Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কারা আমন্ত্রিত, আসছেনই বা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকও বাকি নেই রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের বহু অতিথি। এঁদের মধ্যে যেমন সাধু-সন্তরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন বিনোদন জগতের লোকজনও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদেরও।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্তও তাঁরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা, অফিসিয়ালি তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে অবশ্য কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেছিলেন, “না যাওয়ার তো কোনও কারণ নেই। এ ব্যাপারে সোনিয়াজি খুব পজিটিভ। হয় সোনিয়াজি স্বয়ং যাবেন, নয়তো কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হবে।”

    কী বলছে সিপিএম?

    মন্দির উদ্বোধনের দিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তিরও। মূর্তিটিকে মন্দিরে নিয়ে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় পুরোহিতদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিনিধি এলেও, অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন না সিপিএমের কেউ। কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা থাকবেন না বলে দিন দুই আগেই জানিয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “সিপিএমের নীতি হল ধর্মীয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা।

    আরও পড়ুুন: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    প্রত্যেকে যাতে শান্তিতে ধর্মাচরণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। ধর্ম একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তাই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে একে ব্যবহার করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “সংবিধানে বলাই হয়েছে রাষ্ট্র কোনও বিশেষ ধর্মকে গুরুত্ব দেবে না।” অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালও। তিনি বলেন, “ভগবান রাম আমার হৃদয়ে। তাই অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।” বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এলকে আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশীকে।

    আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, অনুপম খের এবং মাধুরী দীক্ষিত নেনেকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিল্পপতি রতন টাটা, মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিকে। ক্রিকেটার শচিন তেণ্ডুলকর ও বিরাট কোহলিও উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। ট্রাস্টের (Ram Mandir) তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৭০০০ জনকে। এর মধ্যে ভিভিআইপি ৩০০০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ram Mandir: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    Ram Mandir: ভোটাভুটি করে বেছে নেওয়া হল রামলালার মূর্তি, কেমন দেখতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি মূর্তি। তার মধ্যে একটিই ঠাঁই পাবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে। সেই বিগ্রহেই হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। কোন মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে, সেটি বেছে নিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। ট্রাস্টের তরফে বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র জানান, রামলালার যে মূর্তিটি মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানো হবে, সেটি পছন্দ করা হয়ে গিয়েছে।

    কেমন দেখতে রামলালার মূর্তি?

    প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য সেটি মন্দিরে নিয়ে আসা হবে আগামী মাসে। শুক্রবার তিনি বলেন, “মন্দিরে কোন মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি ঠিক করতেই বৈঠক হয়েছে এদিন। মূর্তিও পছন্দ করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, রাম মন্দির নির্মাণ এবং মন্দির পরিচালনা করছে এই ট্রাস্ট। বিমলেন্দ্র বলেন, “যে মূর্তিটি সবার পছন্দ হয়েছে, সেটি দেখলে মনে হবে যেন আপনার সঙ্গে কথা বলছে। একবার যদি দেখেন, আপনি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন।” তিনি বলেন, “যদি এক সঙ্গে অনেকগুলি মূর্তি রাখা হয়, তাহলে আপনার চোখ গিয়ে থামবে সেরা (Ram Mandir) মূর্তিটিতে গিয়ে।”

    মূর্তি পছন্দে ভোটাভুটি 

    এদিনের বৈঠকেও আমার দৃষ্টি যে মূর্তিটিতে গিয়ে স্থির হয়ে গিয়েছিল, সেটির পক্ষেই আমি ভোট দিই। এরপর চম্পত রাই (ট্রাস্টের সম্পাদক) ঠিক করেছেন। এনিয়ে ভোটাভুটি হয়েছিল। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছিলাম। যে মূর্তিটির পক্ষে সবাই ভোট দিয়েছেন, সেই মূর্তিটিই প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ে আসা হবে। এই মূর্তিটির মধ্যে একটি স্বর্গীয়ভাব রয়েছে। সেটি সত্যিই শিশুর মতো দেখতে।” জানুয়ারির ২২ তারিখে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবে রামলালার মূর্তি। তবে বিগ্রহ-দর্শন শুরু হবে ২৩ তারিখ থেকে। যদিও মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান পর্ব শুরু হয়ে যাবে ১৬ জানুয়ারি থেকে। এদিন থেকে শুরু হবে অক্ষত সংগ্রহ।

    আরও পড়ুুন: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    আরও কিছু মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান শেষে ২২ জানুয়ারি হবে মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এর মধ্যে যেমন থাকবেন রাজনীতিবিদরা, তেমনি থাকবেন শিক্ষা, বিনোদন-সব বিভিন্ন ক্ষেত্রের লোকজন। বিদেশের বহু অভ্যাগতও যোগ দেবেন এই অনুষ্ঠানে। সেই কারণেই সাধারণ দর্শনার্থীরা এদিন প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। তাঁরা দেবদর্শন করতে পারবেন ২৩ জানুয়ারি থেকে। ট্রাস্টের দাবি, এদিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    PM Modi Visit  Ayodhya: আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিমানবন্দর থেকে রেল স্টেশন একগুচ্ছ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম’-এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কার্যত আজ, শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র বোধন। আজ, ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন ও মহর্ষি বাল্মিকীর নামাঙ্কিত নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit  Ayodhya)। তার আগে অযোধ্যাজুড়ে সাজো সাজো রব। রেলস্টেশন, এয়ারপোর্ট সহ অযোধ্য়ার অলিতে গলিতে তুমুল ব্য়স্ততা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। 

    বিমানবন্দরের উদ্বোধন

    শনিবার অত্যাধুনিক বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি ১৫ কিলোমিটার পথে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। আগে অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম ছিল ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম অযোধ্যা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট’। উদ্বোধনের দিন থেকেই এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ঢেলে সাজানো হচ্ছে গোটা অযোধ্যা নগরী। পুরোনো মন্দিরগুলো সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তাও। আগামী ২২ জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্থায়ী মন্দির থেকে ৫ বছরের রামলালার মূর্তি কোলে নেবেন ও তা নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করবেন। এর জন্য তিনটি ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তিনটি মূর্তিরই ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা। তিন জন আলাদা শিল্পী এই মূর্তিগুলি তৈরি করছেন। রামমন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের ভোটে বেছে নেওয়া হবে যে কোনও একটিকে। সেটাই প্রতিষ্ঠা করা হবে জানুয়ারিতে।

    নয়া ট্রেনের যাত্রা

    এদিন মোদি ‘অমৃত ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধন করবেন অযোধ্যা থেকে। তার একটি চলাচল করবে বিহারের দারভাঙ্গা থেকে নয়াদিল্লির আনন্দ বিহার রুটে। যেটি অযোধ্যায় থামবে। আর একটি রুট বাংলার মালদা টাউন থেকে বেঙ্গালুরু। তার উদ্বোধনও আজ অযোধ্যা থেকেই করবেন তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য শনিবারই ১৫,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার মধ্যে রয়েছে রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চান মোদি। 

    আরও পড়ুন: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    আজ অযোধ্যায় সারাদিন

    ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকাল ১০.৪৫ মিনিটে অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর রোড শো রয়েছে। তারপর সকাল ১১.১৫ মিনিটে অযোধ্যা ধাম জংশনের উদ্বোধন। সকাল ১১.৩০ টায় অমৃত ভারত এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু ট্রেনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২.১৫ মিনিটে মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন মোদি। দুপুর ১টায় জনসভায় প্রায় ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেবন তিনি। দুপুর ২.৪০ মিনিটে দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা হবে প্রথম বিমান। বিকেল ৪টে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দরে প্রথম বিমান অবতরণ করার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    Ram Mandir: গোলাপের পাপড়িতে শ্রীরাম! থাকবে মোদির ছবিও, রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অভিনব ফুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে থাকবে শ্রী রামের ছবি। গোলাপের পাপড়িতে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুখও। বিশেষ এই গোলাপে লেখা থাকবে জয় শ্রী রাম।

    কেমনভাবে প্রস্তুত এই বিশেষ গোলাপ

    বছর ঘুরলেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Ram Mandir Inauguration)। আপাতত গর্ভগৃহেরই উদ্বোধন করা হবে। এখানেই প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন আনা হবে বিশেষ গোলাপী রঙের গোলাপ, যার প্রতিটি পাপড়িতে শ্রী রামের (Sree Ram) ছবি থাকবে। এই বিশেষ ফুল তৈরির জন্য গুজরাট থেকে একজন ফ্লোরিস্টকে আনা হচ্ছে। অশোক বনসলী নামক ওই ফুল বিক্রেতা জানান, তিনি এক বিশেষ প্রযুক্তি তৈরি করেছেন, যেখানে ফুলের পাপড়িতে ছবি ছাপানো সম্ভব। চার বছর সময় লেগেছে এই প্রযুক্তি তৈরি করতে। একগুচ্ছ গোলাপ ফুল তুলেও দেখান ওই ফ্লোরিস্ট, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রামলালার নাম লেখা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র যে ডাক দিয়েছিলেন, তা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই আধুনিক প্রিন্টিং টেকনোলজি তৈরি করেছেন অশোক বনসলী। রাম মন্দির সাজানোর জন্য ব্যবহৃত ফুল ও গাছের পাতায় রামলালার নাম লেখা থাকবে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলে এই ছবিগুলি ছাপানো থাকবে। এর আগে, ২০২০ সালে রাম মন্দিরের ভূমি পুজার দিনও তিনি এইরকমের ৫০০ ফুল তৈরি করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Abu Dhabi: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করবেন মোদি, আমন্ত্রণ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ার আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) বিএপিএস স্বামীনারায়ণ সংস্থার উদ্যোগে নির্মিত হিন্দু মন্দির উদ্বোধন (Abu Dhabi Temple Inauguration) করার আমন্ত্রণপত্র এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। মন্দির কমিটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এসে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদির হাতে দেশে রাম মন্দির এবং বিদেশে হিন্দু মন্দির উদ্বোধনের ঘটনায় দেশজুড়ে খুশির আবহ।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হবে মন্দির

    মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্মপ্রধান দেশের শহর আবু ধাবি। সেখানে বিগত কয়েক বছর ধরেই চলছিল মন্দির নির্মাণের কাজ। এমনকী, ২০১৮ সালে আমিরাশাহি সফরে গিয়ে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নিজের হাতে করে এসেছিলেন মোদি (PM Modi in Abu Dhabi) । মন্দির কমিটি সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ (Abu Dhabi Temple Inauguration) করতে এদিন উপস্থিত হন ঈশ্বরচরণ স্বামীজি, গুরুবর্য মহন্ত এবং ব্রহ্মহারী স্বামীজি। আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এই মন্দির। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করে এই প্রতিনিধিদল। আলোচনায় উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সম্পর্কে সাংস্কৃতিক ভাবনা এবং দর্শন চর্চা। এছাড়াও বিষয় ছিল বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্য, হিন্দু সমাজের মাহাত্ম্য, বিশ্বের মঞ্চে ভারতের নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়।

    কেমন হবে মন্দির?

    জানা গিয়েছে, এটিই হতে চলেছে আবু ধাবিতে (PM Modi in Abu Dhabi) প্রথম স্থাপিত হিন্দু মন্দির। শহরের আল বাকবা নামে একটি জায়গায় ২০ হাজার বর্গমিটার জমির মধ্যেই এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্য এবং শিল্পকলায় যেমন আধুনিক চিত্রকলা থাকবে ঠিক একই ভাবে প্রাচীন চিত্রকলার নিদর্শনও থাকবে (Abu Dhabi Temple Inauguration)। মধ্যেপ্রাচ্যে এই মন্দির ভারতের ধর্ম এবং সংস্কৃতির একটি প্রধানকেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    Ayodhya Ram Mandir: পরনে হিজাব, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি! হেঁটে মুম্বই থেকে অযোধ্যা পাড়ি শবনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামের (Ayodhya Ram Mandir) উপাসনা করতে হিন্দু হওয়ার প্রয়োজন নেই। মন থেকে ভালো মানুষ হলেই রামের ভক্ত হওয়া যায়। এই বিশ্বাসকে সঙ্গে করেই মুম্বই থেকে হেঁটে অযোধ্যা চলেছেন মুসলিম তরুণী শবনম। পরনে হিজাব, সঙ্গে গেরুয়া ধ্বজ, ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টিকারীদের বার্তা দিতেই হাঁটতে শুরু করেছেন শবনম। তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তা সত্ত্বেও ভগবান রামের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি। 

    কী বলছেন শবনম

    স্টিরিওটাইপ বিশ্বাস ভেঙে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ২২ জানুয়ারির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে পৌঁছবেন রামভক্ত মুসলিম তরুণী শবনম। কট্টরপন্থীদের চোখরাঙানিকে ভয় না পেয়েই, শবনম গর্ব করে বলেন, ‘‘রাম পুজো করতে হিন্দু হওয়ার দরকার নেই, ভালো মানুষ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ বর্তমানে, শবনম প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হাঁটছেন। মুম্বই থেকে শুরু করে তিনি পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের সিন্ধভা পর্যন্ত। এই যাত্রাপথে শবনমের অপর দুই সঙ্গী রামভক্ত রমন রাজ শর্মা এবং বিনীত পাণ্ডে। শবনম বলেন, ‘‘ভগবান রাম সকলেরই। জাত বা ধর্মের ভেদাভেদ করে তাঁর ভাগ করা যায় না। রামের উপাসনা করতে গেলে সমস্ত সীমানা তুচ্ছ হয়ে যায়।’’

    আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের চেতনাতেই তৈরি অযোধ্যা বিমানবন্দর, নামেও রামায়ণের ছোঁয়া

    সংহতির বার্তা

    বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল এই তিন পুণ্যার্থীর রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) যাত্রার খবর। যাত্রাপথে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। খাবারের ব্যবস্থা থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই, সব কিছুরই বন্দোবস্ত করে দিয়েছে পুলিশ। শবনমের কথায়, দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও কখনও চেপে ধরছে  ক্লান্তি। তা সত্ত্বেও রামের প্রতি তাদের ভক্তি তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে শবনমকে স্বাগত জানিয়েছেন অলি-গলির মানুষ। মুসলিম নাগরিকরাও শবনমের এই উদ্যোগে খুশি। রামমন্দিরের যাত্রাপথে এই মুসলিম তরুণী বলেছেন, ‘‘তিনি সংহতির হৃদয়গ্রাহী মুহূর্তগুলি মনের মণিকোঠায় ধরে রাখতে চান।’’ তাঁকে বহু মানুষ ‘জয় শ্রী রাম’ বলে অভিবাদন জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    BJP: “যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরাই আসবেন”, বৃন্দার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন মীনাক্ষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে। অনুষ্ঠানে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বৃন্দা কারাত।

    কী বললেন মীনাক্ষি?

    বৃন্দার এহেন মন্তব্যে জবাব দিয়েছেন বিজেপির (BJP) প্রবীণ নেত্রী মীনাক্ষি লেখি। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের কাছেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কেবল প্রভু রামের ডাক যাঁরা শুনেছেন, তাঁরাই আসবেন অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে।” মঙ্গলবার সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা বলেছিলেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমাদের দল যাবে না। আমরা মানুষের ধর্মীয় আবেগকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তারা (বিজেপি) ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলেছে। এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গায়ে রাজনীতির রং লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা ঠিক নয়।”

    ৪০ হাজার অতিথি!

    বৃন্দার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই মীনাক্ষি (BJP) জানান, যাঁরা রামের ডাক শুনবেন, তাঁরা আসবেন। রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় সমাগম হবে প্রায় ৪০ হাজার অতিথির। এঁদের মধ্যে সন্ন্যাসী চার হাজার। বাকিদের মধ্যে যেমন আম্বানি, আদানি, টাটা, জিন্দলদের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা থাকবেন, তেমনি থাকবেন বলিউডের তারকারাও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিতাভ বচ্চন, অনুপম খের, আলিয়া ভট্ট, রণবীর কাপুর, অক্ষয় কুমার, মাধুরী দীক্ষিত, অজয় দেবগন, আয়ুষ্মান খুরানা, টাইগার স্রফ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষকে। দক্ষিণী তারকা যশ, প্রভাস সহ বিনোদন জগতের বহু তারকাও উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে।

    আরও পড়ুুন: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও উপস্থিত থাকবেন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে যেহেতু ভক্তের ঢল নামবে, তাই ঢেলে সাজানো হয়েছে রেলস্টেশন। তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। ৩০ ডিসেম্বর ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করবেন রেলস্টেশনেরও। বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রোড-শো করবেন তিনি। এর পাশাপাশি দিল্লি থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উৎসব শেষে অযোধ্যায় দেব দর্শন শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। প্রতিদিন ৫০-৫৫ হাজার মানুষ ভগবান রামের দর্শনে আসবেন (BJP) বলে অনুমান মন্দির কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    Ram Mandir: আত্মনির্ভর রাম মন্দির, মিলবে সব রকমের নাগরিক পরিষেবা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    সকাল ১১টা থেকে ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সাংবাদিক বৈঠক। সারা দেশ থেকে হাজির সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম বিরাট জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে ঢুকছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তাঁর সঙ্গেই এলেন তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই। আধঘণ্টার সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। সেখানেও ঢোকার মুখে বোঝা গেল কেন রাম মন্দির (Ram Mandir) এত বিশেষ! ভারতের আর কোনও মন্দিরে বোধহয় এত নিরাপত্তার বলয় থাকে না। মন্দির চত্বরে দেখা গেল কয়েক হাজার নির্মাণ কর্মী এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। সময় যে বড় কম! প্রভু রামচন্দ্র ঘরে ফিরবেন তাও আবার ৫০০ বছর পরে। একি কম আনন্দের! জানা গেল সেখানে অনেক আইআইটি পাশ ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করছেন। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম।

    ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠকে কোন কোন দিক উঠে এল?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সব দিক থেকেই আত্মনির্ভর হতে চলেছে এই মন্দির (Ram Mandir)। নিকাশী থেকে জল, বিদ্যুৎ থেকে চিকিৎসাকেন্দ্র সবই থাকছে ভিতরে। অর্থাৎ রাম মন্দির যেন আলাদা একটা ব্যবস্থা। সরকারের কোনও সাহায্যই লাগবে না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় রীতির মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে মন্দির। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির রীতি ‘গোপুরম’ নামে পরিচিত এবং উত্তর ভারতীয় মন্দির রীতিকে নাগারা বলে। এই দুই রীতির ছোঁয়া দেখা যাবে রাম মন্দিরে। অন্যদিকে ভগবান শঙ্করাচার্যের ভাবনা অনুযায়ী ‘পঞ্চায়তন’ ধারণার ছোঁয়াও দেখা যাবে মন্দির চত্বরে। ‘পঞ্চায়তন’ হল পাঁচ দেবদেবীর মন্দির। সূর্য, শঙ্কর, ভগবতী, গণপতি এবং বিষ্ণু। মূল রাম মন্দিরের চার দিকে এই মন্দিরগুলি থাকবে। ভগবান রামকেই বিষ্ণুর অবতার মানা হয় তাই আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মন্দির থাকছে না।

    আত্মনির্ভর রামমন্দির

    অযোধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পক রাই জানান, মন্দির (Ram Mandir) চত্বরেই থাকবে পাওয়ার স্টেশন। যেখান থেকে বিদ্যুৎ বন্টন করা মন্দিরের বিভিন্ন বিভাগে। আবার জল সরবরাহের জন্য তৈরি হচ্ছে মন্দিরের নিজস্ব ওয়াটার প্ল্যান্টও। রামমন্দিরের ঠিক পিছনে থাকবে দিব্যাঙ্গদের জন্য লিফটও। রামমন্দির ট্রাস্টের মতে, ‘‘লাখ লাখ দর্শনার্থী আসবেন মন্দির দর্শনে। তাঁরা পরিক্রমা করবেন মন্দির। তাই তাঁদের জন্য সমস্ত রকমের পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।’’ মন্দির চত্বরেই মিলবে চিকিৎসা ব্যবস্থাও। গড়ে উঠছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আবার ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্রামাগারও। জানা গিয়েছে রেলের মতোই হবে এই বিশ্রামাগার। যেখানে ভক্তরা নিজেদের মোবাইল, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী রাখতে পারবেন। এরজন্য আলাদা কোনও চার্জও দিতে হবে না।

    বশিষ্ট থেকে অহল্যা, বিশ্বামিত্র থেকে নিষাদ রাজের মন্দিরও তৈরি হচ্ছে

    রামজন্মভূমি প্রাঙ্গণে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হবে আরও বেশ কতগুলি। ভগবান রাম চন্দ্রের জীবনে বিশেষ অবদান রয়েছে যাঁদের তাঁদেরও মন্দির তৈরি হবে। বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, মাতা শবরী, নিষাদরাজ গোহু, অহল্যা এই সাত মন্দির থাকবে রামন্দিরের প্রাঙ্গণে। অর্থাৎ ভক্তরা মন্দির চত্বরে এলেই আরেকবার রামায়ণ মহাকাব্যকেই চাক্ষুষ করতে পারবেন। রামের জীবনে অবদান ছিল জটায়ুরও। তাঁর মূর্তি ইতিমধ্য়ে কুবের টিলাতে স্থাপন করা হয়েছে। 

    ৭০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একরে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পক রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৭০ একর জমি পেয়েছি আমরা। কিন্তু এর মধ্যে ২০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। বাকি জায়গায় ১০০-এরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এদিন চম্পত রাই আরও বলেন, ‘‘৭০ একর জায়গার একেবারে উত্তর দিকেই তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। সমগ্র ভূমির যে প্লট নিয়ে বিবাদ এবং বিতর্ক ছিল সেই স্থানেই তৈরি হচ্ছে মন্দির।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন লঙ্গরখানা খুলবেন রসুলপুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির ২২ তারিখে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। প্রত্যাশিতভাবেই এদিন কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে অযোধ্যায়। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আগত ভক্তদের জন্য লঙ্গরখানা খুলবেন সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের বাবা হরজিৎ সিং রাসুলপুর। তিনি নিহাঙ বাবা ফকির সিং খালসার ১৮তম বংশধর। ঘটনাটি ঘটছে ১৬৫ বছর পরে। ১৮৫৮ সালে তাঁর পূর্বপুরুষ অযোধ্যার বাবরি মসজিদের দখল নিয়েছিলেন। কীভাবে? ভগবান রামের জন্মভূমির ওপর মুঘলরা মসজিদ গড়েছিলেন। ১৬৫ বছর আগে সেই মসজিদের দেওয়ালে রাম নাম খোদাই করে দিয়েছিলেন তাঁরই এক পূর্বপুরুষ।  

    মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই

    ভগবান রামের প্রতি তাঁর বংশের ভক্তি অটুট। রসুলপুর জানান, ১৮৫৮ সালে ফকির সিং ও তাঁর নিহাঙ সিং সঙ্গীরা মসজিদের দেওয়ালে রাম, রাম খোদাই করে দিয়েছিলেন। উড়িয়ে দিয়েছিলেন গেরুয়া ধ্বজা। ঘটনার (Ram Mandir) প্রেক্ষিতে নভেম্বরের ৩০ তারিখে আওয়াধ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের আগেও তিনি জানিয়েছিলেন একথা। শিখ এবং হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ কোনওদিনই চাইতেন না ফকির সিং। রসুলপুরের দাবি, তাঁদের পরিবারের বরাবর সমান বিশ্বাস শিখ ও হিন্দু ধর্মের প্রতি। তিনি জানান, রাম মন্দিরের দাবিতে প্রথম যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তা কোনও হিন্দুর বিরুদ্ধে নয়, এক শিখের বিরুদ্ধে।

    মাথায় পাগড়ি, পরেন রুদ্রাক্ষ 

    কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন রসুলপুর। তিনি জানান, একই সঙ্গে নিহাঙ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। শিখ হয়েও রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন রসুলপুর। একই শরীরে বহন করেন শিখ ও হিন্দুধর্মের প্রতীক। এই মানুষটিই মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় খুলবেন লঙ্গরখানা। শিখধর্মে লঙ্গরখানার চল রয়েছে। এই লঙ্গরখানার অর্থ হল নিখরচায় আগত অতিথিদের খাওয়ানো। সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক এই লঙ্গরখানা। রসুলপুর জানেন, মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু মানুষ আসবেন ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী হতে। লঙ্গরখানায় তাঁদের খাইয়ে তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ও নিঃস্বার্থ সেবার বার্তাই দিতে চান রসুলপুর।

    আরও পড়ুন: ধনখড়কে মিমিক্রি-বাণ কল্যাণের, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা যখন মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের শেষ প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখন রসুলপুর দিন গুনছেন কবে আসবে বহু প্রতীক্ষিত সেই দিন। যেদিন তাঁর লঙ্গরখানায় সেবা করিয়ে তামাম ভারতকে রসুলপুর মনে করিয়ে দেবেন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সুমহান বাণী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অযোধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশ-বিদেশের শিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অযোধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশ-বিদেশের শিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। সেই দিনই অযোধ্যাতে হাজির থাকবেন দেশ-বিদেশের শিল্পীরা। সেখানে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তাঁরা। এমনটাই জানা গিয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ সূত্রে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনটিকে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে উপহার দিতে চাইছে। জানা গিয়েছে, সরকার চাইছে যে ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের আদর্শ এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে দেশ-বিদেশের সকল স্তরের মানুষ জানুক। এজন্যই জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। ইতিমধ্যে দেশের বিশিষ্টজনদের কাছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছাতেও শুরু করেছে। উদ্বোধনের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার হেঁটে গর্ভগৃহে রাম মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

    কোন কোন দেশের শিল্পীরা যোগ দেবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে?

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৫০০ বছর আগে রাম মন্দির (Ram Mandir) ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। তারপরে ৫০০ বছর ধরে লড়াই-আন্দোলন। অবশেষে তৈরি হতে চলেছে রাম মন্দির। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না যোগী সরকার। জানা গিয়েছে, নেপাল, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে শিল্পীরা আসবেন।

    সাংস্কতিক অনুষ্ঠানের বাজেট ধরা হয়েছে ২ কোটি

    এছাড়াও ভারতবর্ষের মধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, কর্নাটক, সিকিম, কেরল, ছত্তিসগড়, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং চণ্ডীগড়ের শিল্পীরা অংশ নেবেন রামলীলা অনুষ্ঠানে। মঞ্চস্থ হবে রামচন্দ্রের আদর্শ ও জীবনীর ওপর নানা অনুষ্ঠান। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে দু কোটি টাকারও বেশি। আগামী বছরে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হতে রামনগরীতে (Ram Mandir)। অযোধ্যার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হবে বিভিন্ন মঞ্চও। যেমন রামকথা পার্কে পুরুষোত্তম মঞ্চ তৈরি হচ্ছে, ভজন সন্ধ্যাতলে তৈরি হচ্ছে সরযূ মঞ্চ। তুলসী উদ্যানে তৈরি হচ্ছে কাকভুষণ্ডি মঞ্চ, তুলসী স্মারক ভবনে তৈরি হচ্ছে তুলসী মঞ্চ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share