাঁচশো বছর পরে নগরী ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    Malda: ৮০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে রামনগরীতে পৌঁছাবেন বঙ্গের দুই যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনস্কামনা মন্দিরে পুজো দিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সামিল হতে সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করে দিলেন মালদা (Malda) শহরের দুই যুবক। আগামী ২২ জানুয়ারিতে প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতি মধ্যে মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি চরম তুঙ্গে। সারা ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর সকল হিন্দুদের নজর এখন এই রাম মন্দিরের দিকেই।

    মালদা থেকে ৮০০ কিমি অযোধ্যা (Malda)

    মালদা থেকে অযোধ্যার দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি। মালদার (Malda) দুই যুবক হলেন রবি বিশ্বকর্মা (৩০) এবং অভিজিৎ বাসফোর(২২)। তাঁরা আজ স্থানীয় মনস্কামনা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ এই পথ অতিক্রম করে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল চালানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। যাত্রা শুরুর সময় তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন প্রচুর রামভক্ত এবং সাধারণ মানুষ।

    কেমন হবে সাইকেলের রুট?

    জানা গিয়েছে মালাদা (Malda) থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার পথের রুটটি হবে মালদহ থেকে প্রথমে ডালখোলা। এরপর বিহারের পূর্ণিয়া, দ্বারভাঙ্গা হয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর দিয়ে তাঁরা দু’জনে পৌঁছবেন অযোধ্যায়। যাত্রায় তাঁদের সাইকেলের মধ্যে থাকবে প্রভু শ্রীরামের আঁকা ছবি। সনাতন ধর্মীয় পতাকার পাশাপাশি সাইকেল যাত্রায় সামিল করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকাও। এলাকায় রীতিমতো উচ্ছ্বাস নিয়ে তাঁরা যাত্রার শুভ সূচনা করলেন। 

    যুবকদের বক্তব্য

    মালদার (Malda) এই দুই যুবকের বক্তব্য, “আগে দেশ পরে ধর্ম”। এই প্রসঙ্গে রবি বিশ্বকর্মা বলেন, “হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হবে। এবার সেই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠা পাবে।” আবার অভিজিৎ বাসফোর বলেন, “এই রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা পর্বের ঐতিহাসিক সাক্ষী হতেই আমরা সাইকেলে যাত্রার পরিকল্পনা করেছি। শ্রীরাম আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির পরিচয়। পাশপাশি সমাজে যাতে নেশা কম হয় সেই উদ্দেশ্যে আমরা এই যাত্রায় সচেতনতার বিষয়কেও রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ার আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার উদ্যোগে নির্মিত হিন্দু মন্দির উদ্বোধন (Abu Dhabi Temple Inauguration) করার আমন্ত্রণপত্র এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। মন্দির কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এসে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদির হাতে দেশে রাম মন্দির এবং বিদেশে হিন্দু মন্দির উদ্বোধনের ঘটনায় দেশজুড়ে খুশির আবহ।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দির

    মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশের শহর আবু ধাবি। সেখানে বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছিল মন্দির নির্মাণের কাজ। এমনকী, ২০১৮ সালে আমিরাশাহি সফরে গিয়ে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিজের হাতে করে এসেছিলেন মোদি (PM Modi in Abu Dhabi) । মন্দির কমিটি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ (Abu Dhabi Temple Inauguration) করতে এদিন উপস্থিত হন ঈশ্বরচরণ স্বামীজি, গুরুবর্য মহন্ত এবং ব্রহ্মহারী স্বামীজি। আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এই মন্দির। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করে এই প্রতিনিধিদল। আলোচনায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক ভাবনা এবং দর্শন চর্চা। এছাড়াও বিষয় ছিল বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্য, হিন্দু সমাজের মাহাত্ম্য, বিশ্বের মঞ্চে ভারতের নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়।

    কেমন হবে মন্দির?

    জানা গিয়েছে, এটিই হতে চলেছে আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) প্রথম স্থাপিত হিন্দু মন্দির। শহরের আল বাকবা নামে একটি জায়গায় ২০ হাজার বর্গমিটার জমির মধ্যেই এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্য এবং শিল্পকলায় যেমন আধুনিক চিত্রকলা থাকবে ঠিক একই ভাবে প্রাচীন চিত্রকলার নিদর্শনও থাকবে (Abu Dhabi Temple Inauguration)। মধ্যেপ্রাচ্যে এই মন্দির ভারতের ধর্ম এবং সংস্কৃতির একটি প্রধানকেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share