Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ayodhya Airport: প্রস্তুত অযোধ্যার বিমান বন্দর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    Ayodhya Airport: প্রস্তুত অযোধ্যার বিমান বন্দর, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন মন্দিরের। তার আগে খুলে যাচ্ছে অযোধ্য়ার (Ayodhya Airport) বিমান বন্দরও। পুরো বিমান বন্দরকে মন্দিরের ধাঁচে গড়ে তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রথম উড়ান সম্পন্ন হবে এই বিমান বন্দর থেকে। বাণিজ্যিকভাবে উড়ান চালু হচ্ছে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে। জানা গিয়েছে, বিমান বন্দরটির অবস্থান রাম মন্দির থেকে ১০ কিমি দূরে। নাম রাখা হয়েছে, ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে।

    জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অযোধ্যায়

    ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর প্রথম বিমানটি অযোধ্যা (Ayodhya Airport) বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। দিল্লি থেকে অযোধ্যা সরাসরি ফ্লাইট ৬ জানুয়ারি এবং আহমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার বিমান যাত্রা ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য রাম ভক্ত হাজির হবেন অযোধ্য়ায়, আবার মাস কয়েক আগেই রাম মন্দিরে জঙ্গি হামলা ষড়যন্ত্রে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে। ঠিক এই কারণে অযোধ্যার বিমান বন্দরে তাই জোরদার নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে।

    বিমান বন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, বিমান বন্দরটির (Ayodhya Airport) উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৮২১ একর জমির উপর নির্মিত বিমানবন্দরে একটি ২২০০ মিটার রানওয়ে রয়েছে। টার্মিনাল ভবনও সেজে উঠছে। নাইট ল্যান্ডিং যন্ত্রপাতি, এটিসি টাওয়ার, ফায়ার স্টেশন এই সমস্ত ব্যবস্থাগুলিও গড়ে তোলা হয়েছে। কুয়াশার মধ্যেও যাতে বিমান অবতরণ করতে পারে এর জন্যও নানা ব্যবস্থা থাকছে। জানা গিয়েছে, ৬ জানুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর চালু হতেই দিল্লি থেকে বিমান অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ঠিক দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। অযোধ্যায় আসবে ১টা ১৫ মিনিটি। দিল্লি ফেরার বিমান থাকবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে আহমেদাবাদ থেকে প্রথম বিমান দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে আগামী ১১ জানুয়ারি। ৬ জানুয়ারি দিল্লি থেকে অযোধ্যা গেলে বিমানের ভাড়া পড়বে ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, এমনটাই জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকছেন পর্দার রাম অরুণ গোভিলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকি রয়েছে আর মাত্র এক মাস। ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে সমস্ত বিশিষ্ট জন্য উপস্থিত থাকবেন তাদের তালিকা তৈরি করা হয়ে গেছে। রাম মন্দিরের অতিথি তালিকায় রয়েছেন পর্দার রাম অভিনেতা অরুণ গোভিল। সূত্রের খবর, আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন পর্দার সীতা দীপিকা চিখলিয়াও। এক সাক্ষাৎকারে অরুণ গোভিল বলেন, “হ্যাঁ আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি। এ এক বিরাট মুহূর্ত, খুশির মুহূর্ত এবং সুবর্ণ সুযোগ।” 

    কারা আমন্ত্রিত?

    আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন, অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাউত, সুনীল গাওস্কর, শচীন তেন্ডুলকর, রতন টাটা, বিরাট কোহলি, মুকেশ অম্বানী, গৌতম আদানির মতো ব্যক্তিত্ব। আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও অন্যান্য রাজনীতিবিদ। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন অরুণ গোভিল। আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা মোট ৪ হাজার।

    গর্ভগৃহের ছবি প্রকাশ্যে 

    ইতিমধ্যে শনিবারে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে, মন্দিরের গর্ভগৃহের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। জানা গিয়েছে, সেখানেই রামলালার মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। মূর্তি প্রতিষ্ঠার দিনে মোট ৫০ টি দেশের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। পুজোর পরে বিগ্রহের চক্ষুদানও করা হবে। পুজোয় যজমানের ভূমিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরীর কাজ বর্তমানে চলছে এবং পাথর আনা হয়েছে কর্ণাটক ও রাজস্থান থেকে।  রামলালার মূর্তি তৈরীর কাজ করে চলেছেন গণেশ ভাট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পান্ডে। জানা গিয়েছে, উপরের অংশের ৭০টি পিলারের ভাস্কর্যের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দক্ষিণ দিকের বেসমেন্টের কাজ বর্তমানে শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রামলালা অবস্থান করবেন গর্ভগৃহে। সেই গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার সমগ্র রাম মন্দির জুড়ে থাকবে আলোর মালা, সেই আলোকসজ্জার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের পুরোহিত হলেন মোহিত পাণ্ডে, বেতন কত জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের পুরোহিত হলেন মোহিত পাণ্ডে, বেতন কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের পুরোহিত পদে নিয়োগ পেলেন মোহিত পাণ্ডে। উত্তরপ্রদেশের দুধেশ্বরের এই পড়ুয়াকে ইতিমধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে। মোহিত পাণ্ডের ছবি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রকাশ পেয়েছে। ছয় মাসের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ (Ram Mandir)। প্রসঙ্গত রাম মন্দিরের এখন ফিনিশিং টাচ চলছে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দিরের। আগেই শুরু হয়েছিল পুরোহিত বাছার প্রক্রিয়া এবং সেখানেই নিয়োগ পেয়েছেন মোহিত। জানা গিয়েছে, দুধেশ্বরনাথ বৈদ্য বিদ্যাপীঠের ছাত্র মোহিত পাণ্ডে ৩ হাজার জন পূজারীর সঙ্গেই আবেদন করেছিলেন এবং তার মধ্যে থেকে বাছা হয় কুড়িজনকে। সেখানেই স্থান পেয়েছেন মোহিত। জানা গিয়েছে, সবথেকে এগিয়েও রয়েছেন তিনি। ২০ জনেরই ছয় মাস পর্যন্ত ট্রেনিং হবে।

    কী বলছেন দুধেশ্বরনাথ বিদ্যাপীঠের আচার্য

    দুধেশ্বরনাথ বিদ্যাপীঠের আচার্য লক্ষীকান্ত পাড়ি এ বিষয়ে বলেন, ‘‘মোহিত সীতাপুরের বাসিন্দা। দুধেশ্বরনাথ বৈদ্য বিদ্যাপীঠে তিনি সাত বছর পর্যন্ত সামবেদের শিক্ষালাভ করেছেন। এরপর আচার্য পদের শিক্ষার জন্য তিনি তিরুপতি পাড়ি দেন।’’ জানা গিয়েছে বর্তমানে পিএইচডি-এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মোহিত পাণ্ডে। দুধেশ্বরনাথ মন্দিরের মহন্ত নারায়ণগিরি বলেন, ‘‘গোটা জেলার কাছে গর্বের বিষয়। এর আগে আচার্য তয়োরাজ উপাধ্যায় এবং আচার্য নিত্যানন্দকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) সমারোহে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রপত্র পাঠানো হয়েছে।’’

    পুরোহিত পদের যোগ্যতা ও বেতন

    রাম মন্দির ট্রাস্ট-এর তরফে জানানো হয়েছে যে প্রত্যেক পুরোহিত পদপ্রার্থীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শর্ট লিস্টেড পুরোহিত প্রার্থীদের ছয় মাস পর্যন্ত ট্রেনিং চলবে। প্রত্যেক আবেদনকারীকে অবশ্যই গুরুকুল শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষিত হতে হবে। সম্প্রতি, পুরোহিতদের বেতন বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিতের বেতন বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৩২ হাজার ৯০০ হয়েছে। অন্যদিকে সহকারী পুরোহিতদের বেতন বর্তমানে ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    Ram Mandir: পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি দিলেন বাংলার বিশ্বম্ভর, সঙ্গী আরাধ্য বজরঙ্গবলী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিলেন বহরমপুরের হাতিনগর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বম্ভর কলিতা। যাত্রা শুরুর আগেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান অনেক বিশিষ্টজনই। যাঁর মধ্যে ছিলেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কও। ছেলেকে রওনা করে দেন বাবা-মা। বিশ্বম্ভরবাবুর সঙ্গী বলতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাগ, জয় শ্রী রাম লেখা পতাকা এবং তাঁর আরাধ্য বজরঙ্গবলীর মূর্তি।

    কী বললেন বিশ্বম্ভর কলিতা?

    এদিন সকালে বিশ্বম্ভরবাবু মাধ্যম নিউজ পোর্টালকে জানিয়েছেন যে, ৮৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তাঁর সময় লাগবে অনেকটাই এবং ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তিনি পৌঁছাতে পারবেন অযোধ্যায় (Ram Mandir)। বিশ্বম্ভরবাবুর আক্ষেপ, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন তিনি থাকতে পারছেন না অযোধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বজরঙ্গবলীর ভক্ত। বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি প্রতিদিন পূজা করি। তাই আমার বজরঙ্গবলীকে দর্শন করাতে চাই প্রভু রামচন্দ্রের।’’ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অত্যাচার ও হিংসার ঘটনা ঘটে চলছে তা থেকে মানুষের মুক্তির জন্য তিনি রামমন্দিরে প্রার্থনাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

    বিশ্বম্ভরবাবুর যাত্রাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই

    পেশার গাড়িচালক বিশ্বম্ভরবাবুর এই পদযাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের  সর্বস্তরের মানুষ। মাধ্যম’কে ফোনে বিশ্বম্ভরবাবু আরও জানিয়েছেন যে রামমন্দিরের আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধাম যাবেন এবং তারপরে গোরক্ষনাথ মন্দির হয়ে তিনি রামমন্দির (Ram Mandir)  দর্শন করবেন। শুক্রবারে তিনি পদব্রজে পৌঁছান বীরভূমের সিউড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তা পোস্টও করেন বীরভূম জেলা সভাপতি। ধ্রুব সাহা বিশ্বম্ভরবাবুর এই যাত্রা সম্পর্কে বলেন, ‘‘ ওনার যাত্রার সাফল্য কামনা করি। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ওনার গভীর নিষ্ঠা রয়েছে। ওনাকে গতকালই আমি স্বাগত জানিয়েছি সিউড়িতে।’’

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শুভেন্দুর জেলায় রাম মন্দির নিয়ে সঙ্ঘের বৈঠক, হাজির তৃণমূল নেতারাও!

    Ram Mandir: শুভেন্দুর জেলায় রাম মন্দির নিয়ে সঙ্ঘের বৈঠক, হাজির তৃণমূল নেতারাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা সাধারণের জন্য খুলে যাবে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। বলা বাহুল্য, লোকসভা ভোটের আগে এই রাম মন্দির বিজেপি’র বড় অস্ত্র হতে চলেছে। কারণ, বিষয়টি শুধু উদ্বোধনেই থেমে থাকবে না। একে ঘিরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। লক্ষ্য, এই বিরাট সাফল্যের বার্তা মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দেওয়া। বিজেপির এইসব কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই সিঁদূরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল। আর তাই বাঙালির পর্যটনের প্রিয় সমুদ্রসৈকত দিঘায় শাসক দল জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজও জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছে। 
    ঠিক এরকম একটা সময়েই ঘটে গেল এমন একটি ঘটনা, যা তৃণমূলকে স্পষ্টতই বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে। আবার বিড়ম্বনার একশেষ হওয়ার আরও একটি কারণ হল, সেই ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেই।

    কী সেই ঘটনা?

    ঘটনাস্থল ওই জেলার এগরা। সেখানকার ভবানীচক বসুন্ধরা বাজার ভবনে আরএসএস-এর একটি বৈঠক ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। যার উদ্যোক্তা এগরা ২ খণ্ডের রাম মন্দির উদযাপন কমিটির বাসুদেবপুর শাখা। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশ ব্যাপী বাড়ি বাড়ি ভোগ বিলির কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এর লক্ষ্যমাত্রাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের প্রতিটি শাখা এই কর্মসূচি সফল করতে নিজেরা আলাদা আলাদা বৈঠক করছে। সেরকমই বৈঠক ছিল এটি (Ram Mandir)। সেখানে বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি গ্রামের সাধারণ মানুষও হাজির হয়েছিলেন। বৈঠক সবে মিনিট পনেরো হয়েছে। এমন সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেখানে উদয় হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দ্রশেখর জানা, বুথ সদস্য বিকাশ সাহু সহ তিন তৃণমূল নেতা। সঙ্ঘ সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে পারে, এরকম একটা আশঙ্কা করেই বোধহয় সভা শেষ হওয়ার আগে তাঁরা বেরিয়ে যান। কিন্তু তাঁদের মূল প্রতিপক্ষের বৈঠকে জেনেবুঝে তাঁরা গেলেন কেন, এই প্রশ্নটা থেকেই গেল। আর স্বাভাবিকভাবেই জেলায় এই ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন ওই নেতারা?

    চন্দ্রশেখর জানার যুক্তি, তিনি জানতেন এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বৈঠক। আর সেই কারণেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর যখন বিজেপি নেতাদের দেখতে পান, তখনই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি আগে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাই পুরনো টান কি উপেক্ষা করতে পারলেন না? 

    কী বলছেন বিকাশ সাহু। তিনি আবার আর এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, সঙ্ঘের মিটিংয়ের গোপন খবর (Ram Mandir) নিতেই নাকি তিনি গিয়েছিলেন। যদিও এই যুক্তি শুনে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। সবাই বলাবলি করছেন, প্রকাশ্যে এবং সশরীরে হাজির হওয়ার পরও কি গোপন কথাটি গোপন রবে?

    সব খবর যাঁর কাছে আগেই চলে আসে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে যিনি অভ্যস্ত, তৃণমূলের সেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বেগতিক বুঝে ছোট্ট প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, খোঁজ নেবেন।

    কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি’র?

    বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেছেন, রাম (Ram Mandir) তো কারও একার নয়, সবার। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল, রামকে সবাই যেমন হৃদয়ে রাখেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও তার বাইরে নন। তিনি এর জন্য সাধুবাদ জানাতেও ভোলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Airport: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার বিমানবন্দর

    Ayodhya Airport: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার বিমানবন্দর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগে শনিবারই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করলেন যে প্রথম ধাপে অযোধ্যার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। অযোধ্যার ওই বিমানবন্দরেরও (Ayodhya Airport) নামও রামের নামেই,’মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’। রামনগরী আগামীদিনে সারা পৃথিবীর হিন্দুদের কাছেই পবিত্র তীর্থস্থান হয় উঠতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই রাম ভক্তরা আসবেন অযোধ্য়ায় (Ayodhya Airport)। সে কথা মাথায় রেখেই দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছে যোগী সরকার।

    শনিবার বিমানবন্দর পরিদর্শনে যোগী আদিত্যনাথ

    শনিবারই বিমানবন্দরে পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তখনই তিনি বিমানবন্দরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার ঘোষণা করেন। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং বিমান-মন্ত্রকের (Ayodhya Airport) প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং। ভিকে সিং এদিন বলেন, ‘‘অযোধ্যা নতুন ভারতের অন্যতম ভরকেন্দ্র হতে চলেছে এবং এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতা কারণে।’’ প্রসঙ্গত, রামমন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে বদলে গিয়েছে, সম্পূর্ণ অযোধ্যার চিত্র। বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, রামমন্দিরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে। দিন কয়েক আগেই থাইল্যান্ড থেকেও এসেছে মাটি। সম্প্রতি, ব্যাঙ্ককে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে ঘোষণাও করা হয় যে ২০০টি দেশে সম্প্রচার করা হবে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

    রামনগরীর বিমানবন্দরে তিনটি উড়ান সম্ভব প্রতি ঘণ্টায়

    এদিন উচ্চস্তরের বৈঠকের পরে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন যে অযোধ্যা সমেত গোটা রাজ্যেই সরকার উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ। রামনগরী অযোধ্যাতে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ আগামীদিনেও চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘অযোধ্যায় এই বিমানবন্দরে (Ayodhya Airport) প্রথম ধাপে ৬৫ হাজার বর্গফুট টার্মিনাল তৈরি করা গিয়েছে। তিনটি উড়ান সম্ভব প্রতি ঘণ্টায়।’’ ২,২০০ মিটার রানওয়ে রয়েছে রামনগরীর বিমানবন্দরে। মন্ত্রী আরও বলেন যে ওই রানওয়েকে বাড়ানো হবে ৩,৭০০মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ লাখেরও বেশি ভক্ত সমাগমে গমগম করছে অযোধ্যা। তবে এই বিপুল তীর্থযাত্রীদের একত্রিত হওয়ার কারণ রামমন্দির নয়। চৌদ্দ কোশী (Chaudah Kosi Parikrama) পরিক্রমা উৎসবের জন্যই এই ভিড়। হিন্দুধর্ম মতে এটি একটি পবিত্র উৎসব। এই উৎসবে শ্রদ্ধার বস্তুকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। এই উৎসব সম্পন্ন হয় কার্তিক অক্ষয় নবমীতে। জনপ্রিয় উৎসব চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা ব্রত শুরু হয় গত ২০ নভেম্বর রাত্রি ২:০৯ মিনিট থেকে, শেষ হয় ২১ নভেম্বর রাত্রি ১১:৩৮ মিনিটে। ভক্তরা এই সময়ের মধ্যে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমার (Chaudah Kosi Parikrama) বিভিন্ন আচার পালন করেন। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ভক্তই রয়েছেন রামনগরীতে।

    কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর

    জানা গিয়েছে, কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর বেলা ৩টে ১১ মিনিটে এবং তা শেষ হবে ২৭ নভেম্বর ২টো ৩৬ মিনিটে। বিপুল ভক্তদের সমাগমের কারণে অযোধ্যায় ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাস দমন শাখা সেখানে সর্বক্ষণে নজরদারি চালাচ্ছে। এমনিতেই দুমাস পরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে ঠিক সে কারণেই সাজোসাজো রব চলছে এখন। উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়া ২২৭বি জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশের নামই হয়ে গিয়েছে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা মার্গ (Chaudah Kosi Parikrama)। এই পথ ধরেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তীর্থযাত্রীদের।

    তীর্থযাত্রীদের জন্য হাসপাতালগুলিতে বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে

    উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য জায়গায় জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি যদি কোনও তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে যায় ঠিক সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশের নামী মেডিক্যাল কলেজগুলির হাসপাতালের বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালগুলিতে (Chaudah Kosi Parikrama) ২০টি করে বেড সংরক্ষণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কর্মসূচি শুরু হল সঙ্ঘ পরিবারের

    Ram Mandir: রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কর্মসূচি শুরু হল সঙ্ঘ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনক্ষণ স্থির হয়েছে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। রামলালার মূর্তিতে ওই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার পথ অতিক্রম করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন মোদি। জানা গিয়েছে, ওই দিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ এই শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। সূত্রের খবর, রবিবারই রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন নিয়ে বসেছিল সঙ্ঘ পরিবারের একটি বিশেষ বৈঠক।

    বিশেষ বৈঠকে কী স্থির হল?

    সঙ্ঘ পরিবারের ওই বৈঠকে স্থির করা হয়েছে, রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে চারটি পর্যায়ে চলবে কর্মসূচি। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে গতকাল রবিবার থেকে এবং চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, প্রতিটা ব্লক এবং জেলাস্তরে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ১০ জনের একটি টিম তৈরি করা হবে। এই টিমে রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করসেবকরাও থাকবেন। জানা গিয়েছে, দেশের আড়াইশোটিরও বেশি স্থানে এই টিমের বৈঠক সম্পন্ন হবে। এই টিম জনগণকে আবেদন জানাবে রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য।

    বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ করবে আরএসএস

    দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এবং সেখানে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই সময় ভগবান রামের ছবি এবং নির্মিত রামমন্দিরের (Ram Mandir) ছবি হাতে অন্তত ৫ লাখ গ্রাম এবং ১০ কোটি পরিবারের সঙ্গে জনসংযোগ করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। রামমন্দিরের নির্মাণকে ঘিরে তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ২২ জানুয়ারি এবং সেই দিনে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবের আয়োজন করবে সঙ্ঘ। রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরে শেষ বা চতুর্থ পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে ২৬ জানুয়ারি থেকে। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে রামলালার মূর্তিকে দর্শন করানোর কাজ করবেন স্বয়ংসেবকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ২২ লাখ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অযোধ্যায়, ‘স্বর্গীয়-অবিস্মরণীয়’ লিখে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ২২ লাখ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অযোধ্যায়, ‘স্বর্গীয়-অবিস্মরণীয়’ লিখে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সাল থেকেই দীপাবলিতে রামনগরীকে বিশেষভাবে প্রদীপের আলোয় সাজিয়ে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চলতি বছরের দীপাবলি অযোধ্যায় একটু বিশেষ, তার কারণ দু মাস পরেই উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দিরের। গত বছরের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে এ বছর অযোধ্যা সেজে উঠেছিল ২২ লাখ প্রদীপের আলোয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও ৫৪ টি দেশের ৮৮ জন কূটনীতিক সামিল হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। হাজির ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। অযোধ্যায় দীপাবলি পালনের ছবি নিজের ‘এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লক্ষ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের এই দৃশ্যকে ‘আশ্চর্যজনক’, ‘স্বর্গীয়’ এবং ‘অবিস্মরণীয়’ এই সমস্ত বিশেষণের ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) লেখেন,  “এর থেকে উদ্ভূত শক্তি ভারতজুড়ে নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমি প্রার্থনা করছি, ভগবান শ্রীরাম সমস্ত দেশবাসীর মঙ্গল করুন এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যকে অনুপ্রাণিত করুন।”

    ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ স্থান পেয়েছে অযোধ্যার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

    তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে অযোধ্যায় প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল ৫১ হাজার প্রদীপ। ২০১৯ সালে প্রদীপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ১০ হাজার। ২০২০ সালে ৬ লাখ, ২০২১ সালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হয় ৯ লাখ, ২০২২ সালে ১৭ লাখ। চলতি বছরে ২২ লাখ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হল অযোধ্যায়। অযোধ্যার এই নয়া রেকর্ড স্থান পেয়েছে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’।

    দীপাবলিতে হিমাচলে হাজির প্রধানমন্ত্রী

    অন্যদিকে, চলতি বছরের দীপাবলিতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন নমো (Narendra Modi)। এদিন হিমাচল প্রদেশের লেপচায় পৌঁছানোর পরেই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছেন। ওই ট্যুইটে দেখা যাচ্ছে, সেনার উর্দি পড়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলছেন। গত বছরই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, তাতে দেখা যায়, এক জওয়ান দীপাবলির পুণ্যলগ্নে প্রধানমন্ত্রীকে গান গেয়ে শোনাচ্ছেন এবং পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aligarh University: দেশে বড় জঙ্গি হামলার ছক? গ্রেফতার আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ৬ জন

    Aligarh University: দেশে বড় জঙ্গি হামলার ছক? গ্রেফতার আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ৬ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসআইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের এটিএস। ধৃতরা প্রত্যেকেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh University) ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এটিএস-এর সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টায় ছিল ধৃতরা।

    ধৃতদের পরিচয়

    প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়, উত্তরপ্রদেশে বসে রামমন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ছক কষেছিল আইএসআইএস জঙ্গি মহম্মদ শাহানওয়াজ সহ তিনজন। গত অক্টোবর মাসেই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে বসে এই ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের মত। শনিবারও সামনে এসেছে পাক মদতে রামমন্দিরে হামলার ব্লুপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইএসআইএস-এর মডিউলে সদস্য ছিল শাহনওয়াজ। গত অক্টোবরে তল্লাশির সময় গোয়েন্দারা জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকটি বই, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ সমেত ধৃত তিনজনই বি টেক ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লিতে একটি সংস্থা চাকরি করত শাহনওয়াজ। ঠিক এই সময়ই জঙ্গি সন্দেহে আলিগড়ে গ্রেফতার হল ৬ জন। ধৃত (Aligarh University) ছ’জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছে। এই চারজন হল রাকিব ইনাম, নাভেদ সিদ্দিকি, মহম্মদ নোমান, মহম্মদ নাজিম। রাকিব, নাভেদ, নোমান আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

    দেশে বড় নাশকতার ছক!

    উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা আরও জানিয়েছে যে দেশে বড় ধরনের হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছিল ধৃতরা। তাদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেছে এটিএস। এই ছ’জনকে জেরা করেই এই সমস্ত তথ্য সামনে এসেছে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করার অভিযোগও সামনে এসেছে। তবে এখানেই শেষ নয়, সন্ত্রাস দমন শাখার আতস কাচের তলায় এখনও পর্যন্ত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh University) অনেক পড়ুয়া এবং প্রাক্তনী রয়েছে।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, কড়া নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share