Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত’কে নিশানা পদ্মের

    Ram Mandir: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত’কে নিশানা পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ফিরিয়েছে কংগ্রেস। তার পরেই বিজেপির তরফে নিশানা করা হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে কংগ্রেস লাগাতার হিন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধাচরণ করে চলেছে। গত দু’-চার দশকে যতবারই রাম মন্দিরের কথা উঠেছে, প্রতিবারই তারা তার বিরোধিতা করেছে। তারা এমনকী এও বলেছে, রাম কাল্পনিক চরিত্র। বর্তমান কংগ্রেস পার্টি তোষণের তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ ফেরানোয় আমি একটুও অবাক হয়নি।”

    নিশানায় নেহরু

    কর্নাটকের বিজেপি নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেস চিরকালই হিন্দুত্বের বিরোধী।… সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণ করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং কেএম মুন্সি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। তিনি সোমনাথ দর্শনে যাননি। তাই কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব কীভাবে অযোধ্যা যাবেন?” প্রসঙ্গত, পুনর্নির্মাণ হওয়ার পর সোমনাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। প্রতিবাদ করেছিলেন নেহরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, কোনও ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের রাষ্ট্রপতির উচিত নয় ধর্মীয় স্থান (Ram Mandir) উদ্বোধন করা। ব্যক্তিগতভাবে কেউ তাঁর ধর্ম বিশ্বাসের জায়গা থেকে এই জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন, রাষ্ট্রীয় পরিচয়ে নয়।

    গান্ধীর কংগ্রেস নয়

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “এটা নেহরুর কংগ্রেস, গান্ধীর কংগ্রেস নয়। মহাত্মা গান্ধী প্রায়ই গাইতেন, রঘুপতি রাঘব রাজা রাম। আর আজকের কংগ্রেস প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না। এটা প্রমাণ করে, কংগ্রেস হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে।” ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার সাতেক অতিথি। এই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে।

    আরও পড়ুুন: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    এই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তার পরেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানে (Ram Mandir) যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে বসল প্রথম স্বর্ণদ্বার, আগামী ৩ দিনে বসছে আরও ১৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঠিক আগেই রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বসানো হল সোনার দরজা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দরজাটি ১২ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চওড়া। আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও ১৩টি দরজা বসবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরে মোট ৪৬টি দরজা বসবে। যার মধ্যে ৪২টি দরজায় আনুমানিক ১০০ কেজি সোনার আবরণ দেওয়া থাকবে।

    ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুল ছুটি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন যে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উত্তরপ্রদেশের সমস্ত স্কুলগুলিকে বন্ধ রাখা হবে। এদিন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে জাতীয় উৎসব বলেও আখ্যা দেন যোগী আদিত্যনাথ। শুধু তাই নয়, অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন উত্তরপ্রদেশের সরকারি দফতরগুলিকে নতুনভাবে সাজানোর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন বছর পড়ার পরে গত মঙ্গলবাড়ই যোগী আদিত্যনাথ প্রথম অযোধ্যায় পা রাখেন। অযোধ্যাকে কুম্ভ মেলার মতোই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলেন তিনি। রাম নগরীকে (Ram Mandir) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং একটি সুন্দর শহর গড়ে তোলার কথাও বলতে শোনা যায় যোগী আদিত্যনাথকে।

    আমন্ত্রিত ৭ হাজার জন

    মন্দির প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যে হাতি, সিংহ, ভগবান হনুমান এবং গরুড়ের মূর্তিও বসানো হয়েছে। এগুলিকে দেখা যাবে ঠিক রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের মুখেই। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার শুভ মুহূর্ত ঠিক হয়েছে। অযোধ্যাতে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন। যার মধ্যে ৩ হাজার জন ভিভিআইপি ব্যক্তিরাও রয়েছেন। অযোধ্যার হোটেল, গেস্ট হাউসগুলি ইতিমধ্যে সব বুকিংও হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    Ram Mandir: অযোধ্যায় প্রতিদিন চলছে সরযূ বন্দনা, পঞ্চপ্রদীপ, বৈদিক শ্লোকে এ যেন সত্যিই দেবভূমি

    রামনগরী অযোধ্যা-পাঁচ

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বারাণসীর গঙ্গা-আরতির প্রসিদ্ধি দেশজুড়ে রয়েছে। দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা-আরতির সময় তিল ধারণের জায়গাটুকুও থাকে না। কপালে তিলক এঁকে ভক্তরা সমবেত হন গঙ্গার ঘাটে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতেই অযোধ্যার সরযূ নদীর আরতিও বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ অযোধ্যায় (Ram Mandir) পৌঁছাতেই তা বোঝা গেল। সরযূ অবশ্য অযোধ্যাবাসীর কাছে শুধু নদী নয়, সরযূকে মাতা সম্বোধন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, অযোধ্যায় কোনও নদী না থাকার কারণে বশিষ্ঠর প্রার্থনায় ব্রহ্মা সরযূ নদীকে সৃষ্টি করেন। সরযূর ধারে যখন পৌঁছালাম সূর্য তখন সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে। ভক্ত ও সাধুসন্তদের ভিড়ে সরযূর ধারে তখন পা রাখারও জায়গা নেই। প্রশাসনের ব্যস্ততাও তুঙ্গে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান ঘাট। তবে সেখানে শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরই যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। সরযূ নদীর ওই ঘাটের ওপরেই সম্পন্ন হয় আরতি। পঞ্চপ্রদীপের আলোর প্রতিফলন সরযূর (Ram Mandir) জলে। সঙ্গে বৈদিক শ্লোক উচ্চারণ। সন্ধ্যার আলো-আঁধারি পরিবেশে মনে হচ্ছিল, এ যেন সত্যিই দেবভূমি। রাম মন্দিরের পাশাপাশি সরযূ নদীর আরতিও যে ভক্তদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

    তরুণ-তরুণীদের ঘোরার জায়গা সরযূর পাড়

    স্মার্ট ফোন হাতে তরুণ-তরুণীদের সন্ধ্যার আড্ডারস্থলও হয়ে উঠেছে সরযূর ধার। যুব প্রজন্ম এখন কপালে দীর্ঘ হলুদ টিকা লাগিয়ে সামিল হচ্ছে সরযূর বন্দনায়। ভারতের প্রাচীন শাশ্বত সংস্কৃতিতেই যে আস্থা রয়েছে তরুণ প্রজন্মের তা বোঝা যায় সরযূর ধারে। হোটেল ব্যবসায়ী ধর্মেন্দ্র মিশ্র তাই কথায় কথায় জানালেন, ‘‘গোয়া নয়, মানুষজন এখন অযোধ্যাতেই আসছেন ঘুরতে।’’ সরযূ নদীর আরতির পরে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করলেন আরতির মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ত শশীকান্ত দাস। স্থানীয় একটি আশ্রমের মহন্তের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ওপরে। তিনিই জানালেন, অযোধ্যা বদলে যাচ্ছে। আমাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘‘আগে আপনারা অযোধ্যায় এসেছেন কখনও?’’ আমরা তিনজন ছিলাম। প্রত্যেকেই সমবেতভাবে উত্তর দিলাম ‘না’।

    কী বলছেন সরযূ নদীর আরতি কমিটির প্রধান?

    শশীকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে ঝামেলা অশান্তির ভয়ে কেউই সেভাবে অযোধ্যা আসতে চাইতেন না। অপপ্রচারও চলত, অযোধ্যা (Ram Mandir) এলেই অশান্তি হতে পারে। রামনগরী তাই হয়ে উঠেছিল উদাসী। কিন্তু এখন আপনাদের মতো লাখো মানুষ আসছেন অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধনের পরে এই সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে বদলে গিয়েছে অযোধ্যার চিত্র। ’’শশীকান্ত দাসের কথায় ঝরে পড়ল নরেন্দ্র মোদি ও যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসাও। তাঁর মতে, ‘‘অযোধ্যাকে বদলে দেওয়ার কারিগর নরেন্দ্র মোদি। তিনি ছিলেন বলেই রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হল অযোধ্যায়। বদলে গেল অযোধ্যার চিত্র। তার সঙ্গে নগরীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।’’ সরযূর ঠিক পাশেই বিশালাকার পার্ক। সেখানে প্রত্যহ সন্ধ্যায় আরতির পরে লেজার শো-এর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে সম্পূর্ণ রামায়ণ। রাম মন্দির থেকে সরযূ যাওয়ার সড়ক রামপথ নামে পরিচিত। মন্দির-সড়ক-নদী সবই যেন রামচন্দ্রময় হয়ে উঠেছে অযোধ্যায়। শুধু তীর্থকেন্দ্র নয়, পর্যটনস্থল হিসেবেও ঘুরে আসা যেতেই পারে অযোধ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    Ram Mandir: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় যাচ্ছে ৪৫০ কেজির ধামসা, ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিল ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ধামসা এবং ৪,৬০০ কেজির ধ্বজ দণ্ড। যাত্রার সূচনা করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই সামগ্রী নিবেদন করা হয়েছে। এই বিরাট ধামসা এবং ধ্বজ দণ্ড স্থাপনা করা হবে রাম মন্দিরে।

    উল্লেখ্য, আগেও নানান সামগ্রী মন্দিরের উদ্দেশে পাঠানোর কথা জানা গিয়েছে। যেমন বিরাট মাপের ঘণ্টা, বিরাট মাপের তালা-চাবি, বিরাট মাপের ধুপকাঠি, এবং বাংলা থেকে বিরাট ফাইবারের রামের মূর্তি পাঠানোর কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এছাড়াও সীতার বাপের বাড়ি নেপাল থেকে আসবে শ্রীরাম লালার অভিষেকের গয়না, অলঙ্কার, সাজ এবং ভোগের সামগ্রী। রামনগরীতে এখন সাজো সাজো রব। মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই মন্দিরের উদ্বোধন।

    ৭০০ কেজি ওজনের রথ

    সূত্রের খবর, সেই সঙ্গে এই বিরাট পতাকা এবং দণ্ড বহনকারী রথটির ওজন হবে ৭০০ কেজি। এগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) জন্য এই বিরাট নির্মাণ করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া ডাবগার সমাজ’। আগামী ২২ জানুয়ায়রি রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং অভিষেক সম্পন্ন হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তাই প্রস্তুতি ব্যাপক তুঙ্গে। বারাণসীর পুরোহিত, লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার অনুষ্ঠান করবেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অযোধ্যায় অমৃত মহোৎসব পালন করা হবে। একটি ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    হনুমানের দেশ থেকে আসবে মূর্তি

    কর্নাটকের ভাস্কর শিল্পী যোগীরাজ অরুণের খোদাই করা মূর্তিটি নির্বাচিত হয়েছে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের জন্য। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তিটির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হনুমানের দেশ থেকে একজন প্রখ্যাত প্রতিমা নির্মাতার মূর্তি রাম মন্দিরে স্থাপনের স্বরূপটি সকলে দেখতে পাবেন। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরের ১০০ দিনে ১ হাজার বিশেষ ট্রেন ছুটবে অযোধ্যায়

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরের ১০০ দিনে ১ হাজার বিশেষ ট্রেন ছুটবে অযোধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে (Ram Mandir) উদ্বোধন হতে হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। শুরু হয়েছে কাউন্ট ডাউন। প্রশাসন জানিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের পরে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ মানুষের পা পড়বে রাম নগরী (Ram Mandir) অযোধ্যাতে। ইতিমধ্যে জোর কদমে চলছে স্টেশন পুনর্গঠনের কাজ। স্টেশনের নামকরণ হয়ে গিয়েছে অযোধ্যা ধাম। যাতায়াতে যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনও অসুবিধা না হয় সে কারণে ভারতীয় রেল অযোধ্যা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিল। জানা গিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের (Ram Mandir) তিন দিন আগে থেকে পরের ১০০ দিন পর্যন্ত ১ হাজার ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেল। বিশেষ ট্রেনগুলি ছুটবে ১৯ জানুয়ারি থেকেই।

    রাম ভক্তদের সুবিধায় বিশেষ উদ্যোগ ভারতীয় রেলের 

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২২ জানুয়ারি। ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণ পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে যাবে মন্দিরের দরজা। ইতিমধ্যে কোন কোন জায়গা থেকে ট্রেনগুলি অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবে, তার একটা মোটামুটি তালিকা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাম ভক্তদের (Ram Mandir) অযোধ্যা পৌঁছাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং বারবার রেল বদল না করতে হয় সে কারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রেল।

    কোন কোন জায়গা থেকে ছাড়বে ট্রেন?

    বিশেষ ট্রেনগুলি ছাড়বে যেখান থেকে সেই স্থানগুলি হল, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুণে, কলকাতা, নাগপুর, লখনউ ও জম্মু-কাশ্মীর। এর পাশাপাশি আরও অন্যান্য ছোট বড় শহর থেকেও অযোধ্যার উদ্দেশে পাড়ি দেবে ট্রেন। এই ট্রেনগুলির ছাড়ার সময়, যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। অযোধ্যা স্টেশন ১৫ জানুয়ারি থেকে ফের খুলে যাবে। তখন থেকে প্রতিদিন গড়ে পঞ্চাশ হাজার মানুষের পা পড়বে প্ল্যাটফর্মে। অযোধ্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অযোধ্যা (Ram Mandir) জোনের আইজি প্রবীণ কুমার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যত লোকবল আছে, তার পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ড্রোনও নজরদারি চালাচ্ছে। অযোধ্যা শহরের চারিদিকে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির ঘিরে বদলে যাচ্ছে অযোধ্যা, ১০ বছরে বিনিয়োগ হবে ৮৫ হাজার কোটি!

    Ram Mandir: রাম মন্দির ঘিরে বদলে যাচ্ছে অযোধ্যা, ১০ বছরে বিনিয়োগ হবে ৮৫ হাজার কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব অযোধ্যায়। আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মন্দির প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করেই বদলে যাচ্ছে সামগ্রিক অযোধ্যার চিত্র। আগেই জানা গিয়েছে, ১৭৮টি প্রকল্প বর্তমানে চলছে অযোধ্যায়। আন্তর্জাতিক মানের শহর গড়ে তোলা হচ্ছে রামনগরীকে। গত ৩০ ডিসেম্বর মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১০ বছরে অযোধ্যায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০৩১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে 

    সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ২০৩১ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরেই প্রতিদিন গড়ে তিন লক্ষ মানুষের পা পড়বে অযোধ্যার পূণ্যভূমিতে। অযোধ্যা শহর লাগোয়া নতুন টাউনশিপ গড়ে উঠবে ১,২০০ একর জায়গাজুড়ে। এই নতুন উপনগরীকে নতুনভাবে এবং ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। এর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ২,২০০ কোটি টাকা। বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হবে অযোধ্যাকে। আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত ভূমিতে পরিণত হবে রামনগরী। স্থপতিশিল্পী এবং শহর পরিকল্পনাকারী দিক্সু কুকরেজা যিনি এই পুরো পরিকল্পনাটির নীল নকশা তৈরি করেছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, সমস্ত রকমের অত্যাধুনিক মানের সুবিধা এবং পরিষেবা মিলবে অযোধ্যায়। পুণ্যার্থীদের ঢল এখানে এতটাই নামতে চলেছে যে অনুমান করা হচ্ছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রীদের অনুপাত দাঁড়াবে ১:১০।

    ৮৭৫ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে গড়ে উঠবে পর্যটন ব্যবস্থা

    তীর্থযাত্রীদের পা পড়তেই ফুলে ফেঁপে উঠবে অযোধ্যার বাণিজ্য। সব থেকে ভালো চলবে হোটেল ব্যবসা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তীর্থযাত্রীদের (Ram Mandir) থাকার জন্য সেখানে গড়ে উঠবে সরকারি গেস্ট হাউস, হোটেল সমেত আরও অন্যান্য বাসস্থান। নকশা অনুযায়ী, ৩১.৫ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত মূল শহরের এলাকা ও ১৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত বর্তমানে পরিকল্পিত শহর এলাকা সহ মোট ৮৭৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় বিভিন্ন পরিকাঠামো ও পর্যটন কেন্দ্রিক কাজ হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ‘‘শুধু রাম-ভক্তরাই প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রিত’’, উদ্ধবকে জবাব প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্রর

    Ram Mandir: ‘‘শুধু রাম-ভক্তরাই প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রিত’’, উদ্ধবকে জবাব প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেবল রামের ভক্তদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে।” সাফ জানিয়ে দিলেন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজার জন ভিভিআইপি।

    আমন্ত্রণ নিয়ে কী বলছেন সত্যেন্দ্র? 

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (পড়ুন, রাম মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা) কারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন তা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন এক শ্রেণির মানুষ। বলিউডের অনেকে আমন্ত্রণ পেলেও, তিন খান (শাহরুখ-সলমন-আমির) কেন পাননি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তেমনই শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা উদ্ধব ঠাকরেও জানিয়েছিলেন তিনি আমন্ত্রণ পাননি। এদিন এঁদেরই প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন সত্যেন্দ্র। তিনি বলেন, “আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেবল প্রভু রামের (Ram Mandir) ভক্তদের। বিজেপি প্রভু রামের নামে ভোট ময়দানে লড়ছে বলে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর আমলে উন্নয়নমূলক অনেক কাজ হয়েছে। এটা রাজনীতি নয়। এটা তাঁর নিষ্ঠা।”

    অনুষ্ঠানে রাজনীতির রং!

    বিজেপিকে নিশানা করে উদ্ধব বলেছিলেন, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে রাজনীতির রং লাগানো উচিত নয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করাও ঠিক নয়। বস্তুত, এটি (প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান) কোনও একটি রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান হওয়া উচিত নয়। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব জানান, রাম মন্দির নিয়ে তিনিও অন্য অনেকের মতোই আনন্দিত। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তাঁর বাবা লড়াই করেছিলেন বলেও জানান তিনি। উদ্ধব যখন রাম মন্দির নিয়ে তাঁর আবেগের কথা বলছেন, তখন তাঁরই দলের নেতা সঞ্জয় রাউত শনিবার নিশানা করেন বিজেপিকে। বলেন, “২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠান নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। তারা শীঘ্রই প্রভু রামকেও ভোটে প্রার্থী করে দেবেন।”

    আরও পড়ুুন: রামলালার কোন মূর্তি মন্দিরের গর্ভগৃহে বসবে হয়ে গেল চূড়ান্ত, শিল্পী কে জানেন?

    সঞ্জয়ের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেন, “এই সঞ্জয় রাউতরাই প্রায়ই রামের নামে ভোট ভিক্ষে করেন। তবে যাঁরা প্রকৃতই প্রভু রামকে বিশ্বাস করেন, তাঁরাই রয়েছেন ক্ষমতায়। কী বোকা বোকা কথা বলছেন ওঁরা! উনি প্রভু রামকে অপমান করছেন।” প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা হওয়ার পরের দিন থেকেই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    Ram Mandir: থাকবেন শাহ-নাড্ডা, রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মঙ্গলে বৈঠকে বসছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) বিগ্রহের। তার আগে মঙ্গলবার এনিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিটি রাজ্যের দলের দুই কর্মকর্তা।

    বিজেপির বৈঠক

    এ বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাম মন্দির উদ্বোধনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনী প্রচারে কীভাবে একে হাতিয়ার করা হবে, তা নিয়েও হবে আলোচনা। রাম মন্দির আন্দোলন ও মন্দির নির্মাণে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করা হবে। নতুন ভোটারদের সঙ্গে পরিচয় করতে বুথস্তরের কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে পদ্ম-পার্টি। মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে কীভাবে বিরোধী দলগুলি পদে পদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাও তুলে ধরা হবে ভোটারদের কাছে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আরএসএস এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদ যেসব কর্মসূচি হাতে নেবে, সেগুলিতে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।

    মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, মন্দিরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। এর মধ্যে ৩ হাজার জনই ভিভিআইপি। জানা গিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। প্রতি ঘরে রামের মহিমা পৌঁছে দেওয়া হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। বিজেপি নেতারা রামের ছবি নিয়েও ঘুরবেন দুয়ারে দুয়ারে।

    আরও পড়ুুন: কনভয়ে বিস্ফোরণ, নিহত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার!

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাম মন্দির দেশের পরিচয় এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” অযোধ্যায় যেদিন রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন বাংলার ঘরে ঘরেও জ্বলবে প্রদীপ। গ্রামে-গঞ্জে যত মন্দির রয়েছে, সেখানে ছোট করে হলেও, উৎসব করতে বলা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। সর্বত্র বড় পর্দায় অযোধ্যার (Ram Mandir) অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যগুলির নেতাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rajnath Singh: “রাম মন্দির রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক,” বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “রাম মন্দির রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক,” বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাম মন্দির কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, সাংস্কৃতিক ইস্যু।” সোমবার অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন উৎসবে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিন রাম মন্দির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাজনাথ বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসব। ওই দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    কী বললেন রাজনাথ?

    এর পরেই তিনি বলেন, “রাম মন্দির আমাদের কাছে ভোট পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ইস্যু।” ১৬ জানুয়ারি অক্ষত সংগ্রহের মাধ্যমে শুরু হবে রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার উৎসব। মূল উৎসব হবে ২২ জানুয়ারি। এদিন সকালে পুজোর পর রাম লালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে দুপুরে, মৃগশিরা নক্ষত্রে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, “২০২৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম আথর্নীতির দেশের তালিকায় তিন নম্বরে জায়গা করে নেবে। আর এক নম্বর হবে ২০৪৭ সালের মধ্যে।”

    রাজনাথের মুখে যুব-প্রশস্তি

    শিক্ষক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতাও এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে শেয়ার করে নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশের যুব সমাজ কীভাবে নয়া ধারণাগুলি গ্রহণ করছেন, তাও জানান তিনি। বলেন, “দেশের যুবসমাজকে আমি যতটুকু বুঝেছি, তা থেকে আমি বলতে পারি, শিক্ষকদের চেয়ে পড়ুয়ারা অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী। পড়ুয়াদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তারা সহজেই নতুন নতুন ধারণাগুলিকে গ্রহণ করে নেয়। অসম দেশকে এমন অনেক আইকন দিয়েছে। এই আইকনরা শিল্প, সাহস, ধর্ম, রাজনীতি-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “তোমাদের মতো তরুণদের সমৃদ্ধশালী করতে আমরা স্টার্ট-আপ সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেমের ওপর জোর দিচ্ছি। সরকারের প্রচেষ্টা এবং তরুণ উদ্যোগপতিদের উৎসাহিত করতে আজ আমরা ভারতে এক লাখেরও বেশি স্টার্ট-আপ ও একশোর বেশি ইউনিকর্ন তৈরি করেছি। আমরা উদ্ভাবনকে প্রোমোট করেছি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর স্টার্ট-আপের মাধ্যমে।” এদিন পুরনো ভারত ও নতুন ভারতের পার্থক্যও করেন রাজনাথ। বলেন, “পুরনো ভারত ও নয়া ভারতের মধ্যে প্রধান পার্থক্য নিহিত রয়েছে চিন্তার বিবর্তন ও অ্যাপ্রোচের মধ্যে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের পড়ুয়াদের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে, লক্ষ্য রয়েছে। এসবকেই নয়া চিন্তাভাবনা বলা যেতে পারে। এগুলিই নয়া ভারতের ব্যাকগ্রাউন্ডও।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক একুশ দিন পরে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। তার সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাবে অক্ষত সংগ্রহ অনুষ্ঠান। এমতাবস্থায় রাম মন্দির ট্রাস্টের নামে ভক্তদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুট করছে লুটেরারা। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেই বিশ্বহিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে পুণ্যার্থীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলছে লুটের কারবার

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ছেত্র অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ নামের একটি জাল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করা হয়েছে। পেজটিতে কিউআর কোড রয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের নামে সেখানে ইউজারদের ডোনেশন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’ বিশ্বহিন্দু পরিষদের অযোধ্যার এক (Ram Mandir) সদস্য বলেন, “লুটেরারা বলছে, যত পারেন দান করুন। ডায়েরিতে আপনার নাম এবং নম্বর লিখে রাখা হবে। যখন মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে, আপানাদের সকলকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমি অযোধ্যা থেকেই বলছি। লুটেরারা বলছে, আপনারা জানেন হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই চলছে। মুসলমান সম্প্রদায় তাদের মন্দির তৈরি করার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই তারা তাদের মন্দির নির্মাণে অর্থ সংগ্রহ করছে।”

    কী বললেন ভিএইচপি মুখপাত্র

    বনশল বলেন, “শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যায় কাউকে অর্থ সংগ্রহের অধিকার দেয়নি। আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখেছি। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছি। মানুষ যেন এই সব প্রতারকদের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মানুষকেও এ ব্যাপারে সচেতন হবে হবে। এটা আনন্দের উৎসব। আমরা আমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছি। আমরা কোনও ডোনেশন নিই না (Ram Mandir)।

    আরও পড়ুুন: ভারত-বিরোধী প্রচার, নিষিদ্ধ করা হল ভূস্বর্গে সক্রিয় তেহরিক-ই-হুরিয়তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share