Tag: ram mandir inauguration

ram mandir inauguration

  • Ram Mandir Inauguration: ‘রামের আলো’ থেকে বিদ্যুৎ! ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র ঘোষণা মোদির

    Ram Mandir Inauguration: ‘রামের আলো’ থেকে বিদ্যুৎ! ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’র (Pradhanmantri Suryodaya Yojana) আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে তাঁর ঘোষণা, সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন দিশা দেখাবে তাঁর সরকারের এই কর্মসূচি। দেশের এক কোটি নাগরিকের বাড়িতে সোলার রুফ টপ সিস্টেম (Solar Roof Top System) বসানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে গরিব ও মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ-এর বিল কম হবে। এর পাশাপাশি শক্তি সম্পদের দিক থেকেও ভারত আত্মনির্ভর হবে।

    মোদির নয়া ঘোষণা

    দিল্লিতে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ সংক্রান্ত বৈঠকের পরে মোদি তাঁর সরকারি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বের সব ভক্ত সর্বদা সূর্যবংশী ভগবান শ্রীরামের আলো থেকে শক্তি পান। আজ, অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ দিবসে, আমার সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে যে ভারতের জনগণের বাড়ির ছাদে তাদের নিজস্ব ‘সোলার রুফ টপ সিস্টেম’ (সৌরবিদ্যুতের প্যানেল) থাকা উচিত।’’ 

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর এই কাজেও এনেছেন রামের ছোঁয়া। দেশবাসীকে বাড়ি বাড়ি ‘রাম-জ্যোতি’ জ্বালিয়ে স্বাগত জানানোর আর্জি রাখেন মোদি। আর দিনান্তে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ নিয়ে তাঁর বিশেষ বার্তা, ‘‘অযোধ্যা থেকে ফিরে আসার পর আমি প্রথম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হল, আমাদের সরকার দেশের কোটি বাড়িতে ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর লক্ষ্য নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্যোদয় যোজনা’ চালু করবে। এটি শুধু দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ খরচই কমাবে না, ভারতকে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলবে।’’ সেই প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের ছবিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মোদি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ভোর ৩টে থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন! জনসাধারণের জন্য খুলে গেল রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরদিন থেকেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) দরজা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই রামলালাকে দর্শন (Ramlala Darshan) করতে পারবেন ভক্তরা। এই প্রেক্ষিতে, মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় ও দর্শনের নিয়ম নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

    সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় রামলালার প্রাণ-প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। একাধিক ধর্মীয় নিয়মবিধি মেনে গর্ভগৃহে রামলালার পুজো করেন ‘প্রধান যজমান’ নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    আজ থেকে সাধারণ দর্শনের জন্য খুলল মন্দির

    সোমবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অভ্যাগত অতিথি ও বিশিষ্টজনেরা রামলালার দর্শন করে একে একে চলে যান। তার পর থেকেই অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Mandir) কার্যত মানুষের ঢল নামে। সকলের গন্তব্য রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan)। যদিও, গতকাল অতিথিদের ছাড়া, কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ভোর ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা। রামলালাকে ভোগ নিবেদনের পরে আবার বেলা ২টো থেকে খুলবে মন্দির। সন্ধে ৭টা অবধি দর্শন করা যাবে। দুপুর ১টা নাগাদ ভোগ দেওয়ার পরে বিশ্রাম নেবেন রামলালা। আবার ২টো থেকে দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। সন্ধে ৭টা নাগাদ আরতি হবে মন্দিরে।

    ভোর ৩টে থেকেই ভক্তদের লাইন

    তবে, রামলালা দর্শন (Ramlala Darshan) নিয়ে জনমানসে এতটাই উন্মাদনা রয়েছে যে, ভোররাত ৩টে থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায়। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা আধিকারিকদের। মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই অনেক আগে থেকে রামলালা দর্শনের এই সময় ঘোষিত হয়েছে। পরবর্তীকালে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সময় বদল হতে পারে। দর্শনের সময়ের পাশাপাশি, পুজোর নিয়ম নিয়েও বিধি জারি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রীতি অনুযায়ী, সকালে ঘুম থেকে তোলার পর রামলালাকে লাল চন্দন আর মধুতে স্নান করানো হবে। দুপুরে বিশ্রাম, সন্ধ্যার ভোগ ও আরতির পর শয়ন দেওয়ার আগে ১৬ মন্ত্র প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। দিনে পাঁচবার আরতি হবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে হবে মন্ত্রপাঠ, শাস্ত্র আলোচনা। রাম ভজন হবে রোজই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    Narendra Modi: ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর’’, ট্যুইট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিনই রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগে শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর একটি অডিওবার্তা ভেসে এল। যেখানে তিনি বলছেন, ‘‘১১ দিনের পবিত্র অনুষ্ঠান আজ থেকেই শুরু করছি।’’ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে ওই অডিওবার্তা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলছেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান, এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘প্রাণ প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন ঈশ্বর। আজ থেকেই আমি ১১ দিনের অনুষ্ঠান শুরু করছি। আমি খুবই আবেগপ্রবণ বর্তমানে। জীবনে প্রথমবার আমি এইরকম অনুভূতি পাচ্ছি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘জীবনের কিছু মুহূর্ত আসে, যা সম্ভব হয় সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদের কারণে। এটাই হল সেরকম একটি পবিত্র অনুষ্ঠান। যা আমাদের সবার জীবনে এসেছে।’’

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) সঙ্গেই সারাক্ষণ হাজির থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেদিন রামনগরীতে হাজির থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অযোধ্যায় আমন্ত্রিত প্রায় ৭ হাজার অতিথি। যার মধ্যে ভিভিআইপি প্রায় ৩ হাজার। ইতিমধ্যে অযোধ্যার অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার চেষ্টা করা হতে পারে বলে সতর্কতাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গোটা রামনগরীকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের সঙ্গে মেশানো হয়েছে ঘি এবং হলুদ। ‘অক্ষত’ নামের এই চাল এসেছে সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে। এর সঙ্গে থাকবে রাম মন্দিরের ল্যামিনেশন করা ছবি এবং রাম মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা লিফলেট। এসব নিয়েই বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই মেগা উদ্বোধন কর্মসূচির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, সেখানে হাজির থাকবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা অযোধ্যা সেই উপলক্ষে নতুনভাবে সেজে উঠছে। দেশের মানুষও সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এর ঠিক আগেই ১ জানুযারি থেকে টানা ১৫ দিন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের মহিমাকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই কাজে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও।

    কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক (Ram Mandir)

    আগামী বছরই লোকসভার ভোট। তার প্রস্তুতিও বিভিন্ন দল শুরু করে দিয়েছে। এরকম একটা মোক্ষম সময়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন যে বিজেপির কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং রামের প্রতি শ্রদ্ধার কথা তাদের অজানা নয়। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি ভোটের আগে জনসংযোগের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এই কর্মসূচি যাতে সার্থক হয়, তার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন দলের নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায়ও এ নিয়ে অজস্র বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাড়ি বাড়ি অক্ষত চাল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধনের দিন কী করণীয়, তার একটি নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) যাওয়ার জন্য সমর্থক ও রাজ্যবাসীকে আমন্ত্রণও জানাবেন বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের মতে, এই রাম মন্দির (Ram Mandir) আদপে দেশের পরিচয়ই বহন করছে। রামলালা এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই দলের মূল লক্ষ্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল এবং তারা সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। তাদের এই চিন্তাভাবনা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম কাজ। তাঁর আশা, সারা দেশ ভেসে যাবে রামের জোয়ারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    Ram Mandir: “দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান”, বললেন ফতোয়া পাওয়া সেই ইমাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অপরাধ মুসলমান হয়েও যোগ দিয়েছিলেন অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। তাই ফতোয়া জারি করা হল অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান উমর আহমেদ ইলিয়াসির বিরুদ্ধে। ফতোয়ায় তাঁকে ‘কাফের’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফতোয়া জারি করেছে মুফতি সাবির হুসেইনির নেতৃত্বাধীন মুফতি ক্লাসেস নামে একটি দল।

    লাগাতার হুমকি ফোন

    ইলয়াসির অভিযোগ, রবিবার থেকে তাঁর ওপর এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধন অনু্ষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর থেকে লাগাতার হুমকি ফোনও তিনি পাচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন ইমাম। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি দায়ের করেছেন এফআইআরও। ইমাম বলেন, “যাঁরা (Ram Mandir) আমায় ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন, তাঁরা অবশ্যই আমায় সমর্থন করবেন। আর যাঁরা রাম মন্দিরের ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য আমায় ঘৃণা করছেন, তাঁরা দয়া করে পাকিস্তানে চলে যান।”

    ‘মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে’

    ইমাম বলেন, “রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর আমি দু’ দিন বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি। তারপর অযোধ্যা যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। এটা আমার জীবনের সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল। দেশের সম্প্রীতি রক্ষার্থে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান ইমাম হিসেবে আমাকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনায় স্বাগত জানানো হয় আমাকে। সেদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, দুটি ধর্মের বিশ্বাস আলাদা হতে পারে, কিন্তু মনুষ্যত্বই আমাদের এক করে।”

    আরও পড়ুুন: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    ইলিয়াসি বলেন, “আমায় এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারত ইসলামিক দেশ নয়। ফলে এই সব ফতোয়া এখানে চলবে না। আমি যে ভালোবাসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছি, তা কারও পছন্দ না হলে সে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। আমি কোনও ভুল করিনি। প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইব না। পদ থেকেও ইস্তফা দেব না।” প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বালক রামের মূর্তির। উৎসবে (Ram Mandir) উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। ছিলেন এই ইমামও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) ভারতের অর্থনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সোমবার, এই অনুষ্ঠানটি বহু ইতিহাস সৃষ্টি করল। এই  ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। অনেকে একে “সনাতন অর্থনীতি”র ধারণা বলে অভিহিত করেছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। দিল্লিতে নানা পণ্য বিক্রি করে আয়ের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    কীভাবে রেকর্ড আয়

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) অনুসারে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইতিমধ্যে ভক্তরা সারা দেশে নানা পণ্য বিক্রি করে ১.২৫ লক্ষ কোটি রুপি আয় করেছে৷  সিএআইটি এর জাতীয় সভাপতি বিসি ভরতিয়া এবং প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন,”ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণে ব্যবসার মাধ্যমে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজারে এসেছে। লক্ষণীয় বিষয় হল ছোট ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা যে সমস্ত বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছিল, তা অর্থনৈতিক বাজারে বিপুল সাফল্য এনেছে।”

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    হর ঘর অযোধ্যা অভিযানে  সাড়া

    খান্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির (Ram Mandir Inauguration) খোলার ফলে দেশে ব্যবসার জন্য অনেক নতুন সুযোগ এসেছে। বৃহৎ পরিসরে এর ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে “হর শহর অযোধ্যা, হর ঘর অযোধ্যা” প্রচারের অংশ হিসাবে, সারা দেশে ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট এবং বড় ব্যবসায়িক সংগঠন ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসূচি পালন করেছে। এর ফলে  রাম মন্দিরের মডেল, মালা, ঝুলন্ত সজ্জা-সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হয়েছে সারা দেশে। হিন্দু পুরোহিতরাও অসংখ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণা’ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করেন। রেকর্ড সংখ্যক মিষ্টি ও শুকনো ফল বিক্রি হয় প্রসাদ হিসেবে।  লাখ লাখ টাকার আতশবাজি, মাটির প্রদীপ, পিতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও সারাদেশে বিক্রি হয়। ইতিমধ্যেই উপহার হিসেবে রাম মন্দিরের মডেল বিক্রি হতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। পর্যটন-ব্যবসা তো রয়েছেই। তাই শীঘ্রই রাম মন্দির বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    Ram Mandir Inauguration: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম, রাম জয় রাজা রাম, রাম রাম জয় সীতা রাম…! রাম-নামে মাতল অযোধ্যা। রাম-ভজনে ভাসল সরযূ তীর। সোনু নিগম, শঙ্কর মহাদেবণ, অনুরাধা পারোয়ালের কণ্ঠে  রামসীতার ভজনে মোহিত গোটা অযোধ্যা। অযোধ্যায় গত কয়েকদিন ধরেই সাজোসাজো রব। অবশেষে এসেই গেল সেই বহু প্রতিক্ষীত দিন। ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রাম মন্দিরে। অযোধ্যা জুড়ে ভারতীয় সংস্কৃতির উদযাপন চোখে পড়ল।

    সোনুর সুরে চোখে জল

    রাম মন্দির অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পেয়েই আপ্লুত হয়েছিলেন সোনু নিগম। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে গায়ক লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক নিমন্ত্রণ’। এদিন দেখা গেল সাদা পোশাকে মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করছেন সোনু। কপালে কমলা রঙের টিকা। তাঁর ‘রাম সিয়া রাম, সিয়া রাম জয় জয় রাম’ গানটি শুনে চোখে জল এল অনেকেরই। 

    সুরে সুরে রাম-নাম

    ইতিমধ্যেই মূল যজমান হিসেবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিভি এবং মোবাইলের পর্দায় সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় গর্ভগৃহের মধ্যে মোদি ছাড়াও ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

    অযোধ্যায় এদিন ছিল তারকার সমাহার। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি।  ছিলেন  রণবীর কপুর, আলিয়া ভাট, ভিকি কৌশল, ক্য়াটরিনা কাইফ, কঙ্গনা রানাওয়াত, অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন। অযোধ্যায় ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক ক্রীড়াতারকাও। ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর অনিল কুম্বলে, সাইনা নেওয়াল, মিতালি রাজ, বাইচুং ভুটিয়ারা। এদিন উদ্বোধনের পুণ্য লগ্নে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়েছে আকাশ থেকে। হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়িয়ে দেওয়া হয় অযোধ্যার উপর। হাজার হাজার ভক্তের ভিড়ে মিশে যান ভগবান রাম। রাম নামে মুখরিত হয়ে ওঠে অযোধ্যা নগরী। আজ, গোটা দেশের একটাই সুর “ভজে হাম, ভজে হাম সদা রামচন্দ্রম…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাম মন্দির উদ্বোধন, হেল্পলাইন নম্বর চালু বিজেপির, দুর্গামূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাম মন্দির উদ্বোধন, হেল্পলাইন নম্বর চালু বিজেপির, দুর্গামূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচশো বছরের অপেক্ষা! অবশেষে রাম মন্দির (Ram Mandir Inauguration) প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে সরযু নদীর তীরে। অযোধ্যা থেকে কয়েকশো মাইল দূরে কলকাতাতেও উৎসবের মেজাজ। বাংলাজুড়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিশাল মিছিল নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাম মন্দিরে প্রবেশ করেছেন। রামচন্দ্রের সঙ্গে বাংলার যোগসূত্র হিসেবে মিছিলের মূলভাবনা অকালবোধন। ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করে মন্দিরে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা

    মিছিলের আয়োজক শ্রীরাম সেনা। উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজের বৈকুণ্ঠপুর মন্দির থেকে শুরু হয়ে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের রাম মন্দির পর্যন্ত যায় এই শোভাযাত্রা। এই মিছিলে যোগ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সারা বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উঠছে। যদি লজ্জা থাকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোবেন না।’’ সন্ধে ৬টা নাগাদ, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গা আরতি করবেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্ধে ৭টায়, গরচায় রাম দরবারের উদ্বোধন করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর।  

    বাংলায় সারা দিনের কর্মসূচি

    সোমবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন মঠ, মন্দির, আশ্রম, মহল্লায় ও ক্লাবে রামপুজো ও প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে পদযাত্রায় অংশ নেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে পদযাত্রায় থাকবেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির তরফে রাম মন্দির উদ্বোধনের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত জেলার প্রতি বুথের অন্তত একটি হলেও মন্দিরে পুজোর আয়োজন করতে হবে। সেই মন্দির পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে প্রসাদ বিলি করতে হবে। সকাল বা সন্ধায় ‘নগরকীতর্ন’ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: শহরে মরশুমের শীতলতম দিন! এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমল তিন ডিগ্রি

    হেল্পলাইন নম্বর চালু

    রাম মন্দির নিয়ে বাংলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নতুন উদ্যোগ নিল বঙ্গ বিজেপি। চালু হল একটি হেল্পলাইন নম্বর। রবিবার থেকেই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। রবিবার বঙ্গ বিজেপির তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়। নম্বরটি হল ৭৬০৫০-২৬১১৫। রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে বাংলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই এই নম্বরে ফোন করলে মিলবে যে কোনওরকম সহায়তা বলে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। এর আগে একাধিক জায়গায় রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য মিছিলে বাধা প্রদান করা হয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। 

    কলস যাত্রার আয়োজন

    এদিন সকালে দমদম হনুমান মন্দির থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত এক কলস যাত্রার আয়োজন করা হয়। বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়ার নেতৃত্বে এই যাত্রা দমদম হনুমান মন্দির থেকে শুরু হয় দমদম রোড নাগেরবাজার হয়ে যশোর রোড ধরে পৌছায় দমদম পার্কে।মিছিলে অংশ দেন কামদুলি তুই প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী ও টুম্পা। এছাড়াও যাত্রায় কয়েকশো মহিলা ও পুরুষ। হাতে কলস ও পতাকা নিয়ে তাদের এই কলস যাত্রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration:  ‘রাম রাজ্যে’  উৎসবের মেজাজ, অযোধ্যায় আজ সারা দিন

    Ram Mandir Inauguration:  ‘রাম রাজ্যে’ উৎসবের মেজাজ, অযোধ্যায় আজ সারা দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ লড়াইয়ের পথ পেরিয়ে অযোধ্যায় আজ, সোমবার, উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। রাম মন্দিরে রামের মূর্তি রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র সময় আগত। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র মাধ্যমে মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে ভারতজুড়েই বিরাজ করছে উৎসবের মেজাজ। 

    প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সূচি

    সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় পৌঁছবেন। ১১টায় অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মন্দির চত্বর ঘুরে দেখবেন মোদি। দুপুর ১২টায় শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানসূচি বলছে, ঠিক ১২টা ০৫ মিনিটে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে। এর মধ্যে ৮৪ সেকেন্ড হল বিশেষ মুহূর্ত যখন রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১টার সময় উদ্বোধনস্থল ছেড়ে বেরোবেন মোদি। এরপর যোগ দেবেন পাশেই আয়োজিত জনসভায়। দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০মিনিট পর্যন্ত চলবে জনসভা। ২টো ৪০ মিনিটে কুবের টিলায় শিব মন্দির দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জনসাধারণের জন্য মন্দির দর্শন

    সোমবার দুপুর সওয়া ১২টা থেকে পৌনে ১টার মধ্যে রামমন্দির উদ্ধোধন হবে বলে মন্দির নির্মাণকারী সংস্থা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানা গিয়েছে। সোমবার মন্দির উদ্বোধন হলেও মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য এই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানা গিয়েছে যে,  সারা দিনে দু’বার মন্দিরের দরজা খোলা হবে। সকাল ৭টায় মন্দিরের দরজা খোলার পর সাড়ে ১১টার সময় দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার পর আবার দুপুর ২টো থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন। সন্ধ্যা ৭টার সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ২০ হাজার অতিথির জন্য মহাপ্রসাদ, ‘কন্দমূল, সরযূ নীর’ বাক্সে থাকছে আর কী কী?

    দিনে আরতি হবে তিন বার— সকাল সাড়ে ৬টায় ‘জাগরণ আরতি’, দুপুর ১২টায় ‘ভোগ আরতি’ ও সন্ধ্যা ৭টায় ‘সন্ধ্যারতি’। দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করলে তার পর আরতি দেওয়ার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration: ২০ হাজার অতিথির জন্য মহাপ্রসাদ, ‘কন্দমূল, সরযূ নীর’ বাক্সে থাকছে আর কী কী?

    Ram Mandir Inauguration: ২০ হাজার অতিথির জন্য মহাপ্রসাদ, ‘কন্দমূল, সরযূ নীর’ বাক্সে থাকছে আর কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদামি রঙের কাগজের ব্যাগে লালচে মেরুন রঙের কার্ডবোর্ডের বাক্স! ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) লগ্নে আগত ২০ হাজার বিশেষ অতিথির হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ এই বাক্স। এটি রামলালার মহাপ্রসাদ (Ram Mandir Prasad)। এই বাক্সে প্রসাদের মিষ্টি ছাড়াও থাকবে আরও বেশ কিছু পুজোর জিনিসপত্র। রবিবার রাতেই একটি ভিডিয়োতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই বাক্সের ভিতরের ছবি।

    কারা পাবেন এই বিশশেষ প্রসাদ 

    সোমবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে (Ram Mandir Inauguration) আগত অতিথি এবং সাধু-সন্তদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া রামলালার মহাপ্রসাদের বিশেষ বাক্স। অতিথির মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তেমনই রয়েছেন সিনেমা জগৎ, ক্রীড়া জগতের তারকারাও। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অযোধ্যায়। তাঁদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে রামমন্দিরের মহাপ্রসাদের বাক্সটি। বাক্সের উপরে রয়েছে সোনালি রঙের রাম মন্দিরের ছবি। ডালা খুললেই দেখা যাবে ছোট ছোট খোপে রাখা নানারকম জিনিস। 

    কী কী থাকবে প্রসাদে

    এই বিশেষ বাক্সে থাকবে কন্দমূল, সরযূ নীর, কুমকুম এবং রুদ্রাক্ষ। রাম ভক্তদের বিশ্বাস বনবাসে থাকাকালীন কন্দমূল খেয়েই ক্ষুধা নিবৃত্ত করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। এছাড়াও বাক্সে থাকছে দেশি ঘি, পাঁচ রকমের শুকনো ফল, বেসন এবং চিনি দিয়ে বানানো লাড্ডু। হাতের কব্জিতে বাঁধার জন্য লাল রঙের তাগা, সুপুরি এবং না ভাঙ্গা চল যাকে ‘অক্ষত’ বলা হয়। এর সঙ্গেই একটি ছোট বোতলে সরযূ নদীর জল, একটি কৌটোয় সিঁদুর।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    রামলালার মহাপ্রসাদের থালা

    রামলালার প্রসাদের (Ram Mandir Prasad) থালাতেও রয়েছে মাহাত্ম্য। বিশ্বরেকর্ডধারী শেফ বিষ্ণু মনোহর নিজে হাতে তৈরি করছেন রামলালার প্রসাদ। রামলালার প্রসাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাম হালুয়া। ৯০০ কেজি সুজি এবং ১০০০ কেজি চিনি দিয়ে প্রায় ৭ হাজার কেজি রাম হালুয়া তৈরি করা হবে। এতে ব্যবহৃত হবে আড়াই হাজার গ্যালন দুধ এবং ৩০০ কেজি কাজু। ১৪০০ কেজি ওজনের একটি কড়াইতে এই রাম হালুয়া প্রসাদ রাঁধবেন বিষ্ণু মনোহর। নাগপুর থেকে বয়ে বয়ে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই বিরাট কড়াইটি। জানা গিয়েছে, রামলালার এই মহাপ্রসাদ পাবেন মোট দেড় লাখ রাম ভক্ত। অতীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এ ছাড়াও রাম মন্দিরের মহাপ্রসাদের তালিকায় রয়েছে থেপলা, আমন্ড বাদাম, কড়াইশুঁটির কচুরি। প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের সময় এই প্রসাদগুলি রামলালার সামনে অর্পণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share