Tag: Ram Mandir Tax

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

LinkedIn
Share