Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: বালক রাম দর্শনের ভিড় সামলাতে অযোধ্যায় ৩৭৫০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের

    Ram Mandir: বালক রাম দর্শনের ভিড় সামলাতে অযোধ্যায় ৩৭৫০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং মন্দিরে উদ্বোধনের পর থেকেই উপচে পড়া ভিড় দর্শনার্থীদের। বালক রামের দর্শন পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। ৫০০ বছর পর প্রভু রাম তাঁর নিজের জন্মভূমির উপর নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজমান হয়েছেন। তাই অগণিত রামভক্তের দেখা মিলছে রাম মন্দির প্রাঙ্গনে। ইতিমধ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষ আগত ভক্তদের উদ্দেশে মন্দির দর্শন এবং আরতির নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে। অপর দিকে, অযোধ্যায় ভিড় সামলাতে ৩৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    রামলালা দর্শনের সময়সূচি (Ram Mandir)

    মন্দির সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রভু রামলালার দর্শনে ছুটে আসছেন ভক্তরা। ভক্তদের সুবিধার্থে শ্রীরাম জন্মভূমিত তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আরতি ও দর্শনের নতুন সময় প্রকাশ করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য মুখপাত্র এবং মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা বলেছেন, “প্রভু শ্রীরামলালার শৃঙ্গার আরতি হবে ভোর সাড়ে ৪টায়। সেই সঙ্গে মঙ্গল আরতি হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। এরপর সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভক্তদের দর্শন পর্ব। দুপুর ১২টায় হবে ভোগ আরতি, এই সময় প্রভুকে ভোগ নিবেদন করা হবে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য বন্ধ থাকবে গর্ভগৃহ। আবার দুপুর ২টো থেকে দরজা খুলে যাবে। সন্ধ্যার সময় হবে প্রভু রামের সন্ধ্যা আরতি। এরপর ভোগ নিবেদন করে ভোগের আরতি করা হবে। রাত্রি ১০টায় হবে শয়ন আরতি।”

    কেন্দ্র সরকারের বিরাট প্রকল্পের ঘোষণা

    মন্দির(Ram Mandir) উদ্বোধনের পর থেকেই রাম মন্দিরে ব্যাপক ভক্তের সমাগম। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মধ্যে রাত থেকেই মন্দির দর্শনের জন্য পড়ছে লম্বা লাইন। আগামী দিনে প্রভু বালক রামের দর্শনের জন্য আরও ভিড় বাড়বে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৬৮ কিমি বাইপাস তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বিশেষ ঘোষণা করেছে। ৬ লেনের হাইওয়ে রাস্তা যাবে লখনউ, বাস্তি, গোন্ডা জেলার উপর দিয়ে। উত্তর অযোধ্যা এবং দক্ষিণ অযোধ্যা দুই ভাগে প্রকল্পের কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্দিরে যেতে যাতে যানজট কম হয় তাই এই ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে ৮৯ হাজার ২৩টি গাড়ি রোজ গড়ে যাতায়াত করছে। ২০৩৩ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছাতে পারে আনুমানিক ২ লক্ষ ১৭ হাজারে। এই রাস্তা মূলত পিপিপি মডেলে নির্মাণ করা হবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরে অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। তথ্য বলছে, গতকালই অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের পা পড়েছিল পবিত্র অযোধ্যা ধামে। বালক রামের মূর্তি দর্শনে ইতিমধ্যে সময়সীমা বাড়িয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তের রাম মন্দির দর্শন করতে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ংসেবকরাও। আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে ইতিমধ্যে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছেন এব্যাপারে।

    ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব হাজির ছিলেন অযোধ্যায়

    যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ মতো, ২৬ জানুয়ারিও উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ, আইনশৃঙ্খলার ডিজি প্রশান্ত কুমার অযোধ্যা পৌঁছে যান এবং সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। দিনভর ভক্তদের ভিড় সামলে দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকর্তা লখনউতে ফেরেন সন্ধ্যাবেলায় এবং দিনের শেষে রিপোর্ট দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আমলার সঙ্গে অযোধ্যা ধামে (Ram Mandir) সর্বক্ষণই ছিলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপার।

    ভোরের মঙ্গল-আরতি ও রাতে শয়ন-আরতির সময়

    ২৬ জানুয়ারি সকাল নাগাদ মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসনও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গল আরতির জন্য বালক রামের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। এরপরে শ্রীঙ্গার আরতির জন্য পরবর্তীকালে দরজা খোলা হয় সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। ভক্তদের দর্শন শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে। দুপুর ১২টা নাগাদ ভোগ আরতি হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সন্ধ্যা আরতি হয়। পরবর্তীকালে রাত্রিতে আবার নটার সময় ভোগ আরতি হয়। রাত্রি দশটা নাগাদ শয়ন আরতি হয়। সকালের মঙ্গল আরতির সময় অবশ্য ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    PM Modi: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। আজ ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ঠিক এই আবহে বৃহস্পতিবারই বিজেপির তরফে একটি গান প্রকাশ করা হল। গানের নির্যাস, ‘‘কেন জনগণ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন এবং তাঁকে বারবার নির্বাচিত করেন?’’ ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এই গানটির নামও দেওয়া হয়েছে ‘তাবহি তো সব মোদি কো চুনতে হ্যায়’। গানের মধ্যেই রয়েছে ‘স্বপ্নে নেহি হকিকত বুনতে হ্যায়, ইস লিয়ে তো সব মোদি (PM Modi) কো চুনতে হ্যায়’ এই নতুন স্লোগানও।

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লঞ্চ করেন এই গান

    বৃহস্পতিবার এই স্লোগানটি আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সভা এবং একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির থিম সং এর লঞ্চ হওয়াতেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। গোটা মিউজিক ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি ভারতীয় স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। মিলেছে ৫০০ বছরের সংঘর্ষের সাফল্য। রাম মন্দিরের স্বপ্ন রূপ পেয়েছে বাস্তবে, একইভাবে দেশের কয়েক কোটি মানুষের পাকা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রান্নার গ্যাসও বাড়ি বাড়ি সাপ্লাই দিয়েছেন তিনি। ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের উন্নয়নের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। এরই প্রতিফলন দেখা গেল বিজেপির ওই থিম সং-এ।

     

    বন্দে ভারত থেকে চন্দ্রযান, সবকিছুই রয়েছে এই থিম সং-এ

    গানটি শুরুতেই বর্ণনা করা হয়েছে কংগ্রেস আমলে দেশের কী বেহাল অবস্থা হয়েছিল। কীভাবে উন্নয়নের গতি থমকে গিয়েছিল। এরপরেই দেশবাসী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নির্বাচিত করেন। বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল, গ্যাসের সংযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের মতো যাবতীয় প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী পূরণ করেছেন। আত্মপ্রচারের বদলে প্রধানমন্ত্রী যে কাজকেই প্রাধান্য দেন সে কথা বলা হয়েছে ওই গানে। এবং বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র নেতারাও তাঁর কথা শোনেন, তারও উল্লেখ করা হয়েছে ওই গানে। দ্রুতগতির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর পরিষেবা থেকে শুরু করে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যও স্থান পেয়েছে গানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) হয়েছে ২২ জানুয়ারি সোমবার। ঠিক তার একদিন পরেই অনলাইনে প্রণামী পড়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এমনই তথ্য পাওয়া গেল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, প্রণামীর জন্য দশটি কাউন্টার খোলা হয়েছিল বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে। অনেক ভক্ত সারা দেশ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রণামী পাঠিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন মঙ্গলবার অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক একদিন পরেই। একই সংখ্যক ভক্তদের দেখা গিয়েছে বুধবারও। অনিল মিশ্রের কথায়, ‘‘তিন কোটি সতেরো লাখ টাকা প্রণামী অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রণামী এসেছে শুধু মঙ্গলবারই।

    প্রতি সোমবার গোনা হবে মন্দিরে প্রাপ্ত প্রণামী বাবদ টাকা

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir)  যে সমস্ত ভক্তরা গিয়ে প্রণামী দিয়েছেন সেই তার মূল্য নির্ধারণ হবে আগামী সোমবার। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতি সোমবারই প্রণামী বাবদ যত টাকা পড়বে তা গোনা হবে। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে রাম মন্দির ট্রাস্টের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্বয়ংসেবকরা মন্দির চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ভূমিকা পালন করবেন। রাম ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় মন্দির দর্শনে তাও দেখবেন স্বয়ংসেবকরা।

    বালক রামের দর্শনের নতুন সময়

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বালক রামের দর্শন করা যাবে। অর্থাৎ কেবল ভোগদান ও সন্ধ্যা আরতির সময় মন্দিরের মূল দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ২ দিন সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত বিগ্রহ দর্শন করতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু, ভিড়ের চাপ সামাল দিতে এবার এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    Ajodhya Ram Temple: ১১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা যাচ্ছেন শুভেন্দু, রাম দর্শনে বাংলার বিজেপি বিধায়করাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম দর্শনে অযোধ্যা যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি একদিনের সফরে অযোধ্যা যাবেন তিনি। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি বিধায়কেরা।  ওই দিনই আবার তাঁরা সকলে কলকাতায় ফিরবেন। সামনে লোকসভা নির্বাচন, তারপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য বাজেট অধিবেশন। তাই এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে একদিনের সফরেই রামের আশীষ নিতে অযোধ্যা যাওয়ার ইচ্ছা বিরোধী দলনেতার।

    একদিনের ঝটিতি সফর

    দলীয় সূত্রের খবর, ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার রয়েছে। তাছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। বাজেটে যোগ দিতে বিজেপির উত্তর ও দক্ষিণের সমস্ত বিধায়করা বিধানসভায় আসবেন। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিমান পথে সেদিনই অযোধ্যা গিয়ে আবার ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কারণ, পরের দিন আবার বাজেট অধিবেশন রয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘রামমন্দির আসলে হিন্দুদের আবেগ। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করার পর সেই দিন এসেছে, তাই এমন একটি পবিত্র মন্দির দেখতে পাওয়া অনেক বড় বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’

    আরও পড়ুন: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধনের দিন দলীয় নেতাদের নিজ নিজ রাজ্যে থেকেই রামমন্দিরের সূচনাপর্ব উদ্‌যাপন করতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যেই। এবার তিনি অযোধ্যা যাবেন রাম দর্শনের জন্য। সোমবার অযোধ্যার নবনির্মিত রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেদিন ভিআইপি ছাড়া সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না মন্দির চত্বরে। সেই অর্থে মঙ্গলবারই ছিল সর্বসাধারণের জন্য রাম দর্শনের প্রথম দিন। মন্দির কমিটির হিসেব অনুযায়ী, প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই জন জোয়ার আরও তীব্রতর হবে বলেই অনুমান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    Ram Mandir Inauguration: বাণিজ্যের নতুন দিশা! রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড আয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) ভারতের অর্থনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সোমবার, এই অনুষ্ঠানটি বহু ইতিহাস সৃষ্টি করল। এই  ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। অনেকে একে “সনাতন অর্থনীতি”র ধারণা বলে অভিহিত করেছেন। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। দিল্লিতে নানা পণ্য বিক্রি করে আয়ের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    কীভাবে রেকর্ড আয়

    কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) অনুসারে, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইতিমধ্যে ভক্তরা সারা দেশে নানা পণ্য বিক্রি করে ১.২৫ লক্ষ কোটি রুপি আয় করেছে৷  সিএআইটি এর জাতীয় সভাপতি বিসি ভরতিয়া এবং প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন,”ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণে ব্যবসার মাধ্যমে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজারে এসেছে। লক্ষণীয় বিষয় হল ছোট ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা যে সমস্ত বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছিল, তা অর্থনৈতিক বাজারে বিপুল সাফল্য এনেছে।”

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    হর ঘর অযোধ্যা অভিযানে  সাড়া

    খান্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির (Ram Mandir Inauguration) খোলার ফলে দেশে ব্যবসার জন্য অনেক নতুন সুযোগ এসেছে। বৃহৎ পরিসরে এর ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে “হর শহর অযোধ্যা, হর ঘর অযোধ্যা” প্রচারের অংশ হিসাবে, সারা দেশে ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট এবং বড় ব্যবসায়িক সংগঠন ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসূচি পালন করেছে। এর ফলে  রাম মন্দিরের মডেল, মালা, ঝুলন্ত সজ্জা-সহ নানা সামগ্রী বিক্রি হয়েছে সারা দেশে। হিন্দু পুরোহিতরাও অসংখ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণা’ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করেন। রেকর্ড সংখ্যক মিষ্টি ও শুকনো ফল বিক্রি হয় প্রসাদ হিসেবে।  লাখ লাখ টাকার আতশবাজি, মাটির প্রদীপ, পিতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও সারাদেশে বিক্রি হয়। ইতিমধ্যেই উপহার হিসেবে রাম মন্দিরের মডেল বিক্রি হতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। পর্যটন-ব্যবসা তো রয়েছেই। তাই শীঘ্রই রাম মন্দির বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালা নয়, এখন থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) অধিষ্টিত প্রভু রামের শিশুসুলভ অবতারের নাম রাখা হল ‘বালক রাম’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় মানবশিশুর মতোই করতে হয় নামকরণ। 

    বালক রাম

    অযোধ্যাধিপতিরও নামকরণ হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত। তিনি জানান, বিগ্রহের নাম রাখা হয়েছে ‘বালক রাম’। রামলালার বয়স যেহেতু পাঁচ, তাই সেটি দেখতে পাঁচ বছরের বালকের মতো। সেই কারণেই এমন নাম। প্রস্তর এই মূর্তির আগেও পুজো হত রামলালার। সেই মূর্তিটি রাখা হয়েছে নবপ্রতিষ্ঠিত মূর্তির সামনে। মন্দির পরিচালন কমিটিই জানিয়েছে, প্রতিদিন ছ’বার করে আরতি হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন যে আচারে পুজো হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার থেকে তা হচ্ছে না।

    আস্থম সেবা

    রামলালার পুরোহিতদের প্রশিক্ষক আচার্য মিথিলেশনন্দিনী শারণ বলেন, “এখন থেকে দিনের আট ঘণ্টা ধরে চলবে আস্থম সেবা। আরতি (Ram Mandir) হবে ছ’বার। রামলালা বিরাজমানের ক্ষেত্রে দু’বার আরতি হত। তবে এবার থেকে হবে ছ’বার। এই আরতিগুলির নাম হল মঙ্গল, শৃঙ্গার, ভোগ, উথাপন, সন্ধ্যা এবং শয়ন। রামলালাকে জাগাতে হবে মঙ্গল আরতি। পুজোর পর হবে শৃঙ্গার আরতি। পুরি-সবজি-ক্ষীর নিবেদনের পর হবে ভোগ আরতি। রামলালার চোখ থেকে বাজে জিনিস দূর করতে হবে উথাপন আরতি। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যায়। রাতের খাওয়া শেষে হবে শয়ন আরতি। পুরি-সবজির পাশাপাশি রামলালাকে নিবেদন করা হবে রাবড়ি, ক্ষীর, দুধ, ফল এবং পেড়া। দুপুরে রামলালার মেনু এই।

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    রামলালা রাজপুত্র। তাই পোশাক পরিকল্পনাও করা হয়েছে তার মতো করে। সোমবার তিনি পরবেন সাদা রঙের পোশাক। মঙ্গলবার লাল। বুধবার তাঁর শ্রীঅঙ্গে উঠবে সবুজ পোশাক। বৃহস্পতিবার হলুদ পোশাক। ঘিয়ে রংয়ের পোশাক পরবেন শুক্রবার। শনিবার তিনি সাজবেন নীল পোশাকে। রবিবার ভগবান সজ্জিত হবেন গোলাপি রংয়ের পোশাকে। বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনে রামলালা সাজবেন হলুদ পোশাকে। দীর্ঘ গবেষণা ও শাস্ত্র অধ্যয়ন করে গয়না তৈরি করা হয়েছে রামলালার। এজন্য শিল্পীকে পড়তে হয়েছে অধ্যাত্ম রামায়ন, বাল্মীকি রামায়ন, রামচরিত মানস এবং অলাবন্দার স্ত্রোস্ত্রম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তর কুঁদে তৈরি হবে তাঁর মূর্তি। তাই শালগ্রাম শিলা যে পাথরের হয়, অযোধ্যায় ভগবান রামের মূর্তি গড়তে সেই পাথর পাঠানো হয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপাল থেকে। তবে মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেল, বারে বারে ফেটে যাচ্ছে সেই শিলা (Ram Mandir)। অগত্যা দেশীয় শিলা কুঁদেই তৈরি হল রামলালার মূর্তি।

    ‘রাম-শিলা’

    সোমবার মহা সমারোহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হল সেই প্রস্তরমূর্তির। প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে যে মূর্তি শোভা পাচ্ছে, সেই ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি হয়েছে বিশেষ ধরনের কালো গ্রানাইট পাথর থেকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই পাথর আনিয়েছিলেন কর্নাটক থেকে। যে শিলা থেকে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে ভগবান রামের বালক মূর্তি, সেই পাথর ২৫০ কোটি বছরের পুরানো। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনসস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্সের ডিরেক্টর এইচএস ভেঙ্কটেশই জানাচ্ছেন শিলার বয়স। মূর্তি (Ram Mandir) খোদাইয়ের আগে এই প্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষা করা হয়েছিল শিলার বয়স। তখনই জানা যায় প্রস্তরখণ্ডটির প্রাচীনত্ব সম্পর্কে। ভেঙ্কটেশ বলেন, “এই পাথর দারুন টেকসই। জলবায়ুর পরিবর্তন সহনশীল। সাধারণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলেই হাজার বছর টিকে থাকবে।”

    রাম মন্দির

    যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ভাগবান রাম, সেই মন্দিরটিও তৈরি হয়েছে সব চেয়ে দামি পাথরে। আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের আয়ু বাড়াতে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, “মন্দিরের আয়ু যাতে হাজার বছর হয়, সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।” বিগ্রহের পাথর আনা হয়েছে মাইসুরু জেলার জয়াপুরা হোবলি জেলা থেকে। ভারতের এই অঞ্চলেই মেলে সব চেয়ে উচ্চ মানের গ্রানাইট পাথর। পাথরটি প্রাক ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের। চারশো কোটি বছর আগে সূচনা হয়েছিল যে যুগের।

    আরও পড়ুুন: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    ধরা হয় পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। প্রস্তর বিশেষজ্ঞদের মতে, যে শিলায় রামলালার মূর্তি খোদাই হয়েছে, সেটি পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী। পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটে প্রায় ১.৪ কোটি বছর আগে। আর আজ যে মানুষ আমরা দেখছি, সেই হোমো সাপিয়েন্সের আবির্ভাব মাত্র তিন লক্ষ বছর আগে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে (Ram Mandir) প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল ৪০০ কোটি বছর আগে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee Sanghati Rally: ‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি’, সংহতি যাত্রা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপির

    Mamata Banerjee Sanghati Rally: ‘ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি’, সংহতি যাত্রা নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির তুষ্টিকরণ করে বাংলার দশ কোটি মানুষকে আলাদা করার চেষ্টা করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে তৃণমূলের সংহতি যাত্রাকে কটাক্ষ করল বিজেপি। ৫০০ বছর লড়াইয়ের পর রাম এদিন তাঁর নতুন গৃহে প্রবেশ করেন। রাম সর্বদাই সর্বত্র বিরাজমান। তাই এদিন মমতার এই মিছিল বিজেপির মতে, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই রাজনীতি করে তিনি বাংলাকে আলাদা করতে চাইছেন বলে অভিমত গেরুয়া শিবিরের।

    শুভেন্দু যা বললেন

    এই মিছিল প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া, অন্য কোনও রাজ্যে এইভাবে প্রকাশ্যে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন পাল্টা কর্মসূচি ডেকে, পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়নি। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন।’ শুভেন্দু বলেন, ‘উনি ২টো কারণে মিছিল করছেন, মুসলিম ভোটকে লোকসভা ভোটের আগে একজোট করার জন্য। কারণ ওনার কাছ থেকে মুসলিম ভোট সরে গেছে। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবাই ওনাকে চোর বলে ডাকে। তাই তিনি মুসলিম ভোট ফেরাতে চান। দ্বিতীয় তিনি, রাজ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে যারা গেরুয়া ধ্বজ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন তাদেরকে জেলে পুরতে চান। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে একাধিক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে ফোন করে ‘না’ বলা হয়েছে। হাজার হাজার জায়গায় তৃণমূলের কাউন্সিলররা রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছে’।

    সুকান্তর তোপ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাম নিজেই সম্প্রীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। রাম সবার। সেজন্যই তৃণমূল কংগ্রেস সহ যারা এই ধরণের সম্প্রীতি যাত্রা, সম্প্রীতি সভা যা করার চেষ্টা করছেন, এগুলো আসলে উস্কানিমূলক কাজকর্ম তার বেশি কিছু না।’ এদিন সিঙ্গুর স্টেশন সংলগ্ন রাম মন্দিরে পূজো দিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উনি শুধুমাত্র ভোটের পলিটিক্সের জন্য রামের মধ্যে ধর্ম ঢোকাচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গটাকে দেশ থেকে আলাদা করতে চাইছেন। ১৪০ কোটি মানুষ আজ রাম নাম করছেন, আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী রামের বিরুদ্ধে গিয়ে মিছিল করছেন। উনার কোনওদিন ভালো হতে পারে না।’ 

    আরও পড়ুন: ‘রাম সিয়া রাম’-এর সুরে ভাসল সরযূতীর, রামভজনে মগ্ন অযোধ্যা

    সংহতি কোথায়?

    সোমবার দুপুর ৩টেয় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর হাজরা মোড় থেকেই মিছিল শুরু করেন তিনি। পার্ক সার্কাস ময়দানে মিছিল শেষ হবে। এরইমাঝে একটি গির্জা ও একটি মসজিদেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মিছিলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই সংহতির নামে পশ্চিমবাংলায় সব জায়গায় গান গাওয়া হয়েছে। সেই দেশভাগের পর থেকে সংহতির আয়োজন আগেও ছিল। কেন সংহতি হয়নি? যাঁরা সংহতি মিছিলের নামে সংহতি নষ্ট করেন, তাঁরা আবার রাস্তায় নেমেছেন। কেবল যাঁরা টিএমসির উচ্ছিষ্টভোগী, তাঁদের আমলে করে খাচ্ছে সেরকম কিছু দোকলা লোক যাবে।’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনগরী অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (PM Modi) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠান শেষে মন্দির থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রভু রাম এলেন।” পরে এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে বক্তৃতা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মোহন ভাগবত।

    ‘ভগবান এলেন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি গর্ভগৃহে ছিলাম। এই ঐশ্বরিক মুহূর্ত দেখে আবেগে আমার গলা ধরে আসছিল। এতদিনের অপেক্ষার পর ভগবান রাম আমাদের কাছে এলেন। মনে রাখবেন, আমাদের প্রভু রাম তাঁবুতে থাকবেন না। এতদিনে সেই অপেক্ষার অবসান হল। শুধু এ দেশের মানুষরা নন, গোটা পৃথিবীর রামভক্তরা আজ অনুষ্ঠানটি দেখছেন।” তিনি বলেন, “আমাদের নিশ্চিত কোনও একটা ত্রুটি ছিল। যাঁর জন্য প্রভু শ্রীরামকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের সেই অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে। ২২ জানুয়ারি নতুন সূর্যের কিরণ এসেছে। হাজার হাজার বছর পরেও আজকের দিনের কথা আলোচিত হবে। আমি বিচার ব্যবস্থার কাছেও কৃতজ্ঞ। তাঁরা আইনের মান রেখেছেন।”

    তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন রামলালা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনে উৎসব পালিত হচ্ছে দেশের প্রতিটি গ্রামে। গোটা দেশে আজ প্রদীপ জ্বালানো হবে সন্ধ্যার পর। দিনটি পালিত হবে। আমাদের মন এখনও এতে আটকে রয়েছে। অনেক কথাই বলার আছে, কিন্তু আমার গলা অবরুদ্ধ হয়ে আসছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামলালা আর তাঁবুতে নয়, থাকবেন মন্দিরে (PM Modi)। অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ। ২২ জানুয়ারি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, নতুন কালের শুরু। আমাদের তপস্যায় কিছু খামতি ছিল। আজ তা পূরণ হল। এজন্য প্রভু রামচন্দ্রের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। গর্ভগৃহে ঐশ্বরিক চেতনার সাক্ষী হতে পেরেছি।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    তিনি বলেন, “রাম মন্দিরই ভারতের উন্নয়নের সাক্ষী হবে। লক্ষ্য যদি সত্য হয়, তা পূরণ হবেই। এই মন্দিরই তার প্রমাণ। কয়েক শতাব্দী প্রতীক্ষার পর আজ আমরা এখানে পৌঁছেছি। আমরা সবাই এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আমরা আর থামব না, এবার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেই থামব।” নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলেছিলেন রাম মন্দির হলে আগুন জ্বলবে। তাই আজকের দিন শুধু বিজয়ের নয়, বিনয়ের দিন। ভারতের শান্তি, ধৈর্য, সমন্বয়ের প্রতীক। রাম মন্দির নতুন শক্তির পরিচয়। সবাইকে বলব, আসুন, বিবেচনা করুন, রাম আগুন নয়, রাম শক্তি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
LinkedIn
Share