Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে এবারও বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পাড়ে জ্বলে উঠল এক লক্ষ প্রদীপ। শুধু তাই নয়, বেনারস থেকে এসেছেন পুরোহিত। গঙ্গার মতো আত্রেয়ীর তীরে চলেছে আরতি ও বন্দনা। অপরপাশে আত্রেয়ীর বক্ষেই বসেছে ৫০ ফুটের রামের মূর্তি। চলছে বাজি প্রদর্শনী থেকে শুরু করে শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাবতীয় অনুষ্ঠান মূলত বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে সদর ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Ram Mandir)

    বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন আবার বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম (Ram Mandir) সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গঙ্গা আরতি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আয়োজন নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে বালুরঘাটে গত বছরের মতো এবারও এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আত্রেয়ী নদীর তীরে এই প্রদীপের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের চমক রয়েছে । রামলালার আলো আত্রেয়ী তীরে জ্বালো, এই মন তো নিয়েই আমরা এবারও প্রদীপ প্রজ্বলন করলাম। আমি নিজেও আছি।”

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    এক লক্ষ প্রদীপে সেজে উঠল আত্রেয়ী নদী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের (Ram Mandir) আত্রেয়ী নদীকে গঙ্গারূপে পুজো করেন বাসিন্দারা। তাই আত্রেয়ীর সদর ঘাটই এই লক্ষ প্রদীপে সাজানোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকালে বালুরঘাট শহরের থানা মোড়ের কাছে মিউজিয়ামের সামনে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়েছে। কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম সাজো প্রতিযোগিতাও হয়েছে। দুই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিশেষ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এদিন সন্ধ্যায়ই সদরঘাটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হল। তার পাশেই বেনারসের একঝাঁক পুরোহিত যজ্ঞ ও আত্রেয়ীতে আরতি করলেন। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে আরও বড় করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একলক্ষ প্রদীপে সদর ঘাট সাজানো হয়েছিল। যা দেখতে শহরের বহু মানুষ ভিড় করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলডাঙায় হবে বাবরি মসজিদ। মাসখানেক আগে তৃণমূলের এক বিধায়ক এই ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা ঘোষণা বঙ্গীয় হিন্দু সেনার। মুর্শিদাবাদের প্রতি বিধানসভায় রাম মন্দির (Ram Mandir) গড়ার কথা জানিয়েছিলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ। তাঁর ঘোষণার এক মাস হতে না হতেই এবার একেবারে দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ভূমিপূজন হবে শীঘ্রই।

    রাম মন্দির তৈরি ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন কবে?(Ram Mandir)

    রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরির বিষয়ে সক্রিয়ভাবে হিন্দু সেনারা আসরে নামতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মন্দির তৈরির বিষয়ে সমস্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। তবে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কোথায় মন্দির তৈরি করা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেননি মহারাজ। তবে, রাম মন্দির তৈরি করার বিষয়ে বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন অম্বিকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, “আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রত্যেকের সমর্থন ও সাহায্য চাইছি। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির আমন্ত্রিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রণ জানানো হবে অধীর চৌধুরীকেও। বামপন্থীদের মধ্যে যারা ধর্মের আফিম না খোঁজে, তাঁদের আমন্ত্রণ করা হবে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফলে, বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হিন্দু সেনা।

    রাম মন্দির ছাড়াও আর কী কী তৈরি করা হবে?

    অম্বিকানন্দ আরও বলেন, “শুধুমাত্র মন্দির নয়, রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) ঘিরে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনাথ আশ্রমও তৈরি করা হবে। এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হবে। এমনিতেই মুর্শিদাবাদ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। ২২ জানুয়ারি সেখানে এক নতুন সূর্যোদয় দেখা যাবে।” ফলে, নতুন বছরের শুরুতে মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব। হিন্দু সেনার সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার মূর্তির। সামনেই তার বর্ষপূর্তি। সেই দিনটা ধুমধাম করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ। সেজে উঠবে গোটা রামনগরী। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার মূর্তি অভিষেকের প্রথম বছর ভারতীয় সময় অনুসারে গণনা করে পালিত হবে।

    কীভাবে উদযাপন

    ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যা একটি ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে শ্রী রাম জান্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা (সংকৃতিতে consecration) এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবেন। চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিতে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনটিকেই ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পূর্ণ থাকবে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক উক্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায়।

    কী কী আয়োজন 

    মন্দির চত্বরের যজ্ঞ মন্ডপে হবে বিশাল মহাযজ্ঞ। যজ্ঞ চলাকালীন শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যদানী শাখার ৪০টি অধ্যায় থেকে ১৯৭৫টি মন্ত্র পাঠ হবে। পুজিত হবেন অগ্নিদেব। জপ করা হবে ১১টি বৈদিক মন্ত্র। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে হোমের এই কাজ। যজ্ঞ চলাকালীন সময় এই সব মন্ত্রের সঙ্গেই জপ করা হবে শ্রী রাম মন্ত্রও। ৬ লক্ষ মন্ত্র জপ করা হবে। এছাড়াও রাম রক্ষা স্তোত্র, হনুমান চালিসা, পুরুষ সুক্ত, শ্রী সুক্ত, আদিত্য হৃদ্য স্তোত্র, অথর্বশীর্ষ সহ ইত্যাদি পাঠ করা হবে। এই প্রাচীন সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান কেবল পরিবেশকে পবিত্র করবে না, বরং দিনের অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আধ্যাত্মিক মনোভাব সৃষ্টি করবে।

    রাগ-সঙ্গীতের আসর

    মন্দিরের দক্ষিণ দিকে প্রার্থনা কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে রাগ সেবা। বসবে রাগ সঙ্গীতের আসর। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরের কলিতে রামলালার সামনে অভিনন্দন গীতি পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় তলে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সংগীত মানস আবৃত্তির আয়োজন করা হবে। শ্রী রামচারিতমানসের সঙ্গীততালপূর্বক পাঠও সংগীতের সাথে শোনা যাবে, যা ভক্তদের শ্রী রামের জীবন এবং মহিমার এক নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    অঙ্গদ টিলার বিশেষ অনুষ্ঠান

    অঙ্গদ টিলার ময়দানে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রামকথা এবং বিকাল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মানস বক্তৃতা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১১ জানুয়ারী সকাল থেকে শুরু হবে ভগবান রামের প্রসাদ বিতরণ। অঙ্গদ টিলার সকল অনুষ্ঠানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বাধা থাকবে না। ভক্তরা কোনও বাধা ছাড়াই প্রসাদ খেতে পারবেন, অঙ্গদ টিলার অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

    রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নতুন মন্দির 

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ঘটা করে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ফটক। উপছে পড়ে ভিড়। রামলালার মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ৬টি মন্দির নির্মাণের ছবি প্রকাশ করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মূল মন্দির চত্বরে এই ৬টি মন্দির হল, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও হনুমান মন্দির। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ই জানিয়েছিল যে, অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণ করা হবে। যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ৬টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং ৭টি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে। রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরে এই ৬টি মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ram Mandir: ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘সোর্ড অফ অনার’-এ ভূষিত অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সোর্ড অফ অনার’ (Sword Of Honour) পুরস্কারে ভূষিত হল অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রকল্প। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের তরফে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এ কথা জানান চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কারটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের অন্যতম সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল তাদের অডিটে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে।

    ‘সোর্ড অফ অনার’ (Ram Mandir)

    কেবলমাত্র যারা পাঁচ-তারকা মূল্যায়ন পায়, তারাই ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির প্রকল্প ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের দেওয়া মর্যাদাপূর্ণ ‘সোর্ড অফ অনার’ পুরস্কার পেয়েছে। এটি সেফটি ম্যানেজমেন্টের তরফে একটি সম্মানজনক পুরস্কার। ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিল প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং সাইটে কার্যক্রমের মূল্যায়ন করার মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়। এই বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে থাকা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কোম্পানিও নির্মাণকাজ চলাকালে গৃহীত সেফটি ব্যবস্থার জন্য ন্যাশনাল সেফটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘গোল্ডেন ট্রফি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

    মন্দির নির্মাণ শেষ

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, যার মধ্যে চূড়াও রয়েছে, নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দিরটি রাজস্থানের বানসি পাহাড়পুর পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ঘনফুট পাথর। এর পাশাপাশি বসানো হয়েছে মার্বেলও। প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।

    আরও পড়ুন: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    রামজন্মভূমি (Ram Mandir) মন্দিরটি ঐতিহ্যগত নগরা শৈলীতে নির্মিত। এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট, উচ্চতা ১৬১ ফুট। মন্দিরে থাকবে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা। মন্দিরের স্তম্ভ ও প্রাচীরগুলোয় থাকবে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি। মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহে, যেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপিত, সেখানে রাখা হয়েছে (Sword Of Honour) ভগবান শ্রী রামের শৈশব রূপ (Ram Mandir)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলেছেন হুমায়ুন কবীর। পাল্টা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করা হবে, দাবি করলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁরা জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে একটি করে মন্দির তৈরি করবেন। বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি যা বলেছেন, তাতে জেলায় ২২টি রাম মন্দির তৈরি করা হবে।

    বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি আর কী বললেন? (Ram Mandir)

    ভিডিও বার্তায় বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ আরও বলেছেন, ‘‘মাই ডিয়ার হুমায়ুন কবীর, আপনি ঘোষণা করেছেন যে বেলডাঙায় নাকি একটি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি হুমায়ুন সাহেব। আপনি বাবরি মসজিদ বানান। বেলডাঙার মাটিতেই বানান। আপনাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব, মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করার জন্য। মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করব।’’

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    বাবরি মসজিদ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির বিষয়ে নিজের অবস্থানে অনড় আছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি ইসলাম ধর্ম মেনে চলি। আমার মসজিদ বানানোর অধিকার আছে। ভারতবর্ষের সমস্ত নিয়ম মেনে আমি মসজিদ তৈরি করব। আর তাই এই বিষয়টানিয়ে কে কী বললেন, তাতে আমার যায় আসে না। তাঁদের প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন বোধ করি না।’’ সেই সঙ্গে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ উদ্বোধনের সময় যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সময় যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাঁর কাছেও আমন্ত্রণ যাবে।

    রাম মন্দির তৈরির পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি

    অন্যদিকে, বুধবার বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন যে মুর্শিদাবাদের আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, নাহলে ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করবেন। আসলে মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি রাম মন্দিরের প্রয়োজন আছে। এর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই বহরমপুর থেকে বেলডাঙা এবং জঙ্গিপুরের মধ্যে চারটি জমির খোঁজ এসেছে। তবে, মন্দির কোথায় করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কড়া প্রতিক্রিয়া রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সদগুরুর

    Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কড়া প্রতিক্রিয়া রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সদগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহের মধ্যে এবার সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এরপর বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে। ভারত সরকার প্রতিবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিতসহ বিভিন্ন ধর্মগুরু। ইসকনের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় শুধু বাংলাদেশের মাটিতে থেমে নেই। ভারতে সনাতনীরাও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা (Bangladesh)

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের (Bangladesh) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, ‘‘যা হয়েছে অত্যন্ত খারাপ। আমার এটাই মনে হচ্ছে, পাকিস্তান যেমন হিন্দুদের সঙ্গে ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশও তেমনটাই করছে। বাংলাদেশে যাঁরা হিন্দুদের সমর্থন করছেন, তাঁদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা খুব খারাপ। আমাদের সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া। এখনও সরকার যদি কিছু না বলে তাহলে হিন্দুদের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে তা আরও বাড়বে আর এটাই চলতে থাকবে।’’

    সরব হয়েছেন সদগুরু

    ইসকনের-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ (Bangladesh) সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের পাশাপাশি, পুণ্ডরীক্ষ ধামের অধ্যক্ষও তিনি। তাঁর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আধ্যাত্মিক শিক্ষক এবং ইশা লিডারশিপ অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু। মঙ্গলবার বাংলাদেশে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সদগুরু এক্স হ্যান্ডলে সকল বাংলাদেশি নাগরিককে একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, ‘‘মুক্ত গণতন্ত্রের মূল্য বোঝা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। ধর্মের ভিত্তিতে নিপীড়ন ঠিক নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রতিবেশি গণতান্ত্রিক নীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠন করা যেখানে সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় অধিকার এবং তাদের চাহিদা ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন যাপন করার ক্ষমতা থাকবে।’’

    গোয়েন্দা শাখার মুখপাত্র রেজাউল করিম কী বলেছেন?

    সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে হিন্দু সংগঠন সম্মিলিত সনাতনী জোটের নেতা চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার মুখপাত্র রেজাউল করিমকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে,  নিয়মিত পুলিশের অনুরোধের ভিত্তিতে দাসকে আটক করা হয়েছে। করিম বলেন, ‘‘পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য দাসকে এখন সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।’’

    ভারত সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ ইসকনের

    ইসকন একটি এক্স পোস্টে ভারত সরকারকে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh) সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে। এক্স পোস্টে লিখেছে, ‘‘বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা নিন্দনীয়। ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে এবং জানিয়ে দেয় যে আমরা শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিন। এই ভক্তদের সুরক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের কাছে আমাদের প্রার্থনা।’’

    রাস্তায় নেমেছে হিন্দুরা

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাসকে আটক করা হয়েছিল। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে এটি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। এদিকে দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ বন্দরনগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে রাস্তায় নেমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    Ram Mandir: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৯ নভেম্বর। ২০১৯ সালের এই দিনেই ঐতিহাসিক অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে (Ram Mandir) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ।

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান (Ram Mandir)

    আর মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমান পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের পরেই অযোধ্যায় গড়ে উঠেছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের ‘ইমারত’। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘স্বগৃহে’ প্রতিষ্ঠিত হন রামলালা। তার পর সেখানেই চলছে পূজার্চনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, এটি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ঐক্য, অধ্যবসায় এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এই দেবালয়ের দিনের আলো দেখার নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের আত্মত্যাগ। এটি এমন একটি কাহিনি যা পুরাণ, ইতিহাস, আইনি সংগ্রাম এবং একটি পুরো দেশের আত্মাকে একত্রিত করে।

    হিন্দুদের বিশ্বাস

    অযোধ্যা, ভারতের অন্যতম প্রাচীন নগরী। ভারতীয় সভ্যতায় এই নগরী একটি অনন্য স্থান অধিকার করে রয়েছে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। প্রাচীন গ্রন্থে অযোধ্যার ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে। এই জায়গায় যে এক সময় মন্দির ছিল, তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মিলেছে। বাল্মীকি রামায়ণেও অযোধ্যার উল্লেখ পাওয়া যায়। সেখানে একে ইক্ষ্বাকু বংশ-শাসিত একটি সমৃদ্ধ ও দৈব শহর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান রাম, যিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবে পূজিত হিন্দুদের ঘরে ঘরে, সেই তিনিই এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও পুণ্যের প্রতীক। কালিদাসের মতো কবি এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে অযোধ্যার নাম।

    পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ

    রাম মন্দিরের খোঁজে এই এলাকায় খননকার্য চালায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছিল, সেখানে একটি বিশাল মন্দিরের কাঠামোর অস্তিত্বের (Ram Mandir) প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই খননকার্যের সময় উদ্ধার হওয়া স্তম্ভ, শিলালিপি ও স্থাপত্যের উপাদানগুলি বৈষ্ণব ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা এই জায়গাটাকে রামের জন্মস্থান হিসেবে পবিত্র বলে যে ঐতিহাসিক বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, তাকে সমর্থন করে। রাম মন্দির মামলার আইনি যাত্রা এক শতাব্দীরও বেশি (Ayodhya) সময় ধরে চলেছে। এই মামলা একাধিক মামলা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত। এই জটিল আইনি লড়াইয়ের কাহিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের বিস্তৃত সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটায়।

    প্রথম আইনি উদ্যোগ

    মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে প্রথম আইনি উদ্যোগ শুরু হয় ১৮৮৫ সালে, যখন মহন্ত রঘুবর দাস রাম চবুতরার ওপর একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন আদালতে। ব্রিটিশ আদালত অস্বীকৃত হওয়ায় দীর্ঘ আইনি সংগ্রামের সূচনা হয়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলছিল। ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই রামলালার মূর্তি (Ram Mandir) আবির্ভূত হলে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। সরকার ওই জায়গাটা সিল করে দেয়, যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষের দাবি ও পাল্টা দাবির সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে, এই বিবাদ পরিণত হয় একটি জাতীয় ইস্যুতে। রাম জন্মভূমি আন্দোলন গতি লাভ করে আটের দশকে। মাঠে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। আন্দোলন সমর্থন করেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। ১৯৯০ সালে আডবাণীর নেতৃত্বে রথযাত্রা হয়। শমিল হন লাখ লাখ মানুষ। জোরালো হয় রাম মন্দিরের দাবি। দেশ তো বটেই, এই আন্দোলন নজর কাড়ে তামাম বিশ্বেরও। 

    বাবরি মসজিদ ধ্বংস

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদের কাঠামো। করসেবকরাই ধ্বংস করে ফেলেন মসজিদের কাঠামো। গোটা দেশে তৈরি হয় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার সঙ্গে সঙ্গে হয় শতাব্দীভর ধরে চলা মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান। গড়ে ওঠে হিন্দুদের স্বপ্নের রাম মন্দির। রাম মন্দির (Ram Mandir) আজ শুধুমাত্র আর একটি পুজোস্থল নয়, বরং ভারতের সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রতীক। এটি লাখ লাখ মানুষের দৃঢ়তা, ঐক্য ও বিশ্বাসের প্রতীক, যারা নানা বাধা সত্ত্বেও তাঁদের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন। মন্দিরের নির্মাণ বহু প্রজন্ম ধরে লালিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন, যা ভারতের সভ্যতাগত মূল্যবোধের মর্মকে সযত্নে ধারণ করে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    অযোধ্যার রাম মন্দির বিশ্বাসের শক্তি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁদের কথা যাঁরা এই ঐতিহাসিক দীর্ঘ যাত্রায় কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের এই অবদান ভারতের ইতিহাসে একটি (Ayodhya) নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যে অধ্যায় চোখের সামনে ভেসে উঠবেই অযোধ্যায় (Ram Mandir) আসা দর্শনার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Security in Ayodhya: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    Security in Ayodhya: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে বারাণসী এবং অযোধ্যাকে (Security in Ayodhya) আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় প্রতি বছরই। তবে এ বছরই প্রথম বার দীপাবলির (Diwali in Ayodhya) সাক্ষী হতে চলেছে রাম মন্দির। অষ্টমতম দীপোৎসবে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলতে তাই পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তিন দিন ধরে দীপোৎসব চলবে। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে অযোধ্যায়। তার আগেই গোটা শহরকে দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। পুলিশ তো আছেই, নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কমান্ডো। তৈরি রয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখাও (এটিএস)।

    কড়া নিরাপত্তা অযোধ্যায়

    প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা (Security in Ayodhya) বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাম মন্দির-সহ এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০০০ পুলিশ, ১৫০ এনএসজি কমান্ডো, সন্ত্রাসদমন শাখা। দীপাবলিতে অযোধ্যার নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন পুলিশ সুপার রাজকরণ নায়ার। মন্দির শহরে দীপোৎসব যাতে মৃসণ ভাবে পালন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। শহরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই অযোধ্যানগরীর প্রতিটি কোনা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, এনএসজি কমান্ডোর পাশাপাশি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জল পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আরও উদ্ধারকারী দল। সরযূ নদীতে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে।

    প্রকৃতিবান্ধব দীপাবলি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার সরযূ নদীর তীরে ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে। এই দীপোৎসবের (Diwali in Ayodhya) জন্য বিশেষ প্রকৃতিবান্ধব দীপ আনানো হয়েছে। রাম মন্দির সেজে উঠবে সেই প্রকৃতিবান্ধব দীপে। যাতে মন্দিরের কোনও রকম ক্ষতি না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রকৃতিবান্ধব এই দীপোৎসবের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার একটা বার্তা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। দীপোৎসবে যাতে সাধারণ মানুষ শামিল হতে পারেন তার জন্য ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেন্বরের মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। দর্শনার্থীরা ৪বি গেট থেকে মন্দিরের সজ্জা দেখার সুযোগ পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ অগাস্ট। ১৯২১ সালের এই দিনেই প্রয়াত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ (Kalyan Singh)। তাঁর মৃত্যুদিনটিকে ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ হিসেবে পালন করল বিজেপি। কল্যাণের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান পালিত হয় ইন্দিরা গান্ধী প্রতিষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং এমএলএরা।

    আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী (Kalyan Singh)

    যে মানুষটিকে নিয়ে এত অনুষ্ঠানের আয়োজন সেই কল্যাণ সিংহ ছিলেন একজন (Ram Mandir) আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, এমন রাজ্যপাল যিনি তাঁর কথাকে সব সময় কাজে পরিণত করতেন। তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক, পরিশ্রমী নেতা। আদর্শের সঙ্গে কখনও আপোশ করেননি কল্যাণ। রাম জন্মভূমি আন্দোলন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির (রাম মন্দির) নিশ্চিতভাবেই তৈরি হবে।” রাজ্যপাল হিসেবে কল্যাণ সিংহ গ্রামীণ সম্প্রদায়, ছাত্র এবং অন্যদের আত্মোন্নতি এবং দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, কল্যাণ সিংহ ইতিহাসের অংশ নন, তিনি ছিলেন ইতিহাস রচয়িতা।

    আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান

    ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন কল্যাণ (Kalyan Singh)। ছোট থেকেই নীতি এবং আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তিনি ছিলেন লয়্যাল, নেতা হিসেবে দৃঢ়। দক্ষ সংগঠকও ছিলেন কল্যাণ। একজন আদর্শ মুখ্যমন্ত্রীর যেমন হওয়া প্রয়োজন, কল্যাণ ছিলেন তেমনই। রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি ছিলেন অননুকরণীয়। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের কাঠামো ভাঙার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ। এই সময়টা ভারতীয় ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯২ সালের ৬ অগাস্ট অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কল্যাণ ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। লিবারহান কমিশন যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, করসেবকরা মসজিদ ভাঙছে দেখেও গুলি না চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন?

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    গুলি না চালানোর নির্দেশ

    নির্ভীক কল্যাণের উত্তর, “আমি তো সব সময়ই বলে এসেছি যে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যা ঘটেছিল, তার পুরো দায় আমার। করসেবকদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশ আমিই দিয়েছিলাম।” মসজিদের কাঠামো ভাঙার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন কল্যাণ। তার আগেই অবশ্য তাঁকে বরখাস্ত করেছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও কল্যাণ যেভাবে করসেবকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে তিনি একজন বহুলচর্চিত রাজনীতিক হয়েই থেকে গেলেন (Ram Mandir)। কল্যাণ প্রয়াত হয়েছেন তিন বছর আগে। তবে রেখে গিয়েছেন তাঁর উত্তরাধিকার।

    রাম জন্মভূমি ইস্যু

    রাম জন্মভূমি ইস্যুটি কল্যাণের রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় কল্যাণকে। দ্রুত তিনি নিজেকে জাতীয় নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। শপথ নেন উত্তরপ্রদেশকে অপরাধমুক্ত করার। রাম জন্মভূমি এলাকার বিভিন্ন বাধা অপসারণের অঙ্গীকারও করেছিলেন কল্যাণ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে অ-বিতর্কিত ৪২ একর জমি হস্তান্তর করেছিলেন কল্যাণ। অতিরিক্ত ২.৭৭ একর জমিও অধিগ্রহণ করেছিলেন। কল্যাণের জমি হস্তান্তরের এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েছিল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শঙ্কররাও চ্যবন। চ্যবন তাঁকে (Kalyan Singh) এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, যদি উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে, তাহলে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী সরকারকে বরখাস্ত করা হবে।

    মন্দির নির্মাণ হবেই

    জমি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে যখন কল্যাণ এবং কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব চলছে, তখন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির নির্মাণ হবেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকি থেকে এটা স্পষ্ট, রাম মন্দির নির্মাণ এখন দাঁড়িয়েছে জনগণের বাধ্যবাধকতা বনাম সংবিধানের ৩৫৬ ধারার প্রশ্ন। যদি সরকার ও মন্দিরের মধ্যে আমায় যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়, আমি মন্দিরটাই বেছে নেব।” জমি হস্তান্তর প্রসঙ্গে তাঁর (Kalyan Singh) যুক্তি, রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে যে ৪২ একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। অতিরিক্ত যে ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তার বৈধতা বহাল রেখেছিল হাইকোর্ট। ১৯৯১ সালের ২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ সরকার অধিগৃহীত জমির দখল নেয়। জমির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সম্মতি নিয়েই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল অধিগৃহীত জমির নির্মাণ। কল্যাণ বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যা কিছু হচ্ছে, তা আইন মেনেই।”

    ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করসেবকরা এসে ভিড় করতে থাকেন অযোধ্যায়। ৪ তারিখে কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিংহ বলেছিলেন, “অযোধ্যার ঘটনাবলীর ওপর নিবিড় নজর রাখছে কেন্দ্র। সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষায় প্রযোজনীয় যা কিছু করার, তা করা হবে।” এর ঠিক দু’দিন পরেই ভাঙা হয় তৎকালীন ‘বিতর্কিত’ কাঠামো।

    কল্যাণ (Kalyan Singh) নেই। বিতর্কের অবসান শেষে হয়েছে রাম মন্দিরও। দেবালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে (Ram Mandir) কল্যাণের। যদিও তা দেখে যেতে পারেননি গর্বিত এই হিন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share