Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    Ram Mandir: তৃণমূলেও রাম নাম! মেদিনীপুরে রাম মন্দির সংস্কার করল শাসকদলের পুর-বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন হবে। ঠিক এই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে কয়েক দশকের পুরানো মন্দিরের সংস্কার করা হল। সেই মন্দিরে হনুমানের সঙ্গে ছিল রাম-সীতার মূর্তিও। যদিও পুজো মিলত মূলত রামভক্তেরই। স্থানীয়রা মহাবীর মন্দির বলেন। অনেকে আবার রাম মন্দিরও বলতেন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মন্দিরটি বেহাল হয়ে পড়েছিল। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার টাকায় সেই মন্দির নতুন করে সেজে উঠেছে। জনগণের উন্নয়নের টাকায় মন্দির সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠএক একইভাবে এর আগে প্রশ্ন উঠেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রাজ্যের টাকায় এবং হিডকোর তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ মন্দির গড়া নিয়েও।

    পুর-প্রধান কী বললেন? (Ram Mandir)

    মেদিনীপুর শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৪৮ সালে এখানে গান্ধীজি-র চিতাভস্ম ভাসানো হয়। তাই এই নদীঘাটের নাম গান্ধীঘাট। আগে থেকেই এখানে রাম-সীতা ও মহাবীর হনুমানের ছোট মন্দির ছিল। সেই মন্দিরটি (Ram Mandir) আরও বড় আকারে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পুরসভার বক্তব্য, এখানকার ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতেই মন্দির তৈরিতে ‘সহযোগিতা’ করা হয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, গান্ধীঘাটের কাছে রাম-সীতা, মহাবীর মন্দির নির্মাণ করেছি আমরা। ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি  আমাদের কাছে একটি পবিত্র দিন। ওই দিনই আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করব। তবে, শুধু মন্দির নয়, কারবালা মাঠের উন্নয়ন করেছি। গির্জার কাছে আলো লাগিয়েছি। রাস্তা করেছি। মন্দির নির্মাণেও সহযোগিতা করেছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা হোক, এত দিন আমরাই চেয়েছি। মানুষের সমর্থন পেতে এখন সেই পথ সকলে অবলম্বন করছে। ভালো উদ্যোগ। তবে, আগে সংস্কার করা হলে আরও ভালো লাগত। তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের নয়, কেন্দ্রের টাকাতেই সেজে উঠেছে গান্ধীঘাট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    Ram Mandir: লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি, মন্দির চত্বর ছয়লাপ হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকে

    রামনগরী অযোধ্যা-দুই

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে প্রবেশ করতেই দেখা গেল, মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। যে দিকেই তাকাই, শুধু হলুদ হেলমেট আর কমলা জ্যাকেট পরা শ্রমিকরা কাজ করে চলেছেন। বড় সাইজের দুটো রোলার তখন উঁচু-নীচু জায়গা সমতল করতে ব্যস্ত। রোলার নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন, নির্দেশ দিচ্ছেন অপরজন। বাঁশের তৈরি পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে পুরো মন্দিরের পাশে উলম্বভাবে। তাতেও অজস্র শ্রমিক শেষ মুহূর্তের ছোঁয়া দিচ্ছেন। শুকনো শীতকাল, তাই প্রচুর ধুলো। অনেকের মতো তাই মুখে মাস্ক বেঁধে ফেলতে হল। মন্দিরের ঠিক বাঁদিকেই আমরা দাঁড়িয়ে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরার ফোকাস ততক্ষণে আটকে গিয়েছে নব নির্মিত রাম মন্দিরের দেওয়ালে। গোটা চত্বর ঘুরে দেখাচ্ছেন ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা। হাজির রয়েছেন সম্পাদক চম্পত রাই সমেত উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্য়মন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। মন্দির প্রাঙ্গণে আসার আগেই অবশ্য জানা গিয়েছিল, রাম মন্দির চত্বরে নির্মাণ হবে আরও ৭টি মন্দির (Ram Mandir)। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর ভবনেই সেকথা জানিয়েছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই। এবার ঘুরিয়ে দেখালেন মন্দিরগুলি ঠিক কোথায় গড়ে উঠবে। পাঠকের মনে এতক্ষণে প্রশ্ন জাগছে, রাম মন্দির চত্বরে আরও ৭টি মন্দির কার কার তৈরি হবে! এর উত্তর সেদিন সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দেয় ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’। রামচন্দ্রের জীবনে অবদান রয়েছে, এমন ৭ জনের মন্দির তৈরি হচ্ছে প্রাঙ্গণে। তাঁরা হলেন, বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা।

    রাম মন্দির চত্বরে মূর্ত রামায়ণ

    যুগ বদলাচ্ছে, বদলেছে দেশ। বাংলার কথা বলতে গেলে, রোজ দুপুরে ভাতঘুমের বদলে বড়রা রামায়ণ পাঠ করতেন এবং ছোটরা তা শুনত। সে অবশ্য অনেক আগের কথা। তারপর রামায়ণ টিভিতে এল। রামানন্দ সাগরের ‘শো’ দেখতে সাদাকালো টিভির সামনে বসত সবাই। এরপরে অবশ্য কার্টুনে রামায়ণ, ছোটদের রামায়ণ, সিনেমাতে রামায়ণ এসেছে। এবার গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠবে রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই। মহাকাব্যের স্রষ্টা থেকে বনবাসে বিষ্ণুর অবতারের সঙ্গীরা সকলেই স্থান পেতে চলেছেন রাম মন্দির চত্বরে। 

    ৭ মন্দির যাঁদের তৈরি হবে, রামের জীবনে তাঁদের অবদানগুলি একনজরে দেখে নেব আমরা  

    বাল্মিকী: প্রথম জীবনে দস্যু রত্নাকর পরবর্তীকালে বাল্মিকী মুনি হয়ে ওঠেন। রামায়ণ মহাকাব্যের রচনা তিনিই করেছিলেন।

    বশিষ্ট: রামের গুরু ছিলেন বশিষ্ঠ। 
     
    বিশ্বামিত্র: রামের অপর গুরু ছিলেন বিশ্বামিত্র। ধর্মোপদেশ ছাড়াও সীতার স্বয়ম্ভর সভায় তিনি অযোধ্যার রাজপুত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

    অগস্ত্য মুনি: রাবণের আসুরিক চরিত্র সম্পর্কে রামকে প্রথম উপদেশ দেন অগস্ত্য মুনি। মুনির পরামর্শ মতোই রাম গোদাবরীর তীরে পঞ্চবটি নির্মাণ করেন।

    মাতা শবরী: দক্ষিণ ভারতের অচ্ছুত আদিবাসী এই পৌরাণিক চরিত্রের কুটিরে পৌঁছে রাম ও লক্ষণ জল খান। শবরী মাতার এঁটো ফল খেয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন রামচন্দ্র।

    নিষাদরাজ গোহু: বনবাসের সময় রাম-সীতা-লক্ষণকে গঙ্গাপার করেছিলেন নিষাদরাজ গোহু। তিনিও স্থান পাচ্ছেন রাম মন্দিরে।

    অহল্যা: রামের উপস্থিতিতে শাপমুক্ত হয়েছিলেন মহর্ষি গৌতমের পত্নী অহল্যা। তাঁর মন্দিরও থাকছে রাম মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি, দাবি রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের

    Ram Mandir: ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদি, দাবি রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম রাজ্য আসছে আর তারই সঙ্গে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির সমালোচকদের পরাজয়ও নিশ্চিত। এমন কথাই বলতে শোনা গেল অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ দাসকে। তাঁর মতে, ‘‘রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হলে সারা দেশবাসী সুখে বাঁচবে। ২০২৪ সালে অনেকগুলি কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। একটি তো হল রামলালা তাঁর নিজের গর্ভগৃহে অধিষ্ঠান করবেন এবং অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই বছরেই এই সব কিছুই শুভভাবে সম্পন্ন হবে।’’ অযোধ্যার মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

    ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    রামলালাকে ছাপান্নভোগ নিবেদন করা হয় বিশেষ উৎসবগুলিতে। যেমন, হোলি, রামনবমী, বসন্ত পঞ্চমী, নতুন বছর, স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। সে অনুযায়ী নতুন বছর শুরু হতেই তাঁকে ছাপান্ন ভোগ নিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান পুরোহিত। এদিন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আরও জানিয়েছেন যে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি (মোদি) সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এই নীতিতে চলছেন। অন্যদিকে বিরোধীরা দেশের জনগণকে নিয়ে মোটেও আগ্রহী নয়, তাঁরা শুধু ক্ষমতা দখল করতেই চিন্তিত এবং তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনার মাধ্যমে। তবে এটা সম্ভব নয়।

    মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রীত্ব

    প্রসঙ্গত, মোদির ক্ষমতায় ফেরা যে নিশ্চিত, তা বিভিন্ন অরাজনৈতিক মহল থেকেই বলা হচ্ছে। দু’দিন আগেই ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে যে ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। অন্যদিকে একই সুর শোনা যাচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পুরোহিতদের মুখে।

    স্মার্ট সিটি অযোধ্যা

    অযোধ্যাতে যেন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। ১৭৮টি প্রকল্প চলছে সেখানে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, স্মার্ট সিটি করার লক্ষ্যে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে আগামী ১০ বছরে। অযোধ্যাতে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ ডিসেম্বর। নতুনভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যার রেলওয়ে স্টেশন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    রামনগরী অযোধ্যা-এক

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম রাজ্যের ধারণা ছোট থেকেই শুনে আসছি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অযোধ্যায় পা রাখতেই স্বচক্ষে দেখলাম রামের রাজত্ব। রামনগরীর প্রতিটি ইট থেকে সরযূ নদীর জল, সবটাই রামচন্দ্রময়। লঙ্কাজয়ের পর রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার সময় অযোধ্যানগরী কেমন সেজে উঠেছিল, তা জানার উপায় নেই। তবে ২২ জানুয়ারি রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরার আগে উত্তেজনার পারদে যে ফুটছে অযোধ্যা, তা বোঝাই গেল। সব থেকে কর্মব্যস্ততা রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন কর্তারা। মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ‘তীর্থ ক্ষেত্র ভবন’। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কড়া নিরাপত্তার বলয়।

    ৭৫ বছরের বৃদ্ধ চম্পত রাই। যুবক বয়স থেকেই যুক্ত রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে তিনি। পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। তিনি ট্রাস্টের সম্পাদক। সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ভার তাঁর ওপরেই। সাদা ধুতি, খাদির পাঞ্জাবির ওপর শীত আটকাতে জ্যাকেট। কপালে তিলক আঁকা বৃদ্ধ হাতে মাইক নিয়ে শুরু করলে সাংবাদিক বৈঠক। পিছনে রামমন্দিরের ৭০ একর জায়গার ম্যাপ। চেয়ারে বসে ম্যাপ দেখাতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই উঠে দাঁড়ালেন সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধ। চম্পত রাইয়ের নিঁখুত বর্ণনায় উঠে এল সামগ্রিক রাম মন্দির (Ram Mandir)। জানা গেল মন্দির তৈরি হচ্ছে জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনায়। কী সেই ভাবনা?

    জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনা

    হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদতে কেরলে জন্মগ্রহণ করা আদিগুরু শঙ্করাচার্য। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ রচনা থেকে দেবদেবীর স্তোত্রের সংকলন, সবটাই করেছিলেন তিনি। গীতার ভাষ্য তিনিই রচনা করেছেন। পূজা পদ্ধতি, আচার অনুষ্ঠানের বিধি ও নিয়মও লিখে গিয়েছিলেন তিনি। জগদ্গুরু শঙ্করাচার্যের ‘পঞ্চায়তন’ ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠছে রাম মন্দির। ‘পঞ্চায়তন’ কথার আক্ষরিক মানে হল পাঁচ দেবদেবীর পুজো। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, প্রতিটি ধর্মস্থানে বা মন্দিরে পাঁচ দেবদেবীর পুজোর বিধান দিয়ে গিয়েছিলেন জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য। কোন পাঁচ দেবদেবী? এঁরা হলেন সূর্য, শঙ্কর, গণপতি, ভগবতী ও বিষ্ণু। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পাঁচদেব দেবীর আরাধনা করলেই সম্পন্ন করা যায় সম্পূর্ণ পুজো। রাম মন্দিরেরও থাকবেন এই পাঁচ দেবদেবী। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, রামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর অবতার। তাই রাম মন্দিরে আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মূর্তি থাকবে না বলেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন চম্পত রাই। হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থল ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরে জগদ্গুরুর ছোঁয়া

    ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে বলে অনুমান মন্দির কমিটির। তাই সব দিক থেকেই নিঁখুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে রাম মন্দিরকে (Ram Mandir)। প্রাচীন ভারতের ধর্মগুরু শঙ্করাচার্যের ভাবনাই প্রতিফলিত হচ্ছে রাম মন্দিরে। হিন্দু ধর্মের প্রতিটি রীতিই পালন করা হচ্ছে মন্দির নির্মাণে। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের গঠন প্রণালীরও মেলবন্ধন দেখা যাবে রাম মন্দিরে। দেশের চার কোনায় চারটি মঠ স্থাপন করে গিয়েছিলেন শঙ্করাচার্য। চারধাম যাত্রায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণার্থী রওনা হন। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় শঙ্করাচার্যের ভাবনা ও ধারণার। এবার রাম মন্দিরেও মিলবে জগদ্গুরুর ছোঁয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘প্রতি মাসে ১০০ জন নন্দীগ্রামবাসীকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় অর্ধশতকের আইনি লড়াইয়ের পর অযোধ্যার বিতর্কিত প্রাঙ্গনে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দেয় আদালত। রাম মন্দিরে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। স্বাভাবিকভাবে ঐতিহাসিক এই দিনের সাক্ষী থাকতে চাইছেন দেশবাসী। রেলের পক্ষ থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তের মানুষদের নিয়ে যাওযার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষদের রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

    রাম মন্দির দর্শন নিয়ে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রবিবার বছরের শেষ দিন নন্দীগ্রাম বজরং কমিটি আয়োজিত হনুমান পুজোয় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, যাঁরা নিজের টাকায় রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, তাঁদের সঙ্গে সেবক শুভেন্দু সব সময় আছে। রাম মন্দির দর্শনের জন্য গোটা দেশ থেকে ৭০০ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। সেই সব ট্রেনে টিকিট কেটে উঠতে হবে। নন্দীগ্রামের যাঁরা টিকিট কেটে রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন না, প্রতি মাসে আমি ১০০ জন করে ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেব। জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখের পর থেকে নন্দীগ্রামে রাম মন্দির দর্শন কর্মসূচি শুরু হবে। যাঁরা নিজেদের ক্ষমতায় যেতে পারবেন যাবেন, যাঁরা পারবেন না তাঁদের রাম মন্দির নিয়ে যাওয়ার সমরকম ব্যবস্থা আমি করে দেব।

    রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, রাম মন্দির তৈরি হয়েছে সনাতনীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে। সনাতনীরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে যে টাকা দিয়েছেন, তা দিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাম মন্দির। দিঘার জগন্নাথ কালচারাল সেন্টারের মতো সরকারি টাকায় তৈরি নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের সুনাম সারা বিশ্বে। এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ এবং শিল্প নৈপুণ্যের খ্যাতির কথা আজ আর কারও অজানা নয়। শিল্পীরা তাঁদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার। এবার এখানকারই টেরাকোটা শিল্প জায়গা করে নিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ধরমপথের দু’ ধারে সাজানো থাকবে কুড়ি ফুট বাই দশ ফুটের প্রায় ১০০ টি টেরাকোটার ম্যুরাল। কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রায় ২৭ জন শিল্পীকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ১০০ টি ম্যুরালই তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৩জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে এবং বাকি ১৪ জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরে শিল্পীর ওয়ার্কশপে।

    গর্ববোধ করছেন শিল্পী (Ram Mandir)

    শিল্পী জানালেন, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে তাঁর শিল্পকর্ম রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে সেখানেই ডাকেন এবং সংবর্ধনা দেন। শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মূল প্রবেশপথ ধরমপথে এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার গর্ববোধ করছেন। শিল্পী বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এর আগে যেহেতু অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে আমি কাজ করেছিলাম, তা দেখেই তাঁরা খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই ২০২৩ সালে আমাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান এবং কাজের বরাত দেন। আমি এই কাজ পেয়ে যথেষ্টই খুশি।

    দিনরাত এক করে চলছে কাজ (Ram Mandir)

    উল্লেখ্য রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই এই উদ্বোধন ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানীয় ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই যাতে কাজের বরাত শেষ করা যায়, সেই কারণে শিল্পীদের নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে বিশ্বজিৎবাবুর। তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলার এই শিল্পকর্মকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে তাঁরা কাজ করে চলেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের সঙ্গে মেশানো হয়েছে ঘি এবং হলুদ। ‘অক্ষত’ নামের এই চাল এসেছে সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে। এর সঙ্গে থাকবে রাম মন্দিরের ল্যামিনেশন করা ছবি এবং রাম মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা লিফলেট। এসব নিয়েই বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই মেগা উদ্বোধন কর্মসূচির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, সেখানে হাজির থাকবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা অযোধ্যা সেই উপলক্ষে নতুনভাবে সেজে উঠছে। দেশের মানুষও সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এর ঠিক আগেই ১ জানুযারি থেকে টানা ১৫ দিন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের মহিমাকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই কাজে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও।

    কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক (Ram Mandir)

    আগামী বছরই লোকসভার ভোট। তার প্রস্তুতিও বিভিন্ন দল শুরু করে দিয়েছে। এরকম একটা মোক্ষম সময়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন যে বিজেপির কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং রামের প্রতি শ্রদ্ধার কথা তাদের অজানা নয়। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি ভোটের আগে জনসংযোগের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এই কর্মসূচি যাতে সার্থক হয়, তার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন দলের নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায়ও এ নিয়ে অজস্র বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাড়ি বাড়ি অক্ষত চাল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধনের দিন কী করণীয়, তার একটি নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) যাওয়ার জন্য সমর্থক ও রাজ্যবাসীকে আমন্ত্রণও জানাবেন বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের মতে, এই রাম মন্দির (Ram Mandir) আদপে দেশের পরিচয়ই বহন করছে। রামলালা এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই দলের মূল লক্ষ্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল এবং তারা সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। তাদের এই চিন্তাভাবনা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম কাজ। তাঁর আশা, সারা দেশ ভেসে যাবে রামের জোয়ারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় মেহেবুবরাও

    Ram Mandir: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় মেহেবুবরাও

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    কৃষ্ণ ঠাকুরের মতো কালো। গোপালের মতো গোলগাল। মহাকাল ও জয় শ্রীরামের চিহ্ন আঁকা জামা বিক্রি করছিল ছেলেটি। নাম জিজ্ঞেস করতেই বলল, মেহেবুব আলি। রামপথের দুধারে অজস্র দোকান। কেউ বিক্রি করছেন হনুমানের গদা, কোথাও বা বিক্রি হচ্ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। তিলক থেকে গলার মালা, সবটাই পাবেন এখানে। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলল বাঙালি দোকানদারেরও। দেখা হল মিষ্টি বিক্রেতা পুরুলিয়ার বাসিন্দার সঙ্গে, তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গিয়ে ঠেকছে হনুমান গড়িতে। পথের ধারে হাঁটতে হাঁটতেই দেখা মিলল ওই মুসলিম যুবক মেহেবুব আলির। বছর ২৫-এর মেহেবুব একেবারে কৃষ্ণকালো চেহারার। গেরুয়া পতাকা, ধুতি, উত্তরীয় দিয়ে সাজানো তার দোকান। কথায় কথায় জানা গেল রাম মন্দিরের খুব কাছেই তার বাড়ি।

    জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অযোধ্যা যেন রামময় হয়ে উঠেছে। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত রাস্তা রামপথ নামেই পরিচিত। গত তিন ধরে ওই রাস্তার ধারের হোটেলেই আমরা রয়েছি। ভক্তদের ভিড়ে অযোধ্যার রামপথে যে জনজোয়ার আসবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এখন থেকেই তো উৎসবের মেজাজ। রামপথের দু’দিকে পুরাতন বাড়িগুলি সংস্কারের কাজ চলছে। রাস্তা যে অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে, অবশ্যই এটা যোগী সরকারের দূরদর্শিতা। লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় সামলাতে রাস্তা প্রশস্ত হতেই হবে। 

    কী বলছে মেহেবুব?

    রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন নিয়ে তোমার মত কী? মেহেবুবের কাছ থেকে সাফ জবাব এল, ‘‘আমিও খুব আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছি দিনটির। রাম তো আমাদের সবার।’’ এই দোকান মেহেবুবের রুটি-রুজির সন্ধান দেয়। সে বিক্রি করে জয় শ্রীরাম লেখা পোশাক, উত্তরীয়, ধুতি, চাদর। মহাকালের চিহ্ন আঁকা জামা, পোশাক, ফতুয়া, পাঞ্জাবিও নজরে পড়ল। শ্রীরাম এবং মহাকাল দুই দেবতাই রয়েছেন মেহেবুবের দোকানে। হাসিমুখে হিন্দু দেবতাদের প্রতীক আঁকা জামা বিক্রি করতে করতে মেহেবুব জানায়, এটাই তার পেশা। কারণ রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরে আরও লোক রামের নামে অযোধ্যায় আসবেন। আসবেন মহাকালের ডাকে। এর মাধ্যমেই গড়ে উঠবে তার রুটিরুজির সংস্থান। যদিও তার দোকান সরতে সরতে রাস্তার এক কোণে চলে এসেছে।

    অপেক্ষা রাম মন্দির উদ্বোধনের

    তার দোকানের পুঁজিতে টানও পড়েছে ভীষণ রকম। তবু সে হাসিমুখে অপেক্ষা করছে দেশের প্রধানমন্ত্রী কবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা খুলবেন, কবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি এই রামলালার মূর্তি স্থাপন করবেন এবং সেই রামলালারা টানে অযোধ্যারে সরযূ নদীর তীরে এসে জমা হবেন হাজার হাজার মানুষ, লাখ লাখ জনতা, যাঁরা সবাই রামের ভক্ত এবং মহাকালের সন্তান। তাঁরা সবাই দু’হাত বাড়িয়ে কিনবেন ঈশ্বরের নাম খোদাই করা জামা। এ সমস্ত কিছুই বিক্রি হওয়ার অর্থ মেহেবুব আলি এবং তার পরিবারের মুখে নিত্যদিনের ভাত-রুটির সংস্থান হওয়া। তাই মেহেবুব আলি হাসিমুখে অপেক্ষা করছে সেই দিনটার জন্য যেদিন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা খুলবে আর মেহবুব তার বিক্রিবাটা আরও একটু বাড়িয়ে তুলতে পারবে রামের নামে। এই ভাবেই অযোধ্যায় হাজারো মেহেবুবের মতো সংখ্যালঘু সন্তানরা অপেক্ষা করে আছেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১২টি লিফট, ১৪টি চলমান সিঁড়ি! অয্যোধ্যা স্টেশনও হতে চলেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান!

    Ram Mandir: ১২টি লিফট, ১৪টি চলমান সিঁড়ি! অয্যোধ্যা স্টেশনও হতে চলেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অয্যোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হবে। কিন্তু অয্যোধ্যা এখন থেকেই উৎসবের মেজাজে। সোমবার অযোধ্যায় পা রাখার পর যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই এটা ভালোরকম মালুম হচ্ছে। বুধবার সকালে গিয়েছিলাম অযোধ্যা স্টেশনে। বোঝা গেল, শুধু রাম মন্দির নয়, স্টেশনও হতে চলেছে এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। স্টেশন চত্বরে কথা হচ্ছিল বছর পঞ্চাশের পাপ্পু যাদবের সঙ্গে। ছোট্ট পানের দোকান তাঁর। বললেন, ‘‘লাইনে কাজ চলার কারণে বিগত এক মাস ধরে অযোধ্যায় কোনও ট্রেন ঢুকছে না। তাই বিক্রি নেই বললেই চলে। তবে জানুয়ারিতে ট্রেন চলাচল পুরোদমে চালু হলে বিক্রি অনেকটাই বাড়বে।” এমনই আশায় বুক বেঁধেছেন স্টেশন চত্বরের আরও অনেক দোকানি। সবাই এক নতুন ভোরের আশায় রাতে ঘুমাতে যাচ্ছেন। পেশায় টোটোচালক বছর ছাব্বিশের যুবক রাজকমল যাদব। তাঁর গলায়ও একই আশার কথা। স্টেশন ঘুরে বোঝা গেল, শুধুমাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরেই বহু খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে।

    কেমন হতে চলেছে স্টেশন? (Ram Mandir)

    ৩ হাজার ২৪০ বর্গমিটারের স্টেশন। মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে তৈরি স্টেশনে থাকছে সমস্ত রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ১২টি লিফট, ১৪টি চলন্ত সিঁড়ি, ২টি ফুট ওভারব্রিজ, আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন সেন্টার, পুজোর ডালি কেনার জায়গা, শপিং মল-সমস্ত পরিষেবাই মিলবে পর্যটকদের। মন্দির থেকে অযোধ্যা স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশি হলে দেড় কিলোমিটার মতো। নতুন ভাবে নির্মাণকাজ চলছে। আসলে এটি ছিল ফৈজাবাদ ক্যান্টনমেন্ট। এই স্টেশনের নতুন নামকরণ হয় অযোধ্যা জংশন। জানা গেল, পুরনো স্টেশন চত্বরকেও আধুনিক সাজে সাজিয়ে ফেলা হবে। ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই অযোধ্যা স্টেশন চত্বর।

    বিমান বন্দরের উদ্বোধন ৩০ ডিসেম্বর (Ram Mandir)

    একইরকম ভাবে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার নতুন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। এখন চলছে ফিনিশিং টাচ। সেখানে পৌঁছাতেই বোঝা গেল এই মুহূর্তে নির্মাণকর্মীদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। এয়ারপোর্টে ঢোকার রাস্তা সাজিয়ে ফেলা হচ্ছে নিজস্ব স্টাইলে। রাম মন্দিরের আদলে গড়ে উঠছে বিমানবন্দরও। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে দ্রুত সেই কাজ শেষ করার পথে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। গেটের সামনেই রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলও। সব মিলিয়ে রামের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে অযোধ্যা জুড়ে যেন চলছে কর্মযজ্ঞ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে এখন সাজো সাজো রব। হোটেল বুকিং অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। রামলালাকে নিয়ে চলছে এলাহি আয়োজন। আর ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ সাইকেল চালিয়ে রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে অযোধ্যার মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো নিয়ে বড় উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বীরভূমের তিন যুবক। এই জেলার নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পুরসভার হিন্দ ক্লাবের সদস্য তিন যুবক নীতেশ সাহানি, সুদীপ মাল ও রাজ মাল একসঙ্গে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন অযোধ্যার উদ্দেশে। তাঁদের উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন এলাকাবাসী।

    সতীপীঠে পুজো দিয়ে রওনা দিলেন তিন যুবক (Ram Mandir)

    এত দূর পথ অতিক্রম করার আগে নলহাটি শহরের রাম মন্দির এবং ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ নলহাটির নলহাটেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁরা এই যাত্রার সূচনা করেন। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন বলে জানা গিয়েছে। রামলালার ৫ ফুটের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ মিটার কোলে নিয়ে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কর্মযজ্ঞে সামিল হতে পাড়ি দিয়েছেন বীরভূমের তিন যুবক। নলহাটি শহর থেকে প্রায় ৮০৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আগামী বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে চান তাঁরা। আর সেই ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সাইকেলে করে রাম নাম করতে করতে অযোধ্যার মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। তিন যুবকের ইচ্ছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সন্ধ্যায় তাঁরা সেখানে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন। নলহাটি থেকে সাইকেলে করে রওনা হওয়ার সময় দীর্ঘ প্রায় দু কিলোমিটার পথ হেঁটে তাঁদের উৎসাহিত করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share